শিল্প প্রসার ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (ডিপিআইআইটি) দপ্তর আয়োজিত ‘বিশ্বের জন্য মেক ইন ইন্ডিয়া’ শীর্ষক ওয়েবিনারে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
“জনসংখ্যার অধিকাংশের কমবয়সী ও প্রতিভাবান থাকার সুবিধা, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক সম্পদের মত ইতিবাচক দিকগুলি আমাদের দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হয়ে মেক ইন ইন্ডিয়ার পথে এগোতে উৎসাহ দিচ্ছে”
“জাতীয় নিরাপত্তার দিক থেকে দেখলে আত্মনির্ভরতা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে”
“সমগ্র বিশ্ব, ভারতকে উৎপাদন শক্তির আধার হিসেবে দেখছে”
“আপনার সংস্থা যেসব পণ্য তৈরি করে তা নিয়ে গর্বিত হন এবং আপনার ভারতীয় ক্রেতাদের মধ্যেও এই গর্ববোধ জাগিয়ে তুলুন”
“আপনার পণ্যকে বিশ্বমানের সমতুল হতে হবে এবং আপনাকে আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিযোগিতা করতে হবে”

নমস্কার!

এবারের বাজেটে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা আমাদের শিল্প জগৎ এবং অর্থনীতি উভয়ের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অভিযান আজ যতটা একবিংশ শতাব্দীর ভারতের প্রয়োজনীয়তা, ততটাই আমাদের বিশ্ববাসীর সামনে নিজেদের সামর্থ্য প্রদর্শন করে সুযোগও করে দেবে। কোনও দেশ থেকে যদি ‘র ম্যাটেরিয়াল’ বা কাঁচামাল বাইরে যায় আর তা থেকে উৎপাদিত ‘ম্যানুফ্যাকচার্ড গুডস’ বা পণ্য আমদানি করতে হয়, এই পরিস্থিতি যে কোনও দেশের পক্ষেই লোকসানদায়ক। অন্যদিকে, ভারতের মতো বিশাল দেশ শুধুই একটি বাজার হয়ে থেকে যাবে তা হয় না। এরকম চলতে থাকলে তো ভারত কখনই উন্নতি করতে পারবে না, প্রগতির পথে হাঁটতে পারবে না, আমাদের নবীন প্রজন্মকে উন্নতির সুযোগও করে দিতে পারবে না। এই বিশ্বব্যাপী মহামারীর সময়ে আমরা দেখতে পেয়েছি যে কিভাবে গোটা বিশ্বের সরবরাহ শৃঙ্খল তছনছ হয়ে গেছে। এই দিনগুলিতে আমরা বিশেষভাবে দেখতে পেয়েছি যে সরবরাহ শৃঙ্খল নিয়ে কিভাবে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। যখন আমরা এই সমস্ত নেতিবাচক বিষয়কে সামনে উঠে আসতে দেখি, তখন এর অন্য দিকটির দিকেও তাকানোর প্রয়োজন অনুভব করি। এই আলোকে আমরা অনুভব করি যে এত বড় সঙ্কট যখন সামনে আসে বা যে কোনও সময়ে যদি পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়, তখনই ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র প্রয়োজন আগে থেকে অনেক বেশি অনুভূত হয়। অন্যদিকে আমরা যদি দেখি, যদি আমরা ইতিবাচক দিক থেকে দেখি, তাহলে এই ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র জন্য আমরা নিজেদের প্রেরণা যোগাতে পারব, আমরা নতুন নতুন সুযোগ খুঁজে বের করতে পারব। আপনারা দেখুন, যে দেশে এত বড় মাত্রায় নবীন প্রজন্মের মানুষজন রয়েছেন, যুবক-যুবতীরা রয়েছেন, যে দেশের মানুষের প্রতিভা নিয়ে বিশ্বের কারোর মনে কোনও প্রশ্ন থাকে না, সে দেশের প্রতি সকলের প্রত্যাশা থাকা স্বাভাবিক। প্রয়োজনীয়তা অনুসারে দক্ষ মানবসম্পদকে প্রশিক্ষিত করা, উন্নত করা, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনসংখ্যাগত সুবিধার সুযোগ নিতে হবে। আজ বিশ্বে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি আগ্রহ ক্রমবর্ধমান, বিশ্ববাসী এখন ভারতের দিকে অনেক আশা নিয়ে তাকিয়ে আছেন। অর্থাৎ, এটি নিজেই এমন একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বিষয়, এমন একটি সম্পৃক্ত বিষয় আমাদের কাছে রয়েছে যা নিয়ে আমরা বড় বড় স্বপ্ন দেখতে পারি। এর পাশাপাশি আমরা অপার প্রাকৃতিক সম্পদে ধনী। আমাদের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র জন্য এই প্রাকৃতিক সম্পদকে যথাসম্ভব ব্যবহার করতে হবে।

