Inaugurates the Bina-Panki Multiproduct Pipeline Project
“The double engine government of Uttar Pradesh today is trying to make up for the loss of time in the past. We are working at double speed”
“Our government laid the foundation stone of Kanpur Metro and our government is dedicating it. Our government laid the foundation stone of Purvanchal Expressway and our government completed the work”
“If we include Kanpur Metro today, the length of the metro in Uttar Pradesh has now exceeded 90 km. It was 9 km In 2014 and just 18 km in 2017”
“At the level of the states, it is important to remove the inequality in society. That is why our government is working on the mantra of Sabka Saath Sabka Vikas”
“The double engine government knows how to set big goals and how to achieve them”
ভারতমাতার জয়, ভারতমাতার জয়। উত্তরপ্রদেশের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগী শ্রী হরদীপ পুরীজি, উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যজি, সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতিজি, শ্রী ভানুপ্রতাপ ভার্মাজি, উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকারের মন্ত্রী শ্রী সতীশ মহানাজি, শ্রীমতী নীলিমা কাটিয়ারজি, শ্রী রণবেন্দ্র প্রতাপজি, শ্রী লক্ষ্মণ সিং-জি, শ্রী অজিত পালজি, এখানে উপস্থিত সমস্ত মাননীয় সাংসদগণ, সমস্ত মাননীয় বিধায়কগণ, অন্যান্য সকল জনপ্রতিনিধি আর আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা!
ঋষি-মুনিদের তপোভূমি, স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং বিপ্লবীদের প্রেরণার স্থল, স্বাধীন ভারতের শিল্পক্ষেত্রের সামর্থ্যকে প্রাণশক্তি প্রদানকারী এই কানপুরকে আমার শত শত প্রণাম। এই কানপুর এমন শহর যেখানে পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়জি, সুন্দর সিং ভাণ্ডারিজি এবং অটলবিহারী বাজপেয়ীজির মতো দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বকে গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে আর আজ শুধু যে কানপুরবাসীর জন্য আনন্দের বিষয় তা নয়, বরুণ দেবতাজিরও এই আনন্দে অংশগ্রহণের ইচ্ছা হয়েছে।
বন্ধুগণ,
কানপুরের অধিবাসীদের যে মেজাজ, যে কানপুরী আন্দাজ, তাঁদের ‘হাজির-জবাবী’ স্বভাবের কোনও তুলনাই নেই।
“ইয়ে ঠগগুকে লাড্ডু কে ইহাঁ কেয়া লিখা হোতা হ্যায়?
হাঁ, ঠগগুকে লাড্ডু কে ইহাঁ কেয়া লিখা হ্যায়।
এয়সা কোই সগা নেহীঁ … এয়সা কোই সগা নেহীঁ …”
এই পংক্তিগুলি আপনারা যেরকম বলতেন, সেরকমই বলতে থাকুন কিন্তু আমি তো এটাই বলব,.... আর যখন আমি বলছি, তখন আমি বলবোই, এই কানপুরই হল এমন শহর যার কোনও তুলনা নেই আর এমন কেউ নেই যে কানপুরে এসে আদর পায়নি। বন্ধুগণ, যখন সংগঠনের কাজে আমি আপনাদের মধ্যে আসতাম, তখন খুব শুনতাম –
“ঝাড়ে রহো কলেক্টর-গঞ্জ !!! ঝাড়ে রহো কলেক্টর-গঞ্জ।”
এখনও হয়তো আপনারা এরকমই বলেন। নতুন প্রজন্মের মানুষেরা ভুলে যাননি তো?
