কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় আমার সহকর্মী শ্রী ডি. ভি. সদানন্দ গৌরা জি, শ্রী মনসুখ মাণ্ডভিয়া জি, শ্রী অনুরাগ ঠাকুর জি, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী জয়রাম ঠাকুর জি, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কোনরাড কে সাংমা জি, উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী প্রেস্টন টিংসং জি, গুজরাটের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ভাই নিতিন প্যাটেল জি, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এই অনুষ্ঠানে যে সমস্ত জন ঔষধি কেন্দ্রের সঞ্চালকেরা যুক্ত হয়েছেন, এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী বন্ধুরা, চিকিৎসক এবং আমার ভাই ও বোনেরা!
যে সকল বন্ধুরা জন ঔষধি চিকিৎসক, জন ঔষধি জ্যোতি এবং জন ঔষধি সারথি, এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন, তাঁদের আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই!
বন্ধুরা,
জন ঔষধি প্রকল্পকে যাঁরা দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে পরিচালনা করছেন এবং এই প্রকল্পের কিছু সুবিধাভোগীদের সঙ্গে আজ আমার আলোচনা করার সুযোগ হয়েছে। এবং যে আলোচনা হয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট যে এই প্রকল্প দরিদ্র এবং বিশেষভাবে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির বড় বন্ধু হয়ে উঠেছে। এই প্রকল্প সেবা এবং কর্মসংস্থান দুইয়েরই মাধ্যম হয়ে উঠেছে। জন ঔষধি কেন্দ্রগুলিতে সস্তায় ওষুধের পাশাপাশি যুবকদের আয়ের সংস্থানও হচ্ছে।
এই কেন্দ্রগুলি থেকে বিশেষত আমাদের মা-বোনেদের জন্য মাত্র আড়াই টাকায় স্যানিটারি প্যাড পাওয়া যাচ্ছে, যার ফলে তাদের স্বাস্থ্যের ওপর একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এই কেন্দ্রগুলি থেকে এখনও পর্যন্ত ১২ কোটিরও বেশি স্যানিটারি প্যাড বিক্রি করা হয়েছে। একইরকমভাবে, 'জন ঔষধি জননী' অভিযানের আওতায় গর্ভবতী মহিলাদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান এবং সাপ্লিমেন্টও এখন এই সমস্ত জন ঔষধি কেন্দ্রগুলি থেকে পাওয়া যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, দেশে এমন ১ হাজারেরও বেশি জন ঔষধি কেন্দ্র রয়েছে যা পুরোপুরি মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত। অর্থাৎ, জন ঔষধি যোজনা মহিলাদের আত্মনির্ভরতার ক্ষেত্রে ক্ষেত্রেও সাহায্য করছে।
ভাই ও বোনেরা,
এই প্রকল্পের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে, আদিবাসী অঞ্চলের জনসাধারণ সস্তায় ওষুধ কিনতে পারছেন। আজকে শিলংয়ে ৭৫০০তম জন ঔষধি কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এটা স্পষ্ট যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে জন ঔষধি প্রকল্পের কতদূর বিস্তার হয়েছে।
বন্ধুরা,
৭৫০০তম জন ঔষধি কেন্দ্রের উদ্বোধন আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক কারন ৬বছর আগে পর্যন্ত দেশে এরকম ১০০টিও কেন্দ্র ছিল না। এবং এখন আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশে ১০ হাজারটি জন ঔষধি কেন্দ্রের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে চাই। আমি আজ রাজ্য সরকারদের কাছে, বিভাগীয় আধিকারিকদের কাছে একটি অনুরোধ করতে চাই। এবছর স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ। আমরা দেশের অন্তত ৭৫টি জেলায় ৭৫ বা তার থেকে বেশি জন ঔষধি কেন্দ্র শুরু করব। এবং আমরা তা আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই শুরু করব। এই উদ্যোগের ফলে দেশজুড়ে জন ঔষধি কেন্দ্রের ব্যাপক প্রসার হবে।
