নবনির্মিত বেলাগাভি রেলস্টেশনটি জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন
প্রধানমন্ত্রী জল জীবন মিশনের আওতায় ৬টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী আজ কর্ণাটকের বেলাগাভিতে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকার একগুচ্ছ উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেছেন।
এই অঞ্চলেই প্রথম স্টার্টআপ সংস্কৃতি গড়ে ওঠে।
তাই আপনাদের প্রতিটি পয়সা আপনাদের কাছেই পৌঁছবে”।
এ পর্যন্ত আড়াই লক্ষ কোটি টাকা পিএম কিষাণ সম্মান নিধির মাধ্যমে ক্ষুদ্র চাষীদের কাছে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ৫০ হাজার কোটি টাকা পেয়েছেন মহিলা চাষীরা।
কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে যে কোনও ধরনের সহায়তা পেয়ে থাকেন।
এক সময়ে বি এস ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বাধীন সরকার শ্রী অন্ন-কে জনপ্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। শ্রী অন্নের বিভিন্ন গুণের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই শস্য চাষ করতে কম জল লাগে

ভারতমাতার জয়!

ভারতমাতার জয়!

বেলাগাভির জনসাধারণের ভালোবাসা এবং আশীর্বাদ অতুলনীয়। এই ভালোবাসা এবং আশীর্বাদ আমাদের সকলকে আপনাদের সেবার জন্য দিন-রাত এক করে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে। আপনাদের আশীর্বাদ আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। বেলাগাভিতে আসা তীর্থযাত্রার সামিল। কিত্তুর রানি চেন্নাম্মা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামী সাঙ্গোল্লি রায়ান্নার পদচারণায় এই ভূমি পবিত্র। তাঁদের সাহস এবং দাসত্বের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠার কাহিনী দেশ আজও মনে রেখেছে।

বন্ধুগণ,

স্বাধীনতা সংগ্রাম অথবা পরবর্তীতে বেলাগাভি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আজ কর্ণাটকে স্টার্ট-আপ-এর বিষয়ে যথেষ্ট আলোচনা হয়। প্রকৃত অর্থে এই বেলাগাভিতে ১০০ বছর আগে স্টার্ট-আপ-এর সূচনা হয়েছিল। হ্যাঁ, ১০০ বছর আগে! আপনাদের সেই কথাই আরও একবার মনে করিয়ে দিতে চাই। বাবুরাও পুশলকরজি এখানে ১০০ বছর আগে একটি ছোট্ট শিল্প স্থাপন করেছিলেন। সেই সময় থেকে বেলাগাভি ক্রমশ বিভিন্ন শিল্প সংস্থার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। বেলাগাভির এই ভূমিকার জন্যই ডবল ইঞ্জিন সরকার এই দশকে এই অঞ্চলকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে।

ভাই ও বোনেরা,

আজ যে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন করা হল বা শিলান্যাস করা হয়েছে, তা বেলাগাভির উন্নয়নে আগামীদিনে নতুন জোয়ার নিয়ে আসবে। কোটি কোটি টাকার এই প্রকল্পগুলি যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং জল সরবরাহ সংক্রান্ত। এই উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির জন্য আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাই। এইসব প্রকল্প এই অঞ্চলের উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করবে।

আজ সারা দেশ বেলাগাভি থেকে এক উপহার পেয়েছে। আজ ভারতের প্রতিটি কৃষক বেলাগাভির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। ‘পিএম কিষাণ সম্মান নিধি’র আরও এক কিস্তির টাকা এখান থেকে দেওয়া হয়েছে। শুধু একটি বোতাম টিপেই দেশের কোটি কোটি কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৬ হাজার কোটি টাকা পৌঁছেছে।

