Quoteপ্রায় ৩,৭০০ কোটি টাকার সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন
Quoteথিরুথুরাইপুন্ডি এবং অগাস্তিয়ামপল্লির মধ্যে ৩৭ কিলোমিটার গেজ রূপান্তর অংশের উদ্বোধন করেছেন
Quoteতাম্বারাম এবং সেনগোত্তাইয়ের মধ্যে এক্সপ্রেস পরিষেবার সূচনা করেন এবং থিরুথুরাইপুন্ডি এবং অগাস্তিয়ামপল্লির মধ্যে ডেমু পরিষেবার সূচনা করেন
Quote“তামিলনাড়ু হল ইতিহাস ও ঐতিহ্য, ভাষা ও সাহিত্যের এক পীঠস্থান”
Quote“অতীতে পরিকাঠামো প্রকল্পগুলিকে বিলম্বিত এক উন্নয়ন প্রচেষ্টা বলেই সকলে ধরে নিতেন। কিন্তু বর্তমানে এই ধারণারও আমূল পরিবর্তন ঘটেছে”
Quote“করদাতাদের প্রতিটি অর্থ যাতে উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা হয়, সে সম্পর্কে সরকার পূর্ণ মাত্রায় সজাগ ও সচেতন”
Quote“পরিকাঠামো শুধুমাত্র ইঁট ও সিমেন্ট দিয়ে কংক্রিটের কোনও গাঁথনিমাত্র নয়, বরং তার মধ্যে রয়েছে মানুষ ও মানবিকতার স্পর্শ”
Quote“তামিলনাড়ুর উন্নয়নকে সরকারের এক বিশেষ অগ্রাধিকার”
Quote“চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যে নতুন টার্মিনাল বিল্ডিংটির উদ্বোধন করা হয়েছে তা তামিল সংস্কৃতির সৌন্দর্যের এক প্রতীকবিশেষ”
Quote“তামিলনাড়ুর উন্নয়নের সঙ্গে সার্বিকভাবে যুক্ত রয়েছে ভারতের উন্নয়নও”

ভারতমাতার জয়

ভারতমাতার জয়

ভারতমাতার জয়

ভনক্কম তামিলনাড়ু!

তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল শ্রী আর এন রবিজি, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী এম কে স্ট্যালিনজি, কেন্দ্রীয় সরকারে আমার সহকর্মী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবজি, শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াজি ও তামিলনাড়ুর ভাই ও বোনেরা। আপনাদের সকলকে আমার শুভেচ্ছা জানাই।

বন্ধুগণ,

তামিলনাড়ুতে আসা সব সময় একটা সুন্দর অভিজ্ঞতা। এটা ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের স্বাক্ষর। এটা ভাষা এবং সাহিত্যের প্রাণভূমি। দেশাত্মবোধ এবং জাতীয় চেতনার এটা এক কেন্দ্রস্বরূপ। আমাদের অনেক অগ্রগামী স্বাধীনতা সংগ্রামী তামিলনাড়ু থেকে এসেছেন।

বন্ধুগণ,

আমি জানি যে আপনাদের উৎসবের মরশুমে আমি আপনাদের মধ্যে এসেছি। কয়েকদিনের মধ্যেই তামিল উথান্ডু উদযাপিত হবে। এটা নতুন শক্তি, নতুন আশা, নতুন উদ্দীপনা এবং নতুন সূচনার এক সময়বিশেষ। কয়েকটি নতুন প্রজন্মের পরিকাঠামো প্রকল্পের সূচনা আজ থেকে মানুষের সেবায় লাগবে। আরও কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শুরু হবে এখন থেকে। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সড়ক, রেলপথ, বিমানপথ যা নববর্ষ উদযাপনকে আরও বেশি রঙিন করে তুলবে।

 

|

বন্ধুগণ,

বিগত কয়েক বছরে ভারত পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিপ্লব প্রত্যক্ষ করছে। গতি এবং মাত্রার দ্বারা এটা চালিত। মাত্রার অঙ্কে যদি ধরা যায়, আগের তুলনায় এবারের কেন্দ্রীয় বাজেট আপনি দেখুন। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য রেকর্ড পরিমাণ, ১০ লক্ষ কোটি টাকার তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০১৪-র তুলনায় এটা প্রায় পাঁচগুণ! রেল পরিকাঠামোর জন্য যা বরাদ্দ রাখা হয়েছে তাও এক সর্বকালীন রেকর্ড।

