বিহারের রাজ্যপাল শ্রী ফাগু চৌহ্বানজী, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারজী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহযোগী শ্রী পীযুষ গোয়েলজী, শ্রী রবিশঙ্কর প্রসাদজী, শ্রী গিরিরাজ সিংজী, নিত্যানন্দ রায়জী, শ্রীমতী দেবশ্রী চৌধুরীজী, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদীজী, অন্যান্য মন্ত্রীগণ, সাংসদ এবং বিধায়ক গণ এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে যাঁরা এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন আমার বিহারের ভাই ও বোনেরা।

বন্ধুগণ, আজ বিহারে রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি ইতিহাস রচিত হলো। কোসী মহাসেতু এবং কিউল ব্রিজের পাশাপাশি বিহারে রেল যাতায়াত রেল পথের বৈদ্যুতিকীকরণ এবং রেলওয়েতে মেক-ইন-ইন্ডিয়াকে উৎসাহ প্রদান, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিকারী এক ডজন প্রকল্পের আজ উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস হলো। প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকার এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে বিহারের রেল নেটওয়ার্ক যেমন শক্তিশালী হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্ব ভারতের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাও এর মাধ্যমে শক্তিশালী হবে। বিহার সহ পূর্ব ভারতের কোটি কোটি রেল যাত্রীদের এই নতুন এবং আধুনিক পরিষেবাগুলির জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

বন্ধুগণ, গঙ্গা, কোসী ও সোন নদীর শাখা প্রশাখা বিধৌত এই বিহারের অনেক অংশ, এই নদীগুলির জন্যই পরস্পর বিচ্ছিন্ন। বিহারের প্রায় প্রত্যেক অংশের মানুষকে এই প্রবহমান নদীগুলির কারণে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে অনেক দীর্ঘ পথ পার হতে হয়। ন

নীতীশজী যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, পাসওয়ানজী যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই এই সমস্যা দূর করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তারপর একটা দীর্ঘ সময় এসেছে যখন এই লক্ষ্যে তেমন কাজ করা হয়নি। ফলে বিহারের কোটি কোটি মানুষের এই সমস্যার সমাধান কল্পে একটি নতুন সংকল্প নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি। বিগত ৫/৬ বছরে একের পর এক সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে আমরা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছি।

বন্ধুগণ, চারবছর আগে উত্তর এবং দক্ষিণ বিহারের মধ্যে সংযোগ সৃষ্টিকারী দুটি মহাসেতুর কাজ একটি পাটনায়, আর অন্যটি মুঙ্গেরে শুরু করা হয়েছিল। এই দুটো সেতুর উদ্বোধনের পর থেকেই উত্তর বিহার এবং দক্ষিণ বিহারের মধ্যে জনগণের আসা-যাওয়া আরও সহজ হয়েছে। বিশেষ করে উত্তর বিহারের বিস্তীর্ণ অঞ্চল যা কয়েক দশক ধরে উন্নয়নের অগ্রগতি থেকে বঞ্চিত ছিল, সেই অঞ্চলগুলির উন্নয়নে নতুন গতি এসেছে। আজ মিথিলা ও কোসী অঞ্চলের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী একটি মহাসেতু আর সুপৌল-আসনপুর কুপহা রেলপথটিও বিহারবাসীর পরিষেবায় সমর্পিত হলো।

