“এই অত্যাধুনিক বিমানবন্দর গোয়ার মানুষের স্নেহ এবং আশীর্বাদের প্রতিদানের চেষ্টা”
“এর আগে অনেক জায়গা অবহেলিত হত পরিকাঠামোগত উন্নয়নের অভাবে”
“ভারত বিমান পরিবহণ বাণিজ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্থান অধিকার করেছে”
“একবিংশ শতাব্দীর ভারত নতুন ভারত যা বিশ্ব মঞ্চে দাগ কাটছে এবং এর ফলে বিশ্বের প্রেক্ষাপটের দ্রুত বদল ঘটছে”
“দেশে ভ্রমণের সুবিধার উন্নতি করতে এবং পর্যটনের প্রসার ঘটাতে প্রয়াস নেওয়া হয়েছে”
প্রাথমিকভাবে এই বিমানবন্দর প্রথম পর্যায়ে প্রতি বছর ৪.৪ মিলিয়ন যাত্রী পরিষেবা দেবে। এটি বাড়িয়ে করা হবে বছরে ৩৩ মিলিয়ন যাত্রী।
“আজ গোয়া ১০০ শতাংশ লক্ষ্য পূরণের প্রকৃষ্ট উদাহরণ”
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী গোয়ায় মোপা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেছেন।

মঞ্চে উপবিষ্ট গোয়ার রাজ্যপাল শ্রী পি এস শ্রীধরন পিল্লাইজি, গোয়ার জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী প্রমোদ সাওয়ান্তজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রী শ্রীপদ নায়েকজি, শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াজি, উপস্থিত বিশিষ্টজনেরা, ভদ্রমহোদয়া ও ভদ্রমহোদয়গণ!

এই সুন্দর নতুন বিমানবন্দরটির জন্য গোয়ার মানুষ এবং দেশবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। গত আট বছরে যখনই আপনাদের মাঝে আসার সুযোগ হয়েছে, তখনই একটি জিনিস বারবার আমি করার চেষ্টা করি। সেটি হল, যে ভালোবাসা ও আশীর্বাদ আপনারা আমাদেরকে দিয়ে থাকেন তা উন্নয়নের মাধ্যমে সুদ সমেত ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করি। অত্যাধুনিক এই বিমানবন্দরটি সেই ভালোবাসা ফেরত দেওয়ারই একটি উদ্যোগ। আমার খুব ভালো লাগছে এই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি আমার প্রিয় সহকর্মী এবং গোয়ার সন্তান প্রয়াত মনোহর পাররিকরজির নামে হওয়ায়। যাঁরা এই অঞ্চল সফর করবেন তাঁদের সবার মনের মধ্যে পাররিকরজির নাম মনোহর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে চিরস্থায়ী থাকবে।

বন্ধুগণ,

পূর্ববর্তী সরকারগুলি শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির কথাই বিবেচনা করত। তারা মানুষের চাহিদার কথা ভাবত না। এটিই ছিল দীর্ঘদিন ধরে পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে আগের সরকারগুলির মানসিকতা। সেই সময় গুরুত্বহীন প্রকল্পগুলির পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হত। ফলে, মানুষের চাহিদা অনুযায়ী পরিকাঠামো ক্ষেত্র অবহেলিত থেকে যেত। গোয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তারই একটি উদাহরণ। দীর্ঘদিনের এই দাবি শুধু গোয়ার জনগণের নয়, দেশের মানুষেরও। একটি বিমানবন্দর যথেষ্ট ছিল না। গোয়ার আরও একটি বিমানবন্দরের প্রয়োজন ছিল। কেন্দ্রে যখন অটল বিহারী বাজপেয়ীজির সরকার ছিল তখন এই বিমানবন্দরের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু, নতুন বিমানবন্দর নির্মাণের জন্য কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। ২০১৪ সালে গোয়ায় উন্নয়নের ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রতিষ্ঠিত হল। আমরা আরও একবার সব কাজ দ্রুত শেষ করার সুযোগ পেলাম। ছ’বছর আগে আমি এখানে এসেছিলাম এই বিমানবন্দরের শিলান্যাস করতে। আদালতের বকেয়া মামলা থেকে শুরু করে মহামারী – নানা সময়ে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। কিন্তু সব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আজ এই বিমানবন্দর তৈরি হল। এখন এই বিমানবন্দর দিয়ে প্রতি বছর ৪০ লক্ষ মানুষ ওঠা-নামা করবেন। আগামীদিনে এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ। স্বাভাবিকভাবেই এর ফলে এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্পের প্রভূত উন্নতি হবে। গোয়ার জন্য দুটি বিমানবন্দর হওয়ায় এই রাজ্য বিমানের হাব হিসেবেও গড়ে উঠবে। ওষুধ প্রস্তুত শিল্প, ফল এবং শাকসব্জি রপ্তানির সুবিধা হবে।