বন্ধুগণ,

আজ বিশ্ববাসী ভারতকে ‘ম্যানুফ্যাকচারিং পাওয়ার হাউজ’এ পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাময় শক্তিকেন্দ্র হিসেবে দেখছে। আমাদের ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টর আমাদের জিডিপি-র ১৫ শতাংশ। কিন্তু, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সামনে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের ভারতে একটি ‘রোবাস্ট ম্যানুফ্যাকচারিং বেস’ বা শিল্প প্রস্তুতকারকদের অনুকূল দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তোলার জন্য সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে কাজ করে যেতে হবে, তা সে কেন্দ্রীয় সরকার হোক কিংবা রাজ্য সরকার অথবা কোনও স্থানীয় প্রশাসন, বেসরকারি অংশীদারিত্ব হোক বা কর্পোরেট হাউজ – আমাদের দেশের সবাই কিভাবে একসঙ্গে মিলেমিশে কাজ করব, তার পথ খুঁজে বের করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের যেমন নিজস্ব নিয়মাবলী রয়েছে, রাজ্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনগুলিরও আলাদা আলাদা নিয়ম রয়েছে। বেসরকারি ও কর্পোরেট হাউজগুলিরও নিজেদের মতো নিয়মাবলী রয়েছে। এই সবক’টির মধ্যে ভারসাম্যযুক্ত সমন্বয় আনতে হবে। দেশে আজ যে জিনিসের বেশি প্রয়োজন আর যে জিনিসের চাহিদা ক্রমে বাড়ছে, সেগুলিকে আমাদের দেশে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র মাধ্যমে প্রস্তুত করার জন্য উৎসাহ দিতে হবে। এখন দুটি জিনিস রয়েছে – একটি হল, রপ্তানিকে মাথায় রেখে ভাবনাচিন্তা করা আর দ্বিতীয়টি হল ভারতের প্রয়োজন পূরণের জন্য ভাবনাচিন্তা করা। মনে করুন, আমরা যদি মেনে নিই যে আমরা বিশ্বে নিজেদের প্রতিযোগিতার উপযোগী করে তুলতে পারছি না, কিন্তু ভারতের প্রয়োজনীয়তা অনুসারে এমন উৎকৃষ্ট কাঁচামালের যোগান দেব যাতে ভারতের জনগণকে বাইরের দেশের দিকে তাকাতে না হয় ! এতটা তো আমরা করতেই পারি! অন্য বিষয়টি হল, যা আমি একবার লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রদত্ত ভাষণেও বলেছিলাম, সেটি হল ‘জিরো ডিফেক্ট, জিরো এফেক্ট’। আমাদের উৎপাদিত পণ্যের যেন সামান্যতম ত্রুটি না থাকে। কম্পিটিটিভ ওয়ার্ল্ড বা প্রতিযোগিতার বিশ্বে উৎকর্ষই আসল কথা। দ্বিতীয়ত, আজ বিশ্ব পরিবেশ সচেতন। সেজন্য ‘জিরো এফেক্ট এনভায়রনমেন্ট’গড়ে তুলতে আপনাদের প্রতি আমার আহ্বান - এই ‘জিরো এফেক্ট’ পণ্য উৎপাদন। এই দুটি এমন মন্ত্র যা দিয়ে আমরা বিশ্বে  উৎকৃষ্ট পণ্য সরবরাহ এবং ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’ বা বিশ্ব উষ্ণায়নের সৃষ্টি করা প্রতিকূলতাগুলির সম্মুখীন হওয়ার পথ খুঁজে বের করতে পারব। তেমনই আজ যেভাবে প্রযুক্তি পরিবর্তিত হয়েছে, যেভাবে ‘কমিউনিকেশন ওয়ার্ল্ড’ বা যোগাযোগের বিশ্বে খুব বড় ধরনের বিপ্লব এসেছে, এখন যেমন সেমি-কন্ডাক্টর…, এখন সেমি-কন্ডাক্টরের ক্ষেত্রে আমাদের জন্য আত্মনির্ভর হয়ে ওঠা ছাড়া কোনও উপায়ই নেই। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র জন্য আমি মনে করি যে এই সেমি-কন্ডাক্টর একটি নতুন ক্ষেত্র, নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। এই বিষয়ে আমাদের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন হতে হবে। পাশাপাশি আমাদের নিজেদের চাহিদাও রয়েছে। দেশের নিরাপত্তার নিরিখে যদি ভাবি, তাহলে এক্ষেত্রে আমাদের আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, কিভাবে ইভি বা ইলেক্ট্রিক ভেহিকেলস-এর প্রতি মানুষের আকর্ষণ বাড়ছে। পরিবেশ-বান্ধব হওয়ার কারণে এই আকর্ষণ বাড়ছে, এবং এগুলির চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে কি ভারত আরও উদ্ভাবনের পথে যেতে পারে না? ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র মাধ্যমে উৎপাদন করতে পারে না?  ভারতের শিল্পোৎপাদনকারীরা কি এক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদান করতে পারেন না?

