গোয়ার প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের টিকার প্রথম ডোজ ১০০ শতাংশ সম্পূর্ণ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা
অনুষ্ঠানে শ্রী মনোহর পারিক্করের কর্মধারাকে স্মরণ করা হয়েছে
‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস ও সবকা প্রয়াস’ – এর যথাযথ ফলফল গোয়া উপস্থাপিত করেছে : প্রধানমন্ত্রী
আমি জীবনে অনেক জন্মদিন পালন করেছি এবং সব জন্মদিনই একই রকম ছিল কিন্তু গতকাল আড়াই কোটি মানুষের টিকা পাওয়ার খবরে আমি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছি : প্রধানমন্ত্রী
গতকাল প্রতি ঘণ্টায় ১৫ লক্ষেরও বেশি, প্রতি মিনিটে ২৬ হাজারেরও বেশি ও প্রতি সেকেন্ডে ৪২৫টিরও বেশি ডোজ দেওয়া হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
গোয়ার প্রতিটি সাফল্য ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর ধারণার উদাহরণ হয়ে ওঠায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত : প্রধানমন্ত্রী
গোয়া শুধুমাত্র একটি রাজ্যই নয়, গোয়া হল ব্র্যান্ড ইন্ডিয়ার একটি শক্তিশালী অংশীদার : প্রধানমন্ত্রী

গোয়ার প্রাণশক্তিতে ভরপুর জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী প্রমোদ সাওয়ান্তজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সঙ্গী ও গোয়ার সুপুত্র শ্রীপাদ নায়েকজি, ডঃ ভারতীজি, পাওয়ারজি, গোয়া রাজ্যের মন্ত্রীগণ, উপস্থিত সাংসদ ও বিধায়কগণ, অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, সমস্ত করোনা যোদ্ধা এবং ভাই ও বোনেরা!

আমার গোয়ার সমস্ত ভাই ও বোনেরা, আপনাদের অভিনন্দন।

আপনাদের সবাইকে শ্রীগণেশ পরবের অনেক অনেক শুভকামনা। আগামীকাল অনন্ত চতুর্দশীর পবিত্র উৎসবে আমরা সবাই গণপতি বাপ্পাকে বিদায় জানাব, হাতে অনন্ত সূত্র বাঁধব। অনন্ত সূত্রের তাৎপর্য হল, এটি জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি আনে, দীর্ঘায়ুর আশীর্বাদ বহন করে।

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এই পবিত্র দিবসের আগে গোয়ার জনগণ নিজেদের হাতে জীবনের রক্ষাসূত্র অর্থাৎ, টিকা নেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ করেছেন, গোয়া রাজ্যের প্রত্যেক নাগরিক টিকার একটি ডোজ নিয়ে নিয়েছেন। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটা অনেক বড় কথা। সেজন্য সমস্ত গোয়াবাসীকে আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।

বন্ধুগণ,

গোয়া একটি এমন রাজ্য যেখানে ভারতের বিবিধতার শক্তি দেখা যায়। পূর্ব এবং পশ্চিমের সংস্কৃতি, আচার-ব্যবহার, খাদ্যাভ্যাস – সব এই রাজ্যে একত্রে দেখা যায়। এই রাজ্যে মহাসমারোহে গণেশ উৎসব যেমন পালিত হয়, দীপাবলিও তেমনই পালিত হয় আর ক্রিস্টমাসের সময় গোয়ার জাঁকজমক আরও বেড়ে যায়। এভাবেই গোয়া তার পরম্পরাকে পালন করে। ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর ভাবনাকে ক্রমাগত শক্তিশালী করে তোলা গোয়ার প্রতিটি সাফল্য শুধু আমাকে নয়, গোটা দেশকে আনন্দ দেয়, গর্বে ভরে তোলে।

ভাই ও বোনেরা,

এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে আমার নিজের বন্ধু, প্রকৃত কর্মযোগী স্বর্গীয় মনোহর পররিকরজির কথা মনে পড়া অত্যন্ত স্বাভাবিক। গত ১০০ বছরে মানবতার সবচাইতে বড় বিপর্যয়ের প্রতিরোধে গোয়া যেভাবে লড়াই করেছে, পররিকরজি যদি আজ আমাদের মধ্যে থাকতেন, তাহলে আপনাদের এই সাফল্যের জন্য নিশ্চিতভাবেই তিনি অনেক গর্বিত হতেন।