বন্ধুগণ,
আজ মঙ্গলবার, আর পনকিওয়ালা হনুমানজির আশীর্বাদে আজ উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নে আরও একটি সোনালী অধ্যায় যুক্ত হচ্ছে। আজকের দিনে কানপুর শহর মেট্রো যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমৃদ্ধ হয়েছে। পাশাপাশি, বীণা রিফাইনারির সঙ্গেও কানপুর আজ কানেক্ট হয়ে গেল। এর ফলে কানপুরের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের অনেক জেলায় পেট্রোলিয়াম পণ্য এখন সহজেই সুলভ হবে। এই দুটি প্রকল্পের জন্য আপনাদের সবাইকে, গোটা উত্তরপ্রদেশের অসংখ্য মানুষকে শুভেচ্ছা জানাই। আপনাদের সকলের মধ্যে আসার আগে আইআইটি কানপুরে আমার অনুষ্ঠান ছিল। আমি প্রথমবার মেট্রো সফর করতে কানপুরবাসীদের মনোভাব, তাঁদের উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাক্ষী হতে চাইছিলাম। সেজন্য আমি মেট্রোতে সফর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা আমার জন্য প্রকৃতপক্ষে একটি মনে রাখার মতো অভিজ্ঞতা।
বন্ধুগণ,
উত্তরপ্রদেশে আগে যাঁরা সরকারের ক্ষমতায় ছিলেন, তাঁরা কখনই সময়ের গুরুত্ব বোঝেননি। একবিংশ শতাব্দীর যে কালখণ্ডে উত্তরপ্রদেশের দ্রুতগতিতে প্রগতি করা উচিৎ ছিল, সেই অমূল্য সময়কে, সেই গুরুত্বপূর্ণ সুযোগকে পূর্ববর্তী সরকারগুলি হাতছাড়া করেছে। তাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের উন্নয়ন ছিল না। তাদের দায়বদ্ধতাও উত্তরপ্রদেশের জনগণের প্রতি ছিল না। আজ উত্তরপ্রদেশে যে ডবল ইঞ্জিনের সরকার চলছে তা বিগত কালখণ্ডে যত লোকসান হয়েছে তা পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা দ্বিগুণ গতিতে কাজ করছি। আজ দেশের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইউপি-তে তৈরি হচ্ছে। আজ দেশের সর্ববৃহৎ এক্সপ্রেসওয়ে ইউপি-তে তৈরি হচ্ছে। আজ দেশের প্রথম রিজিওনাল র্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম ইউপি-তে তৈরি হচ্ছে। ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের হাবও উত্তরপ্রদেশে তৈরি হবে। যে উত্তরপ্রদেশ কখনও অবৈধ হাতিয়ারসম্পন্ন গ্যাংগুলির জন্য বদনাম হয়েছিল, সেই উত্তরপ্রদেশেই দেশের নিরাপত্তার জন্য ডিফেন্স করিডর গড়ে উঠছে। বন্ধুগণ, সেজন্য ইউপি-র মানুষ এখন বলছেন যে – পার্থক্য অত্যন্ত স্পষ্ট! এই পার্থক্য শুধুই প্রকল্প বাস্তবায়নের নয়, এই পার্থক্য কর্মসংস্কৃতির পরিবর্তনেরও। ডবল ইঞ্জিনের সরকার যে কাজ শুরু করে তা পূর্ণ করার জন্য আমরা দিন-রাত এক করে দিই। কানপুর মেট্রো নির্মাণের কাজ আমাদের সরকারই শুরু করেছিল, আর আমাদের সরকার এর উদ্বোধনও করছে। পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের শিলান্যাসও আমাদের সরকার করেছে, আর উদ্বোধনও আমাদের সরকার করেছে। দিল্লি-মীরাট এক্সপ্রেসওয়ের শিলান্যাসও আমাদের সরকার করেছে, আর এটির কাজ সম্পূর্ণ করে জনগণের ব্যবহারের জন্য সমর্পণ করার কাজও আমরাই করেছি। আমি আপনাদের এরকম অনেক প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ান গোনাতে পারি। অর্থাৎ, পূর্ব হোক কিংবা পশ্চিম, অথবা আমার এলাকা, উত্তরপ্রদেশের প্রত্যেক প্রকল্পকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা