প্রধানমন্ত্রী স্মৃতি বন স্মারকের উদ্বোধন করেন
“স্মৃতি বন স্মারক এবং বীর বাল স্মারক গুজরাটের কচ্ছ এবং সারা দেশের ক্ষত চিহ্নের প্রতীক”
“অনেকেই বলেছিলেন কচ্ছ কখনও নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু আজ কচ্ছবাসী সম্পূর্ণ চিত্রটাই বদলে দিয়েছেন”
“মৃত্যু এবং ধ্বংসের মধ্যে দাঁড়িয়েও আমরা ২০০১ সালে কিছু প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছিলাম, আজ আপনারা তার বাস্তব রূপ দেখতে পাচ্ছেন। একইভাবে আজ আমরা যে সংকল্প গ্রহণ করছি ২০৪৭ সালে তা অবশ্যই পূরণ হবে”
“কচ্ছ কেবল নিজেকেই উত্তরণ করেছে তা নয়, সমগ্র গুজরাটকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে”
“গুজরাট যখন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মোকাবিলা করছিল তখন শুরু হয়েছিল অন্য এক ষড়যন্ত্র। বিশ্বের কাছে গুজরাটকে নিচু করার জন্য বন্ধ করা হয় বিনিয়োগ”
“ঢোলাভিরার প্রতিটি ইঁট আমাদের পূর্বপুরুষদের জ্ঞান ও দক্ষতার পরিচায়ক”
“কচ্ছ-এর উন্নয়ন সবকা প্রয়াসের সঙ্গে পরিবর্তনের যথাযথ উদাহরণ”

২০০১-এ কচ্ছ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে যায়। তারপর থেকে কচ্ছ-এর পুনরুদ্ধারে যে বিশাল কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছিল তা এখন কল্পনাই করা যায় না। কচ্ছ ও ভুজ-এর অধিবাসীরা সম্পূর্ণ অঞ্চলকে আবার নতুন করে সাজিয়ে তুলেছে। কচ্ছ-এর পুনরুদ্ধার তাই আজ শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের সর্বত্রই এক বিশেষ গবেষণার বিষয়।

আজ গুজরাটের ভুজ-এ কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস ও উৎসর্গীকরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, কচ্ছ-এর উন্নয়নে চার হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের আজ শিলান্যাস ও উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জল, বিদ্যুৎ, সড়ক ও দুধ উৎপাদন সম্পর্কিত প্রকল্প ও কর্মসূচিগুলি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের প্রতিশ্রুতি পালনেরই এক বিশেষ প্রতীক।

