নমস্কার !
শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রপতি জি, মন্ত্রীসভার আমার সহকর্মী, রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক জি, সঞ্জয় ধোতরে জি, এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সব মাননীয় রাজ্যপাল, উপরাজ্যপাল, রাজ্যগুলির শিক্ষামন্ত্রী, জাতীয় শিক্ষানীতি রচনার মূল কারিগর ডঃ কস্তুরী রঙ্গন জি এবং তাঁর দলের সদস্যরা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা, শিক্ষাবিদ, ভদ্রমহোদয়া এবং ভদ্রমহোদয়গন !
সর্বপ্রথমে আমি মাননীয় রাষ্ট্রপতি জি কে ধন্যবাদ জানাই। জাতীয় শিক্ষানীতির প্রসঙ্গে এই সম্মেলন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা জগতের সঙ্গে যুক্ত দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা এখানে একত্রিত হয়েছেন। আমি সকলকে স্বাগত জানাই, অভিনন্দন জানাই।
সুধীবৃন্দ,
দেশের উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করার জন্য শিক্ষানীতি এবং শিক্ষা ব্যবস্থার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কেন্দ্র, রাজ্য এবং স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসনের ওপর শিক্ষা ব্যবস্থার দায়িত্ব বর্তায়। কিন্তু এটাও সত্যি যে শিক্ষানীতির ওপর সরকারের হস্তক্ষেপ, প্রভাব যতটা সম্ভব কম হওয়া উচিত। শিক্ষানীতিতে যত বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকারা যুক্ত হবেন, অভিভাবক-অভিভাবিকারা যুক্ত হবেন, ছাত্রছাত্রীরা যুক্ত হবেন তার প্রাসঙ্গিকতা এবং ব্যাপকতা দুটিই তত বেশি বাড়বে।
জাতীয় শিক্ষানীতির ওপর ৪-৫ বছর আগে কাজ শুরু হয়েছিল। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ, শহরের বাসিন্দা, গ্রামের বাসিন্দা, শিক্ষা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিত্বরা এ বিষয়ে তাঁদের মতামত দিয়েছেন, তাঁদের প্রস্তাব দিয়েছেন। শিক্ষানীতির ওপর যে খসড়া তৈরি হয়েছিল, তাতে আলাদা-আলাদাভাবে বিভিন্ন বিষয়ে ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ নিজেদের পরামর্শ দিয়েছেন। অর্থাৎ অভিভাবক-অভিভাবিকা, ছাত্রছাত্রী, শিক্ষাবিদ, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষা ক্ষেত্রের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, পেশাদার মানুষ౼ সবাই এই শিক্ষানীতি তৈরিতে যোগদান করেছিলেন। এত গভীর, এত প্রশস্ত, এত বৈচিত্র্যের পূর্ণ মন্থনের পর এই অমৃত বেরিয়ে এসেছে, এ কারণেই সব জায়গায় জাতীয় শিক্ষানীতিকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। গ্রামের শিক্ষকই হোন কিংবা বড় বড় শিক্ষাবিদ, সকলেরই জাতীয় শিক্ষানীতিকে নিজের শিক্ষানীতি বলে মনে হচ্ছে। সবাই ভাবছেন আমি আগের শিক্ষানীতিতে এই উন্নতিটিই দেখতে চেয়েছিলাম। জাতীয় শিক্ষানীতির গ্রহণযোগ্যতার এটিই অন্যতম প্রধান কারণ।
শিক্ষানীতি কি হওয়া উচিত, কেমন হওয়া উচিত তার স্বরূপটি কেমন হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দেশ আরো এক ধাপ এগিয়েছে। এই বিস্তৃত আলোচনাটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ জাতীয় শিক্ষানীতি কেবল লেখাপড়ার নিয়মের পরিবর্তনের জন্য নয়। এই নীতিটি একবিংশ শতাব্দীর ভারতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একটি নতুন দিশা দেখাবে।
এই নীতি আত্মনির্ভর ভারতের সংকল্প এবং স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবে। স্পষ্টতই এই বড় সিদ্ধান্তের জন্য আমাদের প্রস্তুতি, আমাদের সচেতনতাও সমানভাবে ব্যাপক হওয়া উচিত। আপনারা বেশিরভাগ মহান ব্যক্তিরাই, জাতীয় এই শিক্ষানীতির সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলি দেখেছেন। তবে এতবড় উদ্যোগের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য, এটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে বার বার বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমস্ত দ্বিধা ও প্রশ্নের সমাধানের পরেই দেশে জাতীয় শিক্ষানীতি সফলভাবে কার্যকর করা যাবে।
