এ দেশে দূরসঞ্চার প্রযুক্তি একটি ক্ষমতামাত্র নয়, বরং এক বিশেষ ক্ষমতায়ন প্রচেষ্টা
ভারতে আইটিইউ-এর আঞ্চলিক দপ্তর ও উদ্ভাবন কেন্দ্রের সূচনাকালে মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর
‘প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি মাস্টার প্ল্যান’ হল এর এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
অ-ডিজিটাল ক্ষেত্রগুলিতেও ডিজিটাল ভারতের প্রভাব এখন অনস্বীকার্য।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও সমন্বয়ের এক নতুন বাতাবরণ গড়ে উঠবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে সকলের জন্য এক সুষ্ঠু ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ভারত যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাও যে এর ফলে উৎসাহিত হবে, একথাও মনে করেন তিনি।
এজন্য সমগ্র বিশ্বই আজ তাকিয়ে রয়েছে ভারতের প্রযুক্তিগত শক্তি ও প্রচেষ্টার দিকে।
এছাড়াও, ৬জি-র গবেষণা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত পরীক্ষানিরীক্ষার একটি মঞ্চ এবং ‘কল বিফোর ইউ ডিগ’ অ্যাপটিরও সূচনা করেন।
এর ফলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে সহযোগিতার এক নিবিড় বাতাবরণ গড়ে তোলা যাবে
ভারতে যেভাবে আধার, ইউপিআই এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রযুক্তির প্রসার ঘটেছে তার ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন যে এ সমস্ত কিছুই ভারতকে জ্ঞান-নির্ভর এক অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করেছে
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আমার সহকর্মীরা, ডঃ এস জয়শঙ্করজি, শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবজি এবং শ্রী দেবুসিং চৌহানজি, আইটিইউ-র সেক্রেটারি জেনারেল, অন্য বিশিষ্ট অতিথিগণ, ভদ্রমহোদয়া ও ভদ্রমহোদয়গণ!
আজকের দিনটি বিশেষ এবং পবিত্র দিন। আজ থেকে ‘হিন্দু ক্যালেন্ডার’ অনুযায়ী নববর্ষের সূচনা হচ্ছে। আমি ২০৮০ বিক্রম সম্বত-এর শুভেচ্ছা জানাই আপনাদের এবং সকল দেশবাসীকে। আমাদের বিশাল এবং বৈচিত্র্যময় দেশে বহু শতাবী ধরে বিভিন্ন ক্যালেন্ডার প্রচলিত। কোল্লাম শাসনকালে মালায়লাম ক্যালেন্ডার ছিল। ছিল তামিল ক্যালেন্ডার যা কয়েকশ’ বছর ধরে ভারতে তারিখ এবং সময় দেখার জন্য ব্যবহৃত হত। বিক্রম সম্বতও ২০৮০ বছর আগে থেকে প্রচলিত। গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডারের বয়স ২০২৩, কিন্তু তারও ৫৭ বছর আগে থেকে শুরু হয়েছে বিক্রম সম্বত। আমি খুশি যে টেলিকম, আইসিটি এবং সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবনের নতুন সূচনা হচ্ছে এই পূণ্য দিনে। আজ ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ)-এর আঞ্চলিক কার্যালয় এবং উদ্ভাবন কেন্দ্রের উদ্বোধন হয়েছে। এছাড়াও, ৬জি-র পরীক্ষারমূলক সূচনাও হয়েছে আজকে। এই প্রযুক্তি সংক্রান্ত আমাদের দৃষ্টিপত্রেরও আজ আবরণ উন্মোচন হয়েছে। এটি শুধু ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় নতুন প্রাণসঞ্চার করবে তাই নয়, দক্ষিণ এশিয়া এবং গ্লোবাল সাউথের জন্য সমাধান ও উদ্ভাবনও করবে। এটি নতুন সুযোগের সৃষ্টি করবে বিশেষ করে, আমাদের শিক্ষাবিদ, উদ্ভাবক, স্টার্ট-আপ এবং শিল্পের জন্য।
বন্ধুগণ,
