“পুথান্ডু প্রাচীন ধারায় আধুনিকতার উৎসব”
“তামিল উৎসব এবং সেখানকার মানুষ চিরন্তন এবং আন্তর্জাতিক”
“তামিল হল বিশ্বের সর্বপ্রাচীন ভাষা, এই নিয়ে প্রত্যেক ভারতীয় গর্বিত”
“তামিল চলচ্চিত্র শিল্প বেশ কিছু প্রতিষ্ঠিত বরেণ্য কাজ উপহার দিয়েছে”
“তামিল সংস্কৃতির মধ্যে এমন অনেক কিছু আছে যা ভারতকে জাতি হিসেবে গড়ে তুলছে”
“তামিল জনসাধারণকে নিরন্তর সেবার অনুভূতি আমার মধ্যে নতুন শক্তির জন্ম দেয়”
“কাশী তামিল সঙ্গমম-এর মধ্যে আমরা একইসঙ্গে প্রাচীনত্ব, উদ্ভাবন এবং বৈচিত্র্য উদযাপন করে থাকি”
“আমি বিশ্বাস করি তামিলরা ছাড়া কাশীর অধিবাসীদের জীবন অসম্পূর্ণ”
“আমাদের দায়িত্ব হল তামিল ঐতিহ্য সম্বন্ধে জানা এবং তা দেশ ও বিশ্বকে জানানো; এই ঐতিহ্যই হল আমাদের ঐক্যের স্মারক এবং ‘রাষ্ট্রই প্রথম’ এই ভাবধারার উদ্ভাবক”

ভনক্কম!

শুভ তামিল পুথান্ডু উপলক্ষে আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। তামিল ভাই-বোনদের স্নেহ ও ভালোবাসায় আজ আমি এখানে আপনাদের সকলের সঙ্গে তামিল পুথান্ডু উদযাপনের সুযোগ লাভ করেছি। পুথান্ডু হল সুপ্রাচীন ঐতিহ্যের এক বিশেষ উদযাপন। প্রাচীন তামিল সংস্কৃতির এটি এক অঙ্গবিশেষ। এই উদযাপন হল এমনই একটি ঐতিহ্য যা নতুন শক্তিতে আমাদের উজ্জীবিত করে প্রতি বছর পুথান্ডু পালনের শক্তি যোগায়। সত্যিই তা বিস্ময়কর এবং এই কারণেই তামিলনাড়ু তথা তামিল জনসাধারণ এক বিশিষ্টতায় সমুজ্জ্বল। আমি বরাবরই এই ঐতিহ্যকে পছন্দ করি। পছন্দ করি, তার সঙ্গে মিশে থাকা মানুষের আবেগকে। আমি যখন গুজরাটে ছিলাম তখন তামিল বংশোদ্ভূত বহু মানুষ মণিনগর বিধানসভা ক্ষেত্রে বসবাস করতেন। আমি ছিলাম সেখানকারই বিধায়ক-প্রতিনিধি। তাঁরাই ছিলেন আমার ভোটদাতা। তাঁরাই আমাকে নির্বাচিত করেছিলেন বিধায়ক তথা মুখ্যমন্ত্রী রূপে। তাঁদের সঙ্গে যে মুহূর্তগুলি আমি অতিবাহিত করেছি, তার স্মৃতি আমি আজও রোমন্থন করি। আমার বিশেষ সৌভাগ্য যে তামিলনাড়ুর জনসাধারণ তামিলনাড়ুর প্রতি আমার সেই ভালোবাসায় সাড়া দিয়েছেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে।