আমি মনে করি যে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র ভাবনা নিয়েই আমাদের এগিয়ে যাওয়া উচিৎ। কিছু বিশেষ প্রকারের ইস্পাতের জন্যও ভারত আমদানি-নির্ভর। আমাদের লৌহ এখন বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে আর আমরা সেই দেশগুলি থেকেই উন্নতমানের ইস্পাত আমদানি করছি। এটা কেমন পরিস্থিতি? এমন পরিস্থিতিতে আমরা নিজেদের লৌহ আকরিক থেকে যদি দেশেই সে ধরনের ইস্পাত উৎপাদন না করতে পারি, যে ধরনের ইস্পাত আমাদের দেশে প্রয়োজন, তাহলে তো আমদানি করা ছাড়া আর উপায় থাকবে না। আমি মনে করি যে এটা আমাদের কর্তব্য, আর দেশের শিল্প জগতের কাছে এই অনুরোধ রাখব যে আসুন, এই কাঁচামাল, এই লৌহ আকরিক বিদেশে রপ্তানি না করে আমরা দেশের মধ্যেই ইস্পাত উৎপাদনের পরিকাঠামো তৈরি করি।

বন্ধুগণ,

ভারতীয় শিল্পোৎপাদনকারীদের এটাও দেখতে হবে যাতে বিদেশের ওপর ভারতের নির্ভরতা ন্যূনতম হয়। সেজন্য এক্ষেত্রেও ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অভিযান আজ সময়ের চাহিদা। এরকম আরও একটি ক্ষেত্র হল মেডিকেল ইকুইপমেন্ট বা স্বাস্থ্য সরঞ্জাম নির্মাণ শিল্প। অনেক জরুরি স্বাস্থ্য সরঞ্জাম আমরা বিদেশ থেকে আমদানি করি। এই স্বাস্থ্য সরঞ্জামগুলি কি আমরা নিজেদের দেশেই প্রস্তুত করতে পারি না? আমি মনে করি, এটা কোনও কঠিন কাজ নয়। আমাদের দেশে এত মেধা রয়েছে, জনগণের এত সামর্থ্য রয়েছে, আমরা চাইলে দেশের মধ্যেই এগুলি উৎপাদন করতে পারব। আমরা সবাই এক্ষেত্রে জোর দিতে পারি কি? আমাদের এটা বুঝতেই হবে যে, কোনও কিছু বাজারে নিয়মিত পাওয়া গেলেই সন্তুষ্ট হলে চলবে না। এটা ভাবলে চলবে না যে, আমাদের চাহিদা তো পূরণ হয়েই যাচ্ছে। বাজারে জিনিস পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু তা বিদেশ থেকে আনা জিনিস। কিন্তু ‘মেড ইন ইন্ডিয়া প্রোডাক্ট’ বা ভারতে উৎপাদিত পণ্য যখন আমাদের বাজারে পাওয়া যাবে, তখন আমাদের ভাবতে হবে যে আমাদের দেশে উৎপাদিত পণ্য বাইরে থেকে আনা পণ্য থেকে ভালো ও টেকসই, আমাদের এটাই কিনতে হবে। আমাদের সকলকে চেষ্টা করে এই ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে। এটা দেখতে হবে যেন পার্থক্য অনুভব করা যায়। এখন দেখুন, আমাদের দেশে এত উৎসব-অনুষ্ঠান রয়েছে, হোলি , গণেশ উৎসব, দীপাবলি - এই সমস্ত উৎসবের সময় আমাদের বাজারে অনেক জিনিস বড় মাত্রায় পাওয়া যায় ও বিকিকিনি হয়। এত বেশি মাত্রায় বিকিকিনি হয় যে এগুলি থেকে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর সারা বছরের রুটি-রুজির ব্যবস্থা হয়। কিন্তু আজ সেই বাজারেও অনেক বিদেশি পণ্য নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে। আগে এই সমস্ত জিনিসের চাহিদা তো আমাদের স্থানীয় শিল্পোৎপাদনকারীরাই পূরণ করতেন, আর খুব ভালোভাবেই করতেন। এখন সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সেই জিনিসগুলিকে বদলাতে হবে, আধুনিক করতে হবে। পুরনো জিনিসকেই নতুন আকারে নিয়ে আসতে হবে। আমি চাই যে এক্ষেত্রে আপনারা নেতৃত্ব দিন, আর যখন আমি এত বেশি ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর জন্য চিৎকার করে যাচ্ছি, তখন আমি দেখতে পাচ্ছি যে কিছু মানুষ ভাবছেন, শুধু দীপাবলির সময় স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত করা প্রদীপ কিনলেই বুঝি ‘ভোকাল ফর লোকাল’ হয়ে গেল। না ভাই, আমি শুধু দীপাবলির প্রদীপ কেনার জন্য এসব কথা বলছি না। একটু চারিদিকে তাকান! এরকম অনেক জিনিস আছে। আমি একদিন একটি ছোট বিষয় তুলে ধরেছিলাম। আজও যাঁরা আমার সেমিনারে উপস্থিত রয়েছেন তাঁরা একটা কাজ করুন। আপনারা বাড়ি ফিরে ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে বসুন, আর বাড়িতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একদিনে কি কি জিনিস ব্যবহার করেন সেগুলির তালিকা তৈরি করুন, আর তারপর দেখুন যে সেই জিনিসগুলির মধ্যে কতগুলি ভারতে তৈরি, আর কতগুলি বিদেশী ! আবার এটাও দেখুন, বিদেশে উৎপন্ন যে জিনিসগুলি আপনাদের বাড়িতে রয়েছে, সেগুলির দেশী বিকল্প আমাদের বাজারে পাওয়া যায় কিনা। তাহলে সেগুলিকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করুন। তখন আপনারা দেখবেন যে বারবার চমকে উঠছেন। সেজন্যই যত শিল্পোৎপাদনকারী আছেন, তাঁদেরকেও অন-বোর্ড আনতে চাই।

