Dedicates to nation important sections of Vadodara Mumbai Expressway
Dedicates two new Pressurized Heavy Water Reactors at Kakrapar Atomic Power Station: KAPS-3 and KAPS-4
Initiates commencement of work for construction of PM MITRA Park in Navsari
Lays foundation stone for several development projects of Surat Municipal Corporation, Surat Urban Development Authority, and Dream City
Lays foundation stone for road, rail education and water supply projects
“It's always a great feeling to be in Navsari. The inauguration and launch of various projects will strengthen Gujarat's development journey”
“Modi’s guarantee begins where hope from others ceases to exist”
"Whether poor or middle-class, rural or urban, our government's effort is to improve the standard of living for every citizen"
“Today, excellent connectivity infrastructure is being built even in small cities of the country”
“Today, the world recognizes Digital India”

ভারতমাতা কি – জয়!

ভারতমাতা কি – জয়!

গুজরাটের লোকপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল, রাজ্য সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্যরা, সংসদে আমার সহকর্মীরা, এই অঞ্চলের প্রতিনিধিরা, গুজরাটে ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি সি আর পাতিল, মাননীয় সাংসদ ও বিধায়করা, আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনারা কেমন আছেন?

আজ গুজরাটে এটি আমার তৃতীয় অনুষ্ঠান। এর আগে সকালে আমি আমেদাবাদে গুজরাটের বিভিন্ন প্রান্তের পশুপালন ও ডেয়ারি শিল্পের সঙ্গে জড়িত লক্ষ লক্ষ মানুষের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছি। এরপর, মেহসানায় বালিনাথ মন্দিরের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি। আর এখন নাভসারিতে আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি। ভূপেন্দ্রভাই যেমনটা বলছিলেন, সম্ভবত স্বাধীনতার পর এই প্রথমবার গুজরাটে একবারে এত টাকার উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে। আমি আপনাদের সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি নিজেদের মোবাইল ফোন বের করে তার ফ্লাসলাইট জ্বালিয়ে বিকাশ উৎসবে যোগ দিয়ে একসঙ্গে ভারত মাতা কি জয় বলুন। এই মুহূর্তটিকে চিরন্তর করে রাখি। আজ মনে হচ্ছে যেন নাভসারিতে হীরকদ্যুতি বিচ্ছুরিত হচ্ছে। সম্প্রতি বদদরা, নাভসারি, ভারুচ, সুরাট এবং অন্যান্য এলাকায় হাজার হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। এই সব প্রকল্পের জন্য আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন। 

 

বন্ধুরা,

দেশজুড়ে সংসদে এবং পথেঘাটে এখন মোদীর গ্যারান্টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। প্রতিটি নাগরিক স্বীকার করছেন যে মোদী যে প্রতিশ্রুতি দেয় তা রক্ষা করে। দেশের অন্যান্য অংশের মানুষদের কাছে এটা নতুন হলেও গুজরাটের মানুষ জানেন মোদীর কথার দাম কতটা। মোদীর গ্যারান্টি মানে গ্যারান্টি পূর্ণ হওয়ার গ্যারান্টি। আপনাদের মনে আছে তো, আমি যখন গুজরাটে ছিলাম, তখন প্রায়ই পাঁচটা এফ-এর কথা বলতাম। এই পাঁচটা এফ হল – ফার্ম থেকে ফাইবার, ফাইবার থেকে ফ্যাক্টারি, ফ্যাক্টারি থেকে ফ্যাশন, ফ্যাশন থেকে ফরেনের দিকে যাত্রা। অর্থাৎ কৃষক তুলো চাষ করবেন, সেই তুলো কারখানায় যাবে, কারখানাতে সুতো তৈরি হবে, তার থেকে পোশাক হবে এবং সেই পোশাক বিদেশে রপ্তানি হবে। 

আমার লক্ষ্য হল, বস্ত্র শিল্প ক্ষেত্রে একটা সম্পূর্ণ সরবরাহ মূল্যশৃঙ্খল গড়ে তোলা। এটা হবে তো? আজ স্বনির্ভর ভারত গড়ে তুলতে আমরা এইসব নীতি রূপায়ণ করছি। নাভসারিতে পিএম মিত্র পার্ক-এর উদ্বোধন হয়েছে। সারা দেশে বস্ত্র শিল্পে এমন উদ্যোগ এই প্রথম। এর ফলে, বস্ত্র শিল্পের উন্নতি হবে। বস্ত্র রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারতের ভাগ বাড়বে। 