বন্ধুগণ,

দেশের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের পূর্তি উদযাপনে লালকেল্লার প্রাকার থেকে যে বক্তব্য আমি পেশ করেছিলাম তাতে দেশের ঐতিহ্যে সকলকে গর্বিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলাম আমি। এই ঐতিহ্য যত বেশি সুপ্রাচীন ততই তা কালের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। আর এই কারণেই তামিল সংস্কৃতি এবং তামিল জনসাধারণ শাশ্বত তথা সার্বজনীন। চেন্নাই থেকে ক্যালিফোর্নিয়া, মাদুরাই থেকে মেলবোর্ন, কোয়েম্বাটোর থেকে কেপটাউন, সালেম থেকে সিঙ্গাপুর – সর্বত্রই ছড়িয়ে রয়েছেন তামিল জনসাধারণ। তাঁদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তাঁরা সেখানে বহন করে নিয়ে গেছেন। বিশ্বের সর্বত্রই উদযাপিত হয় পোঙ্গল ও পুথান্ডুর মতো তাঁদের নানা উৎসব। আবার তামিল হল বিশ্বের প্রাচীনতম একটি ভাষা। এজন্য প্রত্যেক ভারতীয়ই বিশেষভাবে গর্বিত। তামিল সাহিত্যের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে সকলেরই। তামিল চলচ্চিত্র শিল্প আমাদের উপহার দিয়েছে চিরকালীন কিছু ছবিও।

 

বন্ধুগণ,

স্বাধীনতা সংগ্রামেও তামিল জনসাধারণের অবদান ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তামিলনাড়ুর মানুষের বুদ্ধি ও প্রতিভা দেশ পুনর্গঠনের কাজেও নানাভাবে সাহায্য করেছে। দেশের উন্নয়নে তাঁরা যোগ করেছেন এক নতুন মাত্রাও। সি রাজাগোপালাচারী এবং তাঁর দার্শনিক চিন্তাভাবনাকে বাদ দিয়ে আধুনিক ভারতের কথা চিন্তাই করা যায় না। আমরা আজও কামরাজকে স্মরণ করি। স্মরণ করি, সমাজকল্যাণে তাঁর প্রচেষ্টার কথাও। ডঃ কালামের কথায় ও কাজে অনুপ্রাণিত হননি এমন তরুণ ও যুবকের দেখা মেলা ভার। চিকিৎসা, আইন এবং শিক্ষাজগতে তামিল জনসাধারণের অবদান এক কথায় অতুলনীয়। ‘মন কি বাত’-এর বিভিন্ন এপিসোডে তামিলনাড়ুর মানুষের এই অবদান নিয়ে আমি নানা সময়ে আলোচনাও করেছি।

বন্ধুগণ,

ভারত হল বিশ্বের প্রাচীনতম একটি গণতন্ত্র। এক কথায়, গণতন্ত্রের জননী হল ভারতবর্ষ। বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে এর যেমন প্রতিফলন ঘটেছে তার উল্লেখও রয়েছে নানাভাবে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ রয়েছে তামিলনাড়ুর কথাও। তামিলনাড়ুতে উত্তরামেরুর নামে যে স্থানটি রয়েছে, তারও এক বিশেষত্ব রয়েছে। ১১০০-১২০০ বছর আগে ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্পর্কে এখান যে সমস্ত গ্রন্থ রচিত হয়েছিল তা আজও আগ্রহের সঙ্গে পাঠ করা হয়। সেই সময়ে স্থানীয় পর্যায়ে গ্রামসভাগুলির গঠন সম্পর্কে লিপি উৎকীর্ণ রয়েছে নানা স্থানে। সেখানে বলা হয়েছে, এই সভা কিভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত, গ্রামসভার সদস্যদের কি কি যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন এবং সদস্যদের নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি কেমন হওয়া দরকার। এছাড়াও, সেই যুগে কিছু কিছু সদস্য কিভাবে অযোগ্য বলে বিবেচিত হতেন, তারও বর্ণনা রয়েছে। শত শত বছর আগের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্পর্কে সবিস্তার বর্ণনাও রয়েছে সেখানে।

