আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধন ও ইনভেস্ট ইউপি ২.০-র সূচনা
শিল্পপতিরা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন এবং উত্তর প্রদেশে বিকাশের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন
“এখন উত্তর প্রদেশে সুপ্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি, শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়েছে”
“দেশের প্রতিটি নাগরিক উন্নয়নের পথে শরিক হতে চান এবং ‘বিকাশিত ভারত’ প্রত্যক্ষ করতে উৎসাহী”
“আজ ভারত বাধ্যবাধকতার জন্য নয়, স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সংস্কার বাস্তবায়িত করছে”
“নতুন সরবরাহ-শৃঙ্খল ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রশ্নে উত্তর প্রদেশ অগ্রণী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করছে”
“ডবল ইঞ্জিন সরকারের সংকল্প ও উত্তর প্রদেশের সম্ভাবনা – এর চেয়ে ভালো অংশীদারিত্ব আর কিছু হতে পারে না”
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট শিল্পপতি শ্রী কুমার মঙ্গলম বিড়লা বলেন, আজ ভারত উল্লেখযোগ্য শিল্পোদ্যোগ ও উদ্ভাবনের জায়গা হয়ে উঠেছে

উত্তরপ্রদেশের মাননীয় রাজ্যপাল শ্রীমতি আনন্দীবেন প্যাটেল জী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্যজী, ব্রজেশ পাঠকজী, এখানে উপস্থিত আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহকর্মীরা এবং লক্ষ্ণৌয়ের প্রতিনিধি শ্রদ্ধেয় রাজনাথ সিংজী, বিভিন্ন দেশ থেকে সকল বরিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ। উত্তরপ্রদেশের সকল মন্ত্রী এবং ‘গ্লোবাল ইনভেস্টর সামিট’ বা বিশ্ব বিনিয়োগকারী শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী শিল্পজগতের সম্মানিত সদস্যগণ, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী সমাজ, নীতি নির্ধারকগণ, কর্পোরেট জগতের নেতাগণ, উপস্থিত ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ, এই ‘বিশ্ব বিনিয়োগকারী শীর্ষ সম্মেলন’ আপনাদের সবাইকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। আপনারা নিশ্চয়ই ভাবছেন যে নিজে প্রধান অতিথি হয়েও আমি কেন আপনাদের স্বাগত জানানোর দায়িত্ব নিচ্ছি, কারণ আমার আরও একটি ভূমিকা রয়েছে। আপনারা সবাই আমাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং উত্তর প্রদেশের সংসদ সদস্য বানিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশের প্রতি আমার বিশেষ ভালবাসা আছে এবং উত্তরপ্রদেশের মানুষের প্রতিও আমার বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। সেই দায়িত্ব পালনের জন্যই আজ আমি এই শীর্ষ সম্মেলনের অংশ হয়েছি। আর সেই কারণেই আমি ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত ও বিদেশ থেকে উত্তরপ্রদেশে আগত সকল বিনিয়োগকারীদের অভিনন্দন ও স্বাগত জানাই।

বন্ধুগণ, 

উত্তরপ্রদেশের ভূমি তার সাংস্কৃতিক বৈভব, গৌরবময় ইতিহাস এবং সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের জন্য পরিচিত। এত সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও কিছু নেতিবাচক বিষয় উত্তরপ্রদেশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল। মানুষ বলত উত্তরপ্রদেশের উন্নয়ন করা কঠিন। মানুষ বলত, এখানে আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি সম্ভব নয়। উত্তরপ্রদেশকে বলা হ’ত অসুস্থ রাজ্য, সেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হ’ত। সবাই উত্তরপ্রদেশের উন্নতি নিয়ে তাঁদের আশা ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু মাত্র ৫-৬ বছরের মধ্যে, উত্তরপ্রদেশ নিজস্ব একটি নতুন পরিচয় প্রতিষ্ঠা করেছে এবং তা দাপটের সঙ্গে করেছে। এখন উত্তরপ্রদেশ এই সুশাসনের স্বীকৃতি পাচ্ছে। এখন উত্তরপ্রদেশ উন্নত আইন-শৃঙ্খলা, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য পরিচিত। এখন সম্পদ সৃষ্টিকারীদের জন্য এখানে নতুন নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে সবরকম পরিকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগের ফলস্বরূপ গত কয়েক বছরে অনেক অত্যাধুনিক পরিকাঠামো গড়ে উঠেছে। বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি - সব ক্ষেত্রেই উন্নতি হয়েছে। অতি শীঘ্রই উত্তরপ্রদেশ দেশের একমাত্র এমন রাজ্য হিসাবে পরিচিত হবে যেরাজ্যে ৫টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রয়েছে। ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডোরের মাধ্যমে, স্থলবন্দী উত্তরপ্রদেশ এখন সরাসরি সমুদ্রের সঙ্গে, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের বন্দরগুলির সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে। পরিকাঠামোর পাশাপাশি, ব্যবসা করার সুবিধা বৃদ্ধির নিরিখে উত্তরপ্রদেশে সরকারের চিন্তাভাবনা এবং পদ্ধতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে।