বন্ধুরা, 

সুরাট সিল্ক সিটি বর্তমানে নাভসারি পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে। ভারত বস্ত্রশিল্পে বিশ্বের বৃহত্তম উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের চ্যালেঞ্জ জানাতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে গুজরাটের বস্ত্রশিল্পের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। পিএম মিত্র পার্কের মাধ্যমে এই সম্পূর্ণ এলাকার চালচিত্র বদলে যাবে। শুধুমাত্র এই পার্কের নির্মাণে ৩০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এখানে একটি মূল্যশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে, যার মধ্যে সুতো তৈরি, তাঁত বোনা, পোশাক তৈরি, বস্ত্রশিল্পের যন্ত্রপাতি সবকিছু থাকবে। এর ফলে, হাজার হাজার কারিগর ও শ্রমিকের কাজের সুযোগ তৈরি হবে। এছাড়া এই পার্কে আবাসন, লজিস্টিক্স পার্ক, গুদামজাতকরণের সুবিধা, স্বাস্থ্য পরিষেবার সুবিধা, শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়নের ব্যবস্থা সবই থাকবে। এই পার্কের মাধ্যমে আশপাশের গ্রামগুলিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বাড়বে স্বনির্ভরতার সুযোগও। 

 

বন্ধুরা, 

আজ সুরাটে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প শুরু হতে চলেছে। তাপি নদীর ওপর ৮০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এর ফলে, বহু বছর ধরে সুরাটে জল সঙ্কটের সমস্যার সমাধান হবে। বন্যার আশঙ্কাও কমবে। 

বন্ধুরা, 

সামাজিক জীবন ও শিল্পোন্নয়নের ক্ষেত্রে বিদ্যুতের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ গুজরাট তা জানে। ২০-২৫ বছর আগে গুজরাটে প্রায়শো লোডশেডিং হতো। আজ যাদের ২৫-৩০ বছর বয়স, তারা জানেই না, আমাদের কত অন্ধকার সময় কাটাতে হয়েছে। আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন মানুষ বিদ্যুতের দাবি নিয়ে আমারি কাছে আসতেন। বিশেষ করে খাওয়ার সময় কারেন্ট থাকতো না। সেই সময় বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বহু চ্যালেঞ্জ ছিল। কয়লা আনতে হতো বহু দূর থেকে। অনেক সময় দেশের বাইরে থেকে আমদানি করতে হতো। জল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন লাভজনক ছিল না। এই সব সমস্যার মধ্যে গুজরাটের উন্নয়ন অসম্ভব বলে মনে হতো। কিন্তু এগুলি অতিক্রম করার ক্ষেত্রে মোদী দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ছিল। আজ আমরা আধুনিক প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে গুজরাটের বিদ্যুৎ সঙ্কট কাটিয়ে উঠেছি। সৌর ও বায়ু শক্তির ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। 

বন্ধুরা, 

একবিংশ শতাব্দীর ভারতে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে পরমাণু প্রকল্পগুলির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি আরও সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। আজ তাপিতে কাকড়াপাড় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আরও দুটি চু্ল্লি চালু হল। এগুলি মেড ইন ইন্ডিয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে। আসুন আরও একবার গলা মিলিয়ে বলি – ভারত মাতা কি জয়! প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার দিকে ভারতের যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে, গুজরাটে বিদ্যুতের সরবরাহ আরও বাড়বে, এখানকার শিল্প আরও বিকাশ লাভ করবে। 

বন্ধুরা, 

নাভসারি হোক বা ভালসাদ – দক্ষিণ গুজরাট অঞ্চল এক নজিরবিহীন উন্নয়নের মধ্য দিয়ে চলেছে। ধারাবাহিক ভাবে  এখানকার পরিকাঠামোর উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। গুজরাটিরা আর্থিক বিষয়ে তাঁদের দক্ষতার জন্য পরিচিত। হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রে তাঁদের জুরি নেই। আজ মোদী আর এক নিশ্চয়তা দিচ্ছে। ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের নিশ্চয়তা। এর নাম পিএম সূর্যঘর। এই প্রকল্পের আওতায় ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিনামূল্যে দেওয়া হবে। এতে বাড়ির এসি, পাখা, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন – যাকিছু একটি মধ্যবিত্ত বাড়িতে থাকে, সবই চলবে। সরকার প্রতিটি বাড়ির ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর জন্য অর্থের ব্যবস্থা করবে, এজন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ দেওয়া হবে। আপনি যদি ৩০০ ইউনিটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করেন, তাহলে উদবিত্ত বিদ্যুৎ সরকার আপনার কাছ থেকে কিনে নেবে। আপনার অতিরিক্ত উপার্জন হবে। এটা মোদীর গ্যারান্টি। দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন এখানন থেকেই যাবে। এই ট্রেন মুম্বাই এবং সুরাটের মধ্যে চলাচল করবে। 