বন্ধুগণ,

তামিল সংস্কৃতি এতটাই সমৃদ্ধ যে তা ভারতকে জাতি হিসেবে গঠন করতে বিশেষভাবে সাহায্য করেছে। চেন্নাই থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে কাঞ্চিপুরমের কাছে অবস্থিত থিরু মুক্কুদলে ভেঙ্কটেশ পেরুমল মন্দিরের কথা একটি দৃষ্টান্ত রূপে আমি তুলে ধরতে পারি। চোলা সাম্রাজ্যকালে এই মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ১১০০ বছর আগে। এই মন্দিরের গ্র্যানাইট পাথরে খোদাই করা রয়েছে এক বিশেষ বর্ণনা যা থেকে আমরা জানতে পারি যে সেই সময় একটি ১৫ শয্যার হাসপাতালও ছিল সেখানে। ১১০০ বছরের প্রাচীন সেই প্রস্তরখণ্ডগুলিতে চিকিৎসাপদ্ধতি, চিকিৎসকদের সম্মান-দক্ষিণা, ভেষজ ওষুধ ইত্যাদি সম্পর্কেও নানা ধরনের লিপি উৎকীর্ণ রয়েছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পর্কে এই লিপিগুলি তামিলনাড়ু তথা ভারতের এক মহান ঐতিহ্য বলেই আমি মনে করি।

 

বন্ধুগণ,

দাবা অলিম্পিয়াডের উদ্বোধনকালে তামিলনাড়ুর তিরুভারুর জেলায় আমি একটি সুপ্রাচীন শিব মন্দিরের কথা উল্লেখ করেছিলাম। অতি প্রাচীন চতুরঙ্গ বল্লভনাথের এই মন্দিরটির সঙ্গে দাবা খেলার এক বিশেষ যোগ রয়েছে। চোলা সাম্রাজ্যকালে তামিলনাড়ু থেকে অন্যান্য দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রভূত উল্লেখও রয়েছে সেখানে।

ভাই ও বোনেরা,

জাতি হিসেবে আমাদের দায়িত্বই হল এই উত্তরাধিকারকে বহন করে নিয়ে যাওয়া এবং জগতের সামনে তা তুলে ধরার। অতীতের ঘটনা সম্পর্কে আপনারা সকলেই ওয়াকিবহাল। আমার সৌভাগ্য যে দেশকে সেবা করার এক সুযোগ আপনারা এখন আমাকে দিয়েছেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘে তামিল ভাষায় একটি তামিল উদ্ধৃতি আমি তুলে ধরায় দেশ-বিদেশের বহু মানুষ আমার কাছে আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন। শ্রীলঙ্কার জাফনা সফরের সুযোগও আমার হয়েছিল। আমিই ছিলাম ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী যিনি জাফনা সফর করে এসেছেন। শ্রীলঙ্কার তামিল সম্প্রদায়ের কল্যাণের আশায় দীর্ঘকালযাবৎ সেখানকার মানুষ সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। আমাদের সরকার তাঁদের জন্য অনেক কিছুই করে দিয়েছেন। তামিল সাধারণ মানুষের জন্য ঘর-বাড়িও বানিয়ে দিয়েছি আমরা। সেখানে একটি বিশেষ ঘটনাও সেই সময় ঘটেছিল। তামিল ঐতিহ্য অনুসারে গৃহ প্রবেশ অনুষ্ঠানের আগে বাড়ির বাইরে কাঠের আগুনে দুধ গরম করার একটি রীতি রয়েছে। সেই অনুষ্ঠানে আমিও যোগ দিয়েছিলাম। সেই অনুষ্ঠানের ভিডিও যখন তামিলনাড়ুর মানুষ দেখেছিলেন তখন তাঁরা আমায় ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন। আমার প্রতিটি পদক্ষেপেই তামিলনাড়ু এবং তামিল মানুষের সঙ্গে আমি কতটা যুক্ত রয়েছি তার পরিচয় পাওয়া যায়। তামিল জনসাধারণকে সেবা করে যাওয়ার এই শক্তি আমাকে আবার নতুন করে উদ্যম যোগায়।

 

