স্কুলে বহুমুখী ক্রীড়া অনুশীলন কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
সিন্ধিয়া স্কুলের ১২৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেন
প্রধানমন্ত্রী স্কুলের বিশিষ্ট প্রাক্তনী এবং সফল শিক্ষার্থীদের হাতে বার্ষিক পুরস্কার তুলে দেন
“দূরদর্শী মহারাজা প্রথম মাধো রাও সিন্ধিয়া আগামী প্রজন্মের জন্য এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন”
“গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের দীর্ঘমেয়াদি অভূতপূর্ব কিছু পরিকল্পনার জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে”
“দেশের বর্তমান যুগের যুব সম্প্রদায়ের সমৃদ্ধির জন্য একটি ইতিবাচক পরিবেশ গড়ে তুলতে আমরা উদ্যোগী হয়েছি”
“সিন্ধিয়া স্কুলের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ‘বিকশিত ভারত’ গড়ে তোলার জন্য পেশাগত ক্ষেত্রে অথবা অন্যত্র উদ্যোগী হতে হবে”
“ভারত বর্তমান সময়কালে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তার ব্যাপ্তি বিশাল”
“আপনাদের স্বপ্ন পূরণ করাই আমার সঙ্কল্প”

মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রদ্ধেয় মাঙ্গু ভাই প্যাটেল জি, এই রাজ্যের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রদ্ধেয় শিবরাজ সিং চৌহান জি, সিন্ধিয়া স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান এবং মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মীগণ,  শ্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জি, শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর জি, ডক্টর জিতেন্দ্র সিং জি, স্কুল ব্যবস্থাপনার সহকর্মী ও সকল কর্মচারী, শিক্ষক ও অভিভাবকগণ এবং আমার প্রিয় তরুণ বন্ধুরা!

সিন্ধিয়া স্কুলের ১২৫ বছর পূর্তিতে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক অভিনন্দন। আজাদ হিন্দ সরকারের প্রতিষ্ঠা দিবসও আজ। সেজন্য আমি সকল দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই। এখানে এই গৌরবময় ইতিহাসের সঙ্গে আমাকে যুক্ত করার জন্য আমি আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এই ইতিহাস সিন্ধিয়া স্কুলের ইতিহাস এবং এই ঐতিহাসিক গোয়ালিয়র শহরেরও ইতিহাস। ঋষি গোয়ালীপা, সঙ্গীত সম্রাট তানসেন, শ্রীমন্ত মহদাজী সিন্ধিয়া জি, রাজমাতা বিজয়রাজে জি, অটল বিহারী বাজপেয়ী জি এবং ওস্তাদ আমজাদ আলি খান পর্যন্ত, গোয়ালিয়রের এই মাটি এমন সব মানুষ তৈরি করে এসেছে যাঁরা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে যাবেন।

 

এই মাটি নারী শক্তি ও সাহসী বীরাঙ্গনাদের তপোভূমি। এই মাটিতেই মহারাণী গঙ্গাবাই তাঁর গহনা বিক্রি করে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করেছিলেন। তাই গোয়ালিয়রে এলে আমি নিজের মধ্যে শিহরণ অনুভব করি, খুব আনন্দ পাই। আর গোয়ালিয়রের সঙ্গে আমারও দুটি কারণে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। প্রথমত, আমি কাশীর সাংসদ আর সিন্ধিয়া পরিবার কাশীর সেবা ও আমাদের সংস্কৃতি রক্ষায় বিরাট ভূমিকা পালন করেছে। সিন্ধিয়া পরিবার গঙ্গার তীরে অনেক ঘাট তৈরি করেছে এবং বিএইচইউ প্রতিষ্ঠার জন্য আর্থিক সাহায্য করেছে। আজ যেভাবে কাশীর উন্নয়ন হচ্ছে, তা দেখে আমরা কল্পনা করতে পারি মহারাণী বৈজাবাই এবং মহারাজ মাধব রাও জির আত্মা যেখানে যে অবস্থাতেই থাকুক না কেন, তাঁরা কত না খুশি হচ্ছেন! 

আর আমি যেমনটি বলেছি দু’টি কারণে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে, এবার আমি আপনাদেরকে দ্বিতীয় কারণটিও বলি। গোয়ালিয়রের সঙ্গে আমার আরেকটি সম্পর্কও আছে। আমাদের জ্যোতিরাদিত্য জি গুজরাটের জামাই। সেজন্যে গোয়ালিয়রের সঙ্গেও আমার একটা সম্পর্ক যেমন আছে, তেমনই আরেকটা সংযোগ আছে, আমার নিজের গ্রাম ছিল গায়কোয়াড় রাজ্যের একটি গ্রাম। আর আমার গ্রামে নির্মিত প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয়টি গায়কওয়াড় পরিবার তৈরি করেছিল। আর আমি ভাগ্যবান যে গায়কওয়াড় জি যে স্কুলটি তৈরি করেছিলেন সেখানে আমি বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা পেতাম।

বন্ধুগণ, 

আমাদের শাস্ত্রে বলা হয়েছে – “মনস্যেকং বচস্যেকং কর্মণ্যেকং মহাত্মানাম” 

অর্থাৎ, একজন ভদ্রলোক মনে মনে যা ভাবেন, তাই বলেন এবং করেন। এটিই একজন কর্তব্যপরায়ণ ব্যক্তিত্বের পরিচয়। একজন বিবেকবান ব্যক্তি তাৎক্ষণিক লাভের জন্য নয়, আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করার জন্য কাজ করেন। একটি পুরানো প্রবাদও আছে, আপনি যদি এক বছরের চিন্তা করেন তবে শস্য বপন করুন, আপনি যদি এক দশকের কথা ভাবেন তাহলে ফল গাছ লাগান, আর আপনি যদি শতাব্দীর কথা চিন্তা করেন তাহলে কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করুন।

