Language of Laws Should be Simple and Accessible to People: PM
Discussion on One Nation One Election is Needed: PM
KYC- Know Your Constitution is a Big Safeguard: PM

নমস্কার,

গুজরাটের রাজ্যপাল আচার্য দেবব্রতজি, লোকসভার অধ্যক্ষ শ্রী ওম বিড়লাজি, কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী প্রহ্লাদ যোশীজি, রাজ্যসভার উপাধ্যক্ষ শ্রী হরিবংশজি, সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রী অর্জুন মেঘওয়ালজি, গুজরাট বিধানসভার অধ্যক্ষ শ্রী রাজেন্দ্র ত্রিবেদীজি, বিভিন্ন আইনসভার প্রিসাইডিং অফিসারগণ, অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ।

আজ মা নর্মদার তীরে সর্দার প্যাটেলজির পদতলে, তাঁর সান্নিধ্যে দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের সঙ্গম আয়োজিত হয়েছে।

আজ সংবিধান দিবসে আমার সমস্ত সহ-নাগরিক ভারতবাসীকে শুভেচ্ছা জানাই। আজ আমরা আমাদের সংবিধান রচনার সঙ্গে জড়িত সমস্ত মহিয়সী এবং মহাপুরুষদেরও শ্রদ্ধা জানাই।

আজ যেমন সংবিধান দিবস, তেমনই সংবিধান রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী আপনাদের মতো বিভিন্ন আইনসভার অধ্যক্ষদের, দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের ও প্রিসাইডিং অফিসারদের সম্মেলনও। এ বছর প্রিসাইডিং অফিসারদের সম্মেলনের শতবর্ষ পালিত হচ্ছে। এই গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যের জন্য আপনাদের সকলকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

 

বন্ধুগণ,

আজ ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ এবং বাবাসাহেব আম্বেদকর থেকে শুরু করে সংবিধান সভার সদস্য সমস্ত মহিয়সী এবং মহাপুরুষদের প্রণাম জানানোর দিন, যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমরা সবাই দেশের সংবিধান পেয়েছি। আজকের দিনটি পূজ্য বাপুজির প্রেরণাকে, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের দায়বদ্ধতাকে প্রণাম জানানোর দিন। এমনই অনেক দূরদর্শী জন-নেতারা স্বাধীন ভারতের নবনির্মাণের পথ নির্ধারিত করেছিলেন। দেশবাসী যেন তাঁদের সেই প্রচেষ্টাগুলিকে মনে রাখেন, সেই উদ্দেশ্য নিয়ে পাঁচ বছর আগে থেকে আমরা ২৬ নভেম্বর দিনটিকে সংবিধান দিবস রূপে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমি গোটা দেশকে আমাদের গণতন্ত্রের এই গুরুত্বপূর্ণ উৎসবের জন্য শুভেচ্ছা জানাই।

 

বন্ধুগণ,

আজকের তারিখটিকে দেশের সব থেকে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের জন্য মনে রাখা হয়। ২০০৮ সালে পাকিস্তান থেকে এসে পাকিস্তানের পাঠানো সন্ত্রাসবাদীরা মুম্বাইয়ে হামলা করেছিল। এই হামলায় অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। অনেক দেশের মানুষ মারা গিয়েছিলেন। আমি সেই মুম্বাই হামলায় মৃত সমস্ত মানুষদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। এই হামলায় আমাদের পুলিশের অনেক বীর সদস্যও শহীদ হয়েছেন। আমি তাঁদেরকেও প্রণাম জানাই। মুম্বাই হামলার এই জখম ভারত কখনও ভুলতে পারবে না। ভারত আজ নতুন নীতি ও নতুন রীতিতে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করছে। মুম্বাই হামলার মতো অনেক ষড়যন্ত্রকে বাস্তবায়িত হওয়ার আগেই ব্যর্থ করে দিচ্ছে। সন্ত্রাসবাদকে যথাযোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য প্রতি মুহূর্তে ভারতের নিরাপত্তা রক্ষায় তটস্থ আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানদেরকেও আমি আজ বন্দনা করি।

 