বন্ধুগণ,

সদ্য সমাপ্ত কাশী তামিল সঙ্গমম-এর সাফল্যের ঘটনা সম্পর্কে আপনারা সকলেই অবহিত। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা সুপ্রাচীনত্ব, তার বৈচিত্র্য এবং চমৎকারিত্বের উদযাপন করেছিলাম। এখানকার অনুষ্ঠানগুলিতে সমৃদ্ধ তামিল সাহিত্যকে নানাভাবে তুলে ধরা হয়েছিল। কাশীতে তামিল সঙ্গমম-এর সময় হাজার হাজার টাকার তামিল বই অল্প সময়ের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। তামিল ভাষা শেখার বইয়ের জন্য তখন মানুষকে খুবই আগ্রহী হতে দেখা যায়। বন্ধুগণ, কাশীর হিন্দিভাষী সাধারণ মানুষ তামিল বইয়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছেন এবং হাজার হাজার টাকার বই তাঁরা কিনে ফেলছেন। এই ঘটনা থেকেই দেশের সাংস্কৃতিক বন্ধনের শক্তি আমরা উপলব্ধি করতে পারি।

আমি বিশ্বাস করি যে কাশীর মানুষের জীবন অসম্পূর্ণ থেকে যায় তামিল মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া। আমি নিজেও কাশীতে অবস্থান করেছি। অন্যদিকে, তামিল জনসাধারণের জীবনও কাশী যোগ ছাড়া অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে। তামিলনাড়ু থেকে যখন কেউ কাশীতে এসে উপস্থিত হন তখনই পারস্পরিক ভালোবাসার চিহ্নটি সুপরিস্ফুট হয়ে ওঠে। কাশীর একজন সাংসদ হিসেবে এ ঘটনা নিঃসন্দেহে আমার কাছে খুবই গর্বের বিষয়। তামিল ভাষায় অন্তত ৫০-১০০টি শব্দের সঙ্গে পরিচিত নন, কাশীতে এমন মাঝির দেখা পাওয়া খুবই বিরল। তাঁদের পারস্পরিক মেলামেশা এমনটাই। আমাদের সকলেরই সৌভাগ্যের বিষয় যে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে সুব্রহ্মনিয়া ভারতীজির নামে অধ্যাপকের একটি আসনও সৃষ্টি করা হয়েছে। সুব্রহ্মনিয়া ভারতীজি অনেককাল কাশীতেই অবস্থান করেছিলেন। সেখান থেকে তিনি শিক্ষালাভ করেছেন অনেক বিষয়েই। তামিলনাড়ুর এক ভদ্রলোককে কাশী বিশ্বনাথ ট্রাস্টের সদস্য করা হয়েছে, এই ঘটনাও ছিল তখন সর্বপ্রথম। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্ট খুবই সুপ্রাচীন। আর এইভাবেই তামিল জনসাধারণের প্রতি কাশীবাসীর ভালোবাসার পরিচয় আমরা পেয়েছি। ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর চিন্তাভাবনাকে আরও সুদৃঢ় করে তোলার ক্ষেত্রে এই প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে অবদান সৃষ্টি করবে।

