Launches E-Portals of e-Commerce website for Cooperative Marketing and
Cooperative Extension and Advisory Services Portal
“Spirit of cooperation sends the message of Sabka Prayas”
“Ensuring affordable fertilizer shows what a guarantee looks like and what massive efforts are needed to change the lives of the farmers”
“Sarkar and Sahkaar (Government and cooperative) will together provide double strength to the dream of the Viksit Bharat”
“It is imperative that the cooperative sector becomes a model of transparency and corruption-free governance”
“FPOs are going to give great power to small farmers. These are means of making small farmers a big force in the market”
“Today chemical free natural farming is a key priority of the government”

মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী অমিত শাহ, ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ ইউনিয়নের সভাপতি শ্রী দিলীপ সাংঘানি, ডঃ চন্দ্রপাল সিং যাদব, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সমবায় ইউনিয়নের সকল সদস্যবৃন্দ, আমার কৃষক ভাই ও বোনেরা, অন্যান্য অতিথি-অভ্যাগত, ভদ্রমহোদয়া ও ভদ্রমহোদয়গণ! সপ্তদশ ভারতীয় সমবায় কংগ্রেসে আপনাদের সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আপনাদের প্রত্যেককে স্বাগত!

বন্ধুগণ,

আজ আমাদের দেশ উন্নত ও আত্মনির্ভর ভারত গড়ার জন্য কাজ করে চলেছে। লালকেল্লার প্রাকার থেকে আমি ঘোষণা করেছিলাম, আমাদের প্রত্যেকটি সাফল্য অর্জনে সকলের প্রয়াস জরুরি এবং সমবায় মনোভাবও সকলের উদ্যোগের মধ্যে থাকতে হবে। আজ আমরা বিশ্বে দুগ্ধ উৎপাদনে প্রথম, এর জন্য ডেয়ারি সমবায় সমিতিগুলির অবদানকে ধন্যবাদ জানাই। বিশ্বে চিনি উৎপাদনে ভারত প্রথম। এর জন্যও আমাদের সমবায় সমিতিগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশের বৃহৎ অংশে ক্ষুদ্র চাষীদের জন্য সমবায় সবথেকে বড় সহায়ক হিসেবে উঠে এসেছে। আজ আমাদের মা ও বোনেদের অংশগ্রহণ দোহ অর্থাৎ, ডেয়ারি সমবায় শিল্পে ৬০ শতাংশ। তাই, উন্নত ভারতের লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে আমাদের সমবায়  ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে হবে। এইমাত্র অমিতভাই বিস্তারিতভাবে জানালেন যে কিভাবে আমরা সমবায়ের জন্য পৃথক একটি মন্ত্রক গঠন করেছি। এর জন্য আলাদা বাজেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আজ সমবায়কেও একই ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। সমবায় সমিতিগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য করের হার কমানো হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সমবায় সমিতিগুলির বিভিন্ন বকেয়া দাবি দ্রুত হারে মেটানো হচ্ছে। আমাদের সরকার সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে শক্তিশালী করছে। সমবায় ব্যাঙ্কের জন্য বিভিন্ন নিয়মকানুন সহজ করা হয়েছে। এর ফলে তারা নতুন নতুন শাখা খুলতে পারবেন এবং মানুষের দুয়ারে ব্যাঙ্কিং পরিষেবাকে পৌঁছে দিতে পারবে।

