প্রধানমন্ত্রী বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে গোদৌলিয়া পর্যন্ত যাত্রীবাহী রোপওয়ে ব্যবস্থাপনার শিলান্যাস করেছেন
জল জীবন মিশনের আওতায় প্রধানমন্ত্রী ১৯টি পানীয় জল প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন
“কাশী মানুষের চাহিদা নির্ধারণ করে এবং পরিবর্তন শহর হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে”
“গত ৯ বছরে গঙ্গার ঘাটগুলির বৈপ্লবিক সকলেই প্রত্যক্ষ করেছেন”
“গত তিন বছরে দেশে ৮ কোটি বাড়িতে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে”
“সরকার চায় প্রতিটি নাগরিক অমৃতকালে কোনও না কোনও ভূমিকা পালন করুন এবং ভারতের উন্নয়ন যাত্রায় সকলেই সামিল হন”
“রাজ্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের নিরিখে উত্তর প্রদেশ এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে”
“উত্তর প্রদেশ হতাশার গ্লানি থেকে বের হয়ে এসে উচ্চাকাঙ্খা ও আশার পথ ধরে এগিয়ে চলেছে”

হর হর মহাদেব!

আপনাদের সকলকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম। 

উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল শ্রীমতী আনন্দিবেন প্যাটেল মহোদয়া, জনপ্রিয় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজী, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সহযোগীবৃন্দ, উত্তর প্রদেশ সরকারের মন্ত্রী ও বিধায়কগণ, উপস্থিত সকল সম্মানীত ব্যক্তিবর্গ এবং আমার কাশীর প্রিয় ভাই ও বোনেরা!

এখন নবরাত্র’র পূর্ণ সময়, আজ মা চন্দ্রঘন্টার পূজার দিন। এটা আমার সৌভাগ্য যে, এই পবিত্র দিনে আজ আমি কাশীর মাটিতে আপনাদের সকলের মাঝে আসতে পেরেছি। আর আজ মা চন্দ্রঘন্টার আশীর্বাদে বারাণসীর সুখ ও সমৃদ্ধির আরেকটি অধ্যায় যুক্ত হচ্ছে। আজ এখানে ‘পাবলিক ট্রান্সপোর্ট রোপওয়ে’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। বারাণসীর চতুর্মুখী উন্নয়নের খাতিরে কয়েকশো কোটি টাকা বিনিয়োগে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে পরিশ্রুত পানীয় জল, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, গঙ্গা পরিচ্ছন্নতা অভিযান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পুলিশ পরিষেবা, ক্রীড়া সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিষেবা – এই প্রকল্পগুলির অন্যতম। আজ এখানে আইআইটি বিএইচইউ-তে ‘সেন্টার অফ এক্সেলেন্স অন মেশিন টুলস্ ডিজাইন’ – এরও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। অর্থাৎ, বারাণসীতে আরেকটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। এই সকল প্রকল্পের জন্য বারাণসীর জনগণকে এবং পূর্বাঞ্চলের জনগণকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

ভাই ও বোনেরা,

কাশীর উন্নয়ন নিয়ে আজ গোটা দেশে ও বিশ্বে প্রশংসা শোনা যায়। যাঁরাই কাশীতে আসছেন, তাঁরা এখান থেকে নতুন প্রাণশক্তি নিয়ে ফিরছেন। আপনারা স্মরণ করুন, ৮-৯ বছর আগে যখন কাশীর জনগণ তাঁদের শহরের ‘কায়াকল্প’ বা আধুনিকীকরণের সংকল্প নিয়েছিল, তখন এমন অনেক মানুষ ছিলেন, যাঁদের মনে নানারকম আশঙ্কা ছিল। অনেকেই ভাবছিলেন যে, বারাণসীতে কোনও পরিবর্তন সম্ভব নয়। কাশীর জনগণ এক্ষেত্রে সফল হবেন না। কিন্তু, আপনারা সবাই নিজেদের পরিশ্রমের মাধ্যমে সমস্ত আশঙ্কাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছেন। 

