গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে মিরাট, হাপুর, বুলন্দশহর, আমরোহা, সম্বল, বাদাউন, শাহজাহানপুর, হরদই, উন্নাও, রায়বেরেলি, প্রতাপগড় ও প্রয়াগরাজ হয়ে যাবে
পণ্ডিত রাম প্রসাদ বিসমিল, আশফাক উল্লাহ খান, ঠাকুর রোশন সিং-এর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধাঞ্জলী, কাল এঁদের আত্মবলিদান দিবস
গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে উত্তরপ্রদেশে অগ্রগতির দ্বার খুলে দেবে
সমগ্র উত্তরপ্রদেশের যখন অগ্রগতি ঘটবে তখন দেশেরও উন্নতি হবে; তাই ডবল ইঞ্জিন সরকারের লক্ষ্যই হল উত্তরপ্রদেশের উন্নয়ন
সরকার সমাজে পিছিয়েপড়া ও বাদ পড়ে যাওয়া মানুষের স্বার্থে উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে; এই একই মানসিকতা আমাদের কৃষি নীতি ও কৃষক কল্যাণ নীতিতেও প্রতিফলিত
উত্তরপ্রদেশের মানুষ বলছেন - ইউপি প্লাস যোগী, অত্যন্ত উপযোগী - ইউ. পি. ওয়াই. ও. জি. আই

ভারত মাতার জয়!

ভারত মাতার জয়!

ভারত মাতার জয়!

শ্রী বাবা বিশ্বনাথ এবং ভগবান পরশুরামের চরণে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম। জয় গঙ্গা মা, হর হর গঙ্গে! উত্তর প্রদেশের প্রাণশক্তিতে পরিপূর্ণ তেজী মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথজী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যজী, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য শ্রী বি এল ভার্মাজী, আমার সংসদের সহযোগী শ্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ারজী, উত্তর প্রদেশ সরকারের মন্ত্রী শ্রী সুরেশ কুমার খান্নাজী, শ্রী সতীশ মহানাজী, শ্রী জিতেন প্রসাদজী, শ্রী মহেশ চন্দ্র গুপ্তাজী, শ্রী ধর্মবীর প্রজাপতিজী, আমার অন্যান্য সাংসদ সহযোগীগণ, উত্তর প্রদেশ বিধানসভা এবং বিধান পরিষদের সদস্য অন্যান্য বন্ধুগণ, সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্যগণ এবং বিপুল সংখ্যায় আগত আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা।

এই কাকোরী থেকে বিপ্লবের জ্যোতি প্রজ্জ্বলনকারী বীর শহীদ বিপ্লবী রামপ্রসাদ বিসমিল, অশফাক উল্লা খান এবং রোশন সিং – এর স্মরণে আমি হাত জোড় করে প্রণাম জানাই। তাঁদের চরণ স্পর্শ করি। এই মহাপুরুষদের আশীর্বাদ নিয়ে যখন আমরা এখানকার মাটি কপালে ঠেকাই তখন সৌভাগ্যবান হই। এখান থেকে তেজস্বী কবি দামোদর স্বরূপ বিদ্রোহী, রাজ বাহাদুর ভিকল এবং অগ্নিবেশ শুকলজী বীররসের বিপ্লবী কবিতা লিখে গেছেন। এই ভূমিতেই  অনুশাসন এবং বিশ্বস্ততার সংকল্প প্রদানকারী স্কাউট গাইডের জনক পন্ডিত শ্রীরাম বাজপেয়ীজীর জন্ম হয়েছিল। এই সমস্ত মহাপুরুষের চরণে আমার প্রণাম।

বন্ধুগণ,

আগামীকালই  বীর শহীদ বিপ্লবী রামপ্রসাদ বিসমিল, অশফাক উল্লা খান এবং রোশন সিং – এর আত্মবলিদান দিবস। ব্রিটিশ সরকারকে চ্যালেঞ্জ করা শাহজাহানপুরের এই তিন সুপুত্রকে ১৯ ডিসেম্বর ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। ভারতের স্বাধীনতার জন্য নিজেদের সর্বস্ব উৎসর্গ করা এই বীরদের কাছে আমরা অনেক ঋণী। এই ঋণ আমরা কখনই শোধ করতে পারবো না। কিন্তু, দেশের উন্নয়নের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে তাঁরা যে ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তেমন ভারত গড়ে তুলেই আমরা তাঁদের প্রকৃত শ্রদ্ধা জানাতে পারি। আজ শাহজাহানপুরে এমনই এক পবিত্র মুহূর্ত, ঐতিহাসিক ক্ষণ উপস্থিত হয়েছে। আজ উত্তর প্রদেশের সর্ববৃহৎ এক্সপ্রেসওয়ে, ‘গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে’র কাজ শুরু হচ্ছে।

