Congratulates BRO and Indian Engineers for achieving the marvel feat of building the tunnel in the most difficult terrain of Pir Panjal ranges in Himachal
Tunnel would empower Himachal Pradesh, J&K Leh and Ladakh :PM
Farmers, Horticulturists, Youth, Tourists, Security Forces to benefit from the project: PM
Political Will needed to develop border area connectivity and implement infrastructure projects: PM
Speedier Economic Progress is directly dependent on fast track execution of various infrastructure works: PM

দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রদ্ধেয় রাজনাথ সিংজি, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী জয়রাম ঠাকুরজি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী, হিমাচলের সুপুত্র অনুরাগ ঠাকুর, হিমাচল সরকারের মন্ত্রীগণ, অন্যান্য জনপ্রতিনিধিগণ, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপীন রাওয়াতজি, চিফ অফ আর্মি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন-এর সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বন্ধুগণ এবং আমার প্রিয় হিমাচল প্রদেশের ভাই ও বোনেরা।

 

আজ একটি অত্যন্ত ঐতিহাসিক দিন। আজ শুধু শ্রদ্ধেয় অটলজির স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি, আজ হিমাচল প্রদেশের কোটি কোটি মানুষের কয়েক দশক পুরনো প্রতীক্ষারও অবসান হয়েছে।

 

আমার বড় সৌভাগ্য যে আজ আমি এই অটল সুড়ঙ্গপথের উদ্বোধন করার সুযোগ পেয়েছি, আর একটু আগেই রাজনাথজি যেমন বলেছেন, আমি এখানে দীর্ঘকাল সংগঠনের কাজ দেখতাম। এখানকার পাহাড়, এখানকার উপত্যকাগুলিতে আমি জীবনের অনেক উৎকৃষ্ট সময় কাটিয়েছি। আর যখন অটলজি মানালী এসে থাকতেন, তখন প্রায়ই আমি তাঁর কাছে গিয়ে বসতাম, তাঁর সঙ্গে আড্ডা মারতাম। আমি এবং ধুমলজি একদিন অটলজির সঙ্গে চা-পানের সময় অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে এই সুড়ঙ্গপথ নির্মাণের অনুরোধ রেখেছিলাম। আর, অটলজির যেমন বৈশিষ্ট্য ছিল, তিনি চোখ বড় বড় করে আমাদের দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে বুঝতে চেষ্টা করছিলেন যে আমরা কী বলতে চাই। তিনি মাথা নেড়ে বলে দিয়েছিলেন, হ্যাঁ ভাই! কিন্তু অবশেষে যে বিষয়টি নিয়ে আমি আর ধুমলজি তাঁকে বারবার মনে করাচ্ছিলাম, সেই পরামর্শ অটলজির স্বপ্নে পরিণত হয়। সেই স্বপ্ন থেকে তাঁর সঙ্কল্প গড়ে ওঠে। আর আজ আমরা সেই সঙ্কল্পকে আমাদের চোখের সেই স্বপ্নকে বাস্তব রূপ নিতে দেখছি। এই ঘটনাটি আমার জীবনে কত বড় আনন্দ এনে দিয়েছে, তা আপনারা কল্পনা করতে পারেন।

এখন এখানে কয়েক মিনিট আগে আমরা সবাই একটি চলচ্চিত্রও দেখলাম। আমি এটি আগে একটি টিচার গ্যালারিতেও দেখেছিলাম – 'দ্য মেকিং অফ অটল টানেল'। প্রায়ই দেখা গেছে যে উদ্বোধনের আলোর রোশনাইয়ে অনেক লোক পেছনে থেকে যান যাঁদের পরিশ্রমে এ সমস্ত কিছু সম্ভব হয়েছে। অভেদ্যপ্রায় পীর পাঞ্জালের কঠিন পাথর ভেদ করে একটি অত্যন্ত কঠিন সঙ্কল্পকে আজ বাস্তবায়িত করা হয়েছে। এই মহাযজ্ঞে যাঁরা নিজেদের ঘাম ঝরিয়েছেন, নিজেদের জীবন বিপন্ন করে পরিশ্রমের সঙ্গে যে জওয়ানরা, ইঞ্জিনিয়াররা এবং মজুর ভাই-বোনেরা এটিকে সম্পূর্ণ করেছেন, আজ আমি তাঁদের সবাইকে সমাদরে প্রণাম জানাই।