বন্ধুগণ,

আজ কাশীতে পুরনো ও নতুন দুটি স্বরূপেরই দর্শন একসঙ্গে সম্ভব হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি বিদেশে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি যে, তাঁরা কিভাবে বিশ্বনাথ ধামের পুনর্নির্মাণ নিয়ে মন্ত্রমুগ্ধ। গঙ্গা ঘাটগুলির সংস্কার নিয়ে প্রশংসায় তাঁরা উচ্ছ্বসিত। সম্প্রতি যখন বিশ্বের দীর্ঘতম রিভার ক্রুজ আমাদের কাশী থেকে যাত্রা শুরু করেছে, তখন এসব বিষয় নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছে। একটা সময় ছিল, যখন গঙ্গানদীতে এরকম রিভার ক্রুজ নিয়ে কল্পনাও অসম্ভব ছিল। কিন্তু, বারাণসীর জনগণ এই অসাধ্য সাধন করে দেখিয়েছেন। আপনাদের এসব প্রচেষ্টার ফলেই গত এক বছরে ৭ কোটিরও বেশি পর্যটক কাশীতে এসেছেন। আর তাঁরা তো এসে বারাণসীতেই ছিলেন। অনেকেই পুরী-কচুরি-জিলিপি-লবঙ্গলতা-লস্যি-ঠান্ডাই ইত্যাদি খেয়েছেন। আপনাদের প্রসিদ্ধ বেনারসি পান, এখানকার কাঠের খেলনা, এখানকার বেনারসি শাড়ি, কার্পেট – এই সবকিছুর আকর্ষণে প্রত্যেক মাসে ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষ বারাণসী আসছেন। মহাদেবের আশীর্বাদে এটা অনেক বড় কাজ হয়েছে। এত মানুষ বারাণসীতে আসার ফলে এখানকার সমস্ত পরিবারের উপার্জনও বেড়েছে। এই পর্যটকদের আসার ফলে আপনাদের স্বনির্ভরতার অনেক নতুন নতুন সুযোগও বেড়েছে। 

বন্ধুগণ,

৮-৯ বছর ধরে এই উন্নয়নযজ্ঞ চলার ফলে বারাণসীতে যত দ্রুতগতিতে উন্নয়ন হচ্ছে, সেই গতি বাড়ানোর সময় এখন এসেছে। আজ এখানে পর্যটন সংশ্লিষ্ট নগর সৌন্দর্যায়নের বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। সড়কপথ, রেলপথ, বিমানবন্দর, সেতু ইত্যাদি যোগাযোগ ব্যবস্থার সমস্ত দিক নিয়ে কাজ করার ফলে এখন এখানে যাতায়াত অনেক সহজ হয়েছে। কিন্তু, আমাদের এখন আরেক পা এগোতে হবে। এবার যে রোপওয়ে এখানে নির্মিত হচ্ছে, তার ফলে কাশীর যাতায়াত ব্যবস্থা এবং পর্যটনের ক্ষেত্রে আকর্ষণ আরও বাড়বে। এই রোপওয়ে গড়ে উঠলে বেনারস ক্যান্ট রেল স্টেশন এবং কাশী বিশ্বনাথ করিডরের মধ্যকার দূরত্ব মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই অতিক্রম করা যাবে। এর ফলে, বারাণসীর জনগণের সুবিধা আরও বাড়বে। এর ফলে, ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে গৌদোলিয়ার পথে যানজট সমস্যাও অনেকটা লাঘব হবে।

