জয় জগন্নাথ!
ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী, আমাদের অগ্রজ বন্ধু শ্রী নবীন পট্টনায়েকজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী শ্রী রবিশঙ্কর প্রসাদজি, ওড়িশার সুপুত্র এবং আমার মন্ত্রিসভার সদস্য শ্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানজি, ইনকাম ট্যাক্স অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল (আইটিএটি)-এর সভাপতি মাননীয় বিচারপতি পি পি ভট্টজি, ওড়িশার নির্বাচিত সাংসদগণ, বিধায়কগণ এবং এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্য সমস্ত মাননীয় ব্যক্তিগণ এবং আমার প্রিয় বন্ধুরা,
ভগবান জগন্নাথের আশীর্বাদে ইনকাম ট্যাক্স অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনাল বা আইটিএটি-র কটক বেঞ্চ আজ একটি নতুন ও আধুনিক পরিসরে কাজ করা শুরু করছে। এত দীর্ঘ সময় ধরে ভাড়া নেওয়া বাড়িতে কাজ করার পর নিজের বাড়িতে যাওয়ার খুশি কতটা হয়, তা আপনাদের সকলের উৎফুল্ল চেহারা দেখেই বুঝতে পারছি। এই আনন্দঘন মুহূর্তে আপনাদের সঙ্গে মিলিত হতে পেরে আমি আইটিএটি-র সমস্ত আধিকারিক ও কর্মচারীদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই, শুভকামনা জানাই। কটকের এই বেঞ্চ এখন শুধু ওড়িশার নয়, গোটা পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের লক্ষ লক্ষ করদাতাদের আধুনিক পরিষেবা প্রদান করবে। নতুন পরিষেবাগুলি যুক্ত হওয়ার পর এই বেঞ্চ কলকাতা জোনের দ্বিতীয় বেঞ্চের নিষ্পত্তি না হওয়া মামলাগুলির সমাধানেও সক্ষম হবে। সেজন্য সেই সমস্ত করদাতাদেরও আমি অনেক অনেক শুভকামনা জানাই যাঁরা এই আধুনিক পরিসর থেকে নতুন পরিষেবা পাবেন, দ্রুতগতিতে অমীমাংসিত মামলাগুলির নিষ্পত্তির পথ খুলবে।
বন্ধুগণ,
আজকের এই দিন আরেকজন পূণ্যাত্মাকে স্মরণ করার দিন যাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টা ছাড়া এই আইটিএটি কটক বেঞ্চের এই স্বরূপ সম্ভব ছিল না। ওড়িশার জন্য, ওড়িশার জনগণের জন্য সমস্ত রকম আধুনিক পরিষেবা প্রদানের লক্ষ্যে সমর্পিতপ্রাণ ছিলেন বিজু পট্টনায়েকজি। আমি আজকের দিনে বিজুবাবুকে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করছি।
বন্ধুগণ,
আইটিএটি-র একটি গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। আমি বর্তমান টিমকে অভিবাদন জানাই যারা সারা দেশে তাদের আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজে দিন-রাত পরিশ্রম করছেন। আমাকে বলা হয়েছে যে কটকের আগে বেঙ্গালুরু এবং জয়পুরে আপনাদের নিজস্ব কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে। তেমনই, অন্যান্য শহরেও নতুন কমপ্লেক্স গড়ে তোলা কিংবা পুরনো কমপ্লেক্সকে আধুনিক পরিষেবা প্রদানে উন্নীত করার কাজ আপনারা দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।
বন্ধুগণ,
আজ আমরা যে প্রযুক্তি-সমৃদ্ধ সময়ে পৌঁছেছি, এখন গোটা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে আমাদের বিচার ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার দেশের নাগরিকদের দ্রুত বিচার পেতে সাহায্য করছে। নিরপেক্ষ, সুলভ এবং দ্রুত বিচারদানের যে আদর্শ নিয়ে আপনারা এগিয়ে চলেছেন, সেই আধুনিক পরিষেবাগুলি আরও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে অত্যধিক ক্ষমতায়িত করা সম্ভব হবে। এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে আইটিএটি সারা দেশে তাদের বেঞ্চগুলিকে ভার্চ্যুয়াল হিয়ারিং-এর জন্যও উন্নীত করছে। আর এটা ঠিক, একটু আগে শ্রী পি পি ভট্টজি যেভাবে বললেন, অনেক বড় মাত্রায় এই কাজ করোনার সঙ্কটকালেই সম্পন্ন হয়েছে, আগের থেকে অনেক বেশি ভার্চ্যুয়াল হয়েছে, আর এই কর্মযজ্ঞকে সঠিক নেতৃত্ব দিতে রবিশঙ্করজিকে সারা দেশে সফর করে বেড়াতে হয়েছে।
বন্ধুগণ,