 

বন্ধুগণ,

 

অটল সুড়ঙ্গপথ হিমালয়ের একটি বড় অংশের সঙ্গে নব-গঠিত কেন্দ্রশাসিত প্রদেশ লেহ-লাদাখেরও লাইফলাইনে পরিণত হতে চলেছে। এখন প্রকৃত অর্থে হিমাচল প্রদেশের একটি বড় অঞ্চলের সঙ্গে লেহ-লাদাখও দেশের বাকি অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত হবে। উন্নয়নের পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে।

 

এই সুড়ঙ্গপথ দিয়ে মানালী এবং কেলোঙ্গ-এর মধ্যবর্তী দূরত্ব ৩ থেকে ৪ ঘন্টা কমে যাবে। আমার পাহাড়ি ভাই-বোনেরা জানেন যে পাহাড়ে ৩-৪ ঘন্টা দূরত্ব কম হওয়ার মানে কী!

বন্ধুগণ,

 

লেহ-লাদাখের কৃষক, বাগিচা শ্রমিক এবং যুব সম্প্রদায়ের জন্য এখন রাজধানী দিল্লি এবং অন্যান্য বাজারে পৌঁছনো আরও সহজ হয়ে যাবে। তাঁদের অনেক কম ঝুঁকি নিতে হবে। শুধু তাই নয়, এই সুড়ঙ্গপথ দেবভূমি হিমাচল এবং বুদ্ধ পরম্পরার সেই আকর্ষণ শক্তি যা ভারতের বাইরে গোটা বিশ্বকে নতুন পথ, নতুন আলো দেখাচ্ছে। সেজন্য হিমালয় ও লেহ-লাদাখের সমস্ত বন্ধুদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

 

বন্ধুগণ,

 

অটল সুড়ঙ্গপথ ভারতের সীমান্ত পরিকাঠামোকেও নতুন শক্তি প্রদান করবে। এটি আন্তর্জাতিক মানের সীমান্ত যোগাযোগ ব্যবস্থার জলজ্যান্ত প্রমাণ। হিমালয়ের এই অংশটি থেকে শুরু করে পশ্চিম ভারতের মরু অঞ্চল কিংবা দক্ষিণ ও পূর্ব ভারতের তটীয় এলাকায় দেশের প্রতিরক্ষা এবং সমৃদ্ধি উভয়ের জন্য এই যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক বড় সম্পদ। সর্বদাই এই অঞ্চলগুলির ভারসাম্য রক্ষা এবং সম্পূর্ণ বিকাশের জন্য এই অঞ্চলগুলির পরিকাঠামোকে আরও উন্নত করার দাবি ওঠে। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের দেশে সীমান্ত সংশ্লিষ্ট পরিকাঠামো প্রকল্প হয় পরিকল্পনা স্তর থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি, অথবা বেরিয়ে এলেও থেকে থেকেছে, ঝুলে থেকেছে, বিভ্রান্ত হয়েছে। অটল সুড়ঙ্গপথও অনেক সময় এরকম ঢিলেমির শিকার হয়েছে।

বন্ধুগণ,

 