বন্ধুগণ,

গতির প্রসঙ্গই ধরা যাক। কয়েকটি বিষয় আমাদেরকে সঠিক প্রেক্ষাপটের দিশা দিতে পারে। ২০১৪-র আগের তুলনায় জাতীয় সড়কের দৈর্ঘ্য প্রতি বছর দ্বিগুণ পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৪-র আগে প্রতি বছর ৬০০ কিলোমিটার রেললাইনের বৈদ্যুতিকরণ করা হত, কিন্তু আজ প্রতি বছর প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার রেললাইন বৈদ্যুতিকরণ করা হচ্ছে। ২০১৪ পর্যন্ত বিমানবন্দরের সংখ্যা ছিল ৭৪। ২০১৪ থেকে তা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০-এ। তামিলনাড়ুতে যে সুদীর্ঘ উপকূল রয়েছে বাণিজ্যের জন্য তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০১৪-র আগের তুলনায় আমাদের সমুদ্র বন্দরগুলির ক্ষমতা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাহ্যিক পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে কেবলমাত্র গতি ও মাত্রা দেখলেই হয় না, সামাজিক এবং ডিজিটাল পরিকাঠামোর ক্ষেত্রটিও অনুরূপভাবে বিবেচ্য। ২০১৪ পর্যন্ত ভারতে মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৮০, আর আজ তা ৬৬০। গত ৯ বছরে আমাদের দেশে এইমস-এর সংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডিজিটাল লেনদেনে আমরা বিশ্বের এক নম্বর জায়গায়। আমাদের কাছে বিশ্বের সবথেকে কম খরচে মোবাইল ডেটা ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। ৬ লক্ষ কিলোমিটারের বেশি অপটিক ফাইবারের মাধ্যমে প্রায় ২ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েতকে যুক্ত করা হয়েছে। আজ ভারতের গ্রামে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা শহরের থেকে বেশি।

বন্ধুগণ,

এইসব সাফল্য সম্ভব হল কি করে? কর্মসংস্কৃতি এবং সঠিক দিশা - এই দুইয়ের মাধ্যমেই সাফল্য সম্ভব হয়েছে। প্রথমত কর্মসংস্কৃতি। অতীতে ধরে নেওয়া হত যে পরিকাঠামো প্রকল্প মানেই তা বিলম্বিত, আর এখন পরিকাঠামো প্রকল্প মানেই হল দ্রুত কর্মসম্পাদন। এই যে দেরির পথ থেকে সরে এসে কর্মসম্পাদনের দিশারি হওয়া গেছে, তা হয়েছে কর্মসংস্কৃতির দ্বারাই। আমরা এখন আমাদের করদাতাদের দেয় প্রত্যেকটি টাকার প্রতি দায়বদ্ধতা অনুভব করি। আমরা নির্দিষ্ট সময়সীমা ধরে কাজ করি এবং সময়সীমা পেরোনোর আগেই কর্মসম্পাদন করি।

পরিকাঠামো ক্ষেত্রে আমাদের যে দৃষ্টিভঙ্গী তা অতীতের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। পরিকাঠামো বলতে আমরা ইঁট, সিমেন্ট আর কংক্রিটের কাঠামোকে বুঝি না। পরিকাঠামোকে আমরা মানবিক চেহারায় দেখি। আশা এবং সম্পাদনকে যা যুক্ত করে, মানুষের সঙ্গে তার সম্ভাবনাকে সূচিত করে, স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়। আজকের কয়েকটি প্রকল্পকে দৃষ্টান্ত হিসেবে ধরা যাক। সড়ক প্রকল্পগুলির একটি বিরুদ্ধনগর এবং তেনকাশির তুলো চাষীদের সঙ্গে অন্য বাজারকে যুক্ত করবে। চেন্নাই এবং কোয়েম্বাটোরের মধ্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছোট ব্যবসায়ীদের ক্রেতাদের সঙ্গে যুক্ত করবে। চেন্নাই বন্দরের নতুন টার্মিনাল বিশ্বকে তামিলনাড়ুর কাছে এনে হাজির করবে। এটি বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে যার ফলে এখানকার যুব সমাজের কাছে আয়ের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সড়ক, রেলপথ অথবা মেট্রোর ফলে কেবল যানবাহনেই নয়, জনসাধারণের স্বপ্ন এবং উদ্যমেও গতি সঞ্চারিত হয়। অর্থনীতি উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। প্রত্যেক পরিকাঠামো প্রকল্প কোটি কোটি পরিবারের জীবনধারার রূপান্তর ঘটায়।