বন্ধুগণ,

আরও একটি বিষয় হল ভারতে নির্মিত পণ্যের যথাযথ ব্র্যান্ডিং। এখন আমি তো দেখতে পাচ্ছি যে আমাদের দেশের কোম্পানিগুলি নিজেদের পণ্যের অনেক বিজ্ঞাপন দেয়, কিন্তু কোনও একটি বিজ্ঞাপনের চাপে ‘ভোকাল ফর লোকাল’এর কথা বলে না, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র কথা বলে না। আপনারা নিজেদের বিজ্ঞাপন যেমন করছেন তেমন করুন, কিন্তু পাশাপাশি ‘ভোকাল ফর লোকাল’ আর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র কথাও বলুন। এতে আপনাদের কী ক্ষতি হবে? আপনাদের পণ্য বিক্রি হবেই, আর দেশে আজও দেশপ্রেম নিয়ে যাঁরা চলেন, এরকম একটি বড় অংশের মানুষ রয়েছেন, যাঁরা এই বিষয়ে সচেতনভাবে চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁদের মনে উৎসাহ যোগানোর জন্য আপনাদের একটি বাণিজ্যিক রণনীতি হিসেবে এই ‘ভোকাল ফর লোকাল’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ নিয়ে বিজ্ঞাপনের কথা ভাবতেই হবে। আপনারা নিজেদের কোম্পানির যত পণ্য উৎপাদন করেন, সেগুলি নিয়ে নিজেরাও গর্ব করুন, আর মানুষকে গর্ব করার জন্য প্রেরণা যোগান। আপনাদের পরিশ্রম নিষ্ফল যাবে না। আপনাদের উৎপাদিত পণ্য অনেক ভালো, কিন্তু সাহস নিয়ে এগিয়ে আসুন। মানুষকে বলুন যে আমাদের দেশ, আমাদের মাটি থেকে উৎপন্ন এই পণ্য, এই পণ্যে আমাদের শ্রমিকদের ঘামের গন্ধ রয়েছে। তাঁদেরকে আপনার পণ্যের সঙ্গে আবেগমথিত করে যুক্ত করুন, আর আমি চাই এর জন্য একটি ‘কমন ব্র্যান্ডিং’ কিভাবে করা যায় -  তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করা হোক। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলি এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলি মিলেমিশে আমরা কি এক্ষেত্রে একটি নতুন পথ খুঁজে বের করতে পারি?

বন্ধুগণ,

আমাদের বেসরকারি ক্ষেত্রের কোম্পানিগুলিকে নিজেদের উৎপাদিত পণ্যের জন্য গন্তব্যও খুঁজতে হবে। আমাদের ‘আরঅ্যান্ডডি’ বা পণ্যের উৎপাদনে গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে নিজেদের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, আর ‘প্রোডাক্ট পোর্টফোলিও’কে ‘ডাইভার্সিফাই’ করতে বা বৈচিত্র্য আনতে আপগ্রেডেশনের ওপরও জোর দিতে হবে। এখন যেমন আপনারা জানেন যে রাষ্ট্রসংঘ আগামী ২০২৩ সালটিকে সারা পৃথিবীতে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অফ মিলেটস’ হিসেবে পালন করা হবে। ফলে এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক যে সারা পৃথিবীতে মানুষের আকর্ষণ এখন মিলেটস বা মোটা শস্যের দিকে বাড়বে। ভারতের মিলেটস যাতে বিশ্বের সর্বত্র ডাইনিং টেবিলে সামান্য হলেও পৌঁছয়, এই স্বপ্ন কি ভারতবাসীর দেখা উচিৎ নয়? আমাদের ক্ষুদ্র কৃষকরা তাহলে আমাদের কত আশীর্বাদ দেবেন! সেজন্য প্রতিটি দেশের যে খাদ্য বৈচিত্র্য ও স্বাদ, সেই অনুসারে আমাদের দেশে উৎপাদিত মিলেটসকে কিভাবে তাঁদের খাদ্যাভ্যাসের অন্তর্ভুক্ত করব, গবেষণার মাধ্যমে আমাদের এগুলি নিয়ে ভাবতে হবে, আর আমার মনে হয় যে আমরা চেষ্টা করলে এটা খুব ভালোভাবেই করতে পারব। আপনারা অবশ্যই এক্ষেত্রে সফল হবেন। বিশ্বের বিভিন্ন বাজার নিয়ে গবেষণা করে যত বেশি সম্ভব উৎপাদন করতে হবে, আর প্যাকেজিং-এর জন্য আমাদের নিজেদের কারখানাগুলিকে এখন থেকেই প্রস্তুত করে রাখতে হবে। খনিজ সম্পদ, কয়লা উত্তোলন এবং প্রতিরক্ষার মতো বিষয়কে বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য খুলে দেওয়ার অনেক নতুন নতুন সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনারা কি এই ক্ষেত্রগুলির মাধ্যমে যত পণ্য রপ্তানি হবে তা অনুমান করে এখন থেকেই রণনীতি রচনা করেছেন? আপনাদের ‘গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ডস’ বা আন্তর্জাতিক মানও বজায় রাখতে হবে, আর আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের প্রতিযোগিতাতেও উত্তীর্ণ হতে হবে।