২০০২ সালে অটলজি এই সুড়ঙ্গপথের জন্য অ্যাপ্রোচ রোডের শিলান্যাস করেছিলেন। অটলজি-র সরকার যাওয়ার পর এই কাজটিকে এক রকম ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি এমন ছিল যে ২০১৩-১৪ সাল পর্যন্ত এই সুড়ঙ্গপথের মাত্র ১,৩০০ মিটার অর্থাৎ, দেড় কিলোমিটারেরও কম কাজ সম্পন্ন হতে পেরেছিল।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, যে গতিতে অটল সুড়ঙ্গপথের কাজ সেই সময় হচ্ছিল, সেই গতিতেই যদি কাজ চলত তাহলে এই সুড়ঙ্গপথ হয়তো ২০৪০ সালে গিয়ে শেষ হত। আপনারা কল্পনা করুন, আপনাদের আজ যে বয়স তাতে ২০ বছর আরও জুড়ে নিন। তখন গিয়ে মানুষের জীবনে এই দিনটি আসত। তবে গিয়ে তাঁদের স্বপ্ন পূরণ হত।

 

যখন উন্নয়নের পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে হয়, যখন দেশের জনগণের উন্নয়নের প্রবল ইচ্ছা থাকে, তখন গতি বাড়াতেই হয়। অটল সুড়ঙ্গপথের কাজও ২০১৪ সালের পর অভূতপূর্ব দ্রুতগতিতে এগিয়ে গেছে। বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের সামনে আসা প্রতিটি সমস্যাই সমাধান করে দেওয়া হয়েছে।

 

ফলস্বরূপ, যেখানে আগে প্রতি বছর মাত্র ৩০০ মিটার করে সুড়ঙ্গপথ তৈরি হচ্ছিল, সেটির গতি বাড়ে, আর তারপর বছরে ১,৪০০ মিটার গতিতে এগিয়ে যায়। ফলে মাত্র ছয় বছরের মধ্যেই আমরা ২৬ বছরের কাজ সম্পূর্ণ করতে পেরেছি।

 

বন্ধুগণ,

 

পরিকাঠামোর এতগুলি গুরুত্বপূর্ণ এবং বড় প্রকল্প নির্মাণের ক্ষেত্রে বিলম্ব থেকে দেশ সমস্তভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। সেজন্য জনগণের নানা পরিষেবা পেতেও দেরি হচ্ছিল। এর জন্য দেশের সার্বিক আর্থিক ক্ষতি হচ্ছিল।

 

২০০৫ সালে এই অনুমান করা হয়েছিল যে, এই সুড়ঙ্গপথ ৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়ে যাবে। কিন্তু লাগাতার বিলম্বের ফলে আজ এর নির্মাণ ব্যয় তিনগুণ থেকেও বেশি, অর্থাৎ প্রায় ৩,২০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ করার পর সম্পূর্ণ হতে পেরেছে। কল্পনা করুন, যদি ২০ বছর আরও লাগত, তাহলে কী পরিস্থিতি হত, কত টাকা খরচ হত।

বন্ধুগণ,

 

যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে দেশের উন্নয়নের সরাসরি সম্পর্ক থাকে। যত দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে, তত দ্রুত উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন করা যাবে। বিশেষ করে, সীমান্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সরাসরি দেশের নিরাপত্তার প্রয়োজনগুলির সঙ্গে যুক্ত থাকে। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ ছিল, যেভাবে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা ছিল, যেভাবে রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন ছিল, দুর্ভাগ্যবশত তেমনটা দেখা যায়নি।

 

অটল সুড়ঙ্গপথের মতোই অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সঙ্গে এমনটাই আচরণ করা হয়েছে। লাদাখে দৌলত বেগ ওল্ডি নামক সামরিক দৃষ্টিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এয়ারস্ট্রিপটি ৪০-৫০ বছর ধরে বন্ধ ছিল। কী সমস্যা ছিল, কী চাপ ছিল, আমি সেগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে চাই না। এ সম্পর্কে অনেক কিছু বলা হয়েছে, অনেক কিছু লেখা হয়েছে। কিন্তু সত্য এটাই যে, দৌলত বেগ ওল্ডির এয়ারস্ট্রিপটি ভারতীয় বায়ুসেনার প্রবল ইচ্ছাশক্তির ফলেই আবার চালু হতে পেরেছে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি কোথাও পরিলক্ষিত হয়নি।

