নমস্কার!
দেশের আইটিআই-গুলির ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলাপচারিতার এক সুযোগ আজ আমার সামনে উপস্থিত। দক্ষতা উন্নয়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমাজ, শিক্ষা জগতের অন্যান্য বিশিষ্টজন এবং ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ!
আমাদের দেশে একুশ শতকের উপযোগী এক নতুন ইতিহাস আজ রচিত হয়েছে। এই প্রথম আয়োজিত হয়েছে আইটিআই-গুলির ৯ লক্ষেরও বেশি ছাত্রছাত্রীদের ‘কৌশল দীক্ষান্ত সমারোহ’ । ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে ৪০ লক্ষেরও বেশি ছাত্রছাত্রী আজ এই অনুষ্ঠানে আমাদের সঙ্গে উপস্থিত। ‘কৌশল দীক্ষান্ত সমারোহ’-এর সাফল্য আমি কামনা করি। এটি এক শুভ উপলক্ষ বিশেষ। আজ আবার দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার জন্মবার্ষিকীও বটে। এ হল এক আশ্চর্যজনক সমাপতন যখন ‘কৌশল দীক্ষান্ত সমারোহ’-এর মধ্য দিয়ে আপনারা দক্ষতার সঙ্গে উদ্ভাবনের পথে প্রথম পদক্ষেপ রাখতে চলেছেন। আমি দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গেই বলতে পারি যে ভবিষ্যতের পথে আপনাদের যাত্রা সৃজনধর্মী হয়ে উঠতে চলেছে। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা জয়ন্তী উপলক্ষে আপনাদের এবং সকল দেশবাসীকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা।
বন্ধুগণ,
বিশ্বকর্মা জয়ন্তী হল দক্ষতা বিকাশের উৎসব। একজন ভাস্কর নির্মিত মূর্তিকে আমরা কখনই ঈশ্বর বলতে পারি না যতক্ষণ না তার মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠা ঘটে। গর্বের বিষয়, বিশ্বকর্মা জয়ন্তী উপলক্ষে আপনাদের দক্ষতাকে আজ সম্মান জানানোর পাশাপাশি স্বীকৃতিও দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বকর্মা জয়ন্তী হল প্রকৃত অর্থে উদ্যমী ও কঠোর পরিশ্রমী ব্যক্তিকে সম্মান জানানোর দিন। বিশ্বকর্মার মধ্য দিয়েই তাঁর আবির্ভাব ঘটে। এর অর্থ হল, আপনাদের দক্ষতার মধ্যেই নিহিত রয়েছে ঈশ্বরের অংশবিশেষ। তাই, আজকের এই অনুষ্ঠানটিকে আমি দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার উদ্দেশ্যে আবেগঘন শ্রদ্ধা নিবেদনের এক উপলক্ষে বলেই মনে করি। ‘কৌশলাঞ্জলি’ বা ‘কর্মাঞ্জলি’ – যে নামেই আমরা অভিহিত করি না কেন, বিশ্বকর্মার জন্মবার্ষিকীর দিনটিকে এত চমৎকারভাবে উদযাপনের সুযোগ বোধহয় খুব কমই পাওয়া যায়।
বন্ধুগণ,
গত আট বছরে ভগবান বিশ্বকর্মার অনুপ্রেরণায় দেশে বহু নতুন নতুন কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। ‘শ্রমেব জয়তে’ ঐতিহ্যের পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা এখন অব্যাহত। দক্ষতা বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপের মাধ্যমে দেশ এখন দক্ষতাকে আরও একবার সম্মান জানাতে শিখেছে। এই শতকটিকে ‘ভারতের শতক’ রূপে চিহ্নিত করতে ভারতের ছাত্রছাত্রীদের এখন থেকেই শিক্ষার্জনের পাশাপাশি সুদক্ষও হয়ে ওঠা প্রয়োজন। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে দেশের সরকার তরুণ ও যুবকদের দক্ষতা বিকাশের বিষয়টিকে এক বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছে। এই লক্ষ্যে গড়ে তোলা হচ্ছে বহু নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান। ভারতে প্রথম আইটিআই স্থাপিত হয় ১৯৫০ সালে। পরবর্তী সাতটি দশকে আইটিআই-এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় মোট ১০ হাজার। কিন্তু আমাদের সরকারের বিগত মাত্র আট বছরে সারা দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৫ হাজারটি নতুন আইটিআই। এই সময়কালে দেশের বিভিন্ন আইটিআই প্রতিষ্ঠানগুলিতে নতুন আসন সংখ্যা যোগ করা হয়েছে ৪ লক্ষেরও বেশি। এছাড়াও, জাতীয় দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, ভারতীয় দক্ষতা প্রতিষ্ঠান এবং হাজার হাজার দক্ষতা বিকাশ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। বিদ্যালয় পর্যায়ে দক্ষতা বিকাশের জন্য ৫ হাজারেরও বেশি দক্ষতা বিকাশ কেন্দ্র স্থাপিত হতে চলেছে আর কয়েক বছরের মধ্যেই। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে বিশেষ জোর দেওয়া হবে অভিজ্ঞতা-ভিত্তিক শিক্ষা ও পঠনপাঠনের ওপর। দেশের বিদ্যালয়গুলিতে দক্ষতা বিকাশের লক্ষ্যে বিশেষ শিক্ষাসূচিও চালু করা হচ্ছে।
আইটিআই-গুলির ছাত্রছাত্রীদের জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সরকার গ্রহণ করতে চলেছে। এর ফলে উপকৃত হবে সকল ছাত্রছাত্রীই। দশম মানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী আইটিআই-গুলিতে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁরা পরবর্তীকালে খুব সহজেই জাতীয় মুক্ত বিদ্যালয় থেকে দ্বাদশ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার শংসাপত্রও লাভ করতে পারবেন। এর ফলে পরবর্তী পর্যায়ে পঠনপাঠন চালিয়ে যাওয়ার বিশেষ সুবিধা হবে সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীদের। আইটিআই-গুলি থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা দেশের সেনাবাহিনীতে নিয়োগেরও বিশেষ সুযোগ লাভ করবেন। এই কারণে আইটিআই-গুলির স্নাতকদের জন্য সেনাবাহিনীতে যোগদানের সুযোগ এখন উন্মুক্ত।
বন্ধুগণ,
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলির (আইটিআই) একটি বড় ভূমিকা রয়েছে ভারতের সাফল্যকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে। মনে রাখতে হবে যে যুগ ও সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছে কাজের ধরন-ধারণও। এই কারণে সরকার বিশেষভাবে নজর দিয়েছে যাতে আইটিআই-এ পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের সামনে প্রতিটি আধুনিক পাঠক্রমের সুযোগ উন্মুক্ত থাকে। বর্তমানে কোডিং, কৃত্রিম মেধা, রোবোটিক্স, থ্রি-ডি প্রিন্টিং, ড্রোন প্রযুক্তি, টেলি-মেডিসিন সহ বিভিন্ন কোর্স চালু করা হয়েছে দেশের আইটিআই-গুলিতে। পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি, সৌরশক্তি এবং বিদ্যুৎচালিত যানের ক্ষেত্রে ভারত বর্তমানে এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এই ধরনের পাঠক্রম দেশের বিভিন্ন আইটিআই প্রতিষ্ঠানগুলিতে চালু হওয়ার ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ আপনাদের সামনে আরও প্রসারিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।
বন্ধুগণ,