মহারাজা মাধবরাও সিন্ধিয়া প্রথমজি, তাঁর চিন্তাভাবনা তাৎক্ষণিক লাভের জন্য নয় বরং আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যত উজ্জ্বল করার জন্য ছিল। সিন্ধিয়া স্কুল ছিল তাঁর সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফল, তিনি জানতেন মানব সম্পদের শক্তি কেমন হয়। খুব কম লোকই ভাবেন যে মাধো রাও জি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ভারতীয় পরিবহন সংস্থাটি এখনও ডিটিসি হিসাবে দিল্লিতে চলছে। তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জল সংরক্ষণে সমানভাবে মনোযোগী ছিলেন। সে আমলে তিনি পানীয় জল সরবরাহ  ও সেচের বিশাল ব্যবস্থা করেছিলেন। ১৫০ বছর পরেও এই 'হারসি বাঁধ' এশিয়ার বৃহত্তম মাটির বাঁধ। এই বাঁধ এখনও মানুষের জন্য দরকারী। মাধবরাও জির ব্যক্তিত্ব থেকে এই দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সকলের জন্য শেখার বিষয়। শিক্ষা হোক, পেশা হোক, জীবন হোক বা রাজনীতি, শর্টকাট আপনাকে কিছু তাৎক্ষণিক সুবিধা এনে দিতে পারে, তবে আপনার শুধুমাত্র দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাভাবনা করে কাজ করা উচিত। যে কোনও ব্যক্তি যদি সমাজ বা রাজনীতিতে তাৎক্ষণিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য কাজ করে, তাহলেই সমাজ ও জাতির ক্ষতি হয়।

 

বন্ধুগণ,

২০১৪ সালে দেশ যখন আমাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিল, তখন আমাদের সরকারের সামনে দুটি বিকল্প ছিল। হয় শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক লাভের জন্য কাজ করবো, অথবা দীর্ঘমেয়াদী পন্থা অবলম্বন করবো। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা ২ বছর, ৫ বছর, ৮ বছর, ১০ বছর, ১৫ বছর, ২০ বছর বিভিন্ন ‘টাইম ব্যান্ড’ বজায় রেখে তাদের জন্য কাজ করব। আজকে বলতে পারেন যে আমাদের সরকারের ১০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এই ১০ বছরে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে দেশ যত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেগুলি নজিরবিহীন। আমরা  এমন সব অমীমাংসিত  সিদ্ধান্তের বোঝা থেকে দেশকে মুক্ত করেছি। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার দাবি ছিল ৬০ বছর ধরে। আমাদের সরকার এই কাজটি করেছে। চল্লিশ বছর ধরে দাবি ছিল প্রাক্তন সেনাদের ‘এক পদ এক পেনশন’ দেওয়া হোক। আমাদের সরকার এই কাজটি করেছে। জিএসটি কার্যকর করার জন্য চল্লিশ বছরের দাবি ছিল, আমাদের সরকারও এই কাজ করেছে।
কয়েক দশক ধরে মুসলিম মহিলারা তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে আসছেন। আমাদের সরকারের আমলেই তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন যে মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে লোকসভা এবং বিধানসভায় মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের একটি আইন করা হয়েছে। এই কাজটিও যুগ যুগ ধরে ঝুলে ছিল। আমাদের সরকার নারী-শক্তি বন্দন আইনও প্রণয়ন করেছে।

আমার কাছে বর্তমান কাজের এত দীর্ঘ তালিকা রয়েছে যে বলতে পুরো রাত লাগবে। আমি আপনাদেরকে বলছিলাম যে এই বড় সিদ্ধান্তগুলি আমাদের সরকার যদি না নিত তাহলে এই দায়িত্ব কারা নিত? আমরা যদি এটা না করতাম, তাহলে সেই দায়িত্ব আপনাদের প্রজন্মের ওপর বর্তাতো? তাই একদিক থেকে আমরা আপনাদের প্রজন্মেরও কিছুটা বোঝা হালকা করেছি। আর আমাদের প্রচেষ্টা ছিল আজকের তরুণ প্রজন্মের জন্য দেশে একটি অত্যন্ত ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করা। এমন পরিবেশ যেখানে আপনাদের প্রজন্মের সুযোগের অভাব নেই। এমন একটি পরিবেশ যেখানে ভারতের যুবকরা বড় স্বপ্ন দেখতে পারে এবং তা অর্জন করতে পারে। স্বপ্ন বড়, সাফল্যও বড়. আর আমি আপনাকে এসব বলছি কারণ যখন সিন্ধিয়া স্কুল তার ১৫০ বছর পূর্ণ করবে... তখন দেশও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবে। সেই মাইলফলক হল – ভারতের স্বাধীনতার ১০০ বছর।

আজ আমাদের সরকার আগামী ২৫ বছরে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার সংকল্প নিয়েছে। আর এটা আপনাদেরকেই করতে হবে, ভারতের তরুণ প্রজন্মকে করতে হবে। আপনাদের যৌবনের শক্তিতে আমার বিশ্বাস আছে, আপনাদের যৌবনে আমার বিশ্বাস আছে, আপনাদের যৌবনের সম্ভাবনায় আমার বিশ্বাস আছে। আর আমি আশা করি যে আপনারা এই স্বপ্নগুলি লালন করে কাজ করবেন, স্বপ্নকে সংকল্পে পরিণত করবেন এবং আপনাদের সংকল্প বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত থামবেন না। 