রামচরিত মানসে বলা হয়েছে,

‘গঙ্গ সকল মুদ মঙ্গল মূলা।

সব সুখ করনি হরনি সব সূলা’।।

অর্থাৎ, মা গঙ্গা সকলের মঙ্গলের জন্য সকলের উন্নতি প্রগতির উৎস। মা গঙ্গা সমস্ত সুখ দেন এবং সমস্ত দুঃখ হরণ করেন। তেমনই গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে-ও উত্তর প্রদেশের প্রগতির নতুন দ্বার খুলবে। আমি আজ মীরাট, ঝাপুর, বুলন্দসার, আম্রোহা, সংভল, বদাঁয়ুন, শাহজাহানপুর, হরদৈ, উন্নও, রায়বরেলি, প্রতাপগড় এবং প্রয়াগরাজের প্রত্যেক নাগরিককে বিশেষ শুভকামনা জানাই। প্রায় ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ৩৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। এই গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে তার সঙ্গে করে এই অঞ্চলে নতুন নতুন শিল্প আনবে। অনেক কর্মসংস্থান হবে, হাজার হাজার যুবক-যুবতীর জন্য অনেক সুযোগ সৃষ্টি হবে।

বন্ধুগণ,

উত্তর প্রদেশের জনসংখ্যা যেমন বেশি, অঞ্চলের দিক থেকেও এই রাজ্য অনেক বড়। এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের দূরত্ব প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার। এত বড় উত্তর প্রদেশকে চালানোর জন্য যে পরাক্রম চাই, যে বীরত্বের সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন, তা আজ ডবল ইঞ্জিন সরকার করে দেখাচ্ছে। সেইদিন দূরে নেই, যখন উত্তর প্রদেশ নেক্সট জেনারেশন ইনফ্রাস্ট্রাকচার সম্পন্ন আধুনিকতম রাজ্য হিসাবে পরিচিত হবে। এই যে আজ উত্তর প্রদেশের এক্সপ্রেসওয়ে নেটওয়ার্ক তৈরি হচ্ছে, নতুন নতুন এয়ারপোর্ট তৈরি হচ্ছে, নতুন রেলওয়ে রুট হচ্ছে – তা উত্তর প্রদেশের জনগণের জন্য একসঙ্গে অনেক বরদান হিসাবে আসছে। প্রথম বরদান হ’ল – জনগণের সময় সাশ্রয়, দ্বিতীয় বরদান – জনগণের অর্থ সাশ্রয় এবং সুবিধা বৃদ্ধি। তৃতীয় বরদান – উত্তর প্রদেশের সম্পদের সঠিক এবং উত্তম ব্যবহার, চতুর্থ বরদান – উত্তর প্রদেশের সামর্থ্য বৃদ্ধি, পঞ্চম বরদান – উত্তর প্রদেশের চতুর্মুখী সমৃদ্ধি।

বন্ধুগণ,

উত্তরপ্রদেশের এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়ার জন্য এখন আর বেশি সময় লাগে না। এই এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে গেলে আরও কম সময় লাগবে। যানজটের কারণে আপনাদের সময় নষ্ট হবে না। এই সময় আপনারা আরও ভালো কাজে ব্যয় করবেন। উত্তর প্রদেশের ১২টি জেলাকে এই এক্সপ্রেসওয়ে যুক্ত করবে। পূর্ব উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিম উত্তর প্রদেশকে আরও কাছাকাছি তো আনবেই, পাশাপাশি দিল্লির সঙ্গে বিহারের যাতায়াতের সময়ও কম করে দেবে। যখন এই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হয়ে যাবে, তখন দু’পাশে অনেক বড় বড় শিল্প ক্লাস্টার তৈরি হয়ে যাবে। এই ক্লাস্টার এখানকার কৃষক ও পশুপালকদের জন্য অনেক নতুন সুযোগ তৈরি করবে। এখানকার ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলির জন্য, ছোট শিল্পের জন্যও নতুন নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পোদ্যোগের জন্য অসীম সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে, যা কৃষকদের আয় বাড়াবে। অর্থাৎ, এটি হবে কৃষক ও নবীন প্রজন্মের মানুষের জন্য অনন্ত সম্ভাবনার এক্সপ্রেসওয়ে।