পাশাপাশি প্রায় সাড়ে আট দশক আগে এক ভয়ানক ভূমিকম্প মিথিলা এবং কোসী ক্ষেত্রটিকে আলাদা করে দিয়েছিল। আজ এতদিন পর আমরা আবার এই দুটো অঞ্চলকে এই মহাসেতুর মাধ্যমে যুক্ত করতে পেরেছি, তাও করোনা-র মতো বিশ্বব্যাপী মহামারীর মধ্যে। আমাকে বলা হয়েছে যে এর শেষ পর্যায়ের কাজে অন্যান্য রাজ্য থেকে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। এমনিতে এই মহাসেতু আর এই প্রকল্প শ্রদ্ধেয় অটলজী এবং নীতীশবাবুর স্বপ্নের প্রকল্প ছিল। ২০০৩ সালে যখন নীতীশজী রেলমন্ত্রী ছিলেন এবং অটলজী প্রধানমন্ত্রী তখনই নতুন কোসী রেললাইন প্রকল্পের পরিকল্পনা রচিত হয়েছিল। এর মূল উদ্দেশই ছিল মিথিলা এবং কোসীর জনগণের সমস্যা দূর করা। এই ভাবনা নিয়েই ২০০৩ সালে অটলজী এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন। কিন্তু পরের বছরই অটলজীর সরকার চলে যায়। তারপর কোসী রেল লাইন প্রকল্পের গতিও তেমনই শ্লথ হয়ে যায়। সরকারের মনে যদি মিথিলা অঞ্চলের জন্য কোনো ভাবনা থাকত, বিহারের জনগণের সমস্যা নিয়ে কোনো ভাবনা থাকত, তাহলে কোসী রেল লাইন প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হতো। এর মাঝে রেল মন্ত্রক কার কার হাতে ছিল এবং কাদের সরকার ছিল সে বিষয়ে আমি বিস্তারিত বলতে চাই না। কিন্তু সত্যি এটাই, যে গতিতে কাজ চলছিল যদি ২০০৪ সালের পর সেই গতিতেই কাজ হতো তাহলে আজকের এই দিন নাজানি কবে আসতো, আরও কত বছর লেগে যেত, কত দশক লেগে যেত, হয়তো প্রজন্ম পেরিয়ে যেতো। কিন্তু আমরা দৃঢ় নিশ্চয়তার সঙ্গে এই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। আর যখন সরকারের দৃঢ় নিশ্চয়তা থাকে আর নীতীশজীর মতো কেউ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তখন কী করা সম্ভব নয়! মাটি আটকে রাখার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুপৌল-আসনপুর কুপহা রুটের কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে যে ভীষণ বন্যা এসেছিল সেই সময় এই প্রকল্প অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তা সত্বেও এই কাজ সম্পূর্ণ করা হয়। অবশেষে এই কোসী মহাসেতু এবং এই সুপৌল-আসনপুর কুপহা রুট আজ বিহারের জনগণের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত।

আজ কোসী মহাসেতু হয়ে সুপৌল-আসনপুর কুপহা-র মাঝে ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ার ফলে সুপৌল, অররিয়া এবং সহরসা জেলার মানুষের অনেক লাভ হবে। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে উত্তর পূর্ব ভারতের বন্ধুদের জন্য একটি বিকল্প রেল পথও তৈরি হয়ে যাবে। কোসী এবং মিথিলা অঞ্চলের জন্য এই মহাসেতুর সুবিধা যতটা আনন্দের বিষয় এই গোটা এলাকার ব্যবসা বাণিজ্য, শিল্পোদ্যোগ এবং কর্মসংস্থানও ততটাই উজ্জ্বীবিত হয়ে উঠবে।

বন্ধুগণ, বিহারের জনগণ এটা খুব ভালোভাবেই জানেন যে বর্তমানে নির্মিলী থেকে সরায়গঢ় পর্যন্ত রেলপথে যাত্রা প্রায় ৩০০ কিলোমিটার অতিক্রম করতে হয়। সেজন্য দ্বারভাঙ্গা-সমস্তিপুর-খগড়িয়া-মানসি-সহরসা এতটা পথ ঘুরে যেতে হয়। এখন সেদিন আর দূরে নেই, যখন বিহারের মানুষকে এই ৩০০ কিলোমিটার সফর আর করতে হবে না। ৩০০ কিলোমিটারের এই দূরত্ব মাত্র ২২ কিলোমিটারে পার হওয়া যাবে। ৮ ঘন্টা রেল যাত্রা মাত্র আধাঘম্টায় সম্পূর্ণ করা যাবে। অর্থাৎ যাত্রাপথের দূরত্ব ও সময় বাঁচানোর পাশাপাশি এই প্রকল্পের সাফল্য বিহারের জনগণের অনেক অর্থও সাশ্রয় করবে।

