It is a matter of great joy to have handed over appointment letters for government jobs to 51 thousand youth in the Rozgar Mela
It is our commitment that the youth of the country should get maximum employment: PM
Today India is moving towards becoming the third largest economy in the world: PM
We promoted Make in India in every new technology,We worked on self-reliant India: PM
Under the Prime Minister's Internship Scheme, provision has been made for paid internships in the top 500 companies of India: PM

নমস্কার!

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই অনুষ্ঠানে সামিল আমার মন্ত্রিসভার সহকর্মী, সাংসদ, বিধায়ক, নবীন প্রজন্মের বন্ধু এবং সুধীবৃন্দ!

ধনতেরাসের এই শুভলগ্নে আমি দেশের সকল নাগরিকের প্রতি শুভেচ্ছা জানাই। দু’দিন পরেই দীপাবলি। এবার এই উৎসব বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। আপনাদের মনে হতে পারে, এবারের দীপাবলি বিশেষ কেন? কারণ, প্রতি বছরই এর উদযাপন হয়। বিষয়টি ব্যাখ্যা করি এবার। ৫০০ বছর পর ভগবান শ্রীরাম (রাম লালা) এখন অযোধ্যার অসাধারণ মন্দিরে অধিষ্ঠিত। ওই মন্দিরে রাম লালার অধিষ্ঠানের পর এটাই প্রথম দীপাবলি। এই মুহূর্তটির জন্য প্রজন্মের পর প্রজন্ম অপেক্ষা করে থেকেছেন এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ কঠিন পরিস্থিতি সহ্য করেছেন ও আত্মবলিদান করেছেন। এরকম একটি অসাধারণ দীপাবলির সাক্ষী হতে পেরে আমরা অবশ্যই সৌভাগ্যবান।

উৎসবের এই সময়ে ৫১ হাজার যুবক-যুবতীকে এই রোজগার মেলার মাধ্যমে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হল। প্রত্যেককে আমার অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। 

বন্ধুরা,

কেন্দ্রীয় সরকার দেশের লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের কাজ করে যাচ্ছে অক্লান্তভাবে। বিজেপি এবং এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলিতে লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী নিয়োগপত্র পাচ্ছেন। সম্প্রতি হরিয়ানায় নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর চাকরি পেয়েছেন ২৬ হাজার তরুণ-তরুণী। হরিয়ানার পরিস্থিতি সম্পর্কে যাঁরা অবহিত, তাঁরা জানেন যে সেখানে এখন উৎসবের আমেজ। তরুণ-তরুণীরা উৎসাহ-উদ্দীপনায় পূর্ণ। হরিয়ানায় আমাদের সরকার একটি বিশেষ কারণে সুপরিচিত – সেখানে অনভিপ্রেত পন্থায় কাউকে কাজ পেতে হয় না। আজ হরিয়ানার যে ২৬ হাজার তরুণ-তরুণী নিয়োগপত্র পেলেন, তাঁদের আমি বিশেষভাবে শুভেচ্ছা জানাই। হরিয়ানায় ২৬ হাজার এবং দেশের অন্য প্রান্ত মিলিয়ে ৫১ হাজার নিয়োগপত্রের বিতরণকে আমরা উদযাপন করি সাফল্য হিসেবে। 

 

বন্ধুরা,

দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের বিষয়টি আমাদের দায়বদ্ধতা। এই সরকারের নীতি ও সিদ্ধান্তে এক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আজ সড়ক, রেলপথ, বন্দর, বিমানবন্দর, ফাইবার লাইন, মোবাইল টাওয়ার তৈরির কাজ চলেছে দেশজুড়ে। প্রতিটি প্রান্তে গড়ে উঠছে নতুন নতুন শিল্প কারখানা, শিল্পায়িত শহর, তৈরি হচ্ছে জল এবং গ্যাসের পাইপলাইন। গড়ে তোলা হচ্ছে একের পর এক বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়। পরিকাঠামোগত এই বিকাশের মাধ্যমে সরকার লজিস্টিক্সের খরচ কমাতে চায়। এ ধরনের উদ্যোগের সুবাদে নাগরিকদের সুবিধা হওয়ার পাশাপাশি, লক্ষ লক্ষ মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। 