গোয়া আজ দেশে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও দ্রুততম টিকাকরণ অভিযান ‘সবাইকে টিকা, বিনামূল্যে টিকা’-র সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিগত কয়েক মাসে গোয়া ভারী বৃষ্টিপাত, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের বিরুদ্ধেও অত্যন্ত বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করেছে। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যেও প্রমোদ সাওয়ন্তজির নেতৃত্বে আপনারা অত্যন্ত বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করেছেন। এই প্রাকৃতিক সমস্যাগুলির মধ্যে করোনা টিকাকরণের গতি বজায় রাখার জন্য সমস্ত করোনা যোদ্ধাদের, স্বাস্থ্যকর্মীদের, টিম গোয়ার প্রত্যেক সদস্যকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। এখানে অনেক বন্ধু তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। তা থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে এই অভিযান কত কঠিন ছিল। প্রবল খরস্রোতা নদী পেরিয়ে টিকার বাক্স সুরক্ষিত রেখে দূরাদুরান্তে পৌঁছনোর জন্য কর্তব্য-ভাবনা যেমন চাই, সমাজের প্রতি ভক্তিও চাই, আর চাই অপ্রতীম সাহস। আপনাদের সবাই কখনও না থেমে অক্লান্ত পরিশ্রমের সঙ্গে মানবতার সেবা করছেন। আপনাদের এই সেবার কথা সব সময় মনে রাখা হবে।

বন্ধুগণ,

‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অউর সবকা প্রয়াস’ – এই মন্ত্রগুলি কত অসাধারণ পরিণাম আনতে পারে তা গোয়া, গোয়ার সরকার, গোয়ার জনগণ, গোয়ার করোনা যোদ্ধারা এবং সামনে থেকে যাঁরা লড়াই করে যাচ্ছেন সেই অগ্রণী কর্মীরা বাস্তবায়িত করে দেখিয়েছেন। সামাজিক এবং ভৌগোলিক সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য যে ধরনের সমন্বয় গোয়া দেখিয়েছে, এটা সত্যিই প্রশংসনীয়। সেজন্য প্রমোদজি আপনাকে এবং আপনার টিমকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। রাজধানী থেকে অনেক দূরে থাকা কেনাকোনা মহকুমাতেও রাজ্যের অন্যান্য মহকুমার মতোই দ্রুতগতিতে টিকাকরণ সম্পন্ন হওয়া এই সমন্বয়ের অনেক বড় উদাহরণ।

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে গোয়া তার গতিকে শ্লথ হতে দেয়নি। এই সময় যখন আমরা কথা বলছি, তখন রাজ্যের অনেক জায়গায় দ্বিতীয় ডোজ প্রদানের জন্য টিকা উৎসব চলছে। এরকম সৎ, একনিষ্ঠ প্রচেষ্টার ফলেই সম্পূর্ণ টিকাকরণ অভিযানে গোয়া দেশের অগ্রণী রাজ্যগুলির মধ্যে এগিয়ে রয়েছে। আর এটাও খুব ভালো কথা যে গোয়া শুধু রাজ্যবাসী নয়, গোয়ায় বেড়াতে আসা পর্যটক এবং পরিযায়ী শ্রমিকদেরও টিকা দিচ্ছে।

বন্ধুগণ,

আজ এই সুযোগে আমি দেশের সমস্ত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, স্বাস্থ্য প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের প্রশংসা করতে চাই। আপনাদের সকলের প্রচেষ্টাতেই গতকাল ভারতে একদিনে ২.৫ কোটিরও বেশি মানুষের টিকাকরণের রেকর্ড তৈরি হয়েছে। বিশ্বের বড় বড় এবং সমৃদ্ধ ও সামর্থ্যবান দেশগুলিও এরকম করতে পারেনি। গতকাল আমরা দেখছিলাম কিভাবে দেশবাসী কোভিড ড্যাশবোর্ড দেখছিল আর ক্রমবর্ধমান পরিসংখ্যান দেখে উৎসাহে টগবগ করছিল।

গতকাল প্রত্যেক ঘন্টায় গড়ে ১৫ লক্ষেরও বেশি টিকাকরণ হয়েছে। প্রত্যেক মিনিটে ২৬ হাজারেরও বেশি আর প্রত্যেক সেকেন্ডে ৪২৫-এরও বেশি মানুষ টিকা নিয়েছেন। সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ১ লক্ষেরও বেশি টিকাকরণ কেন্দ্রে এই টিকা দেওয়া হয়েছে। ভারতের নিজস্ব টিকা, টিকাকরণের জন্য এতবড় নেটওয়ার্ক, দক্ষ মানবসম্পদ – এইসব কিছুই ভারতের সামর্থ্যকে তুলে ধরে।