বন্ধুগণ, কোসী মহাসেতুরই মতো কিউল নদীতে নতুন রেল ইলেকট্রনিক ইন্টার লকিং পরিষেবা শুরু হওয়ার ফলে এই গোটা পথে রেল পরিষেবা এবং গতি দুটোই বাড়তে চলেছে। এই নতুন রেল সেতু নির্মাণের ফলে ঝাঁঝাঁ থেকে পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন পর্যন্ত মেন লাইনে এখন ট্রেনগুলি ঘন্টায় ১০০ থেকে ১২৫ কিলোমিটার বেগে ধাবিত হবে। ইলেকট্রনিক ইন্টার লকিং চালু হওয়ায় হাওড়া-দিল্লি মেইন লাইনে ট্রেনগুলির আসা-যাওয়া অনেক সহজ হবে। অনাবশ্যক বিলম্ব থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে এবং রেল যাত্রা আগের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ হবে।

বন্ধুগণ, বিগত ৬ বছরে ভারতীয় রেলকে নতুন ভারতের আকাঙ্খাগুলি এবং আত্মনির্ভর ভারতের প্রত্যাশাগুলির কথা ভেবে নতুনভাবে সংস্কার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আজ ভারতীয় রেল, আগের তুলনায় অনেক বেশি পরিচ্ছন্ন। আজ ভারতীয় রেলের ব্রডগেজ রেল নেটওয়ার্ক-কে মনুষ্যবিহীন লেভেল ক্রসিং থেকে মুক্ত করে আগের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ করা হয়েছে। আজ ভারতীয় রেলের গতি অনেক দ্রুত হয়েছে। আজ আত্মনির্ভরতা এবং আধুনিকতার প্রতীক, “বন্দে ভারত”-এর মতো ভারতে নির্মিত ট্রেনগুলি রেল নেটওয়ার্কের অংশ হয়ে উঠছে। আজ ভারতের যে অঞ্চলগুলিতে রেল ছিল না, সেই অঞ্চলগুলিকে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য, রেল পথের প্রশস্তিকরণ এবং বৈদ্যুতিকীকরণ-এর ব্যবস্থা দ্রুতগতিতে বিস্তার লাভ করছে।

বন্ধুগণ, রেলওয়ের আধুনিকীকরণের এই ব্যাপক প্রচেষ্টা দ্বারা সব থেকে বেশি লাভবান হবে বিহার এবং তার সঙ্গে গোটা পূর্ব ভারত। বিগত কয়েক বছর ধরে মেক-ইন-ইন্ডিয়া-কে উৎসাহ যোগানোর জন্য মাধেপুরা-তে ইলেকট্রিক লোকো ফ্যাক্টরি এবং মঢ়ৌরা-তে ডিজেল লোকো ফ্যাক্টরি স্থাপন করা হয়েছে। এই দুটি প্রকল্পের মাধ্যমেই বিহারে প্রায় ৪৪,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এটা শুনে প্রত্যেক বিহারবাসী গর্বিত হবেন যে আজ বিহারে ১২,০০০ হর্স পাওয়ারের সব থেকে শক্তিশালী বিদ্যুৎ ইঞ্জিন নির্মিত হচ্ছে। বারাউনি-তে বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনগুলির মেরামতি ও দেখাশোনার জন্য বিহারে প্রথম লোকো শেডও কাজ করতে শুরু করেছে। বিহারের জন্য আরেকটি বড় খবর হলো যে আজ বিহারে রেল নেটওয়ার্কের প্রায় ৯০ শতাংশ বৈদ্যুতিকীকরণ সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। বিগত ৬ বছরেই বিহারে ৩,০০০ কিলোমিটারেরও বেশি রেলপথের বৈদ্যুতিকীকরণ হয়েছে। আজ এর সঙ্গে আরও ৫টি প্রকল্প যুক্ত হয়েছে।