আগামী ২৫ বছর আপনাদের জীবনের জন্য যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ভারতের জন্য ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। সিন্ধিয়া স্কুলের প্রত্যক ছাত্রের এই সঙ্কল্প নেওয়া উচিত যে “আমি তৈরি করব উন্নত ভারত!” বন্ধুগণ, আপনারা এই শপথ নেবেন তো? আপনারা এই শপথ নেবেন যে ‘দেশ সবার আগে’ – এই ভাবনা নিয়ে প্রতিটি কাজ করব, আমি উদ্ভাবন করব, আমি অনুসন্ধান করব, আমি পেশাদারিত্বের দিক থেকে হোক কিংবা অন্য যে কোনো দিক থেকে, ভারতকে উন্নত ভারতে পরিণত করেই থামব। 

 

আর বন্ধুগণ,

আপনারা জানেন সিন্ধিয়া স্কুলের ওপর আমার এত বিশ্বাস কেন? কারণ, আপনাদের স্কুলের অনেক প্রাক্তনীকেও আমি খুব ঘনিষ্ঠভাবে জানি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ভাই জিতেন্দ্র সিং-জি এখন মঞ্চে বসে আছেন। তিনিও আপনাদের স্কুলেরই প্রাক্তনী। রেডিও-তে যাঁর আওয়াজ শুনে আমরা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যেতাম, সেই আমিন সয়ানিজি, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোতি ডরজি, একটু আগেই যাঁরা আমাদের সামনে অসাধারণ অনুষ্ঠান পরিবেশন করেছেন। তাছাড়াও, মিতু ব্রাদার্স আর ‘হড় হড় দাবাঙ্’ সালমন খান আর আমার বন্ধু নীতিন মুকেশজি এখানে বসে আছেন। এঁরা সবাই সিন্ধিয়া স্কুলের প্রাক্তনী। সিন্ধিয়া স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ক্যানভাস এত বড় যে সেখানে আমরা সব ধরনের রং দেখতে পাই। 

আমার নবীন বন্ধুরা,

আমাদের বিষ্ণ পুরাণে লিখিত রয়েছে –

“গায়ন্তী দেবাঃ কিল গীততানি, ধন্যস্তু তে ভারতভূমিভাগে”

অর্থাৎ, দেবতারাও এই গীত পরিবেশন করেন – যিনি এই ভারতভূমিতে জন্ম নিয়েছেন, সেই মানুষ দেবতাদের থেকেও বেশি সৌভাগ্যবান। আজ ভারত সাফল্যের যে উচ্চতায় পৌঁছেছে তা অভূতপূর্ব। গোটা বিশ্বে এখন ভারতের শৌর্যের পরিচয় পাচ্ছে। গত ২৩ আগস্ট ভারতের ‘চন্দ্রযান’ চাঁদের বুকে এমন জায়গায় পৌঁছেছে যেখানে এখনও পর্যন্ত কোনো দেশ তাদের যান পাঠাতে পারেনি। কিছুদিন আগেই জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আপনারা দেখেছেন, কিভাবে ভারতের গুরুত্ব বেড়েছে। আজ ভারত বিশ্বের বৃহত্তম ও দ্রুততম উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। আজ ভারত গ্লোবাল ফিনটেক অ্যাডপশন রেট-এ এক নম্বরে পৌঁছে গেছে। আজ ভারত রিয়েল টাইম ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে বিশ্বে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। আজ ভারত স্মার্টফোন ডেটা গ্রাহক হিসেবে বিশ্বের সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে। 

 

আজ ভারত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আজ ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন নির্মাণকারী দেশে পরিণত হয়েছে। আজ ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্ট-আপ ইকো সিস্টেমে পরিণত হয়েছে। আজ ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম এনার্জি কনজিউমারে পরিণত হয়েছে। আজ ভারত মহাকাশে নিজস্ব স্পেস স্টেশন স্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আজ সকালেই আপনারা দেখেছেন যে ‘গগনযান’-এর টেস্ট ফ্লাইট আর ‘ক্রু এসকেপ সিস্টেম’-এর পরীক্ষা কিভাবে সফল হয়েছে। গোয়ালিয়রে ভারতীয় বিমানবাহিনীর এতবড় বেস রয়েছে। আপনারা প্রায়ই আকাশে তেজস বিমানের পরাক্রম দেখতে পান। আপনারা সমুদ্রে ‘আইএনএস বিক্রান্ত’-এর হুঙ্কার শুনেছেন। আজ ভারতের জন্য কোনকিছুই অসম্ভব নয়। ভারতের এই ক্রমবর্ধমান সামর্থ্য প্রতিটি ক্ষেত্রে আপনাদের জন্য নতুন নতুন সম্ভাবনা গড়ে তুলছে। 

আপনারা ভাবুন, ২০১৪ সালের আগে আমাদের দেশে কয়েকশ’ মাত্র স্টার্ট-আপ ছিল। আজ ভারতে স্টার্ট-আপ-এর সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ। বিগত কয়েক বছরে ভারতে ১০০টিরও বেশি ইউনিকর্ন তৈরি হয়েছে। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে একটি ইউনিকর্ন-এর মানে হল ন্যূনতম ৮ হাজার কোটি টাকা মূলধনের কোম্পানি। আমি নিশ্চিত যে সিন্ধিয়া স্কুলের অনেক শিক্ষার্থীও ভবিষ্যতে ইউনিকর্ন তৈরি করবে। আপনারা এই বিদ্যালয়ের নাম উজ্জ্বল করবেন, দেশের নাম উজ্জ্বল করবেন। 