সুধীবৃন্দ,
আজ দ্রুত পরিবর্তনশীল সারা বিশ্ব চাকরি, ভবিষ্যতের কাজের প্রকৃতি সম্পর্কে ব্যাপকভাবে আলোচনা করছে। এই শিক্ষানীতি দেশের যুব সম্প্রদায়কে ভবিষ্যতের চাহিদা অনুযায়ী জ্ঞান ও দক্ষতা দুটির জন্যই প্রস্তুত করবে। নতুন শিক্ষানীতি লেখাপড়ার থেকে শেখার ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং পাঠ্ক্রমের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার ওপর জোর দিয়েছে। এই নীতিটি পদ্ধতির পরিবর্তে আগ্রহ, ব্যবহারিকতা এবং সম্পাদনের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। মূল শিক্ষা এবং ভাষাগুলির ওপরেও মনোনিবেশ করেছে। শিক্ষার মাধ্যমে কি পাওয়া গেল এবং শিক্ষক শিক্ষণের ওপর এখানে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি সামর্থ্য এবং মূল্যায়ণ সংক্রান্ত বিষয়েও বড়ধরণের সংস্কার করেছে। এখানে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ক্ষমতায়ণের একটি উপায় দেখানো হয়েছে।
একই ধরণের, একই মাপের সমস্ত পদ্ধতির সঙ্গে খাপ খায় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলিত ধারণার থেকে বেরিয়ে আসার এটি একটি দৃঢ় উদ্যোগ। আজ আপনারা সবাই এমনকি প্রবীনরাও উপলব্ধি করেন যে এই প্রচেষ্টাটি স্বাভাবিক নয়, অস্বাভাবিক। বিগত কয়েক দশক ধরে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে ঘাটতিগুলি দেখা যাচ্ছিল, আমরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলাম, তার থেকে বের হয়ে আসার জন্য এই নীতিতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আর দীর্ঘ সময় ধরে এই জিনিসগুলি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে যে আমাদের বাচ্চারা ব্যাগ এবং পর্ষদের পরীক্ষার বোঝায়, পরিবার এবং সমাজের চাপের মধ্যে নিষ্পেষিত হচ্ছে তখন এই নীতিতে এই সমস্যার কার্যকরভাবে সমাধান করা হয়েছে। আমাদের দেশে বলা হয় ‘সা বিদ্যা ইয়া বিমুক্তয়ে’। অর্থাৎ জ্ঞানই আমাদের মনকে মুক্ত করে।
যখন প্রাথমিক স্তরে শিশুরা নিজের সংস্কৃতি, ভাষা, ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে তখনই শিক্ষা নিজের থেকে কার্যকর হবে, সহজ হবে এবং শিশু মন নিজেকে এর সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করবে। জাতীয় শিক্ষানীতিতে আমাদের প্রকৃত অর্থে জোর করে বাছাই করা, কোন কিছুর অভাবের পরিবর্তে কার্যকরভাবে শেখার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলিকে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি অংশে পরিণত করা হয়েছে। যেসব বিষয়গুলি নিয়ে বাচ্চাদের চাপ বাড়তো সেগুলিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আর এখন আমাদের যুব সম্প্রদায় নিজেদের পছন্দমতো নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী লেখাপড়া করতে পারবে। আগে চাপের কারণে একজন শিক্ষার্থী নিজের ক্ষমতার বাইরে যেকোন একটি বিষয় বাছাই করতো, আর যখন সে বুঝতে পারতো এর মাধ্যমে তার সমস্যা হচ্ছে তখন অনেক দেরি হয়ে যেতো। ফল এই দাঁড়াতো যে শিক্ষার্থী ক্লান্ত হয়ে পড়তো এবং সেই পাঠক্রম থেকে সরে আসতো। আমাদের দেশে এর ফলে কি ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, আমার ধারণা আমার থেকে আপনারা এই বিষয়টি খুব ভালোভাবে জানেন। জাতীয় শিক্ষানীতিতে এই সমস্যাগুলিরই সমাধান করা হয়েছে, অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অফ ক্রেডিটের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের অনেক সুবিধা হবে।