 

বন্ধুরা, 

শিল্পোন্নয়নের জন্য নাভসারি আজ সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে। তবে, নাভসারি সহ সমগ্র দক্ষিণ গুজরাট অঞ্চল কৃষি কাজেও যথেষ্ট অগ্রসর। বিজেপি সরকার যখন এখানকার কৃষকদের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে, তখন থেকে এখানকার ফল উৎপাদন উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। এখানকার হাপুস আম, ভালসাদ আম এবং নাভসারি চিকু সারি বিশ্বে বিখ্যাত। আমি যেখানেই যাই মানুষ এই ফলগুলির কথা বলেন। ডবল ইঞ্জিন সরকার প্রতিটি পদক্ষেপে কৃষকদের পাশে রয়েছে। পিএম কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে সাড়ে ৩০০ কোটিরও বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। এতে নাভসারির কৃষকরা উপকৃত হয়েছেন। 

বন্ধুরা, 

মোদী দেশজুড়ে গরীব, কৃষক, যুবসমাজ ও মহিলাদের ক্ষমতায়নের অঙ্গীকার করেছে। এই অঙ্গীকার শুধুমাত্র প্রকল্প ঘোষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। প্রতিটি মানুষ যাতে এই সব প্রকল্পের পূর্ণ সুবিধা পান, সরকার তাও সুনিশ্চিত করছে। দেশের প্রতিটি পরিবার থেকে দারিদ্র ও বঞ্চনা নির্মূল করতে মোদী অঙ্গীকারবদ্ধ। সেজন্য সরকার সক্রিয় ভাবে সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছোচ্ছে। তাদের চিহ্নিত করছে এবং তাদের কাছে প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দিচ্ছে। 

বন্ধুরা, 

বছরের পর বছর ধরে কংগ্রেস সরকার সারা দেশে এবং গুজরাটে উপজাতীয় এলাকা এবং উপকূলবর্তী গ্রামগুলিকে উপেক্ষা করে এসেছে। গুজরাটে বিজেপি সরকার উমেরগ্রাম থেকে অম্বাজি পর্যন্ত সমগ্র উপজাতীয় এলাকায় কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দিয়েছে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশের ১০০টিরও বেশি জেলা অনুন্নত ছিল। এর মধ্যে বহু জেলাই উপজাতি অধ্যুষিত। গত এক দশকে অ্যাসপিরেশনাল ডিসট্রিক্ট কর্মসূচিতে এইসব অবহেলিত জেলার প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। 

ভাই ও বোনেরা, 

এই প্রথম দেশের গরীব মানুষ মোদীর গ্যারান্টির জন্য পাকা বাড়ি পাচ্ছেন। মোদীর গ্যারান্টির জন্য তাঁদের খিদে নিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে না। প্রত্যন্ত গ্রামেও বিদ্যুৎ ও নলবাহিত জল পৌঁছে যাচ্ছে মোদীর গ্যারান্টির জন্য। গরীব, কৃষক, দোকানদার ও শ্রমিকরা কখনই ভাবতেই পারেননি, যে তাঁদের জন্য বিমা ও পেনশন যোজনা থাকতে পারে। আজ মোদীর গ্যারান্টির জন্য এগুলি বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এই সবকিছুই মোদীর গ্যারান্টির জন্য। 

 

বন্ধুরা, 

সিকলসেল অ্যানিমিয়া উপজাতীয় এলাকাগুলিতে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি এই রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। এখন জাতীয় স্তরেও এই রোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সিকলসেল অ্যানিমিয়া নির্মূলের লক্ষ্যে একটি জাতীয় মিশন চালু হয়েছে। যেখানে এই রোগে আক্রান্তদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই অঞ্চলে একটি মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