বন্ধুগণ, বিহারে যে ধরণের পরিস্থিতি ছিল সেখানে রেলওয়ে জনগণের আসা-যাওয়ার একটি বড় উপায় ছিল। আজ বিহারের রেলওয়ের পরিস্থিতি শুধরানো কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের মধ্যে অন্যতম। আজ বিহারে যত দ্রুত গতিতে রেলওয়ের নেটওয়ার্কের কাজ চলছে তার প্রেক্ষিতে আমি একটি তথ্য দিতে চাই। ২০১৪ সালের পূর্ববর্তী ৫ বছরে বিহারে প্রায় ৩২৫ কিলোমিটার রেল লাইন কমিশন হয়েছে। সহজ শব্দে যদি বলি, ২০১৪-র আগে ৫ বছরে মাত্র ৩২৫ কিলোমিটার নতুন রেললাইন পাতা হয়েছিল। ২০১৪ সালের পর, ৫ বছরে বিহারে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার রেললাইন কমিশন হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় দ্বিগুণ থেকেও বেশি নতুন রেললাইন গড়ে উঠেছে। এখন প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার নতুন রেললাইনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আজ হাজিপুর-ঘৌসবর-বৈশালী নতুন রেললাইন চালু হওয়ার জন্য বৈশালীনগর, দিল্লি এবং পাটনা থেকেও সরাসরি রেল পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এই পরিষেবার মাধ্যমে এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্প অনেক শক্তিশালী হবে। আমাদের যুব সম্প্রদায়ের বন্ধুদের নতুন কর্মসংস্থানের সুবিধা হবে। এভাবে ইসলামপুর-নটেসর নতুন রেল লাইনের মাধ্যমেও জনগণের অনেক উপকার হবে। বিশেষ করে বৌদ্ধধর্মাবলম্বী মানুষদের এই নতুন পরিষেবা হওয়ায় অনেক সুবিধা হবে।

বন্ধুগণ, আজ দেশে মালগাড়ি এবং যাত্রীগাড়ি উভয়ের জন্য আলাদা আলাদা ট্রাক গড়ে তোলার ব্যাপক ব্যবস্থা অর্থাৎ ডেডিকেটেট ফ্রেট করিডোর বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও দ্রুতগতিতে কাজ এগিয়ে চলেছে। এর মধ্যে বিহারের প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার দীর্ঘ ডেডিকেটেট ফ্রেট করিডোর তৈরি হচ্ছে যা অতি দ্রুত সম্পূর্ণ হতে চলেছে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ট্রেনগুলি বিলম্বে আসা-যাওয়ার সমস্যার পাশাপাশি পণ্য পরিবহণেও অনেক সময় সাশ্রয় হতে চলেছে।

বন্ধুগণ, যেভাবে করোনার এই সঙ্কটকালে রেলওয়ের কাজ এগিয়ে চলেছে, যেভাবে রেলওয়ে কাজ করছে তার জন্য আমি ভারতীয় রেলের লক্ষ লক্ষ কর্মচারী সেই বন্ধুদের বিশেষ প্রশংসা জানাই। দেশের লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক-কে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য দিনরাত এক করে কাজ করছে। স্থানীয় স্তরে শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও রেলওয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে। করোনা কালে ভারতীয় রেলের যাত্রী পরিষেবা কিছু সময়ের জন্য থেমে গিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু রেলকে সুরক্ষিত এবং আধুনিক করে তোলার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে গেছে। দেশের প্রথম “কিষান রেল”, অর্থাৎ রেল লাইনে চলমান কোল্ড স্টোরেজও বিহার এবং মহারাষ্ট্রের মধ্যে এই করোনা কালেই চালু করা হয়েছে।

বন্ধুগণ, যদিও এই কর্মসূচীটি রেলওয়ের, কিন্তু রেলওয়ের পাশাপাশি এটি জনগণের জীবনকে সহজ করার আর উন্নত করার বিবিধ প্রচেষ্টার আয়োজন স্বরূপ। সেজন্য আমি আপনাদের সামনে আজ আরেকটি বিষয় তুলে ধরতে চাই, যা বিহারের জনগণের স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত। নীতীশজীর নেতৃত্বে সরকার গঠনের আগে পর্যন্ত বিহারে হাতে গোনা দু-একটা মেডিকেল কলেজ ছিল। এর ফলে বিহারের রোগীদের কঠিন সমস্যা হতো পাশাপাশি এই রাজ্যের মেধাবী যুবক-যুবতীদের ডাক্তারি পড়ার জন্য অন্য রাজ্যে যেতে হতো। আজ বিহারে ১৫টির বেশি মেডিকেল কলেজ হয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলি বিগত কয়েক বছরে হয়েছে। কয়েক দিন আগেই বিহারে একটি নতুন এআইআইএমএস স্থাপনের প্রকল্পও মঞ্জুর করা হয়েছে। এই এআইআইএমএস দ্বারভাঙ্গায় গড়ে তোলা হবে। এই নতুন এআইআইএমএস-এ ৭৫০ শয্যা-র নতুন হাসপাতাল তো গড়ে উঠবেই, এর মধ্যে এমবিবিএস-এর ১০০টি এবং নার্সিং-এর ৬০টি আসনও থাকবে। দ্বারভাঙ্গায় এই এআইআইএমএস গড়ে উঠলে এর মাধ্যমে হাজার হাজার নতুন কর্ম সংস্থানও সৃষ্টি হবে।