সুধীবৃন্দ,
আত্মনির্ভর ভারত নির্মাণে যুব সম্প্রদায়কে দক্ষ করে তোলা অত্যন্ত জরুরি। কম বয়স থেকে কারিগরি শিক্ষা পেলে আমাদের যুব সম্প্রদায়ের ভবিষ্যত উন্নত হবে। হাতে-কলমে শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের যুব সম্প্রদায়ের কর্মক্ষমতা বাড়বে। যারফলে আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে তাঁদের অংশীদারিত্ব বেশি হবে। আমাদের এখানে বলা হয়- ‘আ নো ভদ্রাঃ ক্রতবো ইয়ন্তু বিশ্বতঃ’। অর্থাৎ ভালো চিন্তা-ভাবনা থেকে আসা জিনিসকে আমাদের গ্রহণ করা উচিত। ভারত প্রাচীনকাল থেকে বিশ্বব্যাপী জ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত ছিল। ভারতে আমরা শিক্ষা ভিত্তিক একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছি। নতুন শিক্ষানীতি এই সংকল্পকে বাস্তবায়িত করার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।
নতুন শিক্ষানীতির মাধ্যমে বিদেশে মেধা চলে যাওয়ার সমস্যার মোকাবিলা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং অতি সাধারণ পরিবারের যুবক-যুবতীরা যাতে আন্তর্জাতিক স্তরে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলিতে লেখাপড়া করার সুযোগ পায় তারজন্য ভারতে এইসব প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস খোলার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। যখন দেশেই আন্তর্জাতিক স্তরের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানগুলির ক্যাম্পাস তৈরি হবে তখন লেখাপড়া করার জন্য বাইরে যাওয়ার প্রবণতা কমে যাবে আর আমাদের নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলি আরও প্রতিযোগীতামূলক পরিবেশে কাজ করবে। এর প্রথম একটি উদ্যোগ হল অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা। যেখানে লেখাপড়া করার জন্য স্থানীয় হোক কিংবা আন্তর্জাতিক౼এ ধরণের পার্থক্য দূর হয়ে যাবে।
সুধীবৃন্দ,
এখন যেকোন পদ্ধতিতে এতো বেশি পরিবর্তন হচ্ছে যে যখন একটি নতুন ব্যবস্থা তৈরি করার দিকে আমরা এগোচ্ছি তখন কিছু সন্দেহ-আশঙ্কা মনের মধ্যে আসাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। মা-বাবাদের মনে হতে পারে যে ছেলেমেয়েরা যদি এতই স্বাধীনতা পায়, যদি বিভিন্ন বিভাগ উঠে যায় তাহলে ভবিষ্যতে কলেজে তারা ভর্তি হবে কিভাবে, তাদের ছেলেমেয়েদের ক্যারিয়ারের কি হবে? অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগবে যে এই পরিবর্তনের জন্য তাঁরা কিভাবে প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ পাবেন? এই ধরণের পাঠক্রম কিভাবে সামলানো যাবে?
আপনাদের সকলের মনে অনেক প্রশ্ন আছে যা নিয়ে আপনারা আলোচনাও করছেন। এইসব প্রশ্নের বাস্তবায়নের জন্য অনেক আলোচনা হয়েছে। যেমন- পাঠক্রমগুলি কি রকমভাবে তৈরি হবে? আঞ্চলিক ভাষায় সিলেবাসের বিষয়বস্তু কিভাবে তৈরি হবে? লাইব্রেরি, ডিজিটাল এবং অনলাইনের বিষয়বস্তু ও লেখাপড়া করার বিষয়ে কেমন করে বিভিন্ন কাজকর্ম হবে? আমরা কি আমাদের লক্ষ্যগুলি পূরণ করতে সমস্যায় পড়বো না? প্রশাসনের বিষয়েও অনের রকমের প্রশ্ন আপনাদের মনে স্বাভাবিকভাবেই দেখা দেবে। এইসব প্রশ্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণও বটে।
এইসব প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমরা সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করছি। শিক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নিরন্তর তথ্য দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যগুলির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের বক্তব্য, প্রতিটি বিবেচনা, মতামতকে খোলা মনে শোনা হয়েছে। সর্বপরি আমাদের সকলকেই সমস্ত সন্দেহ এবং আশঙ্কা একসঙ্গে সমাধান করতে হবে। এই নীতি যে ধরণের নমনীয়তার সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে সেই নমনীয় মনোভাব নিয়ে সর্বাধিক বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও আমাদের সকলকে সচেষ্ট হতে হবে।