বন্ধুগণ,

এবারের বাজেটে ‘ক্রেডিট ফেসিলিটেশন অ্যান্ড টেকনলজি আপগ্রেডেশন’ বা ঋণের সুবিধা এবং প্রযুক্তি উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলিকে শক্তিশালী করে তোলার ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। সরকার অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলির জন্য ৬ হাজার কোটি টাকার আরএএমপি প্রোগ্রামও ঘোষণা করেছে। বাজেটে ‘লার্জ ইন্ডাস্ট্রি’ বা বৃহৎ শিল্পোদ্যোগগুলির পাশাপাশি অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলির জন্য, কৃষকদের জন্য, নতুন ‘রেলওয়ে লজিস্টিক প্রোডাক্টস’ বা রেলের মাধ্যমে পণ্য পরিবহণ করা যায় এরকম পণ্য উৎপাদনের দিকেও জোর দেওয়া হয়েছে। পোস্টাল এবং রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সমন্বয়ে ‘স্মল এন্টারপ্রাইজেস’ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এবং প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে যোগাযোগ বা পণ্য পরিবহণের সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের এক্ষেত্রে ‘ইনোভেটিভ প্রোডাক্টস’ বা নতুন নতুন উদ্ভাবক পণ্য উৎপাদন করতে হবে আর এক্ষেত্রে আপনাদের সক্রিয় অবদান অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে। ‘রিজিওনাল ম্যানুফ্যাকচারিং ইকো-সিস্টেম’ বা ক্ষেত্রীয় শিল্পোৎপাদন ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য ‘পিএম ডিভাইন স্কিম’ বাজেটের একটা অংশ, যা বিশেষ করে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির কথা মাথায় রেখে রচনা করা হয়েছে। কিন্তু এই কল্পনাকে আমরা ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে, ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে, নতুন নতুন মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। ‘স্পেশাল ইকনমিক জোন অ্যাক্ট’-এর সংস্কারের মাধ্যমে আমাদের রপ্তানিকে অনেক বেশি উৎসাহ যোগাতে পারব আর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র শক্তিও বাড়বে। রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য আমাদের বর্তমান ‘স্পেশাল ইকনমিক জোন’গুলির কর্মপদ্ধতিতেও কোন ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে, তা নিয়েও আপনাদের পরামর্শ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

বন্ধুগণ,

শিল্পোদ্যোগগুলিকে সঙ্গে নিয়ে একের পর এক যে সংস্কার ক্রমাগত হয়ে চলেছে। তার প্রভাবও দেখা যাচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, ‘লার্জ স্কেল ইলেক্ট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিং’ বা বৃহৎ মাত্রায় বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম উৎপাদনের জন্য পিএলআই স্কিমের কথাই ধরুন। ২০২১-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ‘টার্গেটেড সেগমেন্ট’-এ আমরা ১ লক্ষ কোটি টাকার উৎপাদন লক্ষ্যকে অতিক্রম করেছি। আমাদের অনেক পিএলআই স্কিম এই সময় রূপায়ণ বা বাস্তবায়নের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। আজকের এই ওয়েবিনারে আপনাদের পরামর্শ এই বাস্তবায়নের গতি বৃদ্ধি সহায়ক হবে।