শ্রী মোদী বলেন, ভুজ-এ পৌঁছে তিনি ‘স্মৃতিবন’ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে কচ্ছবাসীর কাছ থেকে তিনি অকুন্ঠ ভালোবাসা ও আশীর্বাদ লাভ করেছেন। দু’দশক আগে কচ্ছ-এর ধ্বংস এবং তারপরে অসীম ধৈর্য্য ও সাহসিকতার সঙ্গে তার সফল পুনরুদ্ধারের প্রতিফলন ঘটেছে ‘স্মৃতিবন’-এর মধ্যে। ‘চরৈবেতি, চরৈবেতি’ মন্ত্রে বলীয়ান হয়ে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা সঞ্চারিত হয়েছিল কচ্ছবাসীর মধ্যে। তাই ‘স্মৃতিবন’ চরৈবেতির শ্বাশত শক্তিরই এক মূর্ত রূপ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকায় ৯/১১-র সন্ত্রাস পরবর্তীকালে একটি স্মারক সেখানে গড়ে তোলা হয়েছিল। হিরোশিমা ট্র্যাজেডির পর জাপানেও স্থাপিত হয়েছিল একটি স্মারক সংগ্রহশালা। আজ ‘স্মৃতিবন’ পরিদর্শন করে আমার মনে এই ধারণারই জন্ম হয়েছে যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্মারকগুলির তুলনায় ‘স্মৃতিবন’ কোন অংশেই পিছিয়ে নেই। এর মধ্যে নিহিত রয়েছে প্রকৃতি, জীবন ও মাতা বসুন্ধরা সম্পর্কে পূর্ণ তথ্য। কচ্ছবাসীর কাছে আমার অনুরোধ, কোনো অতিথি কচ্ছ ভ্রমণে এলে তাঁকে যেন অতি অবশ্যই ‘স্মৃতিবন’টি পরিদর্শনের অনুরোধ জানানো হয়। কচ্ছ-এর শিক্ষা দপ্তরের কাছে আমি আবেদন জানাব যে স্কুলের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের যেন শিক্ষামূলক ভ্রমণে এই স্থানটি পরিদর্শন করানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মা নর্মদার জল যখন গত মাসে রায়ান গ্রামটিতে পৌঁছে যায় তখন বিশ্ববাসী সবিস্ময়ে তাকিয়ে ছিল উৎসবমুখর গ্রামটির দিকে। তাঁরা জানতেন না যে জল কতখানি মূল্যবান হতে পারে কচ্ছ-এর মতো একটি অঞ্চলে। এমন একটা সময় ছিল যখন একটি শিশু চার বছর বয়স পর্যন্ত বৃষ্টিপাত কি সেটাই জানত না। কচ্ছ ও কচ্ছবাসী এইভাবেই এক কঠিন সময় ও পরিস্থিতি অতিক্রম করে এসেছে। কচ্ছেও যে জল ও জলসেচ ব্যবস্থা পৌঁছে যেতে পারে, মাত্র দু’দশক আগেও তা কল্পনার অতীত ছিল মানুষের কাছে। ২০০২ সালে ‘গুজরাট গৌরব যাত্রা’র সময় আমি যখন মাণ্ডবী সফর করি, তখন কচ্ছবাসীর কাছে আমি আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছিলাম যাতে মা নর্মদার জলকে আমরা কচ্ছ-এর মধ্যেও বইয়ে দিতে পারি। আনন্দের বিষয়, কচ্ছ-ভুজ ক্যানেলের আজ এখানে উদ্বোধন হল। এর ফলে উপকৃত হবেন শত শত গ্রামের হাজার হাজার কৃষক পরিবার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কচ্ছবাসীদের ভাষা যেমন সুন্দর তেমনই সুন্দর তাঁদের খাদ্য বৈচিত্র্যও। ডাবেলি, ভেলপুরী, ঘোল, লবণ ও জাফরানের স্বাদ এখানে অপূর্ব। একটি প্রবাদবাক্য রয়েছে যে কঠোর পরিশ্রমের ফল সুমধুর হয়। এই প্রবাদবাক্যটিকে সত্য প্রমাণিত করেছেন কচ্ছবাসী। ফল উৎপাদনের দিক থেকেও কচ্ছ হল গুজরাটের মধ্যে একটি সেরা জেলা। খেজুর, জাফরান, আম, ডালিম ইত্যাদির স্বাদ ও গন্ধের জন্য কচ্ছ আজ শুধু দেশে নয়, বিদেশেও পরিচিত একটি নাম। এক সময় পশুপালনের উপযোগী পরিকাঠামো বা সহায়সম্পদের এখানে অভাব ছিল। কিন্তু বর্তমানে কচ্ছ-এর কৃষক পরিবারগুলি গবাদি পশুপালনের মাধ্যমে তাঁদের আয় ও উপার্জন বৃদ্ধির সুযোগ লাভ করেছেন। গত ২০ বছরে কচ্ছ-এ দুধ উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে তিনগুণেরও বেশি।

শ্রী মোদী বলেন, ২০০৯-এ তিনি এখানে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে সারহাদ ডেয়ারি নামে একটি দুধ উৎপাদন কেন্দ্রের সূচনা হয়। সেই সময়ে প্রতিদিন দুধ সংগ্রহের মাত্রা ছিল ১,৪০০ লিটারেরও কম। কিন্তু বর্তমানে সেই ডেয়ারিই কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে ৫ লক্ষ লিটার পর্যন্ত দুধ। এই ডেয়ারিটির কল্যাণেই ৮০০ কোটি টাকার আয় ও উপার্জনের মুখ দেখেছেন কচ্ছ-এর কৃষক পরিবারগুলি। আজ সারহাদ ডেয়ারির একটি অত্যাধুনিক প্ল্যান্টের উদ্বোধন হল আঞ্জার-এর চন্দ্রানী গ্রামে। কচ্ছ কোনদিনই স্বনির্ভর হতে পারবে না - একথা এক সময় বলেছিলেন অনেকেই। কিন্তু, কচ্ছবাসীর কঠোর পরিশ্রম মানুষের সেই ধারণাটাই আমূল বদলে দিয়েছে।

