Quoteমহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাশী ও উত্তর প্রদেশের প্রয়াসের প্রশংসা করেছেন
Quoteকাশী পূর্বাঞ্চলের বড় চিকিৎসা হাব হয়ে উঠছে : প্রধানমন্ত্রী
Quoteমা গঙ্গা ও কাশীর পবিত্রতা এবং সৌন্দর্য্য প্রেরণাদায়ক ও অগ্রাধিকারের বিষয় : প্রধানমন্ত্রী
Quoteএই অঞ্চলে ৮ হাজার কোটি টাকার একাধিক প্রকল্পের কাজ চলছে : প্রধানমন্ত্রী
Quoteউত্তর প্রদেশ দেশে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠছে : প্রধানমন্ত্রী
Quoteআইনের শাসন ও উন্নয়নের ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে, যাতে উত্তর প্রদেশবাসীর কাছে কর্মসূচির সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়া যায় : প্রধানমন্ত্রী
Quoteউত্তর প্রদেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভাইরাস সম্পর্কে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন

ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়! হর হর মহাদেব!
দীর্ঘ সময় পর আপনাদের সকলের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের সুযোগ হল। আপামর কাশীবাসীকে আমার প্রণাম। আমরা সবাই দুখহরি বাবা ভোলানাথ, মা অন্নপূর্ণার চরণে মাথা নত করছি!
উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দিবেন প্যাটেলজি, উত্তরপ্রদেশের যশস্বী প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর এবং কর্মঠ মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথজি, উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রীগণ, বিধায়কগণ এবং আমার প্রিয় বেনারসের ভাই ও বোনেরা।
আজ কাশীর উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত ১,৫০০ কোটিরও বেশি বিনিয়োগে তৈরি প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন কিংবা শিলান্যাস করার সৌভাগ্য আমার হল। বেনারসের উন্নয়নের জন্য যা কিছু হচ্ছে সবই মহাদেবের আশীর্বাদ এবং বেনারসের জনগণের প্রচেষ্টাতেই হচ্ছে। কঠিন সময়ের মধ্যেও কাশী দেখিয়ে দিয়েছে যে এই শহর থেমে থাকে না, ক্লান্ত হয় না।
ভাই ও বোনেরা,
বিগত কয়েক মাস আমাদের সকলের জন্য, সমগ্র মানবজাতির জন্য অত্যন্ত কঠিন ছিল। বহুরূপী করোনা ভাইরাস পরিবর্তিত এবং ভয়ানক রূপে সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে আক্রমণ করেছে। কিন্তু কাশী সহ সমগ্র উত্তরপ্রদেশ পূর্ণ সামর্থ্য দিয়ে এত বড় সঙ্কটের মোকাবিলা করেছে। দেশের সব থেকে বড় প্রদেশ যার জনসংখ্যা বিশ্বের কয়েক ডজন বড় বড় দেশ থেকেও বেশি, সেখানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউকে যেভাবে সামলেছে, দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় উত্তরপ্রদেশ যেভাবে করোনা সংক্রমণের বিস্তারকে রুখেছে, তা অভূতপূর্ব। তা না হলে উত্তরপ্রদেশের মানুষ সেই সঙ্কটের সময়টাও দেখেছে যখন মস্তিষ্কের জ্বর এনসেফেলাইটিস-এর মতো রোগের মোকাবিলা করাটাই কত বড় সমস্যায় ফেলেছিল।
আগেকার সময়ে যথাযথ স্বাস্থ্য পরিষেবার অভাব এবং ইচ্ছাশক্তির অভাব ছোট ছোট সঙ্কটেও ইউপি-কে চরম বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিত। আর এটা তো ১০০ বছরে গোটা বিশ্বে আসা সব থেকে বড় বিপর্যয়, সব থেকে বড় অতিমারী। সেজন্য করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উত্তরপ্রদেশের প্রচেষ্টা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। আমি আমার কাশীর বন্ধুদের, এখানকার স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে করোনা যোদ্ধাদের গোটা টিমকে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনারা দিন-রাত এক করে যেভাবে কাশীর পরিকাঠামোকে উন্নত করেছেন তা মানবতার সপক্ষে একটি বড় সেবা। আমার মনে আছে যে মাঝরাতেও যখন এই করোনা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত মানুষেরা আমাকে ফোন করতেন, তখন তাঁদেরকে আমি অকুস্থল থেকে ফোন করতেই দেখেছি। কঠিন সময় ছিল। কিন্তু আপনারা নিজেদের প্রচেষ্টায় কখনও ত্রুটি রাখেননি। আপনাদের সকলের এই সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলই হল আজ উত্তরপ্রদেশের পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
