“এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত ভাবনায় খেলো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে”
“ভারতে গত ৯ বছরে ক্রীড়া জগতে এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে, যেখানে খেলাধূলার মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়নের যুগ শুরু হয়েছে”
“খেলাধূলাকে এখন বিকল্প জীবিকা হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে এবং খেলো ইন্ডিয়া অভিযান এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে”
“জাতীয় শিক্ষা নীতিতে খেলাধূলাকে একটি বিষয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যেখানে এটি পাঠ্যসূচির অন্তর্গত থাকবে”
“ভারতের চিরায়ত খেলাগুলির হৃত সম্মান খেলো ইন্ডিয়ার মধ্য দিয়ে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে”
“আপনাদের মেধা, আপনাদের উন্নতির মধ্যে ভারতের উন্নয়ন নিহিত রয়েছে; আপনারাই ভবিষ্যতের বিজয়ী”
“খেলাধূলা ক্ষুদ্র স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সমন্বিত প্রয়াসের সাফল্য অর্জন করতে আমাদের অনুপ্রাণিত করে”

উত্তর প্রদেশের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথজি, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী শ্রী অনুরাগ ঠাকুরজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য শ্রী নিশীথ প্রামাণিকজি, উত্তর প্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী ব্রিজেশ পাঠকজি, অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ আর খেলো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সমস্ত খেলোয়াড়,  আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

আজ উত্তরপ্রদেশ সারা দেশের সমস্ত যুব ক্রীড়া প্রতিভার মহাসঙ্গমে পরিণত হয়েছে। খেলো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যে ৪ হাজার খেলোয়াড় এসেছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের, ভিন্ন ভিন্ন এলাকার। আমি সংসদে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আজ সেজন্য উত্তরপ্রদেশের একজন সাংসদ হিসেবে খেলো ইন্ডিয়া ‘খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমস’ উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশে সমাগত সমস্ত খেলোয়াড়দের আমি বিশেষভাবে স্বাগত জানাই। এই ক্রীড়ার সমাপন সমারোহ কাশীতে আয়োজিত হবে। কাশীর সাংসদ হিসেবে আমি এই বিষয়টা নিয়ে অত্যন্ত উৎসাহিত। আজ যখন দেশ স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব পালন করছে তখন ‘খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমস’-এর তৃতীয় পর্বের এই আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। আমি  জানি, ‘খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমস’আজ এদেশের যুব সম্প্রদায়ের ‘টিম স্পিরিট’ বাড়ানোর, এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারতের ভাবনাকে উজ্জীবিত করার অত্যন্ত উৎকৃষ্ট মাধ্যম হয়ে উঠেছে। এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে সমাগত যুবক যুবতীরা পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হবেন, বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে সমাগত ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রত্যেকের মনে দেশের অন্যান্য এলাকা সম্পর্কে ধারণা তৈরি হবে, পরিচয় হবে। উত্তরপ্রদেশের ভিন্ন ভিন্ন শহরে যেসব প্রতিযোগিতার আয়োজন হবে সেই শহরগুলির সঙ্গেও সমাগত খেলোয়াড়দের সাক্ষাৎকার হবে, পরিচয় হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, যে নবীন খেলোয়াড়রা ‘খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমস’-এ অংশগ্রহণের জন্য এসেছেন, তাঁরা এমন সব অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরবেন, যা সারা জীবন ধরে তাঁদের জন্য স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে থাকবে। আমি আপনাদের সবাইকে যে যে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে এসেছেন, সেগুলিতে সাফল্যের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।

