“In Indian history, Meerut has not just been a city but a significant center of culture and strength”
“For sports to thrive in the country, it is necessary that the youth should have faith in sports and should be encouraged to take up sports as a profession. This is my resolve, and my dream”
“With the advent of sporting infrastructure in villages and small towns, there are a rising number of sportspersons from these places”
“Emerging sporting eco-system with resources and new streams is creating new possibilities. This generates trust in the society that moving towards sports is the right decision”
“Meerut is not only vocal for local but is also turning local into global”
“Our goal is clear. The Youth should not only become role model but also recognize their role models”

ভারতমাতার জয়।

ভারতমাতার জয়।

উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দিবেন প্যাটেলজি, এই রাজ্যের জনপ্রিয় এবং প্রাণশক্তিতে পরিপূর্ণ মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথজি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য শ্রী সঞ্জীব বাল্যানজি, জেনারেল ভি কে সিং-জি, মন্ত্রী শ্রী দীনেশ খটিকজি, শ্রী উপেন্দ্র তিওয়ারিজি, শ্রী কপিল দেব আগরওয়ালজি, সংসদে আমার সঙ্গী শ্রী সত্যপাল সিং-জি, শ্রী রাজেন্দ্র আগরওয়ালজি, শ্রী বিজয়পাল সিং তোমরজি, শ্রীমতী কান্তা কর্দমজি, বিধায়ক ভাই সৌমেন্দ্র কুমারজি, ভাই সঙ্গীত সোমজি, ভাই জিতেন্দ্র সতওয়ালজি, ভাই সত্যপ্রকাশ আগরওয়ালজি, মীরাট জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ শ্রী গৌরব চৌধুরিজি, মুজফফরনগর জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ শ্রী বীরপালজি, উপস্থিত অন্যান্য সকল জনপ্রতিনিধিগণ আর মীরাট, মুজফফরনগর এবং দূরদুরান্তের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আপনাদের সবাইকে ২০২২ সালের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।

বছরের শুরুতেই আমার এই মীরাটে আসা, আজকের এই ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠান আমার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের ইতিহাসে মীরাটের স্থান নিছকই একটি শহর হিসেবে নয়, মীরাট বরাবরই আমাদের দেশের সংস্কৃতি, আমাদের সামর্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রও। রামায়ণ এবং মহাভারতের কাল থেকে শুরু করে জৈন তীর্থঙ্করদের সময় হয়ে গুরু নানকের পাঁচ প্রত্যক্ষ অনুগামী ‘পঞ্জ-প্যায়ারোঁ’র অন্যতম ভাই, ভাই ধর্ম সিংহ পর্যন্ত মীরাট দেশের আস্থাকে প্রাণশক্তি যুগিয়ে গেছে।

সিন্ধু সভ্যতা থেকে শুরু করে দেশের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম, তথাকথিত সিপাহী বিদ্রোহের সময় পর্যন্ত এই এলাকা বিশ্বকে ভারতের সামর্থ্য কী হতে পারে বারবার তা দেখিয়েছে। ১৮৫৭ সালে বাবা ঔঘড়নাথ মন্দির থেকে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার ধিকিধিকি আগুন যেভাবে ক্রমে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল, দিল্লি অভিযানের আহ্বান যেভাবে জনমানসে ছড়িয়ে পড়ল, সেই আগুনের আলো পরাধীনতার অন্ধকার সুড়ঙ্গে দেশবাসীকে নতুন আলো দেখাল। স্বাধীনতার এই প্রেরণা নিয়ে এগোনোর মাধ্যমেই একদিন আমরা স্বাধীন হয়েছি, আর আজ গর্বের সঙ্গে আমরা স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছি। আমার সৌভাগ্য যে এখানে আসার আগে আমার বাবা ঔঘড়নাথ মন্দিরে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। আমি অমর জওয়ান জ্যোতিতে সম্মান জানাতেও গিয়েছি। স্বাধীনতা সংগ্রাম সংগ্রহালয়ে সেই অনুভূতিকে অনুভব করেছি, যা দেশের জন্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মনে কিছু করে দেখানোর তীব্র আকাঙ্ক্ষায় পরিণত হয়েছিল।

