“তাদের কাজ এবং দক্ষতার মধ্যে দিয়ে সিবিআই দেশের সাধারণ মানুষের মনে আস্থার মনোভাব জাগিয়েছে”
“পেশাদারি এবং দক্ষ প্রতিষ্ঠান ছাড়া বিকশিত ভারত সম্ভব নয়”
“সিবিআই-এর মূল দায়িত্ব হল দেশকে দুর্নীতির হাত থেকে রক্ষা করা”
“দুর্নীতি সাধারণ কোনো অপরাধ নয়। এটা গরিবের অধিকার কেড়ে নেয়, এটা অন্য অপরাধের জন্ম দেয়, দুর্নীতি, সুশাসন এবং গণতন্ত্রের পথে সব থেকে বড় বাধা”
“জেএএম ত্রিমূর্তি সুবিধাভোগীদের পূর্ণ সুবিধা সুনিশ্চিত করছে”
“দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পথে আজ আর কোনো রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব নেই” “কোনো দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিকেই ছাড়া হবে না। আমাদের এই প্রয়াসে কোথাও কোনো শৈথিল্য নেই। এটাই হল দেশের অভিপ্রায়, দেশের মানুষের অভিপ্রায়। দেশ, আইন এবং সংবিধান আপনার সঙ্গে রয়েছে”

আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী ডাঃ জিতেন্দ্র সিংজী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শ্রী অজিত দোভালজী, মন্ত্রিসভার মাননীয় সচিব, সিবিআই – এর নির্দেশক, অন্যান্য আধিকারিকবৃন্দ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ!

সিবিআই – এর ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এই হীরক জয়ন্তী উৎসবের অবকাশে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা হিসাবে আপনারা ৬০ বছরের সফর পূর্ণ করেছেন। এই ছয় দশকে নিশ্চিতভাবেই অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চিত হয়েছে, অনেক সাফল্যও এসেছে। আজ এখানে সিবিআই সম্পর্কিত সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের একটি সংকলনও প্রকাশ করা হ’ল। এই সংকলন সিবিআই – এর বিগত বছরগুলির যাত্রাপথকে তুলে ধরেছে। অনেক শহরে সিবিআই – এর নতুন নতুন দপ্তরের শুভ সূচনা থেকে শুরু করে ট্যুইটার হ্যান্ডেল ও অন্যান্য কিছু ব্যবস্থার আজ শুভ সূচনা হয়েছে। এগুলি নিশ্চিতভাবেই সিবিআই-কে আরও শক্তিশালী করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সিবিআই – এর কর্মীরা তাঁদের কাজ ও দক্ষতার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মনে একটি বিশ্বাস গড়ে তুলেছে। আজও যখন কারও মনে হয় যে, কোনও কেস অসাধ্য, তখনও আওয়াজ ওঠে যে মামলাটিকে সিবিআই – এর হাতে তুলে দেওয়া উচিৎ। অনেকে আন্দোলন করেন আর দাবি তোলেন যে, অমুক কেসের তদন্তের দাবি সিবিআই-কে দেওয়া হোক। এমনকি, পঞ্চায়েত স্তরেও অনেক মামলার তদন্তের ভার সিবিআই-কে দেওয়ার দাবি ওঠে। যথাযথ ন্যায় পেতে সুবিচারের সহায়ক একটি ব্র্যান্ড রূপে সিবিআই আজ সকলের প্রথম পছন্দ।

সাধারণ মানুষের এমন ভরসা জয় করা কোনও সাধারণ সাফল্য নয়। এই ভাবমূর্তি ও আস্থা গড়ে তোলার জন্য বিগত ৬০ বছরে যাঁরা অবদান রেখেছেন, এই সংগঠনে কর্মরত সেইসব আধিকারিক ও কর্মচারীরা অসংখ্য শুভেচ্ছার দাবিদার। এখানে অনেক আধিকারিক ও কর্মীকে তাঁদের উৎকৃষ্ট সেবার জন্য পুলিশ পদক প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়েছে। আজ আমি যাঁদের সম্মানিত করার সুযোগ পেয়েছি, যাঁরা আজ সম্মানিত হয়েছেন, তাঁদেরকে ও তাঁদের পরিবারের সমস্ত সদস্যদের আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

