Quoteরাজসামান্দ ও উদয়পুরে দুই লেনবিশিষ্ট সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
Quoteউদয়পুর রেল স্টেশনের পুনরুন্নয়ন এবং গেজ পরিবর্তন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
Quoteতিনটি জাতীয় মহাসড়ক প্রকল্পের উদ্বোধন
Quoteএর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার হবে এবং এলাকার মানুষের আর্থ-সামাজিক বিকাশ সম্ভব হবে।
Quoteদিনের শুরুতে নাথদ্বারে শ্রীনাথজি মন্দিরে পুজো ও দর্শনের কথা স্মরণ করে ‘আজাদি কা অমৃতকাল’-এ ‘বিকশিত ভারত’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাঁর আশীর্বাদ পাথেয় হবে বলে তিনি জানান।
Quoteএর ফলে মার্বেল, গ্র্যানাইট এবং খনি শিল্পক্ষেত্র প্রভূত উপকৃত হবে তিনি জানান।
Quoteতিনি বলেন, ভারত সরকারের এই সমস্ত প্রকল্প অর্থনীতিকে নতুন শক্তি যোগাচ্ছে।
Quoteতিনি বলেন, আজ দেশের বেশিরভাগ গ্রামই পাকা সড়ক দ্বারা সংযুক্ত।
Quoteশ্রী মোদী বলেন, সেদিন আর দূরে নেই যখন রাজস্থানের ১০০ শতাংশ রেলপথই বৈদ্যুতিকরণ হয়ে যাবে।
Quoteসেবার মনোভাব নিয়ে সরকার কাজ করে চলেছে। সরকারের অগ্রাধিকার হল সাধারণ মানুষের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য বিধান – একথা বলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণ শেষ করেন।

ভগবান শ্রী নাথজির জয় হোক!

রাজস্থানের মাননীয় রাজ্যপাল শ্রী কলরাজ মিশ্রজি, আমার বন্ধু মুখ্যমন্ত্রী শ্রী অশোক গেহলতজি, রাজস্থান রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ শ্রী সি পি  যোশীজি, রাজ্য সরকারের মন্ত্রী শ্রী ভজনলাল জাতভজি, সংসদে আমার সহকর্মী এবং রাজস্থান রাজ্য ভারতীয় জনতা পার্টির সভাপতি শ্রী চন্দ্রপ্রকাশ যোশীজি, অন্যান্য সংসদের সহকর্মীগণ, ভগিনী দিয়াকুমারীজি, শ্রী কনকমল কাটারাজি, শ্রী অর্জুনলাল মিনাজি, অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আর আমার রাজস্থানের প্রিয় ভাই ও বোনেরা।

ভগবান শ্রী নাথ জি এবং মেবারের এই বীর ভূমিতে আমি আর একবার আপনাদের মধ্যে আসার সুযোগ পেলাম। এখানে আসার আগে আমার ভগবান শ্রী নাথ জি-কে দর্শনের সৌভাগ্য হয়েছে। আমি এই স্বাধীনতার অমৃতকালে একটি উন্নত ভারতের সংকল্প বাস্তবায়নের জন্য শ্রী নাথ জি-র কাছে আশীর্বাদ চেয়েছি।

বন্ধুগণ,

আজ এখানে ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগে গড়ে ওঠেছে অথবা গড়ে তোলা হবে -  রাজস্থানের উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত এমন সব প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে। এই প্রকল্পগুলি রাজস্থানের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে নতুন উচ্চতা প্রদান করবে। উদয়পুর এবং শামলাজির মধ্যে ৮ নম্বর জাতীয় মহাসড়ককে ৬ লেন বিশিষ্ট করে গড়ে তোলার মাধ্যমে উদয়পুর-ডুঙ্গরপুর এবং বাঁশওয়াড়া এলাকার মানুষ অনেক লাভবান হবেন। এর ফলে শামলাজি এবং কায়া শহরের মধ্যে দূরত্ব অনেকটাই হ্রাস পাবে। বিলাড়া এবং যোধপুরের মধ্যেও দূরত্ব কমবে, আর জয়পুর ও যোধপুরের মধ্যে যাতায়াতের সময়ও তিন ঘণ্টা কমবে। চারভূজা আর ‘নিচলি ওডন’-এ নির্মিয়মান প্রকল্পের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট কুমভলগড়, হদলিঘাটি এবং শ্রী নাথ জি-র দর্শন অনেক সহজ হয়ে উঠবে। শ্রীনাথদ্বারা থেকে দেবগড় মদারিয়াগামী রেল লাইন মেবাড়ের সঙ্গে মাড়োয়ারের মেলবন্ধন ঘটাবে। এর ফলে মার্বেল, গ্রানাইট এবং খনি শিল্প ও বাণিজ্য অনেক উপকৃত হবে। আমি সমস্ত রাজস্থানবাসীদের এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলির জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