বন্ধুগণ,

গতকাল আপনাদের যে সাফল্য সেটা সমগ্র বিশ্বে শুধু টিকাকরণের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে নয়, ভারতের কতটা সামর্থ্য আছে তার পরিচয়ও তুলে ধরেছে। সেজন্য প্রত্যেক ভারতবাসীর কর্তব্য এই সাফল্যের জন্য গর্ব করা।

বন্ধুগণ,

আমি আজ একটি মনের কথা বলতে চাই। আমার জীবনে জন্মদিন তো অনেক এসেছে, কিন্তু এইসব বিষয় নিয়ে আমি সবসময়ই নিষ্পৃহ, এসব আড়ম্বর থেকে সবসময় দূরে থাকার চেষ্টা করি। কিন্তু গতকাল এত বছর বয়সে এসে দিনটি আমার জন্য অত্যন্ত আবেগপূর্ণ ছিল। জন্মদিন পালনের অনেক পদ্ধতি থাকে। মানুষ নানাভাবে জন্মদিন পালন করে আর যেভাবেই পালন করুক, জন্মদিন পালন করে কেউ কোনও অন্যায় করে বলে আমি মনে করি না। কিন্তু আপনাদের সকলের প্রচেষ্টায় গতকালকের দিনটি আমার জন্য অনেক বিশেষ হয়ে উঠেছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের সকল মানুষ, যাঁরা বিগত ১.৫-২ বছর ধরে দিন-রাত পরিশ্রম করছেন, নিজের জীবনের পরোয়া না করে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশবাসীকে সাহায্য করছেন, তাঁরা গতকাল যেভাবে টিকাকরণের রেকর্ড তৈরি করে দেখিয়েছেন, এটা আমার জন্য অনেক বড় কথা। প্রত্যেকেই এতে অনেক সহযোগিতা করেছে। আপনারা এটাকে সেবার সঙ্গে জুড়েছেন। আপনাদের মনের এই করুণাভাব, এই কর্তব্য পরায়ণতার ফলেই একদিনে ২.৫ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

আর আমি মনে করি টিকার প্রত্যেক ডোজ এক একটি জীবন রক্ষায় সাহায্য করে। ২.৫ কোটিরও বেশি মানুষ এত কম সময়ে এত বড় সুরক্ষা কবচ পেয়েছেন যে, এটা আমাকে খুব আনন্দ দিয়েছে। আরও জন্মদিন আসবে, যাবে; কিন্তু গতকালকের এই দিনটা আমার মনকে ছুঁয়ে গেছে, অবিস্মরণীয় করে তুলেছে। আমি সেজন্য দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের যতই ধন্যবাদ জানাই না কেন তা কম হবে। আমি অন্তর থেকে প্রত্যেক দেশবাসীকে প্রণাম জানাই। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

ভাই ও বোনেরা,

ভারতের টিকাকরণ অভিযান নিছকই স্বাস্থ্যের সুরক্ষা কবচ নয়, একভাবে এটা পেশার সুরক্ষা কবচও। ইতিমধ্যেই হিমাচলে প্রথম ডোজের ১০০ শতাংশ হয়ে গেছে। গোয়াতেও ১০০ শতাংশ হয়ে গেছে। চণ্ডীগড় ও লাক্ষাদ্বীপেও প্রত্যেক নাগরিকের প্রথম ডোজ সম্পন্ন হয়েছে। সিকিমেও শীঘ্রই ১০০ শতাংশ হতে চলেছে। আন্দামান-নিকোবর, কেরল, লাদাখ, উত্তরাখণ্ড, দাদরা ও নগর হাভেলিতেও ১০০ শতাংশ হতে বেশিদিন লাগবে না।

বন্ধুগণ,

এটা আমরা অনেকেই শুনেছি যে দেশে পর্যটন উন্নয়ন বাস্তবায়নের জন্য বিখ্যাত রাজ্যগুলি টিকাকরণ অভিযানকে অনেক বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছে। আগে আমরা এটা ঘোষণা করিনি, কারণ তাহলে এক্ষেত্রেও অনেকে রাজনীতির গন্ধ পেতেন। কিন্তু এটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল যে আমাদের পর্যটন গন্তব্যগুলি যত দ্রুত সম্ভব শঙ্কামুক্ত হবে। এখন উত্তরাখণ্ডেও চারধাম যাত্রা সম্পন্ন করা সম্ভব হবে আর এ সকল প্রচেষ্টার মধ্যে গোয়াতে ১০০ শতাংশ টিকাকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য।