 

বন্ধুগণ,

 

আমি এরকম কয়েক ডজন প্রকল্পের নাম বলতে পারি যেগুলি সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে এবং পরিষেবার দৃষ্টিকোণ থেকে যত গুরুত্বপূর্ণই হোক না কেন, অনেক অনেক বছর ধরে সেগুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।

আমার মনে পড়ে, প্রায় দু'বছর আগে অটলজির জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে আমি আসামে ছিলাম। সেখানে ভারতের দীর্ঘতম রেল-রোড ব্রিজ 'বোগীবিল পুল' দেশকে সমর্পণ করার সুযোগ আমি পেয়েছিলাম। এই সেতু আজ উত্তর-পূর্ব ভারত এবং অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে যোগাযোগের অনেক বড় মাধ্যম। বোগীবিল সেতুর কাজও অটলজি-র সরকারের সময়েই শুরু হয়েছিল, কিন্তু তাঁর সরকার যাওয়ার পর এই সেতুর কাজও শ্লথ হয়ে যায়। ২০১৪ সালের পর এই কাজের গতি আবার বাড়ে এবং চার বছরের মধ্যে এই সেতুর কাজ সম্পূর্ণ করে দেওয়া হয়।

 

অটলজির সঙ্গে আরেকটি সেতুর নাম যুক্ত রয়েছে – সেটি হল কোশী মহাসেতু। বিহারের মিথিলা অঞ্চলের দুই অংশকে সংযোগকারী কোশী মহাসেতুর শিলান্যাসও অটলজি-ই করেছিলেন, কিন্তু এটার কাজও সমস্যাকীর্ণ ছিল, থেমে ছিল।

 

২০১৪ সালে আমরা সরকারে আসার পর কোশী মহাসেতুর কাজকে ত্বরান্বিত করি। আজ থেকে কয়েকদিন আগেই এই কোশী মহাসেতুরও উদ্বোধন করা হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

 

দেশের প্রায় প্রত্যেক অংশে যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত বড় বড় প্রকল্পের এরকমই অবস্থা ছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিত বদলেছে। আর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে আরও বদলাচ্ছে। বিগত ছয় বছরে এই লক্ষ্যে অভূতপূর্ব প্রচেষ্টা করা হয়েছে। বিশেষ রূপে সীমান্ত পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য সম্পূর্ণ শক্তিতে, সম্পূর্ণ উদ্যম নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

 

হিমাচল এলাকায়, জম্মু-কাশ্মীর এলাকায়, কার্গিল, লেহ, লাদাখ, উত্তরাখণ্ড, সিকিম, অরুণাচল প্রদেশ ইত্যাদি অঞ্চলে কয়েক ডজন প্রকল্প আমরা বাস্তবায়িত করেছি অথবা এই প্রকল্পগুলির কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। সড়ক নির্মাণের কাজ থেকে শুরু করে সেতু নির্মাণ, সুড়ঙ্গপথ নির্মাণ, এই ধরনের প্রকল্পের কাজ এত দ্রুতগতিতে দেশে আগে কখনও হয়নি।

 

এর দ্বারা লাভবান সাধারণ মানুষের পাশাপাশি, আমাদের ফৌজি ভাই-বোনেরাও উপকৃত হয়েছেন। শীতের সময় তাঁদের কাছে রসদ এবং বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া সহজ হয়েছে। আর তাঁরা যাতে সীমান্ত এলাকায় যথাযথভাবে প্যাট্রলিং করতে পারেন সেজন্য সীমান্ত এলাকায় অসংখ্য সড়কপথের জাল বিছানো হচ্ছে।

 

বন্ধুগণ,

 

দেশের প্রতিরক্ষার প্রয়োজনগুলি, দেশকে নিরাপদ রাখার জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রাখা, দেশের হিতকে আমাদের সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

 