বন্ধুগণ,

ভারতের ‘ম্যানুফ্যাকচারিং জার্নি’ বা নির্মাণ যাত্রায় ‘কমপ্লায়েন্স বার্ডেন’ বা নিয়মকানুনের বেড়াজাল একটি বড় ‘স্পিড ব্রেকার’ বা প্রতিবন্ধকের ভূমিকা বরাবরই পালন করছে। গত বছরই আমরা ২৫ হাজারেরও বেশি নিয়মকানুনের বেড়াজাল বাতিল করেছি। লাইসেন্সের অটো-রিনিউয়াল ব্যবস্থা চালু করেছি। এভাবে ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমেও আজ ‘রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক’ বা নিয়ন্ত্রক পরিকাঠামোয় গতি এবং স্বচ্ছতা আসছে। কোম্পানি সেট-আপ করার জন্য ‘কমন স্পাইস ফর্ম’ থেকে শুরু করে ‘ন্যাশনাল সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেম’ পর্যন্ত এখন প্রত্যেক পদক্ষেপে আপনারা আমাদের ‘ডেভেলপমেন্ট ফ্রেন্ডলি অ্যাপ্রোচ’ বা উন্নয়ন-বান্ধব দৃষ্টিভঙ্গিকে অনুভব করছেন।