 

বন্ধুগণ,

এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে অতীতের সাফল্যগুলিকে সম্বল করে আগামী দিনের, সমস্ত সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ সমস্যা নিয়ে আলাপ-আলোচনা মন্থন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আপনারা এখানে যে চিন্তন শিবিরের আয়োজন করেছেন, তার উদ্দেশ্যও নিজেদেরকে আত্মসমালোচনা ও আত্মোন্নয়ন করা। পুরনো অভিজ্ঞতাগুলি থেকে শিক্ষা নিয়েই ভবিষ্যতের পথ খুঁজে বের করতে হবে। এটাও এই সময়েরই দাবি, যখন দেশ স্বাধীনতার অমৃতকালের যাত্রা শুরু করেছে। কোটি কোটি ভারতবাসী আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ভারতকে উন্নত দেশে পরিণত করার শপথ নিয়েছে। আর উন্নত ভারত গড়ে তোলা পেশদার এবং দক্ষ সংস্থাগুলির সক্রিয় উদ্যোগ ছাড়া সম্ভব নয়। আর সেজন্য সিবিআই – এরও অনেক বড় দায়িত্ব রয়েছে।

বন্ধুগণ,

বিগত ছয় দশকে সিবিআই বহুমুখী, বহুমাত্রিক এবং মাল্টিডিসিপ্লিনারি তদন্তকারী সংস্থা হিসাবে নিজের পরিচয় গড়ে তুলেছে। আজ সিবিআই – এর পরিধি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাঙ্ক জালিয়াতি থেকে শুরু করে বন্যপ্রাণ সংক্রান্ত অপরাধ অর্থাৎ কোথা থেকে কোথা পর্যন্ত; মহানগর থেকে শুরু করে জঙ্গল পর্যন্ত এখন সিবিআই আধিকারিকদের ছুটতে হচ্ছে। সংগঠিত অপরাধ থেকে শুরু করে সাইবার অপরাধ পর্যন্ত কত বিচিত্র মামলার তদন্ত সিবিআই-কে করতে হচ্ছে।

কিন্তু, সিবিআই – এর প্রধান দায়িত্ব হ’ল দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করা। দুর্নীতি কোনও সাধারণ অপরাধ নয়। যে কোনও দুর্নীতি গরীব মানুষের অধিকার হনন করে। দুর্নীতি অনেক অপরাধের ধারাবাহিকতা চালু করে, নতুন নতুন অপরাধকে জন্ম দেয়। দুর্নীতি, গণতন্ত্র ও সুবিচারের পথে সবচেয়ে বড় বাধা। বিশেষ করে, যখন সরকারি ব্যবস্থায় দুর্নীতি বেড়ে যায়, তখন তা আর গণতন্ত্রকে পল্লবিত-পুষ্পিত হতে দেয় না। যেখানে দুর্নীতি থাকে, সেখানে সবার আগে দেশের নবীন প্রজন্মের স্বপ্নগুলি বলিপ্রদত্ত হয়, তরুণরা তাঁদের প্রতিভা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ পান না। যেখানে দুর্নীতি থাকে, সেখানে শুধু একটি বিশেষ বাস্তু ব্যবস্থাই পল্লবিত-পুষ্পিত হয় - এটাই দুর্নীতিগ্রস্ত বাস্তু ব্যবস্থা। দুর্নীতি, প্রতিভার সবচেয়ে বড় শত্রু। আর এখান থেকেই স্বজন-পোষণ ও পরিবারবাদ অঙ্কুরিত হতে থাকে। ক্রমে নিজের শিকড় শক্তিশালী করতে থাকে। যখন সমাজে স্বজন-পোষণ ও পরিবারবাদ শক্তিশালী হয়, তখন সমাজ ও রাষ্ট্রের সামর্থ্য হ্রাস পায়। আর যখন রাষ্ট্রের সামর্থ্য হ্রাস পায়, তখন উন্নয়ন অবশ্যই প্রভাবিত হয়। দুর্ভাগ্যবশত, দাসত্বের দীর্ঘ অন্ধকারময় সময় থেকে আমরা একটি দুর্নীতির পরম্পরাও পেয়েছি। কিন্তু, দুঃখের বিষয় হ’ল, স্বাধীনতার পরও অনেক দশক ধরে এই পরম্পরাকে বিনষ্ট না করে কোনও না কোনোভাবে কিছু মানুষ একে শক্তিশালী করে গেছে।

