ভারতমাতার জয়।
ভারতমাতার জয়।
উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দিবেন প্যাটেলজি, এই রাজ্যের জনপ্রিয় এবং প্রাণশক্তিতে পরিপূর্ণ মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথজি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য শ্রী সঞ্জীব বাল্যানজি, জেনারেল ভি কে সিং-জি, মন্ত্রী শ্রী দীনেশ খটিকজি, শ্রী উপেন্দ্র তিওয়ারিজি, শ্রী কপিল দেব আগরওয়ালজি, সংসদে আমার সঙ্গী শ্রী সত্যপাল সিং-জি, শ্রী রাজেন্দ্র আগরওয়ালজি, শ্রী বিজয়পাল সিং তোমরজি, শ্রীমতী কান্তা কর্দমজি, বিধায়ক ভাই সৌমেন্দ্র কুমারজি, ভাই সঙ্গীত সোমজি, ভাই জিতেন্দ্র সতওয়ালজি, ভাই সত্যপ্রকাশ আগরওয়ালজি, মীরাট জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ শ্রী গৌরব চৌধুরিজি, মুজফফরনগর জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ শ্রী বীরপালজি, উপস্থিত অন্যান্য সকল জনপ্রতিনিধিগণ আর মীরাট, মুজফফরনগর এবং দূরদুরান্তের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনাদের সবাইকে ২০২২ সালের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
বছরের শুরুতেই আমার এই মীরাটে আসা, আজকের এই ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠান আমার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের ইতিহাসে মীরাটের স্থান নিছকই একটি শহর হিসেবে নয়, মীরাট বরাবরই আমাদের দেশের সংস্কৃতি, আমাদের সামর্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রও। রামায়ণ এবং মহাভারতের কাল থেকে শুরু করে জৈন তীর্থঙ্করদের সময় হয়ে গুরু নানকের পাঁচ প্রত্যক্ষ অনুগামী ‘পঞ্জ-প্যায়ারোঁ’র অন্যতম ভাই, ভাই ধর্ম সিংহ পর্যন্ত মীরাট দেশের আস্থাকে প্রাণশক্তি যুগিয়ে গেছে।
সিন্ধু সভ্যতা থেকে শুরু করে দেশের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম, তথাকথিত সিপাহী বিদ্রোহের সময় পর্যন্ত এই এলাকা বিশ্বকে ভারতের সামর্থ্য কী হতে পারে বারবার তা দেখিয়েছে। ১৮৫৭ সালে বাবা ঔঘড়নাথ মন্দির থেকে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার ধিকিধিকি আগুন যেভাবে ক্রমে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল, দিল্লি অভিযানের আহ্বান যেভাবে জনমানসে ছড়িয়ে পড়ল, সেই আগুনের আলো পরাধীনতার অন্ধকার সুড়ঙ্গে দেশবাসীকে নতুন আলো দেখাল। স্বাধীনতার এই প্রেরণা নিয়ে এগোনোর মাধ্যমেই একদিন আমরা স্বাধীন হয়েছি, আর আজ গর্বের সঙ্গে আমরা স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছি। আমার সৌভাগ্য যে এখানে আসার আগে আমার বাবা ঔঘড়নাথ মন্দিরে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। আমি অমর জওয়ান জ্যোতিতে সম্মান জানাতেও গিয়েছি। স্বাধীনতা সংগ্রাম সংগ্রহালয়ে সেই অনুভূতিকে অনুভব করেছি, যা দেশের জন্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মনে কিছু করে দেখানোর তীব্র আকাঙ্ক্ষায় পরিণত হয়েছিল।
ভাই ও বোনেরা,