একইভাবে এই প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সংখ্যা বাড়াতেও লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা উচিত। এবার থেকে আমাদের ঠিক করতে হবে যে এখন জনঔষধি কেন্দ্রগুলিতে যত মানুষ আসেন, আমাদের সেই সংখ্যা দু থেকে তিনগুণ বাড়াতে হবে। এই দুটি বিষয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি এই কাজ সম্পন্ন হবে তত দরিদ্রদের উপকার হবে। এই জনঔষধি কেন্দ্রগুলি দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের প্রায় ৩৬শো কোটি টাকা সাশ্রয় করছে, যা আগে দামি ওষুধ কিনতে খরচ হয়ে যেত। অর্থাৎ, এখন এই পরিবারগুলি এই ৩৫শো কোটি টাকা পরিবারের প্রয়োজনে, ভালো কাজে খরচ করতে পারছে।
বন্ধুরা,
জনঔষধি প্রকল্পের দ্রুতগতিতে প্রসারের জন্য এই কেন্দ্রগুলির উৎসাহ-ভাতা ২.৫ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দলিত, আদিবাসী, মহিলা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানুষদের আলাদা করে আরও ২লক্ষ টাকার উৎসাহ-ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এই টাকা দিয়ে তাঁরা দোকান তৈরি এবং তার জন্য প্রয়োজনীয় আসবাব কিনতে পারবেন। এই সুযোগগুলির ফলে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ওষুধ শিল্প খাতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ভাই ও বোনেরা,
আজ ভারতে তৈরি, ওষুধ এবং অস্ত্রোপচারের সরঞ্জামের চাহিদা বেড়েছে। চাহিদা বাড়ার ফলে উৎপাদনও বাড়ছে। বিপুল সংখ্যায় কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হচ্ছে। আমি খুশি যে, এখন জনঔষধি কেন্দ্রগুলিতে হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিক সহ ৭৫টি আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সস্তায় আয়ুশ ওষুধ পাওয়ার ফলে রোগীদের সুবিধার পাশাপাশি আয়ুর্বেদ ও আয়ুশ ওষুধের ক্ষেত্রেরও অনেক লাভ হবে।
বন্ধুরা,
দীর্ঘদিন ধরে, দেশের সরকারী চিন্তাভাবনায় স্বাস্থ্যকে কেবল রোগ এবং চিকিৎসার বিষয় হিসেবে দেখা হত। তবে স্বাস্থ্যের পরিধি কেবল রোগ নিরাময় পর্যন্তই সীমাবদ্ধ নেই, এই বিষয়টি দেশের সমগ্র অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাঠামোকে প্রভাবিত করে। যে দেশের জনসংখ্যা, যে দেশের মানুষ-পুরুষ হোক, মহিলা হোক, শহরের হোক, গ্রামের হোক, প্রবীণ হোক, ছোট হোক, যুবক হোক, শিশু হোক - তারা যত স্বাস্থ্যবান হবেন, দেশ তত বেশি সক্ষম হবে। তাঁদের সুস্বাস্থ্য দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, দেশের শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
সেজন্যে, আমরা চিকিৎসার সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধের বিষয়টিকেও গুরুত্ব সহকারে দেখছি। স্বচ্ছ ভারত অভিযান হোক, শৌচাগার তৈরির অভিযান হোক, নিখরচায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হোক, আয়ুষ্মান ভারত যোজনা হোক, মিশন ঈন্দ্রধনুষ, পুষ্টি অভিযান, এই সবকিছুর পিছনে এই চিন্তাভাবনা ছিল। আমরা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে, আলাদা আলাদা ভাবে নয়,এক সামগ্রিক উদ্যোগে কাজ করেছি।
আমরা যোগকে বিশ্বে একটি নতুন পরিচিতি দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আজ, সারা বিশ্ব আন্তর্জাতিক যোগ দিবস অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে, পুরো মন দিয়ে পালন করছে। আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে যারা আগে আমাদের পথ্য, আমাদের মশলা আমাদের আয়ুশের সমাধানগুলি নিয়ে আলোচনা করতে দ্বিধাবোধ করত, তাঁরাই আজ গর্বের সঙ্গে অন্যদের এর গুণাবলী বলে বেড়ায়। আজকাল আমাদের হলুদের রপ্তানি এত বেড়ে গেছে যেন করোনার পরে সারা বিশ্বের মনে হয়েছে যে ভারতের অনেক কিছু দেওয়ার রয়েছে।