পরাধীনতার সুদীর্ঘ সময়কালে করদাতা এবং কর সংগ্রাহক উভয়ের সম্পর্ককে শোষিত এবং শোষকের সম্পর্কে পরিণত করা হয়েছিল। আমাদের দুর্ভাগ্য যে স্বাধীনতার পর আমাদের কর ব্যবস্থায় সেই পরম্পরা পরিবর্তন করার জন্য যতটা চেষ্টা করা উচিৎ ছিল, ততটা করা হয়নি। কিন্তু ভারতে প্রাচীনকাল থেকেই করের গুরুত্ব এবং লেনদেন নিয়ে অনেক সুস্থ ঐতিহ্য ছিল। গোস্বামী তুলসীদাস লিখেছেন –
“বরসত হরসত সব লখেঁ, করসত লখে ন কোয়ে
তুলসী প্রজা সুভাগ সে ভূপ ভানু সো হোয়ে”
অর্থাৎ, যখন বৃষ্টি হয়, তার উপকার আমরা সবাই দেখতে পাই। কিন্তু যখন মেঘ তৈরি হয়, সূর্য জল শুষে নেয়, তখন তা থেকে কারোর অসুবিধা হয় না। শাসনও এরকমই হওয়া উচিৎ। যখন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কর নেওয়া হবে তখন যেন তাঁদের কোনও সমস্যা না হয়। কিন্তু দেশের সেই টাকাই যখন অসহায় নাগরিকদের কাছে পৌঁছবে, তখন তার ব্যবহার যেন সাধারণ মানুষের জীবনে অনুভূত হয়। বিগত বছরগুলিতে সরকার এই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই এগিয়ে চলেছে।
বন্ধুগণ,
আজকের করদাতারা সম্পূর্ণ কর ব্যবস্থায় অনেক বড় পরিবর্তন এবং স্বচ্ছতার সাক্ষী। এখন আর তাঁদের রিফান্ডের জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয় না। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই যখন রিফান্ড পেয়ে যান তখন তাঁরা এই স্বচ্ছতাকে অনুভব করেন। যখন তাঁরা দেখেন যে কর বিভাগ নিজে থেকে এগিয়ে এসে অনেক বছর পুরনো মামলাগুলি সমাধান করে দিচ্ছে, সেই মামলাগুলি থেকে সাধারণ মানুষকে মুক্তি দিচ্ছে, তখন তাঁরা এই স্বচ্ছতাকে অনুভব করেন। যখন তাঁরা 'ফেসলেস অ্যাপিল'-এর পরিষেবা পান, তখন তাঁরা কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতাকে আরও বেশি অনুভব করেন। যখন তাঁরা এটা দেখেন যে আয়কর লাগাতার হ্রাস পাচ্ছে, তখন তাঁরা কর ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আরও বেশি অনুভব করেন। পূর্ববর্তী সরকারগুলির শাসনকালে অনেক অভিযোগ আসত যে কর সন্ত্রাস। চারিদিকে এই শব্দ শোনা যেত কর সন্ত্রাস। আজ দেশ সেই পরিস্থিতি পেছনে ফেলে কর স্বচ্ছতার দিকে এগিয়ে চলেছে। কর সন্ত্রাস থেকে কর স্বচ্ছতার এই রূপান্তরণ এজন্য এসেছে কারণ আমরা সংস্কার, কর্মোদ্যম ও রূপান্তরণের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে চলেছি। আমরা আইনে সংস্কার আনছি, কর্মপদ্ধতিতে সংস্কার আনছি যাতে সেই কর্মপদ্ধতি প্রযুক্তির সাহায্য পেতে পারে। আমরা দক্ষতার সঙ্গে মুক্ত মনে কাজ করে চলেছি, স্পষ্ট ইচ্ছে নিয়ে আর পাশাপাশি আমরা কর প্রশাসনের মনোভাবেও রূপান্তর আনতে সক্ষম হচ্ছি।
বন্ধুগণ,
আজ দেশে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনও কর দিতে হয় না। সেজন্য নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং আমাদের আজকের নবীন প্রজন্ম অনেক লাভবান হচ্ছেন। এ বছরের বাজেটে আয়করের যে নতুন বিকল্প দেওয়া হয়েছে, সেটি আরও সরল। এই বিকল্প করদাতাদের অনাবশ্যক দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেবে এবং তাঁরা অনেক টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন। এভাবে উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার জন্য, ভারতকে আরও বেশি বিনিয়োগ-বান্ধব করে তুলতে কর্পোরেট কর ঐতিহাসিক হারে হ্রাস করা হয়েছে। দেশের মধ্যেই লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থান প্রদানকারী কোম্পানিগুলির জন্য কর্পোরেট ট্যাক্স কমানো হয়েছে। দেশ যাতে পণ্য উৎপাদনে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠে সেজন্য নতুন দেশীয় পণ্য উৎপাদন কোম্পানিগুলির জন্য করের হার ১৫ শতাংশ করে দেওয়া হয়েছে। ভারতের ইক্যুইটি মার্কেটে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য ডিভিডেন্ড ডিস্ট্রিবিউশন ট্যাক্স বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। জিএসটি থেকেও কয়েক ডজন করের জাল বাতিল করা হয়েছে এবং অধিকাংশ পণ্য ও পরিষেবা, আর সেই পরিষেবা বাবদ করের হারও অনেক হ্রাস পেয়েছে।