মীরাট দেশের আরও এক মহান সন্তান মেজর ধ্যানচাঁদজিরও কর্মস্থল ছিল। কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সবচাইতে বড় ক্রীড়া পুরস্কারের নাম আমাদের প্রিয় ‘দদ্দা’ বা মেজর ধ্যানচাঁদজির নামে করে দিয়েছে। আজ মীরাটের ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ও মেজর ধ্যানচাঁদজির নামেই সমর্পণ করেই দেশবাসীকে উৎসর্গ করা হয়েছে। যখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম মেজর ধ্যানচাঁদজির মতো ক্রীড়াবিদের নামের সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন তাঁর পরাক্রম তো প্রেরণা যোগায়ই, কিন্তু তাঁর নামের মধ্যেও একটা বার্তা রয়েছে। তাঁর নামের যে প্রধান শব্দ, সেটি হল ‘ধ্যান’। ধ্যান কেন্দ্রিভূত করে কোনরকম ‘ফোকাসড অ্যাক্টিভিটি’ বা একাগ্রভাবে তৎপর হয়ে পরিশ্রম না করলে কখনও সাফল্য আসে না, আর এজন্য যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ধ্যানচাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, তখন সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে সম্পূর্ণ ‘ধ্যান’ দিয়ে পরিশ্রম করা নবীন প্রজন্মের যুবক-যুবতীরা দেশের নাম উজ্জ্বল করবেই। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
আমি উত্তরপ্রদেশের নবীন প্রজন্মের মানুষদের রাজ্যের প্রথম ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আমি নিশ্চিত যে, ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মীয়মান এই আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠবে। এখানে নবীন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা ক্রীড়া সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধাগুলি তো পাবেনই, সেইসঙ্গে এখানে ক্রীড়াকে একটি পেশা রূপে বেছে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের কাজও সুনিশ্চিত করা হবে। এখান থেকে প্রতি বছর ১ হাজারেরও বেশি ছেলে-মেয়ে উন্নতমানের খেলোয়াড় হয়ে বেরোবে। অর্থাৎ, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নগরী, ক্রান্তিবীরদের নগরী এখন ক্রীড়াবীরদের নগরী হিসেবে তার পরিচয়কে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
বন্ধুগণ,
আগের সরকারগুলির সময়ে উত্তরপ্রদেশে অপরাধীরা তাদের খেলা খেলত, মাফিয়ারা তাদের খেলা খেলত। আগে এ রাজ্যে অবৈধ দখলদারির টুর্নামেন্ট হত। মেয়েদের অসম্মান করা, শ্লীলতাহানি করা লোকেরা বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়াত। আমাদের মীরাটের চারপাশের এলাকাগুলির বাসিন্দারা কখনও ভুলতে পারবেন না কিভাবে মানুষের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হত, আর এই ধরনের খেলায় তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের লোকজন পারদর্শী ছিলেন। মানুষ যে তাঁদের বংশপরম্পরায় পাওয়া ঘর-বাড়ি, সম্পত্তি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হতেন তা আগের সরকারগুলির এই খেলারই ফল।
আগে কী কী ধরনের খেলা হত, এখন যোগীজির সরকার সেই অপরাধীদের সঙ্গে জেল জেল খেলছে। পাঁচ বছর আগে এই মীরাটের মেয়েরা সন্ধ্যা হওয়ার পর বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় পেতেন। আজ মীরাটের মেয়েরা গোটা দেশের নাম উজ্জ্বল করছে। আগে এখানে, এই মীরাটের সতীগঞ্জ বাজারে চোরাই গাড়ি কেনাবেচার যে খেলা চলত, তারও এখন ‘দ্য এন্ড’ হয়ে গেছে। এখন উত্তরপ্রদেশে প্রকৃত ক্রীড়াকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের যুব সম্প্রদায় প্রকৃত ক্রীড়াবিশ্বে নিজেদের পরাক্রম দেখানোর সুযোগ পাচ্ছেন।
