New National Education Policy focuses on learning instead of studying and goes ahead of the curriculum to focus on critical thinking: PM
National Education Policy stresses on passion, practicality and performance: PM Modi
Education policy and education system are important means of fulfilling the aspirations of the country: PM Modi

নমস্কার !

শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রপতি জি, মন্ত্রীসভার আমার সহকর্মী, রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক জি, সঞ্জয় ধোতরে জি, এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সব মাননীয় রাজ্যপাল, উপরাজ্যপাল, রাজ্যগুলির শিক্ষামন্ত্রী, জাতীয় শিক্ষানীতি রচনার মূল কারিগর ডঃ কস্তুরী রঙ্গন জি এবং তাঁর দলের সদস্যরা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা, শিক্ষাবিদ, ভদ্রমহোদয়া এবং ভদ্রমহোদয়গন !

সর্বপ্রথমে আমি মাননীয় রাষ্ট্রপতি জি কে ধন্যবাদ জানাই। জাতীয় শিক্ষানীতির প্রসঙ্গে এই সম্মেলন অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা জগতের সঙ্গে যুক্ত দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা এখানে একত্রিত হয়েছেন। আমি সকলকে স্বাগত জানাই, অভিনন্দন জানাই।

সুধীবৃন্দ,

দেশের উচ্চাকাঙ্খা পূরণ করার জন্য শিক্ষানীতি এবং শিক্ষা ব্যবস্থার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কেন্দ্র, রাজ্য এবং স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসনের ওপর শিক্ষা ব্যবস্থার দায়িত্ব বর্তায়। কিন্তু এটাও সত্যি যে শিক্ষানীতির ওপর সরকারের হস্তক্ষেপ, প্রভাব যতটা সম্ভব কম হওয়া উচিত। শিক্ষানীতিতে যত বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকারা যুক্ত হবেন, অভিভাবক-অভিভাবিকারা যুক্ত হবেন, ছাত্রছাত্রীরা যুক্ত হবেন তার প্রাসঙ্গিকতা এবং ব্যাপকতা দুটিই তত বেশি বাড়বে।

জাতীয় শিক্ষানীতির ওপর ৪-৫ বছর আগে কাজ শুরু হয়েছিল। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ, শহরের বাসিন্দা, গ্রামের বাসিন্দা, শিক্ষা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিত্বরা এ বিষয়ে তাঁদের মতামত দিয়েছেন, তাঁদের প্রস্তাব দিয়েছেন। শিক্ষানীতির ওপর যে খসড়া তৈরি হয়েছিল, তাতে আলাদা-আলাদাভাবে বিভিন্ন বিষয়ে ২ লক্ষেরও বেশি মানুষ নিজেদের পরামর্শ দিয়েছেন। অর্থাৎ অভিভাবক-অভিভাবিকা, ছাত্রছাত্রী, শিক্ষাবিদ, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষা ক্ষেত্রের ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, পেশাদার মানুষ౼ সবাই এই শিক্ষানীতি তৈরিতে যোগদান করেছিলেন। এত গভীর, এত প্রশস্ত, এত বৈচিত্র্যের পূর্ণ মন্থনের পর এই অমৃত বেরিয়ে এসেছে, এ কারণেই সব জায়গায় জাতীয় শিক্ষানীতিকে স্বাগত জানানো হচ্ছে। গ্রামের শিক্ষকই হোন কিংবা বড় বড় শিক্ষাবিদ, সকলেরই জাতীয় শিক্ষানীতিকে নিজের শিক্ষানীতি বলে মনে হচ্ছে। সবাই ভাবছেন আমি আগের শিক্ষানীতিতে এই উন্নতিটিই দেখতে চেয়েছিলাম। জাতীয় শিক্ষানীতির গ্রহণযোগ্যতার এটিই অন্যতম প্রধান কারণ।

শিক্ষানীতি কি হওয়া উচিত, কেমন হওয়া উচিত তার স্বরূপটি কেমন হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দেশ আরো এক ধাপ এগিয়েছে। এই বিস্তৃত আলোচনাটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ জাতীয় শিক্ষানীতি কেবল লেখাপড়ার নিয়মের পরিবর্তনের জন্য নয়। এই নীতিটি একবিংশ শতাব্দীর ভারতের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একটি নতুন দিশা দেখাবে।
এই নীতি আত্মনির্ভর ভারতের সংকল্প এবং স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেবে। স্পষ্টতই এই বড় সিদ্ধান্তের জন্য আমাদের প্রস্তুতি, আমাদের সচেতনতাও সমানভাবে ব্যাপক হওয়া উচিত। আপনারা বেশিরভাগ মহান ব্যক্তিরাই, জাতীয় এই শিক্ষানীতির সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলি দেখেছেন। তবে এতবড় উদ্যোগের নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য, এটির উদ্দেশ্য সম্পর্কে বার বার বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সমস্ত দ্বিধা ও প্রশ্নের সমাধানের পরেই দেশে জাতীয় শিক্ষানীতি সফলভাবে কার্যকর করা যাবে।