বন্ধুগণ, দেশের কৃষকদের কল্যাণের লক্ষ্যে কৃষি সংস্কারের লক্ষ্যে গতকাল দেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিল ছিল। গতকাল বিশ্বকর্মা জয়ন্তীর দিন লোকসভায় ঐতিহাসিক কৃষি সংস্কার আইন পাস হয়েছে। এই আইনের মাধ্যমে আমাদের অন্নদাতা কৃষকদের অনেক বন্ধন থেকে মুক্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম কৃষকদের কৃষি কার্যে একটি নতুন স্বাধীনতা এনে দেওয়ার কাজ শুরু হল। তাঁদেরকে স্বাধীন করা হল। এই সংস্কারের মাধ্যমে কৃষকদের নিজস্ব উৎপাদিত ফসল বিক্রি করার ক্ষেত্রে আরও বেশি বিকল্প সৃষ্টি হবে, আরও বেশি সুযোগ আসবে। আইনগুলি পাস হওয়ার জন্য আমি সারা দেশের কৃষকদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। কৃষক এবং গ্রাহকের মাঝে যে দালালরা থাকে, যাঁরা কৃষকদের রোজগারের অনেকটা অংশ নিজেদের পকেটে ঢোকায়, তাঁদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য এই আইন আনা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল। এই আইন কৃষকদের জন্য রক্ষাকবচ হয়ে এসেছে। কিন্তু কিছু মানুষ যাঁরা দশকের পর দশক ধরে ক্ষমতা ভোগ করছিলেন, দেশে রাজত্ব করছিলেন, তাঁরা কৃষকদের এই বিষয়ে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন। তাঁরা কৃষকদের মিথ্যে কথা বলছেন।

বন্ধুগণ, নির্বাচনের সময় কৃষকদের প্রভাবিত করার জন্য তাঁরা বড় বড় কথা বলেন, লিখিতভাবেই বলেন। নিজেদের ইস্তেহারে সেসব ঘোষণা লিপিবদ্ধ থাকে। কিন্তু নির্বাচনের পর তাঁরা ভুলে যান। আর আজ যখন সেই বিষয়টাই এনডিএ সরকার করছে যা এত দশক ধরে দেশ শাসনকারী রাজনৈতিক দলের ইস্তেহারে ছিল সেটিই যখন কৃষকদের হিতের প্রতি সমর্পিত আমাদের সরকার করছে তখন তাঁরাই নানারকমভাবে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চাইছেন। যে এপিএমসি আইন নিয়ে তাঁরা এখন রাজনীতি করছেন কৃষি বাজারের বিভিন্ন ব্যবস্থায় পরিবর্তনের যাঁরা বিরোধিতা করছেন সেই পরিবর্তনের কথা তাঁরাই নিজেদের ইস্তেহারে বার বার লিখেছেন। কিন্তু এখন যখন এনডিএ সরকার এই পরিবর্তন এনেছে তখন তাঁরা এর বিরোধিতা করছেন, গুজব ছড়াচ্ছেন, কৃষকদের বিভ্রান্ত করার পথে নেমেছেন। নিছকই বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করতে তাঁরা একের পর এক উদাহরণ সামনে নিয়ে আসছেন। কিন্তু তাঁরা এটা ভুলে যাচ্ছেন যে দেশের কৃষকরা কতটা জাগ্রত। তাঁরা এটা দেখতে পারছে যে কিছু মানুষ কৃষকরা যে নতুন সুযোগ পাচ্ছেন সেগুলিকে পছন্দ করছে না। কৃষকরা এটাও দেখতে পারছেন যে তাঁরা এই সময়ে দালালদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