আজ উত্তরপ্রদেশ করোনার সব থেকে বেশি দৈনিক টেস্টিং হওয়া রাজ্য। আজ উত্তরপ্রদেশ গোটা দেশে সব থেকে বেশি টিকাকরণ হওয়া রাজ্য। ‘সবাইকে টিকা, বিনামূল্যে টিকা’ অভিযানের মাধ্যমে গরীব, মধ্যবিত্ত, কৃষক, নব-যুবক – সকলকে সরকার বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছে।
ভাই ও বোনেরা,
পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্য-সংশ্লিষ্ট যে পরিকাঠামো উত্তরপ্রদেশে গড়ে উঠছে তা ভবিষ্যতেও করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খুব কাজে লাগবে। আজ উত্তরপ্রদেশের গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি থেকে শুরু করে মেডিকেল কলেজ, এইমস, স্বাস্থ্য পরিকাঠামো অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। চার বছর আগে যেখানে উত্তরপ্রদেশে ডজনখানেক মেডিকেল কলেজ ছিল, সেই জায়গায় আজ প্রায় চারগুণ মেডিকেল কলেজ হয়েছে। আরও অনেক ক’টি মেডিকেল কলেজ নির্মাণ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন পর্যায়ের রয়েছে। এখন উত্তরপ্রদেশে প্রায় ৫৫০টি অক্সিজেন প্ল্যান্ট গড়ে তোলার কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আজ বেনারসেই ১৪টি অক্সিজেন প্ল্যান্টের এই অনুষ্ঠান থেকে উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রত্যেক জেলায় শিশুদের জন্য বিশেষ অক্সিজেন এবং আইসিইউ-র মতো পরিষেবা গড়ে তোলার যে উদ্যোগ উত্তরপ্রদেশ সরকার নিয়েছে, তাও অত্যন্ত প্রশংসনীয়। করোনার সঙ্গে জড়িত নতুন স্বাস্থ্য পরিষেবা গড়ে তোলার জন্য সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার ২৩ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এর মাধ্যমেও উত্তরপ্রদেশের অনেক লাভ হবে।
বন্ধুগণ,
কাশী নগরী আজ পূর্বাঞ্চল বা পূর্ব-উত্তরপ্রদেশের অনেক বড় মেডিকেল হাব হয়ে উঠছে। যে সমস্ত রোগের চিকিৎসার জন্য কখনও দিল্লি কিংবা মুম্বাই যেতে হত সেগুলির চিকিৎসাও আজ কাশীতেই সম্ভব হচ্ছে। এখানকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নয়নের আরও কয়েকটি মাত্রা আজ যুক্ত হচ্ছে। আজ কাশী মহিলা ও শিশুদের চিকিৎসার জন্য একটি নতুন হাসপাতাল পাচ্ছে। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরে এই হাসপাতালটিতে ১০০ শয্যা রয়েছে। তাছাড়া, আরও ৫০টি শয্যা এখানকার জেলা হাসপাতালে যুক্ত হচ্ছে। এই দুটি প্রকল্পের শিলান্যাসের সৌভাগ্য আমার হয়েছিল আর আজ সেগুলির উদ্বোধন হল। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে যে নতুন পরিষেবা তৈরি হল, কিছুক্ষণ পর আমি সেখানে পরিদর্শনেও যাব। বন্ধুগণ, আজ বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে আঞ্চলিক নেত্র চিকিৎসা কেন্দ্রও উদ্বোধন করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে জনগণ বিভিন্ন চক্ষু রোগের সুযোগ পাবেন।
ভাই ও বোনেরা,
বিগত সাত বছরে কাশী তার মৌলিক পরিচয় বজায় রেখে উন্নয়নের পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। গোটা এলাকায় ন্যাশনাল হাইওয়ে নির্মাণ থেকে শুরু করে নতুন নতুন ফ্লাইওভার, রেল ওভারব্রিজ এবং বৈদ্যুতিক তারের জঞ্জাল দূর করতে পুরনো কাশীতে আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়্যারিং সিস্টেম, পানীয় জল এবং পয়ঃপ্রণালী সমস্যার আধুনিক সমাধান, পর্যটন বৃদ্ধির জন্য উন্নয়ন কার্য – সবক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব কাজ হয়েছে। বর্তমান সময়েও এই অঞ্চলে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলছে। নতুন নতুন প্রকল্প, নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান কাশীর উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে আরও জীবন্ত করে তুলছে।