সুধীবৃন্দ,

আজ দ্রুত পরিবর্তনশীল সারা বিশ্ব চাকরি, ভবিষ্যতের কাজের প্রকৃতি সম্পর্কে ব্যাপকভাবে আলোচনা করছে। এই শিক্ষানীতি দেশের যুব সম্প্রদায়কে ভবিষ্যতের চাহিদা অনুযায়ী জ্ঞান ও দক্ষতা দুটির জন্যই প্রস্তুত করবে। নতুন শিক্ষানীতি লেখাপড়ার থেকে শেখার ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে এবং পাঠ্ক্রমের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার ওপর জোর দিয়েছে। এই নীতিটি পদ্ধতির পরিবর্তে আগ্রহ, ব্যবহারিকতা এবং সম্পাদনের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। মূল শিক্ষা এবং ভাষাগুলির ওপরেও মনোনিবেশ করেছে। শিক্ষার মাধ্যমে কি পাওয়া গেল এবং শিক্ষক শিক্ষণের ওপর এখানে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটি সামর্থ্য এবং মূল্যায়ণ সংক্রান্ত বিষয়েও বড়ধরণের সংস্কার করেছে। এখানে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ক্ষমতায়ণের একটি উপায় দেখানো হয়েছে।

একই ধরণের, একই মাপের সমস্ত পদ্ধতির সঙ্গে খাপ খায় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রচলিত ধারণার থেকে বেরিয়ে আসার এটি একটি দৃঢ় উদ্যোগ। আজ আপনারা সবাই এমনকি প্রবীনরাও উপলব্ধি করেন যে এই প্রচেষ্টাটি স্বাভাবিক নয়, অস্বাভাবিক। বিগত কয়েক দশক ধরে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে ঘাটতিগুলি দেখা যাচ্ছিল, আমরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলাম, তার থেকে বের হয়ে আসার জন্য এই নীতিতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আর দীর্ঘ সময় ধরে এই জিনিসগুলি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে যে আমাদের বাচ্চারা ব্যাগ এবং পর্ষদের পরীক্ষার বোঝায়, পরিবার এবং সমাজের চাপের মধ্যে নিষ্পেষিত হচ্ছে তখন এই নীতিতে এই সমস্যার কার্যকরভাবে সমাধান করা হয়েছে। আমাদের দেশে বলা হয় ‘সা বিদ্যা ইয়া বিমুক্তয়ে’। অর্থাৎ জ্ঞানই আমাদের মনকে মুক্ত করে।

যখন প্রাথমিক স্তরে শিশুরা নিজের সংস্কৃতি, ভাষা, ঐতিহ্যের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে তখনই শিক্ষা নিজের থেকে কার্যকর হবে, সহজ হবে এবং শিশু মন নিজেকে এর সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করবে। জাতীয় শিক্ষানীতিতে আমাদের প্রকৃত অর্থে জোর করে বাছাই করা, কোন কিছুর অভাবের পরিবর্তে কার্যকরভাবে শেখার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধগুলিকে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি অংশে পরিণত করা হয়েছে। যেসব বিষয়গুলি নিয়ে বাচ্চাদের চাপ বাড়তো সেগুলিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আর এখন আমাদের যুব সম্প্রদায় নিজেদের পছন্দমতো নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী লেখাপড়া করতে পারবে। আগে চাপের কারণে একজন শিক্ষার্থী নিজের ক্ষমতার বাইরে যেকোন একটি বিষয় বাছাই করতো, আর যখন সে বুঝতে পারতো এর মাধ্যমে তার সমস্যা হচ্ছে তখন অনেক দেরি হয়ে যেতো। ফল এই দাঁড়াতো যে শিক্ষার্থী ক্লান্ত হয়ে পড়তো এবং সেই পাঠক্রম থেকে সরে আসতো। আমাদের দেশে এর ফলে কি ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, আমার ধারণা আমার থেকে আপনারা এই বিষয়টি খুব ভালোভাবে জানেন। জাতীয় শিক্ষানীতিতে এই সমস্যাগুলিরই সমাধান করা হয়েছে, অ্যাকাডেমিক ব্যাঙ্ক অফ ক্রেডিটের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের অনেক সুবিধা হবে।