বন্ধুগণ,

আজ উত্তর প্রদেশে একটি আশা, একটি প্রত্যাশার রাজ্য হয়ে উঠেছে। ভারত যেমন আজ বিশ্বের জন্য একটি উজ্জ্বল স্থান হয়ে উঠেছে, উত্তর প্রদেশ তেমনি ভারতের সমৃদ্ধিকে সঞ্চালিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব দিচ্ছে।

বন্ধুগণ,

এখানে বড় বড় শিল্পোদ্যোগীরা রয়েছেন। আপনাদের অনেক দিনের অভিজ্ঞতা। বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনারা অবহিত। আপনারা আজ ভারতের অর্থনীতিতে সামর্থ দেখতে পাচ্ছেন। ম্যাক্রো ও মাইক্রো অর্থনৈতিক ভিত্তিগুলিও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করতে পারছেন। বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী আর যুদ্ধের ত্রাস থেকে বেরিয়ে ভারত কিভাবে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে ক্রমবিকাশমান অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠছে, আজ বিশ্বের সমস্ত স্বীকৃত কন্ঠস্বর একযোগে বলছে যে, ভারতের অর্থনীতি এভাবেই দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে থাকবে। এমন কি হয়েছে যে, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারী আর যুদ্ধের সঙ্কট সত্ত্বেও ভারত অর্থনীতির ক্ষেত্রে শুধু স্থিতিস্থাপকতা দেখায়নি, দ্রুত পুনরুদ্ধারের পথে এগিয়ে গেছে। 

বন্ধুগণ,

এইসবের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হ’ল – ভারতবাসীর নিজেদের উপর ক্রমবর্ধমান আস্থা ও আত্মবিশ্বাস। আজ ভারতের নবীন প্রজন্মের ভাবনায়, ভারতীয় সমাজের প্রত্যাশায় একটি বড় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আজ ভারতের প্রতিটি নাগরিক দ্রুতগতিতে অধিক উন্নয়ন দেখতে চান। তাঁরা ভারতকে দ্রুত উন্নত দেশের সারিতে দেখতে চান। ভারতীয় সমাজের এই উচ্চাকাঙ্খা আজ সরকারকেও দ্রুতগতিতে কাজ করার জন্য ধাক্কা দিচ্ছে। এই উচ্চাকাঙ্খাই দেশের উন্নয়নের কাজগুলিতে গতিসঞ্চার করছে। 

বন্ধুগণ,

এটা ভুলবেন না যে, আপনারা এখন যে রাজ্যে বসে আছেন, সেই রাজ্যের জনসংখ্যা প্রায় ২৫ কোটি। বিশ্বের অনেক বড় দেশের থেকেও বেশি সামর্থ একা উত্তর প্রদেশের রয়েছে। সমগ্র ভারতের মতোই আজ উত্তর প্রদেশেও একটি অনেক বড় উচ্চাকাঙ্খী সমাজ আপনাদের জন্য অপেক্ষা করছে।

বন্ধুগণ,

আজ ভারতে সামাজিক, প্রাকৃতিক এবং ডিজিটাল পরিকাঠামো উন্নয়নে যে কাজ হয়েছে, তার মাধ্যমে উত্তর প্রদেশ অনেক বেশি ঋদ্ধ হয়েছে। ফলে, আজ এখানে সমাজ, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে অনেক বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও পরস্পর সম্পর্কযুক্ত হয়ে উঠেছে। একটি বাজার রূপে ভারত এখন বাধাহীন হয়ে উঠছে। সরকারি প্রক্রিয়াগুলিও আরও সরল হচ্ছে। আমি প্রায়শই বলি, আজ ভারত কোনও রকম চাপে পড়ে নয়, প্রয়োজনের নিরিখে নিজেকে সংস্কার করছে। ফলে, ভারতে ৪০ হাজারেরও বেশি ‘কমপ্লায়েন্সেস’কে বাতিল করা হয়েছে। কয়েক ডজন পুরনো আইনকেও বাতিল করা হয়েছে। 