বন্ধুগণ,
আমাদের শাস্ত্রে বলা হয় –
“মহাজন য়েন গতাঃ স পন্থাঃ”
অর্থাৎ, যে পথে মহান ব্যক্তিরা, মহাপুরুষেরা গেছেন, সেটাই আমাদের পথ। কিন্তু এখন ভারত বদলে গেছে। এখন আমরা একবিংশ শতাব্দীতে রয়েছি আর এই একবিংশ শতাব্দীর নতুন ভারতে সবচাইতে বড় দায়িত্ব আমাদের যুব সম্প্রদায়ের কাঁধে ন্যস্ত রয়েছে। সেজন্য এখন মন্ত্রটাও বদলে গেছে। একবিংশ শতাব্দীর মন্ত্র হওয়া উচিৎ -
“য়ুবা জন গতাঃ স পন্থাঃ”
অর্থাৎ, যে পথে যুবক-যুবতীরা এগিয়ে যাবেন, সেই পথই এখন দেশবাসীর পথ হবে। যেদিকে যুবক-যুবতীরা পা বাড়াবেন, লক্ষ্যও নিজে থেকেই চরণ চুম্বন করতে শুরু করবে। যুবক-যুবতীরাই নতুন ভারতের কর্ণধার। তাঁরাই নতুন ভারতকে বিস্তার দেবেন। যুবক-যুবতীরা নতুন ভারতের নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠবেন। তাঁরাই নতুন ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন। আমাদের আজকের যুব সম্প্রদায়ের কাছে প্রাচীনতার ঐতিহ্যও রয়েছে, পাশাপাশি আধুনিকতার বোধও রয়েছে, আর সেজন্য যেদিকে যুব সম্প্রদায় চলবে, সেদিকেই ভারত চলবে আর যেদিকে ভারত চলবে সেদিকেই এখন সারা পৃথিবী চলবে। আজ আমরা যদি দেখি যে বিজ্ঞান থেকে শুরু করে সাহিত্য পর্যন্ত, স্টার্ট-আপ থেকে শুরু করে ক্রীড়া পর্যন্ত – সকল ক্ষেত্রে ভারতের যুব সম্প্রদায় নিজেদের কৃতিত্বের পতাকা ওড়াচ্ছে।
ভাই ও বোনেরা,
ক্রীড়াবিশ্বে অংশগ্রহণকারী আমাদের যুবক-যুবতীরা আগেও সামর্থ্যবান ছিলেন। তাঁদের পরিশ্রমে আগেও কখনও খামতি ছিল না। আমাদের দেশের ক্রীড়া সংস্কৃতিও যুগ যুগ ধরে অত্যন্ত সমৃদ্ধ ছিল। আমাদের গ্রামগুলিতে প্রতিটি উৎসবে, প্রতিটি পরবে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। মীরাটে যে দঙ্গল হয়, তাতে অংশগ্রহণ করলে যে ঘি-এর ‘পিপে’ এবং লাড্ডু পুরস্কার পাওয়া যায়, তার স্বাদ পাওয়ার জন্য সবাই ওই খেলায় অংশগ্রহণ করতে চান। কিন্তু এটাও সত্য যে পূর্ববর্তী সরকারগুলির নীতির ফলে তাদের খেলা এবং খেলোয়াড়দের প্রতি দেখার দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা ছিল। আগে শহরের কোনও যুবক যখন নিজের পরিচয় খেলোয়াড় হিসেবে দিতেন, যদি তাঁরা বলতেন যে আমি তো খেলোয়াড়, অমুক খেলা খেলি বা অমুক খেলায় আমি সাফল্য পেয়েছি, তখন সামনের মানুষটি কী জিজ্ঞাসা করতেন জানেন? সামনের মানুষটি জিজ্ঞাসা করতেন, হ্যাঁ বাবা, খেলাধূলা কর ঠিক আছে, কিন্তু কাজ কী কর? অর্থাৎ, খেলাধূলাকে কোনও সম্মানজনক কিছু বলে মানা হত না।
গ্রামে যদি কেউ নিজেকে খেলোয়াড় বলতেন, তখন গ্রামের লোকেরা বলতেন, “ও! তাহলে সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশে চাকরি পাওয়ার জন্য খেলছো?” অর্থাৎ, খেলাধূলার প্রতি ভাবনা এবং সামগ্রিক চিন্তাভাবনার পরিধি অত্যন্ত সীমাবদ্ধ হয়ে থেকে গিয়েছিল। পূর্ববর্তী সরকারগুলি যুব সম্প্রদায়ের এই সামর্থ্যকে কোনও গুরুত্বই দেয়নি। এই সরকারগুলির দায়িত্ব ছিল যে সমাজে খেলাধূলার প্রতি যে ভাবনা ছিল, সেই ভাবনাকে বদলে খেলা ও খেলোয়াড়দের এর থেকে বের করে আনা। কিন্তু তারা উল্টোটাই করেছে। অধিকাংশ খেলার প্রতিই দেশে অনীহা