জি-২০-র সভাপতিত্বকালে ভারতের অগ্রাধিকার আঞ্চলিক বিভাজন হ্রাস করা। কয়েক সপ্তাহ আগে ভারত গ্লোবাল সাউথ শিখর সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। গ্লোবাল সাউথ-এর অনন্য প্রয়োজনের কথা ভেবে প্রযুক্তি, নকশা এবং মানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্লোবাল সাউথ এখন প্রযুক্তিগত বিভাজনের সেতুবন্ধ করতে চাইছে। আইটিইউ-এর এই আঞ্চলিক কার্যালয় ও উদ্ভাবন কেন্দ্র সেই লক্ষ্য পূরণে একটি বড়সড় পদক্ষেপ। আমার মনে হয় যে গ্লোবাল সাউথ-এ আন্তর্জাতিক যোগাযোগ গড়ে তুলতে ভারতের প্রয়াস অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক এবং গতিসম্পন্ন। এতে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলির আইসিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং সংযোগ বৃদ্ধি পাবে। আমি এখানে উপস্থিত সকলকে বিশেষ করে, বিদেশ থেকে আগত সবাইকে অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানাই।
বন্ধুগণ,
প্রযুক্তিগত বিভাজনের সেতুবন্ধ করার কথা যখন ওঠে, তখন ভারতের কাছ অনেক কিছু প্রত্যাশা করাই স্বাভাবিক। ভারতের সম্ভাবনা, উদ্ভাবনী সংস্কৃতি, পরিকাঠামো, দক্ষ এবং উদ্ভাবন ক্ষমতাসম্পন্ন মানবসম্পদ ও সহায়ক নীতিগত পরিবেশ এই প্রত্যাশার ভিত্তি। এরই সঙ্গে ভারত দুটি বিষয় নিয়ে গর্ব করতে পারে। সেগুলি হল – আস্থা এবং মাত্রা। আমরা আস্থা এবং মাত্রা ব্যতিত প্রযুক্তিকে প্রতিটি কোণে পৌঁছে দিতে পারব। আমি বলব, বর্তমান প্রযুক্তির যুগে আস্থা হল পূর্বশর্ত। বর্তমানে সারা বিশ্ব ভারতের এই প্রয়াস নিয়ে আলোচনা করছে। আজকের ভারত সারা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংযুক্ত গণতন্ত্র যেখানে আছে ১০০ কোটি মোবাইল ফোন। সুলভ স্মার্টফোন এবং সস্তা ইন্টারনেট ডেটা ভারতের ডিজিটাল জগতের রূপান্তর ঘটিয়ে দিয়েছে। ভারতে প্রতি মাসে ৮০০ কোটির বেশি ইউপিআই ডিজিটাল পেমেন্ট হয়। ভারতে প্রতিদিন ৭ কোটি ই-অথেন্টিকেশন হয়। ভারতের CoWIN অ্যাপের মাধ্যমে ২২০ কোটির বেশি টিকাকরণ হয়েছে। গত কয়েক বছরে ভারত ডিবিটি-র মাধ্যমে ২৮ লক্ষ কোটির বেশি টাকা সরাসরি পৌঁছে দিয়েছে নাগরিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। আমরা জন ধন যোজনার মাধ্যমে আমেরিকার জনসংখ্যার চেয়েও বেশি মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছি। তারপর এই অ্যাকাউন্টগুলি ইউনিক ডিজিটাল আইডেন্টিটি বা আধার-এর মাধ্যমে যাচাই করা হয়েছে। তারপর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ১০০ কোটির বেশি মানুষকে সংযুক্ত করা হয়েছে। জন ধান-আধার-মোবাইল (জেএএম) – এই ত্রয়ীই এখন বিশ্বের কাছে গবেষণার বিষয়।
বন্ধুগণ,
টেলিকম প্রযুক্তি ভারতের কাছে শুধুই একটি শক্তির ধরন নয়, এটি মানুষের সশক্তিকরণের উপায়। বর্তমানে ডিজিটাল প্রযুক্তি ভারতে সর্বজনীন। সকলেই এর সুবিধা পাচ্ছে। গত কয়েক বছরে ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকরণ ভারতে ঘটছে বিশাল আকারে। যদি আমরা ব্রডব্যাঙ্ক সংযোগের কথা বলি, ২০১৪-র আগে ভারতে এটি ব্যবহার করতেন ৬ কোটি মানুষ। বর্তমানে ব্রডব্যান্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮০ কোটির বেশি। ২০১৪-র আগে ভারতে ইন্টারনেট সংযোগের সংখ্যা ছিল ২৫ কোটি, আজ তা ৮৫ কোটির বেশি।
বন্ধুগণ,