আমার রায়থুর বন্ধু ভাইয়েরা যাঁরা এখানে বসে আছেন, তাঁরা নিশ্চয়ই তাঁদের মোবাইলে ইতোমধ্যেই মেসেজ পেয়েছেন। সারা বিশ্বের মানুষ আশ্চর্য হয়ে ভাবেন, এক মুহূর্তের মধ্যে কিভাবে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ১৬ হাজার কোটি টাকার মতো বিপুল পরিমাণ অর্থ পৌঁছে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কোনও দুর্নীতি বা মধ্যস্বত্তভোগীর সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। কংগ্রেস দলের পূর্বতন এক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কেন্দ্র যদি ১ টাকা পাঠায় তাহলে সুবিধাভোগীর কাছে ১৫ পয়সা এসে পৌঁছয়। যদি পরিমাণটি ১৬ হাজার কোটি টাকা হয়, তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন প্রায় ১২ থেকে ১৩ হাজার কোটি আত্মসাৎ হয়ে যেত। কিন্তু এটি মোদীর সরকার। প্রতিটি পাই-পয়সা আপনাদের। আমি দেশের প্রত্যেক কৃষক ভাই-বোনকে অভিনন্দন জানাই। হোলি উৎসবের আগে এটি আপনাদের জন্য দোলের উপহার।

ভাই ও বোনেরা,

আজ পরিবর্তনশীল ভারতে বঞ্চিতদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন দেশের ক্ষুদ্র চাষীরা অবহেলিত ছিলেন। এঁদের সংখ্যা ৮০-৮৫ শতাংশ। এখন এইসব ক্ষুদ্র চাষীদের বিজেপি সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ‘পিএম কিষাণ সম্মান নিধি’র ২.৫ লক্ষ কোটি দেশের ক্ষুদ্র চাষীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে আমাদের মা-বোনেদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছেছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থ চাষীদের ছোট ছোট বিভিন্ন চাহিদা পূরণ করে। এখন তাঁদের মহাজনদের কাছে হাত পাততে হয় না।

বন্ধুগণ,

২০১৪ সালের পর থেকে দেশে কৃষিক্ষেত্রে যথাযথ পরিবর্তন হচ্ছে। বিজেপি সরকার ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে কৃষির সঙ্গে আধুনিক ব্যবস্থাপনার মেলবন্ধন ঘটাচ্ছে। ২০১৪ সালে যখন আমরা দেশকে সেবা করার দায়িত্ব পেলাম, সেই সময় ভারতের কৃষিক্ষেত্রের বাজেটের পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে আমাদের কৃষি বাজেট ১ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি, অর্থাৎ পাঁচগুণ বেশি। কৃষকদের সাহায্য করার প্রশ্নে বিজেপি সরকার যে কতটা আন্তরিক, এর মাধ্যমে তার প্রতিফলিত। আমরা কৃষকদের সুবিধার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।

যদি জন ধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল সংযোগ এবং আধার না থাকত তাহলে কি এই ব্যবস্থা শুরু করা যেত? আমাদের সরকার আরও বেশি সংখ্যক কৃষকের কাছে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড পৌঁছে দিচ্ছে। কৃষকরা যাতে ব্যাঙ্ক থেকে সব সময় সহায়তা পান তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। বন্ধুরা, এ বছরের বাজেটে আমাদের কৃষিক্ষেত্রের বর্তমান পরিস্থিতির পাশাপাশি ভবিষ্যতের চাহিদা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।

খাদ্য মজুত, কৃষিকাজে ব্যয় হ্রাস এবং ক্ষুদ্র চাষীদের সংগঠিত করার প্রয়োজন দীর্ঘদিন ধরে অনুভূত হচ্ছে। এ বছরের বাজেটে হাজার হাজার গুদামঘর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি, সমবায় ব্যবস্থাপনাকে অভূতপূর্ব গতিতে সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। মনে রাখবেন, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করলে চাষীভাইদের ব্যয় অনেকটাই কমে। এক্ষেত্রে বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দেয় সার এবং কীটনাশক। কৃষকদের এ কাজে সাহায্য করতে হাজার হাজার সহায়তাকেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। রাসায়নিক সার কৃষিকাজের ব্যয় বৃদ্ধি করে। এখন আমরা ‘পিএম প্রণাম’ প্রকল্পের সূচনা করেছি। যেসব রাজ্য রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাবে তারা কেন্দ্রের থেকে অতিরিক্ত সাহায্য পাবে। ভাই ও বোনেরা, দেশের কৃষিকাজের বিভিন্ন সমস্যার কথা বিবেচনা করে আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতিকে নতুন জীবনদান করার জন্য আমরা সচেষ্ট হয়েছি।

