নমস্কার! আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহকর্মী এবং এই এলাকার সাংসদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মাননীয় শ্রী অমিত শাহজি, গুজরাটের জনপ্রিয় ও প্রাণশক্তিতে ভরপুর মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় শ্রী ভূপেন্দ্র ভাই প্যাটেলজি, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাননীয় শ্রী অজিত দোভালজি, সংসদে আমার সহকর্মী এবং ভারতীয় জনতা পার্টির গুজরাট শাখার সভাপতি মাননীয় শ্রী সি আর পাটিলজি, INSPACe-এর চেয়ারম্যান মাননীয় শ্রী পবন গোয়েঙ্কাজি, মহাকাশ বিভাগের সচিব শ্রদ্ধেয় শ্রী এস সোমনাথজি, ভারতের স্পেস ইন্ডাস্ট্রির সকল প্রতিনিধি, অন্যান্য শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিবর্গ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ।
আজ একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক ভারতের উন্নয়ন যাত্রায় একটি উজ্জ্বল অধ্যায় যুক্ত হল। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথারাইজেশন সেন্টার বা সংক্ষেপে INSPACe-এর প্রধান কার্যালয় স্থাপনের জন্য সমস্ত দেশবাসীকে আর বিশেষ করে দেশের সায়েন্টিফিক কমিউনিটিকে আমি অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আজকাল আমরা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রায়ই দেখি যে তরুণ-তরুণীরা কিছু উত্তেজক এবং আকর্ষনীয় পোস্ট দিতে থাকেন, আর তা দেওয়ার আগে তাঁরা অ্যালার্ট করতে থাকেন এবং অ্যালার্টে মেসেজিং করতে থাকেন। তাঁরা লেখেন – ‘ওয়াচ দিস স্পেস’! ভারতের স্পেস ইন্ডাস্ট্রির জন্য INSPACe-এর এই উদ্বোধন এই ‘ওয়াচ দিস স্পেস’ মুহূর্তের মতোই একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। INSPACe ভারতের যুব সম্প্রদায়কে, ভারতের শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণসম্পন্ন নবীন প্রজন্মের মানুষদের তাঁদের মেধা প্রদর্শনের একটি অভূতপূর্ব সুযোগ গড়ে দেবে। তাঁরা সরকারের জন্য কাজ করুন, কিংবা বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য, INSPACe সকলের জন্যই উন্নত অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে কাজ করার সুযোগ নিয়ে এসেছে। INSPACe-এ ভারতের মহাকাশ শিল্পোদ্যোগে বিপ্লব নিয়ে আসার ক্ষমতা রয়েছে আর সেজন্য আমি আজ অবশ্যই একথা বলব – “ওয়াচ দিস স্পেস, INSPACe ইজ ফর স্পেস, INSPACe ইজ ফর পেস, INSPACe ইজ ফর এস”।
বন্ধুগণ,
অনেক দশক পর্যন্ত ভারতে মহাকাশ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বেসরকারি শিল্পোদ্যোগগুলিকে কেবলই ভেন্ডার হিসেবে দেখা যেত। সরকারই সমস্ত স্পেস মিশন এবং প্রকল্পের কাজ করত। আমাদের বেসরকারি ক্ষেত্রের মানুষেরা প্রয়োজন অনুসারে হয়তো সামান্য কিছু কলকব্জা, বিভিন্ন যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ তৈরি কিংবা সরবরাহ করতেন। বেসরকারি ক্ষেত্রটিকে কেবলই ভেন্ডার বানিয়ে দেওয়ার ফলে, তাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ সর্বদাই অবরুদ্ধ থাকত, মাঝখানে একটি দেওয়াল দাঁড়িয়ে থাকত। যাঁরা সরকারি ব্যবস্থার মধ্যে ছিলেন না, তাঁরা বৈজ্ঞানিক হোন কিংবা কোনও নবীন প্রজন্মের মানুষজন, তাঁরা মহাকাশ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত নিজেদের ভাবনাচিন্তা নিয়ে কোনও কাজই করতে পারতেন না, আর এসব ব্যবধানের কারণে ক্ষতি কাদের হত? ক্ষতি দেশের হত, আর আমরা সকলেই নিজেদের জীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে জানি, আমরা সকলেই এর সাক্ষী যে বড় বড় ভাবনাচিন্তা যাঁদের থাকে, তাঁরাই অবশেষে জয়ী হন। মহাকাশ ক্ষেত্রে সংস্কার এনে তাকে সমস্ত বাধা-নিষেধ থেকে মুক্ত করে INSPACe এর মাধ্যমে বেসরকারি শিল্পোদ্যোগকে সহায়তা করে দেশ আজ জয়ী হওয়ার অভিযান শুরু করছে। আজ বেসরকারি ক্ষেত্র কেবলই ভেন্ডার হয়ে থাকবে না বরং, মহাকাশ ক্ষেত্রে ‘বিগ উইনার্স’-এর ভূমিকা পালন করবে। ভারতের সরকারি মহাকাশ প্রতিষ্ঠানগুলির সামর্থ্য আর ভারতের বেসরকারি ক্ষেত্রের আবেগ ও উদ্দীপনা যখন একসঙ্গে যুক্ত হবে তখন তাদের ওড়ার জন্য আকাশও কম পড়ছে বলে মনে হবে। ‘ইভেন স্কাই ইজ নট দ্য লিমিট’! যেভাবে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের সামর্থ্য আজ গোটা বিশ্ব দেখছে, তেমনই আগামীদিনগুলিতে ভারতের মহাকাশ ক্ষেত্রের শক্তিও নতুন নতুন উচ্চতা স্পর্শ করবে। INSPACe, স্পেস ইন্ডাস্ট্রি, স্টার্ট-আপস এবং ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র বা ইসরোর মধ্যে ট্রান্সফার অফ টেকনলজিকেও ফেসিলিটেট করার কাজ করবে। বেসরকারি ক্ষেত্র ইসরোর রিসোর্সগুলিও যাতে ব্যবহার করতে পারে, ইসরোর সঙ্গে যাতে মিলেমিশে কাজ করতে পারে, এটাও সুনিশ্চিত করা হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
মহাকাশ ক্ষেত্রে এই সংস্কার করার সময় সর্বদাই ভারতের যুব সম্প্রদায়ের অসীম সামর্থ্যের কথা আমার মনে ছিল, আর এখন একটু আগেই যে স্টার্ট-আপগুলিতে গিয়ে আমি দেখে এসেছি অনেক অল্প বয়সের তরুণ-তরুণীরা যেভাবে অত্যন্ত সাহস নিয়ে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের দেখে, তাঁদের কথা শুনে, আমার মন অত্যন্ত প্রসন্ন হয়ে উঠেছে। আমি এই সমস্ত নবীন প্রজন্মের মানুষদের অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। মহাকাশ ক্ষেত্রে আগের যত ব্যবস্থা ছিল সেগুলির মধ্যে ভারতের যুব প্রজন্ম ততটা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছিলেন না। দেশের যুবক-যুবতীরা তাঁদের সঙ্গে উদ্ভাবন, প্রাণশক্তি এবং আবিষ্কারের প্রাণশক্তি নিয়ে আসেন। তাঁদের ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতাও যথেষ্ট থাকে। এই প্রাণশক্তি ও ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা যে কোনও দেশের উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়। কিন্তু যদি কোনও তরুণ-তরুণী কোনও বাড়ি তৈরি করতে চান, তাহলে কি আমরা তাঁদেরকে বলতে পারি যে শুধুই পিডব্লিউডি-র মাধ্যমে তৈরি করুন? যদি কিছু তরুণ-তরুণী কিছু উদ্ভাবন করতে চায়, তাহলে আমরা তাঁদেরকে কি বলতে পারি যে শুধুই সরকারি ব্যবস্থার মধ্য দিয়েই করতে হবে? এটা শুনতেও অবাক লাগে কিন্তু আমাদের দেশে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে এটাই পরিস্থিতি। এটা দেশের দুর্ভাগ্য ছিল যে সময়ের সঙ্গে রেগুলেশন্স বা নিয়মকানুন এবং রেস্ট্রিকশন্স বা বাধানিষেধ - এর মধ্যে যে ব্যবধান থাকে তা সবাই ভুলে যেত। আজ যখন ভারতের নবীন প্রজন্ম দেশ নির্মাণের ক্ষেত্রে যত বেশি সম্ভব ততটাই অংশীদার হয়ে উঠতে চায়, তখন তাঁদের সামনে আমরা এই শর্ত রাখতে পারি না যে, যা কিছু করবেন সবই সরকারি ব্যবস্থার মধ্যে থেকে করুন, সরকারি পথে করুন। এ ধরনের শর্তের সময় চলে গেছে। আমাদের সরকার ভারতের নবীন প্রজন্মের সামনে থেকে সমস্ত ধরনের অবরোধ, বাধা-বিপত্তি সরিয়ে দিচ্ছে। ক্রমাগত সংস্কার আনছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রটিকে বেসরকারি শিল্পোদ্যোগের জন্য খুলে দেওয়া, আধুনিক ড্রোন নীতি রচনা করা, জিও-স্পেশিয়াল ডেটা গাইডলাইন্স তৈরি করা, টেলিকম, আইটি সেক্টরে ‘ওয়ার্ক ফ্রম এনিহোয়্যার’-এর স্বস্তি এনে দেওয়া। সরকার প্রত্যেক দিশায় কাজ করছে। আমরা চেষ্টা করছি যাতে আমরা ভারতের বেসরকারি ক্ষেত্রের জন্য যত বেশি সম্ভব ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’-এর আবহ গড়ে তুলতে পারি যাতে দেশের বেসরকারি ক্ষেত্র দেশবাসীদের ‘ইজ অফ লিভিং’-এ ততটাই সাহায্য করে।
