পন্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন – সোননগর পণ্যবাহী ট্রেন করিডোরের সূচনা
জাতীয় মহাসড়ক-৫৬ –র বারাণসী-জৌনপুর শাখার চার লেনে সম্প্রসারণ
বারাণসীতে একগুচ্ছ প্রকল্পের সূচনা
মণিকর্ণিকা ও হরিশচন্দ্র ঘাটের সংস্কার প্রকল্পের শিলান্যাস
কারসারার সিআইপিইটি ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের হোস্টেলের ভিত্তিপ্রস্তব স্থাপন
সুবিধাভোগীদের মধ্যে পিএম স্বনিধি প্রকল্পের ঋণ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা গ্রামীণ-এর বাড়ির চাবি এবং আয়ুষ্মান প্রকল্পের কার্ড বিতরণ
“কাশীর প্রাচীন আত্মাকে সংরক্ষিত রেখে তার নতুন দেহ প্রদানের যে সংকল্প আমরা নিয়েছিলাম, আজকের প্রকল্পগুলি তারই অঙ্গ”
“সরকার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে সরাসরি আলাপচারিতা ও মতবিনিময়ের নতুন প্রথা শুরু করেছে, অর্থাৎ ‘সরাসরি সুবিধার পাশাপাশি সরাসরি প্রতিক্রিয়া’”
“যাঁরা সুবিধা পাচ্ছেন তাঁরা হলেন সামাজিক ন্যায় ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রকৃত নিদর্শন”
“প্রধানমন্ত্রী আবাস এবং আয়ুষ্মানের মতো প্রকল্পগুলি একাধিক প্রজন্মকে প্রভাবিত করে”
“গরিবদের আত্মসম্মান সুনিশ্চিত করা মোদীর অঙ্গীকার”
“গরিব কল্যাণ হোক বা পরিকাঠামো, আজ অর্থের যোগানের কোনো অভাব নেই”

ভারত মাতা কি জয়, ভারত মাতা কি জয়, ভারত মাতা কি জয়, হর হর মহাদেব! মাতা অন্নপূর্ণা কি জয়! গঙ্গা মাইয়া কি জয়! উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল, মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মীরা, উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রীরা, সাংসদ ও বিধায়করা, বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা এবং আমার প্রিয় কাশীর ভাই ও বোনেরা।

শ্রাবণ মাসের সূচনায় বাবা বিশ্বনাথ ও মা গঙ্গার আশীর্বাদে এবং বারাণসীর মানুষের উপস্থিতিতে জীবন ধন্য হয়ে উঠেছে। আমি জানি কাশীর মানুষ আজকাল খুব ব্যস্ত এবং কাশীতে ব্যস্ততা দিন দিন বাড়ছে। হাজার হাজার শিব ভক্ত সারা দেশ এবং বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে বাবার মাথায় জল দিতে আসছেন। এবারের শ্রাবণের সময়কাল আরও দীর্ঘ। এবারে এই শহরে রেকর্ড সংখ্যক তীর্থযাত্রী বাবার দর্শন করতে আসবেন, তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। আরেকটা কথাও খুব নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি। বারাণসীতে যাঁরাই আসেন তারা সুখী মনে, পূর্ণ হৃদয়ে ফিরে যান। এই যে এত মানুষ বারাণসীতে আসেন, কিভাবে তাঁদের সামলানো যাবে, তা নিয়ে আমি বিশেষ ভাবি না। কাশীর মানুষই আমাকে শিক্ষা দেন; আমি তাঁদের শিক্ষা দিই না। জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময়ে সারা বিশ্ব থেকে কত মানুষ বারাণসীতে এসেছেন। কাশীর মানুষ তাঁদের এমনভাবে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন এবং সবকিছু এত সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনা করা হয়েছে, যে আজ বিশ্বজুড়ে কাশীর প্রশংসা করা হচ্ছে। তাই আমি জানি, কাশীর মানুষই সব সামলাতে পারবেন। আপনারা কাশী বিশ্বনাথ ধাম এবং চারপাশের এলাকা এত সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছেন যে যাঁরা এখানে আসছেন, তাঁরা অভিভূত হয়ে পড়ছেন। এটাই বাবার ইচ্ছা ছিল এবং আমরা তা পূরণে সহায়ক হয়ে উঠেছি। এটা আমাদের সকলের সৌভাগ্য।

ভাই ও বোনেরা,

আজ কাশী সহ উত্তরপ্রদেশের জন্য প্রায় ১২,০০০ কোটি টাকার প্রকল্প উপহার দেওয়া হয়েছে। কাশীর আত্মাকে সংরক্ষিত রেখে সম্পূর্ণ রূপান্তরের যে সংকল্প আমরা নিয়েছিলাম, এই প্রকল্পগুলি তারই অঙ্গ। এর মধ্যে রেল, সড়ক, জল, শিক্ষা, পর্যটন ঘাটের উন্নয়ন সহ নানা ধরণের প্রকল্প রয়েছে। এই উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আপনাদের সবাইকে অনেক অভিনন্দন।