আজ সারা বিশ্ব ভারতের প্রশংসা করছে। আমাদের প্রচলিত পরম্পরাগত ওষুধের প্রশংসা করছে। আমাদের এখানে খাবারে যে জিনিসগুলি একসময় খুব প্রচলিত ছিল যেমন রাগী, কোরা, কোদা, জওয়ার বাজরা, এমন কয়েক ডজন গোটা শস্যদানা আমাদের দেশের খাদ্যশস্য পরম্পরা সমৃদ্ধ করেছে। আমি যখন গতবার কর্ণাটকে গেছিলাম, তখন সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা জি গোটা শস্যদানা নিয়ে একটি বড় প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলেন। এবং সেখানে ক্ষুদ্র কৃষকরা যত ধরণের গোটা শস্যদানার উৎপাদন করে, তাদের যত পুষ্টিগুণ রয়েছে, সেগুলি খুব ভালভাবে প্রদর্শন করা হয়েছিল। তবে আমরা জানি যে দেশে এই পুষ্টিকর শস্যগুলির উৎপাদনে তেমনভাবে জোর দেওয়া হয়নি। এই শস্যদানা দরিদ্ররা খায়, যাদের টাকা নেই, তারাই গোটা শস্য খায়, দেশে এইরকম মানসিকতা তৈরি হয়েছিল।
তবে আজ পরিস্থিতি হঠাৎ বদলে গেছে। এবং আমরা এই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য নিয়মিত চেষ্টা করেছি। আজ শুধু গোটা শস্যদানার উৎপাদন উৎসাহিত করা হচ্ছে তাই নয়, ভারতের উদ্যোগে রাষ্ট্রসংঘও ২০২৩ সালকে 'আন্তর্জাতিক গোটা শস্যদানা বর্ষ' হিসাবে ঘোষণা করেছে। এই মোটা শস্যদানাকে গুরুত্ব দেওয়ার ফলে আমাদের দেশে পুষ্টিকর খাদ্যও পাওয়া যাবে এবং আমাদের কৃষকদের রোজগারও বাড়বে। এবং এখনতো পাঁচতারা হোটেলগুলিতেও অর্ডার দেওয়ার সময় বলে দেওয়া হয় যে আমরা গোটা শস্যদানার অমুক খাবার খাব। কারণ ধীরে ধীরে সকলেই বুঝতে পারছেন এই গোটা শস্যগুলি শরীরের জন্য খুব দরকারী।
এবং এখন তো রাষ্ট্রসংঘ স্বীকার করেছে, সারা বিশ্ব স্বীকার করেছে, ২০২৩ সাল সারা বিশ্ব তা একটি বছর হিসেবে পালন করতে চলেছে। এবং এরফলে আমাদের ক্ষুদ্র কৃষকদের সবথেকে বেশি উপকার হবে কারণ তাঁরাই গোটা শস্যদানা উৎপাদন করে। তাঁরাই কঠোর পরিশ্রম করে এই শস্য উৎপাদন করেন।
বন্ধুরা,
গত বছর ধরে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে সমস্ত ধরণের বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করা হয়েছে। দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম ব্যক্তির কাছে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ, হার্ট স্টেন্ট, হাঁটুর অস্ত্রোপচারের সরঞ্জাম হোক, এই সমস্ত উপকরণের দাম বহুগুণ কমানো হয়েছে। এর ফলে জনসাধারণের বছরে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
আয়ুষ্মান প্রকল্পের আওতায় দেশের ৫০ কোটিরও বেশি দরিদ্র পরিবার পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা করাতে পারছে। এখনও পর্যন্ত দেড় কোটিরও বেশি মানুষ এর সুবিধা পেয়েছে। এর থেকেও জনসাধারণের প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। জনঔষধি, আয়ুষ্মান, স্টেন্টস এবং অন্যান্য সরঞ্জামের খরচ কমার কারণে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার সাশ্রয় হচ্ছে।
বন্ধুরা,
ভারত বিশ্বের ফার্মাসি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। সারা বিশ্ব আমাদের থেকে সাধারণ ওষুধ নেয় তবে আমাদের এখানে তাদের প্রতি এক ধরনের উদাসীনতা রয়েছে, তাঁদের উৎসাহ দেওয়া হয় নি। এখন আমরা তাতে জোর দিয়েছি। আমরা এধরনের ওষুধগুলিতে যথাসম্ভব জোর দিয়েছি যাতে জনসাধারণের অর্থ সঞ্চয় হয় এবং রোগ প্রতিরোধও হয়।
করোনাকালে, গোটা বিশ্ব ভারতীয় ওষুধের শক্তি বুঝতে পেরেছে। টিকা তৈরি সংস্থাগুলিরও একই অবস্থা ছিল। ভারতের কাছে বহু মারণ রোগের টিকা তৈরির ক্ষমতা ছিল তবে উৎসাহের অভাব ছিল। আমরা এই শিল্পকে উৎসাহিত করেছি এবং আজ ভারতে তৈরি টিকাগুলি আমাদের শিশুদের প্রাণ বাঁচাতে কাজে লাগছে।
বন্ধুরা,
দেশ আজ তার বিজ্ঞানীদের জন্য গর্বিত । আমাদের কাছে নিজের জন্য এবং সারা বিশ্বে সরবরাহ করার জন্য 'মেড ইন ইন্ডিয়া' টিকা রয়েছে। আমাদের সরকার এখানেও দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিশেষ যত্ন নিয়েছে। আজকের সরকারী হাসপাতালগুলিতে বিনামূল্যে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারী হাসপাতালগুলিতে বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা অর্থাৎ মাত্র আড়াইশ টাকার টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন কয়েক লক্ষ মানুষ ভারতে তৈরি টিকা নিচ্ছেন। যথাসময় আমিও আমার প্রথম ডোজ নিয়েছি।