ইংরেজিতে একটা কথা আছে – ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ ইয়র অয়েস্টার’ – অর্থাৎ বিশ্ব আপনাদের জন্য একটি ঝিনুক। একটি ইতিবাচক সরকার হিসেবে আমরাও আপনাদের জন্য নতুন নতুন ক্ষেত্রের ঝিনুক খুলে দিয়েছি। আগে আমাদের দেশে শুধু সরকারই কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করত অথবা বিদেশ থেকে আমদানি করত। আমরা এই মহাকাশ ক্ষেত্রটিকেই আপনাদের মতো নবীন প্রজন্মের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। আগে প্রতিরক্ষার যত সাজসরঞ্জাম তাও সরকার তৈরি করত বা বিদেশ থেকে আমদানি করত। আমরা এই প্রতিরক্ষা সাজসরঞ্জাম নির্মাণের ক্ষেত্রটিও আপনাদের মতো নবীন প্রজন্মের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি। এইভাবে বর্তমান সরকার আপনাদের জন্য অসংখ্য ক্ষেত্র উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে আপনাদের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র শপথ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আপনাদের আত্মনির্ভর ভারতের সঙ্কল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আমার আরও একটি মন্ত্রের কথা মনে রাখবেন। সব সময় স্বতন্ত্রভাবে ভাববেন। যেমন, জ্যোতিরাদিত্য সিং সিন্ধিয়াজির বাবা, আমাদের মাননীয় মাধবরাও সিন্ধিয়াজি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি স্বতন্ত্র ভাবনা থেকেই দেশে উন্নত পরিষেবা সম্পন্ন শতাব্দী ট্রেন চালু করেছিলেন। তাঁর তিন দশক পরে ভারতে আবার এরকম আধুনিক রেল পরিষেবা চালু করা সম্ভব হয়েছে। এখন দেশে বন্দে ভারত ট্রেনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। গতকাল চালু হওয়া ‘নমো ভারত’-এর গতিও আপনারা দেখেছেন।

 

বন্ধুগণ,

এখানে আসার আগে আমি সিন্ধিয়া স্কুলের ভিন্ন ভিন্ন হাউজের নামগুলি দেখছিলাম। জ্যোতিরাদিত্যজি আমাকে বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন। স্বাধীনতার সঙ্কল্পের সঙ্গে জড়িত এই নামগুলি আপনাদের জন্য অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক। শিবাজি হাউজ, মহাদজি হাউজ, রানোজি হাউজ, দত্তাজি হাউজ, কনরখেড়জি হাউজ, নিমাজি হাউজ এবং মাধবজি হাউজ। একভাবে বলতে গেলে, আপনাদের কাছে সপ্তঋষির শক্তির মতো অনুপ্রেরণার উৎস রয়েছে। আমি ভাবছিলাম যে নবরাত্রির এই পবিত্র উৎসবের দিনগুলিতে আপনাদের সবাইকে নয়টি করে টাস্ক দেব। কারণ, স্কুলের অনুষ্ঠান আর সেখানে যদি আপনাদের হোমওয়ার্ক না দেওয়া হয়, তাহলে সেই অনুষ্ঠান কেমন করে সম্পূর্ণতা পাবে। আমি আপনাদের আজ নয়টি টাস্ক দিতে চাই। আপনারা মনে রাখবেন, কী হল ভাই,  সবার আওয়াজ কমে গেল কেন? মনে রাখবেন? এগুলি শপথ হিসেবে গ্রহণ করবেন? সারা জীবন ধরে এগুলি বাস্তবায়নের কাজ করবেন?
তাহলে বলি, প্রথমত, আপনাদের সবাইকে এখানে জল সংরক্ষণের জন্য কাজ করতে হবে। এই জল সুরক্ষা একবিংশ শতাব্দীর অনেক বড় সমস্যা। এর জন্য আপনাদের জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে, অভিযান চালাতে হবে।
দ্বিতীয়ত, সিন্ধিয়া স্কুলে গ্রাম দত্তক নেওয়ার পরম্পরা রয়েছে। আপনারাও আশপাশের গ্রামগুলিতে যান আর সেখানকার জনগণকে ডিজিটাল লেনদেন সম্পর্কে সচেতন করুন। 
তৃতীয়ত, পরিচ্ছন্নতা অভিযান। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহর দেশের মধ্যে পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে। তাহলে আমাদের গোয়ালিয়র কেন পিছিয়ে থাকবে? আপনারা নিজেদের শহরের পরিচ্ছন্নতাকে তুঙ্গে তুলে নিয়ে যান আর এক নম্বর স্থানে পৌঁছে দিন।
চতুর্থত, ‘ভোকাল ফর লোকাল’। যতটা সম্ভব আপনারা স্থানীয় পণ্য ব্যবহার করুন আর স্থানীয় পণ্যের জন্য উচ্চকিত হোন। নিজেরা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ পণ্যগুলিকে ব্যবহার করুন।
পঞ্চমত, ‘ট্র্যাভেল ইন ইন্ডিয়া ফার্স্ট’। যতটা সম্ভব নিজের দেশকে আরও ভালোভাবে দেখুন, তারপর বিদেশে বেড়াতে যাবেন।
ষষ্ঠত, প্রাকৃতিক কৃষির প্রতি কৃষকদের সচেতন করে তুলুন। এই পৃথিবী মা-কে বাঁচানোর জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি একটি অভিযান।
সপ্তমত, মিলেট - যাকে আমরা ‘শ্রীঅন্ন’ নাম দিয়েছি, একে আপনাদের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করুন। ‘শ্রীঅন্ন’-এর গুণাগুন সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করুন। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে এই ‘শ্রীঅন্ন’ হল সুপার ফুড।
অষ্টমত, ফিটনেস। যোগাভ্যাস কিংবা খেলাধূলাকে আপনাদের জীবনের অভিন্ন অঙ্গ করে তুলুন। আজই এখানে একটি মাল্টি-পারপাস স্পোর্টর্স কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। আপনারা এর থেকে নিজেদের লাভবান করে তুলুন।