বন্ধুরা,

কিছুক্ষণ আগে, আমি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং আয়ুষ্মান ভারত যোজনার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। আগের সরকারগুলির প্রতি মানুষের সব থেকে বড় অভিযোগ ছিল যে, তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে পরিকল্পনা করতেন। তৃণমূল স্তরে প্রকল্পগুলির কী প্রভাব পড়ছে, তা তাদের অজানা থাকত। কিন্তু বিজেপি সরকার সুবিধাভোগীদের সঙ্গে আলাপচারিতা ও মতবিনিময়ের মধ্য দিয়ে এক নতুন প্রথার সূচনা করেছে। এখন সুবিধা যেমন সরাসরি দেওয়া হয়, প্রতিক্রিয়াও তেমনি সরাসরি নেওয়া হয়। এর ফলে, প্রতিটি সরকারি দপ্তর ও আধিকারিকরা নিজেদের দায়িত্ব বুঝতে শুরু করেন। এখন আর কেউ দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না।

বন্ধুরা,

যেসব দল অতীতে দুর্নীতিগ্রস্ত ও অদক্ষ সরকার চালিয়েছে, তারা এখন সুবিধাভোগীদের নাম শুনেই চমকে যায়। স্বাধীনতার এত বছর পরে গণতন্ত্রের সত্যকার সুফল সঠিক মানুষজনের কাছে পৌঁছচ্ছে। আগে গণতন্ত্রের নামে গুটিকয়েক মানুষের স্বার্থ চরিতার্থ করা হতো, গরিব মানুষেরা উপেক্ষিতই থাকতেন। আজকের সুবিধাভোগীরা বিজেপি সরকারের সামাজিক ন্যায় ও ধর্মনিরপেক্ষতার জ্বলন্ত উদাহরণ। আমরা প্রতিটি প্রকল্পের প্রকৃত সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করতে, তাঁদের কাছে পৌঁছতে এবং তাঁরা যাতে প্রকল্পের সুফল পান তা সুনিশ্চিত করতে সর্বতো প্রয়াস চালিয়েছি। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা কি জানেন? সরকার নিজেই জনগণের কাছে যখন পৌঁছয়, তখন কী হয়? যারা কমিশন নিতেন, তাদের দোকান এখন বন্ধ। দালালদের দোকান এখন বন্ধ। দুর্নীতিগ্রস্তদের দোকানও বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যভাবে বললে, এখন কোনো বৈষম্য নেই, কোনো দুর্নীতিও নেই।

বন্ধুরা,

গত ৯ বছরে, আমরা কোন একটি পরিবার বা কোন একটি প্রজন্মের জন্য প্রকল্প বানাইনি, আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে তাঁদের উন্নতির জন্যও কাজ করেছি। যেমন ধরুন গরিবদের জন্য আবাসন প্রকল্প। এপর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দেশের ৪ কোটিরও বেশি পরিবার পাকা বাড়ি পেয়েছেন। আজই উত্তরপ্রদেশে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ গরিব পরিবারকে বাড়ি দেওয়া হয়েছে। শ্রাবণ মাসে মহাদেবের এ এক মহান আশীর্বাদ।

বন্ধুরা,

এই বাড়িগুলি যখন গরিব মানুষজন পান, তখন তাঁদের অনেক দুর্ভাবনা দূর হয় এবং এক সুরক্ষার অনুভূতি সঞ্চারিত হয়। যাঁরা বাড়ি পান, তাঁদের মধ্যে গর্ব ও শক্তির বোধ জাগে। এইসব বাড়িতে যে শিশুরা বড় হয়, তাদের আকাঙ্খাও অন্যরকমের হয়। আপনাদের আবারও মনে করিয়ে দিই, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার এই বাড়িগুলির বেশিরভাগই মালিকানা মহিলাদের নামে। এই বাড়িগুলির মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। এমন কোটি কোটি বোন আছেন যাঁদের নামে এই প্রথম কোনো সম্পত্তি নথিভুক্ত হল। গরিব পরিবারের এইসব বোনেরা আর্থিক নিরাপত্তার প্রকৃত মানে বুঝতে পারেন।