ভাই ও বোনেরা,

মীরাট দেশের আরও এক মহান সন্তান মেজর ধ্যানচাঁদজিরও কর্মস্থল ছিল। কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সবচাইতে বড় ক্রীড়া পুরস্কারের নাম আমাদের প্রিয় ‘দদ্দা’ বা মেজর ধ্যানচাঁদজির নামে করে দিয়েছে। আজ মীরাটের ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ও মেজর ধ্যানচাঁদজির নামেই সমর্পণ করেই দেশবাসীকে উৎসর্গ করা হয়েছে। যখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম মেজর ধ্যানচাঁদজির মতো ক্রীড়াবিদের নামের সঙ্গে যুক্ত হয়, তখন তাঁর পরাক্রম তো প্রেরণা যোগায়ই, কিন্তু তাঁর নামের মধ্যেও একটা বার্তা রয়েছে। তাঁর নামের যে প্রধান শব্দ, সেটি হল ‘ধ্যান’। ধ্যান কেন্দ্রিভূত করে কোনরকম ‘ফোকাসড অ্যাক্টিভিটি’ বা একাগ্রভাবে তৎপর হয়ে পরিশ্রম না করলে কখনও সাফল্য আসে না, আর এজন্য যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ধ্যানচাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, তখন সেখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে  সম্পূর্ণ ‘ধ্যান’ দিয়ে পরিশ্রম করা নবীন প্রজন্মের যুবক-যুবতীরা দেশের নাম উজ্জ্বল করবেই। এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস।

আমি উত্তরপ্রদেশের নবীন প্রজন্মের মানুষদের রাজ্যের প্রথম ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। আমি নিশ্চিত যে, ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে নির্মীয়মান এই আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠবে। এখানে নবীন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা ক্রীড়া সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধাগুলি তো পাবেনই, সেইসঙ্গে এখানে ক্রীড়াকে একটি পেশা রূপে বেছে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের কাজও সুনিশ্চিত করা হবে। এখান থেকে প্রতি বছর ১ হাজারেরও বেশি ছেলে-মেয়ে উন্নতমানের খেলোয়াড় হয়ে বেরোবে। অর্থাৎ, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নগরী, ক্রান্তিবীরদের নগরী এখন ক্রীড়াবীরদের নগরী হিসেবে তার পরিচয়কে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।

বন্ধুগণ,

আগের সরকারগুলির সময়ে উত্তরপ্রদেশে অপরাধীরা তাদের খেলা খেলত, মাফিয়ারা তাদের খেলা খেলত। আগে এ রাজ্যে অবৈধ দখলদারির টুর্নামেন্ট হত। মেয়েদের অসম্মান করা, শ্লীলতাহানি করা লোকেরা বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়াত। আমাদের মীরাটের চারপাশের এলাকাগুলির বাসিন্দারা কখনও ভুলতে পারবেন না কিভাবে মানুষের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হত, আর এই ধরনের খেলায় তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের লোকজন পারদর্শী ছিলেন। মানুষ যে তাঁদের বংশপরম্পরায় পাওয়া ঘর-বাড়ি, সম্পত্তি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হতেন তা আগের সরকারগুলির এই খেলারই ফল।

আগে কী কী ধরনের খেলা হত, এখন যোগীজির সরকার সেই অপরাধীদের সঙ্গে জেল জেল খেলছে। পাঁচ বছর আগে এই মীরাটের মেয়েরা সন্ধ্যা হওয়ার পর বাড়ি থেকে বেরোতে ভয় পেতেন। আজ মীরাটের মেয়েরা গোটা দেশের নাম উজ্জ্বল করছে। আগে এখানে, এই মীরাটের সতীগঞ্জ বাজারে চোরাই গাড়ি কেনাবেচার যে খেলা চলত, তারও এখন ‘দ্য এন্ড’ হয়ে গেছে। এখন উত্তরপ্রদেশে প্রকৃত ক্রীড়াকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের যুব সম্প্রদায় প্রকৃত ক্রীড়াবিশ্বে নিজেদের পরাক্রম দেখানোর সুযোগ পাচ্ছেন।

