২৯৬ কিলোমিটার দীর্ঘ চারলেনের এক্সপ্রেসওয়েটি ১৪ হাজার ৮৫০ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে
এই এক্সপ্রেসওয়েটি এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও শিল্পের ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটাবে
উত্তর প্রদেশ এক্সওয়ে প্রকল্পটি রাজ্যের প্রতিটি উপেক্ষিত অঞ্চল কে যুক্ত করছে
উত্তর প্রদেশের প্রতিটি প্রান্ত এখন নতুন স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে
সারা দেশে উত্তর প্রদেশের পরিচয় ক্রমশ বদলাচ্ছে
সময়ের আগে প্রকল্পের বাস্তব রূপ দিয়ে আমরা জনগণের আস্থা অর্জন করছি
আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মনে রাখতে হবে এবং আগামী এক মাসে নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করতে হবে
দেশের জন্য ক্ষতিকর সবকিছুই দেশের উন্নয়নে বিঘ্ন ঘটায়, তাই এগুলিকে দূরে রাখতে হবে
ডবল ইঞ্জিন সরকার উন্নয়নের জন্য কোনও সংক্ষিপ্ত পথ বা বিনামূল্যে সুবিধা প্রদানের পথ বেছে নেয়নি; কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়েই এগিয়ে চলেছে
দেশের রাজনীতি থেকে বিনামূল্যে সুবিধা দেওয়ার সংস্কৃতি সরাতে হবে
সামাজিক ন্যয় সুসংহত উন্নয়ন আনে

ভারত মাতা কি জয় !

ভারত মাতা কি জয় !

ভারত  মাতা কি জয় !

জয় বুন্দেলখন্ড

বেদব্যাসের জন্মভূমি এবং মহারানী লক্ষ্মীবাঈ-য়ের অঞ্চলে আবারও আমার আসার সৌভাগ্য হল। আমি এর জন্য অত্যন্ত আনন্দিত। নমস্কার !

উত্তরপ্রদেশের জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, উপমুখ্যমন্ত্রীরা শ্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যজি এবং শ্রী বৃজেশ পাঠকজি, এই অঞ্চলের প্রতিনিধি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মী শ্রী ভানুপ্রতাপ সিংজি, উত্তরপ্রদেশ সরকারের মন্ত্রীরা, সাংসদ, বিধায়ক, অন্যান্য জনপ্রতিনিধি এবং আমার বুন্দেলখন্ডের ভাই ও বোনেরা,

আধুনিক বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য বুন্দেলখন্ডের ভাই-বোন এবং উত্তরপ্রদেশের জনসাধারণকে অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ! এই এক্সপ্রেসওয়ে বুন্দেলখন্ডের গৌরবজ্জ্বল ঐতিহ্যকে উৎসর্গ করা হল। উত্তরপ্রদেশের একজন সাংসদ হিসেবে, জনপ্রতিনিধি হিসেবে বুন্দেলখন্ডকে এই এক্সপ্রেসওয়ে উপহার দেওয়ার জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত। বুন্দেলখন্ড অগণিত যোদ্ধা উপহার দিয়েছে যাঁদের রক্তে ভারতের জন্য কাজ করার অদম্য উৎসাহ রয়েছে, যাদের শৌর্য্য ও কঠোর পরিশ্রম দেশকে মহিমান্বিত করে তোলে।

