সিদ্ধার্থনগর, ইটা, হরদৈ, প্রতাপগড়, ফতেপুর, দেওরিয়া, গাজীপুর, মির্জাপুর, জৌনপুরে এই মেডিকেল কলেজগুলি গড়ে উঠেছে
উত্তর প্রদেশে ডবল ইঞ্জিন সরকার বহু কর্মযোগীর কয়েক দশকের কঠিন পরিশ্রমের ফসল
মাধবপ্রসাদ ত্রিপাঠীর নাম নতুন এই মেডিকেল কলেজগুলি থেকে উঠে আসা চিকিৎসকদের জনসেবায় অনুপ্রাণিত করবে
মেনিনজাইটিস অসুস্থতাজনিত অসংখ্য মৃত্যুর এলাকা হিসাবে উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চলের যে অপবাদ ছিল, এখন এই পূর্বাঞ্চলই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পূর্ব ভারতে নতুন দিশা দেখাতে চলেছে
সরকার যখন সংবেদনশীল হয়, তখন দরিদ্র মানুষের যন্ত্রণা উপলব্ধি করার করুণাও জাগ্রত হয়
রাজ্যে একসঙ্গে এতগুলি মেডিকেল কলেজ জনস্বার্থে উৎসর্গ করা অভূতপূর্ব; এরকম আগে কখনও হয়নি, কিন্তু কেন এখন হচ্ছে – তার পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক সদ্বিচ্ছা ও রাজনৈতিক অগ্রাধিকার
উত্তর প্রদেশে ২০১৭ পর্যন্ত সরকারি মেডিকেল কলেজগুলিতে কেবল ১ হাজার ৯০০টি আসন ছিল; ডবল ইঞ্জিন সরকার কেবল গত চার বছরে আরও ১ হাজার ৯০০টি আসন বাড়িয়েছে

ভারতমাতার জয়, ভারতমাতার জয়! মহাত্মা বুদ্ধের জয়, সিদ্ধার্থনগরের পবিত্র মাটিতে আমি আপনাদের সবাইকে প্রণাম জানাই। মহাত্মা বুদ্ধ যে মাটিতে তাঁর জীবনের প্রথম কিছু বছর কাটিয়েছেন, সেই মাটি সহ আজ গোটা রাজ্যে নয়টি নতুন মেডিকেল কলেজের উদ্বোধন হচ্ছে। সুস্থ ও রোগহীন ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা।

উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দিবেন প্যাটেলজি, উত্তরপ্রদেশের যশস্বী এবং কর্মযোগী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী শ্রী মনসুখ মাণ্ডব্যজি, মঞ্চে উপস্থিত উত্তরপ্রদেশ সরকারের অন্যান্য মন্ত্রীগণ, অন্য যে স্থানগুলিতে মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠছে প্রযুক্তির মাধ্যমে যুক্ত হওয়া সেইসব স্থানে উপস্থিত উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীগণ, এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক, অন্যান্য জনপ্রতিনিধি আর আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা,

আজকের দিনটি পূর্বাঞ্চলের জন্য, গোটা উত্তরপ্রদেশের জন্য আরোগ্যের ডবল ডোজ নিয়ে এসেছে। আপনাদের জন্য একটি অসাধারণ উপহার নিয়ে এসেছে। এই সিদ্ধার্থনগর থেকে উত্তরপ্রদেশের নবগঠিত নয়টি মেডিকেল কলেজের শুভ উদ্বোধন হচ্ছে। এরপর পূর্বাঞ্চল থেকেই গোটা দেশের জন্য জরুরি স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নির্মাণের অনেক বড় একটি প্রকল্প শুরু হতে চলেছে, আর এই বড় কাজের জন্য আমি এখান থেকে আপনাদের আশীর্বাদ নেওয়ার পর এই পবিত্র মাটির আশীর্বাদ নিয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলার পর কাশী যাব আর কাশীতে সেখানকার অনুষ্ঠান উদ্বোধন করব।