|

বন্ধুগণ,
কাশীর সৌন্দর্যায়ন, মা গঙ্গার পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যায়ন, আমাদের সকলের আকাঙ্ক্ষা এবং অগ্রাধিকারের প্রতিরূপ। সেজন্য সড়কপথ থেকে শুরু করে পয়ঃপ্রণালী পরিশোধন, বিভিন্ন পার্ক এবং ঘাটগুলির সৌন্দর্যায়ন – এরকম প্রত্যেক ক্ষেত্রে কাজ হচ্ছে। পঞ্চকোশী মার্গের প্রশস্তিকরণের কাজ সম্পূর্ণ হলে যেমন শ্রদ্ধালুদের যাতায়াতের সুবিধা হবে, তেমনই এ পথের দু’পাশে কয়েক ডজন গ্রামের মানুষের জীবনও সহজ হবে। বারাণসী-গাজিপুর সড়কপথে যে সেতু গড়ে উঠছে সেটি চালু হলে বারাণসী ছাড়াও প্রয়াগরাজ, গাজিপুর, বালিয়া, গোরক্ষপুর এবং বিহারগামী প্রত্যেকের অনেক সুবিধা হবে। গৌদোলিয়াতে মাল্টি-লেভেল টু-হুইলার পার্কিং গড়ে উঠলে পার্কিং-এর জট কতটা হ্রাস পাবে বেনারসের মানুষ তা খুব ভালোভাবেই জানেন। তেমনই লহরতারা থেকে চৌকাঘাট ফ্লাইওভারের নিচেও পার্কিং থেকে শুরু করে শৌচালয় ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলার কাজ দ্রুত সম্পূর্ণ হবে। বেনারস তথা উত্তরপ্রদেশের যে কোনও বোন, যে কোনও পরিবার যাতে শুদ্ধ পানীয় জলের জন্য সমস্যায় না পড়েন, সেদিকে লক্ষ্য রেখে ‘হর ঘর জল অভিযান’-এর কাজও খুব দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
বন্ধুগণ,
উন্নত সুযোগ-সুবিধা, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, গলি ও ঘাটগুলির সৌন্দর্যায়ন এই চির পুরাতন কাশীর নতুন অভিব্যক্তি হয়ে উঠেছে। শহরের ৭০০টিরও বেশি জায়গায় অ্যাডভান্সড সার্ভেইলেন্স ক্যামেরা লাগানোর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় এলইডি স্ক্রিন লাগানো হচ্ছে। ঘাটগুলিতে আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ইনফরমেশন বোর্ড লাগানো হচ্ছে যা কাশীতে ঘুরতে আসা পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের খুব সাহায্য করবে। কাশীর ইতিহাস, বাস্তু, শিল্প, কলা ইত্যাদি প্রতিটি বিষয়ের তথ্যকে আকর্ষকভাবে তুলে ধরার এই পরিষেবা তাঁদের খুব কাজে লাগবে। বড় স্ক্রিনের মাধ্যমে গঙ্গাজির ঘাটে এবং কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে চলতে থাকা সন্ধ্যারতির সম্প্রচার শহরের প্রত্যেক প্রান্ত থেকে দেখা সম্ভব হবে।
ভাই ও বোনেরা,
আজ থেকে যে রো রো পরিষেবা এবং ক্রুজ বোট পরিচালনা শুরু হয়েছে, এর ফলে কাশীর পর্যটন ক্ষেত্রটি আরও ফুলেফেঁপে উঠবে। শুধু তাই নয়, মা গঙ্গার বুকে যে মাঝিরা নৌকা চালান তাঁদের জন্য বিভিন্ন উন্নত পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। ডিজেল পরিচালিত নৌকাগুলিকে সিএনজি-তে পরিবর্তিত করা হচ্ছে। এর ফলে তাঁদের খরচও কম হবে, পরিবেশ দূষণও