ভাই ও বোনেরা,    

অনেকদিন ধরেই আমি উত্তরপ্রদেশে আসা-যাওয়া করি। উত্তরপ্রদেশবাসীর আর্শীবাদে গত ৮ বছর ধরে আমি দেশের প্রধান সেবক হিসেবে কাজ করছি। আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে উত্তরপ্রদেশে যদি দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদানকে যুক্ত করা যায়, যদি এই রাজ্যের পিছিয়ে পড়ার কারনগুলিকে ঠিক করা যায় তাহলে রাজ্য আরও শক্তিশালী হয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমস্যার সহজেই সমাধান করতে পারবে। প্রথম উপাদানটি ছিল রাজ্যের খারাপ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। আর দ্বিতীয় উপাদানটি ছিল রাজ্যের অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। আজ যোগী আদিত্যনাথজির নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশের জনসাধারণ পুরো চিত্রটি বদলে ফেলেছে। যোগীজির নেতৃত্বে সরকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটিয়েছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি এনেছে। স্বাধীনতার পর গত ৭ দশকে যখনই উত্তরপ্রদেশে নানা আধুনিক পরিকাঠামোর জন্য কাজ করা হয়েছে ,  তার বেশিরভাগ কাজই হয়েছে ইদানিংকালে। কি ঠিক বললাম তো? বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ে চিত্রকূট ও দিল্লির মধ্যে যোগাযোগের সময় ৩-৪ ঘণ্টা কমিয়ে দিয়েছে। এই মহাসড়ক শুধুমাত্র এই অঞ্চলের গাড়ির গতিবেগই বাড়াবে না, পাশাপাশি বুন্দেলখন্ডে শিল্পায়নের গতি আনবে। গুদামঘর এবং হিমঘর সহ বিভিন্ন শিল্প এক্সপ্রেসওয়ের দুদিক গড়ে উঠবে। কৃষি ভিত্তিক শিল্পের জন্য এই এক্সপ্রেসওয়ে সহায়ক হবে। কারন এখান থেকে কৃষিপণ্য নতুন নতুন বাজারে পরিবহণ করা যাবে। বুন্দেলখন্ডে প্রতিরক্ষা করিডরেও এক্সপ্রেসওয়ে সহায়তা করবে। এক কথায় এই এক্সপ্রেসও বুন্দেলখন্ডের প্রতিটি কোনায় উন্নয়নকে পৌঁছে দেবে, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করবে এবং নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করবে।

বন্ধুগণ,

একটা সময় ছিল যখন মনে করা হতো পরিবহণের আধুনিক সুযোগ-সুবিধাগুলি শুধুমাত্র মুম্বাই, চেন্নাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, হায়দ্রাবাদ ও দিল্লির জন্য বরাদ্দ। কিন্তু এখন সরকারের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানসিকতাও বদলেছে। মোদী এবং যোগী একসঙ্গে পুরনো কাজের ধারাকে সরিয়ে নতুনভাবে এগিয়ে  চলেছেন। দেশের বড় বড় শহরগুলির মতো ছোট শহরগুলিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের ছোট ছোট শহরে বড় শহরগুলির মতোই নানা প্রকল্পের সূচনা হয়েছে। বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ে চিত্রকূট, বান্দা, হামিরপুর, মাহোবা, জালাউুঁ, আউরিয়া এবং এটাওয়ার মধ্যে দিয়ে গেছে। পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ে লক্ষ্ণৌ ছাড়াও বারাবাঁকি, আমেঠি, সুলতানপুর, অযোধ্যা, আম্বেদকরনগর,  আজমগড়, মৌ ও গাজিপুরের মধ্যে দিয়ে গেছে। গোরক্ষপুর লিঙ্ক এক্সপ্রেসওয়ে আম্বেদকরনগর, সন্ত কবীর নগর এবং আজমগড়কে যুক্ত করেছে। গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে মিরাট, হাপুর, বুলন্দ শহর, আমরোহা, সম্বল, বাদাউুঁ, শাহজাহানপুর, হারদৈ, উন্নাও, রায়বেরিলী, প্রতাপগড় এবং প্রয়াগরাজকে সংযুক্ত করবে।  আপনারা দেখতে পাচ্ছেন বিপুল কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশের প্রতিটি অঞ্চল নতুন স্বপ্ন ও সংকল্প নিয়ে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলার জন্য প্রস্তুত। সবকা সাথ সবকা বিকাশের এটি আদর্শ উদাহরণ। সকলকে নিয়ে একসঙ্গে এগিয়ে চলতে হবে। ডাবল ইঞ্জিন সরকার সেই লক্ষ্যেই কাজ করে চলেছে। রাজ্যের ছোট ছোট শহরগুলির সঙ্গে বিমান যোগাযোগ গড়ে তোলা হচ্ছে। সম্প্রতি প্রয়াগরাজ এবং গাজিয়াবাদে বিমান বন্দরের নতুন টার্মিনাল তৈরি করা হয়েছে। কুশিনগরের বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামা চলছে। নয়ডার জেওয়ারে নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গড়ে তোলার কাজ চলছে। উত্তরপ্রদেশের আরও শহরে বিমান পরিষেবার ব্যবস্থা করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পর্যটন শিল্প এরফলে উপকৃত হবে। এই অনুষ্ঠান মঞ্চে ওঠার আগে আমাকে বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ে সম্পর্কে জানানো হচ্ছিল। আমি একটি উপস্থাপনায় দেখলাম এই অঞ্চলে অনেকগুলি দূর্গ রয়েছে। যারা বিদেশে গেছেন তারা অনেকেই জানেন ইউরোপে অনেক দেশে দূর্গকে ঘিরে পর্যটন শিল্প আবর্তিত হয়। পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষ পুরনো দূর্গ দেখতে জড়ো হন। বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের পর আমি যোগীজির সরকারকে অনুরোধ করবো দূর্গগুলিকে নিয়ে একটি পর্যটন সার্কিট গড়ে তোলার জন্য। আমি যোগীজিকে আরও অনুরোধ জানাবো রাজ্যের তরুণ-তরুণীদেরকে নিয়ে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করুন। কত দ্রুত এই সব দুর্গে পৌছানো যায়।  এই রাস্তা প্রথাগত রাস্তা অনুযায়ী হবে না বরং বলা ভালো দূর্গগুলিতে পৌঁছানোর জন্য বেশ শক্ত রাস্তায় হবে। আপনারা দেখবেন উত্তরপ্রদেশের হাজার হাজার যুবক-যুবতী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন এবং যথেষ্ট কঠিন প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। যিনি সব থেকে দ্রুত দূর্গের চূড়ায় পৌঁছাতে পারবেন তিনি সরকারের সহায়তায় এই অঞ্চলের জীবিকার সুযোগও পাবেন। বন্ধু তাহলে বুঝতেই পারছেন এক্সপ্রেসওয়ে থেকে কতো রকমের সুযোগ তৈরি হতে পারে।