শ্রী মোদী বলেন, ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পের পর কচ্ছবাসী দেওয়ালি উৎসবে সামিল হতে পারেননি বহু বছর ধরে। ভূমিকম্পের সেই বছরটিতে আমি দেওয়ালির দিনটিতে উপস্থিত ছিলাম ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে। সেই কঠিন সময়ে বিশেষ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমি ঘোষণা করেছিলাম যে এই বিপর্যয়কে আমরা রূপান্তরিত করব এক বিশেষ সুযোগে। ২০০১-০২ সালে এক কঠিন সঙ্কটের মধ্যে পড়েছিল কচ্ছ এলাকা। কিন্তু সেই সময় নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর যে স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম তা আজ সফল হয়েছে। আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত তার স্বপ্ন পূরণে সফল হবে বলেই আমি মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কচ্ছ শুধু নিজেই ঘুরে দাঁড়ায়নি, সমগ্র গুজরাটকেও এক নতুন উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে উৎসাহ যুগিয়েছে। এক সময় একটির পর একটি সঙ্কট গুজরাটকে গ্রাস করেছিল। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলাকালে গুজরাটকে হতে হয়েছিল বেশ কিছু ষড়যন্ত্রের শিকারও। গুজরাটের উন্নয়নে বিনিয়োগ বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্তও করা হয়েছিল কোনো কোনো মহল থেকে। সমস্ত কিছু প্রতিকূলতা অতিক্রম করে গুজরাট বর্তমানে এমন এক স্থানে নিজেকে দাঁড় করাতে পেরেছে যা ছিল অনেকের কল্পনারও বাইরে। বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রথম বলবৎ করা হয় গুজরাট রাজ্যটিতেই। এর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ঐ ধরনের আইন পরে চালু হয় সারা দেশেই। করোনা পরিস্থিতিকালে এই আইন প্রতিটি সরকার ও প্রশাসনকে সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিল নানাভাবে।