 

|

বন্ধুগণ,

তামিলনাড়ুর উন্নয়ন আমাদের কাছে একটি অগ্রাধিকারের বিষয়। রেল পরিকাঠামো ক্ষেত্রে এ বছর তামিলনাড়ুর জন্য সর্বকালীন বর্ধিত ৬ হাজার কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত গড়ে বার্ষিক বরাদ্দ ছিল ৯০০ কোটি টাকারও কম। ২০০৪ থেকে ২০১৪-র মধ্যে তামিলনাড়ুতে জাতীয় সড়কের প্রসার ঘটেছে ৮০০ কিলোমিটারের মতো। ২০১৪ থেকে ২০২৩-এর মধ্যে প্রায় জাতীয় সড়ক প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতীয় সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়নে তামিলনাড়ুতে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ১,২০০ কোটি টাকা। ২০২২-২৩-এ এটি প্রায় ছ’গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৮,২০০ কোটি টাকা ছাপিয়ে গেছে।

গত কয়েক বছরে তামিলনাড়ু বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প প্রত্যক্ষ করেছে। প্রতিরক্ষা শিল্প করিডর ভারতের সুরক্ষাকে যেমন শক্তিশালী করছে, তেমনই তা কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করছে। ‘প্রধানমন্ত্রী মিত্র মেগা টেক্সটাইল পার্ক’-এর সঙ্গে সম্পর্কিত সাম্প্রতিক ঘোষণা তামিলনাড়ুর বস্ত্রক্ষেত্রকে প্রভূত সাহায্য করবে। গত বছর আমরা বেঙ্গালুরু-চেন্নাই এক্সপ্রেসওয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম। চেন্নাইয়ের কাছে বহু উদ্দেশ্যসাধক লজিস্টিক্স পার্ক নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলেছে। পূর্ব উপকূল বরাবর মামাল্লাপুরম থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত সড়কের ‘ভারতমালা’ প্রকল্পের আওতায় উন্নতিসাধন করা হচ্ছে। তামিলনাড়ুর শ্রীবৃদ্ধির জন্য আরও বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে। এরকম আরও বিভিন্ন প্রকল্প রয়েছে। আজ এর কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল।

বন্ধুগণ,

আজ তামিলনাড়ুর তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শহর – চেন্নাই, মাদুরাই এবং কোয়েম্বাটোর আজ উদ্বোধন হওয়া বা কাজ শুরু হওয়া প্রকল্পগুলির থেকে প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে। চেন্নাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নতুন সংযুক্ত টার্মিনাল বিল্ডিং-এর উদ্বোধন হল। এতে যাত্রী চলাচল বৃদ্ধি পাবে। নতুন এই টার্মিনাল বিল্ডিংটিতে তামিল সংস্কৃতির নান্দনিকতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি চিত্তাকর্ষক আলোকচিত্র প্রত্যক্ষ করেছেন, তা সে ছাদের নকশাই হোক অথবা মেঝে কিংবা সিলিং বা মূর্তি - এইসবগুলিই তামিলনাড়ুর কোনও না কোনও দিক আপনাকে মনে করিয়ে দেবে। বিমানবন্দর নির্মাণে যে ঐতিহ্যের সাক্ষর প্রতিভাত হচ্ছে, তা গড়ে তোলা হয়েছে আধুনিক চাহিদার দিকে তাকিয়ে এবং সুস্থায়িত্ব বজায় রাখতে। পরিবেশ-বান্ধব পণ্যসামগ্রী দিয়ে তা নির্মাণ করা হয়েছে এবং পরিবেশ-বান্ধব কৌশল হিসেবে এলইডি আলো ও সৌরশক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

 

|

বন্ধুগণ,

চেন্নাই আরও একটি বন্দে ভারত ট্রেন পাচ্ছে যা একে কোয়েম্বাটোরের সঙ্গে যুক্ত করবে। প্রথম বন্দে ভারত ট্রেন চেন্নাইয়ে যখন এল, আমি স্মরণ করতে পারি, তামিলনাড়ুর আমার তরুণ বন্ধুরা ভীষণরকম উত্তেজিত হয়েছিলেন। সামাজিক মাধ্যমে সেই সময় বন্দে ভারত ট্রেনকে ভাইরাল হতে দেখা গেছে। ‘ভারতে তৈরি’ - এই শ্লাঘাবোধ মহান ভিও চিদাম্বরম পিল্লাইয়ের এই ভূমিতে অত্যন্ত স্বাভাবিক।