বন্ধুরা,

আয়ুষ্মান ভারত যোজনা কেবলমাত্র নিখরচায় ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুবিধাতেই সীমাবদ্ধ নয়, এর প্রভাব কয়েক প্রজন্ম পর্যন্ত বিস্তৃত। গরিব পরিবারের কেউ যখন গুরুতর কোনো রোগে আক্রান্ত হন, তখন কারোর লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়, কাউকে অল্প বয়সেই কাজে নেমে পড়তে হয়, কারোর স্ত্রীকে কাজের খোঁজে ঘুরে বেড়াতে হয়। গুরুতর অসুস্থতার কারণে আর্থিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে, ছেলে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যায় না। গরিবের সামনে মাত্র দুটি বিকল্প থাকে। হয় তারা চোখের সামনে প্রিয়জনকে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে দেখে, অথবা তাঁরা চিকিৎসার জন্য জমিজমা বিক্রি করে, ঋণ নেয়। সম্পত্তি বিক্রি হলে ঋণের বোঝা আরও বেড়ে যায়, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও প্রভাবিত করে। আয়ুষ্মান ভারত যোজনা গরিবদের এই সঙ্কট থেকে বাঁচাচ্ছে। সেই জন্যই আমি চাই আয়ুষ্মান কার্ড যত বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে। আজও ১ কোটি ৬০ লক্ষ সুবিধাভোগীর হাতে আয়ুষ্মান কার্ড পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

ভাই ও বোনেরা,

দেশের সম্পদের উপর সব থেকে বেশি অধিকার গরিব ও বঞ্চিতদের। আগে ব্যাঙ্ক ছিল কেবল ধনী ব্যক্তিদের জন্য। গরিবদের সম্পর্কে ভাবা হত, তাঁদের যখন টাকাই নেই, তখন তাঁরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নিয়ে কী করবেন? অনেকে ভাবতেন কোনো গ্যারান্টি না থাকলে তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাবেন কী করে? গত ৯ বছরে বিজেপি সরকার এই মানসিকতা পাল্টে দিয়েছে। আমরা ব্যাঙ্কের দরজা প্রত্যেকের জন্য খুলে দিয়েছি। প্রায় ৫০ কোটি জন ধন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। মুদ্রা যোজনায় কোনো সমান্তরাল জামিন ছাড়াই ৫০,০০০ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়েছে। এই উত্তরপ্রদেশে, কোটি কোটি সুবিধাভোগী মুদ্রা যোজনা থেকে ঋণ নিয়ে নিজেদের ব্যবসা শুরু করেছেন। গরিব, দলিত, অনগ্রসর, আদিবাসী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং মহিলা উদ্যোক্তারা এই প্রকল্পে সব থেকে বেশি উপকৃত হয়েছেন। এটাই হল সামাজিক ন্যায়, বিজেপি সরকার যার নিশ্চয়তা দিয়েছে।

বন্ধুরা,

পথ বিক্রেতারা অধিকাংশই সমাজের বঞ্চিত অংশের মানুষ। আগের সরকারগুলি তাঁদের উপেক্ষা করেছে, তাঁদের অপমান ও হেনস্থা করেছে। কিন্তু মোদী, এক গরিব মায়ের সন্তান, এই অপমান সহ্য করেনি। সেই জন্যই আমি পথ বিক্রেতাদের জন্য পিএম-স্বনিধি প্রকল্প চালু করেছি। আমরা তাঁদের যথাযথ সম্মান দিয়েছি এবং ব্যাঙ্কগুলিকে বলেছি পিএম-স্বনিধি প্রকল্পের আওতায় তাঁদের ঋণ দিতে। এই ঋণের গ্যারান্টার হয়েছে সরকার নিজেই। এপর্যন্ত পিএম-স্বনিধি প্রকল্পে ৩৫ লক্ষেরও বেশি সুবিধাভোগীকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে। এই বারাণসীতেই ১ লক্ষ ২৫ হাজারের বেশি সুবিধাভোগীকে আজ এই প্রকল্পের আওতায় ঋণ দেওয়া হয়েছে। এই টাকায় তাঁরা তাঁদের ব্যবসা বাড়াতে পারবেন। তাঁদের আর কেউ অপমান করার সাহস পাবে না। গরিবদের মর্যাদা সুনিশ্চিত করা মোদীর অঙ্গীকার।