এজন্য প্রয়োজনীয়, কারণ, যখন প্রকল্পগুলি যথাসময়ে সম্পূর্ণ হয়, তখন দেশের অর্থের যথাযথ ব্যবহার হয়। দেশের জনগণ এর দ্বারা লাভবান হন। আপনারা আমাকে বলুন, ট্র্যাফিক জ্যাম বা যানজট নিয়ে কানপুরের জনগণের অভিযোগ অনেক বছর ধরে শুনতে পাচ্ছিলাম। দৈনিক আপনাদের কত সময় এই যানজটের কারণে নষ্ট হত। আপনাদের কত অর্থ অপচয় হত। এখন আজ প্রথম পর্বের নয় কিলোমিটার লাইন সম্পূর্ণ হল। এই লাইন শুরু হওয়ার পর থেকে এই অভিযোগগুলি দূর করার জন্য একটি শুভ সূচনা হয়েছে। করোনার কঠিন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দু’বছরের মধ্যেই এই সেকশন শুরু করা নজিরবিহীন এবং অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
বন্ধুগণ,
স্বাধীনতার পর অনেক দশক ধরে আমাদের দেশে একটা ভাবনা ছিল যে যা কিছু নতুন হবে, ভালো হবে, তা তিন-চারটি বড় শহরে হবে। দেশের বড় বড় মেট্রো শহরগুলি ছাড়াও যে শহরগুলি ছিল সেগুলিকে তারা নিজের অবস্থায় ছেড়ে দিয়েছিল। এই শহরগুলির বাসিন্দাদের কত বড় শক্তি, তাঁদের পরিষেবা দেওয়া কতটা জরুরি, এটা পূর্ববর্তী সরকারগুলির নেতারা কখনও বুঝতে পারেননি। এই শহরগুলির আকাঙ্ক্ষাকে, এই শহরগুলিতে বসবাসকারী কোটি কোটি মানুষের আকাঙ্ক্ষাগুলিকে আগের সরকারগুলি তেমন গুরুত্ব দেয়নি। যাঁরা এখন আবহ গরম করার চেষ্টা করছেন, তাঁরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন তাঁদের উন্নয়নের কোনও ইচ্ছাই ছিল না। এখন আমাদের সরকার দেশের এমন গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এই শহরগুলির যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে ভালো হয়, এখানে যেন উচ্চশিক্ষার ভালো ভালো প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে, বিদ্যুতের কোনও সমস্যা না থাকে, পানীয় জলের কোনও সমস্যা না থাকে, পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থা যেন আধুনিক হয় – এই সকল ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব কাজ করা হচ্ছে। আমি যদি মেট্রোর প্রসঙ্গেই কথা বলি, তাহলে কানপুর মেট্রোর প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন আজ হল। আগ্রা এবং মীরাট মেট্রোর কাজও দ্রুতগতিতে চলছে। আরও কয়েকটি অন্য শহরেও মেট্রো প্রকল্প গড়ে তোলার প্রস্তাব রয়েছে। লক্ষ্ণৌ, নয়ডা এবং গাজিয়াবাদে মেট্রোর ক্রমাগত সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। যে গতিতে উত্তরপ্রদেশে মেট্রোর কাজ চলছে তা সত্যিই অভূতপূর্ব।
বন্ধুগণ,
আমি যে পরিসংখ্যান দিচ্ছি, সেই পরিসংখ্যানগুলি একটু মনোযোগ দিয়ে শুনবেন। শুনবেন তো? মনোযোগ দিয়ে শুনবেন তো? দেখুন, শুনুন। ২০১৪-র আগে উত্তরপ্রদেশে যত মেট্রো চলত তার মোট দৈর্ঘ্য ছিল নয় কিলোমিটার। ২০১৪ থেকে শুরু করে ২০১৭-র মধ্যে মেট্রোর দৈর্ঘ্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ১৮ কিলোমিটার আর আজ কানপুর মেট্রোকে সামিল করলে উত্তরপ্রদেশে মেট্রোর দৈর্ঘ্য ৯০ কিলোমিটারেরও বেশি হয়ে গেছে। পূর্ববর্তী সরকারগুলি কিভাবে কাজ করছিল? আজ যোগীজির সরকার কিভাবে কাজ করছে সেটা স্পষ্ট। তবেই তো উত্তরপ্রদেশের জনগণ আজ পরস্পরকে বলেন – পার্থক্য অত্যন্ত স্পষ্ট!
