দেশের লক্ষ লক্ষ তরুণের কাছে বেঙ্গালুরু হল এক স্বপ্ন নগরী। ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর প্রতিফলন ঘটেছে এই শহরটির মধ্যে। বেঙ্গালুরুর উন্নয়ন তাই লক্ষ লক্ষ স্বপ্নের বাস্তবায়ন। গত ৮ বছর ধরে এই বাস্তবায়ন প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সোমবার কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনাকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, বেঙ্গালুরু শহরটিকে যানজট থেকে মুক্তি দিতে রেল, সড়ক, মেট্রো, আন্ডারপাস এবং ফ্লাইওভার নির্মাণ ও সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে উন্নয়ন প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বেঙ্গালুরুর শহরতলির এলাকাগুলির সঙ্গে উন্নততর যোগাযোগ গড়ে তুলতে সরকার সর্বতোভাবে প্রচেষ্ট। এর আগে দীর্ঘ ৪০টি বছর নষ্ট হয়েছে শুধু আলোচনার মধ্য দিয়ে। দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা এই কাজই আমি আগামী ৪০ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ করার জন্য কষ্টসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে এই সমস্ত প্রকল্পের রূপায়ণ ফাইলবন্দী অবস্থায় পড়েছিল। কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একযোগে এই কাজ সম্পূর্ণ করতে দৃঢ় সংকল্প। প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন বেঙ্গালুরুর দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করে তুলবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেঙ্গালুরু শহরের সঙ্গে শহরতলির রেল সংযোগ ছাড়াও বেঙ্গালুরুর প্রস্তাবিত রিং রোড প্রকল্পটিও শহরের যান যন্ত্রনা অনেকাংশ লাঘব করবে। বিভিন্ন ধর্মীয় স্থান তথা পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যেও দ্রুত সংযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। এরফলে ধর্মশালা মন্দির, সূর্য মন্দির, যোগ জলপ্রপাত ইত্যাদিতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধার প্রসার ঘটবে। গত ৮ বছরে রেল সংযোগ ব্যবস্থার আশু পরিবর্তনের জন্য সরকার কাজ করে চলেছে। তার আগে রেলপথে ভ্রমণ এবং আজকের দিনে রেল সফর সম্পূর্ণ ভিন্ন অভিজ্ঞতা বলে সকলেই স্বীকার করবেন। গত কয়েক বছরে কর্ণাটকে ১২০০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ রেললাইন নতুন করে পাতা হয়েছে অথবা সেগুলির আরও প্রসার ঘটানো হয়েছে। বিমান বন্দর এবং আকাশপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে যে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায় তা সম্ভব হয়ে উঠবে রেল সফরের ক্ষেত্রেও। বেঙ্গালুরুর আধুনিক রেল স্টেশনটি এরই সাক্ষ্য বহন করে। বেঙ্গালুরু ক্যান্টনমেন্ট এবং যশবন্তপুর জংশনের কাজেরও আজ থেকে সূচনা হল।
শ্রী মোদী বলেন, বেঙ্গালুরুর সাফল্যের কাহিনী ২১ শতকে ভারতকে আত্মনির্ভর হতে উৎসাহিত করবে। করোনা অতিমারীর ফলে বেঙ্গালুরুর তরুণ ও যুবকরা সমগ্র বিশ্বকে সংকট মুক্তির পথ দেখিয়েছে। সরকারি সুযোগ-সুবিধার প্রসার ঘটানো হলে নাগরিক জীবনে কোনরকমের সমস্যার সৃষ্টি না করেই ভারতের তরুণরা কর্মপ্রচেষ্টাকে কোন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে তা প্রমাণ করেছে বেঙ্গালুরু। ২১ শতকের ভারত সম্পদ সৃষ্টি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং উদ্ভাবন প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করছে। কৃষির পরই কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে একটি বৃহৎ ক্ষেত্র হল ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অনুশিল্প ক্ষেত্র। এই ক্ষেত্রটির সংজ্ঞাই আমরা বদলে দিতে পেরেছি। দেশের কোটি কোটি মানুষ আজ এই ক্ষেত্রটির সঙ্গে যুক্ত। প্রসঙ্গত উদ্ভাবন প্রচেষ্টা এবং কর্মসংস্থান ক্ষেত্রে দেশের স্টার্টআপ ক্ষেত্রের গুরুত্বের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত ৮ বছরে অসংখ্য স্টার্টআপ সংস্থা দেশে গড়ে উঠেছে। মাত্র ৮ বছরের মধ্যে এই ধরণের সংস্থার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংস্কার প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে আমাদের লক্ষ্য ও সংকল্প পূরণ সম্ভব। প্রতিরক্ষা ও মহাকাশকে আধুনিকীকরণের মধ্য দিয়ে আমরা উন্নীত করেছি উন্নয়নের এক নতুন মাত্রায়। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো আজ সারা ভারতের গর্ব। দেশের তরুণদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার জন্য সমস্ত মঞ্চই আজ প্রস্তুত। সবকা প্রয়াস-এর মধ্য দিয়ে অমৃতকালে আরও বেশি মাত্রায় আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে দেশ উৎসাহ ও উদ্দীপনা লাভ করব বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সূচনাকালে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, বেঙ্গালুরু শহরটিকে যানজট থেকে মুক্তি দিতে রেল, সড়ক, মেট্রো, আন্ডারপাস এবং ফ্লাইওভার নির্মাণ ও সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে উন্নয়ন প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বেঙ্গালুরুর শহরতলির এলাকাগুলির সঙ্গে উন্নততর যোগাযোগ গড়ে তুলতে সরকার সর্বতোভাবে প্রচেষ্ট। এর আগে দীর্ঘ ৪০টি বছর নষ্ট হয়েছে শুধু আলোচনার মধ্য দিয়ে। দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা এই কাজই আমি আগামী ৪০ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ করার জন্য কষ্টসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে এই সমস্ত প্রকল্পের রূপায়ণ ফাইলবন্দী অবস্থায় পড়েছিল। কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার একযোগে এই কাজ সম্পূর্ণ করতে দৃঢ় সংকল্প। প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন বেঙ্গালুরুর দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করে তুলবে।
শ্রী মোদী বলেন, বেঙ্গালুরুর সাফল্যের কাহিনী ২১ শতকে ভারতকে আত্মনির্ভর হতে উৎসাহিত করবে। করোনা অতিমারীর ফলে বেঙ্গালুরুর তরুণ ও যুবকরা সমগ্র বিশ্বকে সংকট মুক্তির পথ দেখিয়েছে। সরকারি সুযোগ-সুবিধার প্রসার ঘটানো হলে নাগরিক জীবনে কোনরকমের সমস্যার সৃষ্টি না করেই ভারতের তরুণরা কর্মপ্রচেষ্টাকে কোন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে তা প্রমাণ করেছে বেঙ্গালুরু। ২১ শতকের ভারত সম্পদ সৃষ্টি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং উদ্ভাবন প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করছে। কৃষির পরই কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে একটি বৃহৎ ক্ষেত্র হল ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অনুশিল্প ক্ষেত্র। এই ক্ষেত্রটির সংজ্ঞাই আমরা বদলে দিতে পেরেছি। দেশের কোটি কোটি মানুষ আজ এই ক্ষেত্রটির সঙ্গে যুক্ত। প্রসঙ্গত উদ্ভাবন প্রচেষ্টা এবং কর্মসংস্থান ক্ষেত্রে দেশের স্টার্টআপ ক্ষেত্রের গুরুত্বের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত ৮ বছরে অসংখ্য স্টার্টআপ সংস্থা দেশে গড়ে উঠেছে। মাত্র ৮ বছরের মধ্যে এই ধরণের সংস্থার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংস্কার প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে আমাদের লক্ষ্য ও সংকল্প পূরণ সম্ভব। প্রতিরক্ষা ও মহাকাশকে আধুনিকীকরণের মধ্য দিয়ে আমরা উন্নীত করেছি উন্নয়নের এক নতুন মাত্রায়। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো আজ সারা ভারতের গর্ব। দেশের তরুণদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার জন্য সমস্ত মঞ্চই আজ প্রস্তুত। সবকা প্রয়াস-এর মধ্য দিয়ে অমৃতকালে আরও বেশি মাত্রায় আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে দেশ উৎসাহ ও উদ্দীপনা লাভ করব বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।