বন্ধুগণ,
এখানে আসার একটু আগেই আমি INSPACe-এর টেকনিক্যাল ল্যাবরেটরি এবং ক্লিন রুমও ঘুরে দেখছিলাম। এখানে ভারতীয় কোম্পানিগুলির জন্য মহাকাশযানের ডিজাইন, ফ্যাব্রিকেশন, অ্যাসেম্বলি, ইন্টিগ্রেশন এবং টেস্টিং-এর জন্য প্রয়োজনীয় আধুনিক উপকরণ রয়েছে। এখানে আরও কিছু আধুনিক সুযোগ-সুবিধা এবং পরিকাঠামো তৈরি করা হবে যা দেশের স্পেস ইন্ডাস্ট্রির সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। আজ আমার প্রদর্শনী এলাকাটি ঘুরে দেখার, স্পেস ইন্ডাস্ট্রি এবং স্পেস স্টার্ট-আপস-এর লোকজনের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। আমার মনে আছে যখন আমরা মহাকাশ ক্ষেত্রের সংস্কার নিয়ে কথাবার্তা বলতাম, তখন কিছু মানুষ আশঙ্কা প্রকাশ করতেন যে, মহাকাশ শিল্পোদ্যোগে কোন প্রাইভেট প্লেয়ার আসবে? কিন্তু আজ মহাকাশ ক্ষেত্রে কিন্তু প্রাইভেট প্লেয়াররা এসেছেন। আপনারা শুনলে খুশি হবেন যে ৬০টিরও বেশি ভারতীয় প্রাইভেট কোম্পানি আজ ইতিমধ্যেই এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে, আর তাঁদের দেখে আমার আনন্দ আরও বেড়ে গিয়েছে। আমি গর্বিত যে আমাদের প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা লঞ্চ ভেহিকেল, স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড সেগমেন্ট এবং স্পেস অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রগুলিতে দ্রুতগতিতে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। পিএসএলভি রকেট নির্মাণের ক্ষেত্রেও ভারতের প্রাইভেট প্লেয়ার্সরা এগিয়ে এসেছেন। শুধু তাই নয়, অনেক প্রাইভেট কোম্পানি আজ নিজেদের রকেটের ডিজাইনও প্রস্তুত করে নিয়েছে। এটি ভারতের মহাকাশ ক্ষেত্রের সীমাহীন সম্ভাবনার একটি ঝলক মাত্র। এর জন্য আমি আমাদের বৈজ্ঞানিক, নবীন শিল্পোদ্যোগী এবং সমস্ত দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই, আর এই সমগ্র যাত্রাপথে এই যে নতুন মোড় এসেছে, একটি নতুন উচ্চতার পথ আমরা বেছে নিয়েছি, তার জন্য যদি আমার কাউকে সবচাইতে বেশি শুভেচ্ছা জানাতে হয়, তাহলে সবচাইতে বেশি ধন্যবাদ জানাব আমাদের ইসরোর শ্রদ্ধেয় বন্ধুদের। আমাদের ইসরোর প্রাক্তন সচিব এখানে বসে আছেন, যিনি এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন, আর এখন আমাদের সোমনাথজি একে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন, আর সেজন্য এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমার এই ইসরোর বন্ধুদেরকেই দিতে হবে। এই ইসরোর বৈজ্ঞানিকদের আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি। এটা ছোট সিদ্ধান্ত ছিল না বন্ধুগণ! এই স্টার্ট-আপ-এর শিল্পোদ্যোগীরাই জানেন যে এত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কারণে তাঁরা ভারতকে এবং বিশ্বকে কত কিছু দেওয়ার অদ্যম সাহস রাখেন, আর সেজন্য সম্পূর্ণ কৃতিত্ব ইসরোকেই দিতে হবে। তাঁরা এই কাজে অনেক বেশি উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে এগিয়ে এসেছেন। ক্রমাগত দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে সবকিছুকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন, আর যেখানে তাঁদের নিজেদেরই মালিকানা ছিল, সেখানে নবীনদের আগ্রহ দেখে তাঁরা বলছিলেন – না না আসুন, দেশের নবীন প্রজন্ম এগিয়ে আসুন। এটা আপনাদেরই প্রতিষ্ঠান, আপনারা এগিয়ে আসুন। এই আহ্বান, এই সিদ্ধান্ত নিজেই একটা অনেক বড় বিপ্লবী সিদ্ধান্ত বন্ধুগণ!