আমার হিমাচল প্রদেশের ভাই-বোনেদের আজও মনে আছে যে 'এক পদ এক পেনশন' নিয়ে পূর্ববর্তী সরকার কী ব্যবহার করেছিল। চার দশক ধরে আমাদের ভূতপূর্ব সৈনিক ভাই-বোনেদের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি বাস্তবায়িত হয়নি। কাগজে-কলমে মাত্র ৫০০ কোটি টাকা দেখিয়ে ওঁরা বলেছিলেন, যে 'এক পদ এক পেনশন' চালু করবেন। কিন্তু তারপরও করেননি। আজ 'এক পদ এক পেনশন' দ্বারা দেশের লক্ষ লক্ষ ভূতপূর্ব সৈনিক উপকৃত হয়েছেন। কেবল এরিয়ার রূপে কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ভূতপূর্ব সৈনিকদের দিয়েছে।

 

হিমাচল প্রদেশেরও প্রায় ১ লক্ষ ভূতপূর্ব সৈনিক বন্ধু এর দ্বারা লাভবান হয়েছেন। আমাদের সরকারের সিদ্ধান্তগুলি সাক্ষী যে আমরা যে সিদ্ধান্ত নিই, সেগুলি বাস্তবায়িত করে দেখাই। দেশের স্বার্থ থেকে বড়, দেশের নিরাপত্তা থেকে বড় আমাদের জন্য আর কিছু নেই। কিন্তু দেশবাসী দীর্ঘকাল ধরে সেই আমল দেখেছেন, যখন দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপোস করা হয়েছে। দেশের বায়ুসেনা বারবার আধুনিক যুদ্ধবিমান চেয়েছে, কিন্তু তা নিয়ে ফাইল খুলে তাঁরা ফাইলের ওপর ফাইল চাপিয়ে গেছেন। ফাইলের ওপর ফাইল, কখনও ফাইল খুলতেন, কখনও ফাইল নিয়ে খেলতেন।

 

গোলা-বারুদ থেকে শুরু করে আধুনিক রাইফেল, বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, ভয়ানক শীতে ব্যবহারের উপযোগী বিভিন্ন সরঞ্জাম – এমন সমস্ত কিছুর জোগান তাঁরা মুলতুবি রেখেছিলেন। একটা সময় ছিল যখন আমাদের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিগুলির শক্তি বিশ্বের অনেকের ঘুম কেড়ে নিত। কিন্তু পরে দেশের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিগুলি চূড়ান্ত অবহেলার শিকার হয়।

 

দেশে স্বদেশী যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টারের জন্য এইচএএল-এর মতো বিশ্বমানের সংস্থা গড়ে উঠেছিল। কিন্তু সেগুলিকেও শক্তিশালী করার দিকে ততটা লক্ষ্য দেওয়া হয়নি। অনেক বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে এই মানুষদের স্বার্থ আমাদের সৈন্য ক্ষমতাকে শক্তিশালী হতে দেয়নি। তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

 

যে তেজস যুদ্ধবিমান নিয়ে আজ দেশবাসী গর্ব করেন, সেগুলিও এই মানুষেরা বাক্সবন্দী করে তৈরি করার কথা ভেবেছিল। এটাই এদের সত্যি। এটাই এদের সত্যি।

 

বন্ধুগণ,

 

কিন্তু আজ দেশে এই পরিস্থিতি পরিবর্তিত হচ্ছে। দেশের মধ্যেই যাতে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নির্মিত হয়, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া' অস্ত্রশস্ত্র তৈরি হয়, সেজন্য বড় মাত্রায় সংস্কার করা হয়েছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফের পদ এখন আমাদের ব্যবস্থার অঙ্গ হয়ে উঠেছে।

 

এর ফলে, দেশের সেনাবাহিনীগুলির প্রয়োজনীয়তা অনুসারে সরঞ্জাম কেনা এবং উৎপাদন – উভয় ক্ষেত্রে উন্নত সমন্বয় স্থাপিত হয়েছে। এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আমদানি করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই সরঞ্জামগুলি এখন শুধু ভারতীয় শিল্পপতিদের থেকে কেনা আবশ্যক করে দেওয়া হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