বন্ধুগণ,

আমার মাননীয় প্রিসাইডিং অফিসারগণ, আমাদের গণতন্ত্রে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা প্রত্যেকেই দেশের সমস্ত আইনসভায় প্রতিনিধিত্বকারী জনপ্রতিনিধিদের সংখ্যাধিখ্যের মত নিয়ে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সংবিধান এবং দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে এক একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ রক্ষাকারীর ভূমিকা পালন করেন। বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি আপনারা আইনসভাগুলির অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এভাবে আপনারা আমাদের সংবিধানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ – আইনসভা, শাসন বিভাগ এবং বিচার বিভাগের মধ্যে আরও সামঞ্জস্য এবং সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় খুব বড় ভূমিকা নিতে পারেন। আপনারা সম্মেলনে এই বিষয়ে অনেক আলোচনাও করেছেন। সংবিধান রক্ষায় বিচার বিভাগের নিজস্ব ভূমিকা রয়েছে। তবে অধ্যক্ষ হলেন আইন প্রণয়নকারী সভার মুখ। সেজন্য অধ্যক্ষ একরকমভাবে সংবিধানের সুরক্ষা কবচ, সংবিধানের নিরাপত্তা বলয়ের প্রথম প্রহরীও।

 

বন্ধুগণ,

গণতন্ত্রের তিনটি অঙ্গের ভূমিকা থেকে শুরু করে মর্যাদা পর্যন্ত সমস্ত কিছুই সংবিধানে বর্ণিত রয়েছে। বিগত শতাব্দীর ৭০-এর দশকে আমরা দেখেছি কিভাবে এই তিনটি অঙ্গের বিচ্ছিন্ন ও বিশেষ ক্ষমতার মর্যাদা বিলুপ্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এর জবাবও দেশের সংবিধান থেকেই এসেছে। বরং জরুরি অবস্থার পরে চেকস অ্যান্ড ব্যালেন্সের ব্যবস্থাটি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। আইনসভা, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ – তিনটি বিভাগই সেই কালখণ্ড থেকে অনেক কিছু শিখে এগিয়ে গিয়েছে। আজও সেই শিক্ষা ততটাই প্রাসঙ্গিক। বিগত ৬-৭ বছরে আইনসভা, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের মধ্যে সংহতি আরও বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

  

বন্ধুগণ,

এ ধরনের প্রচেষ্টা সব থেকে বেশি প্রভাব ফেলে জনগণের আস্থার ওপর। কঠিন থেকে কঠিনতর সময়েও জনতার আস্থা এই তিনটি অঙ্গের ওপর বজায় থাকে। এটা আমরা বিগত ৮-৯ মাস ধরে এই বিশ্বব্যাপী মহামারীর সময়েও খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করেছি। ভারতের ১৩০ কোটিরও বেশি জনগণ যে পরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছেন, তার একটি বড় কারণ সমস্ত ভারতীয় নাগরিকদের সংবিধানের এই তিনটি অঙ্গের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এই আস্থা বৃদ্ধির জন্য নিরন্তর কাজও হয়েছে।

মহামারীর এই দুর্মর সময়ে দেশের সংসদে রাষ্ট্র হিতে বেশ কিছু আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে, আত্মনির্ভর ভারতের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়নের জন্য যে তৎপরতা এবং দায়বদ্ধতা দেখা গেছে তা অভূতপূর্ব। এই সময়ে সংসদের উভয় কক্ষে প্রতিটি অধিবেশনের নির্ধারিত সময়ের থেকেও বেশি কাজ হয়েছে। সাংসদরা নিজেদের বেতন হ্রাস করে দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা দেখিয়েছেন। অনেক রাজ্যের বিধায়করাও তাঁদের বেতনের একটা অংশ দান করে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেদের অবদান রেখেছেন।

আমি এই সমস্ত প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানাতে চাই। কোভিড সংক্রমণের কঠিন সময়ে এই পদক্ষেপগুলি জনগণের আস্থা বাড়াতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।

 

বন্ধুগণ,

করোনার এই কঠিন সময়ে আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ার ক্ষমতাও বিশ্ববাসী দেখেছেন। এত বড় স্তরে নির্বাচন হওয়া, নির্ধারিত সময়ে ফলপ্রকাশ, সুচারুরূপে নতুন সরকার গঠন – এই সমস্ত কিছু এত সহজ নয়। আমরা আমাদের সংবিধান থেকে যে শক্তি পেয়েছি তা-ই আমাদের প্রত্যেক কঠিন কাজ সহজ করে তুলতে সাহায্য করে। আমাদের সংবিধান একবিংশ শতাব্দীর পরিবর্তিত সময়েও প্রতিটি সমস্যার মোকাবিলার জন্য যাতে পথ দেখাতে পারে, নতুন প্রজন্মের সঙ্গে এর সংযোগ যাতে বৃদ্ধি পায়, তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্বও আমাদের সকলের ওপর ন্যস্ত রয়েছে।