 

|

ভাই ও বোনেরা,

রাজ্যের উন্নয়নের মাধ্যমেই দেশের উন্নয়ন সম্ভব- বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার এই মন্ত্রে বিশ্বাস করে। রাজস্থান দেশের সর্ববৃহৎ রাজ্যগুলির অন্যতম। রাজস্থান ভারতের শৌর্য, ভারতের ঐতিহ্য, ভারতীয় সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। রাজস্থান যত উন্নত হবে ততই ভারতের উন্নয়নের গতিও বাড়বে। আর সেজন্য আমাদের সরকার রাজস্থানে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলার ওপর সব থেকে বেশি জোর দিচ্ছে। আর যখন আমি আধুনিক পরিকাঠামোর কথা বলি, তখন এর মানে শুধুই রেল আর সড়কপথে সম্পূর্ণ হয়না। আধুনিক পরিকাঠামো মানে শহর এবং গ্রামগুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির মাধ্যমে উভয়ের মধ্যে দূরত্ব হ্রাস করা। আধুনিক পরিকাঠামো সমাজে অনেক সুবিধা বাড়িয়ে তোলে, সমাজকে অনেক বেশি যুক্ত করে। আধুনিক পরিকাঠামো ডিজিটাল পরিষেবাগুলিকে সম্প্রসারিত করে। মানুষের জীবন আরও সহজ করে তোলে। আধুনিক পরিকাঠামো, ঐতিহ্যকে উৎসাহ প্রদানের পাশাপাশি উন্নয়নকে গতিপ্রদান করে। যখন আমরা আগামী ২৫ বছরে উন্নত ভারত গড়ে তোলার সংকল্পের কথা বলি,  তখন এর প্রস্তুতির নিরিখে এই মৌলিক  পরিকাঠামো উন্নয়ন একটি নতুন শক্তি হয়ে বিকশিত হচ্ছে। আজ দেশে প্রত্যেক ধরনের পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব বিনিয়োগ হচ্ছে, অভূতপূর্ব গতিতে কাজ এগিয়ে চলেছে। রেলপথ থেকে শুরু করে সড়কপথ, বিমান বন্দর থেকে শুরু করে জলপথ, প্রত্যেক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। এ বছরের বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার পরিকাঠামো খাতে ১০ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বন্ধুগণ,

যখন পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে এতো বেশি পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ হয় তখন তার প্রত্যক্ষ প্রভাবে সেই এলাকা অনেক উন্নত হয়ে ওঠে, সেই এলাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়ে। যখন নতুন নতুন সড়কপথ গড়ে ওঠে, রেললাইন পাতা হয়, যখন গ্রামে গ্রামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে কোটি কোটি গৃহহীনদের জন্য বাড়ি তৈরি হয়, কোটি কোটি শৌচালয় নির্মিত হয়, যখন গ্রামে গ্রামে কয়েক লক্ষ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবারের জাল বিস্তৃত হয়, প্রত্যেক বাড়িতে নলের মাধ্যমে পরিশ্রত জল সরবরাহের ব্যবস্থা হয়, তখন এই পরিকাঠামো উন্নয়ন স্থানীয় অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগীদের উৎসাহিত করে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সমস্ত প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করেন, সেই এলাকার শ্রমিকরাও অনেক লাভবান হন। আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্পগুলি দেশের অর্থ ব্যবস্থাকে একটি নতুন গতি প্রদান করেছে।

কিন্তু বন্ধুগণ,

আমাদের দেশে কিছু মানুষ এমন বিকৃত ভাবধারার শিকার হয়েছেন যা নেতিবাচকতায় পরিপূর্ণ। তাঁরা দেশের কোনো কিছু ভালো হোক , তা দেখতে চায় না। তাঁরা শুধুই কলহ ভালোবাসেন। আপনারা হয়তো শুনেছেন যে কেউ কেউ উপদেশ দিচ্ছেন, ‘আটা আগে না ডেটা আগে?’ ‘সড়ক আগে না স্যাটালাইট আগে?’ কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী যে স্থায়ী ও দ্রুত উন্নয়নের জন্য মূল ব্যবস্থার পাশাপাশি আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণও অত্যন্ত প্রয়োজন। যাঁরা প্রতি পদক্ষেপে সমস্ত কিছুকে ভোটের দাঁড়িপাল্লায় মাপেন, তাঁরা কখনও দেশের ভবিষ্যৎকে মাথায় রেখে প্রকল্প রচনা করতে পারেন না।