 

ভারতে প্রতিরক্ষা শিল্পোদ্যোগে বিদেশি বিনিয়োগ এবং বিদেশি প্রযুক্তি যাতে ঢুকতে পারে, সেজন্য এখন ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকে অনেক ধরনের উৎসাহ জোগানো হচ্ছে। যেমনভাবে ভারতের আন্তর্জাতিক ভূমিকা পরিবর্তিত হচ্ছে, আমরা ততটাই দ্রুতগতিতে সেই নিজেদের পরিকাঠামোকে, নিজেদের আর্থিক এবং সামরিক সামর্থ্যকে বাড়িয়ে নিয়ে চলেছি।

 

আত্মনির্ভার ভারতের আত্মবিশ্বাস আজ জনমানসের ভাবনার অংশ হয়ে উঠেছে। অটল সুড়ঙ্গপথ এই আত্মবিশ্বাসেরই প্রতীক।

 

আরেকবার আপনাদের সবাইকে, হিমাচল প্রদেশকে এবং লেহ-লাদাখের লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।

 

হিমাচলের ওপর আমার কতটা অধিকার আছে, এটা তো আমি বলতে পারব না, কিন্তু আমার ওপর হিমাচলের অনেক অধিকার আছে। আজকের এই কর্মসূচির সময় অনেক কম হওয়া সত্ত্বেও আমাদের হিমাচলের ভালোবাসা আমার ওপর এতটাই চাপ সৃষ্টি করেছে, তিনটি আলাদা কর্মসূচিতে বিভাজিত হয়ে গেছে। এরপর আমাকে আরও দুটো কর্মসূচিতে অত্যন্ত কম সময়ের জন্য বলতে হবে। আর সেজন্য এখানে বিস্তারিতভাবে কিছু না বলে কিছু কথা অন্য দুটি অনুষ্ঠানেও বলব।

 

কিন্তু আমি এখানে কিছু পরামর্শ অবশ্যই দিতে চাইব। আমার এই পরামর্শ ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জন্যে, ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রকের জন্যেও এবং বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের জন্যেও। বিশেষভাবে – এই সুড়ঙ্গপথের কাজ ইঞ্জিনিয়ারিং দৃষ্টি থেকে, কর্মসংস্কৃতির দিক থেকে একটি অনন্য উদাহরণ। বিগত বছরগুলিতে যখন থেকে এর ডিজাইনিং-এর কাজ শুরু হয়েছে, কাগজে লেখা শুরু হয়েছে, তখন থেকে এখন পর্যন্ত যে ১,০০০-১,৫০০ জন কর্মী; তা তিনি একজন মজুরই হোন, কিংবা উচ্চপদে আসীন কোন ব্যক্তি হোন, তাঁরা এই প্রকল্পে যে কাজ করেছেন, সেই কাজের অভিজ্ঞতা যেন তাঁরা নিজেদের ভাষায় লেখেন। এই ১,৫০০ জন মানুষ যদি চেষ্টা করে লেখেন, কখন কী হয়েছিল, কিভাবে হয়েছিল, তাহলে এর একটি সুন্দর নথিকরণ হবে যাতে মানুষের মনের স্পর্শ থাকবে। যখন তৈরি হচ্ছিল, তখন তাঁরা কী ভাবছিলেন, কী কী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, কেমন লেগেছে! একটি ভালো নথিকরণ, আমি বিদ্যায়তনিক নথিকরণের কথা বলছি না, আমি সেই নথিকরণের কথা বলছি যেখানে মানবমনের স্পর্শ থাকবে যাতে কর্মরত শ্রমিকদের কথা থাকবে। কোনদিন তাঁরা সময়মতো খাবার পাননি, তবুও কিভাবে কাজ করেছেন সেকথারও অত্যন্ত গুরুত্ব রয়েছে। কখনও কোন সরঞ্জাম পৌঁছনোর কথা ছিল, কিন্তু প্রবল তুষারপাতের ফলে পৌঁছতে পারেনি, সেক্ষেত্রে তাঁরা কিভাবে কাজ এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