বন্ধুগণ,

বস্ত্রক্ষেত্রই হোক, এমএসএমই অথবা শিল্পে, কোয়েম্বাটোর একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পাওয়ার হাউজ হয়ে উঠেছে। আধুনিক সংযোগ ব্যবস্থা এখানকার মানুষের উৎপাদনশীলতাকে বৃদ্ধি করবে। এখন চেন্নাই থেকে কোয়েম্বাটোরের সফর কেবল ছ’ঘন্টায়! এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হওয়ার ফলে সালেম, ইরোড এবং তিরুপুরের মতো এলাকাগুলিতে বস্ত্রশিল্প এবং শিল্প হাব উপকৃত হবে।

 

|

বন্ধুগণ,

মাদুরাইকে বলা হয় তামিলনাড়ুর সাংস্কৃতিক রাজধানী। এটা হল বিশ্বের অন্যতম সর্বপ্রথম শহর। আজকের এই প্রকল্পগুলি এই সুপ্রাচীন শহরের আধুনিক পরিকাঠামোর শ্রীবৃদ্ধি ঘটাবে। এতে জীবনযাপনে স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে এবং মাদুরাই-এ সফর অনেক সহজ হয়ে যাবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অনেক জেলা এবং তামিলনাড়ুর উপকূল এলাকা আজকের প্রকল্পগুলির মাধ্যমে উপকৃত হবে।

বন্ধুগণ,

তামিলনাড়ু হল ভারতের উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি। আমি নিশ্চিত, যেসব প্রকল্পগুলির আজ উদ্বোধন হল তা এখানকার মানুষের আকাঙ্ক্ষার সমৃদ্ধি ঘটাবে। যখন অত্যন্ত উন্নতমানের পরিকাঠামোর দ্বারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, তখন উপার্জন বাড়বে এবং তামিলনাড়ুর উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে। তামিলনাড়ুর শ্রীবৃদ্ধির অর্থ ভারতের শ্রীবৃদ্ধি। আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভনক্কম!

 

  • कृष्ण सिंह राजपुरोहित भाजपा विधान सभा गुड़ामा लानी November 21, 2024

    जय श्री राम 🚩 वन्दे मातरम् जय भाजपा विजय भाजपा
  • दिग्विजय सिंह राना September 20, 2024

    हर हर महादेव
  • JBL SRIVASTAVA May 27, 2024

    मोदी जी 400 पार
  • Sukhen Das March 18, 2024

    Har har Mudi ji
  • Pravin Gadekar March 18, 2024

    जय हो
  • Pravin Gadekar March 18, 2024

    नमो नमो नमो नमो
  • Pravin Gadekar March 18, 2024

    घर घर मोदी
  • Pravin Gadekar March 18, 2024

    हर हर मोदी
  • Pravin Gadekar March 18, 2024

    जय जय श्रीराम 🌹🚩
  • ramniwas sankhla March 16, 2024

    मैं हूं मोदी परिवार
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Explained: How PM Narendra Modi's Khelo India Games programme serve as launchpad of Indian sporting future

Media Coverage

Explained: How PM Narendra Modi's Khelo India Games programme serve as launchpad of Indian sporting future
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
The government is focusing on modernizing the sports infrastructure in the country: PM Modi at Khelo India Youth Games
May 04, 2025
QuoteBest wishes to the athletes participating in the Khelo India Youth Games being held in Bihar, May this platform bring out your best: PM
QuoteToday India is making efforts to bring Olympics in our country in the year 2036: PM
QuoteThe government is focusing on modernizing the sports infrastructure in the country: PM
QuoteThe sports budget has been increased more than three times in the last decade, this year the sports budget is about Rs 4,000 crores: PM
QuoteWe have made sports a part of mainstream education in the new National Education Policy with the aim of producing good sportspersons & sports professionals in the country: PM

बिहार के मुख्यमंत्री श्रीमान नीतीश कुमार जी, केंद्रीय मंत्रिमंडल के मेरे सहयोगी मनसुख भाई, बहन रक्षा खड़से, श्रीमान राम नाथ ठाकुर जी, बिहार के डिप्टी सीएम सम्राट चौधरी जी, विजय कुमार सिन्हा जी, उपस्थित अन्य महानुभाव, सभी खिलाड़ी, कोच, अन्य स्टाफ और मेरे प्यारे युवा साथियों!