 

|

আমরা অনেকবার দেখেছি, গ্রামে জলের ট্যাঙ্ক তৈরি হয়েছে কিন্তু সেটা ৪-৫ বছরের মধ্যে গ্রামের প্রয়োজনের তুলনায় ছোট হয়ে গেছে। অনেক সড়ক কিংবা উড়ালপুল এমন গড়ে উঠেছে যা ৪-৫ বছরেই অপর্যাপ্ত প্রতিপন্ন হয়েছে। আমাদের দেশে এই ধরনের ভাবনার কারনেই পরিকাঠামো নির্মাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি। এর ফলে দেশের অনেক ক্ষতি হয়েছে। যদি আগে থেকেই পর্যাপ্ত সংখ্যক মেডিক্যাল কলেজ গড়ে উঠতো, তাহলে আজ দেশে চিকিৎসকের সংখ্যা এতো অপর্যাপ্ত থাকতো না। যদি আগে থেকেই বেশি করে রেল লাইনের বৈদ্যুতিকীকরণ করা হত তাহলে আজ হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে আমাদের এই কাজ করানোর প্রয়োজন হত না। যদি আগে থেকেই প্রত্যেক বাড়িতে নলের মাধ্যমে পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা হত তাহলে আজ আমাদের সাড়ে ৩ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে জল জীবন মিশন শুরু করতে হত না। যাঁরা নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে চলেন, তাঁদের দূরদৃষ্টি থাকে না, আর তাঁরা রাজনৈতিক স্বার্থের ওপরে উঠে কোনও কিছু ভাবতেও পারেন না।

আপনারা ভাবুন, আজ ‘নাথদ্বারার জীবনরেখা’ বলা হয় যে নন্দসমন্দ বাঁধ অথবা টাঁটোল বাঁধকে, দেরিতে হলেও সেগুলি যদি নির্মিত না হত তাহলে কী হত? রাজস্থান এবং গুজরাটের জনগণের মুখে মুখে যে লাখা বাঞ্জারার নাম বার বার উচ্চারিত হয়, জলের জন্য যে লাখা বাঞ্জারা তাঁর জীবন উৎসর্গ করে গেছেন, আজ পরিস্থিতি এমন যে, কাউকে জিজ্ঞাসা করুন যে জলের জন্য চারিদিকে এত বাওলি (চারিদিকে সিঁড়ি কাটা গভীর কুয়ো) কে তৈরি করিয়েছেন?  তাহলে সবাই এক কথায় জবাব দেবেন -  লাখা বাঞ্জারা। তেমনি অমুক সরোবর, তমুক সরোবর কে কাটিয়েছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে দক্ষিণ রাজস্থান ও উত্তর গুজরাটেও সকলের মুখে একটাই নাম উঠে আসে - লাখা বাঞ্জারা। তার মানে প্রত্যেকেই ভাবেন যে, জলের সমস্যার যদি কেউ সমাধান করতে পারে তাহলে তিনি হলেন লাখা বাঞ্জারা। কিন্তু আজ সমস্যা এমন যে এ রকম কোনো লাখা বাঞ্জারাকেও নির্বাচনে প্রার্থী করলে নেতিবাচক ভাবনা সম্পন্ন ব্যক্তিরা তাঁকে হারানোর জন্যও মাঠে নামবেন। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রেও এই রাজনৈতিক দলগুলি ঐক্যবদ্ধ হবে।

বন্ধুগণ,

যথা সময়ে দূরদৃষ্টি নিয়ে পরিকাঠামো না গড়ে তোলায় রাজস্থানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই মরুভূমিতে যোগাযোগের অভাবে যাতায়াতের কতো সমস্যা ছিল তা আপনারা ভালোভাবেই জানেন। এই সমস্যা শুধু যাতায়াতে সীমাবদ্ধ ছিল না, এর মাধ্যমে চাষবাস, ব্যবসা-বাণিজ্য সব ক্ষেত্রেই অনেক প্রতিকূলতা ছিল। আপনারা দেখুন, ২০০০ সালে অটলজির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা শুরু করেছিল। তার পর থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ৩ লক্ষ ৮০ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক তৈরি করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও দেশের লক্ষ লক্ষ গ্রাম এ রকম ছিল যেগুলিতে সড়ক পথ পৌঁছায়নি। ২০১৪ সালে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব নিয়ে সংকল্প গ্রহণ করি যে প্রত্যেক গ্রামে পাকা সড়ক পৌঁছে দেবই। বিগত ৯ বছরে আমরা প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ কিলোমিটার নতুন সড়কপথ নির্মাণ করেছি। এর মধ্যে ৭০ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি সড়ক আমাদের এই রাজস্থানের গ্রামগুলিকে জুড়েছে। ইতিমধ্যেই দেশের অধিকাংশ গ্রামকে পাকা সড়ক পথের মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে। আপনারা কল্পনা করুন যদি এ কাজ আগে করা হত তাহলে গ্রাম, মফস্বলে বসবাসকারী আমাদের কোটি কোটি ভাই-বোনের জীবন কতো সহজ হত।