শ্রী মোদী বলেন, ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পের পর কচ্ছবাসী দেওয়ালি উৎসবে সামিল হতে পারেননি বহু বছর ধরে। ভূমিকম্পের সেই বছরটিতে আমি দেওয়ালির দিনটিতে উপস্থিত ছিলাম ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে। সেই কঠিন সময়ে বিশেষ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমি ঘোষণা করেছিলাম যে এই বিপর্যয়কে আমরা রূপান্তরিত করব এক বিশেষ সুযোগে। ২০০১-০২ সালে এক কঠিন সঙ্কটের মধ্যে পড়েছিল কচ্ছ এলাকা। কিন্তু সেই সময় নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর যে স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম তা আজ সফল হয়েছে। আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত তার স্বপ্ন পূরণে সফল হবে বলেই আমি মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কচ্ছ শুধু নিজেই ঘুরে দাঁড়ায়নি, সমগ্র গুজরাটকেও এক নতুন উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে উৎসাহ যুগিয়েছে। এক সময় একটির পর একটি সঙ্কট গুজরাটকে গ্রাস করেছিল। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলাকালে গুজরাটকে হতে হয়েছিল বেশ কিছু ষড়যন্ত্রের শিকারও। গুজরাটের উন্নয়নে বিনিয়োগ বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্তও করা হয়েছিল কোনো কোনো মহল থেকে। সমস্ত কিছু প্রতিকূলতা অতিক্রম করে গুজরাট বর্তমানে এমন এক স্থানে নিজেকে দাঁড় করাতে পেরেছে যা ছিল অনেকের কল্পনারও বাইরে। বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রথম বলবৎ করা হয় গুজরাট রাজ্যটিতেই। এর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ঐ ধরনের আইন পরে চালু হয় সারা দেশেই। করোনা পরিস্থিতিকালে এই আইন প্রতিটি সরকার ও প্রশাসনকে সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিল নানাভাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুজরাটের শিল্পোন্নয়ন প্রচেষ্টায় লাভবান হয়েছে কচ্ছবাসীও। বিনিয়োগের প্রসার ঘটেছে কচ্ছ-এর উন্নয়নে। এই অঞ্চলটিতে শিল্পোন্নয়নের কাজে বিনিয়োগ করা হয়েছে কোটি কোটি টাকা। কচ্ছ-এ বর্তমানে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম সিমেন্ট উৎপাদন প্রকল্পগুলি। এমনকি পাইপ নির্মাণের ক্ষেত্রেও কচ্ছ-এর স্থান এখন বিশ্বে দ্বিতীয়। বস্ত্র শিল্পের ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে রয়েছে কচ্ছ। এশিয়ার প্রথম বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্বীকৃতি