বন্ধুরা,

দশকের পর দশক ধরে যে সরকারগুলি দেশ শাসন করেছে, তাদের প্রশাসন দুর্নীতিতে ভরা ছিল। আর সেজন্যই কোনো প্রকল্পে যত টাকাই বরাদ্দ হোক না কেন, তা কম পড়তো। ২০১৪ সালের আগের সরকারগুলিতে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ মাত্রাছাড়া হয়ে উঠেছিল। আজ গরিব কল্যাণ হোক বা পরিকাঠামো উন্নয়ন, অর্থের যোগানের কোনো অভাব নেই। করদাতারা একই আছেন, ব্যবস্থাও একই রয়েছে। শুধু সরকার পাল্টে গেছে। সদিচ্ছা থাকলে তার ফল হাতেনাতে মেলে। আগে খবরের কাগজগুলো দুর্নীতি আর কেলেঙ্কারির প্রতিবেদনেই ভারা থাকতো। বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নতুন প্রকল্পের উদ্বোধন, খবরের শিরোনামে থাকে। গত ৯ বছরে রূপান্তরের সব থেকে বড় উদাহরণ হল ভারতীয় রেল। পূর্বাঞ্চলীয় পণ্য পরিবহন করিডোরের পরিকল্পনা করা হয়েছিল ২০০৬ সালে। কিন্তু ২০১৪ সাল পর্যন্ত এর আওতায় ১ কিলোমিটার রেল লাইনও বসেনি। গত ৯ বছরে এই প্রকল্পের বড় অংশের কাজ সম্পন্ন হয়েছে, সেখান দিয়ে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলও করছে। আজ সোননগর ও দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশনের মধ্যে পণ্যবাহী ট্রেন করিডোরের উদ্বোধন হয়েছে। এর ফলে শুধু পণ্যবাহী ট্রেনের গতিই বাড়ছে না, দেশের পূর্বাঞ্চলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হচ্ছে।

বন্ধুরা,

সদিচ্ছা থাকলে কাজ কিভাবে হয় তার আরও একটি উদাহরণ আপনাদের দিই। দেশ বরাবরই উচ্চগতির ট্রেন চেয়ে এসেছে। ৫০ বছর আগে প্রথম রাজধানী এক্সপ্রেস চলেছিল, সেটি মাত্র ১৬টি রুটে চলত। ৩০-৩৫ বছর আগে শতাব্দী এক্সপ্রেস চলতে শুরু করে, এটি বর্তমানে ১৯টি রুটে চলাচল করে। অথচ মাত্র ৪ বছরের মধ্যেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ২৫টি রুটে চলাচল করছে। দেশের প্রথম বন্দে ভারত চলেছিল বারাণসীতে। আজও গোরখপুরে দুটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা হয়েছে – একটি গোরখপুর থেকে লক্ষ্ণৌ এবং অন্যটি আহমেদাবাদ থেকে যোধপুর। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সবাই আরও বেশি বন্দে ভারত ট্রেন চাইছেন। আগামী দিনে বন্দে ভারত দেশের প্রতিটি প্রান্তকে সংযুক্ত করবে।

ভাই ও বোনেরা,

গত ৯ বছরে কাশীতে যোগাযোগ ব্যবস্থার বিপুল উন্নতি হয়েছে, এর জেরে প্রভূত কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। যেমন ধরুন গত বছরে কাশীতে এসেছিলেন ৭ কোটিরও বেশি পর্যটক ও তীর্থযাত্রী। ১ বছরের মধ্যে এই সংখ্যাটা ১২ গুণ বেড়েছে। এর ফলে রিক্সা চালক, দোকানদার, ধাবা ও হোটেলের কর্মী, বেনারসী শাড়ির সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা, বেনারসী পান বিক্রেতা – সকলেই উপকৃত হয়েছেন। পর্যটকের সংখ্যা বাড়ায় তার সুফল পেয়েছেন মাঝিরা। এত বিপুল মানুষ নৌকা থেকে গঙ্গারতি দর্শন করেন যে আমি চমৎকৃত হয়ে যাই। এইভাবেই সবাই বারাণসীর খেয়াল রাখবেন।

বন্ধুরা,

বাবার আর্শীবাদে বারাণসীর এই উন্নয়নের যাত্রা অব্যাহত থাকবে। আমি কাশীর মানুষকে আমার আন্তরিক কৃজ্ঞতা জানাই। সম্প্রতি কাশীতে পুরসভা নির্বাচন হয়েছে। আপনারা সবাই উন্নয়নের যাত্রাকে সমর্থন জানিয়েছেন, যাঁরা উন্নয়নে বিশ্বাস করেন তাঁদের জয় সুনিশ্চিত করে আপনারা কাশীতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের অবদান রেখেছেন। সংসদে আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে, আপনাদের সমর্থনের জন্য আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। আবারও, উন্নয়নমূলক কাজের জন্য আমি আপনাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। পবিত্র শ্রাবণ মাস উপলক্ষ্যে আপনাদের সবাইকে আমার শুভেচ্ছা। হর হর মহাদেব!

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Mutual fund industry on a high, asset surges Rs 17 trillion in 2024

Media Coverage

Mutual fund industry on a high, asset surges Rs 17 trillion in 2024
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Chief Minister of Andhra Pradesh meets Prime Minister
December 25, 2024

Chief Minister of Andhra Pradesh, Shri N Chandrababu Naidu met Prime Minister, Shri Narendra Modi today in New Delhi.

The Prime Minister's Office posted on X:

"Chief Minister of Andhra Pradesh, Shri @ncbn, met Prime Minister @narendramodi

@AndhraPradeshCM"