বন্ধুগণ,

আমাদের বিপুল সংখ্যক কৃষক ভাই ও বোনেরা এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত। গত ৯ বছর ধরে বিভিন্ন নীতির পরিবর্তন ঘটানোর জন্য নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যা আপনারা উপলব্ধি করেছেন। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ২০১৪ সালের আগে কৃষকরা কি কি দাবি করতেন। তাঁরা বলতেন, সরকারের কাছ থেকে খুব কমই সহায়তা পেয়ে থাকেন। যেটুকু সাহায্য আসত তাও মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে চলে যেত। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুযোগ থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষীরা বঞ্চিত হতেন। গত ৯ বছরে এই পরিস্থিতির সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে। আজ ‘পিএম কিষাণ নিধি’র মাধ্যমে কোটি কোটি ক্ষুদ্র কৃষক উপকৃত হচ্ছেন। এক্ষেত্রে কোনও মধ্যস্বত্বভোগীর সাহায্য নিতে হচ্ছে না। গত চার বছরে এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ২ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। এখানে আপনারা সকলে সমবায় আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমি আশা করব আপনারা এই পরিসংখ্যানগুলি ভালো করে বিবেচনা করবেন। আমি যদি অন্য একটি প্রসঙ্গ উত্থাপন করি তাহলে আপনারা বুঝবেন এই টাকার পরিমাণ কতটা বেশি। ২০১৪ সালের আগে পাঁচ বছরের কৃষি বাজেট যোগ করলে পরিমাণ দাঁড়াবে ৯০ হাজার কোটি টাকার কম। অর্থাৎ, ‘পিএম কিষাণ সম্মান নিধি’ প্রকল্পে আমরা যে অর্থ ব্যয় করেছি তার এক-তৃতীয়াংশ। এই একটি প্রকল্পেই এত অর্থ ব্যয় হয়েছে। 

বন্ধুগণ,

পৃথিবী জুড়ে সার এবং রাসায়নিক পদার্থের দাম বাড়ছে। কিন্তু তা যাতে কৃষকদের বোঝা না হয়ে দাঁড়ায় মোদী তা নিশ্চিত করছেন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আপনাদের এটি নিশ্চিত করেছে। আজ এক ব্যাগ ইউরিয়া কিনতে কৃষককে ২৭০ টাকার কম দিতে হয়। বাংলাদেশের কৃষকরা এই সার ৭২০ টাকায়, পাকিস্তানে ৮০০ টাকায় এবং চিনে ২,১০০ টাকায় কিনে থাকেন। ভাই ও বোনেরা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশে কৃষকরা এই পরিমাণ ইউরিয়া কিনতে ৩,০০০ টাকা ব্যয় করেন। আমার মনে হয়  যে বিষয়টি আমি উত্থাপন করেছি তা আপনারা বুঝতে পেরেছেন। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তফাতটা বুঝুন। এর মধ্য দিয়ে একজন কৃষকের জীবন কি কি পরিবর্তন আসে তা বোঝা যায়। আমি শুধুমাত্র সারে ভর্তুকি দেওয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করলাম। আমরা যদি গত ৯ বছরের দিকে তাকাই তাহলে দেখব, বিজেপি সরকার ভর্তুকি বাবদ খরচ করেছে ১০ লক্ষ কোটি টাকা। এর চাইতে বেশি নিশ্চয়তা আর কি হতে পারে? 

বন্ধুগণ,

শুরু থেকেই কৃষকরা যাতে তাঁদের ফসলের যথাযথ দাম পান তা নিশ্চিত করতে আমাদের সরকার সচেষ্ট। গত ৯ বছরে কৃষকরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির ফলে ১৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি পেয়েছেন। অর্থাৎ, আপনারা যদি হিসেব কষেন তাহলে দেখবেন, প্রতি বছর কৃষকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ৬ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করছে। সরকার প্রত্যেক কৃষককে কোনও না কোনভাবে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করছে। অর্থাৎ, বিজেপি সরকারের আমলে কৃষকরা নানাভাবে প্রতি বছর ৫০ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। এটিই হল মোদীর গ্যারান্টি। আমরা কি কি করেছি সে বিষয়ে আপনাদেরকে জানালাম। এগুলি কিন্তু কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া নয়। 

বন্ধুগণ,

কৃষকবান্ধব উদ্যোগের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দিনকয়েক আগে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের জন্য ৩ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তার থেকেও বড় কথা, আখ চাষীদের জন্য নতুন সহায়ক মূল্য কুইন্টালপিছু ৩১৫ টাকা করা হয়েছে। ৫ কোটির বেশি আখ চাষী এবং চিনিকলে কর্মরত লক্ষ লক্ষ কর্মী এর প্রত্যক্ষ সুফল পাবেন।