বন্ধুগণ,

বিগত ৯ বছরে ভারতে ক্রীড়া ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সুচনা হয়েছে। এই নতুন যুগ শুধুই ভারতকে বিশ্বে একটি বড় ক্রীড়া শক্তি হিসেবে গড়ে তোলার যুগ নয়, এটি ক্রীড়ার মাধ্যমে সমাজের ক্ষমতায়নেরও একটি নতুন যুগ। একটা সময় ছিল, যখন আমাদের দেশে খেলাধুলা নিয়ে একটা উদাসীনতার মনোভাব ছিল। খেলাধুলা যে একটা পেশা হয়ে উঠতে পারে, তা নিয়ে খুব কম মানুষই ভাবতেন। এর কারণ ছিল ক্রীড়া ক্ষেত্রে সরকারের যতটা সমর্থন এবং সহযোগিতা থাকা উচিত, সেই সমর্থন ও সহযোগিতা ছিল না। ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য কোনও বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হত না, খেলোয়াড়দের প্রয়োজনের দিকটা সম্পর্কেও সরকার উদাসীন ছিল। সেইজন্য গরিব এবং মধ্যবিত্ত শিশুদের জন্য, গ্রামগঞ্জের শিশুদের ক্রীড়া ক্ষেত্রে এগিয়ে আসার সমস্যা ছিল। সমাজেও এই ভাবনা বিস্তারলাভ করছিল যে খেলাধুলা শুধুই অবসর যাপনের উপায়। অধিকাংশ বাবা-মাও ভাবতেন যে ছেলে-মেয়েদের সেই পেশাতেই যাওয়া উচিত, যার মাধ্যমে তাঁদের জীবন ‘সেটল’ হবে। কখনও কখনও আমি ভাবি এই ‘সেটল’ হয়ে যাওয়ার মানসিকতার ফলে দেশ না জানি কত মহান খেলোয়াড়কে হারিয়েছে। কিন্তু আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে খেলা নিয়ে বাবা-মা এবং সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতে বড় পরিবর্তন এসেছে। অনেকেই জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রীড়াকে একটি আকর্ষণীয় পেশা হিসেবে দেখতে শুরু করেছেন। আর এই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনই ‘খেলো ইন্ডিয়া’ অভিযানে বড় ভূমিকা পালন করেছে।

বন্ধুগণ,

খেলাধুলার প্রতি বিগত সরকারগুলির মনোভাব কেমন ছিল, তার একটি জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ হল ‘কমন ওয়েলথ গেমস’ কেলেঙ্কারি। যে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বিশ্বে ভারতের প্রতিপত্তি স্থাপনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারতো, সেই প্রতিযোগিতাই কেলেঙ্কারির শিকার হল। আমাদের গ্রামগঞ্জের ছেলে মেয়েরা যাতে নিয়মিত খেলাধুলা করতে পারে তা সুনিশ্চিত করার জন্য আগে একটি প্রকল্প অবশ্যই ছিল – পঞ্চায়েত, যুবা, ক্রীড়া ও খেল অভিযান। পরবর্তী সময়ে এর নাম বদলে ‘রাজীব গান্ধী খেল অভিযান’ করে দেওয়া হল। এই অভিযানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার ছিল শুধুই নাম পরিবর্তন। দেশে ক্রীড়া পরিকাঠামো বিকশিত করার ক্ষেত্রে ততটা জোর দেওয়া হয়নি।

আগে গ্রাম হোক কিংবা শহর, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের সামনে সবচাইতে বড় সমস্যা ছিল যে তাদের পছন্দের খেলায় অনুশীলনের জন্য বাড়ি থেকে অনেক দূরে যেতে হতো। এক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের অনেক সময় নষ্ট হত, অনেক সময় দূরবর্তী শহরে গিয়ে থাকতে হতো। এই দূরত্বের কারণে অনেক যুবক যুবতি তাদের পছন্দের খেলাটি ছাড়তে বাধ্য হতেন। আমাদের সরকার আজ খেলোয়াড়দের এই অনেক দশক পুরনো সমস্যাটিও সমাধান করছে। ‘আর্বান স্পোর্টস ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ তৈরির যে প্রকল্প ছিল এক্ষেত্রে পূর্ববর্তী সরকার ৬ বছরে মাত্র ৩০০ কোটি টাকা খরচ করেছিল। সেই জায়গায় ‘খেলো ইন্ডিয়া’ অভিযানের মাধ্যমে আমাদের সরকার ইতিমধ্যেই ক্রীড়া পরিকাঠামো গড়ে তুলতে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। ক্রমবর্ধমান ক্রীড়া পরিকাঠামোর কারণেই এখন বেশি খেলোয়াড় সহজেই খেলাধুলার সঙ্গে যুক্ত হতে পারছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এখন পর্যন্ত ‘খেলো ইন্ডিয়া’ গেমসে ৩০ হাজারেরও বেশি এ্যাথলিট অংশগ্রহণ করেছে। এদের মধ্যে দেড় হাজার জন ‘খেলো ইন্ডিয়া এ্যাথলিটকে চিহ্নিত করে তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। আধুনিক ‘স্পোর্টস একাডেমি’তেও তাদের উন্নত মানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছরের কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বাজেটও ৯ বছর আগের তুলনায় ৩ গুণ বাড়ানো হয়েছে।