বন্ধুগণ,

তামিল সাহিত্য আমাদের অতীত সম্পর্কে যেমন শিক্ষা দেয়, ভবিষ্যতের লক্ষ্যেও তা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তামিল সাহিত্য দু’হাজার বছরেরও বেশি প্রাচীন। দৃষ্টান্তস্বরূপ, সঙ্গম সাহিত্যে বিভিন্ন ধরনের মিলেটের কথা আমরা জানতে পারি। ‘শ্রী অন্ন’ প্রাচীনকালে তামিলনাড়ুতে ব্যবহার করা হত। প্রাচীন তামিল সাহিত্য ‘অগনানানুরু’তে বাজরার খেতের উল্লেখ রয়েছে। মহান তামিল কবি আভাইয়ার একটি সুন্দর কবিতায় সুস্বাদু ‘ভারাগু আরিশি চরু’র কথা লিখে গেছেন। এমনকি আজও যদি কেউ প্রশ্ন করেন যে ঈশ্বর মুরুগান নৈবেদ্য হিসেবে কোন খাদ্য বস্তুটি পছন্দ করেন, তাহলে তার উত্তর হল ‘থেনুম থিনাই মাভুম’। ভারতের উদ্যোগে ভারতে বাজরা জাতীয় খাদ্যশস্যের যে হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে তার সঙ্গে আজ যোগসাধন ঘটেছে সমগ্র বিশ্বেরই। মিলেট জাতীয় খাদ্যশস্য গ্রহণ হয়ে উঠুক আমাদের নতুন বছরের এক নতুন সঙ্কল্প। আমাদের সঙ্কল্পবদ্ধ হওয়া উচিত, মিলেট জাতীয় খাদ্যশস্যকে আবার আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ফিরিয়ে আনা এবং অন্যকেও তা অনুসরণ করার জন্য অনুপ্রাণিত করার।

 

বন্ধুগণ,

আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তামিল শিল্পীদের অনুষ্ঠান এখানে পরিবেশিত হবে যা হল আমাদের শিল্প-সংস্কৃতির এক সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতীক। সমগ্র বিশ্বের কাছে তা তুলে ধরা আমাদের কর্তব্যবিশেষ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই শিল্পকলাগুলির প্রসারের ওপরও আমাদের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। আজকের প্রজন্মের কাছে তা যতই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে, ততই তাঁরা পরবর্তী প্রজন্মগুলির কাছে তা বহন করে নিয়ে যেতে পারবেন। তাই, আমাদের সম্মিলিত দায়িত্বই হল এই শিল্পকলা সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের সঙ্গে আলোচনা করা, এই শিল্পকলা সম্পর্কে তাঁদের শিক্ষিত করে তোলা। আজকের অনুষ্ঠান যে তারই এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে চলেছে তার জন্য আমি বিশেষভাবে আনন্দিত।

ভাই ও বোনেরা,

স্বাধীনতার অমৃতকালে তামিল ঐতিহ্য সম্পর্কে জানা ও বোঝা এবং তা থেকে শিক্ষালাভ করা আমাদের সকলের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। দেশ তথা সমগ্র বিশ্বের কাছে তা পৌঁছে দেওয়াও আমাদের দায়িত্ববিশেষ। আমাদের ঐক্যের এক বিশেষ প্রতীক হল এই ঐতিহ্য। ‘জাতিই প্রথম’ – এই চিন্তাভাবনায় তা বিশেষ শক্তি যোগায়। তামিল সাহিত্য, সংস্কৃতি, ভাষা এবং ঐতিহ্যকে আমাদের নিরন্তরভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এই মানসিক শক্তি নিয়ে আমি আমার বক্তব্য এখন শেষ করছি। পুথান্ডু উপলক্ষে আমি আরও একবার আপনাদের বিশেষ অভিনন্দন জানাই। আমি ধন্যবাদ জানাই মুরুগানজিকে এই গুরুত্বপূর্ণ উদযাপনে আমাকে অংশগ্রহণের সুযোগদানের জন্য। আপনাদের সকলের জন্যই রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

ধন্যবাদ!

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s organic food products export reaches $448 Mn, set to surpass last year’s figures

Media Coverage

India’s organic food products export reaches $448 Mn, set to surpass last year’s figures
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister lauds the passing of amendments proposed to Oilfields (Regulation and Development) Act 1948
December 03, 2024

The Prime Minister Shri Narendra Modi lauded the passing of amendments proposed to Oilfields (Regulation and Development) Act 1948 in Rajya Sabha today. He remarked that it was an important legislation which will boost energy security and also contribute to a prosperous India.

Responding to a post on X by Union Minister Shri Hardeep Singh Puri, Shri Modi wrote:

“This is an important legislation which will boost energy security and also contribute to a prosperous India.”