বন্ধুগণ,

আমাদের শাস্ত্রে বলা হয় –

“মহাজন য়েন গতাঃ স পন্থাঃ”

অর্থাৎ, যে পথে মহান ব্যক্তিরা, মহাপুরুষেরা গেছেন, সেটাই আমাদের পথ। কিন্তু এখন ভারত বদলে গেছে। এখন আমরা একবিংশ শতাব্দীতে রয়েছি আর এই একবিংশ শতাব্দীর নতুন ভারতে সবচাইতে বড় দায়িত্ব আমাদের যুব সম্প্রদায়ের কাঁধে ন্যস্ত রয়েছে। সেজন্য এখন মন্ত্রটাও বদলে গেছে। একবিংশ শতাব্দীর মন্ত্র হওয়া উচিৎ -

“য়ুবা জন গতাঃ স পন্থাঃ”

অর্থাৎ, যে পথে যুবক-যুবতীরা এগিয়ে যাবেন, সেই পথই এখন দেশবাসীর পথ হবে। যেদিকে যুবক-যুবতীরা পা বাড়াবেন, লক্ষ্যও নিজে থেকেই চরণ চুম্বন করতে শুরু করবে। যুবক-যুবতীরাই নতুন ভারতের কর্ণধার। তাঁরাই নতুন ভারতকে বিস্তার দেবেন। যুবক-যুবতীরা নতুন ভারতের নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠবেন। তাঁরাই নতুন ভারতকে নেতৃত্ব দেবেন। আমাদের আজকের যুব সম্প্রদায়ের কাছে প্রাচীনতার ঐতিহ্যও রয়েছে, পাশাপাশি আধুনিকতার বোধও রয়েছে, আর সেজন্য যেদিকে যুব সম্প্রদায় চলবে, সেদিকেই ভারত চলবে আর যেদিকে ভারত চলবে সেদিকেই এখন সারা পৃথিবী চলবে। আজ আমরা যদি দেখি যে বিজ্ঞান থেকে শুরু করে সাহিত্য পর্যন্ত, স্টার্ট-আপ থেকে শুরু করে ক্রীড়া পর্যন্ত – সকল ক্ষেত্রে ভারতের যুব সম্প্রদায় নিজেদের কৃতিত্বের পতাকা ওড়াচ্ছে।

ভাই ও বোনেরা,

ক্রীড়াবিশ্বে অংশগ্রহণকারী আমাদের যুবক-যুবতীরা আগেও সামর্থ্যবান ছিলেন। তাঁদের পরিশ্রমে আগেও কখনও খামতি ছিল না। আমাদের দেশের ক্রীড়া সংস্কৃতিও যুগ যুগ ধরে অত্যন্ত সমৃদ্ধ ছিল। আমাদের গ্রামগুলিতে প্রতিটি উৎসবে, প্রতিটি পরবে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। মীরাটে যে দঙ্গল হয়, তাতে অংশগ্রহণ করলে যে ঘি-এর ‘পিপে’ এবং লাড্ডু পুরস্কার পাওয়া যায়, তার স্বাদ পাওয়ার জন্য সবাই ওই খেলায় অংশগ্রহণ করতে চান। কিন্তু এটাও সত্য যে পূর্ববর্তী সরকারগুলির নীতির ফলে তাদের খেলা এবং খেলোয়াড়দের প্রতি দেখার দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা ছিল। আগে শহরের কোনও যুবক যখন নিজের পরিচয় খেলোয়াড় হিসেবে দিতেন, যদি তাঁরা বলতেন যে আমি তো খেলোয়াড়, অমুক খেলা খেলি বা অমুক খেলায় আমি সাফল্য পেয়েছি, তখন সামনের মানুষটি কী জিজ্ঞাসা করতেন জানেন? সামনের মানুষটি জিজ্ঞাসা করতেন, হ্যাঁ বাবা, খেলাধূলা কর ঠিক আছে, কিন্তু কাজ কী কর? অর্থাৎ, খেলাধূলাকে কোনও সম্মানজনক কিছু বলে মানা হত না।