বন্ধুগণ,

আজ ভারত প্রকৃত অর্থে অধিক গতি ও মাত্রার পথে এগিয়ে চলেছে। সমাজের একটা অনেক বড় অংশে মৌলিক প্রয়োজনগুলি আমরা মেটাতে পেরেছি। সেজন্য তাঁরা একটি স্তর উপরের ভাবনা ভাবতে শুরু করেছেন, ভবিষ্যতের কথা ভাবছেন। এটাই ভারতের উপর আপনাদের ভরসার সবচেয়ে বড় কারণ হয়ে উঠবে। 

বন্ধুগণ,

কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যে সাধারণ বাজেট পেশ করেছেন, তাতেও আপনারা এই দায়বদ্ধতা স্পষ্টভাবে দেখতে পাবেন। আজ সরকার পরিকাঠামো ক্ষেত্রে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করছে আর প্রতি বছর এই বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেজন্য আজ আপনাদের জন্য পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগের নতুন নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগের অনেক সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। গ্রিন গ্রোথ বা পরিবেশ-বান্ধব উন্নয়নের যে পথ ভারত বেছে নিয়েছে, সেই পথে আমি আপনাদের বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানাই। এ বছরের বাজেটে আমরা ৩৫ হাজার কোটি টাকা শুধুই শক্তি উৎপাদন খাতে রূপান্তরণের জন্য রেখেছি। এটা থেকেই বোঝা যায় যে আমাদের ইচ্ছা কী! মিশন গ্রিন হাইড্রোজনে আমাদের এই ইচ্ছাশক্তিকে আরও শক্তিশালী করেছে। এবারের বাজেটে আমরা মিশন গ্রিন হাইড্রোজেন সংক্রান্ত সম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্র বিকশিত করার জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। বিদযুৎ চালিত যানবাহন ব্যবস্থায় রূপান্তরণের জন্য একটি নতুন সরবরাহ এবং মূল্য শৃঙ্খল গড়ে তুলছি। 

বন্ধুগণ,

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, নতুন মূল্য ও সরবরাহ-শৃঙ্খল গড়ে তুলতে উত্তর প্রদেশ আজ নেতৃত্ব দিচ্ছে। পরম্পরা এবং আধুনিকতার মিশ্রণে গড়ে ওঠা শিল্পোদ্যোগ, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক আজ উত্তর প্রদেশে স্পন্দিত। এখানকার ভাদোহির কার্পেট এবং বেনরসী সিল্ক ক্লাস্টার থাকার কারণে উত্তর প্রদেশ এখন ভারতের টেক্সটাইল হাব হয়ে উঠেছে। আজ ভারতের মোট মোবাইল ফোনের ৬০ শতাংশের বেশি উত্তর প্রদেশেই তৈরি হয়। মোবাইল ফোন সরঞ্জামের সবচেয়ে বেশি নির্মাণ শিল্পোদ্যোগও উত্তর প্রদেশেই রয়েছে। এখন দেশের দুটি ডিফেন্স করিডরের একটি উত্তর প্রদেশে নির্মিত হচ্ছে। এই ডিফেন্স করিডরের কাজ উত্তর প্রদেশে দ্রুতগতিতে সম্পন্ন হচ্ছে। আজ ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের চাহিদা দ্রুতগতিতে বাড়ছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীগুলিতে আমরা যত বেশি সম্ভব ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, প্রতিরক্ষা মঞ্চ প্রদানের জন্য দায়বদ্ধ। এই মহান প্রক্রিয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই লক্ষ্ণৌয়ের ভূমিপুত্র আমাদের কর্মবীর মাননীয় রাজনাথ সিংজী। এমন সময়ে, যখন ভারত একটি স্পন্দিত প্রতিরক্ষা শিল্পোদ্যোগ গড়ে তুলছে, এর ‘ফার্স্ট মুভার অ্যাডভান্টেজ’ আপনাদের অবশ্যই নেওয়া উচিৎ।

বন্ধুগণ,

উত্তর প্রদেশে তো ডেয়ারি শিল্প, মৎস্যচাষ, কৃষি এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। ফল এবং সব্জি উৎপাদনের ক্ষেত্রেও উত্তর প্রদেশে অনেক বৈচিত্র্য রয়েছে। এটি এমন একটি ক্ষেত্র, যাতে এখনও বেসরকারি ক্ষেত্রের অংশীদারিত্ব অত্যন্ত সীমিত। আপনারা হয়তো জানেন যে আমরা খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বৃদ্ধির জন্য প্রোডাকশন লিঙ্কড্ ইনসেন্টিভ (পিএলআই)বা উৎপাদন ভিত্তিক উৎসাহ প্রকল্প চালু করেছি। এই সুযোগকে আপনাদের কাজে লাগানো উচিৎ। 

