হর হর মহাদেব!
আপনাদের সকলকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম।
উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দিবেন প্যাটেল মহোদয়া, জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজী, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগীবৃন্দ, উত্তর প্রদেশ সরকারের মন্ত্রী ও বিধায়কগণ, উপস্থিত সকল সম্মানীত ব্যক্তিবর্গ এবং আমার কাশীর প্রিয় ভাই ও বোনেরা!
এখন নবরাত্র’র পূর্ণ সময়, আজ মা চন্দ্রঘন্টার পূজার দিন। এটা আমার সৌভাগ্য যে, এই পবিত্র দিনে আজ আমি কাশীর মাটিতে আপনাদের সকলের মাঝে আসতে পেরেছি। আর আজ মা চন্দ্রঘন্টার আশীর্বাদে বারাণসীর সুখ ও সমৃদ্ধির আরেকটি অধ্যায় যুক্ত হচ্ছে। আজ এখানে ‘পাবলিক ট্রান্সপোর্ট রোপওয়ে’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। বারাণসীর চতুর্মুখী উন্নয়নের খাতিরে কয়েকশো কোটি টাকা বিনিয়োগে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে পরিশ্রুত পানীয় জল, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গঙ্গা পরিচ্ছন্নতা অভিযান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পুলিশ পরিষেবা, ক্রীড়া সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিষেবা – এই প্রকল্পগুলির অন্যতম। আজ এখানে আইআইটি বিএইচইউ-তে ‘সেন্টার অফ এক্সেলেন্স অন মেশিন টুলস্ ডিজাইন’ – এরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। অর্থাৎ, বারাণসীতে আরেকটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। এই সকল প্রকল্পের জন্য বারাণসীর জনগণকে এবং পূর্বাঞ্চলের জনগণকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
ভাই ও বোনেরা,
কাশীর উন্নয়ন নিয়ে আজ গোটা দেশে ও বিশ্বে প্রশংসা শোনা যায়। যাঁরাই কাশীতে আসছেন, তাঁরা এখান থেকে নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে ফিরছেন। আপনারা স্মরণ করুন, ৮-৯ বছর আগে যখন কাশীর জনগণ তাঁদের শহরের ‘কায়াকল্প’ বা আধুনিকীকরণের সংকল্প নিয়েছিল, তখন এমন অনেক মানুষ ছিলেন, যাঁদের মনে নানারকম আশঙ্কা ছিল। অনেকেই ভাবছিলেন যে, বারাণসীতে কোনও পরিবর্তন সম্ভব নয়। কাশীর জনগণ এক্ষেত্রে সফল হবেন না। কিন্তু, আপনারা সবাই নিজেদের পরিশ্রমের মাধ্যমে সমস্ত আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছেন।
বন্ধুগণ,
আজ কাশীতে পুরনো ও নতুন দুটি স্বরূপেরই দর্শন একসঙ্গে সম্ভব হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি বিদেশে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি যে, তাঁরা কিভাবে বিশ্বনাথ ধামের পুনর্নির্মাণ নিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ। গঙ্গা ঘাটগুলির সংস্কার নিয়ে প্রশংসায় তাঁরা উচ্ছ্বসিত। সম্প্রতি যখন বিশ্বের দীর্ঘতম রিভার ক্রুজ আমাদের কাশী থেকে যাত্রা শুরু করেছে, তখন এসব বিষয় নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছে। একটা সময় ছিল, যখন গঙ্গানদীতে এরকম রিভার ক্রুজ নিয়ে কল্পনাও অসম্ভব ছিল। কিন্তু, বারাণসীর জনগণ এই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন। আপনাদের এসব প্রচেষ্টার ফলেই গত এক বছরে ৭ কোটিরও বেশি পর্যটক কাশীতে এসেছেন। আর তাঁরা তো এসে বারাণসীতেই ছিলেন। অনেকেই পুরী-কচুরি-জিলিপি-লবঙ্গলতা-লস্যি-ঠান্ডাই ইত্যাদি খেয়েছেন। আপনাদের প্রসিদ্ধ বেনারসি পান, এখানকার কাঠের খেলনা, এখানকার বেনারসি শাড়ি, কার্পেট – এই সবকিছুর আকর্ষণে প্রত্যেক মাসে ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বারাণসী আসছেন। মহাদেবের আশীর্বাদে এটা অনেক বড় কাজ হয়েছে। এত মানুষ বারাণসীতে আসার ফলে এখানকার সমস্ত পরিবারের উপার্জনও বেড়েছে। এই পর্যটকদের আসার ফলে আপনাদের স্বনির্ভরতার অনেক নতুন নতুন সুযোগও বেড়েছে।