গ্রামে যদি কেউ নিজেকে খেলোয়াড় বলতেন, তখন গ্রামের লোকেরা বলতেন, “ও! তাহলে সেনাবাহিনী কিংবা পুলিশে চাকরি পাওয়ার জন্য খেলছো?” অর্থাৎ, খেলাধূলার প্রতি ভাবনা এবং সামগ্রিক চিন্তাভাবনার পরিধি অত্যন্ত সীমাবদ্ধ হয়ে থেকে গিয়েছিল। পূর্ববর্তী সরকারগুলি যুব সম্প্রদায়ের এই সামর্থ্যকে কোনও গুরুত্বই দেয়নি। এই সরকারগুলির দায়িত্ব ছিল যে সমাজে খেলাধূলার প্রতি যে ভাবনা ছিল, সেই ভাবনাকে বদলে খেলা ও খেলোয়াড়দের এর থেকে বের করে আনা। কিন্তু তারা উল্টোটাই করেছে। অধিকাংশ খেলার প্রতিই দেশে অনীহা ছিল ক্রমবর্ধমান। এর পরিণামে, যে হকি খেলায় পরাধীন ভারতেও মেজর ধ্যানচাঁদের মতো প্রতিভারা দেশের গৌরব বাড়িয়েছেন, সেই খেলায় মেডেল পাওয়ার জন্য আমাদেরকে অনেক দশক অপেক্ষা করতে হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যেখানে হকি প্রাকৃতিক ঘাসের মাঠ থেকে ‘অ্যাস্ট্রোটার্ফ’-এর দিকে এগিয়ে গেছে, সেখানে আমরা এতদিন ঘাসের মাঠেই পড়েছিলাম। যখন আমরা অবশেষে জেগে উঠলাম, ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে। তার ওপর প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে টিম নির্বাচন পর্যন্ত প্রত্যেক স্তরে স্বজনপোষণ, পরিবারতন্ত্র, জাতপাত আর দুর্নীতির খেলা। ক্রমাগত প্রত্যেক পদক্ষেপে বৈষম্য এবং অস্বচ্ছতা আমাদের হকির জগতকে আকীর্ণ করে রেখেছিল। বন্ধুগণ, হকি তো একটা উদাহরণ মাত্র। এটা প্রত্যেক খেলারই কাহিনী ছিল। পরিবর্তিত প্রযুক্তি, পরিবর্তিত চাহিদা, পরিবর্তিত দক্ষতার জন্য দেশের পূর্ববর্তী সরকারগুলি উন্নত ইকো-সিস্টেম তৈরি করতেই পারেনি।

বন্ধুগণ,

দেশের যুব সম্প্রদায়ের যে অসীম প্রতিভা ছিল তা সরকারি অনীহার কারণে, নানা রকম প্রতিকূলতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২০১৪-র পর সেই শৃঙ্খল ভেঙে বাইরে বের করার জন্য আমরা প্রত্যেক স্তরে সংস্কার করেছি। খেলোয়াড়দের সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য আমাদের সরকার খেলোয়াড়দের চারটি অস্ত্র দিয়েছে। খেলোয়াড়দের চাই ক্রীড়া উপকরণ, খেলোয়াড়দের চাই আধুনিক প্রশিক্ষণের সুবিধা, খেলোয়াড়দের চাই আন্তর্জাতিক এক্সপোজার, আর খেলোয়াড়দের চাই নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা। আমাদের সরকার বিগত বছরগুলিতে ভারতের খেলোয়াড়রা যাতে এই চারটি অস্ত্র অবশ্যই পান, তা সুনিশ্চিত করাকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। আমরা ক্রীড়াক্ষেত্রের যুবক-যুবতীদের ফিটনেস এবং তাঁদের কর্মসংস্থান, স্বরোজগার, তাঁদের কেরিয়ারের সঙ্গে যুক্ত করেছি। ‘টার্গেট অলিম্পিক পডিয়াম স্কিম’ অর্থাৎ, ‘টপস’ এমনই একটি প্রচেষ্টা ছিল।