বর্তমানে গ্রামগুলির কাছাকাছি আধুনিক ক্রীড়া পরিকাঠামোও গড়ে উঠছে। দেশের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতেও এখন উন্নত মাঠ, আধুনিক স্টেডিয়াম, আধুনিক প্রশিক্ষণের সুবিধা গড়ে তোলা হচ্ছে। উত্তর প্রদেশেও ক্রীড়া প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে । লক্ষ্ণৌতে যে সুবিধাগুলি আগে থেকেই ছিল এখন তা সম্প্রসারিত করা হয়েছে। আজ বারাণসীর সিগরা স্টেডিয়াম আধুনিক রূপে গড়ে উঠছে। প্রায় ৪০০ কোটি টাকা খরচ করে এখানে তরুণদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা হচ্ছে। খেলো ইন্ডিয়া কর্মসূচির অধীনে, লালপুরে সিন্থেটিক হকি মাঠ, গোরখপুরের বীর বাহাদুর সিং স্পোর্টস কলেজের মাল্টিপারপাস হল, মিরাটে সিন্থেটিক হকি মাঠ এবং সাহারানপুরে সিন্থেটিক রানিং ট্র্যাক গড়ে তোলার জন্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে, খেলো ইন্ডিয়া কর্মসূচির অধীনে অনুরূপ সুবিধাগুলি আরও সম্প্রসারিত করা হবে।

বন্ধুগণ,

খেলোয়াড়রা যাতে বেশি সংখ্যক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায় সেদিকেও আমরা নজর দিয়েছি। আমরা জানি যে,খেলোয়াড়রা যত বেশি ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে, তাদের তত বেশি উপকার হয়, তাদের প্রতিভা তত বেশি বিকশিত হয়। তারা এটাও বুঝতে পারে যে আমরা কতটা জলে আছি, কোথায় আমাদের খেলার উন্নতি করতে হবে। আমাদের ত্রুটিগুলি কী, আমাদের ভুলগুলি কী, আমাদের চ্যালেঞ্জগুলি কী, কয়েক বছর আগে ‘খেলো ইন্ডিয়া স্কুল গেমস’ চালু করার পিছনে এটিও একটি বড় কারণ ছিল। আজ এই অভিযান ‘খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমস’ এবং ‘খেলো ইন্ডিয়া উইন্টার গেমস’ পর্যন্ত  প্রসারিত হয়েছে। দেশের হাজার হাজার খেলোয়াড় এই কর্মসূচির অধীনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তাদের মেধার জোরে এগিয়ে যাচ্ছে। এবং আমি খুশি যে ভারতীয় জনতা পার্টির অনেক সাংসদই এখন তাঁদের এলাকায় এই ‘খেলো ইন্ডিয়া’ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন। প্রতিটি সংসদীয় আসনে হাজার হাজার যুবক, ছেলে-মেয়ে খেলাধুলায় অংশ নেয়। আজ দেশও তার সুখকর ফল পাচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে, আমাদের খেলোয়াড়রা অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ প্রদর্শন করেছেন। এটা দেখায় আমাদের ভারতের তরুণ খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস আজ কতটা তুঙ্গে।

বন্ধুগণ,

খেলাধুলা সংক্রান্ত এবং দক্ষতা উন্নয়ন থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দের সর্বশ্রেষ্ঠ করে গড়ে তোলার জন্য অন্যান্য সাহায্য – সরকার প্রতিটি পদক্ষেপে খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমাদের নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতিতে ক্রীড়াকে একটি বিষয় হিসেবে পড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ক্রীড়া এখন পাঠ্যক্রমের একটি অংশ হতে যাচ্ছে। দেশের প্রথম জাতীয় ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা এক্ষেত্রে আরও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এখন রাজ্যগুলিতেও ‘স্পোর্টস স্পেশালাইজড’ উচ্চ শিক্ষা প্রচলনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ প্রশংসনীয় কাজ করছে। মীরাটের মেজর ধ্যানচাঁদ স্পোর্টস ইউনিভার্সিটির উদাহরণ আমাদের সামনে রয়েছে। এছাড়াও আজ সারা দেশে ১ হাজারটি খেলো ইন্ডিয়া কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। প্রায় দুই ডজন ‘ন্যাশনাল সেন্টার অফ এক্সিলেন্স’ও খোলা হয়েছে। দক্ষতা উন্নয়নের জন্য এই কেন্দ্রগুলিতে প্রশিক্ষণ এবং ক্রীড়া বিজ্ঞান সম্মত সব ধরণের সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। খেলো ইন্ডিয়া ভারতে দেশের ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলির হৃত মর্যাদাও পুনরুদ্ধার করেছে। আমাদের সরকার গাটকা, মল্লখাম্ব, থাং-টা, কালারিপয়ট্টু এবং যোগাসনের মতো বিভিন্ন ক্রীড়াশৈলিকে উৎসাহিত করতে বৃত্তি প্রদানও করছে।