বন্ধুগণ,

উত্তরপ্রদেশে ডাবল ইঞ্জিন সরকার যেভাবে আধুনিক নানা উদ্যোগের অঙ্গ নিয়েছে তার অভূতপূর্ব ফল এখন পাওয়া যাচ্ছে। বন্ধুরা, আপনাদের মনে আছে আমি কি বলেছিলাম? উত্তরপ্রদেশের সরযূ নদীর খাল প্রকল্পে ৪০ বছর লেগে গেছে। গোরক্ষপুরে সার কারখানা ৩০ বছর বন্ধ ছিল। অর্জুন জলাধার প্রকল্প শেষ করতে ১২ বছর লেগেছে। আমেঠি রাইফেল ফ্যাক্টরির শুধুমাত্র একটি বোর্ড টাঙানো ছিল। রায়বেরিলীতে কোনো কামরা তৈরি হতো না, সেখানে কামরাগুলিকে নতুন করে সাজানো হতো। আজ উত্তরপ্রদেশে যেভাবে পরিকাঠামোর উন্নয়নে কাজ হচ্ছে তার ফলে এই রাজ্যে অনেক উন্নত রাজ্যকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে। আপনারা কি এরজন্য গর্বিত নন?

বন্ধুগণ,

শুধুমাত্র মহাসড়ক বা বিমান পথই নয়, উত্তরপ্রদেশ শিক্ষা, উৎপাদনশিল্প ও কৃষিকাজে সমানভাবে এগিয়ে চলেছে। আগে এই রাজ্যে বছরে মাত্র ৫০ কিলোমিটার রেলপথের দ্বিতীয় লাইন বসানো হতো। আজ আমাদের সরকার আসার পর গড়ে প্রতি বছর ২০০ কিলোমিটার রেললাইন বসানোর কাজ হচ্ছে। ২০১৪ সালের আগে মাত্র ১১ হাজার কমন সার্ভিস সেন্টার ছিল। আজ এই সংখ্যা ১ লক্ষ ৩০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আগে মাত্র ১২টি মেডিকেল কলেজ ছিল  এই রাজ্যে। আজ ৩৫টির বেশি মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠেছে, আরো ১৪টি কলেজের কাজ চলছে।