বন্ধুগণ,

আজ সরকার বীজ বপণ থেকে শুরু করে ফসল উৎপাদন পরবর্তী ব্যবস্থাপনা পর্যন্ত অর্থাৎ কৃষকদের জন্য বীজ থেকে বাজার পর্যন্ত একটি আধুনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা তাঁদের কৃষি পরিকাঠামো তহবিলকে কাজে লাগাতে পারেন। এভাবে সারা দেশে একটি অনেক বড় ফসল সংরক্ষণ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য আমরা বাজেট বরাদ্দ করেছি। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ।

বন্ধুগণ,

আজ ভারত কৃষিতে বৈচিত্র্য আনতে চায়। আমরা ক্ষুদ্র চাষীদের অধিক অর্থ সহায়তার মাধ্যমে তাঁদের ‘ইনপুট কস্ট’ হ্রাস করার চেষ্টা করছি। সেজন্য আমরা দ্রুতগতিতে প্রাকৃতিক চাষের দিকে অগ্রসর হচ্ছি। আমাদের উত্তর প্রদেশে গঙ্গার দু’পারে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত প্রাকৃতিক চাষ শুরু হয়েছে। এ বছরের বাজেটে আমরা কৃষকদের সাহায্যের জন্য ১০ হাজার বায়ো ইনপুট রিসোর্স সেন্টার গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছি। এই কেন্দ্রগুলি প্রাকৃতিক চাষকে আরও বেশি উৎসাহ যোগাবে। এক্ষেত্রেও বেসরকারি শিল্পোদ্যোগীদের জন্য বিনিয়োগের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। 

বন্ধুগণ,

ভারতে আরেকটি নতুন অভিযান আমরা শুরু করেছি মিলেটস্‌ বা মোটাদানার শস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য। এর অনেক বৈচিত্র্য রয়েছে। বিশ্ব বাজারে যাতে তার একটি পরিচয় গড়ে ওঠে, তা সুনিশ্চিত করতে আমরা বাজেটে এই মোটাদানার শস্যগুলিকে একটি নতুন নাম দিয়েছে – শ্রী অন্ন। এই শ্রী অন্নগুলিতে পুষ্টি মূল্য অনেক বেশি। সেজন্য এগুলিকে সুপারফুড বলা যায়। আমরা শ্রী ফল-কে যতটা গুরুত্ব দিই, এখন থেকে শ্রী অন্ন-কেও ততটাই যাতে গুরুত্ব দিতে শুরু করি, সেই সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমরা ভারতের শ্রী অন্ন – এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পুষ্টি সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে চাই। রাষ্ট্রসংঘের উদ্যোগে এ বছরটিকে গোটা বিশ্ব ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অফ মিটেলস্ হিসাবে পালন করছে। এই বর্ষ পালন একদিকে আমাদের কৃষকদের শ্রী অন্ন উৎপাদনের জন্য উৎসাহিত করছে। অন্যদিকে, এর জন্য আন্তর্জাতিক বাজারও সম্প্রসারিত করছে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত বন্ধুরা ‘রেডি টু ইট’ এবং ‘রেডি টু কুক’ শ্রী অন্ন গ্রহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা সম্ভাবনা খুঁজে বের করতে পারেন। আর এভাবে তাঁরা মানবজাতির সেবাও করতে পারেন। 

বন্ধুগণ,

উত্তর প্রদেশে আরেকটি ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রশংসনীয় কাজ হয়েছে। সেটি হ’ল শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন। মহাযোগী গুরু গোরক্ষনাথ আয়ুষ ইউনিভার্সিটি, অটল বিহারী বাজপেয়ী হেলথ ইউনিভার্সিটি, রাজা মহেন্দ্র প্রতাপ সিং ইউনিভার্সিটি, মেজর ধ্যানচাঁদ স্পোর্টস ইউনিভার্সিটি – এরকম অনেক প্রতিষ্ঠান আমাদের যুবক-যুবতিদের ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে শিল্পোদ্যোগে কাজ করার উপযোগী করে তুলবে। আমাকে বলা হয়েছে যে, ইতিমধ্যেই উত্তর প্রদেশে দক্ষতা উন্নয়ন অভিযানের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে ১৬ লক্ষেরও বেশি যুবক-যুবতিকে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশ সরকার পিজিআই লক্ষ্ণৌ এবং আইআইটি কানপুরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন পাঠক্রম চালু করেছে। আজ আমি এখানে আসার আগে আমাদের মাননীয়া রাজ্যপাল, যিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কুলপতিদের দায়িত্ব পালন করেন, তিনি আমাকে জানালেন যে, উত্তর প্রদেশের জন্য গর্বের বিষয় হ’ল – নেট অ্যাক্রেডিটেশনে এবং উত্তর প্রদেশের ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ভারতের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে। এজন্য আমি শিক্ষা জগতের সঙ্গে যুক্ত সকলকে এবং বিশেষ করে আমাদের কুলপতি মহোদয়াকে অন্তর থেকে অভিনন্দন জানাই। দেশে স্টার্টআপ বিপ্লবের ক্ষেত্রেও উত্তর প্রদেশের ভূমিকা ক্রমে জোরদার হচ্ছে। উত্তর প্রদেশ সরকার আগামী কয়েক বছরে ১০০টি ইনক্যুবেটর্স এবং ৩টি স্টেট অফ দ্য আর্ট সেন্টার স্থাপন করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। অর্থাৎ, এখানে যে বিনিয়োগকারীরা আসবেন, তাঁরা নিয়মিত মেধাবী ও দক্ষতা উন্নয়নে ঋদ্ধ অনেক কর্মী পাবেন। 