পর্যটন ক্ষেত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে গোয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা ভাবুন, হোটেল ইন্ডাস্ট্রি থেকে শুরু করে ট্যাক্সি ড্রাইভার, ফেরিওয়ালা, দোকানদার – সবাই যখন টিকা নিয়েছেন, তখন পর্যটকরা নিজেদের মনে একটা নিরাপত্তার ভাবনা নিয়ে এখানে আসবেন। এভাবে আজ গোয়া আবার বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকটি আন্তর্জাতিক পর্যটন গন্তব্যের মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছে। সেজন্য জনগণ টিকার সুরক্ষা কবচ পেয়েছে।

বন্ধুগণ,

আগামী পর্যটন ঋতুতে এখানে আগের মতোই পর্যটকদের ভিড় হবে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকরা এখানে আনন্দ নিতে আসবেন। এটাই আমাদের সকলের কামনা। এটা তখনই সম্ভব হবে, যখন আমরা করোনা সংক্রান্ত সাবধানতার দিকে ততটাই নজর দেব, যতটা টিকাকরণের দিকে দিয়েছি। সংক্রমণ কমেছে, কিন্তু এখনও আমাদের এই ভাইরাসকে সহজভাবে নেওয়া উচিৎ নয়। নিরাপত্তা এবং পরিচ্ছন্নতাকে যতটা অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, তত বেশি সংখ্যক পর্যটক এখানে আসবেন।

বন্ধুগণ,

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশি পর্যটকদের উৎসাহ যোগানোর জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। ৫ লক্ষ পর্যটককে বিনামূল্যে ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভ্রমণ ও পর্যটন-সংশ্লিষ্ট সকলকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ ১০০ শতাংশ সরকারি গ্যারান্টির মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। রেজিস্টার্ড ট্যুরিস্ট গাইডরাও ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন। কেন্দ্রীয় সরকার ভবিষ্যতেও সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে দায়বদ্ধ যা দেশের পর্যটন ক্ষেত্রকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়ক হবে।

বন্ধুগণ,

গোয়ার পর্যটন ক্ষেত্রকে আকর্ষক করে তোলার জন্য, এখানকার কৃষক, মৎস্যজীবী এবং অন্যান্য সকলের সুবিধার জন্য এই রাজ্যের ডবল ইঞ্জিনের সরকার দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে পরিকাঠামো উন্নয়ন করছে। বিশেষ করে, গোয়াতে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির স্বার্থে সব ধরনের সম্ভাব্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে। ‘মোতা’য় নির্মীয়মান গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্ট আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে। এই এয়ারপোর্টকে জাতীয় মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে ছয় লেনবিশিষ্ট একটি আধুনিক সংযোগ রক্ষাকারী মহাসড়ক গড়ে তোলা হচ্ছে। কেবল জাতীয় মহাসড়ক নির্মাণ খাতেই বিগত বছরগুলিতে গোয়ায় কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।

এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে নর্থ গোয়াকে সাউথ গোয়ার সঙ্গে যুক্ত করার জন্য ‘ঝুড়ি ব্রিজ’-এর উদ্বোধনও আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই হতে চলেছে। আর আপনারা জানেন যে এই সেতু পানাজিকে মার্গো-র সঙ্গে যুক্ত করবে। আমাকে বলা হয়েছে যে, গোয়া মুক্তি সংগ্রামের অসাধারণ কাহিনীর সাক্ষী আগৌড়া দুর্গও দ্রুত জনগণের জন্য আবার খুলে দেওয়া হবে।

ভাই ও বোনেরা,

গোয়ার উন্নয়নের যে ঐতিহ্য মনোহর পররিকরজি রেখে গেছেন তাকে আমার বন্ধু ডঃ প্রমোদজি এবং তাঁর টিম পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার অমৃতকালে যখন দেশ আত্মনির্ভরতার নতুন সঙ্কল্প নিয়ে এগিয়ে চলেছে, তখন গোয়াও স্বয়ংসম্পূর্ণ গোয়া হয়ে ওঠার সঙ্কল্প নিয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে, আত্মনির্ভর ভারত, স্বয়ংসম্পূর্ণ গোয়ার এই সঙ্কল্পের মাধ্যমে গোয়ায় ৫০টিরও বেশি ক্ষেত্রে নির্মাণকার্য শুরু হয়েছে। এ থেকে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় যে গোয়া জাতীয় লক্ষ্য প্রাপ্তির জন্য, যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ গড়ে তোলার জন্য কতটা ঐকান্তিকতা নিয়ে কাজ করে চলেছে।