বন্ধুগণ,

দেশের পরিকাঠামোর উন্নয়নে সরকারের মনোভাবের পরিবর্তনের উদাহরণ হল মনোহর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। পূর্ববর্তী সরকারগুলির মানসিকতার জন্য ২০১৪ সালের আগে বিমান যাত্রাকে বিলাসবহুল বলে বিবেচনা করা হত। ঐ সরকারগুলি কল্পনাও করত না যে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষরাও বিমান যাত্রা করতে আগ্রহী। আর তাই, সেই সময়ের সরকারগুলি পরিবহণ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের বিষয়ে অনীহা দেখাত। বিমানবন্দর তৈরিতে বেশি অর্থ ব্যয় হয়নি। ফল হিসেবে দেশে বিমান যাত্রার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকলেও আমরা বিমান পরিবহণে পিছিয়ে ছিলাম। আমরা সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারিনি। এখন দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে আর তার ফল আমরা দেখতে পাচ্ছি।

বন্ধুগণ,

স্বাধীনতার পর ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে মাত্র ৭০টি বিমানবন্দর ছিল। বিমান পরিবহণ মূলত বড় বড় শহর-কেন্দ্রিক ছিল। ছোট শহরেও যাতে বিমান পরিবহণের সুযোগ তৈরি হয় সেই উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করি। আমরা সেই সময় দুটি নীতি গ্রহণ করি। প্রথমত, দেশজুড়ে বিমানবন্দরের নেটওয়ার্ককে সম্প্রসারিত করা শুরু হয় আর দ্বিতীয় উদ্যোগটি হল ‘উড়ান’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের ফলে সাধারণ মানুষের পক্ষে বিমান যাত্রা সহজতর হয়ে উঠবে। আমাদের এই প্রয়াসে অভূতপূর্ব ফলাফল দেখা যাচ্ছে। সিন্ধিয়াজি দারুণ কিছু তথ্য তুলে ধরলেন। গত আট বছরে দেশে ৭২টি নতুন বিমানবন্দর তৈরি হয়েছে। একবার ভাবুন, স্বাধীনতার পর ৭০ বছরে দেশে বিমানবন্দরের সংখ্যা ছিল ৭০ আর আমরা গত ৭-৮ বছরে ৭০টির বেশি বিমানবন্দর তৈরি করেছি। ভারতে বিমানবন্দরের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার এটিই কারণ। ২০০০ সালের হিসেবে প্রতি বছর ভারতের ৬ কোটি মানুষ বিমানে যাত্রা করতেন। ২০২০ সালে করোনার আগে এই সংখ্যা ১৪ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এঁদের মধ্যে ১ কোটি মানুষ ‘উড়ান’ প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করেছেন।

বন্ধুগণ,

এই উদ্যোগগুলির কারণে বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্থান অর্জন করেছে। যেভাবে ‘উড়ান’ প্রকল্প দেশের মধ্যবিত্ত মানুষের স্বপ্ন পূরণ করেছে তা শিক্ষা জগৎ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কাছে গবেষণার বিষয়বস্তু হয়ে উঠতে পারে। বছর কয়েক আগেও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা দূরে কোথাও যাওয়ার জন্য প্রথমে দেখতেন ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে কিনা। আর আজ তাঁরাই কাছাকাছি কোথাও যাওয়ার জন্যও বিমানের টিকিটের খোঁজ করেন। প্রথমেই তাঁরা বিমান যাত্রার বিষয়টি বিবেচনা করেন কারণ, দেশজুড়ে বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হচ্ছে। বিমান যাত্রার সুযোগ সকলেই পাচ্ছেন।

ভাই ও বোনেরা,

আমরা প্রায়শই শুনে থাকি, যে কোনও দেশের ‘সফট পাওয়ার’ পর্যটনের মাধ্যমে প্রসারিত হয়। এটা যেমন সত্যি, আবার এটাও সত্যি যে কোনও দেশ যখন শক্তিশালী হয়ে ওঠে তখন সারা পৃথিবী সেই দেশের সম্পর্কে জানতে চায়। সে দেশে কি কি দেখার জিনিস আছে এবং সেই দেশকে বোঝার জন্য সারা পৃথিবীর কৌতুহল সৃষ্টি হয়। আপনারা যদি ইতিহাসের দিকে তাকান তাহলে দেখতে পাবেন যে ভারত যখন সমৃদ্ধশালী একটি দেশ ছিল সেই সময় সারা পৃথিবীর মানুষের ভারত ভ্রমণের প্রতি একটা আগ্রহ ছিল। সারা পৃথিবীর পর্যটক, ব্যবসায়ী এবং ছাত্রছাত্রীরা এ দেশে আসতেন। কিন্তু তারপর দীর্ঘ একটা সময় আমরা দাসত্বের বন্ধনে শৃঙ্খলিত ছিলাম। কিন্তু, ভারতের চরিত্র, সংস্কৃতি এবং সভ্যতা একই ছিল। তবে, ভারতের ভাবমূর্তির পরিবর্তন ঘটে। যাঁরা ভারতে আসার জন্য আগ্রহী ছিলেন, পরবর্তীকালে তাঁরাই জানতেন না যে বিশ্ব মানচিত্রে ভারত কোথায় রয়েছে।