বন্ধুরা,
দেশে সস্তা ও কার্যকর চিকিৎসার পাশাপাশি পর্যাপ্ত চিকিৎসাকর্মীরও সমানভাবে প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য আমরা গ্রামের হাসপাতাল থেকে মেডিকেল কলেজ এবং এইমস এর মতো সংস্থাগুলিতে এক সামগ্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে কাজ শুরু করেছি। গ্রামগুলিতে দেড় লক্ষ স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে, এর মধ্যে ৫০ হাজারেরও বেশি কেন্দ্রে পরিষেবা শুরু করা হয়েছে। এগুলি কেবল জ্বর, সর্দি-কাশি চিকিৎসাকেন্দ্র নয়, গুরুতর রোগের পরীক্ষার সুবিধা দেওয়ারও প্রচেষ্টা করা হয়েছে। এর আগে, যে ছোট ছোট পরীক্ষাগুলির জন্য শহরে দৌড়াতে হত, এখন এই স্বাস্থ্য ও সুস্থতা কেন্দ্রেই পাওয়া যাচ্ছে।
বন্ধুরা,
এবারের বাজেটে স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং স্বাস্থ্য খাতে সম্পূর্ণ সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর স্বাস্থ্য প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় যেমন বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র, ৬০০ টিরও বেশি জেলায় ক্রিটিক্যাল কেয়ার হাসপাতাল সহ প্রচুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী দিনে , করোনার মতো অতিমারি যাতে আমাদের এতটা উদ্বিগ্ন করতে না পারে, সেজন্য দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি অভিযান আরও ত্বরান্বিত করা হচ্ছে।
প্রতি তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটি মেডিকেল কলেজ তৈরির কাজ চলছে। গত ৬ বছরে প্রায় ১৮০ টি নতুন মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলা হয়েছে। ২০১৪ সালের আগে যেখানে দেশে প্রায় ৫৫ হাজার এমবিবিএস আসন ছিল, সেখানে গত ৬বছরে এতে ৩০ হাজারেরও বেশি আসন বাড়ানো হয়েছে। একইভাবে, স্নাতকোত্তর স্তরে যেখানে আগে ৩০ হাজার আসন ছিল, সেখানে আরও ২৪ হাজার নতুন আসন যুক্ত হয়েছে।
বন্ধুরা,
আমাদের শাস্ত্রে বলা হয়েছে-
'নাত্মার্থম নাপি কামার্থম, অদ্ভূত দয়াম প্রতি'
অর্থাৎ, চিকিৎসা বিজ্ঞান জীবের সেবার জন্য। এই ভাবনা নিয়েই, আজ সরকার চেষ্টা করছে যাতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সুবিধা থেকে যেন কেউ বঞ্চিত না হয়। আমাদের উদ্দেশ্য হল সস্তা চিকিৎসা, সুলভ চিকিৎসা, সর্বজনের জন্য চিকিৎসা ।
প্রধানমন্ত্রীর জনঔষধি প্রকল্পের নেটওয়ার্ক দ্রুত প্রসারিত হোক, এবং আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে যাক, এই ইচ্ছা নিয়ে আমি আপনাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এবং যে পরিবারে রোগী রয়েছেন, যাঁরা জনঔষধি প্রকল্পের সুবিধা নিয়েছেন, তাঁরা আরও বেশি মানুষকে এই সুবিধা নিতে অনুপ্রাণিত করুন। মানুষকে প্রতিদিন বোঝান। আপনারাও এর প্রচার করে তাঁদের সাহায্য করুন, সেবা করুন। এবং সুস্থ থাকার জন্য, ওষুধের পাশাপাশি, জীবনে কিছু নিয়ম অনুসরণ করা রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তার প্রতি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন।
আমি সবসময় আপনাদের স্বাস্থ্যের কামনা করি, আমি চাই আমার দেশের প্রতিটি নাগরিক সুস্থ থাকুন, কারণ আপনারা আমার পরিবারের সদস্য, আপনারাই আমার পরিবার। আপনাদের অসুস্থতা মানে আমার পরিবারের অসুস্থতা। আর সে কারণেই আমি চাই আমার দেশের সব নাগরিক সুস্থ থাকুক। তার জন্য প্রয়োজনীয় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে, খাবারের নিয়মগুলি অনুসরণ করতে হবে। যেখানে যোগ দরকার সেখানে যোগব্যায়াম করুন। অনুশীলন করুন, ফিট ইন্ডিয়া অভিযানে শামিল হোন। যদি আমরা শরীরের জন্য কিছু করলে তবে আমরা অবশ্যই রোগ এড়িয়ে যেতে পারব এবং অসুস্থ হলে জনঔষধি প্রকল্প লড়াই করার শক্তি দেবে।
এই এক প্রত্যাশা নিয়ে আমি আবারও আপনাদের সকলকে অনেক ধন্যবাদ জানাই এবং অনেক শুভকামনা জানাই।
ধন্যবাদ !