বন্ধুগণ,

আজ গোয়া শুধুই কোভিড টিকাকরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে না, উন্নয়নের ক্ষেত্রেও দেশের অগ্রণী রাজ্যগুলির অন্যতম হয়ে উঠেছে। গোয়ার গ্রামীণ এবং শহুরে অঞ্চল খোলা জায়গায় শৌচ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ এবং জলের মতো প্রাথমিক সুবিধাগুলি সুনিশ্চিত করতে গোয়ায় খুব ভালো কাজ হচ্ছে। গোয়া দেশের মধ্যে এমন একটি রাজ্যে যেখানে ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকীকরণ হয়েছে। প্রত্যেক বাড়িতে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রেও গোয়ায় অসাধারণ সাফল্য এসেছে। বিশেষ করে গ্রামীণ ক্ষেত্রে এই সাফল্য অত্যন্ত প্রশংসনীয়। জল জীবন মিশনের মাধ্যমে বিগত দু’বছরে দেশে প্রায় ৫ কোটি পরিবারকে নলের মাধ্যমে জলের সুবিধাসম্পন্ন করে তুলেছে। এই অভিযানকে গোয়া যেভাবে এগিয়ে নিয়ে চলেছে, ‘গুড গভর্ন্যান্স’ এবং ‘ইজ অফ লিভিং’ নিয়ে গোয়া সরকারের অগ্রাধিকারকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।

ভাই ও বোনেরা,

করোনাকালের মধ্যেও গোয়া সরকার সুশাসন নিয়ে এই দায়বদ্ধতা দেখিয়েছে। সব ধরনের প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার গোয়াকে যত ধরনের সহায়তা পাঠিয়েছে তা দ্রুতগতিতে কোনরকম বৈষম্য না করে প্রত্যেক সুবিধাভোগীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ গোয়ার টিম সাফল্যের সঙ্গে করেছে। প্রত্যেক গরীব, কৃষক, মৎস্যজীবী বন্ধুর কাছে সাহায্য পৌঁছে দিতে কোনও চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি। মাসের পর মাস ধরে গোয়ার গরীব পরিবারগুলিতে সততার সঙ্গে বিনামূল্যে রেশন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। গোয়ার অনেক বোনেদের এই কঠিন সময়ে বিনামূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

গোয়ার কৃষক পরিবারগুলি পিএম কিষাণ সম্মান নিধির কয়েক কোটি টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পেয়েছেন। করোনাকালেই এখানে ছোট ছোট কৃষকদের মিশন মোডে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, গোয়ার পশুপালক ও মৎস্যজীবীরা প্রথমবার বিপুল সংখ্যায় কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সুবিধা পেয়েছেন। পিএম স্বনিধি যোজনার মাধ্যমেও গোয়াতে ঠেলাওয়ালা এবং রেললাইনের দু’ধারে পসরা সাজানো হকারদের দ্রুতগতিতে ঋণ দেওয়ার কাজ চলছে। এই সকল প্রচেষ্টার ফলে গোয়ার জনগণ বন্যার সময়েও অনেক সাহায্য পেয়েছেন।

বন্ধুগণ,

গোয়া অসীম সম্ভাবনার রাজ্য। শুধু রাজ্য নয়, ব্র্যান্ড ইন্ডিয়ার একটি উজ্জ্বল পরিচয় তুলে ধরে। এটা আমাদের সকলের দায়িত্ব যে গোয়ার এই ভূমিকাকে আমরা আরও সম্প্রসারিত করব। গোয়াতে আজ যত ভালো কাজ হচ্ছে, সেগুলি যেন নিরন্তর জারি থাকে তা সুনিশ্চিত করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। দীর্ঘকাল পর গোয়া রাজনৈতিক স্থিরতা এবং সুশাসনের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে।

উন্নয়নের এই ধারা গোয়ার জনগণ যাতে এভাবেই বজায় রাখেন, সেই কামনা নিয়ে আপনাদের সবাইকে আরেকবার অনেক অনেক শুভেচ্ছা, প্রমোদজি এবং তাঁর গোটা টিমকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

ঈশ্বর আপনাদের সকলের মঙ্গল করুন।

ধন্যবাদ!

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।