বন্ধুগণ,

আপনারা স্মরণ করুন, ১০ বছর আগে যখন আপনারা আপনাদের সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছিলেন, তখন দেশের অবস্থা কেমন ছিল? তৎকালীন সরকারের প্রতিটি সিদ্ধান্ত, প্রতিটি প্রকল্প ছিল সংশয়দীর্ণ। দুর্নীতির প্রতিটি মামলায় পূর্ববর্তী কোনও অনুরূপ মামলা থেকে বড় হওয়ার প্রতিযোগিতা ছিল। তুমি এইটুকু দুর্নীতি করেছো আর আমি এত বড় দুর্নীতি করে দেখাবো। আজ দেশে অর্থনৈতিক বিকাশের ফলে লক্ষ-কোটি অর্থাৎ ট্রিলিয়ন ডলার নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু, সেই সময় বিভিন্ন কেলেঙ্কারির আকার নির্ধারণের জন্য লক্ষ-কোটি টাকার সময়সীমা বিখ্যাত হয়েছিল। এত বড় বড় কেলেঙ্কারি হয়েছে, কিন্তু অভিযুক্তরা নিশ্চিন্ত ছিল। তারা জানতো যে, তখনকার রাষ্ট্র ব্যবস্থা তাদের পেছনে রয়েছে। এর ফল আমরা কী পেলাম, রাষ্ট্র ব্যবস্থার উপর দেশবাসীর ভরসা অবলুপ্ত হচ্ছিল। গোটা দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আক্রোশ ক্রমাগত বাড়ছিল। এর ফলে, সমগ্র ব্যবস্থা ছিন্ন-ভিন্ন হচ্ছিল। ক্ষমতাসীন সরকার ও নেতারা সিদ্ধান্ত নিতে ভয় পাচ্ছিলেন। এভাবে দেশে একটি নীতি পক্ষাঘাতের আবহ গড়ে উঠেছিল। আর এই আবহ দেশের উন্নয়ন যাত্রাকে ব্যহত করছিল। বিদেশ থেকে কোনও বিনিয়োগকারী আমাদের দেশে বিনিয়োগ করতে ভয় পাচ্ছিলেন। দুর্নীতির সেই কালো সময়ে ভারতের অনেক বেশি লোকসান হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

২০১৪ সালের পর আপনারা যখন আমাদের প্রথমবার দেশ শাসনের দায়িত্ব দিলেন, তখন আমরা আরেকবার সরকারি ব্যবস্থায় ভরসাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলাম। সেজন্য আমরা কালো টাকা থেকে শুরু করে বেনামী সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য মিশন মোডে কাজ করতে শুরু করি। আমরা দুর্নীতিবাজদের পাশাপাশি, দুর্নীতিকে উৎসাহ যোগায় এমনসব কারণের উপরও প্রহার করতে শুরু করি। আপনাদের হয়তো মনে আছে যে, তখন সরকারি দরপত্র প্রক্রিয়াও কতটা প্রশ্নের মুখে ছিল। আমরা এই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করি। আজ যখন আমরা ২-জি এবং ৫-জি স্পেকট্রামের বন্টন প্রক্রিয়ার মধ্যে তুলনা করি, তখন এর ব্যবধান স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আপনারা জানেন যে, এখন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিটি বিভাগ কেনাকাটার জন্য জেম ব্যবস্থা মেনে চলে। আজ প্রতিটি বিভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে এই ডিজিটাল মঞ্চ থেকে অধিকাংশ কেনাকাটা করছে।