বন্ধুগণ,
আজ থেকে ৫-৬ বছর আগে এমন পরিস্থিত ছিল, যদি কোনও ইনকাম ট্যাক্স কমিশনার কোনও করদাতাকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় দিতেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইটিএটি-তে চ্যালেঞ্জ করা হত। আমাদের সরকার এই সীমা ৩ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে এখন ৫০ লক্ষ টাকা করে দিয়েছে। এভাবে সুপ্রিম কোর্টে এখন কেবল সেই মামলাগুলিই যায়, যেগুলিতে ন্যূনতম ২ কোটি টাকার কর অ্যাপিলের বিষয় হয়। এই প্রচেষ্টাগুলির মাধ্যমে দেশে 'ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস' বেড়েছে, অনেক সংস্থার ওপর থেকে বিবাদমান মামলার বোঝাও হ্রাস পেয়েছে।
বন্ধুগণ,
কর হ্রাস এবং প্রক্রিয়া সরলতার পাশাপাশি সব থেকে বড় যে সংস্কার আনা হয়েছে তা সৎ করদাতাদের গরিমা বৃদ্ধি করবে এবং তাঁদের নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করবে। আজ ভারত বিশ্বের সেই হাতে গোনা দেশগুলির অন্যতম যেখানে করদাতাদের অধিকার এবং কর্তব্য উভয়কেই 'কোডিফাই' করা হয়েছে। তাঁদের আইনসম্মত স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। করদাতা এবং কর সংগ্রাহকদের মাঝে বিশ্বাস বৃদ্ধির জন্য, স্বচ্ছতার জন্য এটা অনেক বড় পদক্ষেপ। যে ব্যক্তি নিজের শ্রম, নিজের ঘাম দিয়ে দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করেন, অনেক দেশবাসীকে কর্মসংস্থান দেন, তাঁরা সর্বদাই সম্মানের অধিকারী। আর আমি ১৫ আগস্টে লালকেল্লার প্রাকার থেকেও অনুরোধ জানিয়েছিলাম আর অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে একথা ঘোষণা করেছিলাম, দেশের সম্পদ সৃষ্টিকারীদের সমস্যা যখন হ্রাস পায়, তাঁরা যখন নিরাপত্তা অনুভব করেন, তখন তাঁদের বিশ্বাস দেশের ব্যবস্থার প্রতি অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। এই ক্রমবর্ধমান বিশ্বাসের পরিণাম হল এখন অধিকাংশ বন্ধুগণ দেশের উন্নয়নের জন্য কর ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হতে এগিয়ে এসেছেন। সরকার কিভাবে করদাতাদের ভরসা করে এগিয়ে চলেছে তার আরেকটি উদাহরণ আমি আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই।
বন্ধুগণ,
আগে এমন ব্যবস্থা ছিল যেখন দেশের যত মানুষ কিংবা ব্যবসায়ী আয়কর রিটার্ন ফাইল করতেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশকেই আয়কর বিভাগের স্ক্রুটিনির সম্মুখীন হতে হত। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি বদলেছে। আমাদের সরকারের ভাবনা হল, যত আয়কর রিটার্ন ফাইল হচ্ছে, সেগুলিকে আগে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করুন। এর ফল হল আজ দেশে যত রিটার্ন ফাইল হচ্ছে সেগুলির মধ্যে ৯৯.৭৫ শতাংশ কোনও আপত্তি ছাড়াই স্বীকার করে নেওয়া হচ্ছে। শুধু ০.২৫ শতাংশ মামলায় স্ক্রুটিনি করতে হচ্ছে। এটা অনেক বড় পরিবর্তন যা আজ দেশের কর ব্যবস্থায় এসেছে।
বন্ধুগণ,
দেশে যে কর সংস্কার হচ্ছে সেগুলির সাফল্যের জন্য আপনাদের ট্রাইব্যুনাল এবং আপনাদের মতো আধিকারিক ও কর্মচারীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারাও যেভাবে নিজেদের ভার্চ্যুয়াল সময় ব্যবহার করে ব্যবস্থাকে সুচারু করে তুলেছেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস যেভাবে আমরা ফেসলেস ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে চলেছি, আপনারাও এটা নিয়ে ভাববেন যে ফেসলেস অ্যাসেসমেন্ট আর অ্যাপিলের মতোই আইটিএটি-কেও কি আমরা ফেসলেসের লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি? ফিজিক্যাল হিয়ারিং-এর জায়গায় আমরা কি ই-হিয়ারিং-কে অগ্রাধিকার দিতে পারি? করোনার সঙ্কটকালে যেভাবে কাজ হয়েছে সেই কর্মপদ্ধতি কি ভবিষ্যতেও চালু রাখা যায়?