আজ সরকার দেশের শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের খাওয়া-দাওয়া, ফিটনেস থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। ‘খেলো ইন্ডিয়া অভিযান’-এর মাধ্যমে আজ অত্যন্ত কম বয়সেই দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিভাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। এমন খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক মানের অ্যাথলিট হিসেবে গড়ে তুলতে, তাঁদের সব ধরনের সম্ভাব্য সাহায্য করা হচ্ছে। এই প্রচেষ্টাগুলির ফলে আজ যখন ভারতের খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ করেন, তখন তাঁদের প্রদর্শনকে বিশ্ববাসী দেখেন, প্রশংসা করেন। গত বছর আমরা অলিম্পিকে দেখেছি, আবার প্যারালিম্পিকে দেখেছি, যা ইতিহাসে কখনও হয়নি, সেটাই গতবছর আমার দেশের বীর পুত্র-কন্যারা করে দেখিয়েছেন। তাঁরা এত বেশি মেডেল পেয়েছেন, এত পদক পেয়েছেন যে গোটা দেশ বলে উঠেছে, এক স্বরে বলে উঠেছে – ‘ক্রীড়া ময়দানে ভারতের উদয় হয়েছে’।

ভাই ও বোনেরা,

আজ আমরা দেখছি যে উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ডের অনেক ছোট ছোট গ্রামে সাধারণ পরিবারগুলি থেকে ছেলে-মেয়েরা উঠে এসে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন। এমন সব খেলায় আমাদের ছেলে-মেয়েরা এগিয়ে আসছেন, যেগুলিতে আগে সম্পদসম্পন্ন পরিবারের যুবক-যুবতীরাই অংশগ্রহণ করতে পারতেন। এই এলাকার অনেক খেলোয়াড়রা এবং অলিম্পিক্স এবং প্যারালিম্পিক্সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সরকার গ্রামে গ্রামে যে আধুনিক ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তুলছে, এটা তারই পরিণাম। আগে ভালো স্টেডিয়াম শুধু বড় শহরগুলিতেই ছিল। আজ গ্রামের কাছেই খেলোয়াড়দের এই সুবিধাগুলি দেওয়া হচ্ছে।

বন্ধুগণ,

আমরা যখনই একটি নতুন কর্মসংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি, তখন এর জন্য তিনটি জিনিসের প্রয়োজন হয় – সান্নিধ্য, ভাবনা এবং সম্পদ। ক্রীড়ার সঙ্গে আমাদের সান্নিধ্য অনেক শতাব্দী প্রাচীন। কিন্তু ক্রীড়া সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য শুধু খেলার সঙ্গে আমাদের পূর্ণ সম্পর্ক দিয়েই কাজ চলবে না, আমাদের এর জন্য নতুন ভাবনা-চিন্তারও প্রয়োজন। দেশে বিভিন্ন ক্রীড়ার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় হল আমাদের যুবক-যুবতীদের মনে খেলা নিয়ে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা। খেলাকে তাঁদের পেশায় পরিণত করার সাহস বাড়ানো আর এটাই আমারও সঙ্কল্প, আমার স্বপ্নও এরকমই ছিল। আমি চাই, যেভাবে মানুষ অন্যান্য পেশাদারদের দেখে, তেমনভাবেই আমাদের নবীন প্রজন্ম ক্রীড়াকে দেখুক। আমাদের এটাও বুঝতে হবে যে যাঁরাই খেলাধূলায় যাবেন, সবাই বিশ্বের ১ নম্বর হবেন না। এটা সম্ভব নয়। এর কোনও প্রয়োজনও নেই। আরে, দেশে যখন ক্রীড়া ইকো-সিস্টেম তৈরি হবে তখন স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট বা ক্রীড়া ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে স্পোর্টস রাইটিং বা ক্রীড়া লিখন, ক্রীড়া সাংবাদিকতা, স্পোর্টস সাইকলজি বা ক্রীড়া মনস্তত্ত্ব – এরকম ক্রীড়া-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়কে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। ধীরে ধীরে সমাজে এই বিশ্বাস জন্ম নেবে যে যুবক-যুবতীদের খেলার দিকে যাওয়া একটি সঠিক সিদ্ধান্ত। এরকম ইকো-সিস্টেম গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন হয় অর্থের। যখন আমরা প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো বিকশিত করে নিই, তখন ক্রীড়া সংস্কৃতি শক্তিশালী হতে শুরু করে। যদি খেলাধূলার জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ বরাদ্দ থাকে, তাহলে দেশে ক্রীড়া সংস্কৃতিও প্রয়োজনীয় আকার নেবে, বিস্তারিত হবে।