বন্ধুগণ,

আমাদের আপনাদের কাছ থেকে আরও বেশি ‘কোলাবোরেশন’ বা সক্রিয় অংশগ্রহণ চাই, উদ্ভাবন চাই আর গবেষণা-ভিত্তিক ভবিষ্যৎমুখী দৃষ্টিকোণ চাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আজকের এই ওয়েবিনারে আমরা যে আলাপ-আলোচনা করব, তা থেকে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া মিশন’ আরও অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আমি আপনাদের সামনে আরও একটি অনুরোধ রাখব। দেখুন, আজকের এই ওয়েবিনার গণতন্ত্রের একটি এমন রূপ যে রূপের দিকে সম্ভবত খুব কম মানুষেরই নজর গেছে। জনপ্রতিনিধিরা সংসদে বাজেট নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছেন আর বাজেটকে অনুমোদন করেছেন। সরকারি বাবু এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব বাজেটের ভিত্তিতে কর্মসূচি রচনা করেছেন। প্রথমবার আমি বাজেট প্রস্তুত করার পর ১ এপ্রিলের আগে দু’মাসের সময় বের করতে পেরেছি। এই সময়ে বাজেটের প্রতিটি দিক নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি। আপনাদের থেকে পরামর্শ নিচ্ছি, আপনাদের অংশীদারিত্ব প্রার্থনা করছি। আমি চাই যে বাস্তবায়নের সময় ‘ফুলস্টপ’, ‘কমা’ এদিক-ওদিক হওয়ার কারণে কোনও ফাইল যেন আগের মতো ৬-৭ মাস এক টেবিল থেকে আর এক টেবিলে ঘুরে না বেড়ায়। আমি এই সময়টা বাঁচাতে চাই। আপনারা সব জানেন, কারণ আপনাদের এক্ষেত্রে কাজের অভিজ্ঞতা আছে। আপনারা জানেন কেমন বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে, আর অমুক কাজ করলে এতটা লাভ হবে আর তমুক কাজ করলে ততটা লাভ হবে! আপনারাই সবচাইতে ভালো বিকল্প এবং কার্যকর পরামর্শ দিতে পারেন। আজ আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করতে আসিনি যে, বাজেট কেমন হবে। আজ আমরা আলোচনা করতে বসেছি যে, বাজেট এসেছে সেটিকে কিভাবে বাস্তবায়িত করব যাতে সাধারণ মানুষের বেশি লাভ হয়, যাতে সবচাইতে বেশি সরলভাবে কার্যকর করা যায়, যাতে সবচাইতে ভালো ফল পাওয়া যায়! বাজেট বাস্তবায়ন যাতে সবচাইতে কার্যকর হয় – এই লক্ষ্য নিয়ে আমাদের আজকের আলাপ-আলোচনা চলবে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা আপনাদের কোনও জ্ঞান দেওয়ার জন্য এই ওয়েবিনারের আয়োজন করিনি। এই ওয়েবিনার আমরা আপনাদের কাছ থেকে শেখার জন্য আয়োজন করেছি। আপনাদেরকে আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য এটির আয়োজন করা হয়েছে,  যেখানে সরকারের সম্পূর্ণ ব্যবস্থা আপনাদের সুচিন্তিত বক্তব্য শোনার জন্য বসে আছে। সেই ভিত্তিতে আমরা ১ এপ্রিল থেকে আমাদের বাজেটকে কিভাবে সুন্দরভাবে কার্যকর করব, তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। আমি শিল্প জগৎ থেকে আসা বন্ধুদের কাছে কিছু অনুরোধ রাখব। আপনারা কি চ্যালেঞ্জ নিতে পারবেন? আমাদের দেশে অমুক অমুক পণ্য আমদানি করা হয়। আমি এক বছরের মধ্যে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করব যাতে এ দেশকে অমুকজিনিস আর আমদানি