ভাই ও বোনেরা,

দেশের উন্নয়ন আজ দুটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে এগিয়ে চলেছে। একটি হল ইচ্ছাশক্তি আর একটি হল মর্যাদা। আমরা দেশে নতুন নতুন সুবিধা যেমন গড়ে তুলছি একইসঙ্গে দেশের ভবিষ্যৎকেও শক্তিশালী করা হচ্ছে। আমরা পিএম গতিশক্তি ন্যাশনাল মাস্টার প্ল্যানের সাহায্যে একবিংশ শতাব্দীর সময়োপযোগী পরিকাঠামো গড়ে তুলছি।

আর বন্ধুরা,

উন্নয়নে বিষয়ে আমাদের অঙ্গীকার হল আমরা নির্ধারিত সময়কে কখনই অতিক্রম করবো না। কাশীতে আমাদের সরকার সৌন্দ্যার্যায়নের কাজ শুরু করেছে। আমাদের সরকারই সেই কাজ শেষ করেছে। আমাদের সরকার গোরক্ষপুরে এইমস-এর শিলান্যাস করেছে এবং তার উদ্বোধনও করেছে। আমাদের সরকার দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়ের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন দুটিই করেছে। বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়েও আর একটি উদাহরণ তৈরি করেছে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এই এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের কথা ছিল। কিন্ত ৭-৮ মাস আগেই এটি ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হল। করোনার সময় কতটা সমস্যা ছিল সেটি প্রত্যেক পরিবার জানেন। অথচ এই সমস্যার মধ্যেও এই প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ করেছি। এর ফলে প্রত্যেক দেশবাসী বুঝতে পারছেন যে ভোট তিনি দিয়েছেন তাকে সম্মান জানানো হচ্ছে। আমি যোগীজি এবং তাঁর দলের সদস্যদের এরজন্য অভিনন্দন জানাই।

বন্ধুগণ,

যখন আমি কোনো সড়ক, হাসপাতাল বা কারখানার উদ্বোধন করি তখন আমার মনে হয় আমি ভোটদাতাদের সম্মান জানাচ্ছি। কারন তাঁরা এই সরকার গঠন করেছেন আর আমি তাঁদের কিছু সুযোগ-সুবিধা করে দিচ্ছি। আজ সারা বিশ্ব ভারতের দিকে বিপুল আশা নিয়ে তাকিয়ে আছে। আমরা স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষ উদযাপন করছি। আমরা আগামী ২৫ বছর কি করবো তার পরিকল্পনা করছি। আজ যখন আমি বুন্দেলখন্ডে এসেছি যা ঝাঁসির রানী লক্ষ্মীবাঈয়ের অঞ্চল, আমি এই অঞ্চলের ৬ লক্ষের বেশি গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে একটি অনুরোধ রাখবো। আমরা আমাদের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি উৎসর্গ করবো কারন তাঁরা শত শত বছর নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। ১৫ই আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানাচ্ছি। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উদযাপন করার জন্য গ্রামগুলির পরিকল্পনা করা উচিত। আমরা প্রত্যেক গ্রামে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মরণ করবো এবং একটি নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। আজ এই বীরভূমি থেকে আমি সমস্ত দেশবাসীর উদ্দেশে এই আহ্বান জানাচ্ছি।

বন্ধুগণ,

আজ ভারতে এমন কিছু করা উচিত নয় যা বর্তমানে উচ্চাকাঙ্খার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে করা হচ্ছে না। আজ প্রত্যেকটি সিদ্ধান্ত ও নীতি এমনভাবে গ্রহণ করতে হবে যাতে দেশের উন্নয়নে গতি আসে। দেশের জন্য যা ক্ষতিকারক, যা দেশের উন্নয়নের পক্ষে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে আমাদের সেগুলির থেকে দূরে থাকা উচিত। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর ভারত উন্নয়নের জন্য বিপুল সুযোগ পেয়েছে। আজ নতুন ভারত গড়ার জন্য আমাদের আরও সক্রিয় হতে হবে। নতুন ভারতের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই বিষয়গুলিতে আমরা যদি এখনই সক্রিয় না হই তাহলে ভারতের তরুণ প্রজন্মের জন্য এবং বর্তমান পরিস্থিতির জন্য তা ক্ষতিকারক হতে পারে। আপনাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারময় হয়ে যেতে পারে। আর তাই আপনাদের সতর্ক হতে হবে। এখন আমাদের দেশে ভোট পাওয়ার জন্য উপহার দেওয়ার প্রবনতা দেখা দিয়েছে। দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে এই পাইয়ে দেওয়ার সংস্কৃতি অত্যন্ত বিপজ্জনক। আমার প্রিয় দেশবাসী এবং যুব বন্ধুরা আপনারা এই পাইয়ে দেওয়ার সংস্কৃতির বিষয়ে সতর্ক থাকুন। যারা এই সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী তারা কখনই আপনাদের জন্য নতুন এক্সপ্রেসওয়ে, বিমান বন্দর, প্রতিরক্ষা করিডর তৈরি করবেন না। তাঁরা মনে করবেন তাঁরা কিছু উপহার দিয়ে মানুষকে কিনে নেবেন। আজ দেশের এই পাইয়ে দেওয়ার সংস্কৃতিটিকে আমাদের সরিয়ে ফেলতে হবে।