বন্ধুগণ,

উত্তর প্রদেশে আজ যে আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণ হচ্ছে তা থেকে বোঝা যায়, সম্পদের সঠিক ব্যবহার কিভাবে করা উচিৎ। আগে জনগণের টাকা কিভাবে খরচ হয়েছে, তা আপনারা খুব ভালোভাবেই দেখেছেন। দেখেছেন তো? আপনাদের টাকা দিয়ে কী কী হতো – তাও জানেন তো? মনে আছে নাকি ভুলে গেছেন? কিন্তু, আজ উত্তর প্রদেশের জনগণের টাকাকে উত্তর প্রদেশের উন্নয়নে খরচ করা হচ্ছে। আগে এমন বড় প্রকল্প শুধু কাগজেই শুরু হতো, যাতে তাঁরা নিজেদের সিন্দুক ভরতে পারেন। আজ এই প্রকল্পগুলিতে প্রকৃত কাজ হচ্ছে, যাতে উত্তর প্রদেশের মানুষের অর্থ সাশ্রয় হয়। আপনাদের টাকা আপনাদেরই পকেটে থাকে।

ভাই ও বোনেরা,

যখন সময় সাশ্রয় হয়, পরিষেবা বৃদ্ধি পায়, সম্পদের সঠিক ব্যবহার হয়, তখনই সামর্থ্য বাড়ে। যখন সামর্থ্য বাড়ে, তখন সমৃদ্ধি নিজে থেকেই আসতে থাকে। আজ ডবল ইঞ্জিন সরকারের উদ্যোগে উত্তর প্রদেশের ক্রমবর্ধমান সামর্থ্যকে আমরা সবাই দেখতে পাচ্ছি। পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে অথবা দিল্লি-মীরাট এক্সপ্রেসওয়ে, কুশীনগর ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, ডেডিকেটেড ফ্রেইড করিডরের গুরুত্বপূর্ণ ফেজ এরকম অনেক প্রকল্প জনসেবার জন্য সমর্পিত হয়েছে। বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ে, গোরক্ষপুর লিঙ্ক এক্সপ্রেসওয়ে, প্রয়াগরাজ লিঙ্ক এক্সপ্রেসওয়ে, দিল্লি-দেরাদুণ এক্সপ্রেসওয়ে, নয়ডা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, দিল্লি-মীরাট র‍্যাপিড হাইস্পিড করিডর – এর মতো মেগা প্রকল্পগুলির কাজ আজ দ্রুতগতিতে চলছে। আমরা এরকম যত পরিকাঠামো তৈরি করছি, তা মাল্টি-পার্পাসও। এর মধ্যে মাল্টি-মডেল কানেক্টিভিটিকেও ততটাই জোর দেওয়া হয়েছে।

বন্ধুগণ,

একবিংশ শতাব্দীতে কোনও দেশের উন্নয়নের জন্য নেওয়া হাইস্পিড কানেক্টিভিটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যখন পণ্য সামগ্রী দ্রুতগতিতে তাদের গন্তব্যে পৌঁছবে, তখন পরিবহণে খরচ অনেকটাই কমবে। খরচ কমলে ব্যবসা বাড়বে, ব্যবসা বাড়লে রপ্তানি বাড়বে, রপ্তানি বাড়লে দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাবে। সেজন্য এই গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে উত্তর প্রদেশের উন্নয়নকে গতি যোগাবে আর উত্তর প্রদেশকেও সমৃদ্ধ করে তুলবে। এই প্রকল্পটি পিএম গতিশক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান থেকে সহায়তা পাবে। এই এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে এয়ারপোর্টগুলিকে যুক্ত করা হবে। মেট্রোরেলের মাধ্যমে যুক্ত করা হবে। ওয়াটারওয়ে বা জলপথে যুক্ত করা হবে। এছাড়া, ডিফেন্স করিডরকেও এর সঙ্গে যুক্ত করা হবে। গতিশক্তি মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে টেলিফোনের তার বিছানোর জন্য অপ্টিকাল ফাইবার নেটওয়ার্ক লাগানো থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ-এর তার বিছানোর কথা, গ্যাস গ্রিড নিয়ে আলোচনা, গ্যাসের পাইপলাইন বিছানো, ওয়াটার গ্রিড নিয়ে আলোচনা এবং হাইস্পিড রেল প্রকল্পের সম্ভাবনা দেখে এই সমস্ত প্রয়োজনীয় বিষয়গুলিকে মাথায় রেখে, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এগুলি গড়ে তোলা হয়েছে। এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হলে পথে নতুন নতুন সেতু নির্মিত হবে, উড়ালপুল তৈরি হবে। অন্যান্য প্রয়োজনের ক্ষেত্রে তাদের অনুমতি পেতে আর বেগ পেতে হয় না। তাই এখন অত্যন্ত দ্রুতগতিতে কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। ভবিষ্যতে পশ্চিম উত্তর প্রদেশের কার্গো কন্টেনার বারাণসীর হাইপোর্টের মাধ্যমে সরাসরি হলদিয়া বন্দর পর্যন্ত পাঠানো যাবে। অর্থাৎ, গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে লাভ হবে। কৃষক, শিল্পোদ্যোগী, আমাদের ব্যবসায়ীরা, উৎপাদন ও পরিকাঠামো ক্ষেত্রে কর্মরত ছোট-বড় কর্মী ও পরিশ্রমী নাগরিকদের অনেক সুবিধা হবে।