বন্ধুগণ,
করোনার এই সঙ্কট সময়ে আমাদের সকলের অভিজ্ঞতা হল ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে সমস্ত কাজ ততটাই স্বচ্ছতা এবং প্রভাবশালী পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা। আজ যখন আপনারা সারা দেশের বেঞ্চগুলিতে আধুনিক পরিষেবা যুক্ত পরিসর নির্মাণ করছেন, তখন এই সংস্কারগুলি আপনাদের জন্য কঠিন হবে না। এর মাধ্যমে করদাতাদের সময়, অর্থ এবং প্রাণশক্তি সাশ্রয় হবে। বিবাদগুলির নিষ্পত্তিও দ্রুতগতিতে সম্ভব হবে।
বন্ধুগণ,
আমাদের দেশের বিদ্বানরা বলে গেছেন –
“ন্যায়মূলং সুরাজ্যং স্যাৎ, সঙ্ঘমূলং মহাবলম।।”
অর্থাৎ, সুশাসনের মূলে থাকে সুবিচার। আর মহাশক্তির মূলে থাকে সংগঠন। সেজন্য আমরা নিরন্তর বিচার এবং সংগঠনের শক্তিকে আত্মনির্ভর ভারতের প্রাণশক্তিতে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। ভারতে একের পর এক যে সংস্কারগুলি সাধিত হচ্ছে, সংস্কারের যে শৃঙ্খলা চলছে, তার পেছনে এই প্রেরণা কাজ করছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের সকলের সংগঠিত প্রচেষ্টায় আমাদের চেষ্টাগুলি সফল হবে। আইটিএটি-র সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বন্ধুদের, সমস্ত ওড়িশাবাসীকে আরেকবার এই আধুনিক পরিসরের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের সবাইকে দীপাবলি সহ আগামী সমস্ত উৎসবের জন্য মঙ্গলকামনা জানিয়ে একটি কথা অবশ্যই বলতে চাই, করোনার এই সঙ্কট সময়ে আমাদের করোনাকে হালকাভাবে নেওয়া উচিৎ নয়। সতর্কতা বজায় রাখবেন। মাস্ক অবশ্যই পরবেন, দূরত্ব বজায় রাখবেন, সাবান দিয়ে হাত ধোবেন। আমি ওড়িশাবাসীকে অনুরোধ করব, ওড়িশা কলা-সংস্কৃতির একটি বড় তপস্যাভূমি। আজ সারা দেশে এই মন্ত্র গুঞ্জরিত হচ্ছে – ‘ভোকাল ফর লোকাল'। ভারতের প্রত্যেক কোণায় কোণায় সেখানকার স্থানীয় পণ্যে আমার দেশবাসীর ঘামের গন্ধ থাকে, আমার দেশের নবীন প্রজন্মের মেধার ছাপ থাকে। আমরা যেন সেই পণ্যগুলিকেই বেছে নিই। লোকাল পণ্য কেনার প্রতি আমাদের আগ্রহ যাতে বৃদ্ধি পায়। ভারতের মাটিতে ভারতের মানুষের ঘামের গন্ধমাখা পণ্য কেনার চেষ্টা করুন। এই অনুরোধ আমি ভগবান জগন্নাথের ভূমিতে বসবাসকারী ওড়িশাবাসীদের কাছে রাখতে চাই। এই পূণ্যভূমিতে দাঁড়িয়ে দেশবাসীকেও বলতে চাই – ‘ভোকাল ফর লোকাল, লোকাল ফর দিওয়ালি!’ আর শুধু ডিপাবলিই নয়, আমি চাইব ৩৬৫ দিন আপনারা দীপাবলি পালন করুন আর ৩৬৫ দিনই লোকাল পণ্য কিনুন। দেখুন, দেশের অর্থনীতি দ্রুতগতিতে এগোতে শুরু করবে। আমাদের পরিশ্রমী মানুষদের ঘামে সেই শক্তি রয়েছে যা দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে এই বিশ্বাস নিয়েই আজকের এই শুভ অনুষ্ঠানে আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে অনেক শুভকামনা, অনেক অনেক মঙ্গলকামনা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।