বন্ধুগণ,
৮-৯ বছর ধরে এই উন্নয়নযজ্ঞ চলার ফলে বারাণসীতে যত দ্রুতগতিতে উন্নয়ন হচ্ছে, সেই গতি বাড়ানোর সময় এখন এসেছে। আজ এখানে পর্যটন সংশ্লিষ্ট নগর সৌন্দর্যায়নের বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। সড়কপথ, রেলপথ, বিমানবন্দর, সেতু ইত্যাদি যোগাযোগ ব্যবস্থার সমস্ত দিক নিয়ে কাজ করার ফলে এখন এখানে যাতায়াত অনেক সহজ হয়েছে। কিন্তু, আমাদের এখন আরেক পা এগোতে হবে। এবার যে রোপওয়ে এখানে নির্মিত হচ্ছে, তার ফলে কাশীর যাতায়াত ব্যবস্থা এবং পর্যটনের ক্ষেত্রে আকর্ষণ আরও বাড়বে। এই রোপওয়ে গড়ে উঠলে বেনারস ক্যান্ট রেল স্টেশন এবং কাশী বিশ্বনাথ করিডরের মধ্যকার দূরত্ব মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই অতিক্রম করা যাবে। এর ফলে, বারাণসীর জনগণের সুবিধা আরও বাড়বে। এর ফলে, ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে গৌদোলিয়ার পথে যানজট সমস্যাও অনেকটা লাঘব হবে।
বন্ধুগণ,
বারাণসীর পার্শ্ববর্তী শহরগুলি ও অন্যান্য রাজ্য থেকে অনেক মানুষ নানা কাজে এখানে আসেন। অনেক বছর ধরেই তাঁরা বারাণসীর কোনও একটি এলাকায় আসেন, আর কাজ শেষ করে রেলে বা বাসে করে ফিরে যান। তাঁদের মনেও কখনও কখনও বারাণসী ঘুরে দেখার ইচ্ছে জাগে। কিন্তু তাঁরা যানজটের কথা ভেবে পিছিয়ে যান। হাতে যে অল্প সময় থাকে, তা রেল স্টেশন বা বাস স্ট্যান্ডে বসেই কাটিয়ে দেন। এবার এই রোপওয়ে তাঁদের জন্য দ্রুত বারাণসী দর্শনের সুযোগ এনে দেবে।
ভাই ও বোনেরা,
এই রোপওয়ে প্রকল্প শুধুই মানুষের যাতায়াতের সুবিধা এনে দেব না, ক্যান্ট রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের উপরেই রোপওয়ে স্টেশন নির্মাণ হবে। যাতে আপনারা সরাসরি সেখান থেকেই যাত্রা শুরু করতে পারেন। অটোমেটিক সিঁড়ি, লিফট্, হুইল চেয়ার, র্যা ম্প, শৌচালয় এবং পার্কিং – এর মতো পরিষেবাও সেখানে শুরু হবে। রোপওয়ে স্টেশনে খাওয়া-দাওয়া ও কেনাকাটার সুবিধা থাকবে। এভাবে বারাণসীতে ব্যবসা ও উপার্জনের আরেকটি বড় কেন্দ্র রূপে কাশী ক্যান্ট রেল স্টেশনকে গড়ে তোলা হবে।
বন্ধুগণ,
আজ বারাণসীর সঙ্গে বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা শক্তিশালী করার লক্ষ্যেও অনেক বড় কাজ হয়েছে। বাবতপুর বিমানবন্দরে নতুন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার – এর উদ্বোধন হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত এখান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাতায়াতকারী ৫০টিরও বেশি বিমানকে দৈনিক নিয়ন্ত্রণ করা যেত। নতুন এটিসি টাওয়ার গড়ে উঠলে এই ক্ষমতা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে, ভবিষ্যতে এই বিমানবন্দরকে আরও সহজেই সম্প্রসারণ করা যাবে।
ভাই ও বোনেরা,
কাশীতে স্মার্ট সিটি মিশন – এর কাজ যে গতিতে এগিয়ে চলেছে, তার ফলে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের ছোট ছোট প্রয়োজনের কথা মনে রেখে ভাসমান জেটি গড়ে তোলা হচ্ছে। নমামী গঙ্গে মিশনের মাধ্যমে গঙ্গা তীরবর্তী শহরগুলিতে পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থাপনার একটি বড় নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। বিগত ৮-৯ বছর ধরে গঙ্গা ঘাটগুলিতে যে পরিবর্তন এসেছে, আপনারা তার সাক্ষী। এখন গঙ্গার দু’পারে বৃক্ষ রোপণ ও পরিবেশ-বান্ধব অনেক বড় অভিযান শুরু হতে চলেছে। সরকার চেষ্টা করছে যাতে গঙ্গার দু’পারে ৫ কিলোমিটার অংশে শুধুই প্রাকৃতিক কৃষিকে