বন্ধুগণ,

অমৃতকালে দেশের গ্রামগুলির এবং কৃষকদের সম্ভাবনাকে বৃদ্ধি করতে সমবায় ক্ষেত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। একটি উন্নত, স্বনির্ভর ভারত গড়ে তোলার যে সঙ্কল্প আমরা করেছি, সরকার এবং সমবায় দ্বিগুণ শক্তিতে সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারে। ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মাধ্যমে সরকার স্বচ্ছভাবে কাজ করছে এবং প্রত্যেক সুবিধাভোগীর কাছে সরাসরি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আজ দেশের দরিদ্রতম মানুষটিও বিশ্বাস করেন যে প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণ বিলুপ্ত হয়েছে। এখন সমবায় ক্ষেত্রকে এত বেশি উৎসাহিত করা হচ্ছে যার ফলে সাধারণ মানুষ, কৃষক, পশুপালকরা এই বিষয়গুলি তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে অনুভব করতে পারছেন। সমবায় ব্যবস্থাপনা স্বচ্ছ এবং দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের বিষয়টি নিশ্চিত করে। সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করার ক্ষেত্রে সমবায় ব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল ব্যবস্থাকে সমবায় আন্দোলনে যত  বেশি সম্ভব যুক্ত করতে হবে। নগদ লেনদেনের ওপর নির্ভরশীলতা আমাদের কমাতে হবে। এক্ষেত্রে সমবায় ব্যবস্থাপনাকে এগিয়ে আসতে হবে। আপনাদের জন্য আলাদা একটি মন্ত্রক গঠন করে আমরা গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ করেছি আর এখন আপনাদেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে। সেটি হল, সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য ডিজিটাল এবং নগদবিহীন একটি ব্যবস্থাপনা তৈরি করা। আমরা সকলে মিলে যদি এই কাজে ব্রতী হই, তাহলে খুব দ্রুত সাফল্য অর্জন করব। আজ সারা বিশ্বে ভারত ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশেষ পরিচিতি লাভ করেছে। এই অবস্থায় সমবায় সমিতি এবং সমবায় ব্যাঙ্কগুলি নেতৃত্ব দিতে পারে। এর ফলে স্বচ্ছতা এবং বাজারে আপনাদের দক্ষতার মাধ্যমে আরও ভালো প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ গড়ে উঠবে।

বন্ধুগণ,

প্রাথমিক স্তরে সমবায় সমিতি অর্থাৎ, পিএসিএস এখন স্বচ্ছতার একটি আদর্শ ব্যবস্থাপনা হয়ে উঠতে পারে। আমাকে বলা হয়েছে, ৬০ হাজারের বেশি পিএসসিএস-এ কম্পিউটার বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এর জন্য আপনাদেরকে অভিনন্দন জানাই। কিন্তু একইসঙ্গে সমবায় ক্ষেত্রের কাজে উন্নতি আনাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আরও বেশি প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে হবে। যখন সমবায় সমিতিগুলির প্রত্যেকটি স্তরে যেমন কোর ব্যাঙ্কিং-এর মতো ব্যবস্থাপনাকে কাজে লাগাতে হবে, সেভাবে সমিতির সদস্যদের সম্পূর্ণ লেনদেন অনলাইনে করতে হবে। এর ফলে দেশ সবথেকে বেশি উপকৃত হবে। 