বর্তমানে ভারতের গ্রামে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা শহরের থেকে বেশি। এতেই প্রমাণ ডিজিটাল শক্তি কিভাবে দেশের কোণে কোণে পৌঁছচ্ছে। সরকার এবং বেসরকারি ক্ষেত্র মিলে ভারতে ২৫ লক্ষ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার বসিয়েছে। এই ক’বছরে প্রায় ২ লক্ষ গ্রাম পঞ্চায়েত সংযুক্ত হয়েছে অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে। বর্তমানে ৫ লক্ষের বেশি কমন সার্ভিস সেন্টার সারা দেশের গ্রামগুলিতে ডিজিটাল পরিষেবা প্রদান করছে। এই সকল পদক্ষেপের ফল আজ আমাদের ডিজিটাল অর্থনীতি দেশের সার্বিক অর্থনীতির তুলনায় আড়াইগুণ বেশি হারে এগোচ্ছে। নন-ডিজিটাল ক্ষেত্রও ডিজিটাল ইন্ডিয়া থেকে বলপ্রাপ্ত হচ্ছে। এর প্রমাণ আমাদের ‘পিএম গতি শক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যান’। সব ধরনের পরিকাঠামোর তথ্যের ভাণ্ডার তৈরি করা হচ্ছে যা আনা হয়েছে মাত্র একটি প্ল্যাটফর্মে। এর লক্ষ্য পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত প্রতিটি সম্পদের তথ্য পাওয়া যাবে একটি জায়গায় এবং প্রত্যেকেই তা তৎক্ষণাৎ পাবে। ‘কল বিফোর ইউ ডিগ’ অ্যাপ, যার আজ সূচনা হল তা এই ভাবনারই সম্প্রসারণ। আর এই ‘কল বিফোর ইউ ডিগ’-এর মানে এই নয় যে এটা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হবে। আপনারা জানেন যে বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য খোঁড়াখুঁড়ির ফলে টেলিকম নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই নতুন অ্যাপের সাহায্যে খননকারী সংস্থাগুলি এবং যে সমস্ত দপ্তরের মাটির নিচে বিভিন্ন জিনিসপত্র আছে, তাদের মধ্যে সমন্বয় ঘটানো যাবে। এর ফলে, ক্ষতি অনেক কম হবে আর মানুষকে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাও কমবে।
বন্ধুগণ,
বর্তমানে ভারত দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে ডিজিটাল বিপ্লবের পরবর্তী ধাপে। আজকে ভারত সারা বিশ্বে দ্রুততম ৫জি-র দেশ। মাত্র ১২০ দিনে ১২৫টি শহরে ৫জি চালু হয়ে গেছে। আজ ৫জি পরিষেবা পৌঁছে গেছে দেশের প্রায় ৩৫০টি জেলায়। এছাড়াও, বর্তমানে আমরা ৫জি চালু হওয়ার মাত্র ছ’মাস পরেই ৬জি নিয়ে আলোচনা করছি। এতে বোঝা যায় ভারতের আত্মবিশ্বাস কতটা। আজ আমরা দৃষ্টিপত্র প্রকাশ করলাম। এটি আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ৬জি চালু করার প্রধান ভিত্তি হয়ে উঠবে।
বন্ধুগণ,
দেশজ টেলিকম প্রযুক্তি বর্তমানে বিশ্বের নানা দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। ৪জি চালু হওয়ার আগে ভারত শুধুমাত্র ছিল টেলিকম প্রযুক্তির ক্রেতা। কিন্তু এখন ভারত সারা বিশ্বে টেলিকম প্রযুক্তির বৃহত্তম রপ্তানিকারক হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। ৫জি-র শক্তির সাহায্যে ভারত সারা বিশ্বের কর্মসংস্কৃতির বদল ঘটাতে অনেক দেশের সঙ্গে কাজ করছে। খুব শীঘ্রই ভারত ১০০টি নতুন ৫জি ল্যাব স্থাপন করবে। এতে ৫জি-র সঙ্গে যুক্ত সুবিধা, বাণিজ্যিক মডেল এবং কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। এই ১০০টি নতুন ল্যাব ভারতের প্রয়োজন অনুযায়ী ৫জি প্রয়োগের ব্যবস্থা করবে। সে ৫জি স্মার্ট ক্লাসরুমই হোক, কৃষিই হোক, অত্যাধুনিক পরিবহণ ব্যবস্থাই হোক অথবা স্বাস্থ্য পরিষেবা - ভারত প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দ্রুত কাজ করছে। ভারতের ৫জি-র মান বিশ্বের ৫জি ব্যবস্থারই অংশ। ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির মান নির্ণয়ের জন্য আমরা কাজ করব আইটিইউ-এর সঙ্গে। আজকে যে ভারতীয় আইটিইউ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সূচনা হল তাতে ৬জি-র জন্য সঠিক পরিবেশ গড়ে তোলার সহায়ক হবে। আমি একথা ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে আইটিইউ-এর ওয়ার্ল্ড টেলি-কমিউনিকেশন্স স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন অ্যাসেম্বলি আগামী বছর অক্টোবরে আয়োজিত হবে দিল্লিতে। সারা বিশ্ব থেকে প্রতিনিধিরা আসবেন ভারতে এই সভায় যোগ দিতে। আমি আপনাদের শুভেচ্ছা জানাই। সেইসঙ্গেই আমি এই ক্ষেত্রের কৃতবিদ্যদের কাছে আবেদন রাখব যে অক্টোবরের আগেই আমাদের কিছু করা উচিত যাতে বিশ্বের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর দেশগুলি পূর্ণ মাত্রায় ব্যবহার করতে পারে।
বন্ধুগণ,
ভারতের উন্নয়নের এই গতির দিকে লক্ষ্য রেখে এটা বলা যায় যে এই দশক ভারতের প্রযুক্তির দশক। ভারতের টেলিকম এবং ডিজিটাল মডেল সহজ, নিরাপদ, স্বচ্ছ আস্থাভাজন এবং পরীক্ষিত। দক্ষিণ এশিয়ার সকল বন্ধু দেশ এর সুযোগ নিতে পারে। আমার বিশ্বাস, আইটিইউ-এর এই কেন্দ্র এই ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। আরও একবার আমি এই গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে বিশ্বের নানা দেশ থেকে আগত অভ্যাগতদের স্বাগত জানাই এবং আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই।
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Share
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi
जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।
जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...
आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।
साथियों,
आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।
साथियों,
मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।
साथियों,
छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।
साथियों,
ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।
साथियों,
मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।
साथियों,
हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।
साथियों,
महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।
साथियों,
लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।
साथियों,
इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।
साथियों,
देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।
साथियों,
आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।
साथियों,
महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।
साथियों,
भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।
साथियों,
सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।
साथियों,
कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।
साथियों,
एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।
साथियों,
कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।
साथियों,
जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।
साथियों,
आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।
साथियों,
मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।