বন্ধুগণ,
এই সময় আমরা আমাদের স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে অমৃত মহোৎসব পালন করছি। স্বাধীন ভারতে আমাদের যে সাফল্যগুলি কোটি কোটি দেশবাসীকে প্রেরণা যুগিয়েছে, তাঁদেরকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে, সেগুলির মধ্যে আমাদের মহাকাশ ক্ষেত্রের সাফল্যগুলির অনেক বড় অবদান রয়েছে, বিশেষ অবদান রয়েছে। ইসরো যখন কোনও রকেট লঞ্চ করে, মহাকাশে কোনও মহাকাশযান পাঠায়, তখন গোটা দেশ সেই অভিযানে মানসিকভাবে যুক্ত হয়ে পড়ে, গর্ব অনুভব করে। দেশবাসী তাঁদের জন্য প্রার্থনা করে। আর যখন তাঁরা সফল হন, তখন প্রত্যেক দেশবাসী আনন্দ, উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা এবং গর্ব নিয়ে তাঁদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন, আর সেই সাফল্যকে ভারতের প্রত্যেক নাগরিক নিজেদের সাফল্য বলে মনে করেন। আর যদি দুর্ভাগ্যক্রমে কখনও কোনও দুর্ঘটনা ঘটে যায়, অকল্পনীয় কিছু ঘটে যায়, তাহলেও দেশবাসী নিজেদের বৈজ্ঞানিকদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের সাহস বাড়ানোর কাজ করে। কোনও বৈজ্ঞানিক থেকে শুরু করে কোনও কৃষক কিম্বা মজুর; তিনি বিজ্ঞান কিংবা প্রযুক্তিকে বোঝেন কি বোঝেন না – এই সবকিছুর উর্দ্ধে উঠে পাশে দাঁড়ান, তাঁদের অকুন্ঠ সমর্থনে আমাদের স্পেস মিশন দেশের জনগণের মনের মিশন হয়ে ওঠে। ‘মিশন চন্দ্রযান’-এর সময় সারা পৃথিবী আমাদের ভারতের এই মানসিক ঐক্যবদ্ধতার শক্তিকে দেখেছে। ভারতের মহাকাশ অভিযান একভাবে আত্মনির্ভর ভারতের সবচাইতে বড় পরিচয় ছিল। এখন যখন এই অভিযানে ভারতের বেসরকারি ক্ষেত্রের শক্তি যুক্ত হবে, তখন তার শক্তি কত বেশি বৃদ্ধি পাবে আপনারা তা কল্পনা করতে পারেন!