বন্ধুগণ, এরাই আগে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে বড় বড় কথা বলতেন, কিন্তু কখনো নিজেদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেন নি। কৃষকদের তাঁরা যত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাঁরা সেগুলি পুরণ করেন নি বলেই বর্তমান এনডিএ সরকার সেগুলি পূরণ করেছে। এখন এটা অপপ্রচার করা হচ্ছে যে সরকার কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের লাভ থেকে বঞ্চিত করবে। তারা আরও মনগড়া কথা বলছে যে কৃষকদের কাছ থেকে সরকার আর ধান, গম কিনবে না। এটা মিথ্যে কথা, ভুল কথা, তাঁরা কৃষকদের ধোকা দিচ্ছে। আমাদের সরকার কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের মাধ্যমে কৃষকদের যথোচিত মূল্য প্রদানের ক্ষেত্রে দায়বদ্ধ। আগেও ছিল, আজও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। সরকারি ক্রয় আগের মতোই জারি থাকবে। কোনো ব্যক্তি নিজের উৎপাদিত ফসল, তা তিনি যাই উৎপাদন করুন না কেন বিশ্বের যে কোনো জায়গায় বিক্রি করতে পারেন, যেখানে ইচ্ছে বিক্রি করতে পারেন। তাঁরা যদি কাপড় তৈরি করেন সেই কাপড় তাঁরা যেখানে খুশি বিক্রি করতে পারেন। তাঁরা যদি বাসন তৈরি করেন সেই বাসনও তাঁরা যেখানে খুশি বিক্রি করতে পারেন। যাঁরা জুতো তৈরি করেন তাঁরাও যেখানে খুশি বিক্রি করতে পারেন। শুধু আমার কৃষক ভাই-বোনদের এই অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছিল, তাঁদেরকে দালালদের মাধ্যমে ফসল বিক্রি করতে বাধ্য করা হতো। এখন নতুন ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে কৃষকরা নিজেদের উৎপাদিত ফসল দেশের যে কোনো বাজারে নিজেদের পছন্দ মতো দামে বিক্রি করতে পারবেন। এটা আমাদের সমবায়গুলি, কৃষি উৎপাদক সঙ্ঘ এফপিও গুলি এবং বিহারে প্রচলিত জীবিকার মতো মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির জন্য একটি সোনালী সুযোগ নিয়ে এসেছে।

বন্ধুগণ, নীতীশজীও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন। তিনি ভালোভাবেই বোঝেন যে এপিএমসি আইনের মাধ্যমে কৃষকদের কী কী ক্ষতি হচ্ছিল। সেজন্যই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর নিজের শাসনকালের গোড়ার দিকেই নীতীশজী বিহার থেকে এই আইনকে সরিয়ে দিয়েছিলেন। যে কাজ কখনও বিহার করে দেখিয়েছে, আজ গোটা দেশ সেই পথে এগিয়ে চলেছে।

বন্ধুগণ, কৃষকদের জন্য গত ৬ বছরে এনডিএ আসনে যত কাজ করা হয়েছে তা আগে কখনো করা হয়নি। কৃষকদের একেকটি সমস্যা বুঝে নিয়ে সেগুলি সমাধানের জন্য আমাদের সরকার নিরন্তর চেষ্টা চালিয়েছে। দেশের কৃষকদের বীজ কেনা, সার কেনার মতো ছোট ছোট প্রয়োজনগুলি বাস্তবায়নের জন্য যাতে কারো কাছ থেকে ঋণ না নিতে হয় একথা মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী কিষান কল্যাণ যোজনা চালু করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই দেশের ১০ কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা সরাসরি জমা করা হয়েছে, মাঝে কোনো দালাল ছিল না। কৃষকদের জলের সমস্যা দূর করতে দশকের পর দশক ধরে অসম্পূর্ণ থাকা সেচ প্রকল্পগুলি সম্পূর্ণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কৃষি সিঞ্চাই যোজনার মাধ্যমে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। তেমনি ইউরিয়া, যার জন্য লম্বা লম্বা লাইনের দাঁড়াতে হতো, যা কৃষকের খেতে কম পৌঁছতো আর ঘুরপথে কারখানাগুলিতে বেশি পৌঁছে যেতো। এখন সেই ইউরিয়াকে ১০০ শতাংশ নিম-কোটিং করে কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে। আজ দেশে বৃহৎস্তরে কোল্ড স্টোরেজের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত প্রকল্পগুলিতে বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। ১ লক্ষ কোটি টাকার কৃষি পরিকাঠামো তহবিল গড়ে তোলা হচ্ছে। কৃষকদের গবাদি পশুকে অসুস্থতা থেকে রক্ষা করার জন্য সারা দেশে অভিযান চালানো হচ্ছে। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য, মুরগি পালনে উৎসাহ দেওয়ার জন্য, মধু উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য, দুধ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য, কৃষকদের আয় বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত বিকল্প প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।