ভাই ও বোনেরা,

যখন সমগ্র উত্তর প্রদেশ একসঙ্গে এগিয়ে যাবে, তখন তো দেশও এগিয়ে যাবে। সেজন্য ডবল ইঞ্জিন সরকারের অগ্রাধিকার হ’ল সমগ্র উত্তর প্রদেশের উন্নয়ন। ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিসওয়াস অউর সবকা প্রয়াস’ – এর মন্ত্র নিয়ে আমরা সততার সঙ্গে উত্তর প্রদেশের উন্নয়নের জন্য আপ্রাণ পরিশ্রম করছি। আপনারা পুরনো দিনগুলির কথা মনে করুন। তখনকার সিদ্ধান্ত, পুরনো কর্মসংস্কৃতির কথা ভাবুন, আপনারা স্পষ্ট পার্থক্য বুঝতে পারবেন। এখন উত্তর প্রদেশে বৈষম্য নয়, সকলের ভালোর জন্য কাজ হয়। আপনারা স্মরণ করুন ৫ বছর আগের অবস্থা। রাজ্যের কিছু এলাকা বাদ দিলে অন্যান্য শহর ও গ্রামগঞ্জে বিদ্যুতের খুঁটিই ছিল না। ডবল ইঞ্জিন সরকার শুধু উত্তর প্রদেশে প্রায় ৮০ লক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ বিনামূল্যে দিয়েছে। প্রত্যেক জেলায় আগের চেয়ে অনেক গুণ বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। গরিব মানুষের বাড়ি নির্মাণের ব্যাপারেও আগের সরকার তেমন উদ্যোগ নেয়নি। একটু আগেই যোগীজী বর্ণনা করছিলেন যে, কাশীতে মোদীজী শিবজীর পুজো করেছেন। আর সেখান থেকে বেরিয়ে এসে শ্রমিকদের পুজো করেছেন। শ্রমিকদের পুষ্পবর্ষা করে তাঁদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।

ভাই ও বোনেরা,

সেখানে ক্যামেরা ম্যানরা ছিলেন বলেই আপনারা জানতে পেরেছেন। কিন্তু, আমাদের সরকার দিনরাত গরিবদের জন্যই কাজ করে। আমাদের সরকার উত্তর প্রদেশে ৩০ লক্ষেরও বেশি গরিব মানুষদের পাকা বাড়ি বানিয়ে দিয়েছে।

ভাই ও বোনেরা,

যখন নিজের পাকা বাড়ি তৈরি হয়, তখন সসম্মানে বেঁচে থাকার ইচ্ছে জাগে। মাথা উঁচু হয়, বুক চওড়া হয়, গরিবদের মনেও দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছে জাগে। মোদী যেহেতু এই কাজ করছে, তা হলে কি ঠিক করছে না? ৩০ লক্ষ গরিব মানুষ নিজের পাকা বাড়ি পেয়েছেন – আমরা কি তাঁদের আশীর্বাদ পাবো না? তাঁদের আশীর্বাদ কি আমাদের শক্তি যোগাবে না? আরও বেশি কাজ করার প্রেরণা যোগাবে না? 