বন্ধুগণ,

বারাণসীর পার্শ্ববর্তী শহরগুলি ও অন্যান্য রাজ্য থেকে অনেক মানুষ নানা কাজে এখানে আসেন। অনেক বছর ধরেই তাঁরা বারাণসীর কোনও একটি এলাকায় আসেন, আর কাজ শেষ করে রেলে বা বাসে করে ফিরে যান। তাঁদের মনেও কখনও কখনও বারাণসী ঘুরে দেখার ইচ্ছে জাগে। কিন্তু তাঁরা যানজটের কথা ভেবে পিছিয়ে যান। হাতে যে অল্প সময় থাকে, তা রেল স্টেশন বা বাস স্ট্যান্ডে বসেই কাটিয়ে দেন। এবার এই রোপওয়ে তাঁদের জন্য দ্রুত বারাণসী দর্শনের সুযোগ এনে দেবে। 

ভাই ও বোনেরা,

এই রোপওয়ে প্রকল্প শুধুই মানুষের যাতায়াতের সুবিধা এনে দেব না, ক্যান্ট রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের উপরেই রোপওয়ে স্টেশন নির্মাণ হবে। যাতে আপনারা সরাসরি সেখান থেকেই যাত্রা শুরু করতে পারেন। অটোমেটিক সিঁড়ি, লিফট্, হুইল চেয়ার, র্যা ম্প, শৌচালয় এবং পার্কিং – এর মতো পরিষেবাও সেখানে শুরু হবে। রোপওয়ে স্টেশনে খাওয়া-দাওয়া ও কেনাকাটার সুবিধা থাকবে। এভাবে বারাণসীতে ব্যবসা ও উপার্জনের আরেকটি বড় কেন্দ্র রূপে কাশী ক্যান্ট রেল স্টেশনকে গড়ে তোলা হবে।

বন্ধুগণ,

আজ বারাণসীর সঙ্গে বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা শক্তিশালী করার লক্ষ্যেও অনেক বড় কাজ হয়েছে। বাবতপুর বিমানবন্দরে নতুন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার – এর উদ্বোধন হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত এখান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাতায়াতকারী ৫০টিরও বেশি বিমানকে দৈনিক নিয়ন্ত্রণ করা যেত। নতুন এটিসি টাওয়ার গড়ে উঠলে এই ক্ষমতা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে, ভবিষ্যতে এই বিমানবন্দরকে আরও সহজেই সম্প্রসারণ করা যাবে। 

ভাই ও বোনেরা,

কাশীতে স্মার্ট সিটি মিশন – এর কাজ যে গতিতে এগিয়ে চলেছে, তার ফলে দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। তীর্থযাত্রী এবং পর্যটকদের ছোট ছোট প্রয়োজনের কথা মনে রেখে ভাসমান জেটি গড়ে তোলা হচ্ছে। নমামী গঙ্গে মিশনের মাধ্যমে গঙ্গা তীরবর্তী শহরগুলিতে পয়ঃপ্রণালী ব্যবস্থাপনার একটি বড় নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। বিগত ৮-৯ বছর ধরে গঙ্গা ঘাটগুলিতে যে পরিবর্তন এসেছে, আপনারা তার সাক্ষী। এখন গঙ্গার দু’পারে বৃক্ষ রোপণ ও পরিবেশ-বান্ধব অনেক বড় অভিযান শুরু হতে চলেছে। সরকার চেষ্টা করছে যাতে গঙ্গার দু’পারে ৫ কিলোমিটার অংশে শুধুই প্রাকৃতিক কৃষিকে উৎসাহদান করা হয়। এজন্য এবছরের কেন্দ্রীয় বাজেট অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। সার উৎপাদন থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক চাষ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উদ্যোগের জন্য নতুন নতুন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে। 