বন্ধুগণ,

আজকে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন রপ্তানি বাণিজ্যে আমরা নতুন রেকর্ড করেছি। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচি বিশ্বজুড়ে আলোচিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে আরও গতি আনার জন্য সমবায় ব্যবস্থাপনা যাতে যুক্ত হয় সরকার তা নিশ্চিত করছে। আর তাই, উৎপাদন শিল্পে সমবায় সমিতিগুলিকে যুক্ত হতে আমরা উৎসাহ যোগাচ্ছি। তাদের জন্য কর ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। করের পরিমাণ যথেষ্ট কমানো হয়েছে। রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সমবায় সমিতিগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। দোহ অর্থাৎ, ডেয়ারি শিল্পে আমাদের সমবায় সমিতিগুলি প্রশংসনীয় কাজ করেছে। আজ দুধের পাউডার, মাখন এবং ঘি প্রচুর পরিমাণে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। খুব সম্ভবত এখন মধু উৎপাদনেও তারা যুক্ত হয়েছেন। আসলে আমাদের গ্রামের মানুষের ক্ষমতার কোনও খামতি নেই। আমাদের শুধু দৃঢ়সঙ্কল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আজ  ভারতের দানাশস্য অর্থাৎ, মিলেট যাকে ‘শ্রী অন্ন’বলে অভিহিত করা হচ্ছে সে বিষয়ে সারা বিশ্বে যথেষ্ট আলোচনা চলছে। আন্তর্জাতিক স্তরে নতুন এক বাজার গড়ে উঠছে। সম্প্রতি আমি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেছি। মার্কিন রাষ্ট্রপতি তাঁর ভোজসভায় শ্রী অন্ন দিয়ে তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী পরিবেশন করেছেন। ভারত সরকারের উদ্যোগে এ বছরকে ‘আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ’ পালন করা হচ্ছে। দেশের খাদ্যশস্যকে আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছে দিতে আমাদের সমবায়ের সঙ্গে যুক্ত বন্ধুরা কি উদ্যোগী হতে পারেন না? এর ফলে ক্ষুদ্র কৃষকদেরও আয় বাড়বে। পুষ্টিকর খাদ্যের নতুন এক ঐতিহ্য গড়ে উঠবে। সরকারের প্রয়াসকে সাহায্য করতে আপনাদেরও এই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। 
 
বন্ধুগণ,

গত কয়েক বছর ধরে আমরা দেখছি, ইচ্ছা যদি থাকে তাহলে যত বড় সমস্যারই সম্মুখীন আমরা হই না কেন, তার সমাধান করতে পারব। আখ চাষীদের সমবায়ের কথা বলি। একটা সময় ছিল যখন আখ চাষীরা খুব কম পয়সা আয় করতেন এবং দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা পয়সাও পেতেন না। আখের উৎপাদন বৃদ্ধি করলে কৃষকরা সমস্যায় পড়তেন। আবার, চিনির উৎপাদন কমলে কৃষকরা সমস্যার সম্মুখীন হতেন। এই পরিস্থিতিতে আখ চাষীদের সমবায় ব্যবস্থাপনার প্রতি আস্থা কমে যাচ্ছিল। আমরা এই সমস্যার একটি চিরস্থায়ী সমাধান করেছি। আখ চাষীদের সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার জন্য চিনিকলগুলিকে আমরা ২০ হাজার কোটি টাকার একটি প্যাকেজ দিয়েছি। আখ থেকে ইথানল উৎপাদন করে সেই ইথানলকে পেট্রোলে মেশানোর জন্য আমরা নতুনভাবে উদ্যোগী হয়েছি। একবার ভেবে দেখুন, গত ৯ বছরে চিনিকলগুলি থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকার ইথানল কেনা হয়েছে। এর ফলে চিনিকলগুলি আখ চাষীদের সঠিক সময়ে দাম মেটাতে পেরেছে। এর আগে আমাদের সরকার দামী চিনির ওপর ধার্য কর প্রত্যাহার করেছিল। ফলে, কর সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের এক জটিলতার সমাধান আমরা করেছি। এ বছরের বাজেটে চিনিকলগুলির সমবায় সমিতির জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার একটি বিশেষ সহায়তার প্যাকেজ বরাদ্দ করা হয়েছে। এর ফলে চিনিকলগুলি তাদের পুরনো বকেয়া মেটাতে পারবে। এই পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে চিনি শিল্পে চিরস্থায়ী পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে। ফলস্বরূপ, সমবায় ব্যবস্থাপনাকেও শক্তিশালী করা হয়েছে। 