আজ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের কৃষক বন্ধুরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। আমরা তাই আমাদের প্রাচীন রীতিনীতিগুলি কতটা কার্যকর হতে পারে সে বিষয়টি নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছি। আমাদের মোটাদানার শস্য যে কোনও পরিস্থিতিতে উৎপাদন সম্ভব। এগুলি পুষ্টিকরও। তাই, আমরা মোটাদানা শস্যের নতুন পরিচিতি দিয়েছি এবারের বাজেটে তা হল, ‘শ্রী অন্ন’। ‘শ্রী অন্ন’ নামটি বাছাই করার ক্ষেত্রে কর্ণাটক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই রাজ্যে শ্রী অন্ন শ্রী ধান্য হিসেবে আগে থেকেই পরিচিত। এখানকার কৃষকরা শ্রী অন্ন-এর বিভিন্ন প্রজাতি উৎপাদন করে। আমাদের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে কর্ণাটকে বিজেপি সরকার কৃষকদের অনেক আগে থেকেই এ বিষয়ে সহায়তা করে আসছে। যখন ওয়াই এস ইয়েদুরিয়াপ্পাজি ‘রায়তা বন্ধু কর্মসূচি’র সূচনা করেছিলেন, তখন নিবিড় প্রচার চালানো হয়। আর এখন আমরা শ্রী অন্ন-কে সারা পৃথিবীর কাছে পরিচিত করাতে চাই। শ্রী অন্ন উৎপাদনে ব্যয় হয় কম, চাষের কাজে জলের প্রয়োজনও কম হয়, ফলে ক্ষুদ্র চাষীদের কাছে এই শস্যের চাষ দ্বিগুণ লাভজনক।

বন্ধুগণ,

এই অঞ্চলে প্রচুর আখ উৎপাদিত হয়। বিজেপি সরকার আখ চাষীদের স্বার্থ রক্ষাকে অগ্রাধিকের দিয়ে থাকে। এবারের বাজেটে আখ চাষীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের আগে যেসব আখ চাষীদের সমবায় সংস্থাগুলি ঋণভারে জর্জরিত, সেইসব সংস্থাগুলিকে কর ছাড়ের সুযোগ দেওয়া হবে। ফলস্বরূপ, আখ চাষীদের সমবায়গুলি পূর্বতন ইউপিএ সরকারের ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণের বোঝা থেকে মুক্ত হতে পারবে। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে আমাদের সরকার ইথানল উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। উৎপাদিত ইথানলকে পেট্রোলে মেশানো হচ্ছে। পেট্রোলে ইথানলের মিশ্রণ ১.৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে গত ৯ বছরে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। পেট্রোলে ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রণের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। দেশ যত এই লক্ষ্যে এগোবে, আমাদের আখ চাষীরা তত উপকৃত হবেন।

ভাই ও বোনেরা,

কৃষি, শিল্প, পর্যটন ও শিক্ষায় উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই, গত কয়েক বছর ধরে আমরা কর্ণাটকের যোগাযোগ ব্যবস্থার বিষয় নিয়ে বেশ কিছু কাজ করছি। ২০১৪ সালের আগে কর্ণাটকে রেলের জন্য বাজেট বরাদ্দ ছিল ৪ হাজার কোটি টাকা। এ বছর রেল বাজেটে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৭,৫০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। রাজ্যে মোট ৪৫ হাজার কোটি টাকার রেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। একবার ভাবুন, এই প্রকল্পগুলি থেকে কত মানুষ কাজ পাচ্ছেন।

বেলাগাভির অত্যাধুনিক রেল স্টেশনটি দেখে সকলে যেমন বিস্মিত হবেন, আবার গর্ববোধও করবেন। এই রেল স্টেশন অত্যাধুনিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা যেমন বৃদ্ধি করা হয়েছে, পাশাপাশি রেলের প্রতি মানুষের আস্থাও বাড়ছে। আগে আমরা এ ধরনের ঝাঁ চকচকে রেল স্টেশন বিদেশে দেখতাম। আর এখন এই রেল স্টেশনগুলি এ দেশেও তৈরি করা হচ্ছে। কর্ণাটকের অনেক রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজ চলছে। লোন্ডা-ঘাটাপ্রভা সেকশনে ডবল লাইনের ফলে এই অংশে রেলযাত্রা আরও সুখকর ও নিরাপদ হবে। একইভাবে, আজ এখানে যে রেল প্রকল্পগুলির কাজ শুরু হয়েছে তা আগামীদিনে এই অঞ্চলে রেল ব্যবস্থা্কে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। বেলাগাভি শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পর্যটনের নিরিখে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। ফলে, উন্নত রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলি উপকৃত হবে।