देश के कोना-कोना से आइल,, एक से बढ़ के एक, एक से नीमन एक, रउआ खिलाड़ी लोगन के हम अभिनंदन करत बानी।

साथियों,

खेलो इंडिया यूथ गेम्स के दौरान बिहार के कई शहरों में प्रतियोगिताएं होंगी। पटना से राजगीर, गया से भागलपुर और बेगूसराय तक, आने वाले कुछ दिनों में छह हज़ार से अधिक युवा एथलीट, छह हजार से ज्यादा सपनों औऱ संकल्पों के साथ बिहार की इस पवित्र धरती पर परचम लहराएंगे। मैं सभी खिलाड़ियों को अपनी शुभकामनाएं देता हूं। भारत में स्पोर्ट्स अब एक कल्चर के रूप में अपनी पहचान बना रहा है। और जितना ज्यादा भारत में स्पोर्टिंग कल्चर बढ़ेगा, उतना ही भारत की सॉफ्ट पावर भी बढ़ेगी। खेलो इंडिया यूथ गेम्स इस दिशा में, देश के युवाओं के लिए एक बहुत बड़ा प्लेटफॉर्म बना है।

साथियों,

किसी भी खिलाड़ी को अपना प्रदर्शन बेहतर करने के लिए, खुद को लगातार कसौटी पर कसने के लिए, ज्यादा से ज्यादा मैच खेलना, ज्यादा से ज्यादा प्रतियोगिताओं में हिस्सा, ये बहुत जरूरी होता है। NDA सरकार ने अपनी नीतियों में हमेशा इसे सर्वोच्च प्राथमिकता दी है। आज खेलो इंडिया, यूनिवर्सिटी गेम्स होते हैं, खेलो इंडिया यूथ गेम्स होते हैं, खेलो इंडिया विंटर गेम्स होते हैं, खेलो इंडिया पैरा गेम्स होते हैं, यानी साल भर, अलग-अलग लेवल पर, पूरे देश के स्तर पर, राष्ट्रीय स्तर पर लगातार स्पर्धाएं होती रहती हैं। इससे हमारे खिलाड़ियों का आत्मविश्वास बढ़ता है, उनका टैलेंट निखरकर सामने आता है। मैं आपको क्रिकेट की दुनिया से एक उदाहरण देता हूं। अभी हमने IPL में बिहार के ही बेटे वैभव सूर्यवंशी का शानदार प्रदर्शन देखा। इतनी कम आयु में वैभव ने इतना जबरदस्त रिकॉर्ड बना दिया। वैभव के इस अच्छे खेल के पीछे उनकी मेहनत तो है ही, उनके टैलेंट को सामने लाने में, अलग-अलग लेवल पर ज्यादा से ज्यादा मैचों ने भी बड़ी भूमिका निभाई। यानी, जो जितना खेलेगा, वो उतना खिलेगा। खेलो इंडिया यूथ गेम्स के दौरान आप सभी एथलीट्स को नेशनल लेवल के खेल की बारीकियों को समझने का मौका मिलेगा, आप बहुत कुछ सीख सकेंगे।

साथियों,

ओलंपिक्स कभी भारत में आयोजित हों, ये हर भारतीय का सपना रहा है। आज भारत प्रयास कर रहा है, कि साल 2036 में ओलंपिक्स हमारे देश में हों। अंतरराष्ट्रीय स्तर पर खेलों में भारत का दबदबा बढ़ाने के लिए, स्पोर्टिंग टैलेंट की स्कूल लेवल पर ही पहचान करने के लिए, सरकार स्कूल के स्तर पर एथलीट्स को खोजकर उन्हें ट्रेन कर रही है। खेलो इंडिया से लेकर TOPS स्कीम तक, एक पूरा इकोसिस्टम, इसके लिए विकसित किया गया है। आज बिहार सहित, पूरे देश के हजारों एथलीट्स इसका लाभ उठा रहे हैं। सरकार का फोकस इस बात पर भी है कि हमारे खिलाड़ियों को ज्यादा से ज्यादा नए स्पोर्ट्स खेलने का मौका मिले। इसलिए ही खेलो इंडिया यूथ गेम्स में गतका, कलारीपयट्टू, खो-खो, मल्लखंभ और यहां तक की योगासन को शामिल किया गया है। हाल के दिनों में हमारे खिलाड़ियों ने कई नए खेलों में बहुत ही अच्छा प्रदर्शन करके दिखाया है। वुशु, सेपाक-टकरा, पन्चक-सीलाट, लॉन बॉल्स, रोलर स्केटिंग जैसे खेलों में भी अब भारतीय खिलाड़ी आगे आ रहे हैं। साल 2022 के कॉमनवेल्थ गेम्स में महिला टीम ने लॉन बॉल्स में मेडल जीतकर तो सबका ध्यान आकर्षित किया था।

