Quote“শেখার বিষয়টি জড়িত থাকলে জয় সুনিশ্চিত হয়”
Quote“অমৃতকালে দেশ নতুন সংজ্ঞা এবং নতুন শৃঙ্খলা রচনা করছে”
Quote“২০১৪-র পর থেকে দেশে ক্রীড়াক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে”
Quote“দেশে ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হচ্ছে, এখন দৃষ্টিভঙ্গি থেকে খেল মহাকুম্ভের মতো বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে”
Quote“অর্থের অভাবে যুবরা যাতে পিছিয়ে না পড়েন সেদিকে আমাদের সরকার সতর্ক”
Quote“রাজস্থানের শ্রী অন্ন-বাজরা এবং শ্রী অন্ন-জোয়ার এখানকার পরিচিতি”
Quote“ক্রীড়া কেবলমাত্র একটি ধারা নয়, বরং শিল্প”
Quote“দেশের পরবর্তী স্বর্ণ এবং রৌপ্য পদক বিজেতারা আপনাদের মধ্যে থেকেই উঠে আসবে”
Quoteতিনি আরও বলেন যে কোনও খেলোয়াড়ই খালি হাতে মাঠ ছাড়েন না।
Quoteতিনি আনন্দ প্রকাশ করে বলেন যে ভারতের এইসব পরিচিত মুখরা জয়পুর মহাখেল-এ তরুণ ক্রীড়াবিদদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন।
Quoteতিনি বলেন, যুবদের কোনকিছুই অসম্ভব নয়। প্রত্যেকটি লক্ষ্য পূরণ অনেক সহজ হয়ে যায় যখন তার সঙ্গে শক্তি, সক্ষমতা, আত্মসম্মান, স্বনির্ভরতা এবং সুযোগ-সুবিধা যুক্ত হয়।
Quoteস্বাধীনতার অমৃতকালে দেশ নতুন সংজ্ঞা এবং নতুন শৃঙ্খলা রচনা করছে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। তিনি উল্লেখ করেন যে ক্রীড়াকে শেষ পর্যন্ত ক্রীড়াবিদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা হচ্ছে, রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নয়।
Quoteপ্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের যুবদের মধ্যে খেলাধূলায় আবেগ এবং প্রতিভার অভাব ছিল না। কিন্তু, সরকারের তরফ থেকে উদ্যম এবং অর্থ বরাদ্দের অভাব বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

জয়পুর গ্রামীণ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ এবং আমাদের সহকর্মী ভাই রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর, এখানে উপস্থিত সমস্ত খেলোয়াড়, কোচ এবং আমার তরুণ বন্ধুরা!

সবার আগে, এই জয়পুর মহাখেল উৎসবে পদক জয়ী এবং যাঁরা এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন - প্রত্যেক খেলোয়াড়, কোচ এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের অনেক অভিনন্দন। আপনারা সবাই জয়পুরের এই খেলার মাঠে শুধু খেলার জন্য পা রাখেননি। আপনারা এখানে যেমন জিততে এসেছেন, তেমনি আপনারা এখানে শিখতেও এসেছেন। আর যেখানে শিক্ষনীয় কিছু থাকে, সেখানে জয় একসময় নিজে থেকেই সুনিশ্চিত হয়। কোনও খেলোয়াড় কখনোই কোনও খেলার মাঠ থেকে খালি হাতে ফিরে যায় না।

বন্ধুগণ,

এতক্ষণ আমরা সবাই কবাডি খেলোয়াড়দের চমৎকার ক্রীড়ানৈপুণ্য দেখেছি। আমি দেখতে পাচ্ছি, আজকের এই সমাপনী অনুষ্ঠানে এমন অনেক খেলোয়াড় উপস্থিত রয়েছেন, যাঁরা খেলাধুলায় আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতকে খ্যাতি এনে দিয়েছেন। এশিয়ান গেমস্‌ - এ পদকজয়ী রাম সিংকে দেখা যাচ্ছে, ধ্যানচাঁদ খেল রত্ন পুরস্কারজয়ী প্যারা অ্যাথলিট ভাই দেবেন্দ্র ঝাঁঝাদিয়া, অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত সাক্ষী কুমারী এবং অন্যান্য প্রবীণ খেলোয়াড়দেরও দেখা যাচ্ছে। জয়পুর গ্রামীণ লোকসভা কেন্দ্রের খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিতে এই ক্রীড়া তারকাদের এখানে আসতে দেখে আমি খুব খুশি হয়েছি।