ছিল ক্রমবর্ধমান। এর পরিণামে, যে হকি খেলায় পরাধীন ভারতেও মেজর ধ্যানচাঁদের মতো প্রতিভারা দেশের গৌরব বাড়িয়েছেন, সেই খেলায় মেডেল পাওয়ার জন্য আমাদেরকে অনেক দশক অপেক্ষা করতে হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যেখানে হকি প্রাকৃতিক ঘাসের মাঠ থেকে ‘অ্যাস্ট্রোটার্ফ’-এর দিকে এগিয়ে গেছে, সেখানে আমরা এতদিন ঘাসের মাঠেই পড়েছিলাম। যখন আমরা অবশেষে জেগে উঠলাম, ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তার ওপর প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে টিম নির্বাচন পর্যন্ত প্রত্যেক স্তরে স্বজনপোষণ, পরিবারতন্ত্র, জাতপাত আর দুর্নীতির খেলা। ক্রমাগত প্রত্যেক পদক্ষেপে বৈষম্য এবং অস্বচ্ছতা আমাদের হকির জগতকে আকীর্ণ করে রেখেছিল। বন্ধুগণ, হকি তো একটা উদাহরণ মাত্র। এটা প্রত্যেক খেলারই কাহিনী ছিল। পরিবর্তিত প্রযুক্তি, পরিবর্তিত চাহিদা, পরিবর্তিত দক্ষতার জন্য দেশের পূর্ববর্তী সরকারগুলি উন্নত ইকো-সিস্টেম তৈরি করতেই পারেনি।
বন্ধুগণ,
দেশের যুব সম্প্রদায়ের যে অসীম প্রতিভা ছিল তা সরকারি অনীহার কারণে, নানা রকম প্রতিকূলতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২০১৪-র পর সেই শৃঙ্খল ভেঙে বাইরে বের করার জন্য আমরা প্রত্যেক স্তরে সংস্কার করেছি। খেলোয়াড়দের সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য আমাদের সরকার খেলোয়াড়দের চারটি অস্ত্র দিয়েছে। খেলোয়াড়দের চাই ক্রীড়া উপকরণ, খেলোয়াড়দের চাই আধুনিক প্রশিক্ষণের সুবিধা, খেলোয়াড়দের চাই আন্তর্জাতিক এক্সপোজার, আর খেলোয়াড়দের চাই নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা। আমাদের সরকার বিগত বছরগুলিতে ভারতের খেলোয়াড়রা যাতে এই চারটি অস্ত্র অবশ্যই পান, তা সুনিশ্চিত করাকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। আমরা ক্রীড়াক্ষেত্রের যুবক-যুবতীদের ফিটনেস এবং তাঁদের কর্মসংস্থান, স্বরোজগার, তাঁদের কেরিয়ারের সঙ্গে যুক্ত করেছি। ‘টার্গেট অলিম্পিক পডিয়াম স্কিম’ অর্থাৎ, ‘টপস’ এমনই একটি প্রচেষ্টা ছিল।
আজ সরকার দেশের শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের খাওয়া-দাওয়া, ফিটনেস থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। ‘খেলো ইন্ডিয়া অভিযান’-এর মাধ্যমে আজ অত্যন্ত কম বয়সেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিভাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। এমন খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক মানের অ্যাথলিট হিসেবে গড়ে তুলতে, তাঁদের সব ধরনের সম্ভাব্য সাহায্য করা হচ্ছে। এই প্রচেষ্টাগুলির ফলে আজ যখন ভারতের খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ করেন, তখন তাঁদের প্রদর্শনকে বিশ্ববাসী দেখেন, প্রশংসা করেন। গত বছর আমরা অলিম্পিকে দেখেছি, আবার প্যারালিম্পিকে দেখেছি, যা ইতিহাসে কখনও হয়নি, সেটাই গতবছর আমার দেশের বীর পুত্র-কন্যারা করে দেখিয়েছেন। তাঁরা এত বেশি মেডেল পেয়েছেন, এত পদক পেয়েছেন যে গোটা দেশ বলে উঠেছে, এক স্বরে বলে উঠেছে – ‘ক্রীড়া ময়দানে ভারতের উদয় হয়েছে’।
ভাই ও বোনেরা,