বন্ধুগণ,
২০১৪ সালের আগে দেশের মাত্র পাঁচটি শহরে মেট্রোর সুবিধা ছিল। অর্থাৎ, মেট্রো রেল সেই শহরগুলিতেই ছিল যেগুলিকে মেট্রো শহর বলা হয়। আজ শুধু ইউপি-রই পাঁচটি শহরে মেট্রো রেল চলছে। আজ দেশের ২৭টি শহরে মেট্রো রেলের কাজ চলছে। এই শহরগুলিতে বসবাসকারী গরীব পরিবারগুলি, মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিও আজ মেট্রো রেলের সেই সুবিধা পাচ্ছেন, যা আগে মেট্রো শহরগুলিতে পাওয়া যেত। শহরের গরীবদের জীবনযাপনের মান উন্নত করার জন্য অনেক প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। তার ফলে টিয়ার-২, টিয়ার-৩ শহরগুলিতে যুব সম্প্রদায়ের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে তো ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হওয়ার পর এই প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হয়েছে।
বন্ধুগণ,
যে কোনও দেশ হোক কিংবা রাজ্য, ভারসাম্যহীন উন্নয়নের মাধ্যমে কখনও এগিয়ে যেতে পারে না। অনেক দশক ধরে আমাদের দেশের এই পরিস্থিতি ছিল যে এক অংশে উন্নয়ন হয়েছে আর অন্য অংশের উন্নয়ন হয়নি। রাজ্যস্তরে, সামাজিক স্তরে এই অসাম্যকে দূর করা ততটাই প্রয়োজনীয়। সেজন্য আমাদের সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর মন্ত্র নিয়ে কাজ করে চলেছে। সমাজের প্রত্যেক শ্রেণী – দলিত, শোষিত, পীড়িত, বঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া ও জনজাতির মানুষ সবাই আমাদের সরকারের প্রকল্পগুলি থেকে সমান লাভবান হচ্ছেন। আমাদের সরকার তাঁদের দিকেও বিশেষ নজর দিচ্ছে যাঁদেরকে আগে কেউ দেখেনি, যাঁদের প্রতি আগে কখনও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
বন্ধুগণ,
শহরগুলিতে বসবাসকারী দরিদ্র মানুষদের উন্নয়নকে পূর্ববর্তী সরকারগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এড়িয়ে গেছে। এহেন শহুরে গরীবদের জন্য আজ প্রথমবার আমাদের সরকার সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে কাজ করছে। আমি আপনাদের একটা উদাহরণ দিতে চাই। ২০১৭ সালের পূর্ববর্তী ১০ বছরে উত্তরপ্রদেশের শহুরে গৃহহীন গরীবদের জন্য মাত্র ২.৫ লক্ষ পাকা বাড়ি তৈরি করা হয়েছিল আর বিগত সাড়ে চার বছরে উত্তরপ্রদেশ সরকার শহুরে গরীবদের জন্য ১৭ লক্ষেরও বেশি গৃহ নির্মাণ মঞ্জুর করেছে। এর মধ্যে ৯.৫ লক্ষ ইতিমধ্যেই নির্মিত হয়েছে আর বাকিগুলির কাজ দ্রুতগতিতে চলছে।
ভাই ও বোনেরা,
আমাদের গ্রামগুলি থেকে অনেক বন্ধু নিয়মিত শহরে কাজ করতে আসেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই শহরে এসে ঠেলা চালান, রাস্তায় হকারি করেন, রেললাইনের দু’পাশে পসরা সাজিয়ে তাঁদের জীবন নির্বাহ করেন। আজ প্রথমবার আমাদের সরকারই এই মানুষদের জন্য কিছু কাজ করেছে। তাঁরা যাতে ব্যাঙ্ক থেকে সহজে ঋণ নিতে পারেন, তাঁরা যাতে ডিজিটাল লেনদেন করতে পারেন, এই লক্ষ্যে আমাদের সরকার কাজ করছে। ‘পিএম স্বনিধি যোজনা’র লাভ এখানে কানপুরের অনেক ঠেলাওয়ালা এবং রেললাইনের দু’পাশে পসরা সাজিয়ে বসা বন্ধুরা পেয়েছেন। উত্তরপ্রদেশে স্বনিধি যোজনার মাধ্যমে ৭ লক্ষেরও বেশি বন্ধুকে ৭০০ কোটি টাকারও বেশি ঋণ ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে।
ভাই ও বোনেরা,
জনগণেশের প্রয়োজনীয়তাগুলি বোঝা, তাঁদের সেবা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার উত্তরপ্রদেশের প্রয়োজনগুলি বুঝে উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে কাজ করছে। উত্তরপ্রদেশের কোটি কোটি বাড়িতে আগে নলের মাধ্যমে জল পৌঁছত না। আজ আমরা প্রত্যেক বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে উত্তরপ্রদেশের প্রত্যেক বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছি। করোনার এই কঠিন সময়ে উত্তরপ্রদেশের ১৫ কোটিরও বেশি মানুষকে বিনামূল্যে রেশনের ব্যবস্থাও আমাদের সরকারই করেছে।