বন্ধুগণ,

আজ দেশে যে ধারাবাহিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও ক্রীড়া মহাকুম্ভ শুরু হয়েছে তা এক বিরাট পরিবর্তনের প্রতিফলন। রাজস্থানের ভূমি বরাবরই তার যুবকদের উদ্দীপনা এবং সম্ভাবনার আলোয় উজ্জ্বল। ইতিহাস সাক্ষী, এই বীর ভূমির সন্তানেরা তাঁদের বীরত্বে রণক্ষেত্রকেও খেলার মাঠ বানিয়েছেন। সুতরাং, অতীত থেকে আজ অবধি, দেশের প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে রাজস্থানের যুবকরা কারও থেকে কোনোভাবে পিছিয়ে নেই। রাজস্থানী পারম্পরিক ক্রীড়া ঐতিহ্য যুগ যুগ ধরে এখানকার যুবকদের শারীরিক ও মানসিক শক্তির বিকাশে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। শত শত বছর ধরে মকর সংক্রান্তিতে আয়োজিত ‘দড়া’ খেলা থেকে শুরু করে শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত খেলা তোয়ালে, রুমাল ঝাপাট্টার মতো ঐতিহ্যবাহী খেলা, এগুলোর আনন্দ রাজস্থানের সাধারণ মানুষের শিরায় ধমনীতে প্রবাহিত হয়। এই কারণেই, এই রাজ্য দেশকে এত ক্রীড়া প্রতিভা দিয়েছে, এতগুলি পদক জয় করে এনে ভারতের ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকার গৌরব বাড়িয়েছে। আর, জয়পুরের জনগণ তো সংসদেও তাঁদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে একজন প্রখ্যাত অলিম্পিক পদক বিজয়ী প্রাক্তন যোদ্ধাকেই নির্বাচিত করেছেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, ক্রীড়া ক্ষেত্রে তাঁর সাফল্যের জন্য রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোরজিকে দেশ যে সম্মান দিয়েছে তিনি ‘সাংসদ ক্রীড়া প্রতিযোগীতা’ আয়োজনের মাধ্যমে তার কয়েকগুণ নতুন প্রজন্মকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কঠিন পরিশ্রম করছেন। আমাদের এই প্রচেষ্টাগুলিকে আরও প্রসারিত করতে হবে, যাতে এগুলির প্রভাব আরও বিস্তৃত হয়। 'জয়পুর মহাখেল'-এর সফল আয়োজন আমাদের অনুরূপ প্রচেষ্টার পরবর্তী পর্যায়। এই বছর, ৬০০ টিরও বেশি দল এবং সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি তরুণদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে এর সাফল্যের প্রতিফলন আমরা অনুভব করছি। আমাকে বলা হয়েছে যে ১২৫টিরও বেশি মেয়েদের দলও এই ‘সাংসদ ক্রীড়া প্রতিযোগীতায়’ অংশ নিয়েছে। কন্যাদের এই ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণ গোটা দেশকে একটি সুখকর বার্তা প্রদান করছে।

বন্ধুগণ,

ভারতের স্বাধীনতার এই অমৃতকালে দেশ নতুন নতুন পরিভাষা সৃষ্টি করছে, নতুন নতুন ব্যবস্থা গড়ে তুলছে। আজ দেশে প্রথমবারের মতো খেলাধুলাকে সরকারের চশমা দিয়ে নয়, খেলোয়াড়দের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হচ্ছে। আমি জানি, ভারতের তরুণ প্রজন্মের পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়। তরুণরা যখন শক্তি, আত্মমর্যাদা, আত্মনির্ভরশীলতা, সুযোগ-সুবিধা এবং সম্পদের শক্তি পায়, তখন প্রতিটি লক্ষ্য সহজ হয়ে যায়। দেশের এই দৃষ্টিকোণের আভাস এবারের বাজেটেও প্রতিফলিত হয়েছে। এবার কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ পেয়েছে ক্রীড়া বিভাগ। যেখানে ২০১৪ সালের আগে ক্রীড়া বিভাগের বাজেট থাকত সাকুল্যে আটশ’ থেকে সাড়ে আটশ’ কোটি টাকা। অর্থাৎ ২০১৪ সালের তুলনায় দেশের ক্রীড়া বিভাগের বাজেট বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। এবার শুধু 'খেলো ইন্ডিয়া' অভিযানের জন্য এক হাজার কোটি টাকার বেশি বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। খেলাধুলার প্রতিটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানের সাজ-সরঞ্জাম, অন্যান্য সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধা গড়ে তুলতে এই অর্থ ব্যবহার করা হবে।