বন্ধুগণ,

আজ কেন্দ্রে যে সরকার রয়েছে, এখানে উত্তরপ্রদেশে যে সরকার রয়েছে, দুই-ই অনেক কর্মযোগীর কয়েক দশকের তপস্যার ফল। সিদ্ধার্থনগরেও স্বর্গীয় মাধব প্রসাদ ত্রিপাঠিজি নামক একজন জনগণের সেবায় সমর্পিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন যাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম আজ দেশের কাজে লাগছে। মাধববাবু রাজনীতিতে কর্মযোগ স্থাপনের জন্য গোটা জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির প্রথম অধ্যক্ষ রূপে, কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী রূপে বিশেষভাবে এই পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের চিন্তা করেছেন। সেজন্য সিদ্ধার্থনগরের এই নতুন মেডিকেল কলেজের নাম মাধববাবুর নামে নামাঙ্কিত করা তাঁর সেবাভাবের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধাঞ্জলি, আর সেজন্য আমি যোগীজিকে এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের সমস্ত সদস্যদের অভিনন্দন জানাই। এখান থেকে পড়াশোনা করে যে যুবক-যুবতীরা ডাক্তার হয়ে জনসেবায় নিয়োজিত হবেন তাঁদেরকে মাধববাবুর নাম নিরন্তর প্রেরণা যোগাবে।

ভাই ও বোনেরা,

উত্তরপ্রদেশ এবং পূর্বাঞ্চলে আস্থা, আধ্যাত্ম এবং সামাজিক জীবনের সঙ্গে যুক্ত অনেক বিস্তৃত ঐতিহ্য রয়েছে। এই ঐতিহ্যকে সুস্থ, সক্ষম এবং সমৃদ্ধ উত্তরপ্রদেশের ভবিষ্যতের সঙ্গেও যুক্ত করা হচ্ছে। আজ যে নয়টি জেলায় মেডিকেল কলেজ উদ্বোধন করা হল, তার মাধ্যমে এই লক্ষ্য পূরণের ব্যাপারটাও রয়েছে। সিদ্ধার্থনগরে মাধব প্রসাদ ত্রিপাঠি মেডিকেল কলেজ, দেউরিয়াতে মহর্ষি দেওরহা বাবা মেডিকেল কলেজ, গাজীপুরে মহর্ষি বিশ্বামিত্র মেডিকেল কলেজ, মির্জাপুরে মা বিন্ধবাসিনী মেডিকেল কলেজ, প্রতাপগড়ে ডক্টর সোনেলাল প্যাটেল মেডিকেল কলেজ, এটা-তে বীরাঙ্গণা অবন্তীবাঈ লোধি মেডিকেল কলেজ, ফতেহপুরে মহান যোদ্ধা অমর শহীদ জোধা সিং এবং ঠাকুর দরিয়াঁও সিং-এর নামে মেডিকেল কলেজ, জৌনপুরে উমানাথ সিং মেডিকেল কলেজ আর হরদৌই-এ হরদৌই মেডিকেল কলেজ। এরকম নতুন গড়ে ওঠা নয়টি মেডিকেল কলেজ এখন উত্তরপ্রদেশের কোটি কোটি মানুষের সেবা করার জন্য প্রস্তুত। এই নয়টি মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলার মাধ্যমে প্রায় ২,৫০০ নতুন শয্যা প্রস্তুত হয়েছে, ৫ হাজারেরও বেশি চিকিৎসক এবং প্যারা-মেডিকেল স্টাফের কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রত্যেক বছর কয়েকশ’ যুবকের জন্য মেডিকেল পড়াশোনার নতুন পথ খুলেছে।

বন্ধুগণ,

যে পূর্বাঞ্চলকে পূর্ববর্তী সরকারগুলি রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য নিজেদের ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দিয়েছিল, সেখানেই এখন পূর্ব ভারতের মেডিকেল হাব গড়ে উঠবে। এখন দেশবাসীকে বিভিন্ন রোগ থেকে বাঁচানোর জন্য অনেক ডাক্তারের মাতৃভূমি এই উত্তরপ্রদেশই আরও অনেক নতুন ডাক্তার পেতে চলেছে। যে পূর্বাঞ্চলের ছবি বিগত সরকারগুলি খারাপ করে দিয়েছিল, যে পূর্বাঞ্চলে ব্রেন ফিভারের ফলে একের পর এক দুঃখজনক মৃত্যু বদনাম করে দিয়েছিল, সেই পূর্বাঞ্চল, সেই উত্তরপ্রদেশ পূর্ব ভারতের জন্য সুস্বাস্থ্যের নতুন আলো নিয়ে আসবে।