বন্ধুগণ,

খেলো ইন্ডিয়া প্রকল্পের আরেকটি উৎসাহব্যঞ্জক সুফল হল আমাদের মেয়েদের অংশগ্রহণ। এখন দেশের অনেক শহরে খেলো ইন্ডিয়া উইমেন্স লিগের আয়োজন করা হচ্ছে। আমাকে বলা হয়েছে, এপর্যন্ত বিভিন্ন বয়সের প্রায় ২৩ হাজার মহিলা ক্রীড়াবিদ এতে অংশ নিয়েছেন। ‘খেলো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি গেমস’-এও বিপুল সংখ্যক মহিলা ক্রীড়া বিদদের অংশগ্রহণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমি বিশেষ করে এই প্রতিযোগিতাগুলিতে অংশগ্রহণকারী কন্যাদের আমার শুভকামনা জানাই।

বন্ধুগণ,

আপনাদের মতো সমস্ত নবীন খেলোয়াড়রা এমন একটি সময়ে খেলার মাঠে পা রেখেছেন, যে সময়টিকে ‘ভারতের সময়’ বলেই চিহ্নিত করা হচ্ছে। আপনার প্রতিভা, আপনার উন্নতিতেই ভারতের উন্নতি নিহিত। আপনারাই ভবিষ্যতের চ্যাম্পিয়ন। দেশের ত্রিবর্ণরঞ্জিত জাতীয় পতাকার গৌরব বৃদ্ধি করার দায়িত্ব আপনাদের সকলের। সেজন্য আপনাদের কিছু বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে। আমরা প্রায়ই স্পোর্টসম্যানশিপ টিম স্পিরিট বা খেলোয়াড় সুলভ মানসিকতা নিয়ে কথা বলি। এই টিম স্পিরিট ও খেলোয়াড় সুলভ মনোভাব আসলে কী? এই মনোভাব কি শুধু জয় পরাজয় মেনে নেওয়ার ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে? এটা কি শুধু টিমওয়ার্কের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে? আমার মনে হয়, খেলোয়াড় সুলভ মনোভাবের মানে এর থেকেও বিস্তৃত, ব্যাপক। খেলাধুলা আমাদের নিহিত স্বার্থের উর্ধে উঠে, সম্মিলিত সাফল্যকে অনুপ্রাণিত করে। ক্রীড়া আমাদের সবাইকে মর্যাদা পালন করতে শেখায়, নিয়ম মেনে চলতে শেখায়। অনেকবার মাঠের পরিস্থিতি আপনার বিরুদ্ধে হতে পারে। এটাও সম্ভব যে কখনো কোনোও সিদ্ধান্ত আপনার বিরুদ্ধে হতে পারে। কিন্তু খেলোয়াড়রা যেন তাঁদের সংযম না হারান, সর্বদাই তাঁরা যেন নিয়মের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ থাকেন। নিয়ম নীতির সীমারেখার মধ্যে থেকে ধৈর্য্যের সঙ্গে কিভাবে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করা যায় - এই পথ খোঁজাই একজন খেলোয়াড়ের পরিচয়। একজন বিজয়ী তখনই মহান খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন যখন সমাজ তাঁর প্রতিটি আচরণ থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করতে শুরু করে। অতএব, আপনাদের মতো সমস্ত তরুণ বন্ধুদের অবশ্যই খেলার সময় এই বিষয়গুলি মনে রাখতে হবে। আমি নিশ্চিত, যে আপনারা এই ইউনিভার্সিটি গেমসে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের পাশাপাশি নিজেরা প্রস্ফুটিও হবেন। আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই। ভালো খেলুন, এগিয়ে যান। ধন্যবাদ।

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Mutual fund industry on a high, asset surges Rs 17 trillion in 2024

Media Coverage

Mutual fund industry on a high, asset surges Rs 17 trillion in 2024
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Chief Minister of Andhra Pradesh meets Prime Minister
December 25, 2024

Chief Minister of Andhra Pradesh, Shri N Chandrababu Naidu met Prime Minister, Shri Narendra Modi today in New Delhi.

The Prime Minister's Office posted on X:

"Chief Minister of Andhra Pradesh, Shri @ncbn, met Prime Minister @narendramodi

@AndhraPradeshCM"