|

বন্ধুগণ,

আগে দেশের তরুণদের মনে খেলাধুলার জন্য উৎসাহ অবশ্যই থাকত, মেধাও ছিল, কিন্তু প্রায়ই প্রয়োজনীয় সুযোগ–সুবিধা ও সরকারি সহায়তার অভাব প্রতিনিয়ত বাধা হয়ে দাঁড়াত। এখন আমাদের খেলোয়াড়দের এই সমস্যাগুলির সমাধান করা হচ্ছে। আমি আপনাদেরকে এই ‘জয়পুর মহাখেল’ -এর উদাহরণ দেব। গত ৫-৬ বছর ধরে জয়পুরে চলছে এই অনুষ্ঠান। একইভাবে দেশের প্রতিটি কোণে ভারতীয় জনতা পার্টির সাংসদরা নিজ নিজ এলাকায় খেল মহাকুম্ভের আয়োজন করছেন। এই শত শত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় হাজার হাজার কিশোর কিশোরী, যুবক-যুবতী, হাজারো প্রতিভাবান খেলোয়াড় বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করছেন। এভাবে এই ‘সাংসদ ক্রীড়া মহাকুম্ভ’ -এর মাধ্যমে দেশের হাজার হাজার নতুন প্রতিভা উঠে আসছে।

বন্ধুগণ,

কেন্দ্রীয় সরকার এখন জেলাস্তর এবং স্থানীয় স্তর পর্যন্ত ক্রীড়া অনুকূল সুযোগ-সুবিধা গড়ে তুলছে বলেই এইসব কিছু সম্ভব হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত দেশের শতাধিক জেলায় লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতীর জন্য প্রয়োজণীয় ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। রাজস্থানেও কেন্দ্রীয় সরকার অনেক শহরে প্রয়োজনীয় ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে। আজ দেশে একের পর এক ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ও স্থাপিত হচ্ছে এবং এই খেল মহাকুম্ভের মতো বড় বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতাও অত্যন্ত পেশাদার পদ্ধতিতে আয়োজন করা হচ্ছে। এ বছরের বাজেটে জাতীয় ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়কে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে। ক্রীড়া ব্যবস্থাপনা এবং ক্রীড়া প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুকূল ক্রীড়া প্রশিক্ষণের পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য আমাদের এই প্রচেষ্টা। এর ফলে, আমাদের দেশের নবীন প্রজন্ম ক্রীড়াকে পেশা হিসাবে বেছে নেওয়ার কথা ভাবতে পারবেন এবং নিজেদের পেশাদার হিসাবে গড়ে তুলতে পারবেন।

বন্ধুগণ,

অর্থের অভাবে কোনও যুবক-যুবতী যাতে পিছিয়ে না পড়ে, সেদিকেও আমাদের সরকার লক্ষ্য রেখেছে। উন্নত মানের ক্রীড়া প্রদর্শনকারী খেলোয়াড়দের কেন্দ্রীয় সরকার এখন বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সাহায্য করে। প্রধান ক্রীড়া পুরস্কারগুলির প্রদেয় অর্থের পরিমাণও এখন তিন গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অলিম্পিকের মতো বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের পাশে এখন সরকার পূর্ণ শক্তি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ‘টপস্‌’ – এর মতো কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের মাধ্যমে এ ধরনের বড় প্রতিযোগিতার জন্য অনেক বছর আগে থেকেই খেলোয়াড়দের প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রস্তুতির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