আজ আমরা দেখছি যে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের অনেক ছোট ছোট গ্রামে সাধারণ পরিবারগুলি থেকে ছেলে-মেয়েরা উঠে এসে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এমন সব খেলায় আমাদের ছেলে-মেয়েরা এগিয়ে আসছেন, যেগুলিতে আগে সম্পদসম্পন্ন পরিবারের যুবক-যুবতীরাই অংশগ্রহণ করতে পারতেন। এই এলাকার অনেক খেলোয়াড়রা এবং অলিম্পিক্স এবং প্যারালিম্পিক্সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সরকার গ্রামে গ্রামে যে আধুনিক ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তুলছে, এটা তারই পরিণাম। আগে ভালো স্টেডিয়াম শুধু বড় শহরগুলিতেই ছিল। আজ গ্রামের কাছেই খেলোয়াড়দের এই সুবিধাগুলি দেওয়া হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
আমরা যখনই একটি নতুন কর্মসংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি, তখন এর জন্য তিনটি জিনিসের প্রয়োজন হয় – সান্নিধ্য, ভাবনা এবং সম্পদ। ক্রীড়ার সঙ্গে আমাদের সান্নিধ্য অনেক শতাব্দী প্রাচীন। কিন্তু ক্রীড়া সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য শুধু খেলার সঙ্গে আমাদের পূর্ণ সম্পর্ক দিয়েই কাজ চলবে না, আমাদের এর জন্য নতুন ভাবনা-চিন্তারও প্রয়োজন। দেশে বিভিন্ন ক্রীড়ার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় হল আমাদের যুবক-যুবতীদের মনে খেলা নিয়ে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা। খেলাকে তাঁদের পেশায় পরিণত করার সাহস বাড়ানো আর এটাই আমারও সঙ্কল্প, আমার স্বপ্নও এরকমই ছিল। আমি চাই, যেভাবে মানুষ অন্যান্য পেশাদারদের দেখে, তেমনভাবেই আমাদের নবীন প্রজন্ম ক্রীড়াকে দেখুক। আমাদের এটাও বুঝতে হবে যে যাঁরাই খেলাধূলায় যাবেন, সবাই বিশ্বের ১ নম্বর হবেন না। এটা সম্ভব নয়। এর কোনও প্রয়োজনও নেই। আরে, দেশে যখন ক্রীড়া ইকো-সিস্টেম তৈরি হবে তখন স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট বা ক্রীড়া ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে স্পোর্টস রাইটিং বা ক্রীড়া লিখন, ক্রীড়া সাংবাদিকতা, স্পোর্টস সাইকলজি বা ক্রীড়া মনস্তত্ত্ব – এরকম ক্রীড়া-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়কে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। ধীরে ধীরে সমাজে এই বিশ্বাস জন্ম নেবে যে যুবক-যুবতীদের খেলার দিকে যাওয়া একটি সঠিক সিদ্ধান্ত। এরকম ইকো-সিস্টেম গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন হয় অর্থের। যখন আমরা প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো বিকশিত করে নিই, তখন ক্রীড়া সংস্কৃতি শক্তিশালী হতে শুরু করে। যদি খেলাধূলার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ বরাদ্দ থাকে, তাহলে দেশে ক্রীড়া সংস্কৃতিও প্রয়োজনীয় আকার নেবে, বিস্তারিত হবে।