আগামীদিনে ভারতীয় সংবিধানের ৭৫তম বর্ষ পূর্তির দিকে আমরা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছি। তেমনই স্বাধীন ভারতের ৭৫তম বর্ষ পূর্তি উৎসবও এগিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে আমাদের ব্যবস্থাগুলিকে সময়ানুকূল করে তোলার জন্য বড় পদক্ষেপ নিতে আমাদের সঙ্কল্প গ্রহণ করে কাজ করতে হবে। একটি রাষ্ট্র রূপে প্রতিটি সঙ্কল্পকে বাস্তবায়িত করার জন্য আইনসভা, শাসন বিভাগ এবং আইন বিভাগের উন্নততর সামঞ্জস্য রক্ষা করেই এ কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। আমাদের প্রতিটি সিদ্ধান্তের ভিত্তি একটা দাড়ি-পাল্লায় মাপা উচিৎ। তার একটা মাপদণ্ড থাকা উচিৎ। আর সেই মাপদণ্ডটি হল রাষ্ট্র হিত। এই রাষ্ট্র হিতকেই আমাদের দাড়ি-পাল্লায় প্রতিপন্ন করা উচিৎ।

আমাদের এটা মনে রাখতে হবে, যখন কোনও দর্শনে দেশহিত এবং লোকহিত থাকে না শুধু রাজনীতি থাকে, তখন সেই দর্শন দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যখন সবাই ভিন্নভাবে ভাবেন, তখন এর পরিণাম কী হয় তার সাক্ষী … আপনারা দু'দিন ধরে এখানে রয়েছেন, এই সর্দার সরোবর বাঁধও তার একটি অত্যন্ত উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

 

বন্ধুগণ,

 

কেভডিয়াতে এসে থাকার ফলে আপনারা সবাই এই সর্দার সরোবর বাঁধের বিশালতা দেখেছেন, উন্নত কারিগরি দেখেছেন, এর শক্তি দেখেছেন। কিন্তু এই বাঁধের কাজ অনেক বছর ধরে থেমে ছিল, ঝুলে ছিল। স্বাধীনতার কয়েক বছর পরই এই বাঁধের কাজ শুরু হয়েছিল। আর কয়েক বছর আগেই মাত্র এর কাজ শেষ হয়েছে যখন আমাদের সামনে স্বাধীনতার ৭৫ বছর বর্ষ পূর্তি হতে চলেছে। কত ধরনের বাধা, কত ধরনের মানুষের তৈরি করা বাধা! কিভাবে সংবিধানকে বিরূপভাবে ব্যবহারের চেষ্টা হয়েছে এবং এতবড় প্রকল্প, জনহিতের প্রকল্পটি এত বছর ধরে ঝুলে ছিল। আজ এই বাঁধের মাধ্যমে একসঙ্গে গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং রাজস্থানের সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। এই বাঁধের মাধ্যমে গুজরাটের ১০ লক্ষ হেক্টর এবং রাজস্থানের ২.৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচ পরিষেবা সুনিশ্চিত হয়েছে। গুজরাটের ৯ হাজারেরও বেশি গ্রাম, রাজস্থান এবং গুজরাটের অনেক ছোট-বড় শহরে বাড়িতে বাড়িতে নলের মাধ্যমে জল সরবরাহ এই সর্দার সরোবর বাঁধের ফলেই সম্ভব হয়েছে।

 

আর যখন জলের প্রসঙ্গ উঠলই, তখন আমার একটি কথা মনে পড়ছে। যখন নর্মদার জল নিয়ে অনেক বিবাদ চলছে, এই বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পটি অনেক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে। কিন্তু বাস্তবে যখন কিছু পথ বেরোয় আর রাজস্থানে জল পৌঁছয় তখন ভৈয়রো সিংজি শেখাওয়াতজি এবং যশবন্ত সিং-জি দু'জনেই গান্ধীনগরে আমার সঙ্গে বিশেষভাবে দেখা করতে এসেছিলেন। তাঁরা আসবেন খবর পেয়ে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে কেন আসছেন। তখন তাঁরা বলেছিলেন যে এসে বলব। তাঁরা এলেন এবং আমাকে অভিনন্দন জানালেন ও এত আশীর্বাদ দিলেন যে আমি অবাক। এত ভালোবাসা, এত আদর কেন? তাঁরা বলেন, আরে ইতিহাস সাক্ষী, সভ্যতার ইতিহাসে জলের এক একটি বিন্দুর জন্য যুদ্ধ হয়েছে, অসংখ্য পরিবারের মধ্যে বিভাজন হয়েছে। কিন্তু কোনও সংঘর্ষ, কোনও লড়াই ছাড়া গুজরাট থেকে নর্মদার জল যেভাবে রাজস্থানে পৌঁছে দিয়েছ, রাজস্থানের ঊষর ভূমিকে যেভাবে সিক্ত করেছ, তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্ব এবং আনন্দের বিষয়। আর সেজন্যই আমরা তোমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। আপনারা দেখুন, এ কাজ যদি আগে হত, এই বাঁধ থেকে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে তার দ্বারা আজ মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের মানুষই অধিকাংশ উপকৃত হচ্ছেন।