বন্ধুগণ,

পাইয়ের দেওয়ার রাজনীতির বদলে আমাদের মানুষের আকাঙ্খা পূরণের জন্য রাস্তা তৈরি করতে হবে, নতুন রেললাইন বানাতে হবে। আমরা দরিদ্রদের জন্য পাকা বাড়ি বানাচ্ছি। বহু দশক ধরে অসমাপ্ত থাকা সেচ প্রকল্পের কাজ শেষ করছি, অনেক ছোট ও বড় জলাধার নির্মাণ করছি, দরিদ্র মানুষদের এবং কৃষকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে নতুন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তুলছি যাতে দেশের যুব সম্প্রদায়কে অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে না হয়।

বন্ধুগণ,

কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে একজন জনসাধারণের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করতে পারেন। আমাদের ডাবল ইঞ্জিন সরকার দেশের যেখানে যেখানে রয়েছে সেখানে তারা উন্নয়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। ডাবল ইঞ্জিন সরকারগুলি পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়, তারা উপহার বিলোনোর মতো শর্টকাট পদ্ধতি মেনে চলে না। রাজ্যের ভবিষ্যৎ উন্নত করতে এই সরকারগুলি কঠোর পরিশ্রম করে।

বন্ধুগণ,

আজ আমি আরও একটি জিনিস আপনাদের বলবো। দেশের সুষম উন্নয়ন এবং ছোট ছোট শহর ও গ্রামে আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুললে প্রকৃত অর্থে সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা হয়। পূর্ব ভারত এবং বুন্দেলখন্ডের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে নানা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। আজ যখন আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে এবং সামাজিক ন্যায় সুনিশ্চিত হচ্ছে, যখন উত্তরপ্রদেশের প্রত্যেকটি জেলায় উন্নয়ন হচ্ছে তখন সেটি এক ধরনের সামাজিক ন্যায়। গ্রামে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, প্রত্যেক বাড়িতে রান্নার গ্যাস পৌঁছে দেওয়া, দরিদ্রদের জন্য পাকা বাড়ি ও শৌচাগার নির্মাণ সামাজিক ন্যায়কে শক্তিশালী করছে। আমাদের সরকারের বিভিন্ন সামাজিক ন্যায় প্রকল্প থেকে বুন্দেলখন্ডের মানুষরা উপকৃত হচ্ছেন।

ভাই ও বোনেরা,

আমাদের সরকার বুন্দেলখন্ডের একটি বড় সমস্যার সমাধান করছে। জল জীবন মিশনের আওতায় আমরা প্রত্যেকের বাড়িয়ে নল বাহিত জল পৌঁছে দিচ্ছি। বুন্দেলখন্ডের লক্ষ লক্ষ পরিবারে জলের সংযোগ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মা ও বোনেরা এর থেকে অনেক উপকৃত হয়েছেন কারন তাঁদের দূর্দশা লাঘব হয়েছে। আমরা বুন্দেলখন্ডের নদীগুলি থেকে জল নিয়ে এই প্রকল্প কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। এরই উদ্যোগের ফসল রাতোলি ও ভাবনি জলাধার প্রকল্প এবং মাঝগাঁও-চিল্লি সেচ প্রকল্প। কেন- বেতোয়া সংযোগ প্রকল্পের জন্য কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর ফলে বুন্দেলখন্ডে মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন আসবে।  