হ্রাস পাবে আর পর্যটকরাও বেশি আকর্ষিত হবেন। এখন থেকে কিছুক্ষণ পরই আমি ‘রুদ্রাক্ষ’ নামে একটি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টার কাশীবাসীদের উদ্দেশে সমর্পণ করতে যাচ্ছি। কাশী থেকে আন্তর্জাতিক মানের সাহিত্যিক, সঙ্গীতজ্ঞ এবং অন্যান্য শিল্পীরা আন্তর্জাতিক স্তরে কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। কিন্তু কাশীতেই তাঁদের কলা ও সংস্কৃতি, তাঁদের পারদর্শীতা প্রদর্শনের কোনও আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা নেই। আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে কাশীর শিল্পীদের জন্য, তাঁদের শিল্প নৈপুণ্য প্রদর্শনের জন্য একটি আধুনিক মঞ্চ আমরা দিতে পারছি।
বন্ধুগণ,
কাশীর পুরনো বৈভবের সমৃদ্ধি ও জ্ঞান গঙ্গার সঙ্গে জড়িত। এক্ষেত্রে কাশীকে আধুনিক জ্ঞান ও বিজ্ঞানের কেন্দ্র রূপে ক্রমাগত বিকাশের অত্যন্ত প্রয়োজন রয়েছে। যোগীজির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই লক্ষ্যে যত প্রচেষ্টা হয়েছে সেই প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হয়েছে। আজও মডেল স্কুল, আইটিআই, পলিটেকনিক – এরকম অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নতুন নতুন পরিষেবা কাশীবাসী পেয়েছেন। আজ সিপেট-এর সেন্টার ফর স্কিলিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল সাপোর্ট-এরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এটি শুধু কাশী নয়, সমগ্র পূর্বাঞ্চল বা পূর্ব-উত্তরপ্রদেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নকেও প্রাণশক্তি যোগাবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান আত্মনির্ভর ভারত নির্মাণের জন্য দক্ষ যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণের ভূমিকাকে আরও শক্তিশালী করবে। আমি বেনারসের যুব সম্প্রদায়কে, ছাত্রছাত্রীদেরকে এই সিপেট সেন্টারের জন্য বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাই।
ভাই ও বোনেরা,
আজ বিশ্বের অনেক বড় বড় বিনিয়োগকারী আত্মনির্ভর ভারতের মহাযজ্ঞের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। এক্ষেত্রেও উত্তরপ্রদেশ দেশের অগ্রণী বিনিয়োগ গন্তব্য রূপে উঠে আসছে। কয়েক বছর আগে যে ইউপি-তে ব্যবসা-বাণিজ্য করা শুধু মুশকিল ছিল না, আজ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র জন্য ইউপি পছন্দের স্থান গড়ে তুলছে।