নবমত, যত বেশি সম্ভব গরীবদের পাশে দাঁড়ান, ন্যূনতম একটি গরীব পরিবারের দায়িত্ব নিন। যতক্ষণ পর্যন্ত দেশে একটিও এমন গরীব পরিবার থাকবে যাঁদের রান্নাঘরে রান্নার গ্যাসের সংযোগ নেই, যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই, পাকা বাড়ি নেই, আয়ুষ্মান কার্ড নেই, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনারা শান্তিতে বসবেন না।
ভারত থেকে দারিদ্র্য দূর করতে এই সঙ্কল্পগুলির বাস্তবায়ন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই পথে চলেই আমরা গত পাঁচ বছরে সাড়ে তেরো কোটি জনগণকে দারিদ্র্যসীমার বাইরে বের করে এনেছি। এই রাস্তায় চলেই ভারত দারিদ্র্যকে সম্পূর্ণভাবে দূর করবে এবং ১৯৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে।

বন্ধুগণ,

আজকের ভারত যাই-ই করছে তা মেগা স্কেলে করছে। সেজন্য আপনাদেরও নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছোট করে ভাবলে চলবে না। আপনাদের সমস্ত স্বপ্ন এবং সঙ্কল্প বড় মাপের হওয়া উচিত। আমি আপনাদেরকে এটাও বলতে চাই যে আপনাদের মনে স্বপ্ন জাগানোই আমার সঙ্কল্প। আপনাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা, নতুন নতুন চিন্তা, আমার সঙ্গে ‘নমো অ্যাপ’-এ শেয়ার করতে পারেন। আর এখন আমি হোয়াটসঅ্যাপ-এও রয়েছি। সেখানেও আপনাদের সঙ্গে যোগাযোগ হতে পারে। আপনারা চাইলে আপনাদের গোপন কথাও আমার সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে এগুলি কাউকে বলব না।

বন্ধুগণ,

জীবনকে এমনই হাসি ও আনন্দ নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। আপনারা আনন্দে থাকুন, সুস্থ থাকুন। আপনাদের সবার ওপর আমার অনেক ভরসা। আপনাদের মনে রাখতে হবে, সিন্ধিয়া স্কুল নিছকই একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি ঐতিহ্য। মহারাজ মাধবরাও সিন্ধিয়াজির সঙ্কল্পগুলিকে এই বিদ্যালয় স্বাধীনতার আগে এবং স্বাধীনতার পরেও ক্রমাগত এগিয়ে নিয়ে গেছে। আজ এই বিদ্যালয়ের পতাকা আপনাদের হাতে রয়েছে। কিছুক্ষণ আগে যে নবীন বন্ধুদের তাঁদের সাফল্যের জন্য পুরস্কৃত করা হয়েছে, আমি তাঁদেরকে আরও একবার শুভেচ্ছা জানাই। আরও একবার সিন্ধিয়া স্কুলের সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।

আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। নমস্কার।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report

Media Coverage

India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address at the Odisha Parba
November 24, 2024
Delighted to take part in the Odisha Parba in Delhi, the state plays a pivotal role in India's growth and is blessed with cultural heritage admired across the country and the world: PM
The culture of Odisha has greatly strengthened the spirit of 'Ek Bharat Shreshtha Bharat', in which the sons and daughters of the state have made huge contributions: PM
We can see many examples of the contribution of Oriya literature to the cultural prosperity of India: PM
Odisha's cultural richness, architecture and science have always been special, We have to constantly take innovative steps to take every identity of this place to the world: PM
We are working fast in every sector for the development of Odisha,it has immense possibilities of port based industrial development: PM
Odisha is India's mining and metal powerhouse making it’s position very strong in the steel, aluminium and energy sectors: PM
Our government is committed to promote ease of doing business in Odisha: PM
Today Odisha has its own vision and roadmap, now investment will be encouraged and new employment opportunities will be created: PM

जय जगन्नाथ!

जय जगन्नाथ!

केंद्रीय मंत्रिमंडल के मेरे सहयोगी श्रीमान धर्मेन्द्र प्रधान जी, अश्विनी वैष्णव जी, उड़िया समाज संस्था के अध्यक्ष श्री सिद्धार्थ प्रधान जी, उड़िया समाज के अन्य अधिकारी, ओडिशा के सभी कलाकार, अन्य महानुभाव, देवियों और सज्जनों।

ओडिशा र सबू भाईओ भउणी मानंकु मोर नमस्कार, एबंग जुहार। ओड़िया संस्कृति के महाकुंभ ‘ओड़िशा पर्व 2024’ कू आसी मँ गर्बित। आपण मानंकु भेटी मूं बहुत आनंदित।

मैं आप सबको और ओडिशा के सभी लोगों को ओडिशा पर्व की बहुत-बहुत बधाई देता हूँ। इस साल स्वभाव कवि गंगाधर मेहेर की पुण्यतिथि का शताब्दी वर्ष भी है। मैं इस अवसर पर उनका पुण्य स्मरण करता हूं, उन्हें श्रद्धांजलि देता हूँ। मैं भक्त दासिआ बाउरी जी, भक्त सालबेग जी, उड़िया भागवत की रचना करने वाले श्री जगन्नाथ दास जी को भी आदरपूर्वक नमन करता हूं।

ओडिशा निजर सांस्कृतिक विविधता द्वारा भारतकु जीबन्त रखिबारे बहुत बड़ भूमिका प्रतिपादन करिछि।