বন্ধুরা,

এই গতকালই ভদোদরায় আমি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের জন্য বিমান নির্মাণের একটি কারখানার উদ্বোধন করেছি। এর ফলে হাজার হাজার প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। কিন্তু, তার অতিরিক্ত আরও বেশি সংখ্যায় কাজের সুযোগ তৈরি হবে বিমান তৈরির যন্ত্রাংশ নির্মাণের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায়। এইসব যন্ত্রাংশ নির্মাণের কাজ হবে ছোট ছোট কারখানায়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থাগুলি এইসব যন্ত্রাংশ নির্মাণের বরাত পাবে। একটি বিমানে ১৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার ছোট-বড় যন্ত্রাংশ থাকে। সবমিলিয়ে দেশের হাজার হাজার কারখানা এইসব সরবরাহের কাজ পাবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করে তোলার পাশাপাশি, কর্মসংস্থান হবে অসংখ্য মানুষের। 

বন্ধুরা,

আজ যখন আমরা একটি প্রকল্প চালু করি, তখন তার থেকে সাধারণ মানুষ কতটা সুবিধা পাবেন, শুধুমাত্র সেই পর্যন্তই আমাদের দৃষ্টি সীমাবদ্ধ থাকে না। আমরা আরও বৃহৎ পরিসরে বিষয়টিকে দেখি। আমরা এমন একটি পরিমণ্ডল তৈরি করতে চাই, যাতে কর্মসংস্থানের প্রসার ঘটে। যেমন ধরুন, পিএম সূর্যঘর মাশুল শূন্য বিদ্যুৎ প্রকল্প। ওপরে ওপরে মনে হতে পারে, এর লক্ষ্য হল বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ। কিন্তু বিশদে চিন্তা করলেই বোঝা যাবে এর ইতিবাচক প্রভাব বিস্তৃত আরও অনেক বড় ক্ষেত্রে। গত ছ’মাসে ১.২৫ থেকে ১.৫ কোটি মানুষ এই প্রকল্পে নাম লিখিয়েছেন। যন্ত্র বসানোর কাজে সামিল বিক্রেতার সংখ্যা ৯ হাজারের বেশি এবং ৫ লক্ষেরও বেশি বাড়িতে সৌর প্যানেল ইতিমধ্যেই বসে গেছে। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৮০০ সৌরশক্তি-চালিত গ্রাম তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে। তাছাড়াও, ৩০ হাজার মানুষকে বাড়ির ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ শুধুমাত্র এই প্রকল্পটির সুবাদেই উৎপাদনকারী, বিক্রেতা, সৌর প্যানেল বসানোর কর্মী, মেরামতের কর্মী – সবমিলিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি হয়ে উঠছে। প্রকল্পটি সারা দেশে অসংখ্য মানুষের সামনে জীবিকার্জনের সুযোগ এনে দেবে। 

 

বন্ধুরা,

আরও একটি উদাহরণ টানা যাক। স্বাধীনতার সময় থেকেই আমাদের দেশে খাদি নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলেছে। কিন্তু এখন খাদি গ্রাম শিল্পের যে প্রসার হয়েছে, সেকথা ভেবে দেখুন। বিগত ১০ বছরে আমাদের সরকারের নীতির সুবাদে এক্ষেত্রে বৈপ্লবিক রূপান্তর সাধন সম্ভব হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় আর্থিক সুরাহা হয়েছে বহু মানুষের। আজ খাদি গ্রাম শিল্পের মাধ্যমে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আসে। এবার এক দশক আগের কথা ভাবা যাক। ডঃ জিতেন্দ্র সিং সম্প্রতি পূর্বতন এবং বর্তমান সরকারের আমলে সরকারি চাকরির হালচাল নিয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন। ফারাকটি সত্যিই আশ্চর্যজনক। ইউপিএ সরকারের সময়ের তুলনায় খাদির বিক্রি ৪০০ শতাংশ বেড়ে গেছে। এর অর্থ হল, কারিগর, তাঁতি এবং ব্যবসায়ীরা এখন লাভের মুখ দেখছেন। এই ক্ষেত্রটিতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে যাচ্ছে। 

ঠিক একইভাবে, আমাদের লাখপতি দিদি যোজনা গ্রামের মহিলাদের নিযুক্তি ও স্বনিযুক্তির নতুন পথ খুলে দিয়েছে। বিগত ১০ বছরে ১০ কোটি মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছেন এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সামিল হয়ে উপার্জন করছেন। কঠোর পরিশ্রম করছেন তাঁরা। সরকার সব ক্ষেত্রে তাঁদের পাশে রয়েছে। এঁদের মধ্যে থেকেই ৩ কোটি মহিলাকে “লাখপতি দিদি” তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। অর্থাৎ, শুধু উপার্জনের ব্যবস্থাটুকুই নয়, আয় বৃদ্ধির বিষয়টিও সরকারের চিন্তাভাবনার মধ্যে রয়েছে। এই কর্মসূচির সুবাদে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১.২৫ কোটি মহিলা বার্ষিক ১ লক্ষ টাকারও বেশি উপার্জনে সক্ষম হয়ে উঠেছেন।