ভাই ও বোনেরা,

এখানে শাহজাহানপুরের মানুষ কি কখনও ভেবেছিলেন যে, এমন এক্সপ্রেসওয়ে দেখবেন। গোটা উত্তর প্রদেশের মানুষ কখনও এত কাজ হতে দেখেননি। শুধু এই শাহজাহানপুরেই ৫০ হাজার মানুষ পাকা বাড়ি পেয়েছেন। তাঁদের জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। যাঁরা এখনও পিএম আবাস যোজনার মাধ্যমে বাড়ি পাননি, তাঁরা যাতে দ্রুত বাড়ি পেতে পারেন, সেজন্য মোদী এবং যোগী দিনরাত কাজ করছেন এবং করে যাবেন। সম্প্রতি আমাদের সরকার এর জন্য ২ লক্ষ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। এই অর্থ আপনাদের, আপনাদের সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য বন্ধুগণ। হাতে গোনা কয়েকটি পরিবারের স্বার্থে আপনাদের অর্থের অপব্যবহার আমরা করতে পারি না। আমরা আপনাদের জন্য কাজ করি।

ভাই ও বোনেরা,

স্বাধীনতার পর প্রথমবার আজ গরিবের দুঃখ, কষ্ট ও কাজ করার মতো সরকার এসেছে। প্রথমবার গৃহহীনদের জন্য বাড়ি, বিদ্যুৎ, জল, সড়ক, শৌচালয়, রান্নার গ্যাস সংযোগ – এ ধরনের বুনিয়াদী পরিষেবাগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। উন্নয়নের এরকম কাজই দরিদ্র, দলিত, বঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া মানুষদের জীবনকে বদলায়। আপনারা এই অঞ্চলেরই পরিস্থিতির কথা স্মরণ করুন। এখানে আগে অসময়ে কোনও এমার্জেন্সি হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হতো – তা হলে হরদৈ, শাহজাহানপুর, ফারুখখাবাদ জনগণকে লক্ষ্ণৌ, কানপুর এবং দিল্লি ছুটতে হতো। এখানে তেমন কোনও হাসপাতাল ছিল না। অন্যান্য শহর পর্যন্ত যাওয়ার জন্য সড়কপথও ছিল না। আজ এখানে অনেক সড়ক তৈরি হয়েছে। এক্সপ্রেসওয়ে-ও তৈরি হতে চলেছে। আর মেডিকেল কলেজও খুলেছে। হরদৈ ও শাহজাহানপুর দু’জায়গাতেই একটি করে মেডিকেল কলেজ খুলেছে। এমনই করে যোগীজী গোটা উত্তর প্রদেশে কয়েক ডজন নতুন মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর গোটা টিম এভাবেই সততার সঙ্গে দ্রুতগতিতে কাজ করে যাচ্ছে।

ভাই ও বোনেরা,

সমাজের যে অংশ পিছিয়ে রয়েছে, তাদের ক্ষমতায়ন উন্নয়নের সুযোগ তাঁদের কাছে পৌঁছে দেওয়া এটাই আমাদের সরকারের অগ্রাধিকার, এই ভাবনা আমাদের সরকারের কৃষি নীতিতে কৃষকদের সঙ্গে যুক্ত নীতিতেও দেখা গেছে। বিগত বছরগুলিতে ব্রিজ থেকে শুরু করে বাজার পর্যন্ত যে ব্যবস্থা আমরা তৈরি করেছি, তাতে দেশের সেই ৮০ শতাংশেরও বেশি ছোট কৃষকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। যাঁদের কাছে ২ হেক্টরেরও কম জমি রয়েছে, পিএম কিষাণ সম্মান নিধির মাধ্যমে যে হাজার হাজার কোটি টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছে – এর দ্বারা ক্ষুদ্র কৃষকরাই সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন। আজ আমরা সেই কোটি কোটি ক্ষুদ্র চাষীদেরও কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করছি। আগে কখনও আমার ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য ব্যাঙ্কের দরজা খুলতো না, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি, রেকর্ড পরিমাণ সরকারি ক্রয় এবং সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হওয়ায় ক্ষুদ্র কৃষকদের অনেক সুবিধা হয়েছে।