পেয়েছে কচ্ছ। কান্দলা এবং মুন্দ্রা বন্দরগুলি থেকে দেশের ৩০ শতাংশ পণ্য ওঠানো-নামানো করা হয়। কচ্ছ এলাকাতেই উৎপাদিত হয় ভারতের ৩০ শতাংশেরও বেশি লবণ। ৩০টিরও বেশি লবণ শোধনাগার রয়েছে কচ্ছ অঞ্চলে। এক সময় সৌর বা বায়ুশক্তির কথা কচ্ছবাসী চিন্তা করতে পারতেন না। কিন্তু বর্তমানে সূর্যালোক ও বায়ুর সাহায্যে ২,৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে কচ্ছ এলাকায়। বৃহত্তম সৌর তথা বায়বীয় হাইব্রিড পার্ক নির্মিত হচ্ছে কচ্ছ-এর খাবদা এলাকায়। গ্রিন হাইড্রোজেন অভিযানে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করছে গুজরাট। এর পেছনে কচ্ছ-এর অবদানও কম কিছু নয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মা নর্মদার জল যখন গত মাসে রায়ান গ্রামটিতে পৌঁছে যায় তখন বিশ্ববাসী সবিস্ময়ে তাকিয়ে ছিল উৎসবমুখর গ্রামটির দিকে। তাঁরা জানতেন না যে জল কতখানি মূল্যবান হতে পারে কচ্ছ-এর মতো একটি অঞ্চলে। এমন একটা সময় ছিল যখন একটি শিশু চার বছর বয়স পর্যন্ত বৃষ্টিপাত কি সেটাই জানত না। কচ্ছ ও কচ্ছবাসী এইভাবেই এক কঠিন সময় ও পরিস্থিতি অতিক্রম করে এসেছে। কচ্ছেও যে জল ও জলসেচ ব্যবস্থা পৌঁছে যেতে পারে, মাত্র দু’দশক আগেও তা কল্পনার অতীত ছিল মানুষের কাছে। ২০০২ সালে ‘গুজরাট গৌরব যাত্রা’র সময় আমি যখন মাণ্ডবী সফর করি, তখন কচ্ছবাসীর কাছে আমি আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছিলাম যাতে মা নর্মদার জলকে আমরা কচ্ছ-এর মধ্যেও বইয়ে দিতে পারি। আনন্দের বিষয়, কচ্ছ-ভুজ ক্যানেলের আজ এখানে উদ্বোধন হল। এর ফলে উপকৃত হবেন শত শত গ্রামের হাজার হাজার কৃষক পরিবার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কচ্ছবাসীদের ভাষা যেমন সুন্দর তেমনই সুন্দর তাঁদের খাদ্য বৈচিত্র্যও। ডাবেলি, ভেলপুরী, ঘোল, লবণ ও জাফরানের স্বাদ এখানে অপূর্ব। একটি প্রবাদবাক্য রয়েছে যে কঠোর পরিশ্রমের ফল সুমধুর হয়। এই প্রবাদবাক্যটিকে সত্য প্রমাণিত করেছেন কচ্ছবাসী। ফল উৎপাদনের দিক থেকেও কচ্ছ হল গুজরাটের মধ্যে একটি সেরা জেলা। খেজুর, জাফরান, আম, ডালিম ইত্যাদির স্বাদ ও গন্ধের জন্য কচ্ছ আজ শুধু দেশে নয়, বিদেশেও পরিচিত একটি নাম। এক সময় পশুপালনের উপযোগী পরিকাঠামো বা সহায়সম্পদের এখানে অভাব ছিল। কিন্তু বর্তমানে কচ্ছ-এর কৃষক পরিবারগুলি গবাদি পশুপালনের মাধ্যমে তাঁদের আয় ও উপার্জন বৃদ্ধির সুযোগ লাভ করেছেন। গত ২০ বছরে কচ্ছ-এ দুধ উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে তিনগুণেরও বেশি।