বন্ধুগণ,

একদিকে আমরা যেমন রপ্তানি বাণিজ্য বাড়াচ্ছি, অন্যদিকে আমদানির ওপর নির্ভরতাও কমাচ্ছি। প্রায়শই একটি কথা বলা হয় যে ভারত নাকি খাদ্যশস্যে স্বনির্ভর। কিন্তু প্রকৃত চিত্র কি? গম, ধান এবং চিনিতে স্বনির্ভর হয়ে ওঠাই তো যথেষ্ট নয়। আমরা যখন খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করছি, তখন সেটি শুধুমাত্র ধান আর গমের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। এই প্রসঙ্গে আমি কয়েকটি বিষয় আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। আমার কৃষক ভাই ও বোনেরা, আমাদের এবার সচেতন হতে হবে। আপনারা শুনে আশ্চর্য হবেন যে প্রতি বছর আমরা ২-২.৫ লক্ষ কোটি টাকার ভোজ্যতেল, ডালশস্য, মাছের জন্য খাবার অথবা অন্যান্য তৈরি খাদ্য আমদানির জন্য ব্যয় করে থাকি। এই টাকাগুলি বিদেশে চলে যাচ্ছে। ভারতের মতো কৃষি নির্ভর দেশের জন্য এটি কি সঠিক বিষয়? আজ আমার সামনে সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সম্ভাবনাময় নেতৃবৃন্দ বসে আছেন। সঙ্গত কারণেই আমি আশা করতে পারি আমরা সকলে মিলে একটি বিপ্লব ঘটাব। এই টাকাগুলি আমাদের দেশের কৃষকদের পকেটে কি যাওয়া উচিত নয়? নাকি এই টাকা বিদেশে চলে যাবে?

বন্ধুগণ,

আমাদের যে যথেষ্ট তেলসম্পদ নেই তা আমরা বুঝি। তার জন্য আমাদের বিদেশ থেকে পেট্রোল এবং ডিজেল আমদানি করতে হয়। এটি আমাদের বাধ্যবাধকতা। কিন্তু ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে তো আমরা স্বনির্ভর হতে পারি। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, ‘মিশন পাম অয়েল’-এর মতো বিভিন্ন প্রকল্প শুরু হয়েছে। সরকার এগুলিকে বিশেষ উৎসাহ দিচ্ছে যাতে পামোলিন চাষ দেশে হয় এবং পামোলিন তেল আমরা উৎপাদন করতে পারি। একইসঙ্গে তৈলবীজ উৎপাদনেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। দেশের সমবায় সংস্থাগুলি যদি এই উদ্যোগে যুক্ত হয় তাহলে ভোজ্যতেল উৎপাদনে খুব শীঘ্রই আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারব। বীজ বোনা, কৃষিকাজে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং খাদ্যশস্য সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

বন্ধুগণ,

কেন্দ্রীয় সরকার মৎস্যচাষের জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সূচনা করেছে। বর্তমানে ‘পিএম মৎস্য সম্পদ যোজনা’য় মাছ চাষে যথেষ্ট উন্নতি নজরে আসছে। দেশজুড়ে নদী ও ছোট পুকুর থেকে গ্রামের মানুষ ও মৎস্যজীবীরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে অতিরিক্ত আয় করতে পারছেন। এই প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় স্তরে মীন চাষ করা হচ্ছে। বর্তমানে মৎস্যচাষের সঙ্গে ২৫ হাজার সমবায় সমিতি যুক্ত। ফলস্বরূপ, শুটকি মাছ, মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ, মৎস্য মজুত, মাছকে টিনজাত করা এবং মৎস্য সম্পদ পরিবহণে সংগঠিতভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ নজরে আসছে। এর ফলে মৎস্যজীবীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হচ্ছে। পাশাপাশি, নতুন নতুন কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হচ্ছে। গত ৯ বছরে দেশের অভ্যন্তরে মৎস্যচাষের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে আমরা সমবায়ের জন্য পৃথক একটি মন্ত্রক গঠন করায় নতুন এক শক্তির আবির্ভাব হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে পৃথক একটি মৎস্যপালন মন্ত্রকের দাবি উঠেছে। আমরা তা বাস্তবায়িত করেছি। আমরা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের জন্য পৃথক বাজেট বরাদ্দ করেছি যার সুফল নজরে আসছে। এক্ষেত্রে সমবায় আন্দোলন কতটা সাহায্য করতে পারে সেটি আপনাদের দেখতে হবে। এইটুকু আশা আমি আপনাদের কাছ থেকে করতেই পারি। সমবায় ব্যবস্থাপনা প্রথাগত ব্যবস্থাপনার থেকে কিছুটা আলাদা হবে। বর্তমানে মৎস্যচাষে পিএসিএস-এর ভূমিকা ক্রমশ বাড়ছে। দেশজুড়ে ২ লক্ষ বহুমুখী সমিতি গড়ে তোলার জন্য আমরা কাজ করছি। অমিতভাই যেমনটি বললেন, আমরা যদি সমস্ত পঞ্চায়েতের কথা বিবেচনা করি তাহলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে বাধ্য। যেসব গ্রামে সমবায় ব্যবস্থাপনা ছিল না সমবায় আন্দোলনকে সেখানে পৌঁছে দিতে হবে।
 