বন্ধুগণ,
একবিংশ শতাব্দীর এই সময়ে আপনার, আমার জীবনে প্রতিদিন মহাকাশ প্রযুক্তির ভূমিকা ক্রমবর্ধমান। যত বেশি ভূমিকা, যত বেশি প্রয়োগ, তত বেশি সম্ভাবনা। একবিংশ শতাব্দীর ‘স্পেস-টেক’ একটি বড় বিপ্লবের ভিত্তি হয়ে উঠেছে। ‘স্পেস-টেক’ এখন শুধুই সুদূর মহাকাশের জন্য নয়, বরং আমাদের ব্যক্তিগত স্পেসের প্রযুক্তিতে পরিণত হচ্ছে। সাধারণ মানুষের জীবনে মহাকাশ প্রযুক্তির যে ভূমিকা দৈনন্দিন জীবনে যেভাবে মহাকাশ প্রযুক্তি সামিল রয়েছে, সেদিকে সব সময় মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। আমরা টিভি খুলি, আমাদের সামনে এত বেশি চ্যানেল, কিন্তু খুব কম মানুষই জানেন যে এইসব চ্যানেল কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। কোথাও আসা-যাওয়া করতে হলে কিংবা এটা বুঝতে হলে যে পথে যানজট রয়েছে কিনা, সংক্ষিপ্ততম পথ কোনটা হবে – এই সবকিছু কিসের সাহায্যে সম্ভব হচ্ছে? কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে সম্ভব হচ্ছে। নাগরিক পরিকল্পনার এত কাজ রয়েছে, কোথাও সড়কপথ তৈরি হচ্ছে, কোথাও সেতু তৈরি হচ্ছে, কোথাও বিদ্যালয়, কোথাও হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে, কোথাও মাটির নিচের জলস্তর মাপতে হবে, পরিকাঠামো প্রকল্পগুলির তদারকি করতে হবে – এই সমস্ত কাজ কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমেই তো হচ্ছে। আমাদের যত উপকূলবর্তী এলাকা রয়েছে সেগুলির প্ল্যানিং-এর জন্য, সেগুলির ডেভেলপমেন্টের ক্ষেত্রে মহাকাশ প্রযুক্তির বড় ভূমিকা রয়েছে। সমুদ্রে যাঁরা মাছ ধরতে যান, সেই জেলেরাও মহাকাশ যানের মাধ্যমে মৎস্য শিকার এবং সামুদ্রিক ঝড়গুলি সম্পর্কে আগে থেকেই তথ্য পেয়ে যান। আজ বৃষ্টির জন্য যত অনুমান করা হচ্ছে তা প্রায় সবই সঠিক প্রমাণ হচ্ছে। তেমনই যখন ঝড় আসে, ঠিক কোথায় তার ‘ফল পয়েন্ট’ হবে, কোন দিকে ঝড়টি যাবে, কত ঘন্টা, কত মিনিটে সেটি ‘ফল’ করবে – এই সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যেই পাওয়া যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, কৃষিক্ষেত্রে ফসল বিমা যোজনা থেকে শুরু করে মৃত্তিকা স্বাস্থ্য কার্ডের অভিযান – এই সকল ক্ষেত্রে মহাকাশ প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। কোনও মহাকাশ প্রযুক্তি ছাড়া আমরা আজকের আধুনিক বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রের কল্পনাও করতে পারি না। এই সকল সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে যুক্ত বিষয়ে আমাদের কৃত্রিম উপগ্রহগুলি অত্যন্ত সহায়ক হয়ে উঠেছে। ভবিষ্যতে আপনারা আরও অনেক বেশি তথ্য জানতে পারবেন। এবারের বাজেটে আমরা টেলিভিশনের মাধ্যমে শিশুদের টিউশন দেওয়ার, পড়ানোর একটি বড় অভিযান চালানোর প্রকল্প তৈরি করেছি। শুধু তাই নয়, যে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় তাঁরা বসতে যাচ্ছেন, আর যে শিশুরা গ্রাম ছেড়ে বড় বড় শহরে অনেক বেশি ফিজ দিয়ে পড়াশোনা করছে তাদেরকেও আমরা এই কৃত্রিম উপগ্রহগুলির মাধ্যমে তাদের বাড়ি পর্যন্ত, তাদের প্রয়োজন অনুসারে পাঠ্যক্রম রচনা করাচ্ছি যাতে অভিভাবকদের অতিরিক্ত কোনও খরচ না করতে হয় আর দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম পরিবারের শিশুও ভালো ভালো টিউশন কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে নিজেদের টিভি স্ক্রিনে, নিজেদের ল্যাপটপের স্ক্রিনে, নিজেদের মোবাইল ফোনে খুব সহজেই যাতে পায় সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে চলেছি।