|

বন্ধুগণ,

ক্রীড়া ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যে কোনও খেলোয়াড়ের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাঁর ফিটনেস বজায় রাখা। আপনারা যদি ফিট থাকেন, তবেই সুপারহিট হবেন। আর এই ফিটনেস ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাঠে যতটা প্রয়োজনীয়, ততটাই আপনাদের জীবনের মাঠেও প্রয়োজনীয়। সেজন্য আজ খেলো ইন্ডিয়ার পাশাপাশি, দেশের জন্য ‘ফিট ইন্ডিয়া’ নামক একটি বড় অভিযানও জনপ্রিয় হচ্ছে। আমাদের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমাদের খাদ্যাভাস ও পুষ্টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেজন্য আমি আপনাদের সকলের সামনে একটি এমন অভিযানের কথা তুলে ধরতে চাই, যার সূত্রপাত ভারতে হয়েছে কিন্তু সেটি এখন একটি আন্তর্জাতিক অভিযানে পরিণত হয়েছে। আপনারা সকলেই হয়তো শুনেছেন, ভারতের প্রস্তাবে রাষ্ট্রসংঘ ২০২৩ সালকে আন্তর্জাতিক ‘মিলেট’ বর্ষ হিসাবে পালন করেছে। আর আমাদের রাজস্থান তো এই মিলেট অর্থাৎ মোটাদানার শস্যের জন্য একটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ পরম্পরার রাজ্য। এখন সারা দেশেই এই মোটাদানার শস্য জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই মোটাদানার শস্যকে দেশের সাধারণ মানুষ যাতে ‘শ্রী অন্ন’ নামে গ্রহণ করেন, সেদিকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। এ বছরের বাজেটেও এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এই মোটাদানার শস্যকে আমরা সুপার ফুড বলতে পারি। সেজন্যই আমি বলছি ‘শ্রী অন্ন’। আর সেজন্য রাজস্থানের শ্রী অন্ন বাজরা, শ্রী অন্ন জোয়ার – এরকম অসংখ্য মোটাদানার শস্য এখন শ্রী অন্ন নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, নতুনভাবে পরিচিত হচ্ছে। যাঁরা রাজস্থানকে জানেন, তাঁরা প্রত্যেকেই এই শ্রী অন্নগুলিকে খুব ভালোভাবেই জানেন। আমাদের রাজস্থানে বাজরা দিয়ে তৈরি ‘খিচড়া’ ও ‘চুরমা’ একবার খেলে কি কেউ ভুলতে পারবেন? আপনাদের মতো যুবসম্প্রদায়ের সকল মানুষের প্রতি আমার বিশেষ আহ্বান, আপনারা নিজেদের খাবারের থালায় সবসময়েই শ্রী অন্ন খাবেন অথবা শ্রী অন্ন দিয়ে তৈরি কিছু পদ রাখবেন। শুধু তাই নয়, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা যেন এগুলি খায়, তা সুনিশ্চিত করতে আপনারা ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডারের ভূমিকা পালন করুন।

বন্ধুগণ,

আজকের যুবসম্প্রদায়ের কখনই একটি ক্ষেত্রে সঙ্কুচিত থাকা উচিৎ নয়। তাঁরা যেমন বহু মেধায় মেধাবী, তেমনই বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। সেজন্য দেশও যুবসম্প্রদায়ের সর্বাঙ্গীন উন্নয়নের জন্য নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। একদিকে যুবসম্প্রদায়ের জন্য আধুনিক ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে, আর অন্যদিকে শিশু, কিশোর ও যুবক-যুবতীদের জন্য এবারের বাজেটে ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরীর প্রস্তাবও রাখা হয়েছে। এই ন্যাশনাল ডিজিটাল লাইব্রেরীর মাধ্যমে তাদের জন্য বিজ্ঞান, ইতিহাস, সমাজ শিক্ষা, সংস্কৃত ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের পুস্তক শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে ডিজিটাল মাধ্যমে রাখা হবে। এই ব্যবস্থা আপনাদের সকলের শিক্ষার অভিজ্ঞতাকে নতুন উচ্চতা প্রদান করবে, কম্প্যুটার ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তোমাদের সমস্ত তথ্যের যোগান সরবরাহ করা হবে।