বন্ধুগণ,
যাঁরা আগের সরকারে ছিলেন, তাঁদের এমন মানসিকতা ছিল যে পাঁচ বছরের জন্য সরকার চালানোর দায়িত্ব পাওয়া যেন লটারি পাওয়ার মতো। যতটা সম্ভব উত্তরপ্রদেশকে লুন্ঠন করো – লুটেপুটে নাও। আপনারা নিজেরাই দেখেছেন যে উত্তরপ্রদেশের পূর্ববর্তী সরকারগুলি যেসব প্রকল্পের কাজ শুরু করত সেগুলি থেকে কিভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হত। নানা আর্থিক কেলেঙ্কারি হত। এই মানুষেরা কখনই উত্তরপ্রদেশের জন্য বড় লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেননি। দূরদৃষ্টি নিয়ে কাজ করেননি। তাঁরা শুধু নিজেদের কথা ভেবেছেন। কখনও উত্তরপ্রদেশের জনগণের কাছে নিজেদের জবাবদিহিতাকে স্বীকার করেননি। আজ ডবল ইঞ্জিন সরকার সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে, সম্পূর্ণ জবাবদিহিতার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে। ডবল ইঞ্জিনের সরকার বড় বড় লক্ষ্য স্থির করতে, এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেগুলির যথাযথ বাস্তবায়ন করতে জানে। কে ভাবতে পেরেছিল যে উত্তরপ্রদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে শুরু করে ট্রান্সমিশন পর্যন্ত প্রক্রিয়ায় এত উন্নতি হতে পারে? আগে মানুষ এটা কখনও ভাবতেন না যে বিদ্যুৎ কেন গেল! তাঁরা জানতেন যে প্রতিদিনই ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকবে না। প্রতিবেশীর বাড়িতেও বিদ্যুৎ গেছে কিনা, আর প্রতিবেশীর বাড়িতেও বিদ্যুৎ গেলে তা নিয়ে শান্তিতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন সবাই।
বন্ধুগণ,
কে ভাবতে পেরেছিল যে গঙ্গাজির দূষণকে প্রতি মুহূর্তে কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা সীসামউ-এর মতো ০ লবিশাল ও বেগবতী নালাও একদিন বন্ধ হতে পারে? কিন্তু এই কাজ আমাদের ডবল ইঞ্জিনের সরকার করে দেখিয়েছে। বিপিসিএল-এর পানকী-কানপুর ডিপোর ক্ষমতাকে চারগুণেরও বেশি বৃদ্ধির জন্য কানপুর অত্যন্ত স্বস্তি পাবে।
ভাই ও বোনেরা,
কানেক্টিভিটি এবং কমিউনিকেশন – উভয় প্রকার যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি গ্যাস এবং পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইনফ্রাস্ট্রাকচার নিয়েও যে কাজ হয়েছে সেগুলির মাধ্যমেও উত্তরপ্রদেশের অনেক লাভ হয়েছে। ২০১৪ পর্যন্ত দেশে মাত্র ১৪ কোটি এলপিজি গ্যাস কানেকশন ছিল। আজ ৩০ কোটিরও বেশি রান্নার গ্যাস সংযোগ আছে। শুধু উত্তরপ্রদেশেই প্রায় ১ কোটি ৬০ লক্ষ গরীব পরিবারকে নতুন এলপিজি রান্নার গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে। নলের মাধ্যমে সুলভ রান্নার গ্যাসের সংযোগও গত সাত বছরে নয়গুণ হয়েছে। এটা এজন্যই সম্ভব হচ্ছে, কারণ বিগত বছরগুলিতে পেট্রোলিয়াম নেটওয়ার্কেরও অভূতপূর্ব সম্প্রসারণ করা হয়েছে। বীণা-পানকী মাল্টি-প্রোডাক্ট পাইপলাইন এই নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। এখন বীণা রিফাইনারি বা তৈল শোধনাগার থেকে পেট্রোল, ডিজেলের মতো পণ্যের জন্য কানপুর সহ উত্তরপ্রদেশের অনেক জেলাকে শুধুই ট্রাকের ওপর নির্ভর করতে হয় না। এর ফলে উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নের ইঞ্জিন অবাধ জ্বালানি পেতে থাকবে।
বন্ধুগণ,
