“আজ যেখানে প্রয়োজন রয়েছে সেখানেই সরকারের বিভিন্ন নীতি ও সিদ্ধান্তের ইতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে”
“আজ মানুষ সরকারকে বাধা সৃষ্টিকারী হিসেবে বিবেচনা করে না; বরং বলা চলে জনসাধারণ আমাদের সরকারকে নতুন সম্ভাবনার অনুঘটক হিসেবে মনে করেন। নিশ্চিতভাবে এক্ষেত্রে প্রযুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে”
“নাগরিকরা সরকারের কাছে তাঁদের মতামত খুব সহজেই জানাতে পারেন এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধানও তৎক্ষণাৎ পেয়ে থাকেন”
“আমরা ভারতে আধুনিক ডিজিটাল পরিকাঠামো গড়ে তুলছি, একইসঙ্গে ডিজিটাল বিপ্লবের সুফল যাতে সমাজে প্রত্যেকের কাছে পৌঁছয় সেটিও নিশ্চিত করা হচ্ছে”
“আমরা কি সমাজের ১০টি সমস্যাকে চিহ্নিত করতে পারি যেগুলির কৃত্রিম মেধার সাহায্যে সমাধান করা সম্ভব”
“সরকার এবং জনসাধারণের মধ্যে আস্থার অভাব থাকায় দাসত্বের একটি মানসিকতা গড়ে উঠেছে”
“আমাদের সমাজে আস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে আন্তর্জাতিক স্তরে ভাল ভাল নিয়মগুলিকে জানার প্রয়োজন”

নমস্কার!

জাতীয় বিজ্ঞান দিবসে আয়োজিত আজকের বাজেট পরবর্তী ওয়েবিনারের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একুশ শতকের পরিবর্তিত ভারত প্রযুক্তির শক্তি দিয়ে ক্রমাগত তার নাগরিকদের ক্ষমতায়ন করছে। বিগত বছরগুলোতে আমাদের সরকারের প্রতিটি বাজেটেই প্রযুক্তির সাহায্যে দেশবাসীর জীবনযাত্রার স্বাচ্ছন্দ্য বৃদ্ধির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এবারের বাজেটেও প্রযুক্তির পাশাপাশি ‘হিউম্যান টাচ’বা মানবিক স্পর্শকে প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

বন্ধুরা, একটা সময় ছিল যখন আমাদের দেশে সরকারের অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে অনেক বৈপরীত্য লক্ষ্য করা যেত। সমাজের এমন একটি অংশ ছিল, যারা চেয়েছিলেন যে তাঁদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে সরকারের কিছু হস্তক্ষেপ থাকুক, সরকারের প্রভাব থাকুক, অর্থাৎ সরকার তাঁদের জন্য কিছু না কিছু করুক। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে এই শ্রেণী সবসময়ই অভাব- অনটন অনুভব করেছে। অভাব- অনটনের সঙ্গে লড়াইয়েই তাঁদের জীবন কেটে যেত । সমাজে এমন এক শ্রেণির মানুষও ছিলেন, যাঁরা ছিলেন একটু অন্য ধরনের; তাঁরা নিজেদের শক্তিতে এগিয়ে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বিগত সরকারের আমলেও এই শ্রেণীর মানুষও সর্বদাই প্রতি পদে পদে সরকারি হস্তক্ষেপের চাপ ও নানা প্রতিবন্ধকতা অনুভব করেছেন। গত কয়েক বছরে আমাদের সরকারের প্রচেষ্টার কারণে এই অবস্থার পরিবর্তন শুরু হয়েছে। আজ সরকারের নীতি ও সিদ্ধান্তের ইতিবাচক প্রভাব সেই সব ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায় যেখানে এর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।