ভাই ও বোনেরা,

বিজেপি-র ডবল ইঞ্জিন সরকার দ্রুত উন্নয়নকে নিশ্চিত করে। ‘জল জীবন মিশন’ তারই এক উদাহরণ। ২০১৯ সালে কর্ণাটকের গ্রামাঞ্চলে মাত্র ২৫ শতাংশ বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছত। আজ আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর এবং ডবল ইঞ্জিন সরকারের সক্রিয় উদ্যোগে রাজ্যের ৬০ শতাংশ বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছেছে। বেলাগাভিতে প্রায় ২ লক্ষ বাড়িতে এই সুবিধা ছিল। আজ সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার। আমাদের গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী বোনেদের যাতে জলের জন্য কোন সমস্যায় পড়তে না হয় তার জন্য এবারের বাজেটে নলবাহিত পানীয় জল প্রকল্পের জন্য ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

ভাই ও বোনেরা,

সমাজ যাঁদেরকে অবহেলিত করে রেখেছিল পূর্বতন সরকারগুলি তাঁদের জন্য কিছুই করেনি। বিজেপি সরকার এঁদের ক্ষমতায়নের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। বেলাগাভি হস্তশিল্পীদের শহর। এ শহর ভেনুগ্রাম বা বাঁশগ্রাম হিসেবে পরিচিত। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে পূর্বতন সরকারগুলি দীর্ঘদিন বাঁশ চাষের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। আমরা আইনের পরিবর্তন করে বাঁশ চাষ এবং বাঁশ থেকে উৎপাদিত পণ্যের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। বাঁশ ছাড়াও এই অঞ্চলে হস্তশিল্পের বিভিন্ন নিদর্শনের দেখা মেলে। এই প্রথম এবারের বাজেটে আমরা হস্তশিল্পীদের জন্য ‘পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা’ নিয়ে এসেছি। এই প্রকল্প আমাদের হস্তশিল্পী বন্ধুদের সব ধরনের সহায়তা করবে।

বন্ধুগণ,

আজ যখন আমি বেলাগাভিতে আসছিলাম, তখন আমার মনে হচ্ছিল আরও একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। একবার ভাবুন, কংগ্রেস কর্ণাটককে কতটা ঘৃণা করে। কর্ণাটকের নেতা-নেত্রীদের অপমান করা কংগ্রেসের পুরনো সংস্কৃতি। কেউ যদি কংগ্রেসের বিশেষ পরিবারের সদস্যদের কাছে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ান, তাহলে দল তাঁকে অপদস্থ করে।

এস নিজলিঙ্গাপ্পা এবং বীরেন্দ্র পাটিলজিকে কিভাবে কংগ্রেস অপমান করেছে, ইতিহাস তার সাক্ষী। কর্ণাটকের জনসাধারণ সে বিষয়ে অবগত। এখন আরও একবার কর্ণাটকের আরও একজন নেতা কংগ্রেসের বিশেষ পরিবারের কাছে অপদস্থ হয়েছেন। বন্ধুরা, শ্রী মল্লিকার্জুন খাড়্গেজি, যিনি এখানকার ভূমিপুত্র, ৫০ বছর ধরে সংসদীয় গণতন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত, তাঁর প্রতি আমার অপরিসীম শ্রদ্ধা রয়েছে। মানুষের সেবা করার জন্য তাঁর পক্ষে যা যা করা সম্ভব তিনি তা করার চেষ্টা করেছেন। অথচ, প্রবীণ এই নেতা যিনি রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছেন, সেই খাড়্গেজিকে কিভাবে অপদস্থ হতে হয়। ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের কর্মসূচিতে আমরা তা দেখেছি। তিনি দলের সভাপতি। অথচ, প্রচন্ড রোদের মধ্যেও কংগ্রেসের সভাপতি, যিনি প্রবীণতম নেতা, তাঁকে সূর্যের হাত থেকে বাঁচাতে ছাতা দেওয়া হয়নি। কিন্তু, সেই ছাতা তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অন্য একজনের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।