শ্রী মোদী বলেন, ২০০৯-এ তিনি এখানে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে সারহাদ ডেয়ারি নামে একটি দুধ উৎপাদন কেন্দ্রের সূচনা হয়। সেই সময়ে প্রতিদিন দুধ সংগ্রহের মাত্রা ছিল ১,৪০০ লিটারেরও কম। কিন্তু বর্তমানে সেই ডেয়ারিই কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে ৫ লক্ষ লিটার পর্যন্ত দুধ। এই ডেয়ারিটির কল্যাণেই ৮০০ কোটি টাকার আয় ও উপার্জনের মুখ দেখেছেন কচ্ছ-এর কৃষক পরিবারগুলি। আজ সারহাদ ডেয়ারির একটি অত্যাধুনিক প্ল্যান্টের উদ্বোধন হল আঞ্জার-এর চন্দ্রানী গ্রামে। কচ্ছ কোনদিনই স্বনির্ভর হতে পারবে না - একথা এক সময় বলেছিলেন অনেকেই। কিন্তু, কচ্ছবাসীর কঠোর পরিশ্রম মানুষের সেই ধারণাটাই আমূল বদলে দিয়েছে।

শ্রী মোদী বলেন, ভুজ-এ পৌঁছে তিনি ‘স্মৃতিবন’ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে কচ্ছবাসীর কাছ থেকে তিনি অকুন্ঠ ভালোবাসা ও আশীর্বাদ লাভ করেছেন। দু’দশক আগে কচ্ছ-এর ধ্বংস এবং তারপরে অসীম ধৈর্য্য ও সাহসিকতার সঙ্গে তার সফল পুনরুদ্ধারের প্রতিফলন ঘটেছে ‘স্মৃতিবন’-এর মধ্যে। ‘চরৈবেতি, চরৈবেতি’ মন্ত্রে বলীয়ান হয়ে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা সঞ্চারিত হয়েছিল কচ্ছবাসীর মধ্যে। তাই ‘স্মৃতিবন’ চরৈবেতির শ্বাশত শক্তিরই এক মূর্ত রূপ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকায় ৯/১১-র সন্ত্রাস পরবর্তীকালে একটি স্মারক সেখানে গড়ে তোলা হয়েছিল। হিরোশিমা ট্র্যাজেডির পর জাপানেও স্থাপিত হয়েছিল একটি স্মারক সংগ্রহশালা। আজ ‘স্মৃতিবন’ পরিদর্শন করে আমার মনে এই ধারণারই জন্ম হয়েছে যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্মারকগুলির তুলনায় ‘স্মৃতিবন’ কোন অংশেই পিছিয়ে নেই। এর মধ্যে নিহিত রয়েছে প্রকৃতি, জীবন ও মাতা বসুন্ধরা সম্পর্কে পূর্ণ তথ্য। কচ্ছবাসীর কাছে আমার অনুরোধ, কোনো অতিথি কচ্ছ ভ্রমণে এলে তাঁকে যেন অতি অবশ্যই ‘স্মৃতিবন’টি পরিদর্শনের অনুরোধ জানানো হয়। কচ্ছ-এর শিক্ষা দপ্তরের কাছে আমি আবেদন জানাব যে স্কুলের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের যেন শিক্ষামূলক ভ্রমণে এই স্থানটি পরিদর্শন করানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মা নর্মদার জল যখন গত মাসে রায়ান গ্রামটিতে পৌঁছে যায় তখন বিশ্ববাসী সবিস্ময়ে তাকিয়ে ছিল উৎসবমুখর গ্রামটির দিকে। তাঁরা জানতেন না যে জল কতখানি মূল্যবান হতে পারে কচ্ছ-এর মতো একটি অঞ্চলে। এমন একটা সময় ছিল যখন একটি শিশু চার বছর বয়স পর্যন্ত বৃষ্টিপাত কি সেটাই জানত না। কচ্ছ ও কচ্ছবাসী এইভাবেই এক কঠিন সময় ও পরিস্থিতি অতিক্রম করে এসেছে। কচ্ছেও যে জল ও জলসেচ ব্যবস্থা পৌঁছে যেতে পারে, মাত্র দু’দশক আগেও তা কল্পনার অতীত ছিল মানুষের কাছে। ২০০২ সালে ‘গুজরাট গৌরব যাত্রা’র সময় আমি যখন মাণ্ডবী সফর করি, তখন কচ্ছবাসীর কাছে আমি আশীর্বাদ প্রার্থনা করেছিলাম যাতে মা নর্মদার জলকে আমরা কচ্ছ-এর মধ্যেও বইয়ে দিতে পারি। আনন্দের বিষয়, কচ্ছ-ভুজ ক্যানেলের আজ এখানে উদ্বোধন হল। এর ফলে উপকৃত হবেন শত শত গ্রামের হাজার হাজার কৃষক পরিবার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কচ্ছবাসীদের ভাষা যেমন সুন্দর তেমনই সুন্দর তাঁদের খাদ্য বৈচিত্র্যও। ডাবেলি, ভেলপুরী, ঘোল, লবণ ও জাফরানের স্বাদ এখানে অপূর্ব। একটি প্রবাদবাক্য রয়েছে যে কঠোর পরিশ্রমের ফল সুমধুর হয়। এই প্রবাদবাক্যটিকে সত্য প্রমাণিত করেছেন কচ্ছবাসী। ফল উৎপাদনের দিক থেকেও কচ্ছ হল গুজরাটের মধ্যে একটি সেরা জেলা। খেজুর, জাফরান, আম, ডালিম ইত্যাদির স্বাদ ও গন্ধের জন্য কচ্ছ আজ শুধু দেশে নয়, বিদেশেও পরিচিত একটি নাম। এক সময় পশুপালনের উপযোগী পরিকাঠামো বা সহায়সম্পদের এখানে অভাব ছিল। কিন্তু বর্তমানে কচ্ছ-এর কৃষক পরিবারগুলি গবাদি পশুপালনের মাধ্যমে তাঁদের আয় ও উপার্জন বৃদ্ধির সুযোগ লাভ করেছেন। গত ২০ বছরে কচ্ছ-এ দুধ উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে তিনগুণেরও বেশি।