আমাদের ক্রমাগত প্রচেষ্টা আজ প্রত্যেক দরিদ্র এবং বঞ্চিত মানুষের জীবনকে সহজ করে তুলছে, তাঁদের জীবনযাত্রার স্বাচ্ছন্দ্য বাড়িয়ে তুলছে। মানুষের জীবনে সরকারের হস্তক্ষেপ এবং চাপও কমেছে। আজ কোনও উদ্যোগী মানুষ আর সরকারকে পথের বাধা বলে মনে করে না। বরং মানুষ আমাদের সরকারকে নতুন নতুন সুযোগ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে দেখে। এবং অবশ্যই প্রযুক্তি এক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করছে।

আপনারা দেখুন, আজ প্রযুক্তি ‘এক দেশ-এক রেশন কার্ড’-এর ভিত্তি হয়ে উঠেছে এবং এর কারণে কোটি কোটি দরিদ্র মানুষ যাতে দেশের যে কোনও জায়গা থেকে স্বচ্ছভাবে রেশন পান তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এর ফলে এটি দেশের নানা প্রান্তে কাজের খোঁজে বেরিয়ে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একটি অনেক বড় আশীর্বাদ হয়ে উঠেছে। জন ধন অ্যাকাউন্ট, আধার এবং মোবাইল এই তিনটির সহযোগে ইতিমধ্যেই সরকারের পক্ষ থেকে কোটি কোটি দরিদ্রের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রযুক্তির মাধ্যমে সরাসরি টাকা পাঠানো সম্ভব হয়েছে।

একইভাবে প্রযুক্তি, আরোগ্য সেতু এবং কোউইন অ্যাপ -এর সার্থক প্রয়োগের মাধ্যেমে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে এবং তা বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ট্রেসিং এবং টিকাকরণে অনেক সাহায্য করেছে। আমরা আজ দেখতে পাচ্ছি যে প্রযুক্তি রেলওয়ে সংরক্ষণকে আরও আধুনিক করেছে এবং এতে সাধারণ মানুষের অনেক সমস্যা দূর হয়েছে। কমন সার্ভিস সেন্টারের নেটওয়ার্কও অতি সহজেই প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী দরিদ্রতম মানুষকেও সরকারি পরিষেবা পেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এমন অনেক সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের সরকার দেশবাসীর জীবনযাপণে স্বাচ্ছন্দ্য বাড়িয়েছে।

বন্ধুগণ, আজ ভারতের প্রত্যেক নাগরিক এই পরিবর্তনটি স্পষ্টভাবে অনুভব করছেন যে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা কত সহজ হয়ে গেছে। অর্থাৎ, দেশবাসী সহজে তাঁদের বার্তা, সমস্যার কথা সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে পারছেন, এবং দ্রুত তার সমাধানও পাচ্ছেন। যেমন, কর-সংক্রান্ত অভিযোগ আগে অনেক বেশি ছিল এবং সে কারণে করদাতারা নানাভাবে হয়রানির শিকার হতেন। সেজন্য আমরা প্রযুক্তির সাহায্যে সম্পূর্ণ কর প্রক্রিয়াটিকে ‘ফেসলেস’ বা কোনও কর্মচারির সঙ্গে প্রত্যক্ষ সম্পর্কবিহীন করে দিয়েছি। এখন আপনার অভিযোগ এবং সেগুলির নিষ্পত্তির মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে কোনও ব্যক্তি থাকেন না, শুধুই প্রযুক্তি থাকে। এটা আমি আপনাদের একটি উদাহরণ দিলাম। তবে অন্যান্য বিভাগেও প্রযুক্তির সাহায্যে আমরা আরও ভালো উপায়ে সমস্যার সমাধান করতে পারি। বিভিন্ন বিভাগ তাদের পরিষেবাকে আন্তর্জাতিক মানের করে তুলতে সম্মিলিতভাবে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে। এর থেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে আমরা এমন ক্ষেত্রগুলিও চিহ্নিত করতে পারি যেখানে সরকারের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগ আরও সহজ করে তোলা যেতে পারে।