দেশে প্রযুক্তির প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগও ক্রমশ প্রসারিত হচ্ছে। দেশ যখন প্রতিটি গ্রামকে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে যুক্ত করে লক্ষ লক্ষ সাধারণ পরিষেবা কেন্দ্র স্থাপন করছে, তখন আইটিআই-গুলি থেকে পাশ করা গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের সামনে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগও উন্মুক্ত হচ্ছে। মোবাইল ফোন সারানো থেকে শুরু করে নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তি, ড্রোনের সাহায্যে সার অথবা কীটনাশক ছড়ানো এবং আরও নতুন নতুন কর্মসংস্থান বর্তমানে গ্রামীণ অর্থনীতির এক বিশেষ অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এই ক্ষেত্রগুলিতে আইটিআই-গুলির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এই সমস্ত সম্ভাবনার সুফল লাভ করতে পারে আইটিআই থেকে উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা। এই প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে সরকার বর্তমানে আইটিআই-গুলির মানোন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে।
বন্ধুগণ,
দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি ‘সফট স্কিল’-এর সঙ্গে সড়গড় হয়ে উঠতে হবে আজকের তরুণ ও যুব সমাজকে। দেশের আইটিআই-গুলিতে এর ওপরও বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। কিভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিকল্পনা করা সম্ভব বা ব্যাঙ্ক থেকে কিভাবে ঋণের সুযোগ গ্রহণ করা যেতে পারে, আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করার পন্থাপদ্ধতিই বা কি, কিভাবে একটি নতুন কোম্পানি বা সংস্থাকে নথিভুক্ত করা হবে – এ সম্পর্কিত বিভিন্ন কোর্সও আইটিআই-গুলিতে চালু হয়েছে। সরকার গৃহীত এই বিশেষ পদক্ষেপের ফলশ্রুতিতে গুণগত মান ও বৈচিত্র্যের দিক থেকে ভারতে দক্ষতার বিষয়টি বর্তমানে এক অন্য মাত্রা লাভ করেছে। গত কয়েক বছরে আইটিআই থেকে উত্তীর্ণ আমাদের ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ব দক্ষতা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে অনেক ভালো ভালো পুরস্কারও অর্জন করতে পেরেছেন।
বন্ধুগণ,
দক্ষতা বিকাশের আরও একটি বিশেষ দিকও রয়েছে যে সম্পর্কে আলোচনা এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। যখন কোনও তরুণ বা যুবক শিক্ষা ও দক্ষতা – দু’দিক থেকেই পারদর্শী হয়ে ওঠেন, তখন তাঁর আত্মবিশ্বাস স্বতঃস্ফূর্তভাবেই বৃদ্ধি পেতে থাকে। দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে যখন তাঁর ক্ষমতায়ন ঘটে, তখন তাঁর মনে প্রথমেই যে ভাবনাটি আসে তা হল - নিজের একটি উদ্যোগ কিভাবে শুরু করা যেতে পারে। স্বনির্ভর কর্মসংস্থানের এই ভাবনাকে বাস্তবায়িত করতে ‘মুদ্রা যোজনা’, ‘স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া’ এবং ‘স্ট্যান্ড-আপ ইন্ডিয়া’র মতো কয়েকটি বিশেষ কর্মসূচিও এখন চালু হয়েছে। এই কর্মসূচিগুলির আওতায় কোনরকম গ্যারান্টি ছাড়াই উদ্যোগ স্থাপনের জন্য ঋণ পাওয়া অনেক সহজ হয়ে উঠেছে। দেশ আজ আপনাদের হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আগামীদিনে কিন্তু আপনারাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। মনে রাখতে হবে যে আগামী ২৫ বছর আপনাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়কাল, ঠিক যেমনভাবে ২৫ বছরব্যাপী ‘অমৃতকাল’ গুরুত্বপূর্ণ আমাদের দেশের পক্ষে। আপনারা সকলেই ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচিটি এগিয়ে নিয়ে যেতে নেতৃত্ব দিতে পারেন। ভারতীয় শিল্পের আপনারাই হয়ে উঠতে পারেন মেরুদণ্ড। তাই, এক উন্নত ভারত তথা এক স্বনির্ভর ভারত গঠনের সঙ্কল্পকে সফল ও সার্থক করে তুলতে আপনাদের এক অনন্য ভূমিকা পালন করতে হবে।