বন্ধুরা,

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে ওঠার লক্ষ্যে দ্রুত এগোচ্ছে ভারত। এই গতি আগে কেন পরিলক্ষিত হয়নি, তা নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন তুলছেন যুবারা। উত্তরটি সহজ : আগের সরকারের এই নিয়ে কোনো নীতি বা সদিচ্ছা ছিল না। 

বন্ধুরা,

আপনারা ভেবে দেখুন, প্রতিটি ক্ষেত্রে ভারত আগে কিভাবে পিছিয়ে থাকত – বিশেষত প্রযুক্তির প্রশ্নে। বিশ্বজুড়ে নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভব হত, কিন্তু ভারতকে অপেক্ষা করতে হত কখন আমাদের দেশে তা আসবে। যখনও বা সেইসব প্রযুক্তি আমাদের দেশে পৌঁছত, পশ্চিমী দুনিয়ায় তা হয়ে যেত সেকেলে। একটা ধারণা তৈরি হয়েছিল যে আমাদের দেশে আধুনিক প্রযুক্তির উদ্ভব হতে পারে না এবং এই মনোভাব দারুণ ক্ষতি করেছে। আধুনিক বিকাশের প্রশ্নেই শুধু নয়, কর্মসংস্থানের বড় সুযোগ হারিয়েছে ভারত। আধুনিক, কর্মসংস্থানের সহায়ক শিল্প ছাড়া চাকরি তৈরি হবে কিভাবে? সেজন্যই আমরা পূর্বতন সরকারের সেকেলে দৃষ্টিভঙ্গীর জাঁতাকল থেকে বেরিয়ে আসার কাজ শুরু করি। মহাকাশ থেকে সেমি-কন্ডাক্টর, বৈদ্যুতিন থেকে বৈদ্যুতিক যান – সবক্ষেত্রেই নতুন প্রযুক্তির প্রশ্নে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র মন্ত্র গ্রহণ করেছি আমরা। আমরা এগিয়ে চলেছি আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে এবং নতুন প্রযুক্তি ও বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য চালু করেছি পিএলআই প্রকল্প। এর সুবাদে কর্মসংস্থানের প্রশ্নে নাটকীয় গতি এসেছে। আসছে বিপুল পরিমাণে লগ্নি। বিগত ৮ বছরে ১.৫ লক্ষেরও বেশি স্টার্ট-আপ তৈরি হয়েছে দেশে – ভারত হয়ে উঠেছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট-আপ পরিমণ্ডলের দেশ। নতুন দিশা খুঁজে পেয়েছেন নতুন প্রজন্মের মানুষ। 

বন্ধুরা,

দেশের যুবশক্তির ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে দক্ষতায়নের প্রশ্নে বিশেষ জোর দিয়েছে সরকার। এজন্যই হাতে নেওয়া হয়েছে স্কিল ইন্ডিয়া কর্মসূচি। বিভিন্ন প্রান্তে তৈরি হয়েছে দক্ষতা বিকাশ কেন্দ্র। দেশের যুব সমাজ যাতে অভিজ্ঞতা এবং সুযোগের অভাবে না ভোগে, তা নিশ্চিত করতে ভারতের ৫০০টি বাণিজ্যিক সংস্থায় সবেতন শিক্ষানবিশির ব্যবস্থা করা হয়েছে – শিক্ষানবিশরা প্রতি মাসে পাচ্ছেন ৫ হাজার টাকা। আগামী পাঁচ বছরে ১ কোটি যুবক-যুবতীর কাছে এই সুযোগ পৌঁছে দিতে আমরা উদ্যোগী হয়েছি। 

 

বন্ধুরা,

বিদেশে আমাদের যুবক-যুবতীরা যাতে নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনার হদিশ পেতে পারেন, তার জন্যও প্রয়াসী ভারত সরকার। আপনারা হয়তো খবরের কাগজে পড়েছেন যে সম্প্রতি জার্মানি, বিশেষত ভারতের জন্য দক্ষ কর্মীগোষ্ঠী কৌশল নীতি গ্রহণ করেছে। আগে জার্মানি প্রতি বছর ২০ হাজার দক্ষ ভারতীয় যুবাকে ভিসা দিত। এই সংখ্যা ৯০ হাজারে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। অর্থাৎ, প্রতি বছর জার্মানিতে ৯০ হাজার ভারতীয় তরুণ-তরুণী কাজের সুযোগ পাবেন। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে উপদেশীয় বিভিন্ন দেশ এবং জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, মরিশাস, ব্রিটেন এবং ইতালির মতো উন্নত সহ ২১টি দেশের সঙ্গে অভিবাসন ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত চুক্তিতে উপনীত হয়েছে ভারত। প্রতি বছর ৩ হাজার ভারতীয় যুবক-যুবতী ব্রিটেনে পড়াশোনার জন্য দু’বছরের ভিসা পাচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রেও সংখ্যাটি একই। 