বন্ধুগণ, আপনারা জানেন যে আমরা ‘মিশন কর্মযোগী’ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এই প্রশিক্ষণের পিছনে আমাদের লক্ষ্য কর্মচারীদের ‘সিটিজেন সেন্ট্রিক’ বা নাগরিক পরিষেবা  কেন্দ্রিক করে তোলা। এই প্রশিক্ষণের পাঠক্রমকে নিয়মিত ‘আপডেট’ বা বাস্তবিক প্রয়োজনের ভিত্তিতে পরিবর্তন করে যেতে হবে, আর তা জনগণের মতামতের ভিত্তিতে পরিবর্তন করা হলে এই প্রশিক্ষণ আরও সুফলদায়ক হবে। আমরা এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করতে পারি যেখানে এই  প্রশিক্ষণ পাঠক্রমের উন্নতির জন্য নিয়মিত সাধারণ মানুষের পরামর্শ পাওয়া যাবে।

বন্ধুগণ, প্রযুক্তি সবাইকে সঠিক ও নির্ভুল তথ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সমান সুযোগ করে দিচ্ছে। আমাদের সরকার প্রযুক্তির ব্যবহারকে উৎসাহ জোগাতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করছে। আমরা ভারতে আধুনিক ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরি করছি। এর পাশাপাশি এটাও সুনিশ্চিত করছি যাতে এই ডিজিটাল বিপ্লবের সুফল সমাজের প্রতিটি স্তরের কাছে পৌঁছয়। আজ, জি ই এম পোর্টালটি এমনকি ছোট দোকানদার বা রাস্তার দুপাশে পসরা সাজিয়ে বসা বিক্রেতাদেরকেও দূর-দূরান্ত এলাকা থেকে তাঁদের পণ্য সরাসরি সরকারের কাছে বিক্রি করার সুযোগ এনে দিয়েছে। ‘ই-ন্যাম’ পোর্টালটি দেশের কৃষকদের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতাদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপনের সুযোগ এনে দিয়েছে। এখন কৃষকরা এক জায়গায় বসে তাঁদের উৎপাদিত পণ্যের সেরা দাম পেতে পারেন।

বন্ধুগণ, আজকাল অনেকদিন ধরেই ফাইভ –জি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এটাও বলা হচ্ছে যে, শিল্প, চিকিৎসা, শিক্ষা, কৃষিসহ সমস্ত ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে চলেছে। কিন্তু এখন আমাদের নিজেদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। এই প্রযুক্তিগুলিকে সাধারণ মানুষের উন্নতির জন্য ব্যবহার করার উপায় কি কি? কোন কোন ক্ষেত্রে আমাদের আরও মনোযোগ দিতে হবে? আমরা কি সমাজের এমন ১০টি সমস্যা চিহ্নিত করতে পারি, যা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে? দেশের তরুণরা যখন সরকার আয়োজিত হ্যাকাথন-এ অংশগ্রহণ করে, তখন তাঁদের সামনে দেশের যে সমস্যাগুলি তুলে ধরা হয়, তরুণরা প্রযুক্তির মাধ্যমে সেগুলির সমাধানের পথ দেখায়। প্রতি বছর সারা দেশের লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী এতে অংশগ্রহণ করে এবং খুব ভালো সমাধানের পথ দেখায়।

বন্ধুগণ, প্রযুক্তির সাহায্যে, সম্প্রতি আমরা প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ডিজি-লকারের পরিষেবা চালু করেছি, এখন ‘ডিজি-লকার ফর এন্টিটিস’বা সংস্থাগুলির জন্য ডিজি-লকারের সুবিধা রয়েছে। এর মাধ্যমে যে কোনও কোম্পানি, অতিক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ গুলি তাদের ফাইল সংরক্ষণ করতে পারে এবং বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক এবং সরকারি বিভাগের সঙ্গে শেয়ার করতে পারে। ডিজিলকারের ধারণাকে আমাদের আরও প্রসারিত করতে হবে, আমাদের দেখতে হবে আর কী কী উপায়ে সাধারণ মানুষ এর মাধ্যমে উপকৃত হতে পারে!