কোনও রাজ্যে বিনিয়োগের জন্য, শিল্পের সম্প্রসারণের জন্য সবচাইতে প্রয়োজনীয় হল যথাযথ আইনি ব্যবস্থা। উত্তরপ্রদেশে আগে যত সরকার ছিল তারা মাফিয়াবাদের বৃক্ষের শেকড়কে এতটাই ছড়াতে দিয়েছিল যে সেগুলির ছায়ায় সমস্ত ব্যবসা-বাণিজ্য বরবাদ হয়ে গিয়েছিল। এখন যোগীজির সরকার রাজ্যে আইনের শাসন ফিরিয়ে এনেছে। সেজন্য উত্তরপ্রদেশে এখন বিনিয়োগও বাড়ছে আর অপরাধী তার জামানত নিজেই বাতিল করে জেলে যাচ্ছে। ডবল ইঞ্জিনের সরকার এখন উত্তরপ্রদেশে শিল্পোদ্যোগ সংস্কৃতিকে উৎসাহ যোগাচ্ছে। এখানে, এই কানপুর শহরে, মেগা লেদার ক্লাস্টারকে মঞ্জুর করা হয়েছে। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ফজলগঞ্জেও প্রযুক্তিকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ডিফেন্স করিডর হোক কিংবা শুধুই ‘এক জেলা এক পণ্য প্রকল্প’ দ্বারা আমাদের কানপুরের শিল্পোদ্যোগীরা বন্ধুরাও নিশ্চিতভাবেই লাভবান হচ্ছেন।
বন্ধুগণ,
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকেও ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ বাড়ানোর জন্য লাগাতার কাজ চলছে। নতুন ইউনিটগুলির জন্য কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা থেকে শুরু করে জিএসটি-র হার কম করা, আরও অনেক আইনের জালকে সমাপ্ত করা, ফেসলেস অ্যাসেসমেন্ট থেকে শুরু করে এই লক্ষ্যে নেওয়া সমস্ত পদক্ষেপ নতুন ক্ষেত্রগুলিকে উৎসাহ যোগানোর জন্য সরকার ‘প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেন্টিভ’ দেওয়াও শুরু করেছে। সরকার কোম্পানি ল’-এর অনেক ধারাকেও ‘ডি-ক্রিমিনালাইজ’ করে দিয়েছে যা আমাদের ব্যবসায়ী বন্ধুদের সমস্যা বাড়াত।
ভাই ও বোনেরা,
যে দলগুলির আর্থিক পরিস্থিতি ভালো নয়, যাদের নীতি বাহুবলীদের আদর-সম্মান করা, তারা উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নে কখনই নজর দিতে পারবে না। সেজন্য আমাদের এমন প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ে ভাবা উচিৎ যেগুলি সমাজকে শক্তিশালী করে তোলে, সমাজের ক্ষমতায়ন বাড়ায়। সেজন্য মহিলা ক্ষমতায়নের জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলিকেও তারা বিরোধিতা করে। তা সে তিন তালাক হোক কিংবা ছেলে ও মেয়েদের বিয়ের বয়স সমান করে দেওয়া – সব ব্যাপারে শুধুই বিরোধিতা করে। হ্যাঁ, যোগীজির সরকারের কাজ দেখে এঁরা অবশ্যই বলেন যে এটা তো আমরাই করেছি। আমি ভাবছিলাম যে বিগত দিনগুলিতে যাঁরা বাক্স ভরে ভরে, বিগত দিনগুলিতে যাঁরা বাক্স ভরে ভরে নোট পেয়েছেন, তারপরও এই মানুষেরা এটাই বলবেন যে লোকটা এমন কিছু করেছে যা কেউ করেনি।
বন্ধুগণ,
আজ কানপুরের বাসিন্দারা ব্যবসাকে খুব ভালোভাবে বোঝে। ২০১৭-র আগে দুর্নীতির যত ইতর, দুর্নীতির ইতর তারা গোটা উত্তরপ্রদেশে ছড়িয়ে দিয়েছিল তা আবার সবার সামনে চলে এসেছে। কিন্তু এখন তাঁরা মুখে তালা লাগিয়ে বসে আছেন, ঋণ নেওয়ার জন্য এগিয়ে আসছেন না। নোটের যে পাহাড়, যা গোটা দেশ দেখেছে, সেটাই তাঁদের সাফল্য। এটাই তাঁদের বাস্তব। উত্তরপ্রদেশের মানুষ এখন সব দেখছেন এবং বুঝতে পারছেন। সেজন্য তাঁরা উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নকারীদের সঙ্গে রয়েছেন। উত্তরপ্রদেশকে নতুন উচ্চতায় যাঁরা পৌঁছে দিচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন। ভাই ও বোনেরা, আজ এতবড় উপহার আপনাদের চরণে অর্পণ করার সময় অনেক ধরনের খুশিতে পরিপূর্ণ এই আবহ আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ উপলক্ষে আরও একবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা, অনেক ধন্যবাদ। ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়! ভারতমাতার জয়! অনেক অনেক ধন্যবাদ।