বন্ধুগণ,

আমরা দেশের সেচ ব্যবস্থাকে বিস্তারিত করারকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। সেচে আধুনিক প্রযুক্তি এনেছি। সেজন্য ১ লক্ষ কোটি টাকা আজ গ্রামীণ পরিকাঠামো নির্মাণ খাতে  গুদামজাতকরণ এবং কোল স্টোরেজের মতো পরিকাঠামো গড়ে তুলতে খরচ করা হচ্ছে। গ্রামের মানুষ যাতে অতি পচনশীল ফল-সব্জি বেশি সময় ধরে সংরক্ষণ করতে পারেন, সেরকম পরিকাঠামো নির্মাণের চেষ্টা চলছে। আর যাতে তাঁরা তাঁদের ফসল দ্রুত বাজারে পৌঁছে দিতে পারেন – সেই পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হচ্ছে। এতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ-এর শিল্প কেন্দ্রগুলিও দ্রুতগতিতে বিস্তারলাভ করবে এবং গ্রামবাসীদের গ্রামের কাছেই নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

ভাই ও বোনেরা,

বিগত বছরগুলিতে আমরা আখ চাষীদের কয়েক দশক পুরনো সমস্যাগুলি সততার সঙ্গে সমাধান করতে নতুন বিকল্প, নতুন সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেছি। আজ আখ চাষ থেকে যে রাজ্যগুলি সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে, তার মধ্যে উত্তর প্রদেশ এগিয়ে রয়েছে। ফসল কেনার ক্ষেত্রেও যোগীজীর সরকার নতুন রেকর্ড স্থাপন করেছে। আজ পেট্রোলের সঙ্গে ইথানলের মিশ্রণকে অভূতপূর্ব উৎসাহ যোগানো হচ্ছে। এর ফলে, বিদেশ থেকে তুলনায় কম অপরিশোধিত তেল আমদানি করতে হচ্ছে। দেশের অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে। পাশাপাশি, চিনি উৎপাদন ক্ষেত্র শক্তিশালী হচ্ছে।

ভাই ও বোনেরা,

আমাদের দেশে এমন কিছু রাজনৈতিক দল আছে, যাদের দেশের ঐতিহ্য নিয়েও সমস্যা, উন্নয়ন নিয়েও সমস্যা। ঐতিহ্য নিয়ে সমস্যার কারণ হ’ল – এটা তাদের ভোট ব্যাঙ্ক। আর দেশের উন্নয়নের জন্য সমস্যা হ’ল – কারণ, এর ফলে তাদের উপর সাধারণ গরিব মানুষের নির্ভরতা ক্রমহ্রাসমান। আপনারা নিজেরাই বিচার করুন। কাশীতে বাবা বিশ্বনাথের অনিন্দ্যসুন্দর মন্দির নির্মাণ নিয়ে তাঁদের সমস্যা, অযোধ্যায় প্রভু শ্রীরামের সুন্দর মন্দির নির্মাণ নিয়ে তাঁদের সমস্যা, গঙ্গা সাফাই অভিযান নিয়ে তা^দের সমস্যা, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, ভারতীয় বৈজ্ঞানিকদের তৈরি ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ করোনা ভ্যাকসিনকে তাঁরা কাঠগড়ায় তুলতে চান।