এই শিক্ষানীতি সরকারের শিক্ষানীতি নয়। এটি দেশের শিক্ষানীতি। যেমন বিদেশ নীতি কোনও সরকারের হয় না, দেশের জন্য বিদেশনীতি হয়, প্রতিরক্ষা নীতি কোনও সরকারের হয়না, দেশের জন্য প্রতিরক্ষা নীতি হয়, ঠিক একইভাবে শিক্ষানীতিও কোন সরকার ছিল, কার সরকার ছিল, কে ক্ষমতায় ছিল, কে ক্ষমতায় ছিল না, এর ওপর ভিত্তি করে চলে না, শিক্ষানীতি হল দেশের নীতি। আর এইজন্য ৩০ বছর ধরে অনেক সরকারই এসেছিল, ৩০ বছর পর এই সরকার কোনও বন্ধনে আবদ্ধ নেই। দেশের উচ্চাকাঙ্খার সঙ্গে এই সরকার যুক্ত হয়েছে।
সুধীবৃন্দ,
জাতীয় শিক্ষানীতিতে দ্রুত পরিবর্তনশীল সময়ের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে ব্যাপকভাবে তৈরি করা হয়েছে। আজ গ্রামে গ্রামে যেভাবে প্রযুক্তির বিস্তার হচ্ছে, দেশে দরিদ্রতম ব্যক্তি, বঞ্চিত, প্রান্তিক, উপজাতি গোষ্ঠীভুক্ত প্রত্যেক মানুষের কাছে যেভাবে প্রযুক্তি পৌঁছে যাচ্ছে সেইভাবে তথ্য এবং জ্ঞানের সামর্থ্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আজ আমি দেখতে পাই ভিডিও ব্লকের মাধ্যমে, ভিডিও স্ক্রিনিং সাইটগুলিতে অনেক যুবক-যুবতী চ্যানেল চালান, প্রতিটি বিষয়ে দুর্দান্ত কোচিং করান। যে বিষয়টা এর আগে গরিব ঘরের ছেলে-মেয়েরা কখনই ভাবতে পারতোনা। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আঞ্চলিক এবং সামাজিক অসাম্য দ্রুতহারে হ্রাস পাবে। আমাদের দায়িত্ব হল আমরা প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিটি কলেজকে প্রযুক্তির প্রয়োগ বেশি করে করতে উৎসাহিত করবো।
সুধীবৃন্দ,
যেকোন ব্যবস্থা তখনই কার্যকর এবং সর্বাঙ্গীন হবে যখন তার প্রশাসনিক কাজকর্ম আরও ভালো হবে। এই ভাবনা অনুযায়ী শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত প্রশাসনেও এই নীতি প্রতিফলিত হচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে উচ্চশিক্ষার সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি বিষয়ের পুঁথিগত দিক, পরিভাষাগত দিক, বৃত্তিমূলক দিক, শিক্ষার সব ধরণের বিষয়কে প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে হবে। প্রশাসনিক নিয়মের বেড়াজাল যাতে কম করা যায় তার থেকে বেশি সমন্বয় সাধনের দিকে গুরুত্ব দিয়ে এই নীতির মাধ্যমে সেই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষায় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে আরও সরল করার জন্য এই নীতির মাধ্যমে সেটিকে বাস্তবায়িত করা হবে।
পর্যায়ক্রমে স্বায়ত্ত্বশাসনের ধারণার পিছনে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে যেখানে প্রতিটি কলেজ, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতায় উৎসাহ দেওয়া হবে, যেসব প্রতিষ্ঠান ভালো করবে তাদের পুরস্কৃত করা হবে। আর আমরা এখন এই জাতীয় শিক্ষানীতিকে সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমি চাইবো আপনারা সকলে ২৫শে সেপ্টেম্বরের আগে আপনাদের রাজ্যে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এ ধরণের ভার্চুয়াল কনফারেন্স আরও বেশি করে আয়োজন করুন। জাতীয় শিক্ষানীতির বিষয়ে বোঝানোর জন্য নিরলসভাবে উদ্যোগী হোন, আমরা যাতে আরও ভালোভাবে বিষয়টি বুঝতে পারি সেই চেষ্টাই করা উচিত। আবারও সময় বের করার জন্য আমি আপনাদের প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আমি শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রপতি জি কে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ধন্যবাদ !!!