বন্ধুগণ,

এখন একবিংশ শতাব্দীর ভারত নতুন ভারত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। আজ আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের নতুন ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে। আজ সারা বিশ্ব ভারতকে জানতে চায়, বুঝতে চায়। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বিদেশিরা সারা বিশ্বের কাছে ভারতের গল্প ভাগ করে নেন। এইসব বিষয়গুলির কথা বিবেচনা করে এখন দেশের জন্য পর্যটন ব্যবস্থাপনাকে আরও সহজ করে তোলার প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ভাবনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে গত আট বছরে ভারতে সহজে ভ্রমণের জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা ভিসা প্রদানের পদ্ধতিটির সরলীকরণ করেছি। ‘ভিসা অন অ্যারাইভাল’ ব্যবস্থাপনার প্রসার ঘটানো হয়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অত্যাধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার জন্য আমরা উদ্যোগী হয়েছি। বিমান চলাচলের পাশাপাশি আমরা ডিজিটাল সংযোগ ব্যবস্থাপনা, মোবাইল যোগাযোগ এবং রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রেও বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। আজ বেশিরভাগ পর্যটন কেন্দ্র রেল পরিষেবার মাধ্যমে যুক্ত হয়েছে। ভারতীয় রেলে ‘তেজস’ এবং ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’-এর মতো অত্যাধুনিক রেল পরিষেবার সূচনা হয়েছে। ভিস্তাডোম কামরার মাধ্যমে পর্যটকরা ভ্রমণের নতুন স্বাদ পেয়ে থাকেন। ২০১৫ সালে দেশীয় পর্যটকের সংখ্যা ছিল ১৪ কোটি। গত বছর এই সংখ্যা বেড়ে ৭০ কোটিতে পৌঁছেছে, আর এখন করোনা পরবর্তী সময়ে দেশ-বিদেশে পর্যটকদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে টিকাকরণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সুযোগ গোয়া কাজে লাগাচ্ছে। আর তাই আমি প্রমোদজি এবং তাঁর টিমকে অভিনন্দন জানাই।

 

বন্ধুরা,

আমরা সবাই জানি যে পর্যটনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান এবং স্বনির্ভর হওয়ার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। পর্যটন থেকে প্রত্যেকে আয় করতে পারেন। গোয়ার মানুষ এ সম্পর্কে অবগত আছে। তাঁদের এ বিষয়ে আর বাড়তি ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তাই, ডবল ইঞ্জিন সরকার পর্যটনের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। এ কারণে এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা মানোন্নয়নে সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে গোয়ায় মহাসড়কের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। গোয়ার যানজট সমস্যার নিরসনে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোঙ্কন রেলওয়ের বৈদ্যুতিকীকরণের সুফল গোয়া পাচ্ছে।

বন্ধুগণ,

যোগাযোগ ব্যবস্থার এই উদ্যোগগুলির পাশাপাশি সরকার ঐতিহ্যশালী পর্যটনকে উৎসাহিত করছে। আমাদের ঐতিহ্যের নিদর্শনগুলিকে রক্ষণাবেক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি, ঐ অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো হচ্ছে। গোয়ার আগাউড়া জেল কমপ্লেক্স সংগ্রহালয়টির মানোন্নয়ন ঘটানো তারই এক উদাহরণ। ঐতিহ্যশালী স্থানগুলিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে আমরা এই জায়গাগুলিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছি। এখন তীর্থস্থানে এবং ঐতিহ্যমণ্ডিত স্থানে যাতায়াতের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বন্ধুগণ,

আজ আমি গোয়া সরকারকে আরও একটি বিষয়ের জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই। এই অঞ্চলের পরিকাঠামো গড়ে তোলার পাশাপাশি গোয়ার সরকার সামাজিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও সমান গুরুত্ব দিয়েছে। গোয়ায় সহজ জীবনযাত্রার উদ্দেশ্যে ‘স্বয়ংপূর্ণ গোয়া’ কর্মসূচি অত্যন্ত সফল। সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা থেকে কেউ বঞ্চিত হন না। এর জন্য বিভিন্ন প্রশংসনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আজ সকলের কাছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছনোর ক্ষেত্রে গোয়া একটি উদাহরণ হয়ে উঠেছে। আপনারা সকলে এই উন্নয়নমূলক উদ্যোগগুলি বজায় রাখবেন এবং মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করে তুলবেন সেই আশা রেখে আরও একবার এই সুন্দর বিমানবন্দরটির জন্য আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাই!

অনেক অনেক অভিনন্দন! ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।