বন্ধুরা, 

আপনি গরীব হোন বা মধ্যবিত্ত, গ্রামে থাকুন বা শহরে – আমাদের সরকার প্রতিটি নাগরিকের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে উদ্যোগী। কংগ্রেস আমলে ভারত বিশ্ব অর্থনীতিতে একাদশতম স্থানে ছিল। আজ তা পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। ভারতীয় নাগরিকদের হাতে আজ উদবৃত্ত অর্থ রয়েছে, যা তাঁরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচ করতে পারছেন। ছোট ছোট শহরগুলিকেও সংযুক্ত করে এক শক্তিশালী সংযোগ পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। কংগ্রেস সরকার শহরে বস্তিগুলিকে আলাদা করার চেষ্টা করেছিল, আমরা বস্তিতে পাকা বাড়ি গড়ে দিচ্ছি। গত এক দশকে চার কোটিরও বেশি পাকা বাড়ি গড়ে তোলা হয়েছে। 

 

বন্ধুরা, 

আজ ডিজাটাল ইন্ডিয়া সারা বিশ্বে সমাদৃত। এই কর্মসূচিকে কংগ্রেস একসময় উপহাস করেছিল। ডিজিটাল ইন্ডিয়া ছোট শহরগুলিতে বিপ্লব এনে দিয়েছে। নতুন স্টার্টআপ-এর বিকাশে উৎসাহ যুগিয়েছে। যুবসমাজকে ক্রীড়া ক্ষেত্রে উৎসাহিত করেছে। গুজরাটের ছোট ছোট শহরে আজ এক নব্য মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্ম হয়েছে। যারা ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি হয়ে ওঠার দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। 

ভাই ও বোনেরা,

বিজেপি সরকার যেমন উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়, তেমনি ঐতিহ্য সংরক্ষণেও প্রয়াসী হয়। স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে জাতি গঠন – এই অঞ্চলের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু সজনপোষণ, তুষ্টিকরণ ও দুর্নীতি যখন রাজনীতির ওপর ছায়া ফেলে, তখন ঐতিহ্য অবহেলিত হয়। দশকের পর দশক ধরে কংগ্রেস এই অন্যায় করে গেছে। আজ ভারতের সমৃদ্ধ ঐতিহ্য সারা বিশ্বে সমাদৃত হচ্ছে। আপনি যেখানেই যাবেন মানুষ আপনার থেকে ভারতের সম্পর্কে জানতে চাইবেন। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মহাত্মা গান্ধী নুন ও খাদিকে স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস এগুলিকে অবহেলা করেছে। আমাদের সরকার দান্ডি সত্যাগ্রহের জায়গায় স্মারকস্থল নির্মাণ করেছে। সর্দার প্যাটেলের অবদানের স্বীকৃতিতে নির্মিত হয়েছে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি। অথচ কোন শীর্ষ স্থানীয় কংগ্রেস নেতা এই সব স্থানে গিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেননি। কোন গুজরাটী গুজরাটের প্রতি এই অশ্রদ্ধা মেনে নেবেন না। 

বন্ধুরা, 

আপনারা দেখেছেন কংগ্রেস কিভাবে মোদীকে জাতপাত নিয়ে অপমান করেছে। কিন্তু তারা জানে না তারা যত অসম্মান করবে, আমাদের ৪০০ আসন লাভের সংকল্প তত সুদৃঢ় হবে। তারা যত কাদা ছুঁড়বে, তত বেশি করে পদ্ম ফুটে উঠবে। 

 

ভাই ও বোনেরা,

আজ কংগ্রেস সামনের দিকে তাকাতে ভুলে গেছে। মোদীর সমালোচনা ছাড়া তারা কিছুই জানে না। একটা দল যখন কোন একটি পরিবারের স্বার্থ রক্ষায় মগ্ন হয়ে থাকে, তখন তাদের এই দশাই হয়। অন্যদিকে বিজেপি আগামী ২৫ বছরের সার্বিক পথনির্দেশিকা প্রস্তুত করেছে। জাতীয় উন্নয়নের দৃষ্টিভঙ্গী সবার সামনে রেখেছে। আগামী ২৫ বছরে আমরা বিকশিত গুজরাট ও বিকশিত ভারত গড়াই আমাদের লক্ষ্য। 

বন্ধুরা,

আপনারা এত মানুষ আজ এসেছেন, যার মধ্যে বিপুল সংখ্যক মা ও বোনেরা রয়েছেন, এতে আমি কৃতজ্ঞ। আমি আপনাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আরও একবার এই সব উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য আপনাদের অভিনন্দন জানাই। আমার সঙ্গে বলুন – ভারত মাতা কি – জয়! 

দু-হাত তুলে বলুন -


ভারত মাতা কি – জয়!

ভারত মাতা কি – জয়!

ভারত মাতা কি – জয়!

আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।