साथियों,

ओडिशा हमेशा से संतों और विद्वानों की धरती रही है। सरल महाभारत, उड़िया भागवत...हमारे धर्मग्रन्थों को जिस तरह यहाँ के विद्वानों ने लोकभाषा में घर-घर पहुंचाया, जिस तरह ऋषियों के विचारों से जन-जन को जोड़ा....उसने भारत की सांस्कृतिक समृद्धि में बहुत बड़ी भूमिका निभाई है। उड़िया भाषा में महाप्रभु जगन्नाथ जी से जुड़ा कितना बड़ा साहित्य है। मुझे भी उनकी एक गाथा हमेशा याद रहती है। महाप्रभु अपने श्री मंदिर से बाहर आए थे और उन्होंने स्वयं युद्ध का नेतृत्व किया था। तब युद्धभूमि की ओर जाते समय महाप्रभु श्री जगन्नाथ ने अपनी भक्त ‘माणिका गौउडुणी’ के हाथों से दही खाई थी। ये गाथा हमें बहुत कुछ सिखाती है। ये हमें सिखाती है कि हम नेक नीयत से काम करें, तो उस काम का नेतृत्व खुद ईश्वर करते हैं। हमेशा, हर समय, हर हालात में ये सोचने की जरूरत नहीं है कि हम अकेले हैं, हम हमेशा ‘प्लस वन’ होते हैं, प्रभु हमारे साथ होते हैं, ईश्वर हमेशा हमारे साथ होते हैं।

साथियों,

ओडिशा के संत कवि भीम भोई ने कहा था- मो जीवन पछे नर्के पडिथाउ जगत उद्धार हेउ। भाव ये कि मुझे चाहे जितने ही दुख क्यों ना उठाने पड़ें...लेकिन जगत का उद्धार हो। यही ओडिशा की संस्कृति भी है। ओडिशा सबु जुगरे समग्र राष्ट्र एबं पूरा मानब समाज र सेबा करिछी। यहाँ पुरी धाम ने ‘एक भारत श्रेष्ठ भारत’ की भावना को मजबूत बनाया। ओडिशा की वीर संतानों ने आज़ादी की लड़ाई में भी बढ़-चढ़कर देश को दिशा दिखाई थी। पाइका क्रांति के शहीदों का ऋण, हम कभी नहीं चुका सकते। ये मेरी सरकार का सौभाग्य है कि उसे पाइका क्रांति पर स्मारक डाक टिकट और सिक्का जारी करने का अवसर मिला था।

साथियों,

उत्कल केशरी हरे कृष्ण मेहताब जी के योगदान को भी इस समय पूरा देश याद कर रहा है। हम व्यापक स्तर पर उनकी 125वीं जयंती मना रहे हैं। अतीत से लेकर आज तक, ओडिशा ने देश को कितना सक्षम नेतृत्व दिया है, ये भी हमारे सामने है। आज ओडिशा की बेटी...आदिवासी समुदाय की द्रौपदी मुर्मू जी भारत की राष्ट्रपति हैं। ये हम सभी के लिए बहुत ही गर्व की बात है। उनकी प्रेरणा से आज भारत में आदिवासी कल्याण की हजारों करोड़ रुपए की योजनाएं शुरू हुई हैं, और ये योजनाएं सिर्फ ओडिशा के ही नहीं बल्कि पूरे भारत के आदिवासी समाज का हित कर रही हैं।

साथियों,

ओडिशा, माता सुभद्रा के रूप में नारीशक्ति और उसके सामर्थ्य की धरती है। ओडिशा तभी आगे बढ़ेगा, जब ओडिशा की महिलाएं आगे बढ़ेंगी। इसीलिए, कुछ ही दिन पहले मैंने ओडिशा की अपनी माताओं-बहनों के लिए सुभद्रा योजना का शुभारंभ किया था। इसका बहुत बड़ा लाभ ओडिशा की महिलाओं को मिलेगा। उत्कलर एही महान सुपुत्र मानंकर बिसयरे देश जाणू, एबं सेमानंक जीबन रु प्रेरणा नेउ, एथी निमन्ते एपरी आयौजनर बहुत अधिक गुरुत्व रहिछि ।

साथियों,

इसी उत्कल ने भारत के समुद्री सामर्थ्य को नया विस्तार दिया था। कल ही ओडिशा में बाली जात्रा का समापन हुआ है। इस बार भी 15 नवंबर को कार्तिक पूर्णिमा के दिन से कटक में महानदी के तट पर इसका भव्य आयोजन हो रहा था। बाली जात्रा प्रतीक है कि भारत का, ओडिशा का सामुद्रिक सामर्थ्य क्या था। सैकड़ों वर्ष पहले जब आज जैसी टेक्नोलॉजी नहीं थी, तब भी यहां के नाविकों ने समुद्र को पार करने का साहस दिखाया। हमारे यहां के व्यापारी जहाजों से इंडोनेशिया के बाली, सुमात्रा, जावा जैसे स्थानो की यात्राएं करते थे। इन यात्राओं के माध्यम से व्यापार भी हुआ और संस्कृति भी एक जगह से दूसरी जगह पहुंची। आजी विकसित भारतर संकल्पर सिद्धि निमन्ते ओडिशार सामुद्रिक शक्तिर महत्वपूर्ण भूमिका अछि।

साथियों,

ओडिशा को नई ऊंचाई तक ले जाने के लिए 10 साल से चल रहे अनवरत प्रयास....आज ओडिशा के लिए नए भविष्य की उम्मीद बन रहे हैं। 2024 में ओडिशावासियों के अभूतपूर्व आशीर्वाद ने इस उम्मीद को नया हौसला दिया है। हमने बड़े सपने देखे हैं, बड़े लक्ष्य तय किए हैं। 2036 में ओडिशा, राज्य-स्थापना का शताब्दी वर्ष मनाएगा। हमारा प्रयास है कि ओडिशा की गिनती देश के सशक्त, समृद्ध और तेजी से आगे बढ़ने वाले राज्यों में हो।