বন্ধুগণ,

আজ আমরা ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং – এর কথা বলি, ইউপিআই – এর মাধ্যমে রেকর্ড পরিমাণ আর্থিক লেনদেনের কথা বলি। কিন্তু, আমরা ২০১৪ সালের আগের ফোণ ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাও দেখেছি। সেই সময়ে যখন দিল্লিতে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে যুক্ত মানুষদের একটি ফোনে কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ পাওয়া যেত। এই ব্যবস্থা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ভিত্তি – আমাদের ব্যাঙ্কিং সিস্টেমকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। বিগত বছরগুলিতে আমরা অনেক পরিশ্রম করে আমাদের ব্যাঙ্কিং সেক্টরকে অনেক সমস্যা থেকে বের করে এনেছি। ফোন ব্যাঙ্কিং – এর সেই দিনগুলিতে কিছু মানুষ ২২ হাজার কোটি টাকা দেশের ব্যাঙ্কগুলি থেকে লুঠ করে বিদেশে পালিয়ে যায়। আর আমরা সরকারের দায়িত্ব পেয়ে ফিউগিটিভ ইকনোমিক অফেন্ডার্স বা পলাতক অর্থনৈতিক অপরাধী আইন প্রণয়ন করেছি। এই আইন প্রয়োগ করে ইতিমধ্যেই বিদেশে পালিয়ে যাওয়া এই অর্থনৈতিক অপরাধীদের ২০ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

বন্ধুগণ,

দুর্নীতিবাজরা দেশের রাজকোষ লুন্ঠনের আরেকটি উপায় তৈরি করেছিল, যা কয়েক দশক ধরে চলছিল, তা হ’ল – সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের প্রাপ্ত অর্থ লুন্ঠন। পূর্ববর্তী সরকারগুলির আমলে গরীব সুবিধাভোগীদের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ হ’ত, তা অধিকাংশই তাঁদের হাতে পৌঁছনোর আগেই লুন্ঠিত হ’ত। তাঁদের জন্য বরাদ্দ রেশন থেকে শুরু করে গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ, ছাত্র বৃত্তি, পেনশন – এরকম অনেক সরকারি প্রকল্পের প্রকৃত সুবিধাভোগীরা প্রতারিত হতেন। একজন প্রধানমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছিলেন যে, সরকার থেকে এক টাকা বরাদ্দ করলে সুবিধাভোগীদের হাতে তা গিয়ে ১৫ পয়সা পৌঁছয় আর ৮৫ পয়সা চুরি হয়ে যায়। কিন্তু, আপনারা জানেন যে, বিগত দিনগুলিতে আমরা কিভাবে প্রত্যক্ষ নগদ হস্তান্তর ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রায় ২৭ লক্ষ কোটি টাকা দরিদ্র সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দিয়েছি। সেই হিসাব দেখতে গেলে এই ২৭ লক্ষের মধ্যে প্রায় ১৬ লক্ষ কোটি টাকা অন্য কোথাও চলে যেত। আজ জন ধন, আধার, মোবাইল – এই ত্রয়ীর সংযোগে প্রত্যেক সুবিধাভোগী তার সম্পূর্ণ অধিকার পাচ্ছেন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ৮ কোটিরও বেশি ভুতুড়ে সুবিধাভোগীকে ব্যবস্থা থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। যে মেয়ের জন্মই হয়নি, সেই মেয়ে বিধবা হয়ে যেত, আর বিধবা পেনশন চলতো। এভাবে প্রত্যক্ষ নগদ হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশবাসীর প্রায় ২ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

একটা সময় ছিল, যখন সরকারি চাকরির ইন্টারভিউতে পাশ করানোর জন্য খুব দুর্নীতি হ’ত। এই বিষয়টি লক্ষ্য করে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউ ব্যবস্থাই বাতিল করে দিই। একটা সময়ে দেশে ইউরিয়া কেলেঙ্কারির ফলে কৃষকদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হ’ত। আমরা ইউরিয়াকে নিমের প্রলেপ দিয়ে এই সমস্যারও সমাধান করি। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কেনাকাটার দুর্নীতি প্রায়ই হ’ত। বিগত ৯ বছরে আমরা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার সঙ্গে কেনাকাটা করেছি। আর এখন তো আমরা ভারতেই আমাদের প্রয়োজন অনুসারে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনে জোর দিয়েছি।