বন্ধুগণ,
বিশ্বের বহু দেশেই তাদের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার কাজে দক্ষ শ্রমশক্তির প্রয়োজন। সুতরাং, দেশের পাশাপাশি বিদেশেও আপনাদের জন্য অনেক ভালো ভালো কাজের সুযোগ রয়েছে। পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে বিশ্বের বহু দেশই এখন ভারতের ওপর আস্থা স্থাপন করেছে এবং তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। করোনা সঙ্কটকালেও ভারত প্রমাণ করেছে তার যুবশক্তি তথা দক্ষ শ্রমশক্তি বড় বড় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে কতটা শক্তিধর হয়ে উঠতে পারে। আজ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই খুঁজে পাওয়া যাবে ভারতের যুবক ও তরুণ-তরুণীদের। কারণ, অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধানের পথ বাতলে দিতে তাঁরা যথেষ্ট দক্ষ। স্বাস্থ্য পরিষেবা, হোটেল ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল সমাধান, বিপর্যয় মোকাবিলা – সবক’টি ক্ষেত্রেই ভারতীয় যুবশক্তি আজ যথেষ্ট দক্ষ ও পারদর্শী। বিদেশ সফরকালে বিশ্বের বহু বড় বড় নেতাই আমাকে জানিয়েছেন যে তাঁদের দেশে কোনও একটি ভবন কিংবা কোনও একটি বিশেষ প্রকল্প নির্মাণ করা হয়েছে শুধুমাত্র ভারতীয় যুব ও শ্রমশক্তির সাহায্যে। তাই, তাঁদের এই আস্থা ও বিশ্বাসের পূর্ণ সুযোগ আপনাদের গ্রহণ করতে হবে।
বন্ধুগণ,
আজ আমি আপনাদের কাছে আরও একটি বিষয়ে আবেদন জানাতে চাই। যে শিক্ষা আজ আপনারা লাভ করেছেন তা আপনাদের ভবিষ্যতের পাথেয় হয়ে থাকবে। কিন্তু, ভবিষ্যতের উপযোগী দক্ষতা সম্পর্কেও আপনাদের সজাগ ও ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। তাই, দক্ষতার প্রশ্নে আপনাদের মন্ত্রই হবে - ‘দক্ষতা অর্জন, আরও বেশি মাত্রায় দক্ষতা অর্জন এবং দক্ষতার মানোন্নয়ন।’ মনে রাখতে হবে যে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই পরিস্থিতির অদলবদল হচ্ছে। সুতরাং, আপনাদের দক্ষতাকে বাড়িয়ে তুলতে এবং উদ্ভাবন প্রচেষ্টাকে যুগোপযোগী করে তুলতে আপনাদের তৎপর হতে হবে। কোন বিশেষ ক্ষেত্রে নতুন দক্ষতা অর্জন করতে পারলে আপনাদের পারদর্শিতা বৃদ্ধি পাবে বহুগুণে, সে বিষয়েও আপনাদের জ্ঞান আহরণ করতে হবে। তাই, নতুন নতুন দক্ষতা অর্জনের জন্য আপনারা প্রস্তুত থাকুন। আপনাদের শিক্ষা ও জ্ঞানকে সকলের মধ্যে ভাগ করে নিন। এইভাবে যদি আপনারা আরও এগিয়ে যেতে পারেন, তাহলে আমার বিশ্বাস যে ভবিষ্যতে এক নতুন ভারত গড়ে তুলতে আপনারাই আমাদের পথ প্রদর্শক হবেন।
বন্ধুগণ, এই প্রসঙ্গে আরও একটি কথা আমি বলতে চাই। আপনারা কখনই নিজেদের ছোট করে দেখবেন না। মনে রাখবেন, আপনাদের দক্ষতা, আপনাদের সক্ষমতা, নিষ্ঠা ও সঙ্কল্পই হল ভবিষ্যৎ ভারত গঠনের বৃহত্তম সম্পদ। তাই, আপনাদের মতো তরুণ ও যুবকদের সঙ্গে এখানে এইভাবে মিলিত হওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি বিশেষ গর্ব অনুভব করছি। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আশীর্বাদধন্য হয়ে উঠুন আপনারা – এই কামনা জানাই। আপনাদের দক্ষতা নিরন্তরভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকুক, এই শুভেচ্ছাও রইল আমার পক্ষ থেকে।
অনেক ধন্যবাদ!