বন্ধুগণ,

আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, বারাণসীর পাশাপাশি, উত্তর প্রদেশের সমগ্র পূর্বাঞ্চল কৃষি এবং কৃষিজাত পণ্য রপ্তানীর একটি বড় কেন্দ্র হয়ে উঠছে। আজ বারাণসীতে ফল ও সব্জির প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে গুদামজাতকরণ এবং পরিবহণ সংক্রান্ত বিভিন্ন আধুনিক পরিষেবা গড়ে উঠেছে। আজ বারাণসীর ল্যাংড়া আম, গাজীপুরের ঢ্যাড়শ এবং কাঁচালঙ্কা, জৌনপুরের মুলো এবং খরমুজ বিদেশের বাজারেও পৌঁছতে শুরু করেছে। এই ছোট ছোট শহরগুলিতে উৎপাদিত ফল ও সব্জি লন্ডন ও দুবাইয়ের বাজারেও পৌঁছে যাচ্ছে। আর আমরা সকলেই জানি যে, যত বেশি রপ্তানী হয়, তত বেশি কৃষকদের আমদানী বাড়ে। এখন করখিয়াঁও ফুড পার্কে যে ইন্টিগ্রেটেড প্যাক হাউস তৈরি হয়েছে, তা কৃষক ও বাগিচা চাষীদের অনেক উপকারে লাগছে। আজ এখানে পুলিশ ফোর্সের বেশ কিছু প্রকল্পও উদ্বোধন হ’ল। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, এগুলির মাধ্যমে আমাদের পুলিশ কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে। 

বন্ধুগণ,

উন্নয়নের যে পথ আমরা বেছে নিয়েছি, সেখানে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন সুবিধার পাশাপাশি সংবেদনশীলতাও রয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল পরিশ্রুত পানীয় জলের। আজ এখানে পরিশ্রুত পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর কথা ভেবে তৈরি বেশ কিছু প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে। গরীব মানুষদের সমস্যা দূর করতে আমাদের সরকার প্রতিটি বাড়িতে নলবাহিত পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার অভিযান শুরু করেছে। এর মাধ্যমে বিগত তিন বছরে সারা দেশে ৮ কোটিরও বেশি বাড়িতে নলবাহিত জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। কাশী ও চার পাশের গ্রামগুলিতে বসবাসকারী হাজার হাজার মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। উজ্জ্বলা যোজনার মাধ্যমেও বারাণসী ও তৎসন্নিহিত অঞ্চলের জনগণ উপকৃত হয়েছেন। এখানকার সেবাপুরীতে নতুন বটলিং প্ল্যান্ট চালু হলে অনেক মানুষ উপকৃত হবেন। এর মাধ্যমে পূর্ব উত্তর প্রদেশ এবং পশ্চিম বিহারে গ্যাস সিলিন্ডারের যোগান আরও সুগম হবে।

বন্ধুগণ,

আজ কেন্দ্রে যে সরকার রয়েছে, উত্তর প্রদেশে যে সরকার রয়েছে – উভয়ই গরীবের জন্য চিন্তা করে। গরীব মানুষের সেবাকে অগ্রাধিকার দেয়। আপনারা আমাকে প্রধানমন্ত্রী বলুন কিংবা সরকার বলুন – কিন্তু, আমি নিজেকে আপনাদের সেবক বলেই মনে করি। এই সেবাভাব নিয়েই আমরা কাশী তথা উত্তর প্রদেশ ও দেশের সেবা করছি। একটু আগে আমার সরকারের অনেক প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছে। কেউ চোখের দৃষ্টি ফিরে পেয়েছেন, কেউ সরকারি সাহায্যে নিজের অন্ন সংস্থান নিজেই করতে পারছেন। সুস্থ দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে সমৃদ্ধ কাশী অভিযান যে সফল হয়েছে, তার প্রমাণ একটু আগেই একজন ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা বলে অনুভব করেছি। তিনি বলছিলেন যে, সাহেব, সুস্থ দৃষ্টিভঙ্গী এবং সরকারের দূরদৃষ্টি প্রায় ১ হাজার মানুষকে চোখের ছানির চিকিৎসায় সাহায্য করেছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আজ বারাণসীর হাজার হাজার মানুষ সরকারি প্রকল্পগুলি থেকে উপকৃত হচ্ছেন। আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে যে, ২০১৪ সালের আগে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে অনেক দৌড়-ঝাঁপ করতে হ’ত। সাধারণ পরিবারের মানুষরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার কথা ভাবতেই পারতেন না। আজ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতম পরিবারের নিজস্ব জন ধন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেগুলির মাধ্যমে আজ সরাসরি তাঁদের কাছে সরকারি সাহায্য পৌঁছে যাচ্ছে। আজ ক্ষুদ্র চাষী থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আমাদের বোনেদের নেতৃত্বাধীন স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি মুদ্রা যোজনার মতো বেশ কিছু প্রকল্পের মাধ্যমে সহজেই ঋণ পাচ্ছেন। আমাদের পশুপালক এবং মৎস্যচাষী ভাই-বোনদের কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। ঠেলাওয়ালা, ফুটপাতের হকার এবং রেল লাইনের দু’পাশে পসরা সাজিয়ে বসা ভাই ও বোনেরাও প্রথমবার পিএম স্বনিধি যোজনার মাধ্যমে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাচ্ছেন। এ বছরের বাজেটে আমাদের বিশ্বকর্মা বা কারিগর বন্ধুদের সাহায্যের জন্য পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা খাতে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। স্বাধীনতার অমৃতকালে উন্নত ভারত গঠনের প্রচেষ্টায় প্রত্যেক ভারতবাসী যেন অবদান রাখতে পারেন, সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে।