বন্ধুগণ,

উত্তরপ্রদেশের ভাই-বোনেরা এটা কখনও ভুলতে পারবেন না যে কিভাবে যোগীজি সংসদে উত্তরপ্রদেশের খারাপ অবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ব্যথা ও যন্ত্রণার কথা শুনিয়েছিলেন। যোগীজি তখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না। একজন সাংসদ ছিলেন। তিনি অত্যন্ত কম বয়সেই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। আর এখন, আজ উত্তরপ্রদেশের জনগণ এটাও দেখতে পাচ্ছেন যে, যখন যোগীজিকে জনগণেশ সেবার সুযোগ দিয়েছেন, তখন তিনি কিভাবে ক্রমবর্ধমান ব্রেন ফিভারকে থামিয়ে দিয়েছিলেন এবং এই এলাকার হাজার হাজার শিশুর জীবন রক্ষা করতে পেরেছিলেন। সরকার যখন সংবেদনশীল থাকে, গরীবদের দুঃখ বোঝার জন্য তাঁদের মনে যদি করুণাভাব থাকে, তাহলেই এই কাজ হতে পারে।

ভাই ও বোনেরা,

আমাদের দেশে স্বাধীনতার আগে এবং তার পরেও মৌলিক চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবাকে কখনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ভালো চিকিৎসা চাইলে শহরে যেতে হবে, ভালো ডাক্তারকে দিয়ে চিকিৎসা করাতে হলে বড় শহরে যেতে হবে, রাত-বিরেতে কারোর শরীর খারাপ হলে গাড়ি জোগাড় করে তাঁকে নিয়ে শহরে ছুটতে হবে। আমাদের গ্রাম-দেহাতের এটাই ছিল প্রকৃত বাস্তব চিত্র। গ্রামে, মহকুমায় এমনকি জেলা সদরেও ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা পাওয়া খুব কঠিন ছিল। আমি নিজে এই কষ্ট ভুগেছি, অনুভব করেছি। দেশের গরীব, দলিত, শোষিত, বঞ্চিত, কৃষক, গ্রামবাসী, ছোট ছোট শিশুদের বুকে চেপে ধরে অসহায়ের মতো ছুটতে থাকা মায়েরা, আমাদের বয়স্ক মানুষেরা যখন স্বাস্থ্যের বুনিয়াদি পরিষেবাগুলির জন্য সরকারের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতেন, তখন তাঁদের হতাশ হতে হতো। আর এই হতাশাকেই আমার গরীব ভাই-বোনেরা তাঁদের নিয়তি বলে মনে করতেন। ২০১৪ সালে আপনারা যখন আমাকে দেশের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন, তখন প্রথমেই পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য আমরা সরকারে দিন-রাত এক করে কাজ করেছি। জনগণের কষ্টকে বুঝে, সাধারণ মানুষের যন্ত্রণাকে বুঝে, তাঁদের দুঃখ-যন্ত্রণা ভাগ করে নেওয়ার জন্য আমরা অংশীদার হয়ে উঠি। আমরা দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা শোধরানোর জন্য, আধুনিকতা প্রণয়নের জন্য একই মহাযজ্ঞ শুরু করেছিলাম। কিন্তু আমার এজন্য সব সময়েই আফশোস থাকবে যে এখানে আগে যে সরকার ছিল, তারা আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করেনি। উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় তারা রাজনীতিকে মাঝখানে নিয়ে আসে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে এখানে উত্তরপ্রদেশে এগিয়ে নিয়ে যেতে দেয়নি।