বন্ধুগণ,
ভবিষ্যতে এরকমই অনেক ক্ষেত্রে ‘স্পেস-টেক’-এর ব্যবহার অনেক বেশি বৃদ্ধি পেতে চলেছে। আমরা কিভাবে মহাকাশ প্রযুক্তিকে সাধারণ মানুষের জন্য বেশি সুলভ করে তুলব, কিভাবে এই ‘স্পেস-টেক’ সাধারণ মানুষের ‘ইজ অফ লিভিং’কে বৃদ্ধি করার মাধ্যম হয়ে উঠবে, আর কিভাবে আমরা এই প্রযুক্তির ব্যবহার দেশের উন্নয়ন এবং সামর্থ্যের জন্য করতে পারি এই লক্ষ্যে INSPACe এবং প্রাইভেট প্লেয়ার্সরা ক্রমাগত কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। জিও-স্পেশিয়াল ম্যাপিং-এর সঙ্গে যুক্ত কতো না সম্ভাবনা আমাদের সামনে রয়েছে। বেসরকারি ক্ষেত্রও এক্ষেত্রে অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। আমাদের কাছে আজ সরকারি স্যাটেলাইট বা উপগ্রহের বড় বড় ডেটা অ্যাভেইলেবল রয়েছে। এখন আগামীদিনে বেসরকারি ক্ষেত্রের কাছেও নিজস্ব অনেক ডেটা থাকবে। ডেটার এই পুঁজি আপনাদের বিশ্বে আপনাদেরকে অনেক বড় শক্তিতে বলীয়ান করতে চলেছে। এই সময় বিশ্বে স্পেস ইন্ডাস্ট্রির আকার প্রায় ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। ২০৪০ পর্যন্ত এর ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ইন্ডাস্ট্রি হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ আমাদের কাছে মেধাও রয়েছে, অভিজ্ঞতাও রয়েছে, কিন্তু আজ এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমাদের অংশীদারিত্ব, কেবল গণ-অংশীদারিত্ব অর্থাৎ, প্রাইভেট পার্টনারশিপ মাত্র ২ শতাংশ। আমাদের গ্লোবাল স্পেস ইন্ডাস্ট্রিতে নিজেদের অংশীদারিত্ব বাড়াতে হবে, আর এক্ষেত্রে আমাদের বেসরকারি ক্ষেত্রের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। আমি আগামীদিনে মহাকাশ পর্যটন এবং মহাকাশ কূটনীতির ক্ষেত্রেও ভারতের শক্তিশালী ভূমিকা পালনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। ভারতের মহাকাশ কোম্পানিগুলি কিভাবে আন্তর্জাতিক হয়ে উঠবে, আমাদের কাছে যত বেশি গ্লোবাল স্পেস কোম্পানি থাকবে তা গোটা দেশের জন্য অনেক গর্বের বিষয় হবে।
বন্ধুগণ,
আমাদের দেশে অনন্ত সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু এই অনন্ত সম্ভাবনাগুলি কখনও সীমিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাস্তবায়িত হতে পারে না। আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করছি, দেশের নবীন প্রজন্মকে আশ্বস্ত করছি, দেশের সায়েন্টিফিক টেম্পারামেন্ট বা বৈজ্ঞানিক মেজাজসম্পন্ন, ঝুঁকি নেওয়ার মতো ক্ষমতাসম্পন্ন নবীন প্রজন্মকে আশ্বস্ত করতে চাইছি যে মহাকাশ ক্ষেত্রে সংস্কারের এই প্রক্রিয়া ভবিষ্যতেও ক্রমাগত চলতে থাকবে। বেসরকারি ক্ষেত্রের প্রয়োজনগুলি যাতে শোনা যায়, বোঝা যায় আর বাণিজ্যের সম্ভাবনাগুলির যথাযথ পরিমাপ যাতে করা যায়, তা সুনিশ্চিত করতে INSPACe কে একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। INSPACe এই লক্ষ্যে বেসরকারি ক্ষেত্রের সমস্ত প্রয়োজন মেটানোর জন্য একটি ‘সিঙ্গল উইন্ডো ইন্ডিপেন্ডেন্ট নোডাল এজেন্সি’ রূপে কাজ করবে। সরকারি কোম্পানিগুলি, মহাকাশ শিল্পোদ্যোগগুলি, স্টার্ট-আপগুলি এবং প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ভারত নতুন ভারতীয় মহাকাশ নীতি নিয়েও কাজ করছে। আমরা মহাকাশ ক্ষেত্রে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’কে উৎসাহ যোগানোর জন্যও দ্রুত একটি নীতি নিয়ে এগোতে চলেছি।