ভাই ও বোনেরা,

কিছুক্ষণ আগেই আমার খেলো বেনারস প্রতিযোগিতায় বিজেতাদের সঙ্গে কথা বলার সৌভাগ্য হয়েছে। এই প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন খেলায় ১ লক্ষেরও বেশি কিশোর-কিশোরী ও যুবক-যুবতী অংশগ্রহণ করেছেন। সেজন্য আমি আমার সংসদীয় অঞ্চলের সকল অধিবাসীদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। বারাণসীর তরুণরা যাতে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বেশি সুযোগ পায়, তা সুনিশ্চিত করতে এখানে নতুন নতুন ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে আধুনিক পরিষেবা বিকশিত করা হচ্ছে। গত বছর সিগরা স্টেডিয়ামের পুনর্নির্মাণের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছিল, আজ এখানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে, এখানে ভিন্ন ভিন্ন ক্রীড়া অভ্যাসের সুবিধা এবং আধুনিক হস্টেল পরিষেবা গড়ে উঠবে। আর এখন তো বারাণসীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামও গড়ে উঠছে। এই স্টেডিয়ামের কাজ যখন সম্পূর্ণ হবে, তখন এটি বারাণসীর আরেকটি আকর্ষণীয় কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। 

ভাই ও বোনেরা,

আজ উত্তর প্রদেশ উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নতুন নতুন মাত্রা প্রতিষ্ঠা করছে। আগামীকাল অর্থাৎ ২৫ মার্চ তারিখে যোগীজীর দ্বিতীয় ইনিংসের এক বছর সম্পূর্ণ হতে চলেছে। ২-৩ দিন আগেই যোগীজী উত্তর প্রদেশে লাগাতার সবচেয়ে বেশি সময় মুখ্যমন্ত্রী থাকার রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। হতাশার পুরনো চিত্র থেকে বেরিয়ে এসে উত্তর প্রদেশ আশা ও আকাঙ্খার নতুন লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছে। নিরাপত্তা এবং পরিষেবা যেখানে বৃদ্ধি পায়, সেখানে সমৃদ্ধি নিশ্চিত। আজ উত্তর প্রদেশে এটাই হচ্ছে। আজ এখানে যত নতুন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, সেগুলিও উত্তর প্রদেশের সমৃদ্ধির পথকে আরও শক্তিশালী করেছে। আমি আরেকবার আপনাদের সকলকে উন্নয়নের বিভিন্ন অভিযানে সাফল্যের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক অনেক শুভকামনা। হরহর মহাদেব!

ধন্যবাদ।  

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।