সুধীবৃন্দ,

আত্মনির্ভর ভারত নির্মাণে যুব সম্প্রদায়কে দক্ষ করে তোলা অত্যন্ত জরুরি। কম বয়স থেকে কারিগরি শিক্ষা পেলে আমাদের যুব সম্প্রদায়ের ভবিষ্যত উন্নত হবে। হাতে-কলমে শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের যুব সম্প্রদায়ের কর্মক্ষমতা বাড়বে। যারফলে আন্তর্জাতিক চাকরির বাজারে তাঁদের অংশীদারিত্ব বেশি হবে। আমাদের এখানে বলা হয়- ‘আ নো ভদ্রাঃ ক্রতবো ইয়ন্তু বিশ্বতঃ’। অর্থাৎ ভালো চিন্তা-ভাবনা থেকে আসা জিনিসকে আমাদের গ্রহণ করা উচিত। ভারত প্রাচীনকাল থেকে বিশ্বব্যাপী জ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিচিত ছিল। ভারতে আমরা শিক্ষা ভিত্তিক একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছি। নতুন শিক্ষানীতি এই সংকল্পকে বাস্তবায়িত করার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

নতুন শিক্ষানীতির মাধ্যমে বিদেশে মেধা চলে যাওয়ার সমস্যার মোকাবিলা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং অতি সাধারণ পরিবারের যুবক-যুবতীরা যাতে আন্তর্জাতিক স্তরে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলিতে লেখাপড়া করার সুযোগ পায় তারজন্য ভারতে এইসব প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাস খোলার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। যখন দেশেই আন্তর্জাতিক স্তরের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানগুলির ক্যাম্পাস তৈরি হবে তখন লেখাপড়া করার জন্য বাইরে যাওয়ার প্রবণতা কমে যাবে আর আমাদের নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলি আরও প্রতিযোগীতামূলক পরিবেশে কাজ করবে। এর প্রথম একটি উদ্যোগ হল অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থা। যেখানে লেখাপড়া করার জন্য স্থানীয় হোক কিংবা আন্তর্জাতিক౼এ ধরণের পার্থক্য দূর হয়ে যাবে।

সুধীবৃন্দ,

এখন যেকোন পদ্ধতিতে এতো বেশি পরিবর্তন হচ্ছে যে যখন একটি নতুন ব্যবস্থা তৈরি করার দিকে আমরা এগোচ্ছি তখন কিছু সন্দেহ-আশঙ্কা মনের মধ্যে আসাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। মা-বাবাদের মনে হতে পারে যে ছেলেমেয়েরা যদি এতই স্বাধীনতা পায়, যদি বিভিন্ন বিভাগ উঠে যায় তাহলে ভবিষ্যতে কলেজে তারা ভর্তি হবে কিভাবে, তাদের ছেলেমেয়েদের ক্যারিয়ারের কি হবে? অধ্যাপক-অধ্যাপিকা, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগবে যে এই পরিবর্তনের জন্য তাঁরা কিভাবে প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ পাবেন? এই ধরণের পাঠক্রম কিভাবে সামলানো যাবে?

আপনাদের সকলের মনে অনেক প্রশ্ন আছে যা নিয়ে আপনারা আলোচনাও করছেন। এইসব প্রশ্নের বাস্তবায়নের জন্য অনেক আলোচনা হয়েছে। যেমন- পাঠক্রমগুলি কি রকমভাবে তৈরি হবে? আঞ্চলিক ভাষায় সিলেবাসের বিষয়বস্তু কিভাবে তৈরি হবে? লাইব্রেরি, ডিজিটাল এবং অনলাইনের বিষয়বস্তু ও লেখাপড়া করার বিষয়ে কেমন করে বিভিন্ন কাজকর্ম হবে? আমরা কি আমাদের লক্ষ্যগুলি পূরণ করতে সমস্যায় পড়বো না? প্রশাসনের বিষয়েও অনের রকমের প্রশ্ন আপনাদের মনে স্বাভাবিকভাবেই দেখা দেবে। এইসব প্রশ্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণও বটে।

এইসব প্রশ্নের উত্তরের জন্য আমরা সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করছি। শিক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নিরন্তর তথ্য দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যগুলির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকের বক্তব্য, প্রতিটি বিবেচনা, মতামতকে খোলা মনে শোনা হয়েছে। সর্বপরি আমাদের সকলকেই সমস্ত সন্দেহ এবং আশঙ্কা একসঙ্গে সমাধান করতে হবে। এই নীতি যে ধরণের নমনীয়তার সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে সেই নমনীয় মনোভাব নিয়ে সর্বাধিক বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও আমাদের সকলকে সচেষ্ট হতে হবে।