বন্ধুগণ,
মানবতার ভবিষ্যৎ, তার উন্নয়নের নিরিখে আগামীদিনগুলিতে দুটি এমন ক্ষেত্র সবচাইতে বেশি প্রভাবশালী হয়ে উঠতে চলেছে। আমরা যত দ্রুত সেগুলিকে এক্সপ্লোর করব, বিশ্বের এই প্রতিযোগিতায় দেরি না করে যত এগিয়ে যেতে পারব, ততই আমরা বিভিন্ন উদ্ভূত পরিস্থিতির মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিতে পারব, নিয়ন্ত্রণও করতে পারব। আর সেই দুটি ক্ষেত্র হচ্ছে ‘স্পেস এন্ড সি’- মহাকাশ এবং সমুদ্র। এই দুটি নিঃসন্দেহে অনেক বড় শক্তিক্ষেত্র হয়ে উঠতে চলেছে। আজ আমরা আমাদের নীতি সংস্কারের মাধ্যমে তাদের সবাইকে ক্ষমতায়িত করার চেষ্টা করছি, আর দেশের নবীন প্রজন্মকে একসঙ্গে যুক্ত করার জন্য উৎসাহিত করছি। মহাকাশ ক্ষেত্রের জন্য আমাদের যুব সম্প্রদায়ের মনে, বিশেষ করে, ছাত্রছাত্রীদের মনে যে জিজ্ঞাসা রয়েছে তা ভারতের মহাকাশ শিল্পোদ্যোগগুলির উন্নয়নের জন্য অনেক বড় শক্তি হয়ে উঠবে। সেজন্য আমরা চেষ্টা করছি দেশের মধ্যে গড়ে ওঠা হাজার হাজার ‘অটল টিঙ্কারিং ল্যাবস’-এর ছাত্রছাত্রীদের মহাকাশ সংক্রান্ত নানা বিষয়ের সঙ্গে ক্রমাগত পরিচিত করাতে চাইছি, তাদের আপডেট করে রাখতে চাইছি। আমি দেশের স্কুল-কলেজগুলিকেও অনুরোধ করব যে আপনারা নিজেদের ছাত্রছাত্রীদের মহাকাশের সঙ্গে যুক্ত ভারতীয় সংস্থাগুলি এবং কোম্পানিগুলির সম্পর্কে বলবেন, তাদের গবেষণাগারগুলিতে নিয়ে যাবেন, পরিদর্শন করাবেন। এই ক্ষেত্রে যেভাবে ক্রমাগত ভারতীয় বেসরকারি কোম্পানিগুলির অংশগ্রহণ বাড়ছে তাদের থেকেও ছাত্রছাত্রীরা অনেক সাহায্য পাবে। আপনাদের হয়তো মনে আছে, আমি জানি না ভারতে আগে এমনটি কেন ছিল? কিন্তু ছিল, আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, এর আগের পরিস্থিতি এমনই ছিল যে যখন উপগ্রহ উৎক্ষেপণ হত, তখন সেই গোটা এলাকায় কারোর প্রবেশ নিষেধ ছিল, আর আমাদের মতো যত নেতারা থাকতেন, তাঁদেরকে ভিআইপি-র মতো সেখানে ১০-১৫ জনকে আমন্ত্রণ করে দেখানো হত যে উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে, আর আমরাও অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে সেটা দেখতাম। কিন্তু আমার ভাবনা ভিন্ন। আমার কাজ করার পদ্ধতিও ভিন্ন। সেজন্য আমি যখন প্রথমবার সেখানে প্রধানমন্ত্রী রূপে গিয়েছিলাম, তখন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি দেখেছিলাম যে দেশের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের, ছাত্রছাত্রীদের মনে এই নিয়ে উৎসাহ ও উদ্দীপনা রয়েছে, আগ্রহ রয়েছে, আর একথা মনে রেখে যেখান থেকে আমাদের উপগ্রহ উৎক্ষেপণ হয় সেই শ্রীহরিকোটায় আমরা একটি অনেক বড় উৎক্ষেপণ দেখার উপযোগী মঞ্চ তৈরি করি। যখন কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়, সেগুলি দেখার জন্য ‘ভিউ গ্যালারি’তৈরি করা হয়, আর যে কোনও নাগরিক কিংবা যে কোনও বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী যাতে এই কর্মসূচি চাক্ষুস দেখতে পারেন সে ব্যবস্থা করা হয়। আর সেখানে বসার ব্যবস্থাও ছোট নয়, ১০ হাজার মানুষ একসঙ্গে বসে এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকে যাতে দেখতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই বিষয়গুলিকে ছোট মনে হয় কিন্তু এই কর্মসূচিকে খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে যে এই ব্যবস্থা ছোট নয়। ১০ হাজার মানুষ একসঙ্গে বসে এই কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণকে যাতে দেখতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিষয়গুলি ভাবলে ছোট লাগে, কিন্তু ভারতের সামাজিক জীবনে এগুলির অনেক বড় প্রভাব পড়তে চলেছে।