উৎসাহদান করা হয়। এজন্য এবছরের কেন্দ্রীয় বাজেট অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। সার উৎপাদন থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক চাষ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উদ্যোগের জন্য নতুন নতুন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, বারাণসীর পাশাপাশি, উত্তর প্রদেশের সমগ্র পূর্বাঞ্চল কৃষি এবং কৃষিজাত পণ্য রপ্তানীর একটি বড় কেন্দ্র হয়ে উঠছে। আজ বারাণসীতে ফল ও সব্জির প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে গুদামজাতকরণ এবং পরিবহণ সংক্রান্ত বিভিন্ন আধুনিক পরিষেবা গড়ে উঠেছে। আজ বারাণসীর ল্যাংড়া আম, গাজীপুরের ঢ্যাড়শ এবং কাঁচালঙ্কা, জৌনপুরের মুলো এবং খরমুজ বিদেশের বাজারেও পৌঁছতে শুরু করেছে। এই ছোট ছোট শহরগুলিতে উৎপাদিত ফল ও সব্জি লন্ডন ও দুবাইয়ের বাজারেও পৌঁছে যাচ্ছে। আর আমরা সকলেই জানি যে, যত বেশি রপ্তানী হয়, তত বেশি কৃষকদের আমদানী বাড়ে। এখন করখিয়াঁও ফুড পার্কে যে ইন্টিগ্রেটেড প্যাক হাউস তৈরি হয়েছে, তা কৃষক ও বাগিচা চাষীদের অনেক উপকারে লাগছে। আজ এখানে পুলিশ ফোর্সের বেশ কিছু প্রকল্পও উদ্বোধন হ’ল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এগুলির মাধ্যমে আমাদের পুলিশ কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে।
বন্ধুগণ,
উন্নয়নের যে পথ আমরা বেছে নিয়েছি, সেখানে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন সুবিধার পাশাপাশি সংবেদনশীলতাও রয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল পরিশ্রুত পানীয় জলের। আজ এখানে পরিশ্রুত পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর কথা ভেবে তৈরি বেশ কিছু প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে। গরীব মানুষদের সমস্যা দূর করতে আমাদের সরকার প্রতিটি বাড়িতে নলবাহিত পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার অভিযান শুরু করেছে। এর মাধ্যমে বিগত তিন বছরে সারা দেশে ৮ কোটিরও বেশি বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। কাশী ও চার পাশের গ্রামগুলিতে বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমেও বারাণসী ও তৎসন্নিহিত অঞ্চলের জনগণ উপকৃত হয়েছেন। এখানকার সেবাপুরীতে নতুন বটলিং প্ল্যান্ট চালু হলে অনেক মানুষ উপকৃত হবেন। এর মাধ্যমে পূর্ব উত্তর প্রদেশ এবং পশ্চিম বিহারে গ্যাস সিলিন্ডারের যোগান আরও সুগম হবে।
বন্ধুগণ,
আজ কেন্দ্রে যে সরকার রয়েছে, উত্তর প্রদেশে যে সরকার রয়েছে – উভয়ই গরীবের জন্য চিন্তা করে। গরীব মানুষের সেবাকে অগ্রাধিকার দেয়। আপনারা আমাকে প্রধানমন্ত্রী বলুন কিংবা সরকার বলুন – কিন্তু, আমি নিজেকে আপনাদের সেবক বলেই মনে করি। এই সেবাভাব নিয়েই আমরা কাশী তথা উত্তর প্রদেশ ও দেশের সেবা করছি। একটু আগে আমার সরকারের অনেক প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছে। কেউ চোখের দৃষ্টি ফিরে পেয়েছেন, কেউ সরকারি সাহায্যে নিজের অন্ন সংস্থান নিজেই করতে পারছেন। সুস্থ দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে সমৃদ্ধ কাশী অভিযান যে সফল হয়েছে, তার প্রমাণ একটু আগেই একজন ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা বলে অনুভব করেছি। তিনি বলছিলেন যে, সাহেব, সুস্থ দৃষ্টিভঙ্গী এবং সরকারের দূরদৃষ্টি প্রায় ১ হাজার মানুষকে চোখের ছানির চিকিৎসায় সাহায্য করেছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজ বারাণসীর হাজার হাজার মানুষ সরকারি প্রকল্পগুলি থেকে উপকৃত হচ্ছেন। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে, ২০১৪ সালের আগে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে অনেক দৌড়-ঝাঁপ করতে হ’ত। সাধারণ পরিবারের মানুষরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার কথা ভাবতেই পারতেন না। আজ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম পরিবারের নিজস্ব জন ধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেগুলির মাধ্যমে আজ সরাসরি তাঁদের কাছে সরকারি সাহায্য পৌঁছে যাচ্ছে। আজ ক্ষুদ্র চাষী থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আমাদের বোনেদের নেতৃত্বাধীন স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি মুদ্রা যোজনার মতো বেশ কিছু প্রকল্পের মাধ্যমে সহজেই ঋণ পাচ্ছেন। আমাদের পশুপালক এবং মৎস্যচাষী ভাই-বোনদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। ঠেলাওয়ালা, ফুটপাতের হকার এবং রেল লাইনের দু’পাশে পসরা সাজিয়ে বসা ভাই ও বোনেরাও প্রথমবার পিএম স্বনিধি যোজনার মাধ্যমে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাচ্ছেন। এ বছরের বাজেটে আমাদের বিশ্বকর্মা বা কারিগর বন্ধুদের সাহায্যের জন্য পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা খাতে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। স্বাধীনতার অমৃতকালে উন্নত ভারত গঠনের প্রচেষ্টায় প্রত্যেক ভারতবাসী যেন অবদান রাখতে পারেন, সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে।
ভাই ও বোনেরা,
কিছুক্ষণ আগেই আমার খেলো বেনারস প্রতিযোগিতায় বিজেতাদের সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন খেলায় ১ লক্ষেরও বেশি কিশোর-কিশোরী ও যুবক-যুবতী অংশগ্রহণ করেছেন। সেজন্য আমি আমার সংসদীয় অঞ্চলের সকল অধিবাসীদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। বারাণসীর তরুণরা যাতে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বেশি সুযোগ পায়, তা সুনিশ্চিত করতে এখানে নতুন নতুন ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে আধুনিক পরিষেবা বিকশিত করা হচ্ছে। গত বছর সিগরা স্টেডিয়ামের পুনর্নির্মাণের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছিল, আজ এখানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে, এখানে ভিন্ন ভিন্ন ক্রীড়া অভ্যাসের সুবিধা এবং আধুনিক হস্টেল পরিষেবা গড়ে উঠবে। আর এখন তো বারাণসীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামও গড়ে উঠছে। এই স্টেডিয়ামের কাজ যখন সম্পূর্ণ হবে, তখন এটি বারাণসীর আরেকটি আকর্ষণীয় কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে।
ভাই ও বোনেরা,
আজ উত্তর প্রদেশ উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন নতুন মাত্রা প্রতিষ্ঠা করছে। আগামীকাল অর্থাৎ ২৫ মার্চ তারিখে যোগীজীর দ্বিতীয় ইনিংসের এক বছর সম্পূর্ণ হতে চলেছে। ২-৩ দিন আগেই যোগীজী উত্তর প্রদেশে লাগাতার সবচেয়ে বেশি সময় মুখ্যমন্ত্রী থাকার রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। হতাশার পুরনো চিত্র থেকে বেরিয়ে এসে উত্তর প্রদেশ আশা ও আকাঙ্খার নতুন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে। নিরাপত্তা এবং পরিষেবা যেখানে বৃদ্ধি পায়, সেখানে সমৃদ্ধি নিশ্চিত। আজ উত্তর প্রদেশে এটাই হচ্ছে। আজ এখানে যত নতুন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, সেগুলিও উত্তর প্রদেশের সমৃদ্ধির পথকে আরও শক্তিশালী করেছে। আমি আরেকবার আপনাদের সকলকে উন্নয়নের বিভিন্ন অভিযানে সাফল্যের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক শুভকামনা। হরহর মহাদেব!
ধন্যবাদ।