এই শিক্ষানীতি সরকারের শিক্ষানীতি নয়। এটি দেশের শিক্ষানীতি। যেমন বিদেশ নীতি কোনও সরকারের হয় না, দেশের জন্য বিদেশনীতি হয়, প্রতিরক্ষা নীতি কোনও সরকারের হয়না, দেশের জন্য প্রতিরক্ষা নীতি হয়, ঠিক একইভাবে শিক্ষানীতিও কোন সরকার ছিল, কার সরকার ছিল, কে ক্ষমতায় ছিল, কে ক্ষমতায় ছিল না, এর ওপর ভিত্তি করে চলে না, শিক্ষানীতি হল দেশের নীতি। আর এইজন্য ৩০ বছর ধরে অনেক সরকারই এসেছিল, ৩০ বছর পর এই সরকার কোনও বন্ধনে আবদ্ধ নেই। দেশের উচ্চাকাঙ্খার সঙ্গে এই সরকার যুক্ত হয়েছে।

সুধীবৃন্দ,

জাতীয় শিক্ষানীতিতে দ্রুত পরিবর্তনশীল সময়ের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে, ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে ব্যাপকভাবে তৈরি করা হয়েছে। আজ গ্রামে গ্রামে যেভাবে প্রযুক্তির বিস্তার হচ্ছে, দেশে দরিদ্রতম ব্যক্তি, বঞ্চিত, প্রান্তিক, উপজাতি গোষ্ঠীভুক্ত প্রত্যেক মানুষের কাছে যেভাবে প্রযুক্তি পৌঁছে যাচ্ছে সেইভাবে তথ্য এবং জ্ঞানের সামর্থ্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আজ আমি দেখতে পাই ভিডিও ব্লকের মাধ্যমে, ভিডিও স্ক্রিনিং সাইটগুলিতে অনেক যুবক-যুবতী চ্যানেল চালান, প্রতিটি বিষয়ে দুর্দান্ত কোচিং করান। যে বিষয়টা এর আগে গরিব ঘরের ছেলে-মেয়েরা কখনই ভাবতে পারতোনা। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আঞ্চলিক এবং সামাজিক অসাম্য দ্রুতহারে হ্রাস পাবে। আমাদের দায়িত্ব হল আমরা প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিটি কলেজকে প্রযুক্তির প্রয়োগ বেশি করে করতে উৎসাহিত করবো।

সুধীবৃন্দ,

যেকোন ব্যবস্থা তখনই কার্যকর এবং সর্বাঙ্গীন হবে যখন তার প্রশাসনিক কাজকর্ম আরও ভালো হবে। এই ভাবনা অনুযায়ী শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত প্রশাসনেও এই নীতি প্রতিফলিত হচ্ছে। চেষ্টা করা হচ্ছে উচ্চশিক্ষার সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি বিষয়ের পুঁথিগত দিক, পরিভাষাগত দিক, বৃত্তিমূলক দিক, শিক্ষার সব ধরণের বিষয়কে প্রকাশ্যে নিয়ে আসতে হবে। প্রশাসনিক নিয়মের বেড়াজাল যাতে কম করা যায় তার থেকে বেশি সমন্বয় সাধনের দিকে গুরুত্ব দিয়ে এই নীতির মাধ্যমে সেই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উচ্চশিক্ষায় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে আরও সরল করার জন্য এই নীতির মাধ্যমে সেটিকে বাস্তবায়িত করা হবে।

পর্যায়ক্রমে স্বায়ত্ত্বশাসনের ধারণার পিছনে এই উদ্যোগ নেওয়া হবে যেখানে প্রতিটি কলেজ, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতায় উৎসাহ দেওয়া হবে, যেসব প্রতিষ্ঠান ভালো করবে তাদের পুরস্কৃত করা হবে। আর আমরা এখন এই জাতীয় শিক্ষানীতিকে সঠিকভাবে বাস্তবায়িত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আমি চাইবো আপনারা সকলে ২৫শে সেপ্টেম্বরের আগে আপনাদের রাজ্যে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এ ধরণের ভার্চুয়াল কনফারেন্স আরও বেশি করে আয়োজন করুন। জাতীয় শিক্ষানীতির বিষয়ে বোঝানোর জন্য নিরলসভাবে উদ্যোগী হোন, আমরা যাতে আরও ভালোভাবে বিষয়টি বুঝতে পারি সেই চেষ্টাই করা উচিত। আবারও সময় বের করার জন্য আমি আপনাদের প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

আমি শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রপতি জি কে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

ধন্যবাদ !!!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।