করতে হবে না। এখন দেশ যদি ১০০টি পণ্য আমদানি করে, তার থেকে অন্তত দুটি পণ্য যাতে আমদানি না করতে হয়, সেরকম পরিস্থিতি আমি তৈরি করব। আরও একজন কেউ বলবেন, আমি তিনটি পণ্যের আমদানি বন্ধ করার ব্যবস্থা করব। এভাবে সম্পূর্ণরূপে ভারতের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’কে আমরা সফল করে তুলব। আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে হবে। আমি একজন কৃষককে জানি যিনি ঠিক করেছিলেন যে, ফাইভ স্টার হোটেলগুলিতে যে সব্জি আমদানি করা হয়, সেই সব্জিগুলিকে তিনি উৎপাদন করে ওই ফাইভ স্টার হোটেলগুলিতে বিক্রি করবেন। সেজন্য প্রথমেই তিনি বেছে নেন তাঁর নিকটবর্তী শহরের ফাইভ স্টার হোটেলগুলিকে। সেই হোটেলগুলিতে বেশি পরিমাণে আমদানি করা হতো ছোট টোমাটো, ছোট পেঁয়াজ এবং ছোট আকারের ভুট্টা। তিনি এগুলি উৎপাদনের চেষ্টা করেন। তিনি খুব একটা লেখাপড়া জানা কৃষক ছিলেন না, কিন্তু নিজের পরিশ্রম দিয়ে, অন্যদের সাহায্য নিয়ে, তিনি এত উন্নতমানের ছোট টোমাটো, ছোট পেঁয়াজ এবং ছোট আকারের ভুট্টা উৎপাদন করতে শুরু করেন যে তাঁর নিকটবর্তী শহরের ফাইভ স্টার হোটেলগুলিতে তাঁর পণ্য অনেক কম দামে সরবরাহ করতে পারেন। ক্রমে তাঁর এত নাম হয় যে এখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ফাইভ স্টার হোটেলগুলিতে তিনি এই সব্জিগুলি সরবরাহ করেন। এই হোটেলগুলিকে এখন আর এই সব্জিগুলি বাইরের দেশ থেকে আমদানি করতে হয় না। এর ফলে তাঁদেরও আর্থিক সাশ্রয় হয়, দেশেরও আর্থিক সাশ্রয় হয়। এ ধরনের পদক্ষেপ কি আমার শিল্প জগতের বন্ধুরা নিতে পারেন না? আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ রাখছি, আপনাদের কাছে এই আবদার রাখার অধিকার দেশের রয়েছে। এজন্য আমি বলছি যে ভারতকে শক্তিশালী করে তুলতে আপনারা নিজেদের শিল্পোদ্যোগকে আরও শক্তিশালী করে তুলুন, এটাই আমরা চাই। আপনাদের পণ্য যেন সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, এটা আমরা চাই। সেজন্য আমাদের সবাইকে মিলেমিশে ঠিক করতে হবে, একসঙ্গে বসে সুপরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাওয়ার পথ নির্ধারণ করতে হবে। সেজন্যই আমি আপনাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আপনারা নিজেদের মূল্যবান সময় দিয়েছেন। সারাদিন এই মূল্যবান সময় যত বেশি ফলদায়ক হবে, ততটাই দেশের ভালো হবে। আপনাদের প্রতি আমার এটাই প্রত্যাশা। আপনাদের সকলকে আরও একবার অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PM Modi hails diaspora in Kuwait, says India has potential to become skill capital of world

Media Coverage

PM Modi hails diaspora in Kuwait, says India has potential to become skill capital of world
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 21 ডিসেম্বর 2024
December 21, 2024

Inclusive Progress: Bridging Development, Infrastructure, and Opportunity under the leadership of PM Modi