বন্ধুগণ, বিগত কয়েক বছরে আমরা অতিক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ গুলিকে সমর্থন করার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছি। আজ এই বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা দরকার যে ভারতের অতিক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ গুলির ক্রমে একেকটি বড় কোম্পানি হয়ে উঠতে কোন কোন বাধার সম্মুখীন হতে হয়?  আমরা ছোট ব্যবসা এবং ছোট শিল্পোদ্যোগের জন্য ‘কমপ্লায়েন্স কস্ট’ বা সরকারের সম্মতি পাওয়ার খরচ কমাতে চাই। আপনারা জানেন যে  বানিজ্যের ক্ষেত্রে বলা হয় – ‘টাইম ইজ মানি’ বা সময় হল অর্থ। সেজন্য সম্মতি পাওয়ার সময় বাঁচানো মানে সম্মতি পাওয়ার খরচ বাঁচানো। আপনি যদি অপ্রয়োজনীয় সম্মতি পাওয়ার খরচের তালিকা তৈরি করতে চান, তাহলে এটাই সঠিক সময়, কারণ আমরা ইতিমধ্যেই চল্লিশ হাজার কমপ্লায়েন্স বাতিল করেছি।

বন্ধুগণ, সরকার এবং জনগণের মধ্যে আস্থার অভাব সমাজে দীর্ঘকাল ধরে জাঁকিয়ে বসে থাকা ঔপনিবেশিক দাসত্বের মানসিকতার পরিণাম। কিন্তু আজ ছোটখাটো ভুলগুলোকে ‘ডি- ক্রিমিন্যালাইজ’বা অপরাধের তালিকা থেকে মুক্ত করা হয়েছে আর অতিক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলিকে প্রদেয় ঋণের গ্যারান্টার বা জামিনদার হিসেবে সরকার জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। তবে এখানেই থেমে থাকলে চলবে না, সমাজের সঙ্গে আস্থা মজবুত করতে বিশ্বের অন্যান্য দেশে কী করা হয়েছে তাও দেখতে হবে। তাঁদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা আমাদের দেশেও একই ধরনের চেষ্টা করে দেখতে পারি।

বন্ধুগণ, বাজেট বা যেকোনো সরকারি নীতির সাফল্য কিছুটা হলেও নির্ভর করে, সেটি  কতটা ভালোভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে তার ওপর। তবে এর থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হল সেগুলিকে বাস্তবায়নের উপায়;  এক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতা খুবই জরুরি। আমি নিশ্চিত যে সংশ্লিষ্ট সবার থেকে ইনপুট নিয়ে, জীবনযাত্রা সহজ করে তোলার ক্ষেত্রে বড় উত্সাহ জোগানো সম্ভব হবে। আর আমি অবশ্যই বলতে চাই যে, আমরা যখন বলি যে ‘ম্যানুফ্যাকচারিং হাব’ তৈরি করতে হবে, তখন সেখানে ‘জিরো ডিফেক্ট, জিরো ইফেক্ট’ সুনিশ্চিত করাকেও আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমাদের মানের ক্ষেত্রে কোনোরকম আপস করা উচিত নয়। এক্ষেত্রেও প্রযুক্তি অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রযুক্তির সাহায্যে, আমরা পণ্য উৎপাদনের সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম ক্ষেত্র পর্যন্ত পরীক্ষা ও যাচাইয়ের মাধ্যমে পণ্যটিকে নিখুঁত করে তুলতে পারি। আর শুধুমাত্র তখনই আমাদের পক্ষে সেই পণ্যের বিশ্ব বাজার দখল করা সম্ভব হতে পারে।