বন্ধুগণ,

একদিকে ডবল ইঞ্জিন সরকারের ইচ্ছাশক্তি আর অন্যদিকে সম্ভাবনায় ভরপুর উত্তর প্রদেশ। এর থেকে উন্নত সম্মিলন আর কী হতে পারে? এই সুবর্ণ সুযোগ আমাদের হাতছাড়া করা উচিৎ নয়। ভারতের সমৃদ্ধিতেই বিস্বের সমৃদ্ধি নিহিত। ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতেই বিশ্বের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের গ্যারান্টি নিহিত। সমৃদ্ধির এই যাত্রায় আপনাদের সকলের অংশীদারত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনাদের এই বিনিয়োগ শুভ ও মঙ্গলময় হবে। এই আকাঙ্খা নিয়ে বিনিয়োগের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এবং বিশ্বের নানা দেশ থেকে যে বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে এসেছেন, তাঁদের সকলকে আমি অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। আর এই উত্তর প্রদেশের সাংসদ হিসাবে আপনাদের ভরসা দিতে পারি যে, উত্তর প্রদেশের বর্তমান সরকার, উত্তর প্রদেশের বর্তমান আমলাতন্ত্র দৃঢ় সংকল্প নিয়ে প্রগতির পথে এগিয়ে চলেছে। তাঁরা আপনাদের স্বপ্নগুলিকে বাস্তবায়িত করতে সম্পূর্ণ সামর্থ নিয়ে অগ্রদূতের মতো আপনাদের পাশে দাঁড়িয়ে আছে। এই বিশ্বাস নিয়ে আরেকবার দেশ ও বিশ্বের বিনিয়োগকারীদের আমাদের উত্তর প্রদেশের ভূমিতে আমন্ত্রণ জানাই, স্বাগত জানাই। 

অনেক অনেক ধন্যবাদ। 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Annual malaria cases at 2 mn in 2023, down 97% since 1947: Health ministry

Media Coverage

Annual malaria cases at 2 mn in 2023, down 97% since 1947: Health ministry
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister condoles passing away of former Prime Minister Dr. Manmohan Singh
December 26, 2024
India mourns the loss of one of its most distinguished leaders, Dr. Manmohan Singh Ji: PM
He served in various government positions as well, including as Finance Minister, leaving a strong imprint on our economic policy over the years: PM
As our Prime Minister, he made extensive efforts to improve people’s lives: PM

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has condoled the passing away of former Prime Minister, Dr. Manmohan Singh. "India mourns the loss of one of its most distinguished leaders, Dr. Manmohan Singh Ji," Shri Modi stated. Prime Minister, Shri Narendra Modi remarked that Dr. Manmohan Singh rose from humble origins to become a respected economist. As our Prime Minister, Dr. Manmohan Singh made extensive efforts to improve people’s lives.

The Prime Minister posted on X:

India mourns the loss of one of its most distinguished leaders, Dr. Manmohan Singh Ji. Rising from humble origins, he rose to become a respected economist. He served in various government positions as well, including as Finance Minister, leaving a strong imprint on our economic policy over the years. His interventions in Parliament were also insightful. As our Prime Minister, he made extensive efforts to improve people’s lives.

“Dr. Manmohan Singh Ji and I interacted regularly when he was PM and I was the CM of Gujarat. We would have extensive deliberations on various subjects relating to governance. His wisdom and humility were always visible.

In this hour of grief, my thoughts are with the family of Dr. Manmohan Singh Ji, his friends and countless admirers. Om Shanti."