 

কখনও কোন ইঞ্জিনিয়ার চ্যালেঞ্জ রেখে দিয়েছেন। তাঁরা কিভাবে সেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। আমি চাই, নিদেনপক্ষে ১,৫০০ জন মানুষ, প্রত্যেক স্তরে কাজ করা মানুষ, পাঁচ পৃষ্ঠা, ছয় পৃষ্ঠা, দশ পৃষ্ঠা তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা লিখুন। কোনও এক ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিন যিনি ঠিকঠাক সম্পাদনা করে ভাষা ঠিক করে দেবেন এবং নথিকরণ সম্পন্ন করবেন। তারপর সেটিকে ছাপানোর প্রয়োজন নেই। ডিজিটাল করে দেবেন। তাহলেও চলবে।

 

আমার দ্বিতীয় অনুরোধ শিক্ষা মন্ত্রককে। আমাদের দেশে যত প্রযুক্তিগত এবং কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, সেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ছেলে-মেয়েদের এই ধরনের চ্যালেঞ্জিং কাজকে কেস স্টাডি হিসেবে দিন, আর প্রতি বছর এক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮-১০ জন ছেলে-মেয়ের ব্যাচকে এখানে পাঠান। তাঁরা সরেজমিনে দেখে কেস স্টাডি করবে, কিভাবে কল্পনা করা হয়েছে, কিভাবে গড়ে উঠেছে, কিভাবে নতুন নতুন সমস্যা এসেছে, কিভাবে সমাধানের পথ বেড়িয়েছে! এভাবে বিশ্বের সর্বোচ্চ এবং অন্যতম দীর্ঘতম কারিগরি নিদর্শন হয়ে ওঠা এই সুড়ঙ্গপথের কারিগরি-বিদ্যা আমাদের দেশের ছাত্রছাত্রীরা জানতে পারবে।

 

শুধু তাই নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও চাইব বিদেশ মন্ত্রক কিছু বিশ্ববিদ্যালয়কে আমন্ত্রণ জানাক যাতে সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রছাত্রী এখানে এই প্রকল্পগুলি নিয়ে কেস স্টাডি করতে আসে। তাঁরা ফিরে গিয়ে আমাদের শক্তি সম্পর্কে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরবে। বিশ্ববাসী আমাদের শক্তি সম্পর্কে পরিচিত হবে। সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এই অদ্ভূত কাজ আমাদের বর্তমান প্রজন্মের সৈনিক এবং শ্রমিকরা করতে পারেন, সে বিষয়ে সারা বিশ্বের জানা উচিৎ।

 

আর সেজন্য আমি চাইব যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, শিক্ষা মন্ত্রক, বিদেশ মন্ত্রক, বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন – সবাই মিলে একভাবে লাগাতার এটিকে, এই সুড়ঙ্গপথ নির্মাণের কাজটিকে শিক্ষার বিষয় করে তুলুন। আমাদের একটি সম্পূর্ণ নতুন প্রজন্ম তৈরি হয়ে গেলে এই সুড়ঙ্গ পরিকাঠামো নতুন নতুন মানুষ গড়ে তোলার পথেও একটি বড় ভূমিকা পালন করবে। আমাদের উন্নতমানের কারিগরি-বিদ্যার নিদর্শন এই সুড়ঙ্গপথ। আমরা অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রেও এরকম সঙ্কল্প নিয়ে এগিয়ে যাব।

 

আমি আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই। আর আমি সেই জওয়ানদের অভিনন্দন জানাই যাঁরা এই কাজ দক্ষতার সঙ্গে পালন করেছেন, অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এবং দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন।

 

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।