साथियों,

एक समय था, जब भारत के पूर्वी हिस्से को...ओडिशा जैसे राज्यों को पिछड़ा कहा जाता था। लेकिन मैं भारत के पूर्वी हिस्से को देश के विकास का ग्रोथ इंजन मानता हूं। इसलिए हमने पूर्वी भारत के विकास को अपनी प्राथमिकता बनाया है। आज पूरे पूर्वी भारत में कनेक्टिविटी के काम हों, स्वास्थ्य के काम हों, शिक्षा के काम हों, सभी में तेजी लाई गई है। 10 साल पहले ओडिशा को केंद्र सरकार जितना बजट देती थी, आज ओडिशा को तीन गुना ज्यादा बजट मिल रहा है। इस साल ओडिशा के विकास के लिए पिछले साल की तुलना में 30 प्रतिशत ज्यादा बजट दिया गया है। हम ओडिशा के विकास के लिए हर सेक्टर में तेजी से काम कर रहे हैं।

साथियों,

ओडिशा में पोर्ट आधारित औद्योगिक विकास की अपार संभावनाएं हैं। इसलिए धामरा, गोपालपुर, अस्तारंगा, पलुर, और सुवर्णरेखा पोर्ट्स का विकास करके यहां व्यापार को बढ़ावा दिया जाएगा। ओडिशा भारत का mining और metal powerhouse भी है। इससे स्टील, एल्युमिनियम और एनर्जी सेक्टर में ओडिशा की स्थिति काफी मजबूत हो जाती है। इन सेक्टरों पर फोकस करके ओडिशा में समृद्धि के नए दरवाजे खोले जा सकते हैं।

साथियों,

ओडिशा की धरती पर काजू, जूट, कपास, हल्दी और तिलहन की पैदावार बहुतायत में होती है। हमारा प्रयास है कि इन उत्पादों की पहुंच बड़े बाजारों तक हो और उसका फायदा हमारे किसान भाई-बहनों को मिले। ओडिशा की सी-फूड प्रोसेसिंग इंडस्ट्री में भी विस्तार की काफी संभावनाएं हैं। हमारा प्रयास है कि ओडिशा सी-फूड एक ऐसा ब्रांड बने, जिसकी मांग ग्लोबल मार्केट में हो।

साथियों,

हमारा प्रयास है कि ओडिशा निवेश करने वालों की पसंदीदा जगहों में से एक हो। हमारी सरकार ओडिशा में इज ऑफ डूइंग बिजनेस को बढ़ावा देने के लिए प्रतिबद्ध है। उत्कर्ष उत्कल के माध्यम से निवेश को बढ़ाया जा रहा है। ओडिशा में नई सरकार बनते ही, पहले 100 दिनों के भीतर-भीतर, 45 हजार करोड़ रुपए के निवेश को मंजूरी मिली है। आज ओडिशा के पास अपना विज़न भी है, और रोडमैप भी है। अब यहाँ निवेश को भी बढ़ावा मिलेगा, और रोजगार के नए अवसर भी पैदा होंगे। मैं इन प्रयासों के लिए मुख्यमंत्री श्रीमान मोहन चरण मांझी जी और उनकी टीम को बहुत-बहुत बधाई देता हूं।

साथियों,

ओडिशा के सामर्थ्य का सही दिशा में उपयोग करके उसे विकास की नई ऊंचाइयों पर पहुंचाया जा सकता है। मैं मानता हूं, ओडिशा को उसकी strategic location का बहुत बड़ा फायदा मिल सकता है। यहां से घरेलू और अंतर्राष्ट्रीय बाजार तक पहुंचना आसान है। पूर्व और दक्षिण-पूर्व एशिया के लिए ओडिशा व्यापार का एक महत्वपूर्ण हब है। Global value chains में ओडिशा की अहमियत आने वाले समय में और बढ़ेगी। हमारी सरकार राज्य से export बढ़ाने के लक्ष्य पर भी काम कर रही है।

साथियों,

ओडिशा में urbanization को बढ़ावा देने की अपार संभावनाएं हैं। हमारी सरकार इस दिशा में ठोस कदम उठा रही है। हम ज्यादा संख्या में dynamic और well-connected cities के निर्माण के लिए प्रतिबद्ध हैं। हम ओडिशा के टियर टू शहरों में भी नई संभावनाएं बनाने का भरपूर हम प्रयास कर रहे हैं। खासतौर पर पश्चिम ओडिशा के इलाकों में जो जिले हैं, वहाँ नए इंफ्रास्ट्रक्चर से नए अवसर पैदा होंगे।

साथियों,

हायर एजुकेशन के क्षेत्र में ओडिशा देशभर के छात्रों के लिए एक नई उम्मीद की तरह है। यहां कई राष्ट्रीय और अंतर्राष्ट्रीय इंस्टीट्यूट हैं, जो राज्य को एजुकेशन सेक्टर में लीड लेने के लिए प्रेरित करते हैं। इन कोशिशों से राज्य में स्टार्टअप्स इकोसिस्टम को भी बढ़ावा मिल रहा है।