খাড়্গেজি হয়তো কংগ্রেসের সভাপতি কিন্তু, দল তাঁর প্রতি কিরকম ব্যবহার করছে সকলেই সেটি দেখেছেন। আর সবাই জানেন যে রিমোট কন্ট্রোলে কারা এই দলকে পরিচালনা করেন। আজ দেশের অনেক দল এ ধরনের স্বজনপোষণের শিকার। আমাদের দেশ থেকে এই ব্যবস্থাকে সরাতে হবে। আর তাই, কর্ণাটকের মানুষ কংগ্রেসের মতো দলের সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। কংগ্রেসের এইসব লোকেরা এতটাই মরিয়া যে তাঁরা ভাবেন, যতদিন মোদী বেঁচে আছেন ততদিন কোনকিছু করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই এঁরা স্লোগান দেন – “মোদী মুর্দাবাদ, মোদী মুর্দাবাদ।” কেউ কেউ তো আমার খবর খুঁড়তে ব্যস্ত। তাঁরা বলেন, “মোদী তোমার কবর খোঁড়া হবে, তোমার কবর খোঁড়া হবে।” তবে, দেশ বলছে, “মোদী, আপনার পদ্ম আরও প্রস্ফুটিত হবে।”

বন্ধুগণ,

যখন সৎ উদ্দেশ্যে কোনও কাজ করা হয়, তখন উন্নয়ন যথাযথ হয়। ডবল ইঞ্জিন সরকারের লক্ষ্য অত্যন্ত স্পষ্ট। উন্নয়নের প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই, আমরা এই আস্থাকে বজায় রেখে চলেছি। আমরা কর্ণাটক এবং দেশের উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করছি। ‘সবকা প্রয়াস’ ভাবনায় আমরা দেশের উন্নয়নের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করব। আমার এখানে আসতে একটি দেরি হয়েছে। যখন আমি হেলিকপ্টার থেকে নেমেছি, সেই সময় থেকে বেলাগাভি পর্যন্ত আসার রাস্তায় আমার মা, বোন, বয়ঃবৃদ্ধি এবং শিশুরা যেভাবে আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন তা এক কথায় অনবদ্য।

আমি কর্ণাটকের বেলাগাভির মানুষকে নতমস্তকে আমার প্রণাম জানাই। এই ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ। আজ আমার কর্ণাটক সফর বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ আজ সকালে আমি শিবমোগগায় বিমানবন্দর উদ্বোধন করেছি। একইসঙ্গে, আমাদের প্রবীণ নেতা ইয়েদুরিয়াপ্পাজির জন্মদিনে তাঁর সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগও আমি পেয়েছি। শিবমোগগা থেকে এখানে আসার পথে আপনাদের ভালোবাসা ও আশীর্বাদ আমার ওপর বর্ষিত হয়েছে। বেলাগাভি সহ কর্ণাটকের ভাই ও বোনেরা, আপনাদের এই ভালোবাসা ও আশীর্বাদ আমি এই অঞ্চলের উন্নয়নের মাধ্যমে ফিরিয়ে দেব। আরও একবার আপনাদের অনেক ধন্যবাদ। আমার সঙ্গে বলে উঠুন – ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়!

অনেক অনেক ধন্যবাদ!

প্রধানমন্ত্রী মূল ভাষণটি হিন্দিতে দিয়েছিলেন

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
‘Make in India’ is working, says DP World Chairman

Media Coverage

‘Make in India’ is working, says DP World Chairman
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi condoles loss of lives due to stampede at New Delhi Railway Station
February 16, 2025

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has condoled the loss of lives due to stampede at New Delhi Railway Station. Shri Modi also wished a speedy recovery for the injured.

In a X post, the Prime Minister said;

“Distressed by the stampede at New Delhi Railway Station. My thoughts are with all those who have lost their loved ones. I pray that the injured have a speedy recovery. The authorities are assisting all those who have been affected by this stampede.”