বন্ধুগণ,
INSPACE সদর দপ্তরের শুভ উদ্বোধন আজ হচ্ছে। এটি এক প্রকার নানা মহাকাশ গতিবিধির কেন্দ্র হয়ে উঠতে চলেছে। আমি সেজন্য অত্যন্ত আনন্দিত যে আজ গুজরাটের ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় নানা ক্ষেত্রে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্র গড়ে উঠছে। আমি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র ভাই এবং তাঁর গোটা টিমকে, আমাদের গুজরাট রাজ্য সরকারের সমস্ত বন্ধুদেরকে, তাঁদের এই উদ্যোগের জন্য, তাঁদের এই সক্রিয়তার জন্য প্রোঅ্যাক্টিভভাবে আমাদের কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত নীতিকে সমর্থন জানানোর জন্য আমি হৃদয় থেকে অভিনন্দন জানাতে চাই, কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আপনারা জানেন যে কয়েক সপ্তাহ আগেই জামনগরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর গ্লোবাল সেন্টার ফর ট্র্যাডিশনাল মেডিসিন নামক একটি সংস্থা কাজ শুরু করেছে। জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন থেকে শুরু করে ন্যাশনাল ল’ ইউনিভার্সিটি বা জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়, পণ্ডিত দীনদয়াল এনার্জি ইউনিভার্সিটি, ন্যাশনাল ফরেন্সিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি, ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল চিলড্রেন্স ইউনিভার্সিটি – এরকম কতো না জাতীয় প্রতিষ্ঠান এখানে পাশাপাশি গড়ে উঠেছে। ভাস্করাচার্য ইনস্টিটিউট ফর স্পেস অ্যাপ্লিকেশন্স অ্যান্ড জিও-ইনফরমেটিক্স অর্থাৎ, বিসাগ-এর স্থাপনও দেশের অন্যান্য রাজ্যের জন্য একেকটি প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। এই বড় প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে এখন INSPACe-ও এই এলাকার পরিচয়কে বৃদ্ধি করবে। আমি দেশের যুব সম্প্রদায়ের কাছে, বিশেষ করে, গুজরাটের নবীন প্রজন্মের মানুষদের কাছে অনুরোধ জানাতে চাই যে, এই উন্নত ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে সম্পূর্ণ লাভবান হোন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ও ভরসা রয়েছে যে আপনাদের সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমে ভারত মহাকাশ ক্ষেত্রে নতুন নতুন উচ্চতা হাসিল করবে, আর আজকের এই শুভ উদ্যোগে আমি বিশেষ করে যে বেসরকারি ক্ষেত্রটি উৎসাহ সহকারে করেছে, যে নবীন প্রজন্মের মানুষেরা নতুন সাহস, নতুন সঙ্কল্প নিয়ে এগিয়ে এসেছেন, তাঁদের শুভেচ্ছাও জানাচ্ছি এবং তাঁদের অনেক শুভকামনাও জানাচ্ছি। আমি ইসরোর সমস্ত বৈজ্ঞানিকদের পাশাপাশি ইসরোর গোটা টিমকেও অনেক অনেক শুভকামনা জানাচ্ছি, অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে গোয়েঙ্কা প্রাইভেট সেক্টরে দীর্ঘকাল ধরেই একজন সফল ব্যক্তি। তাঁর নেতৃত্বে INSPACe প্রকৃত অর্থেই যে স্বপ্ন আমাদের সেই স্বপ্নগুলিকে বাস্তবায়নের সামর্থ্য নিয়ে এগিয়ে যাবে। এই প্রত্যাশা নিয়ে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদও জানাই।