বন্ধুগণ,

গত কয়েক বছরে আমরা কৃষিপণ্য উৎপাদন সংগঠন গড়ে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। দেশজুড়ে ১০ হাজার এ ধরনের সংগঠন গড়ে তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ৫ হাজার সংগঠন তৈরি হয়েছে। এই সংগঠনগুলি ক্ষুদ্র চাষীদের বিশেষভাবে সহায়ক হচ্ছে। অর্থাৎ, ক্ষুদ্র চাষীরা বাজারে বৃহৎ শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন। এই কর্মসূচির মাধ্যমে বীজ থেকে ফসল বাজারজাত করা পর্যন্ত সমস্ত ব্যবস্থাতেই ক্ষুদ্র চাষীরা উপকৃত হবেন। সরকার পিএসিএস-এর মাধ্যমে এইসব সংগঠনগুলি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ, সমবায় ক্ষেত্রের বহু সম্ভাবনা রয়েছে। 

বন্ধুগণ,

কৃষকদের আয় বৃদ্ধির বিকল্প উৎসের জন্য সমবায় ব্যবস্থাপনা সরকারি প্রয়াসকে বিশেষভাবে সাহায্য করতে পারে। মধু উৎপাদন, জৈব পদ্ধতিতে কৃষিকাজ, কৃষি জমিতে সোলার প্যানেল বসিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বা মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা – প্রতিটি ক্ষেত্রে সমবায় সংস্থাগুলির সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। 

বন্ধুগণ,

বর্তমানে সরকার কৃষিকাজে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার না করতে উদ্যোগী হয়েছে। এর জন্য প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। আমি দিল্লির সেই মেয়েগুলিকে অভিনন্দন জানাই যাঁরা আমাদের এই বিষয়ে ভাবতে সাহায্য করেছেন। বসুন্ধরা মাতা কাঁদছেন। তিনি বলছেন, “আমাকে হত্যা করো না”। দিল্লির মেয়েরা নাটকের মাধ্যমে আমাদের সামনে খুব সুন্দরভাবে এই বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন। প্রত্যেকটি সমবায় সমিতি যদি এ ধরনের একটি দল তৈরি করে যে দল গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলবে, তাহলে কাজটি আরও সহজ হবে। সম্প্রতি ‘পিএম প্রণাম’ নামে একটি প্রকল্পে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা যাতে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার না করে আরও বেশি করে কৃষিকাজ করেন সেটি নিশ্চিত করাই এই প্রকল্পের কাজ। এর মাধ্যমে জৈব সার বা বিকল্প সার উৎপাদনে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে মাটি নিরাপদ থাকবে এবং কৃষিকাজে কম অর্থ ব্যয় হবে। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রটিতেও সমবায় সমিতিগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমি সমস্ত সমবায় সমিতিগুলিকে এই উদ্যোগে সামিল হতে আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা আপনাদের জেলায় পাঁচটি গ্রামকে বাছাই করে সেখানে রাসায়নিক সারমুক্ত ১০০ শতাংশ কৃষিকাজে উৎসাহ দিতে পারেন। এইভাবে সমস্ত জেলার মধ্যে সচেতনতা গড়ে উঠবে এবং মানুষের উদ্যোগ বৃদ্ধি পাবে।