এর একটি কারণ হল, উত্তরপ্রদেশে যোগীজির নেতৃত্বাধীন সরকার দ্বারা পরিকাঠামো ক্ষেত্রে গুরুত্ব। সড়ক, রেল এবং বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা আগের তুলনায় অনেক বেশি সহজ হয়ে উঠছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের অনেক সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চওড়া এবং আধুনিক সড়ক ও এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ এখানে দ্রুতগতিতে চলছে। ডিফেন্স করিডর থেকে শুরু করে পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে, কিংবা বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ে, গোরক্ষপুর লিঙ্ক এক্সপ্রেসওয়ে অথবা গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে এই দশকে উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। এক্ষেত্রে শুধু গাড়িই চলবে তা নয়, এমনকি এগুলিকে সবদিক থেকে আত্মনির্ভর ভারতের শক্তি করে তোলার ক্ষেত্রে যিনি কাণ্ডারী ছিলেন তাঁকে হত্যা করা হয়। শুধু তিনি নন, তাঁর বেশ কয়েকটি আত্মনির্ভর ভারতকে শক্তি যোগানো শিল্প ক্লাস্টারও গড়ে উঠবে।
ভাই ও বোনেরা,
আত্মনির্ভর ভারতে আমাদের চাষ সংক্রান্ত পরিকাঠামো এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পেরও বড় ভূমিকা হতে চলেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি পরিকাঠামোর সশক্তিকরণ থেকে শুরু করে সেখানে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশে আধুনিক পরিকাঠামোর জন্য ইদানিং ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বিশেষ তহবিল গড়ে তোলা হয়েছে। এর ফলে আমরা কৃষি মান্ডিগুলি থেকেও উপকার পাব। এটা দেশের কৃষি মান্ডিগুলির তন্ত্রকে আধুনিক এবং আরও সুবিধাসম্পন্ন করে তোলার পথে একটি বড় পদক্ষেপ। সরকারি ক্রয়ের সঙ্গে যুক্ত ব্যবস্থাগুলিকে আরও উন্নত করা এবং কৃষকদের আরও বেশি বিকল্প প্রদান – এটাই সরকারের অগ্রাধিকার। এবার ধান ও গমের রেকর্ড সরকারি ক্রয় এর পরিণাম।
বন্ধুগণ,
কৃষির সঙ্গে যুক্ত পরিকাঠামো নিয়েও উত্তরপ্রদেশে ক্রমাগত কাজ হয়ে চলেছে। বারাণসী থেকে শুরু করে পূর্বাঞ্চল – এখানে পচনশীল খাদ্যসামগ্রী সংরক্ষণের জন্য পেরিশেবল কার্গো সেন্টার, ইন্টারন্যাশনাল রাইস সেন্টার-এর মতো অনেক আধুনিক ব্যবস্থা আজ কৃষকদের কাজ করছে। এমনই অনেক আধুনিক প্রচেষ্টার ফলে আমাদের ল্যাংড়া এবং দশহরি আজ ইউরোপ থেকে শুরু করে উপসাগরীয় দেশসমূহ পর্যন্ত সর্বত্র মানুষের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে। কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। আজ ম্যাঙ্গো এবং ভেজিটেবল ইন্টিগ্রেটেড প্যাক হাউজ-এর উদ্বোধনও হয়েছে। এই কৃষকরাই এই অঞ্চলটিকে এগ্রো-এক্সপোর্ট হাব রূপে বিকশিত করার ক্ষেত্রে সাহায্য করবেন। এভাবে ছোট ছোট কৃষকরা, বিশেষ করে যাঁরা ফল-সব্জি ইত্যাদি চাষ করেন, তাঁরাও অত্যন্ত লাভবান হবেন।