সেজন্য আজ এই ধরনের ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠা এতটা জরুরি। এই ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় খেলার সংস্কৃতিকে পুষ্পিত ও পল্লবিত করার ক্ষেত্রে নার্সারির মতো কাজ করে। সেজন্যই স্বাধীনতার সাত দশক পর, ২০১৮-তে, আমাদের সরকার প্রথম ন্যাশনাল স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি স্থাপন করে আমাদের উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুরে। বিগত সাত বছরে সারা দেশে ক্রীড়া-শিক্ষা এবং দক্ষতার সঙ্গে জড়িত অনেক প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক করে তোলা হয়েছে। আজ এখানে মেজর ধ্যানচাঁদ স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি, এই ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়, ক্রীড়াক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার আরও একটি শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশ উপহার পেল।
বন্ধুগণ,
খেলার দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত আরও একটি কথা আমাদের মনে রাখতে হবে। আমি জানি যে মীরাটের মানুষ এ কথাটা খুব ভালোভাবেই জানেন। ক্রীড়ার সঙ্গে যুক্ত পরিষেবা এবং সরঞ্জামের বিশ্ব বাজার লক্ষ কোটি টাকার। এখানে মীরাট থেকেই এখন ১০০-রও বেশি দেশে নানা ক্রীড়া সরঞ্জাম রপ্তানি হয়। মীরাট লোকালের জন্য যেমন ভোকাল হয়েছে, লোকালকে তেমন সাফল্যের সঙ্গে গ্লোবাল করে তুলেছে। আজ সারা দেশে এমন অনেক স্পোর্টস ক্লাস্টারও বিকশিত করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য হল, দেশকে ক্রীড়ার নানা সরঞ্জাম ও উপকরণ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও আত্মনির্ভর করে তোলা।
এখন যে নতুন ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি চালু হচ্ছে, এই জাতীয় শিক্ষানীতিতেও ক্রীড়াকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পাঠ্যক্রমে ক্রীড়াকে এখন সেই শ্রেণীতে রাখা হয়েছে, যেভাবে বিজ্ঞান, বাণিজ্য, গণিত, ভুগোল কিংবা অন্যান্য বিষয় নিয়ে পড়াশোনা হয়। আগে ক্রীড়াকে ‘একস্ট্রা কারিক্যুলার অ্যাক্টিভিটি’ বলে মনে করা হত, কিন্তু এখন স্কুলে স্পোর্টস একটি প্রধান বিষয় হিসেবে থাকবে। তাকে এতটাই গুরুত্ব দেওয়া হবে, যতটা অন্য যে কোনও বিষয়কে দেওয়া হয়।
বন্ধুগণ,
উত্তরপ্রদেশের যুব সম্প্রদায়ের এত প্রতিভা রয়েছে, আমাদের উত্তরপ্রদেশের যুবক-যুবতীরা এতই প্রতিভাবান যে তাঁদের জন্য যে কোনও আকাশই ছোট প্রমাণিত হবে। সেজন্য উত্তরপ্রদেশে ডবল ইঞ্জিন সরকার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করছে। গোরক্ষপুরে ‘মহাযোগী গুরু গোরক্ষনাথ আয়ুষ ইউনিভার্সিটি’, প্রয়াগরাজে ‘ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদ বিধি বিশ্ববিদ্যালয়’, লক্ষ্ণৌ-তে ‘স্টেট ইনস্টিটিউট অফ ফরেন্সিক সায়েন্সেস’, আলিগড়ে ‘রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়’, সাহারানপুরে ‘মা শাকুম্বরী বিশ্ববিদ্যালয়’ আর এখানে, মীরাটে, ‘মেজর ধ্যানচাঁদ স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি’, - আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। আমাদের যুবক-যুবতীরা শুধুই রোল মডেল হবেন না, তাঁরা সমাজে তাঁদের রোল বা ভূমিকা সম্পর্কেও অবহিত হবেন।
বন্ধুগণ,