বন্ধুগণ,

রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার না করে কৃষিকাজে উৎসাহিত করা এবং তার ফলে কৃষকদের আয় বাড়ানোর জন্য আরও একটি প্রকল্প রয়েছে। এর নাম ‘গোবর্ধন যোজনা’। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশজুড়ে আবর্জনা থেকে সম্পদ তৈরি করা হবে। গোবর এবং আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও জৈব সার তৈরি করা হবে। এ ধরনের কারখানা গড়ে তোলার জন্য সরকার বৃহৎ একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে। দেশজুড়ে ৫০টি জৈব গ্যাসের কারখানা গড়ে তুলতে বড় বড় সংস্থা আসছে। গোবর্ধন প্ল্যান্টে সমবায় সমিতিগুলিও যুক্ত হতে পারে। পশুপালকরা এর থেকে যেমন উপকৃত হবেন পাশাপাশি, রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো বেওয়ারিশ জীবজন্তুকেও কাজে লাগানো যাবে।

বন্ধুগণ,

আপনারা সবাই দোহ শিল্পে এবং পশুপালন শিল্পে যথেষ্ট কাজ করেছেন। সমবায় আন্দোলনে বহু সংখ্যক পশুপালক যুক্ত। আপনারা জানেন, গৃহপালিত পশুর বিভিন্ন অসুখের ফলে কৃষকরা সমস্যায় পড়েন। ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ আমাদের গৃহপালিত পশুগুলির পক্ষে যথেষ্ট সমস্যার কারণ হয়। প্রতি বছর পশুপালকরা এই অসুখের জন্য কোটি কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হন। এই প্রথম কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে বিনামূল্যে টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা করেছে। বিনামূল্যে কোভিডের টিকাকরণের কথা আমাদের সকলেরই মনে আছে। গৃহপালিত পশুর জন্য বিনামূল্যে টিকাও এরকমই আরও একটি উদ্যোগ। এর আওতায় ২৪ কোটি পশুর টিকাকরণ হয়েছে কিন্তু আমরা এখনও ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ-এর সমস্যা থেকে মুক্ত হতে পারিনি। টিকাকরণ কর্মসূচি এবং যেসব পশুকে টিকা দেওয়া হয়নি তাদের শনাক্ত করতে সমবায় সমিতিগুলিও সহায়ক হতে পারে। আমাদের মনে রাখতে হবে, পশুপালকরা দোহ শিল্পের বড় অংশীদার। বন্ধুরা, আপনারা আমার উপস্থাপিত বিষয়টি নিয়ে ভাবুন। আমাদের পশুপালক বন্ধুরাও কিন্তু এই শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আর তাই তাঁদের সমস্যা নিয়ে চিন্তা করা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। 

বন্ধুগণ,

সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে সফল করে তুলতে সমবায় সমিতিগুলির ক্ষমতার বিষয়ে আমার কোনও সন্দেহ নেই। যে রাজ্য থেকে আমি এসেছি, সেই রাজ্যে সমবায় আন্দোলনের ক্ষমতা আমি প্রত্যক্ষ করেছি। স্বাধীনতা আন্দোলনেও সমবায় সমিতিগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আর তাই আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশীদার হতে আমি আপনাদের কাছে আবেদন করছি। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে দেশের প্রত্যেক জেলায় ৭৫টি অমৃত সরোবর খনন করার জন্য আমি আবেদন করেছিলাম। দেশজুড়ে গত এক বছরে প্রায় ৬০ হাজার অমৃত সরোবর খনন করা হয়েছে। প্রত্যেক বাড়িতে জল সরবরাহ করার যে উদ্যোগ গত ৯ বছর ধরে সরকার নিয়েছে, এটি তার অতিরিক্ত। এর মাধ্যমে জলসম্পদ বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষক ও পশুপাখিদের জল সঙ্কটে পড়তে হবে না। এই পবিত্র প্রকল্পে সমবায় সংস্থাগুলিকে যুক্ত হতে আমি আহ্বান জানাচ্ছি। সমবায় আন্দোলনে আপনাদের ক্ষমতা রয়েছে। আর তাই, আপনারা সিদ্ধান্ত নিন ক’টি পুকুর খনন করবেন - একটি, দুটি, পাঁচটি না দশটি। এর মাধ্যমে জল সংরক্ষণের বিষয়টিও নিশ্চিত হবে। প্রত্যেক গ্রামে যদি অমৃত সরোবর খনন করা হয় তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কিছু রেখে যেতে পারব। জল সংক্রান্ত আরও একটি প্রকল্প হল ‘এক ফোঁটা জলে প্রচুর ফসল উৎপাদন’। ক্ষুদ্র সেচ ব্যবস্থাকে গ্রহণ করার জন্য আমাদের কৃষকদের সচেতন করে তোলা অত্যন্ত জরুরি। বেশি জল ব্যবহার করলে বাড়তি ফসল উৎপাদন করা যায় না। প্রত্যেক গ্রামে অতিক্ষুদ্র সেচ ব্যবস্থাপনার প্রসার ঘটাতে সমবায় সমিতিগুলিকে আরও সক্রিয় হতে হবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার আপনাদের সাহায্য করবে। 