|

বন্ধুগণ,
কাশী এবং সমগ্র উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নের স্বার্থে এতগুলি পদক্ষেপের কথা আমি এতক্ষণ ধরে করছি কিন্তু এই তালিকা এত দীর্ঘ যে এত দ্রুত শেষ হবে না। যেহেতু সময়ের অভাব রয়েছে, সেজন্যে আমাকেও কয়েকবার ভাবতে হয়েছে যে উত্তরপ্রদেশের কোন ধরনের উন্নয়ন কার্য নিয়ে কথা বলবো, কোন ধরনের কাজ নিয়ে আলোচনা আজ আর করবো না। এসব যোগীজির নেতৃত্বে এবং ইউপি সরকারের কর্মনিষ্ঠার প্রতীক।
ভাই ও বোনেরা,
এমনটা নয় যে ২০১৭-র আগে উত্তরপ্রদেশের জন্য কোনও পরিকল্পনা রচনা হয়নি, উত্তরপ্রদেশ কোনও টাকা পায়নি। ২০১৪ থেকে আমাদের সেবা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তখনও দিল্লিতে ততটাই দ্রুতগতিতে কাজ হত কিন্তু যখন লক্ষ্ণৌ অব্দি সেই কাজের সুফল এসে পৌঁছুতো না। তার আগেই রাজ্য সরকারের দুর্নীতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ত। আজ যোগীজি নিজেই অনেক কঠিন পরিশ্রম করছেন। কাশীর মানুষ দেখছেন যে যোগীজি ক্রমাগত এখানে আসেন। প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পের সমীক্ষা করেন। নিজের প্রাণশক্তি দিয়ে যে কোনও কাজে গতি আনেন। এমনই পরিশ্রমের ফলেই পুরো দেশ এগিয়ে চলেছে। প্রত্যেক জেলায় প্রতিটি কাজ একসঙ্গে করা হয়। এর ফলে উত্তরপ্রদেশে পরিবর্তন, বা এই প্রক্রিয়ায় আজ এই আধুনিক উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকার একটি আধুনিক ইউপি গড়ে তোলার স্বপন নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে এবং দ্রূতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
আজ উত্তরপ্রদেশে আইনের শাসন রয়েছে। একসময় মাফিয়া রাজ এবং সন্ত্রাসবাদের কবলে যেসব অঞ্চল ব্যতিব্যস্ত হয়ে উঠেছিল, সেই অঞ্চলগুলিতেও এখন আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেসব এলাকার বোন ও মায়েদের সুরক্ষা নিয়ে অনেকের মনে সবসময়ই ভয় ও আশঙ্কা থাকত। সেই পরিস্থিতি বদলেছে। আজ বোন ও মেয়েদের দিকে চোখ তুলে তাকালে যে আইনের হাত থেকে বাঁচতে পারবে না তা অপরাধীরাও জানে। আর একটা বড় কথা, উত্তরপ্রদেশে সরকার আজ দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণ দিয়ে চলে না। সেজন্য আজ উত্তরপ্রদেশের জনগণ এই প্রকল্পগুলি থেকে সরাসরি উপকৃত হচ্ছেন। সেজন্য আজ উত্তরপ্রদেশে নতুন নতুন শিল্পে বিনিয়োগ হচ্ছে। নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বন্ধুগণ,
উন্নয়ন এবং প্রগতির এই পথে উত্তরপ্রদেশের প্রত্যেক নাগরিকের অবদান রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রত্যেক মানুষের অংশীদারিত্ব রয়েছে। আপনাদের এই অবদান, আপনাদের এই আশীর্বাদ উত্তরপ্রদেশকে উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে! একটি অত্যন্ত বড় দায়িত্ব আপনাদের ওপর ন্যস্ত হচ্ছে যে আপনারা কখনও করোনাকে নিজেদের ওপর চড়াও হতে দেবেন না!
কারণ করোনা সংক্রমণের হার শ্লথ অবশ্যই হয়েছে, কিন্তু গাফিলতি বাড়লে তা দ্রুত তীব্র ঢেউয়ে পরিবর্তিত হতে পারে। বিশ্বের অনেক দেশের এই তিক্ত অভিজ্ঞতা আমাদের সামনে রয়েছে। সেজন্য আমাদের সমস্ত নিয়মকানুন কঠোরভাবে পালন করে যেতে হবে। ‘সবাইকে টিকা, বিনামূল্যে টিকা’ – এই অভিযানের সঙ্গে আমাদের সবাইকে যুক্ত হতে হবে। টিকা অবশ্যই নেবেন। বাবা বিশ্বনাথ এবং মা গঙ্গার আশীর্বাদ আমাদের সকলের ওপর বর্তাক - এই কামনা নিয়েই আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!
হর হর মহাদেব!!

  • शिवकुमार गुप्ता February 16, 2022

    जय माँ भारती
  • शिवकुमार गुप्ता February 16, 2022

    जय भारत
  • शिवकुमार गुप्ता February 16, 2022

    जय हिंद
  • शिवकुमार गुप्ता February 16, 2022

    जय श्री सीताराम
  • शिवकुमार गुप्ता February 16, 2022

    जय श्री राम
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
DBT saves ₹3.48 trillion, reshapes India's welfare delivery system : Report

Media Coverage

DBT saves ₹3.48 trillion, reshapes India's welfare delivery system : Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi hails inclusion of the Gita and Natyashastra in UNESCO’s Memory of the World Register
April 18, 2025

The Prime Minister Shri Narendra Modi today hailed the inclusion of the Gita and Natyashastra in UNESCO’s Memory of the World Register as a global recognition of our timeless wisdom and rich culture.

Responding to a post by Union Minister, Shri Gajendra Singh Shekhawat on X, Shri Modi said:

“A proud moment for every Indian across the world!

The inclusion of the Gita and Natyashastra in UNESCO’s Memory of the World Register is a global recognition of our timeless wisdom and rich culture.

The Gita and Natyashastra have nurtured civilisation, and consciousness for centuries. Their insights continue to inspire the world.

@UNESCO”