সেজন্য আজ এই ধরনের ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠা এতটা জরুরি। এই ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় খেলার সংস্কৃতিকে পুষ্পিত ও পল্লবিত করার ক্ষেত্রে নার্সারির মতো কাজ করে। সেজন্যই স্বাধীনতার সাত দশক পর, ২০১৮-তে, আমাদের সরকার প্রথম ন্যাশনাল স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি স্থাপন করে আমাদের উত্তর-পূর্ব ভারতের মণিপুরে। বিগত সাত বছরে সারা দেশে ক্রীড়া-শিক্ষা এবং দক্ষতার সঙ্গে জড়িত অনেক প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক করে তোলা হয়েছে। আজ এখানে মেজর ধ্যানচাঁদ স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি, এই ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়, ক্রীড়াক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষার আরও একটি শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশ উপহার পেল।

বন্ধুগণ,

খেলার দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত আরও একটি কথা আমাদের মনে রাখতে হবে। আমি জানি যে মীরাটের মানুষ এ কথাটা খুব ভালোভাবেই জানেন। ক্রীড়ার সঙ্গে যুক্ত পরিষেবা এবং সরঞ্জামের বিশ্ব বাজার লক্ষ কোটি টাকার। এখানে মীরাট থেকেই এখন ১০০-রও বেশি দেশে নানা ক্রীড়া সরঞ্জাম রপ্তানি হয়। মীরাট লোকালের জন্য যেমন ভোকাল হয়েছে, লোকালকে তেমন সাফল্যের সঙ্গে গ্লোবাল করে তুলেছে। আজ সারা দেশে এমন অনেক স্পোর্টস ক্লাস্টারও বিকশিত করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য হল, দেশকে ক্রীড়ার নানা সরঞ্জাম ও উপকরণ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও আত্মনির্ভর করে তোলা।

এখন যে নতুন ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসি চালু হচ্ছে, এই জাতীয় শিক্ষানীতিতেও ক্রীড়াকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পাঠ্যক্রমে ক্রীড়াকে এখন সেই শ্রেণীতে রাখা হয়েছে, যেভাবে বিজ্ঞান, বাণিজ্য, গণিত, ভুগোল কিংবা অন্যান্য বিষয় নিয়ে পড়াশোনা হয়। আগে ক্রীড়াকে ‘একস্ট্রা কারিক্যুলার অ্যাক্টিভিটি’ বলে মনে করা হত, কিন্তু এখন স্কুলে স্পোর্টস একটি প্রধান বিষয় হিসেবে থাকবে। তাকে এতটাই গুরুত্ব দেওয়া হবে, যতটা অন্য যে কোনও বিষয়কে দেওয়া হয়।

বন্ধুগণ,

উত্তরপ্রদেশের যুব সম্প্রদায়ের এত প্রতিভা রয়েছে, আমাদের উত্তরপ্রদেশের যুবক-যুবতীরা এতই প্রতিভাবান যে তাঁদের জন্য যে কোনও আকাশই ছোট প্রমাণিত হবে। সেজন্য উত্তরপ্রদেশে ডবল ইঞ্জিন সরকার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করছে। গোরক্ষপুরে ‘মহাযোগী গুরু গোরক্ষনাথ আয়ুষ ইউনিভার্সিটি’, প্রয়াগরাজে ‘ডক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদ বিধি বিশ্ববিদ্যালয়’, লক্ষ্ণৌ-তে ‘স্টেট ইনস্টিটিউট অফ ফরেন্সিক সায়েন্সেস’, আলিগড়ে ‘রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়’, সাহারানপুরে ‘মা শাকুম্বরী বিশ্ববিদ্যালয়’ আর এখানে, মীরাটে, ‘মেজর ধ্যানচাঁদ স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি’, - আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার। আমাদের যুবক-যুবতীরা শুধুই রোল মডেল হবেন না, তাঁরা সমাজে তাঁদের রোল বা ভূমিকা সম্পর্কেও অবহিত হবেন।