বন্ধুগণ,

বুন্দেলখন্ডের বন্ধুদের কাছে আমার একটি অনুরোধ, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশ অমৃত সরোবর খননের শপথ নিয়েছে। বুন্দেলখন্ডের প্রত্যেকটি জেলায় ৭৫টি অমৃত সরোবর খনন করতে হবে। এর ফলে ভবিষ্যৎ প্রকল্প জল সঙ্কট থেকে রেহাই পাবে। আজ আমি আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ রাখছি আপনারা এই মহতী কাজে বিপুল সংখ্যায় অংশগ্রহণ করুন। এর জন্য গ্রামে গ্রামে বার্তা ছড়িয়ে দিন।

ভাই ও বোনেরা,

বুন্দেলখন্ডে কুটির শিল্পের প্রসারের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদের সরকারের আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে কুটির শিল্পকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভারতের কুটির শিল্পের সংস্কৃতিকে মেক ইন ইন্ডিয়া কর্মসূচি সাহায্য করবে। আজ এই প্রসঙ্গে আমি আপনাদের জানাবো একটি ছোট্ট উদ্যোগ কিভাবে বিপুল প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতি বছর নানা দেশ থেকে ভারতে কোটি কোটি টাকার খেলনা আমদানি হতো। ভারতে খেলনা বানানোর একটি পারিবারিক ও ঐতিহ্যশালী শিল্প রয়েছে। এই দিকটি বিবেচনা করে আমি খেলনা শিল্পকে শক্তিশালী করার জন্য দেশবাসীর কাছে আবেদন জানাই,  তারা যাতে শুধুমাত্র ভারতে তৈরি খেলনাই কেনেন। খুব কম সময়ে যা যা করা সম্ভব সরকার সে কাজগুলি করেছে। আজ প্রত্যেক ভারতবাসী জেনে গর্বিত হবেন যে কিভাবে আমাদের দেশ একটি স্বপ্ন পূরণ করলো। আমাদের উদ্যোগের ফলে বিদেশ থেকে খেলনা আমদানি যথেষ্ট কমেছে। এখন ভারত থেকে বিদেশে খেলনা রপ্তানী হচ্ছে। এর সুফল কারা পাচ্ছেন? দরিদ্র, দলিত, পিছিয়ে পরা এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষরা যাঁরা এই খেলনা তৈরি করেন তাঁরা সবথেকে উপকৃত। ঝাঁসি, চিত্রকূট এবং বুন্দেলখন্ডের খেলনা তৈরির একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। ডাবল ইঞ্জিন সরকার সেটিকে গুরুত্ব দিয়েছে।

বন্ধুগণ,

বুন্দেলখন্ডের নায়করা খেলার মাঠে বিজয় পতাকা উত্তোলন করেছেন। আজ বুন্দেলখন্ডের সন্তান মেজর ধ্যানচাঁদের নামে দেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ক্রীড়া পুরস্কারটি দেওয়া হচ্ছে। ধ্যানচাঁদজি তাঁর জীবনের একটি বড় সময় মিরাটে কাটিয়েছিলেন। সেই দিকটি বিবেচনা করে একটি ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হচ্ছে। আমাদের বুন্দেলখন্ডের মেয়ে শাইলী সিং লং জাম্পে নতুন রেকর্ড করেছেন। গত বছর অনুর্দ্ধ ২০ ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পেয়ানশিপে সে রুপো জিতেছে। আমাদের সরকার দেশের যুব সম্প্রদায়ের জন্য নানা সুযোগ গড়ে তোলার কাজ করছে। এই অঞ্চলে উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে যাতে এখান থেকে কাউকে অন্য কোথাও জীবিকার জন্য যেতে না হয়। উত্তরপ্রদেশ সুপ্রশাসনের নতুন উদাহরণকে আরও শক্তিশালী করে তুলুক। আরো একবার বুন্দেলখন্ড এক্সপ্রেসওয়ের জন্য আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাই। আপনাদের মনে করিয়ে দিই ১৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রত্যেক বাড়িতে স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব আমরা উদযাপন করবো। সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ। আসুন আমরা সমস্বরে বলে উঠি

ভারত মাতা কি জয়!

ভারত মাতা কি জয়!

ভারত মাতা কি জয়!

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।