বন্ধুগণ,

সঞ্চয় করা একটি বড় বিষয়। অমিতভাই এ ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। খাদ্যশস্য মজুত রাখার ব্যবস্থায় যদি ঘাটতি থাকে তাহলে প্রচুর ক্ষতি হয়। এর প্রভাব আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা এবং দীর্ঘমেয়াদে কৃষকদের ওপর পড়ে। আজ ভারতে আমরা মোট উৎপাদিত খাদ্যশস্যের ৫০ শতাংশেরও কম মজুত রাখতে পারি। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বের বৃহত্তম মজুত রাখার ব্যবস্থাপনার একটি প্রকল্পের সূচনা করেছে। বিগত দশকগুলিতে এক্ষেত্রে কি কাজ হয়েছে? আমাদের খাদ্য সঞ্চয় করে রাখার ক্ষমতা ১,৪০০ লক্ষ টন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী পাঁচ বছরে আরও ৭০০ লক্ষ টন খাদ্যশস্য মজুত রাখার ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলব। কাজটি বিশাল সন্দেহ নেই, কিন্তু এর ফলে দেশের কৃষকদের সুবিধা হবে, গ্রামাঞ্চলে আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এই প্রথম গ্রামাঞ্চলে কৃষিকাজ সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে আমাদের সরকার বিশেষ একটি তহবিল গড়ে তুলেছে। আমাকে জানানো হয়েছে গত তিন বছরে এই প্রকল্পে ৪০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। সমবায় সমিতি এবং পিএসিএস-এর এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কৃষি সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে এবং হিমঘর তৈরি করতে সমবায় ক্ষেত্রকে আরও সক্রিয় হতে হবে।

বন্ধুগণ,

আমি নিশ্চিত, নতুন ভারতে দেশের অর্থনীতিতে সমবায় ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী এক ভূমিকা পালন করবে। আমাদের এমন গ্রাম গড়ে তুলতে হবে যেখানে সমবায় ব্যবস্থাপনাকে অনুসরণ করে সেই গ্রাম স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠবে। কিভাবে এই পরিবর্তন নিয়ে আসা যায় তা নিয়ে আপনারা আলোচনা করুন। সমবায় ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতাকে কিভাবে বৃদ্ধি করা যায় সেটিও আপনাদের আলোচ্যসূচিতে রাখুন। রাজনীতির পরিবর্তে সমবায় ব্যবস্থাপনা সামাজিক ও জাতীয় নীতিকে অনুসরণ করুক, সেটিই আমরা চাই। আমি নিশ্চিত, সমবায় ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করে তুলতে আপনাদের পরামর্শ আমাদের সহায়ক হবে যার মাধ্যমে উন্নত ভারত গড়ে তোলার যে লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে তা বাস্তবায়িত হবে। আপনাদের সকলের মধ্যে উপস্থিত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। সকলকে আবারও শুভেচ্ছা জানাই!

ধন্যবাদ!

প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছিলেন

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 নভেম্বর 2024
November 21, 2024

PM Modi's International Accolades: A Reflection of India's Growing Influence on the World Stage