বন্ধুগণ,

এখানে ভিন্ন ভিন্ন বয়সী ভাই-বোনেরা রয়েছেন। কারোর কি মনে আছে, উত্তরপ্রদেশের ইতিহাসে কখনও একসঙ্গে এতগুলি মেডিকেল কলেজের উদ্বোধন হয়েছে? কখনও হয়েছে? না! আগে এরকম কখনও হয়নি, আর আজ কেন হচ্ছে, কিভাবে হচ্ছে? তার একটাই কারণ – রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি এবং রাজনৈতিক অগ্রাধিকার। যাঁরা আগে ছিলেন, তাঁদের অগ্রাধিকার ছিল নিজেদের জন্য অর্থ রোজগার আর নিজের পরিবারের সিন্দুক ভরা। আমাদের অগ্রাধিকার হল গরীবদের পয়সা বাঁচানো। গরীব পরিবারগুলি যেন মৌলিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না থাকে তা সুনিশ্চিত করা।

বন্ধুগণ,

রোগ গরীব-দুঃখী কোনকিছু দেখে আসে না। তার জন্য সবাই সমান হয়, আর সেজন্য এই পরিষেবাগুলি থেকে গরীবরা যতটা উপকৃত হবেন, ততটাই মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষেরাও হবেন।

বন্ধুগণ,

সাত বছর আগে যাঁরা দিল্লিতে ক্ষমতায় ছিলেন আর চার বছর আগে যাঁরা উত্তরপ্রদেশে ছিলেন, তাঁরা পূর্বাঞ্চলের জন্য কী করেছিলেন? পূর্ববর্তী সরকার ভোটের জন্য কোথাও কোথাও নতুন ডিসপেনসারি, কোথাও ছোট ছোট হাসপাতাল গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করে বসে থাকতেন। মানুষও আশা নিয়ে বসে থাকতেন, কিন্তু বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও কোনও বাড়িই তৈরি হত না, আর বাড়ি তৈরি হলেও চিকিৎসা সরঞ্জাম, মেশিনপত্র আসত না। এগুলি সব কিছু থাকলে ডাক্তার এবং অন্যান্য কর্মী থাকত না। ওপর থেকে গরীবদের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়ে যেত দুর্নীতি। দুর্নীতির বিভিন্ন মাত্রা, দুর্নীতির ‘সাইকেল’ ২৪ ঘন্টা ঘুরতো। ওষুধের ক্ষেত্রে দুর্নীতি, অ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রে দুর্নীতি, নিযুক্তির ক্ষেত্রে দুর্নীতি, ট্রান্সফার-পোস্টিং-এর ক্ষেত্রে দুর্নীতি – এরকম উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু পরিবারবাদীদের তো খুব উপকার হয়েছে। দুর্নীতির সাইকেল খুব দ্রুত চলেছে। কিন্তু এতে পূর্বাঞ্চল আর উত্তরপ্রদেশের সাধারণ মানুষই বঞ্চিত রয়ে গেছেন, লাঞ্ছিত হয়েছেন, অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন।

কথিত আছে,

“যাকে পাঁও না ফটী বিওয়াই, ও কেয়া জানে পীর পরাই ”।

বন্ধুগণ,

বিগত বছরগুলিতে এখানে ডবল ইঞ্জিনের সরকার প্রত্যেক গরীব ব্যক্তির কাছে একটি উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে অনেক সততার সঙ্গে কাজ করেছে, ক্রমাগত কাজ করে গেছে। আমাদের দেশে নতুন স্বাস্থ্যনীতি চালু করা হয়েছে, যাতে গরীবরা সুলভে চিকিৎসা করাতে পারেন, এবং তাঁরা অনেক রোগ থেকে বাঁচতে পারেন। এখানে উত্তরপ্রদেশেই ৯০ লক্ষ রোগীকে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়েছে। এই গরীবদেরকে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা মূল্যের চিকিৎসার খরচ থেকে রক্ষা করা গেছে। আজ হাজার হাজার ‘জন ঔষধি কেন্দ্র’ থেকে অনেক ওষুধ সুলভে পাওয়া যাচ্ছে। ক্যান্সার চিকিৎসা, ডায়ালিসিস এবং হৃদযন্ত্রের শল্যচিকিৎসা পর্যন্ত অনেক খরচ হ্রাস পেয়েছে। শৌচালয়ের মতো পরিষেবাগুলি গড়ে তোলায় অনেক রোগের প্রকোপ হ্রাস পেয়েছে। শুধু তাই নয়, সারা দেশে উন্নত হাসপাতাল কিভাবে গড়ে তোলা যায়, আর সেই হাসপাতালগুলি ভালো ডাক্তার এবং অন্যান্য দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী কিভাবে পাবে, তার ব্যবস্থা করতে অনেক ব্যাপক এবং দূরদৃষ্টিসম্পন্ন  দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এখন হাসপাতালগুলির, মেডিকেল কলেজগুলির ভূমিপূজনও করা হয় আবার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেগুলি নির্মাণ করে উদ্বোধনও করা হয়। যোগীজির নেতৃত্বাধীন সরকারের আগে যে সরকার ছিল, তারা নিজেদের কার্যকালে উত্তরপ্রদেশে মাত্র ছয়টি মেডিকেল কলেজ গড়ে তুলেছিল। কিন্তু যোগীজির নেতৃত্বে ১৬টি মেডিকেল কলেজের কাজ শুরু করা হয় আর ৩০টি মেডিকেল কলেজের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। রায়বেরিলি এবং গোরক্ষপুরে নির্মীয়মান এইমস হাসপাতালও উত্তরপ্রদেশের জন্য এক ধরনের বোনাস।