সরকারের ভূমিকা অভিভাবকের মতো হয়। যোগ্যতা থাকলে উৎসাহ দিতে হবে আর ভুল করলে এটা বলে দূরে সরালে চলবে না যে এরা ভুল করে। আজ যোগীজির নেতৃত্বাধীন সরকার যুবক-যুবতীদের রেকর্ড সংখ্যক সরকারি নিযুক্তি দিচ্ছে। আইটিআই থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে হাজার হাজার যুবক-যুবতীকে বড় বড় কোম্পানিতে চাকরির ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। ন্যাশনাল অ্যাপ্রেন্টিসশিপ প্রকল্পই হোক কিংবা প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা – লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী এর মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। এবার অটলজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশ সরকার শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য ট্যাবলেট এবং স্মার্ট ফোন দেওয়ার অভিযানও শুরু করেছে।
বন্ধুগণ,
কেন্দ্রীয় সরকারের আরও একটি প্রকল্প সম্পর্কে উত্তরপ্রদেশের নবীন প্রজন্মের যুবক-যুবতীদের জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই প্রকল্পটি হল ‘স্বামীত্ব যোজনা’। এই যোজনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার গ্রামে বসবাসকারী জনগণকে ‘ঘরৌনী’ অর্থাৎ, তাঁদের সম্পত্তির মালিকানার অধিকার সংক্রান্ত কাগজ বা পরচা দিচ্ছে। ‘ঘরৌনী’ পেলে গ্রামের যুবক-যুবতীরা নিজেদের কাজকর্ম শুরু করার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে সহজেই ঋণ পেতে পারবেন। এই ‘ঘরৌনী’ গরীব, দলিত, বঞ্চিত, পীড়িত, পিছিয়ে পড়া সমাজের প্রত্যেক বর্গের মানুষকে তাঁদের বাড়ির ওপর অবৈধ দখলদারির চিন্তা থেকে মুক্তি দেবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে যোগীজির সরকার অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এই ‘স্বামীত্ব যোজনা’কে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি জেলায় ২৩ লক্ষেরও বেশি ‘ঘরৌনী’ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের পর যোগীজির সরকার এই অভিযানকে আরও ত্বরান্বিত করবে।
ভাই ও বোনেরা,
এই এলাকার অধিকাংশ যুবক-যুবতী গ্রামাঞ্চলে থাকেন। গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য আমাদের সরকার লাগাতার কাজ করে চলেছে। ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’র মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের লক্ষ লক্ষ কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রত্যক্ষ নগদ হস্তান্তর বা ডিবিটি-র মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। এর দ্বারা এই এলাকার ক্ষুদ্র কৃষকরাও অনেক উপকৃত হচ্ছেন।
বন্ধুগণ,
যাঁরা আগে ক্ষমতায় ছিলেন তাঁরা আপনাদের কাছ থেকে আখ কিনে তার দাম বিভিন্ন কিস্তিতে অল্প অল্প করে দিয়ে প্রতীক্ষায় রাখতেন। যোগীজির সরকারের আমলে কৃষকদের কাছ থেকে যত আখ কেনা হয়েছে আর যত টাকা কৃষকরা পেয়েছেন, ততটা পূর্ববর্তী দুটি সরকারের আমলেও হয়নি। পূর্ববর্তী দুটি সরকার চিনি কলগুলি জলের দরে বিক্রি করে দিয়েছে। একথা আপনারা আমার থেকে ভালোভাবে জানেন। জানেন কি জানেন না? অনেক চিনি কারখানাও পূর্ববর্তী সরকারগুলি কম দামে বেচে দিয়েছিল। অনেক দুর্নীতি হয়েছে। যোগীজির সরকারের আমলে আর নতুন করে কোনও চিনি কারখানা বিক্রি করা হয়নি, সেগুলিতে আর লকআউট হয় না, বরঞ্চ সেগুলিতে উৎপাদন বাড়ে। পাশাপাশি, নতুন নতুন চিনির কল খোলা হয়। এখন উত্তরপ্রদেশ আখ থেকে উৎপাদিত ইথানল উৎপাদনেও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। বিগত