বন্ধুগণ,

দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে এরকম অনেক পদক্ষেপের কথা আপনারাও জানেন। আমিও তালিকা পেশ করতে পারি। কিন্তু, তা না করে আমাদের উচিৎ অতীতের প্রতিটি অধ্যায় থেকে কিছু না কিছু শেখা। দুর্ভাগ্যবশত, দুর্নীতি সংক্রান্ত অনেক মামলা এখনও চলছে, বছরের পর বছর সময় লেগে যাচ্ছে এগুলি নিষ্পত্তিতে। এমন মামলাও আমরা দেখেছি যে, যার এফআইআর হয়ে যাওয়ার ১০ বছর পরও কোন ধারায় মামলা চলবে, তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলতো। আজও এরকম অনেক মামলা চলছে, যেগুলি অনেক বছর পুরনো।

তদন্ত দেরী হলে দু-ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। প্রথমত, দুর্নীতিকারী দেরীতে শাস্তি পায় আর অন্যদিকে নির্দোষকে কষ্টের মধ্যে থাকতে হয়। সেজন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে যে, এই প্রক্রিয়া যত তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করা যায়। দুর্নীতিকারীদের যত দ্রুত শাস্তি দেওয়া যায়। সেজন্য আমাদের বিশ্বের অন্যান্য দেশের তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে হবে। বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাক্টিস নিয়ে অধ্যয়ন করতে হবে। এই অধ্যয়ন তদন্তকারীদের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।

বন্ধুগণ,
আমি আপনাদের একটি কথা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, আজ দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির কোনও অভাব নেই। আপনাদের কোনও দ্বিধা-দ্বন্দ্বে প্রভাবিত হয়ে কাজ থামানোর প্রয়োজন নেই।

আমি জানি যে, আপনারা যাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছেন, তারা অনেক শক্তিশালী মানুষ। অনেক বছর ধরে তারা সরকার ও ব্যবস্থার অংশ ছিলেন। আর অনেক রাজ্যে তো তারা আজও শাসন ক্ষমতায় রয়েছে। অনেক বছর ধরে তারা যে দুর্নীতির বাস্তু ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে, তা প্রায়ই তাদের কুকীর্তিকে ঢেকে দেওয়ার সপক্ষে এবং আপনাদের মতো সংস্থার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। সেজন্য তারা সিবিআই – এর বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করে ফেলে। এরা আপনাদের লক্ষ্যভ্রষ্ট করার চেষ্টা করে যাবে। কিন্তু, আপনাদের সেদিকে কর্ণপাত না করে নিজেদের লক্ষ্যে স্থির থাকতে হবে। কোনও দুর্নীতিকারীকে রেহাই করবেন না। আমাদের চেষ্টায় যেন কোনও ত্রুটি না থাকে। এটাই দেশের ইচ্ছা, এটাই দেশবাসীরও ইচ্ছা। আর আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে, দেশ আপনাদের সঙ্গে রয়েছে, দেশের আইন আপনাদের সঙ্গে রয়েছে, দেশের সংবিধানও আপনাদের সঙ্গে রয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

ভালো ফল পেতে ভিন্ন ভিন্ন এজেন্সির মধ্যে লালফিতের ফাঁসকেও সমাপ্ত করতে হবে। যৌথ এবং মাল্টিডিসিপ্লিনারি তদন্তের ক্ষেত্রে পারস্পরিক বিশ্বাসের আবহেই এই লালফিতের ফাঁস দূর করা সম্ভব হবে। এখন দেশের ভৌগোলিক সীমানার বাইরেও জনগণকে পণ্য ও পরিষেবার বড় পরিমাণে আদান-প্রদান চলছে। যেভাবে যেভাবে ভারতের আর্থিক শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেভাবে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীর সংখ্যাও বাড়ছে।