ভাই ও বোনেরা,

মেডিকেল কলেজ শুধু যে উন্নত চিকিৎসা প্রদান করে তা নয়, দক্ষ চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মী গড়ে, নতুন প্যারা-মেডিকেল কর্মীদেরও প্রশিক্ষিত করে। যখন মেডিকেল কলেজ তৈরি হয়, তখন সেখানকার বিশেষ ধরনের ল্যাবরেটরি ট্রেনিং সেন্টার, নার্সিং ইউনিট, মেডিকেল ইউনিট এবং কর্মসংস্থানের অনেক নতুন উপায় গড়ে ওঠে। দুর্ভাগ্যবশত, এর আগের দশকগুলিতে দেশে চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়াতে দেশব্যাপী রণনীতি নিয়েও কাজ হয়নি। অনেক দশক আগে মেডিকেল কলেজ ও মেডিকেল শিক্ষা তদারকির জন্য যে নিয়মকানুন তৈরি করা হয়েছিল, যে সংস্থাগুলি তৈরি করা হয়েছিল সেগুলি পুরনো ভাবনাচিন্তা নিয়েই এগিয়ে চলেছিল। এই নতুন মেডিকেল কলেজগুলি নির্মাণের ফলে এবার তাদের দিকে আঙুল উঠছে।

বিগত সাত বছরে একের পর এক এমনই অনেক মেডিকেল-শিক্ষার পদে বাধা হয়ে ওঠা পুরনো ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করা হচ্ছে। এর পরিণামস্বরূপ মেডিকেল আসনের সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। ২০১৪ সালের আগে আমাদের দেশে মোট মেডিকেল আসনের সংখ্যা ৯০ হাজারেরও কম ছিল। বিগত সাত বছরে দেশের মেডিকেল কলেজগুলিতে ৬০ হাজার নতুন আসন যুক্ত করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে যেখানে ২০১৭ পর্যন্ত সরকারি মেডিকেল কলেজগুলিতে মাত্র ১,৯০০টি মেডিকেলের আসন ছিল, আর ডবল ইঞ্জিনের সরকার বিগত চার বছরেই ১,৯০০রও বেশি মেডিকেল আসন বাড়িয়েছে।

বন্ধুগণ,

মেডিকেল কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি, মেডিকেল আসনের সংখ্যা বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক এটাও যে এখান থেকে অনেক বেশি নবীন চিকিৎসক পাশ করে বেরোবেন। গরীব মায়ের সন্তান-সন্ততিরাও এখন সহজেই চিকিৎসক হতে পারবেন। সরকারের ক্রমাগত চেষ্টার পরিণাম হল স্বাধীনতার পর ৭০ বছরে যত চিকিৎসক পাশ করে বেরিয়েছেন, তার থেকে বেশি চিকিৎসক আমরা আগামী ১০-১২ বছরে দেশকে উপহার দিতে পারব।