সাড়ে চার বছরে উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ইথানল বিভিন্ন তেল কোম্পানিগুলি কিনেছে। সরকার কৃষি পরিকাঠামো এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ – এ ধরনের শিল্পোদ্যোগগুলিকেও দ্রুতগতিতে সম্প্রসারিত করছে। আজ গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে, গুদামজাতকরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে, কোল্ড স্টোরেজ গড়ে তুলতে ১ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে।
ভাই ও বোনেরা,
ডবল ইঞ্জিনের সরকার যুব সম্প্রদায়ের সামর্থ্যের পাশাপাশি এই এলাকার সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্যও কাজ করছে। মীরাটের রেউরি-গজক, হ্যান্ডলুম, ব্রাস ব্যান্ড, বস্ত্র ইত্যাদির ব্যবসা এখানকার পরিচয়কে গৌরবান্বিত করছে। মীরাট-মুজফফরনগরে আরও অনেক ক্ষুদ্র এবং অতিক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগ যেন গড়ে ওঠে, পাশাপাশি বড় শিল্পোদ্যোগের ভিত্তি যেন গড়ে ওঠে, এখানকার কৃষিপণ্য, এখানকার প্রতিটি পণ্য যেন নতুন বাজার পায়, এসব কিছু সুনিশ্চিত করতে আজ নানাবিধ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সেজন্য আজ এই অঞ্চলকে দেশের সবচাইতে আধুনিক এবং সবচাইতে কানেক্টেড রিজিয়ন গড়ে তোলার জন্য কাজ চলছে। দিল্লি-মীরাট এক্সপ্রেসওয়ে গড়ে ওঠার ফলে আজ দিল্লির দূরত্ব মাত্র ১ ঘন্টার হয়ে গেছে। এই তো কিছুদিন আগেই যে গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয়েছে, সেটিও মীরাট থেকেই শুরু হবে। এই মীরাটের কানেক্টিভিটি উত্তরপ্রদেশের অন্যান্য শহরের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলবে, সমস্ত আদানপ্রদানকে সহজ করে তুলবে। দেশের প্রথম রিজিওনাল র্যাপিড রেল ট্রানজিট সিস্টেমও মীরাটকে রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত করছে। মীরাট দেশের প্রথম এমন শহর হবে যেখানে মেট্রো এবং হাইস্পিড রেল একসঙ্গে ছুটবে। মীরাটের আইটি পার্ক, যা পূর্ববর্তী সরকারের নিছকই একটি ঘোষণা হয়ে রয়ে গিয়েছিল, আমরা সেটির রূপায়ণের কাজ সম্পন্ন করে উদ্বোধনও করে ফেলেছি।
বন্ধুগণ,
এখানেই ডবল বেনিফিট বা দ্বিগুণ লাভ, ডবল স্পিড বা দ্বিগুণ গতি, ডবল ইঞ্জিন সরকারের এটাই পরিচয়। এই পরিচয়কে আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। আমার পশ্চিম-উত্তরপ্রদেশের জনগণ জানেন যে আপনারা ওদিকে হাত লম্বা করলে লক্ষ্ণৌ-এ যোগীজিকে পাবেন আর এদিকে হাত লম্বা করলে দিল্লিতে আমাকে পাবেন। উন্নয়নের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করতে হবে। নতুন বছরে আমরা নতুন উদ্দীপনা নিয়ে এগিয়ে যাব। আমার নবীন প্রজন্মের বন্ধুগণ, আজ গোটা ভারত মীরাটের শক্তি দেখতে পাচ্ছে, পশ্চিম-উত্তরপ্রদেশের শক্তি দেখতে পাচ্ছে, নবীন প্রজন্মের মানুষদের শক্তি দেখতে পাচ্ছে। এই শক্তিই দেশের আসল শক্তি। এই শক্তিকে আরও উৎসাহ যোগানোর জন্য একটি নতুন বিশ্বাস নিয়ে আরও একবার আপনাদের মেজর ধ্যানচাঁদ স্পোর্টস ইউনিভার্সিটির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানাই!
ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়!
বন্দে মাতরম! বন্দে মাতরম!