বন্ধুগণ,

সরকারের ভূমিকা অভিভাবকের মতো হয়। যোগ্যতা থাকলে উৎসাহ দিতে হবে আর ভুল করলে এটা বলে দূরে সরালে চলবে না যে এরা ভুল করে। আজ যোগীজির নেতৃত্বাধীন সরকার যুবক-যুবতীদের রেকর্ড সংখ্যক সরকারি নিযুক্তি দিচ্ছে। আইটিআই থেকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে হাজার হাজার যুবক-যুবতীকে বড় বড় কোম্পানিতে চাকরির ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। ন্যাশনাল অ্যাপ্রেন্টিসশিপ প্রকল্পই হোক কিংবা প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা – লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী এর মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। এবার অটলজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশ সরকার শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য ট্যাবলেট এবং স্মার্ট ফোন দেওয়ার অভিযানও শুরু করেছে।

বন্ধুগণ,

কেন্দ্রীয় সরকারের আরও একটি প্রকল্প সম্পর্কে উত্তরপ্রদেশের নবীন প্রজন্মের যুবক-যুবতীদের জানা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এই প্রকল্পটি হল ‘স্বামীত্ব যোজনা’। এই যোজনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার গ্রামে বসবাসকারী জনগণকে ‘ঘরৌনী’ অর্থাৎ, তাঁদের সম্পত্তির মালিকানার অধিকার সংক্রান্ত কাগজ বা পরচা দিচ্ছে। ‘ঘরৌনী’ পেলে গ্রামের যুবক-যুবতীরা নিজেদের কাজকর্ম শুরু করার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে সহজেই ঋণ পেতে পারবেন। এই ‘ঘরৌনী’ গরীব, দলিত, বঞ্চিত, পীড়িত, পিছিয়ে পড়া সমাজের প্রত্যেক বর্গের মানুষকে তাঁদের বাড়ির ওপর অবৈধ দখলদারির চিন্তা থেকে মুক্তি দেবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে যোগীজির সরকার অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এই ‘স্বামীত্ব যোজনা’কে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের ৭৫টি জেলায় ২৩ লক্ষেরও বেশি ‘ঘরৌনী’ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের পর যোগীজির সরকার এই অভিযানকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

ভাই ও বোনেরা,

এই এলাকার অধিকাংশ যুবক-যুবতী গ্রামাঞ্চলে থাকেন। গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তোলার জন্য আমাদের সরকার লাগাতার কাজ করে চলেছে। ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’র মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশের লক্ষ লক্ষ কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রত্যক্ষ নগদ হস্তান্তর বা ডিবিটি-র মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। এর দ্বারা এই এলাকার ক্ষুদ্র কৃষকরাও অনেক উপকৃত হচ্ছেন।

বন্ধুগণ,

যাঁরা আগে ক্ষমতায় ছিলেন তাঁরা আপনাদের কাছ থেকে আখ কিনে তার দাম বিভিন্ন কিস্তিতে অল্প অল্প করে দিয়ে প্রতীক্ষায় রাখতেন। যোগীজির সরকারের আমলে কৃষকদের কাছ থেকে যত আখ কেনা হয়েছে আর যত টাকা কৃষকরা পেয়েছেন, ততটা পূর্ববর্তী দুটি সরকারের আমলেও হয়নি। পূর্ববর্তী দুটি সরকার চিনি কলগুলি জলের দরে বিক্রি করে দিয়েছে। একথা আপনারা আমার থেকে ভালোভাবে জানেন। জানেন কি জানেন না? অনেক চিনি কারখানাও পূর্ববর্তী সরকারগুলি কম দামে বেচে দিয়েছিল। অনেক দুর্নীতি হয়েছে। যোগীজির সরকারের আমলে আর নতুন করে কোনও চিনি কারখানা বিক্রি করা হয়নি, সেগুলিতে আর লকআউট হয় না, বরঞ্চ সেগুলিতে উৎপাদন বাড়ে। পাশাপাশি, নতুন নতুন চিনির কল খোলা হয়। এখন উত্তরপ্রদেশ আখ থেকে উৎপাদিত ইথানল উৎপাদনেও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। বিগত সাড়ে চার বছরে উত্তরপ্রদেশ থেকে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ইথানল বিভিন্ন তেল কোম্পানিগুলি কিনেছে। সরকার কৃষি পরিকাঠামো এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ – এ ধরনের শিল্পোদ্যোগগুলিকেও দ্রুতগতিতে সম্প্রসারিত করছে। আজ গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে, গুদামজাতকরণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে, কোল্ড স্টোরেজ গড়ে তুলতে ১ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে।