বন্ধুগণ,

নবীন প্রজন্মকে সারা দেশে ভিন্ন ভিন্ন এন্ট্রাস পরীক্ষার টেনশন থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান একজাম’ বা ‘এক দেশ, এক পরীক্ষা ব্যবস্থা’ চালু করা হয়েছে। এতে খরচও সাশ্রয় হবে, আর কষ্টও কম হবে। মেডিকেল শিক্ষা গরীব এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর আয়ত্ত্বের মধ্যে রাখার জন্য বেসরকারি কলেজগুলির ফি’জ নিয়ন্ত্রিত রাখার জন্য আইনি ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্থানীয় ভাষায় মেডিকেল পড়াশোনা না হওয়ার ফলে অনেক সমস্যায় পড়তে হত। এখন হিন্দি সহ অনেক ভারতীয় ভাষাতেও উন্নতমানের মেডিকেল পড়াশোনার বিকল্প তুলে ধরা হয়েছে। যখন নবীন প্রজন্মের মানুষ নিজের মাতৃভাষাতেই শিখবেন, তখন তাঁদের কাজের ওপর দখল আরও বাড়বে।

বন্ধুগণ,

নিজেদের স্বাস্থ্য পরিষেবা উত্তরপ্রদেশ কতটা দ্রুতগতিতে উন্নত করতে পারে তা উত্তরপ্রদেশের জনগণ এই করোনার সঙ্কটকালেই প্রমাণ করে দিয়েছে। চারদিন আগেই দেশ ১০০ কোটি টিকাকরণের ডোজের বড় লক্ষ্য পূরণ করেছে আর এতে উত্তরপ্রদেশেরও অনেক বড় অবদান রয়েছে। আমি উত্তরপ্রদেশের সমস্ত জনগণ, সমস্ত করোনা যোদ্ধা, সরকার, প্রশাসন এবং এর সঙ্গে যুক্ত সকলকে শুভেচ্ছা জানাই। আজ দেশের কাছে ১০০ কোটি ডোজের সুরক্ষাকবচ রয়েছে। তা সত্ত্বেও উত্তরপ্রদেশ করোনা থেকে রক্ষার জন্য নিজস্ব প্রস্তুতি আরও শক্তিশালী করেছে। উত্তরপ্রদেশের প্রত্যেক জেলায় করোনা মোকাবিলার জন্য শিশুদের কেয়ার ইউনিট গড়ে তোলা হয়েছে কিংবা গড়ে তোলা হচ্ছে। কোভিড শনাক্তকরণ পরীক্ষার জন্য আজ উত্তরপ্রদেশে ৬০টিরও বেশি ল্যাবরেটরি রয়েছে, ৫০০টি-রও বেশি নতুন অক্সিজেন প্ল্যান্ট গড়ে তোলার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।

বন্ধুগণ,

একেই তো বলে ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস অউর সবকা প্রয়াস’। এটাই তো তার প্রকৃত পথ। যখন সবাই সুস্থ থাকবেন, যখন সবাই সুযোগ পাবেন, তখনই গিয়ে ‘সবকা প্রয়াস’ দেশের কাজে লাগবে। এবার পূর্বাঞ্চলে দীপাবলি এবং ছটের উৎসব আরোগ্যের নতুন বিশ্বাস নিয়ে এসেছে। এই বিশ্বাস যাতে দ্রুত উন্নয়নের ভিত্তি হয়ে ওঠে, এই কামনা নিয়ে নতুন মেডিকেল কলেজের জন্য গোটা উত্তরপ্রদেশকে আরেকবার অনেক অনেক শুভকামনা এবং ধন্যবাদ জানাই। আপনারাও এত বিপুল সংখ্যায় আমাকে আশীর্বাদ দেওয়ার জন্য এখানে এসেছেন, সেজন্য বিশেষভাবে আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Indian economy ends 2024 with strong growth as PMI hits 60.7 in December

Media Coverage

Indian economy ends 2024 with strong growth as PMI hits 60.7 in December
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
সোশ্যাল মিডিয়া কর্নার 17 ডিসেম্বর 2024
December 17, 2024

Unstoppable Progress: India Continues to Grow Across Diverse Sectors with the Modi Government