আমাদের মেনে নিতে হবে যে একবিংশ শতাব্দী প্রযুক্তি চালিত শতাব্দী। আমাদের জীবনে প্রযুক্তির প্রভাব ক্রমে আরও অনেকটাই বাড়তে চলেছে। আসুন, আমরা যেন নিজেদেরকে শুধুমাত্র ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল প্রযুক্তিতেই সীমাবদ্ধ না রাখি! আজ একইভাবে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক পৌঁছে যাচ্ছে প্রতিটি গ্রামে। এই অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক পঞ্চায়েত ভবনে পৌঁছবে, প্রতিটি সুস্থতা কেন্দ্রে পৌঁছবে, টেলি মেডিসিন চলবে, এমনকি আমাদের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রও ক্রমে পুরোপুরি প্রযুক্তিচালিত হয়ে উঠছে। বর্তমানে আমাদের দেশ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের মতো কিছু ক্ষেত্রে অনেক সরঞ্জাম বিপুল পরিমাণে আমদানি করতে বাধ্য হয়। আমরা স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রেও অনেক সরঞ্জাম আমদানি করি। আমাদের দেশের শিল্পপতিরা কি প্রযুক্তির মানোন্নয়ন করে সেসব সরঞ্জাম উৎপাদনের দিকে যেতে পারে না? আর সে জন্যই এখন আমরা প্রতিটি গ্রামে অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছে দিচ্ছি।

যতক্ষণ পর্যন্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিষেবা প্রদান করতে এগিয়ে না আসে, ততক্ষণ পর্যন্ত নতুন নতুন সফট্‌ওয়্যার-ও আসে না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিষেবা প্রদান করতে এলেই সাধারণ নাগরিক সেই অপ্টিক্যাল ফাইবার থেকে কী পরিষেবা নিতে পারেন, কিভাবে উপকৃত হতে পারেন – তার মডেল আমরা তৈরি করতে পারি। আর আমরা সমস্ত ক্ষেত্রেই গণঅংশীদারিত্ব চাই। সরকারি সবকিছু জানে – এরকম ভাবনা নিয়ে আমরা চলি না। সেজন্য আপনাদের মতো সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ যে, আপনারা একবিংশ শতাব্দী উপযোগী প্রযুক্তি-বান্ধব ভাবনাচিন্তা করুন। এই শতাব্দী প্রযুক্তি সঞ্চালিত শতাব্দী। প্রযুক্তিকে আমরা যতবেশি জনপ্রিয় করে তুলব, যত বেশি দ্রুত সরল করে তুলব, যত দ্রুত জনগণের ক্ষমতায়নের অনুকূল করে তুলব – ততটাই দেশ ও জনসাধারণ উপকৃত হবে। ২০৪৭ সালে আমাদের ভারতকে উন্নত ভারতে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রযুক্তি আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি জোগায়। আমরা ভাগ্যবান যে, ভারতের কাছে প্রযুক্তির এই প্রাকৃতিক উপহার রয়েছে।

আমাদের রয়েছে প্রতিভাবান যুবসম্প্রদায়। এছাড়াও রয়েছে দক্ষ মানবসম্পদ। ভারতের গ্রামের মানুষেরও অসাধারণ প্রযুক্তি গ্রহণ ক্ষমতা রয়েছে। আমরা কিভাবে এই প্রাকৃতিক মেধা ও গ্রহণ ক্ষমতাকে কাজে লাগাবো, তা নিয়ে আপনারা ভাবুন। আমি চাই যে, আপনারা এ বিষয়ে বিস্তারিত ও পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করি - কিভাবে এবারের বাজেটকে সবচেয়ে ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়। কিভাবে এর দ্বারা দেশের মানুষকে সবচেয়ে বেশি উপকৃত করা যায়। এ বিষয়ে আপনারা যত নিবিড় আলাপ-আলোচনা করবেন, আমাদের বাজেট ততটাই সার্থক হয়ে উঠবে।

আমি আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।