 

|

বন্ধুগণ,

বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার গ্রামে গ্রামে সড়ক পথ পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি শহরগুলিকেও আধুনিক মহাসড়কের মাধ্যমে যুক্ত করার কাজ করে চলেছে। ২০১৪ সালের আগে দেশে যে গতিতে জাতীয় মহাসড়ক নির্মিত হচ্ছিল, তার পর থেকে এর গতি প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এর ফলে রাজস্থানের অনেক জেলাও লাভবান হয়েছে। কিছুদিন আগেই আমি দৌসা-য় দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের একটি প্রধান অংশ জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেছি।

ভাই ও বোনেরা,

আজকের ভারতের সমাজ উচ্চাকাঙ্খী ও প্রত্যাশী সমাজ। আজ একবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকে মানুষ কম সময়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে চান, কম সময়ে বেশি পরিষেবা পেতে চান। সরকারের দায়িত্ব সামলানোর ফলে এটা আমাদের সকলের কর্তব্য যে, ভারতের জনগণের এই আকাঙ্খাকে, রাজস্থানের জনগণের এই আকাঙ্খাকে বাস্তবায়িত করা। আমরা সবাই জানি যে সড়কের পাশাপাশি দ্রুত যাতায়াতের জন্য রেল যোগাযোগ কতটা প্রয়োজন। এমনকি গরিব বা মধ্যবিত্তদেরও সপরিবারে কোথাও যেতে হলে  - তাঁদের প্রথম পছন্দ হয় রেল যাত্রা। সেজন্য আজ আমরা অনেক দশক পুরনো রেল নেটওয়ার্ককে সংস্কার করে আধুনিক করে তুলছি। আধুনিক রেলগাড়ি, আধুনিক রেল স্টেশন এবং আধুনিক রেলপথ - আমরা প্রত্যেক স্তরেই একসঙ্গে সমস্ত দিকে কাজ করে চলেছি। আজ রাজস্থানও তার প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেল। এখানে মাউলি-মারোয়াড় রেলপথে গেজ পরিবর্তনের দাবি দীর্ঘদিনের। এতদিনে তা বাস্তবায়িত হয়েছে। এভাবেই আমেদাবাদ-উদয়পুরের মধ্যে পুরো রেলপথকে ব্রডগেজে পরিবর্তনের কাজও কয়েক মাস আগে সম্পূর্ণ হয়েছে। এই নতুন পথে যে রেলগাড়িগুলি চলছে, সেগুলি উদয়পুর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জনগণের জীবনের গতিকে নিঃসন্দেহে বাড়িয়ে দিয়েছে।

বন্ধুগণ,

দেশের সমগ্র রেল নেটওয়ার্ককে মানব বিহীন রেলগেট মুক্ত করার পর আমরা এখন দ্রুত গতিতে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কের বৈদ্যুতিকীকরণ করছি। আর আপনাদের উদয়পুর রেল স্টেশনের মতোই দেশের শত শত রেল স্টেশনকে আধুনিক পরিষেবাসম্পন্ন করে গড়ে তুলছি, সেগুলির ক্ষমতা বাড়াচ্ছি। আর এ সবের পাশাপাশি আমরা মালগাড়ির জন্য স্বতন্ত্র রেলপথ, ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর গড়ে তুলছি।

বন্ধুগণ,

গত ৯ বছরে কেন্দ্রীয় রেল বাজেটে রাজস্থানের জন্য বরাদ্দ ১৪ গুণ বেড়েছে। এই রাজ্যের প্রায় ৭৫ শতাংশ রেল নেটওয়ার্কে বৈদ্যুতিকীকরণ সম্পূর্ণ হয়েছে। আর গেজ পরিবর্তন ও ডাবল লাইন পাতার ফলে ডুঙ্গরপুর, উদয়পুর, চিতোর, বালি, সিরোহি এবং রাজসমন্দ-এর মতো জেলার মানুষরা উপকৃত হয়েছেন। সেদিন আর দুরে নয় যখন রাজস্থানে ১০০ শতাংশ রেললাইন বৈদ্যুতিকরণ হয়ে যাবে।