ভাই ও বোনেরা,

উত্তর প্রদেশ অনেক বড় রাজ্য। এখানে আগে আয়ারাম-গয়ারামের সরকার ছিল। দেশের উন্নয়ন ও সামর্থ্যের উৎসবকে আমরা প্রত্যেকেই খোলা মনে পালন করি। কিন্তু, দুঃখের বিষয় এই রাজনীতির মানুষরা এরকম ভাবেন না। সরকার যখন সদিচ্ছা নিয়ে কাজ করে, তখন পরিণাম কেমন হয় – তা বিগত ৪-৫ বছরে উত্তর প্রদেশের জনগণ অনুভব করেছেন। যোগীজীর নেতৃত্বে এখানে সরকার গঠনের আগে পশ্চিম উত্তর প্রদেশে আইন-শৃঙ্খলার কেমন পরিস্থিতি ছিল, সে বিষয়ে আপনারা খুব ভালোভাবেই জানেন। আগে এরা কী বলতেন? বলতেন, সূর্যাস্তের পর বাড়ি ঢুকে যাও। আর সূর্য ডুবতেই দা ঘোরাতে ঘোরাতে মস্তানরা পথে নামতেন। এখন সেই দা ঘোরানোর দিন অতীত হয়েছে কি না? মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই যে সমস্যা ছিল, মেয়েদের স্কুল-কলেজে যাওয়া কঠিন ছিল, ব্যবসায়ীরা সকালে বাড়ি থেকে বেরোতেন, পরিবারের জন্য চিন্তা হতো, গরিব পরিবারের মানুষ অন্যান্য রাজ্যে কাজ করতে গেলে তাঁর বাড়ি ও জমিতে অবৈধ দখলদারির ভয় থাকতো। কোথায় দাঙ্গা লাগবে, কোথায় আগুন লাগবে – কেউ বলতে পারতেন না। আপনাদের ভালোবাসা ও আশীর্বাদে আমরা দিনরাত কাজ করে এই পরিস্থিতি বদলেছি। অনেক গ্রাম থেকে প্রতিদিন যে পলায়নের খবর আসতো –আপনাদের আশীর্বাদ ও প্রেরণায় তা বিগত চার-সাড়ে চার বছরে আর শোনা যায় না। এর জন্য আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। আজ যখন সেই মাফিয়াদের উপর বুলডজার চলে, অবৈধ নির্মাণের ওপর বুলডোজার চলে, তখন তাঁদের লালন-পালনকারী রাজনৈতিক নেতাদের কষ্ট হয়। সেজন্য আজ গোটা উত্তর প্রদেশের জনগণ বলছেন, “ইউপি+যোগী, বহুত হ্যায় উপযোগী” “ইউপি+যোগী, বহুত হ্যায় উপযোগী” “ইউপি+যোগী, বহুত হ্যায় উপযোগী” “ইউপি+যোগী, বহুত হ্যায় উপযোগী”। আমি আবার বলবো, U.P.Y.।.O.G.I. “ইউপি+যোগী, বহুত হ্যায় উপযোগী!’

বন্ধুগণ,

আমি এর আরেকটা উদাহরণ দেবো। কিছুদিন আগে সংবাদ মাধ্যমে একটা খবর দেখেছিলাম, খবরটা ছিল, আমাদের সামর্থ্যবান শহর মীরাটের। কিন্তু, গোটা উত্তর প্রদেশ দিল্লি এনসিআর এবং দেশের অন্যান্য রাজ্যের মানুষেরও একথা জানা জরুরি।

ভাই ও বোনেরা,

মীরাটে একটা অঞ্চল আছে, একটি বাজার আছে – সতীগঞ্জ। সারা দেশে কোনও জায়গায় গাড়ি চুরি হলে তা বিক্রির জন্য এখানে আসতো। এই সতীগঞ্জে অনেক দশক ধরে এই ব্যবসা চলছিল। যোগীজীর সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন কঠোরভাবে এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করেছে। এখন সতীগঞ্জে এই কালোবাজার বন্ধ হয়ে গেছে।

ভাই ও বোনেরা,

যারা মাফিয়াদের সঙ্গে চলতে পছন্দ করেন, তারা তো মাফিয়াদের ভাষাতেই কথা বলবেন। কিন্তু, আমরা তাঁদের গৌরব গান করবো, যাঁরা নিজেদের তপস্যা ও ত্যাগের মাধ্যমে এই দেশ গড়ে তুলেছেন। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব এই ভাবনার প্রতীক। দেশের স্বাধীনতার জন্য জীবন সমর্পণকারী মহাপুরুষদের প্রকৃত সম্মান প্রদর্শন সমস্ত দেশবাসীর কর্তব্য, আমাদের দায়িত্ব। এই লক্ষ্যে শাহজাহানপুরে শহীদ সংগ্রহালয় গড়ে তোলা হচ্ছে। সংগ্রহালয়ে শহীদদের  অনেক স্মৃতি স্মারক সংরক্ষিত হয়েছে। এ ধরনের প্রচেষ্টার মাধ্যমে এখানে ভবিষ্যৎ নবীন প্রজন্মের সর্বদাই দেশের প্রতি সমর্পণের প্রেরণা পাবেন। আপনাদের আশীর্বাদে উত্তর প্রদেশের উন্নয়নের এই কর্মধারা এভাবেই ক্রমাগত চলতে থাকবে। পূর্ব হোক কিংবা পশ্চিম, অবধ হোক কিংবা বুন্দেলখন্ড; উত্তর প্রদেশের কোণায় কোণায় উন্নয়ন অভিযান জারি থাকবে। আরেকবার আপনাদের সকলকে গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।

আমার সঙ্গে জোরে বলুন,

ভারতমাতার জয়!

ভারতমাতার জয়!

ভারতমাতার জয়!

ভারতমাতার জয়!

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।