साथियों,

ओडिशा अपनी सांस्कृतिक समृद्धि के कारण हमेशा से ख़ास रहा है। ओडिशा की विधाएँ हर किसी को सम्मोहित करती है, हर किसी को प्रेरित करती हैं। यहाँ का ओड़िशी नृत्य हो...ओडिशा की पेंटिंग्स हों...यहाँ जितनी जीवंतता पट्टचित्रों में देखने को मिलती है...उतनी ही बेमिसाल हमारे आदिवासी कला की प्रतीक सौरा चित्रकारी भी होती है। संबलपुरी, बोमकाई और कोटपाद बुनकरों की कारीगरी भी हमें ओडिशा में देखने को मिलती है। हम इस कला और कारीगरी का जितना प्रसार करेंगे, उतना ही इस कला को संरक्षित करने वाले उड़िया लोगों को सम्मान मिलेगा।

साथियों,

हमारे ओडिशा के पास वास्तु और विज्ञान की भी इतनी बड़ी धरोहर है। कोणार्क का सूर्य मंदिर… इसकी विशालता, इसका विज्ञान...लिंगराज और मुक्तेश्वर जैसे पुरातन मंदिरों का वास्तु.....ये हर किसी को आश्चर्यचकित करता है। आज लोग जब इन्हें देखते हैं...तो सोचने पर मजबूर हो जाते हैं कि सैकड़ों साल पहले भी ओडिशा के लोग विज्ञान में इतने आगे थे।

साथियों,

ओडिशा, पर्यटन की दृष्टि से अपार संभावनाओं की धरती है। हमें इन संभावनाओं को धरातल पर उतारने के लिए कई आयामों में काम करना है। आप देख रहे हैं, आज ओडिशा के साथ-साथ देश में भी ऐसी सरकार है जो ओडिशा की धरोहरों का, उसकी पहचान का सम्मान करती है। आपने देखा होगा, पिछले साल हमारे यहाँ G-20 का सम्मेलन हुआ था। हमने G-20 के दौरान इतने सारे देशों के राष्ट्राध्यक्षों और राजनयिकों के सामने...सूर्यमंदिर की ही भव्य तस्वीर को प्रस्तुत किया था। मुझे खुशी है कि महाप्रभु जगन्नाथ मंदिर परिसर के सभी चार द्वार खुल चुके हैं। मंदिर का रत्न भंडार भी खोल दिया गया है।

साथियों,

हमें ओडिशा की हर पहचान को दुनिया को बताने के लिए भी और भी इनोवेटिव कदम उठाने हैं। जैसे....हम बाली जात्रा को और पॉपुलर बनाने के लिए बाली जात्रा दिवस घोषित कर सकते हैं, उसका अंतरराष्ट्रीय मंच पर प्रचार कर सकते हैं। हम ओडिशी नृत्य जैसी कलाओं के लिए ओडिशी दिवस मनाने की शुरुआत कर सकते हैं। विभिन्न आदिवासी धरोहरों को सेलिब्रेट करने के लिए भी नई परम्पराएँ शुरू की जा सकती हैं। इसके लिए स्कूल और कॉलेजों में विशेष आयोजन किए जा सकते हैं। इससे लोगों में जागरूकता आएगी, यहाँ पर्यटन और लघु उद्योगों से जुड़े अवसर बढ़ेंगे। कुछ ही दिनों बाद प्रवासी भारतीय सम्मेलन भी, विश्व भर के लोग इस बार ओडिशा में, भुवनेश्वर में आने वाले हैं। प्रवासी भारतीय दिवस पहली बार ओडिशा में हो रहा है। ये सम्मेलन भी ओडिशा के लिए बहुत बड़ा अवसर बनने वाला है।

साथियों,

कई जगह देखा गया है बदलते समय के साथ, लोग अपनी मातृभाषा और संस्कृति को भी भूल जाते हैं। लेकिन मैंने देखा है...उड़िया समाज, चाहे जहां भी रहे, अपनी संस्कृति, अपनी भाषा...अपने पर्व-त्योहारों को लेकर हमेशा से बहुत उत्साहित रहा है। मातृभाषा और संस्कृति की शक्ति कैसे हमें अपनी जमीन से जोड़े रखती है...ये मैंने कुछ दिन पहले ही दक्षिण अमेरिका के देश गयाना में भी देखा। करीब दो सौ साल पहले भारत से सैकड़ों मजदूर गए...लेकिन वो अपने साथ रामचरित मानस ले गए...राम का नाम ले गए...इससे आज भी उनका नाता भारत भूमि से जुड़ा हुआ है। अपनी विरासत को इसी तरह सहेज कर रखते हुए जब विकास होता है...तो उसका लाभ हर किसी तक पहुंचता है। इसी तरह हम ओडिशा को भी नई ऊचाई पर पहुंचा सकते हैं।

साथियों,

आज के आधुनिक युग में हमें आधुनिक बदलावों को आत्मसात भी करना है, और अपनी जड़ों को भी मजबूत बनाना है। ओडिशा पर्व जैसे आयोजन इसका एक माध्यम बन सकते हैं। मैं चाहूँगा, आने वाले वर्षों में इस आयोजन का और ज्यादा विस्तार हो, ये पर्व केवल दिल्ली तक सीमित न रहे। ज्यादा से ज्यादा लोग इससे जुड़ें, स्कूल कॉलेजों का participation भी बढ़े, हमें इसके लिए प्रयास करने चाहिए। दिल्ली में बाकी राज्यों के लोग भी यहाँ आयें, ओडिशा को और करीबी से जानें, ये भी जरूरी है। मुझे भरोसा है, आने वाले समय में इस पर्व के रंग ओडिशा और देश के कोने-कोने तक पहुंचेंगे, ये जनभागीदारी का एक बहुत बड़ा प्रभावी मंच बनेगा। इसी भावना के साथ, मैं एक बार फिर आप सभी को बधाई देता हूं।

आप सबका बहुत-बहुत धन्यवाद।

जय जगन्नाथ!