 

|

ভাই ও বোনেরা,

রাজস্থানের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এখানকার পর্যটন শিল্পকে উন্নত করছে। আমাদের তীর্থস্থানগুলি অনেক লাভবান হচ্ছে। মেবাড়ের এই এলাকা ঐতিহাসিক হলদিঘাটি এলাকা। দেশ রক্ষার খাতিরে রাণা প্রতাপের শৌর্য্য, ভামা শাহের সমর্পণ আর বীরাঙ্গনা ধাত্রী পান্নার ত্যাগের গাঁথা এই ভূমির প্রতিটি কণায় রয়েছে। গতকালই সমগ্র দেশ মহারাণা প্রতাপজির জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে তাঁকে পবিত্র মনে স্মরণ করেছে। আমাদের ঐতিহ্যের এই পুঁজিকে দেশও বিশ্বের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেজন্য আজ কেন্দ্রীয় সরকার নিজেদের ঐতিহ্যের বিকাশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন সার্কিট গড়ে তোলার কাজ করছে। কৃষ্ণ সার্কিটের মাধ্যমে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে জড়িত তীর্থস্থানগুলিকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করা হচ্ছে। আমাদের রাজস্থানেও গোবিন্দ দেবজি, খাটুশ্যামজি এবং শ্রীনাথ জির দর্শনকে সহজ করে তুলতে কৃষ্ণ সার্কিট বিকশিত করা হচ্ছে।

ভাই ও বোনেরা,

আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার সেবা ভাবকেই ভক্তিভাব বলে মনে করে দিন-রাত কাজ করে চলেছে। জনতা জনার্দনের জীবনকে সহজতর করে তোলা আমাদের সরকারের সুশাসনের অগ্রাধিকার।  প্রত্যেক নাগরিকের জীবনে সুখ-সুবিধা এবং সুরক্ষা কীভাবে সুরক্ষিত করা যায় - সেই লক্ষ্য নিয়ে নিরন্তর কাজ চলছে। প্রার্থনা করি, শ্রীনাথজির আশীর্বাদ যেন আমাদের সকলের ওপর বর্ষিত হতে থাকে। এই কামনা নিয়ে আপনাদের সবাইকে এই উন্নয়ন প্রকল্পগুলির উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের জন্য আর একবার অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

ভারত মাতার জয়।
ভারত মাতার জয়।
ভারত মাতার জয়।

ধন্যবাদ!

 

  • कृष्ण सिंह राजपुरोहित भाजपा विधान सभा गुड़ामा लानी November 21, 2024

    जय श्री राम 🚩 वन्दे मातरम् जय भाजपा विजय भाजपा
  • Devendra Kunwar October 08, 2024

    BJP
  • दिग्विजय सिंह राना September 20, 2024

    हर हर महादेव
  • Chandra Kant Dwivedi June 06, 2024

    जय हिंद जय भारत
  • JBL SRIVASTAVA May 27, 2024

    मोदी जी 400 पार
  • Harish Awasthi March 12, 2024

    अबकी बार तीसरी बार मोदी सरकार
  • Vaishali Tangsale February 12, 2024

    🙏🏻🙏🏻
  • ज्योती चंद्रकांत मारकडे February 11, 2024

    जय हो
  • Santhoshpriyan E October 01, 2023

    Jai hind
  • Dharmendra Singh July 26, 2023

    Jai shree Ram 🙏🙏
Explore More
প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী

জনপ্রিয় ভাষণ

প্রত্যেক ভারতীয়ের রক্ত ফুটেছে: মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী
 At 354MT, India's foodgrain output hits an all-time high

Media Coverage

At 354MT, India's foodgrain output hits an all-time high
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister condoles passing of Shri Sukhdev Singh Dhindsa Ji
May 28, 2025

Prime Minister, Shri Narendra Modi, has condoled passing of Shri Sukhdev Singh Dhindsa Ji, today. "He was a towering statesman with great wisdom and an unwavering commitment to public service. He always had a grassroots level connect with Punjab, its people and culture", Shri Modi stated.

The Prime Minister posted on X :

"The passing of Shri Sukhdev Singh Dhindsa Ji is a major loss to our nation. He was a towering statesman with great wisdom and an unwavering commitment to public service. He always had a grassroots level connect with Punjab, its people and culture. He championed issues like rural development, social justice and all-round growth. He always worked to make our social fabric even stronger. I had the privilege of knowing him for many years, interacting closely on various issues. My thoughts are with his family and supporters in this sad hour."