বন্ধুগণ, আমি আজ দেশের কৃষকদের অত্যন্ত নম্রতার সঙ্গে নিজের কথা বলতে চাই, স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই। আপনারা কোনোভাবে বিভ্রান্ত হবেন না। এই মানুষদের থেকে দেশের কৃষকদের সতর্ক থাকতে হবে। এদের থেকে জনগণকে সাবধান থাকতে হবে। যাঁরা দশকের পর দশক ধরে দেশের শাসন ক্ষমতায় ছিল আর আজ কৃষকদের মিথ্যে কথা বলছে। তাঁরা কৃষকদের রক্ষার জন্য ঢাক পেটাচ্ছে, কিন্তু আসলে কৃষকদের অনেক বন্ধনে বেধে রাখতে চায়। তাঁরা দালালদের স্বার্থ দেখছে, তাঁরা কৃষকদের রোজগারকে মাঝপথেই যারা লুন্ঠন করতো তাদের সঙ্গ দিচ্ছে। কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য দেশের যে কোনো স্থানে, যে কাউকে বিক্রি করার স্বাধীনতা প্রদান একটি অত্যন্ত ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। একবিংশ শতাব্দীর ভারতের কৃষক বন্ধনের মধ্যে থেকে নয়, ভারতের কৃষকরা মুক্তমনে চাষের কাজ করবে। যেখানে মন চাইবে নিজেদের ফসল বিক্রি করবে। যেখানে বেশি পয়সা পাবে সেখানেই বিক্রি করবে, কোনো দালালদের মুখাপেক্ষী থাকবে না আর নিজেদের ফসল এবং আয় বাড়াবে। এটি দেশের প্রয়োজন এবং সময়ের দাবিও বটে।

বন্ধুগণ, কৃষক থেকে শুরু করে মহিলা, নব যুব-যুবতী প্রত্যেকের জীবনকে দেশের বিকাশের স্বার্থে ক্ষমতায়িত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আজ যতগুলি প্রকল্প জাতির উদ্দেশে সমর্পণ করা হলো সেগুলি দায়িত্বেরই একেকটি অংশ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আজ যে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন এবং শিলান্যাস হলো, সেগুলি বিহারের জনগণ, এখানকার যুব সম্প্রদায়, এখানকার মহিলাদের জন্য অত্যন্ত লাভদায়ক হবে।

বন্ধুগণ, করোনার এই সঙ্কটকালে আমাদের সবাইকে খুব সামলে চলতে হবে। সামান্য অবহেলা আপনাদের এবং আপনাদের প্রিয়জনদের অনেক বেশি ক্ষতি করে দিতে পারে। সেজন্য আমি বিহারের জনগণের কাছে, দেশবাসীর কাছে নিজের অনুরোধ আবার রাখতে চাই। আপনারা অবশ্যই মাস্ক পড়বেন এবং ঠিকভাবে পড়বেন, দু-গজের দূরত্ব সর্বদাই মনে রাখবেন, এগুলি পালন করবেন, ভীড় এড়িয়ে চলবেন, নিজেরা ভীড় করবেন না। আপনার রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা, আপনার ইমিউনিটি বৃদ্ধির জন্য আরোগ্য সেতুতে যেভাবে বলা হয়েছে নিয়মিত সেরকম কাঢ়া পান করুন, ঈষদুষ্ণ জল খেয়ে যান, নিয়ন্তর নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ্য রাখুন, আপনারা সতর্ক থাকুন, নিরাপদ থাকুন, সুস্থ থাকুন!!

আপনাদের পরিবার সুস্থ থাকুক এই কামনা সহ আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।