|

বন্ধুগণ,

ক্রীড়া নিছকই কোনও বিদ্যা নয়, ক্রীড়া একটি অনেক বড় শিল্পোদ্যোগও। ক্রীড়া সংক্রান্ত সাজ-সরঞ্জাম উৎপাদনের মাধ্যমে বৃহৎ সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানও হয়। আমাদের দেশে অধিকাংশই অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ এই সাজ-সরঞ্জামগুলি উৎপাদন করে। এবারের বাজেটে ক্রীড়া ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। আমি আপনাদের আরেকটি প্রকল্প সম্পর্কে বলতে চাই। এই প্রকল্পটি হ’ল – পিএম বিশ্বকর্মা কৌশল সম্মান বা সংক্ষেপে পিএম বিকাশ যোজনা। যাঁরা নিজেদের হস্ত শিল্পের নৈপুণ্যে বা হাতে চালানো যন্ত্রপাতির মাধ্যমে স্বনির্ভর প্রকল্প চালান, ক্রীড়া সরঞ্জাম উৎপাদনের পাশাপাশি অনেকের কর্মসংস্থানও সুনিশ্চিত করেন, তাঁদের জন্য এই প্রকল্প অনেক সহায়ক হয়ে উঠবে। তাঁদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান থেকে শুরু করে তাঁদের জন্য নতুন বাজার গড়ে তোলা পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে পিএম বিকাশ যোজনার মাধ্যমে সবধরনের সাহায্য করা হবে। আমাদের যুবসম্প্রদায়ের জন্য এই প্রকল্প কর্মসংস্থানের এবং স্বনির্ভর প্রকল্প গড়ে তোলার সুযোগ প্রশস্ত করবে।

বন্ধুগণ,

যেখানে প্রচেষ্টা আন্তরিক হয়, সেখানে পরিণামও সুনিশ্চিত হয়। ভারত যে আন্তরিক পদক্ষেপগুলি নিয়েছে, তার ফল আমরা টোকিও অলিম্পিক্সে দেখেছি, কমনওয়েলথ ক্রীড়া প্রতিযোগিতাতেও দেখেছি। জয়পুর মহাখেল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকলের প্রচেষ্টা ও কঠোর পরিশ্রম ভবিষ্যতে এমনই সুন্দর পরিণাম এনে দেবে বলে আমার বিশ্বাস। আপনারাই দেশের জন্য অনেক স্বর্ণপদক এবং রৌপ্যপদক জয় করে আনবেন। আপনারা যদি দৃঢ় সংকল্প নিয়ে পরিশ্রম করে যান, তা হলে আপনারা নিশ্চিতভাবেই পরবর্তী অলিম্পিক্স প্রতিযোগিতাগুলিতে ভারতের ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। আপনারা যে ক্ষেত্রেই অংশগ্রহণ করুন না কেন, সেখানেই দেশের নাম উজ্জ্বল করবেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমাদের যুবসম্প্রদায় দেশের সাফল্যকে অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই আকাঙ্খা নিয়ে আপনাদের সকলকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেক অনেক শুভকামনা।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Rs 1332 cr project: Govt approves doubling of Tirupati-Pakala-Katpadi single railway line section

Media Coverage

Rs 1332 cr project: Govt approves doubling of Tirupati-Pakala-Katpadi single railway line section
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister pays tributes to Bhagwan Mahavir on Mahavir Jayanti
April 10, 2025

The Prime Minister, Shri Narendra Modi paid tributes to Bhagwan Mahavir on the occasion of Mahavir Jayanti today. Shri Modi said that Bhagwan Mahavir always emphasised on non-violence, truth and compassion, and that his ideals give strength to countless people all around the world. The Prime Minister also noted that last year, the Government conferred the status of Classical Language on Prakrit, a decision which received a lot of appreciation.

In a post on X, the Prime Minister said;

“We all bow to Bhagwan Mahavir, who always emphasised on non-violence, truth and compassion. His ideals give strength to countless people all around the world. His teachings have been beautifully preserved and popularised by the Jain community. Inspired by Bhagwan Mahavir, they have excelled in different walks of life and contributed to societal well-being.

Our Government will always work to fulfil the vision of Bhagwan Mahavir. Last year, we conferred the status of Classical Language on Prakrit, a decision which received a lot of appreciation.”