ভাই ও বোনেরা,

ডবল ইঞ্জিনের সরকার যুব সম্প্রদায়ের সামর্থ্যের পাশাপাশি এই এলাকার সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্যও কাজ করছে। মীরাটের রেউরি-গজক, হ্যান্ডলুম, ব্রাস ব্যান্ড, বস্ত্র ইত্যাদির ব্যবসা এখানকার পরিচয়কে গৌরবান্বিত করছে। মীরাট-মুজফফরনগরে আরও অনেক ক্ষুদ্র এবং অতিক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগ যেন গড়ে ওঠে, পাশাপাশি বড় শিল্পোদ্যোগের ভিত্তি যেন গড়ে ওঠে, এখানকার কৃষিপণ্য, এখানকার প্রতিটি পণ্য যেন নতুন বাজার পায়, এসব কিছু সুনিশ্চিত করতে আজ নানাবিধ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সেজন্য আজ এই অঞ্চলকে দেশের সবচাইতে আধুনিক এবং সবচাইতে কানেক্টেড রিজিয়ন গড়ে তোলার জন্য কাজ চলছে। দিল্লি-মীরাট এক্সপ্রেসওয়ে গড়ে ওঠার ফলে আজ দিল্লির দূরত্ব মাত্র ১ ঘন্টার হয়ে গেছে। এই তো কিছুদিন আগেই যে গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয়েছে, সেটিও মীরাট থেকেই শুরু হবে। এই মীরাটের কানেক্টিভিটি উত্তরপ্রদেশের অন্যান্য শহরের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলবে, সমস্ত আদানপ্রদানকে সহজ করে তুলবে। দেশের প্রথম রিজিওনাল র‍্যাপিড রেল ট্রানজিট সিস্টেমও মীরাটকে রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত করছে। মীরাট দেশের প্রথম এমন শহর হবে যেখানে মেট্রো এবং হাইস্পিড রেল একসঙ্গে ছুটবে। মীরাটের আইটি পার্ক, যা পূর্ববর্তী সরকারের নিছকই একটি ঘোষণা হয়ে রয়ে গিয়েছিল, আমরা সেটির রূপায়ণের কাজ সম্পন্ন করে উদ্বোধনও করে ফেলেছি।

বন্ধুগণ,

এখানেই ডবল বেনিফিট বা দ্বিগুণ লাভ, ডবল স্পিড বা দ্বিগুণ গতি, ডবল ইঞ্জিন সরকারের এটাই পরিচয়। এই পরিচয়কে আরও শক্তিশালী করে তুলতে হবে। আমার পশ্চিম-উত্তরপ্রদেশের জনগণ জানেন যে আপনারা ওদিকে হাত লম্বা করলে লক্ষ্ণৌ-এ যোগীজিকে পাবেন আর এদিকে হাত লম্বা করলে দিল্লিতে আমাকে পাবেন। উন্নয়নের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করতে হবে। নতুন বছরে আমরা নতুন উদ্দীপনা নিয়ে এগিয়ে যাব। আমার নবীন প্রজন্মের বন্ধুগণ, আজ গোটা ভারত মীরাটের শক্তি দেখতে পাচ্ছে, পশ্চিম-উত্তরপ্রদেশের শক্তি দেখতে পাচ্ছে, নবীন প্রজন্মের মানুষদের শক্তি দেখতে পাচ্ছে। এই শক্তিই দেশের আসল শক্তি। এই শক্তিকে আরও উৎসাহ যোগানোর জন্য একটি নতুন বিশ্বাস নিয়ে আরও একবার আপনাদের মেজর ধ্যানচাঁদ স্পোর্টস ইউনিভার্সিটির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানাই!

ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়!

বন্দে মাতরম! বন্দে মাতরম!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।