साथियों,

सरकार का जोर, भारत में स्पोर्ट्स इंफ्रास्ट्रक्चर को आधुनिक बनाने पर भी है। बीते दशक में खेल के बजट में तीन गुणा से अधिक की वृद्धि की गई है। इस वर्ष स्पोर्ट्स का बजट करीब 4 हज़ार करोड़ रुपए है। इस बजट का बहुत बड़ा हिस्सा स्पोर्ट्स इंफ्रास्ट्रक्चर पर खर्च हो रहा है। आज देश में एक हज़ार से अधिक खेलो इंडिया सेंटर्स चल रहे हैं। इनमें तीन दर्जन से अधिक हमारे बिहार में ही हैं। बिहार को तो, NDA के डबल इंजन का भी फायदा हो रहा है। यहां बिहार सरकार, अनेक योजनाओं को अपने स्तर पर विस्तार दे रही है। राजगीर में खेलो इंडिया State centre of excellence की स्थापना की गई है। बिहार खेल विश्वविद्यालय, राज्य खेल अकादमी जैसे संस्थान भी बिहार को मिले हैं। पटना-गया हाईवे पर स्पोर्टस सिटी का निर्माण हो रहा है। बिहार के गांवों में खेल सुविधाओं का निर्माण किया गया है। अब खेलो इंडिया यूथ गेम्स- नेशनल स्पोर्ट्स मैप पर बिहार की उपस्थिति को और मज़बूत करने में मदद करेंगे। 

|

साथियों,

स्पोर्ट्स की दुनिया और स्पोर्ट्स से जुड़ी इकॉनॉमी सिर्फ फील्ड तक सीमित नहीं है। आज ये नौजवानों को रोजगार और स्वरोजगार को भी नए अवसर दे रहा है। इसमें फिजियोथेरेपी है, डेटा एनालिटिक्स है, स्पोर्ट्स टेक्नॉलॉजी, ब्रॉडकास्टिंग, ई-स्पोर्ट्स, मैनेजमेंट, ऐसे कई सब-सेक्टर्स हैं। और खासकर तो हमारे युवा, कोच, फिटनेस ट्रेनर, रिक्रूटमेंट एजेंट, इवेंट मैनेजर, स्पोर्ट्स लॉयर, स्पोर्ट्स मीडिया एक्सपर्ट की राह भी जरूर चुन सकते हैं। यानी एक स्टेडियम अब सिर्फ मैच का मैदान नहीं, हज़ारों रोज़गार का स्रोत बन गया है। नौजवानों के लिए स्पोर्ट्स एंटरप्रेन्योरशिप के क्षेत्र में भी अनेक संभावनाएं बन रही हैं। आज देश में जो नेशनल स्पोर्ट्स यूनिवर्सिटी बन रही हैं, या फिर नई नेशनल एजुकेशन पॉलिसी बनी है, जिसमें हमने स्पोर्ट्स को मेनस्ट्रीम पढ़ाई का हिस्सा बनाया है, इसका मकसद भी देश में अच्छे खिलाड़ियों के साथ-साथ बेहतरीन स्पोर्ट्स प्रोफेशनल्स बनाने का है। 

मेरे युवा साथियों, 

हम जानते हैं, जीवन के हर क्षेत्र में स्पोर्ट्समैन शिप का बहुत बड़ा महत्व होता है। स्पोर्ट्स के मैदान में हम टीम भावना सीखते हैं, एक दूसरे के साथ मिलकर आगे बढ़ना सीखते हैं। आपको खेल के मैदान पर अपना बेस्ट देना है और एक भारत श्रेष्ठ भारत के ब्रांड ऐंबेसेडर के रूप में भी अपनी भूमिका मजबूत करनी है। मुझे विश्वास है, आप बिहार से बहुत सी अच्छी यादें लेकर लौटेंगे। जो एथलीट्स बिहार के बाहर से आए हैं, वो लिट्टी चोखा का स्वाद भी जरूर लेकर जाएं। बिहार का मखाना भी आपको बहुत पसंद आएगा।

साथियों, 

खेलो इंडिया यूथ गेम्स से- खेल भावना और देशभक्ति की भावना, दोनों बुलंद हो, इसी भावना के साथ मैं सातवें खेलो इंडिया यूथ गेम्स के शुभारंभ की घोषणा करता हूं।