বন্ধুরা,

আজ সরকারের প্রচেষ্টা হল এমন একটি আধুনিক পরিমণ্ডল তৈরি করা যাতে দেশের প্রতিটি যুবা সুযোগের সদ্ব্যবহার করে নিজের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেন। এঁদের সব ধরনের সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে আপনাদের সকলকেই।

বন্ধুরা,

সরকারি কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে আপনাদের সফল করে তুলতে করদাতাদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কাজেই তাঁদের সেবা করা আপনাদের কর্তব্য। ডাক-পিয়ন থেকে অধ্যাপক – সকলকেই তা মনে রাখতে হবে। বিশেষত, মনোনিবেশ করতে হবে দরিদ্র, প্রান্তিক, নিপীড়িত, আদিবাসী, মহিলা ও যুবাদের দিকে। 

আপনারা ভারত সরকারের কাজে যোগ দিচ্ছেন এমন একটা সময়ে, যখন নতুন ভারত গড়ার কাজ চলছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। এই কাজ সফল হবে না আপনাদের অবদান ব্যতীত। তাই, শুধু ভালোভাবে কাজ করলেই চলবে না, কাজ করতে হবে নজিরবিহীনভাবে। আমাদের সরকারি কর্মীদের এমন উদাহরণ গড়ে তুলতে হবে যা নজির হয়ে উঠবে সারা বিশ্বের সামনে। এভাবেই মানুষের প্রত্যাশা পূরণের কাজ করে যেতে হবে আমাদের সকলকেই।

বন্ধুরা,

এই নিযুক্তির সুবাদে আপনাদের ব্যক্তিগত জীবনে এক নতুন যাত্রার সূচনা হচ্ছে। আমি আপনাদের প্রতি বিনয়ী ও নম্র থাকার আবেদন রাখছি। মনে রাখতে হবে, আমরা সেবক, শাসক নই। শেখার কাজে খামতি দেবেন না। সরকারি কর্মীদের জন্য রয়েছে iGOT কর্মযোগী মঞ্চ। সেখানে আপনারা পেয়ে যাবেন ডিজিটাল প্রশিক্ষণের সুযোগ। নিজের সুবিধামতো সময়ে বেছে নিন পছন্দের বিষয়। আপনাদের দক্ষতা ও জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত করুন। 

 

আমি প্রত্যয়ী যে আপনাদের প্রয়াসের সুবাদে ২০৪৭ নাগাদ ভারত উন্নত দেশ হয়ে উঠবে। আজ আপনাদের বয়স হয়তো ২০, ২২ কিংবা ২৫; ওই সময়ে আপনারা পৌঁছবেন নিজের কর্মজীবনের মধ্যগগনে। গর্ব অনুভব করবেন যে আপনার ২৫ বছরের কঠোর পরিশ্রম নতুন ভারত গড়তে অবদান রেখেছে। কি অসাধারণ সুযোগ এবং গর্বের বিষয়! মনে রাখতে হবে, আপনি শুধু চাকরিই পাননি, পেয়েছেন অসাধারণ এক সুযোগ। তার সদ্ব্যবহার করুন, নিজের স্বপ্ন সফল করুন এবং মর্যাদা ও প্রত্যয়ের সঙ্গে জীবনযাপন করুন। উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণের আগে আমরা বিশ্রাম নেব না। নিবেদিতপ্রাণ হয়ে জনসেবায় সামিল হয়ে আমরা নিজেদের দায়িত্ব নির্বাহ করব।

আজ যাঁরা নিয়োগপত্র পেলেন, তাঁদের প্রতি আরও একবার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আপনাদের সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। আপনার পরিবার-পরিজনের কাছে আজ এক আনন্দময় দিন। তাঁদের প্রতিও আমার শুভেচ্ছা রইল। দীপাবলির সঙ্গে সঙ্গে এও আরও এক উদযাপন। এই মুহূর্ত উপভোগ করুন বন্ধুরা। 

ধন্যবাদ।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।