শ্রী মোদী বলেন, ২০০৯-এ তিনি এখানে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে সারহাদ ডেয়ারি নামে একটি দুধ উৎপাদন কেন্দ্রের সূচনা হয়। সেই সময়ে প্রতিদিন দুধ সংগ্রহের মাত্রা ছিল ১,৪০০ লিটারেরও কম। কিন্তু বর্তমানে সেই ডেয়ারিই কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে ৫ লক্ষ লিটার পর্যন্ত দুধ। এই ডেয়ারিটির কল্যাণেই ৮০০ কোটি টাকার আয় ও উপার্জনের মুখ দেখেছেন কচ্ছ-এর কৃষক পরিবারগুলি। আজ সারহাদ ডেয়ারির একটি অত্যাধুনিক প্ল্যান্টের উদ্বোধন হল আঞ্জার-এর চন্দ্রানী গ্রামে। কচ্ছ কোনদিনই স্বনির্ভর হতে পারবে না - একথা এক সময় বলেছিলেন অনেকেই। কিন্তু, কচ্ছবাসীর কঠোর পরিশ্রম মানুষের সেই ধারণাটাই আমূল বদলে দিয়েছে।

শ্রী মোদী বলেন, ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পের পর কচ্ছবাসী দেওয়ালি উৎসবে সামিল হতে পারেননি বহু বছর ধরে। ভূমিকম্পের সেই বছরটিতে আমি দেওয়ালির দিনটিতে উপস্থিত ছিলাম ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে। সেই কঠিন সময়ে বিশেষ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আমি ঘোষণা করেছিলাম যে এই বিপর্যয়কে আমরা রূপান্তরিত করব এক বিশেষ সুযোগে। ২০০১-০২ সালে এক কঠিন সঙ্কটের মধ্যে পড়েছিল কচ্ছ এলাকা। কিন্তু সেই সময় নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর যে স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম তা আজ সফল হয়েছে। আগামী ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত তার স্বপ্ন পূরণে সফল হবে বলেই আমি মনে করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কচ্ছ শুধু নিজেই ঘুরে দাঁড়ায়নি, সমগ্র গুজরাটকেও এক নতুন উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে উৎসাহ যুগিয়েছে। এক সময় একটির পর একটি সঙ্কট গুজরাটকে গ্রাস করেছিল। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলাকালে গুজরাটকে হতে হয়েছিল বেশ কিছু ষড়যন্ত্রের শিকারও। গুজরাটের উন্নয়নে বিনিয়োগ বন্ধ করে দেওয়ার চক্রান্তও করা হয়েছিল কোনো কোনো মহল থেকে। সমস্ত কিছু প্রতিকূলতা অতিক্রম করে গুজরাট বর্তমানে এমন এক স্থানে নিজেকে দাঁড় করাতে পেরেছে যা ছিল অনেকের কল্পনারও বাইরে। বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রথম বলবৎ করা হয় গুজরাট রাজ্যটিতেই। এর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ঐ ধরনের আইন পরে চালু হয় সারা দেশেই। করোনা পরিস্থিতিকালে এই আইন প্রতিটি সরকার ও প্রশাসনকে সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিল নানাভাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুজরাটের শিল্পোন্নয়ন প্রচেষ্টায় লাভবান হয়েছে কচ্ছবাসীও। বিনিয়োগের প্রসার ঘটেছে কচ্ছ-এর উন্নয়নে। এই অঞ্চলটিতে শিল্পোন্নয়নের কাজে বিনিয়োগ করা হয়েছে কোটি কোটি টাকা। কচ্ছ-এ বর্তমানে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম সিমেন্ট উৎপাদন প্রকল্পগুলি। এমনকি পাইপ নির্মাণের ক্ষেত্রেও কচ্ছ-এর স্থান এখন বিশ্বে দ্বিতীয়। বস্ত্র শিল্পের ক্ষেত্রে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে রয়েছে কচ্ছ। এশিয়ার প্রথম বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্বীকৃতি পেয়েছে কচ্ছ। কান্দলা এবং মুন্দ্রা বন্দরগুলি থেকে দেশের ৩০ শতাংশ পণ্য ওঠানো-নামানো করা হয়। কচ্ছ এলাকাতেই উৎপাদিত হয় ভারতের ৩০ শতাংশেরও বেশি লবণ। ৩০টিরও বেশি লবণ শোধনাগার রয়েছে কচ্ছ অঞ্চলে। এক সময় সৌর বা বায়ুশক্তির কথা কচ্ছবাসী চিন্তা করতে পারতেন না। কিন্তু বর্তমানে সূর্যালোক ও বায়ুর সাহায্যে ২,৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে কচ্ছ এলাকায়। বৃহত্তম সৌর তথা বায়বীয় হাইব্রিড পার্ক নির্মিত হচ্ছে কচ্ছ-এর খাবদা এলাকায়। গ্রিন হাইড্রোজেন অভিযানে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করছে গুজরাট। এর পেছনে কচ্ছ-এর অবদানও কম কিছু নয়।

কৃষি, শিল্প, পর্যটন, সংস্কৃতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরার যে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, কচ্ছ তথা গুজরাটের অবদান তাতে যে অনেকখানি একথাও তাঁর বক্তব্যে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Annual malaria cases at 2 mn in 2023, down 97% since 1947: Health ministry

Media Coverage

Annual malaria cases at 2 mn in 2023, down 97% since 1947: Health ministry
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi remembers the unparalleled bravery and sacrifice of the Sahibzades on Veer Baal Diwas
December 26, 2024

The Prime Minister, Shri Narendra Modi remembers the unparalleled bravery and sacrifice of the Sahibzades on Veer Baal Diwas, today. Prime Minister Shri Modi remarked that their sacrifice is a shining example of valour and a commitment to one’s values. Prime Minister, Shri Narendra Modi also remembers the bravery of Mata Gujri Ji and Sri Guru Gobind Singh Ji.

The Prime Minister posted on X:

"Today, on Veer Baal Diwas, we remember the unparalleled bravery and sacrifice of the Sahibzades. At a young age, they stood firm in their faith and principles, inspiring generations with their courage. Their sacrifice is a shining example of valour and a commitment to one’s values. We also remember the bravery of Mata Gujri Ji and Sri Guru Gobind Singh Ji. May they always guide us towards building a more just and compassionate society."