ভারতের সামাজিক গঠন প্রক্রিয়ায় আমাদের একতা এবং সৌভ্রাতৃত্বে, আমাদের অর্থনৈতিক হিতে, আমাদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপর দৈনন্দিন আক্রমণও ক্রমবর্ধমান। আর এক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবেই দুর্নীতিগ্রস্তরা অর্থ বিনিয়োগ করছে। সেজন্য আমাদের অপরাধ ও দুর্নীতির বহুজাতিক চরিত্রকেও বুঝতে হবে, অধ্যয়ন করতে হবে। এর মূলে পৌঁছতে হবে। আজ আমরা প্রায়শই দেখি যে, আধুনিক প্রযুক্তির কারণে অপরাধও আন্তর্জাতিক হয়ে উঠছে। কিন্তু, এক্ষেত্রে আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নানা উদ্ভাবনের মাধ্যমে সমাধানের পথও খুঁজতে পারি। আমাদের তদন্তে ফরেনসিক বিজ্ঞানের ব্যবহারও যথাসম্ভব বাড়াতে হবে।

বন্ধুগণ,

সাইবার অপরাধের মতো বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে আমাদের প্রতিনিয়ত নানা উদ্ভাবক পথ খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের প্রযুক্তি সমৃদ্ধ নবীন শিল্পোদ্যোগীরা তাঁদের সঙ্গে আরও নবীন প্রজন্মের উদ্ভাবকদের যুক্ত করতে পারেন। আপনাদের সংগঠনে অনেক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন তরুণ-তরুণী রয়েছেন। যাঁদেরকে আরও বেশি করে কাজে লাগানো যেতে পারে।

বন্ধুগণ,

আমাকে বলা হয়েছে যে, সিবিআই ৭৫টি এমন প্রথা শনাক্ত করেছে, যেগুলিকে সমাপ্ত করা যেতে পারে। বিগত বছরগুলিতে সিবিআই আধিকারিক ও কর্মীরা নিজেরাই এই বিবর্তন আনার চেষ্টা করেছেন, যাতে এই প্রক্রিয়া অপ্রতিহত ও অক্লান্তভাবে এভাবেই জারি থাকে।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এই চিন্তন শিবির একটি নতুন আত্মবিশ্বাসের জন্ম দেবে, এই চিন্তন শিবির নতুন নতুন মাত্রায় পৌঁছনোর পথ সৃষ্টি করবে। কঠিন থেকে কঠিন সমস্যা সমাধানের পদ্ধতি আধুনিক করে তুলবে। আর আমরা আরও বেশি কার্যকর হয়ে উঠবো, আরও বেশি সুফলদায়ক হব এবং সাধারণ নাগরিকের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য আনবো। সাধারণ নাগরিক কারও ক্ষতি করতে চান না। এমনকি, ক্ষতিগ্রস্তও হতে চান না। আমাদের তাঁদের ভরসাতেই এগিয়ে যেতে হবে, যাঁদের হৃদয়ে এখনও সততা সঞ্জীবিত আছে। আর এই সংখ্যা এখনও কোটি কোটি। হ্যাঁ, আমাদের দেশের কোটি কোটি মানুষ এখনও সৎ। এত বড় সামর্থ্য আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আমাদের আত্মবিশ্বাস যেন কখনও কমে না যায়, সেটা দেখতে হবে বন্ধুগণ।

এই হীরক জয়ন্তী উদযাপন মহোৎসব উপলক্ষে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। আপনারা আগামী ১৫ বছরে কী করবেন, আর আপনাদের মাধ্যমে ২০৪৭ সাল পর্যন্ত দেশ কোন লক্ষ্যে পৌঁছবে, এই দুটি লক্ষ্য স্থির করে আপনাদের এগিয়ে যেতে হবে। ১৫ বছর এজন্য বললাম যে, ১৫ বছর পর সিবিআই – এর যখন ৭৫ বছর পূর্তি হবে, তখন আপনারা কতটা সমর্থ, সমর্পিত ও সংকল্পে ঋদ্ধ হবেন, আর যখন দেশ ২০৪৭ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ পালন করবে, তখন এই দেশের আশা-প্রত্যাশার অনুরূপ আপনারা নিজেদের সংস্থাকে কোন উচ্চতায় পৌঁছে দেবেন, সেদিকে দেশবাসী তাকিয়ে আছেন।

আপনাদের সবাইকে আমার অনেক অনেক শুভকামনা।

ধন্যবাদ!

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।