 

বন্ধুগণ,

 

এই সমস্ত কিছু অনেক বছর আগেই হতে পারত। জনকল্যাণের ভাবনার পাশাপাশি, উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে যদি কেউ কাজ করে, তার দ্বারা প্রথমদিন থেকেই লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে জনগণ এ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আর আপনারা দেখুন, যারা এরকম করেছে, তাদের মনে কোনরকম অনুশোচনাও নেই। এতবড় জাতীয় ক্ষতি হয়েছে, বাঁধ নির্মাণের খরচ কোথা থেকে কোথায় পৌঁছে গেছে, কিন্তু যারা এর জন্য দায়ী, তাদের চেহারায় অনুশোচনার বিন্দুমাত্র ছাপ নেই। আমাদের দেশকে এই প্রবৃত্তি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

 

বন্ধুগণ,

 

সর্দার প্যাটেলের এই বিশাল মূর্তির সামনে গিয়ে, দর্শন করে আপনারা সকলে হয়তো নিজের মধ্যে নতুন প্রাণশক্তি অনুভব করেছেন। নতুন প্রেরণা পেয়েছেন। বিশ্বের সর্বোচ্চ মূর্তি স্ট্যাচু অফ ইউনিটি, যেটি প্রত্যেক ভারতবাসীর গৌরব বৃদ্ধি করে। আর যখন সর্দার প্যাটেলের মূর্তি তৈরি করেছি, তখন একথা ভেবে করিনি যে তিনি জনসঙ্ঘের সদস্য ছিলেন না, ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য ছিলেন না। আমরা কোনও রাজনীতিকে এর মধ্যে আসতে দিইনি। আমাদের যে কোনও আইনসভায় যেমন একটি একাত্মভাবের প্রয়োজন হয়, তেমনই গোটা দেশেও একটি একাত্মভাবের প্রয়োজন রয়েছে। সর্দার সাহেবের এই স্মৃতিসৌধ সেই একাত্মভাবের জলজ্যান্ত উদাহরণ। এখানে কোনও রাজনৈতিক অস্পৃশ্যতাকে নাক গলাতে দেওয়া হয়নি। দেশের থেকে বড় কিছু হয় না, দেশের গৌরব থেকে বড় কিছু হয় না।

 

আপনারা কল্পনা করতে পারেন, ২০১৮ সালে স্ট্যাচু অফ ইউনিটি উদ্বোধনের পর থেকে প্রায় ৪৬ লক্ষ মানুষ এখানে এই সর্দার সাহেবের মূর্তি দেখতে আর প্রণাম জানাতে এসেছেন। করোনার ফলে সাত মাস ধরে এই মূর্তির দর্শন বন্ধ না থাকলে এই পরিসংখ্যান আরও অনেক বেশি হত। মা নর্মদার আশীর্বাদে এই স্ট্যাচু অফ ইউনিটি, এই গোটা কেভডিয়া শহর ভারতের উন্নততম শহরগুলির তালিকায়  সামিল হওয়ার দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। মাত্র কয়েক বছরে একটু আগেই রাজ্যপাল মাননীয় আচার্য দেবব্রতজি বিস্তারিতভাবে এর বর্ণনা করেছেন। মাত্র কয়েক বছরে এই এলাকার কায়াকল্প হয়ে গেছে। যখন উন্নয়নকে সবার ওপরে রেখে কর্তব্যভাবকে সবার ওপরে রেখে কাজ করা হয়, তার পরিণাম এমনই হয়।

 

আপনারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন, এই দু'দিনে আপনারা অনেক গাইডকে দেখেছেন আর এখানকার স্থানীয় অনেকের সঙ্গে হয়তো দেখা হয়েছে। এই সমস্ত নবীন ছেলেমেয়েরা এখানকার জনজাতি পরিবারগুলির সন্তান-সন্ততি। তাঁরা যখন আপনাদেরকে এইসব কিছু সম্পর্কে বর্ণনা করেন, তখন কত যথার্থ শব্দ প্রয়োগ করেন, কত সঠিক উচ্চারণে তা বলেন, এসব হয়তো আপনারা লক্ষ্য করেছেন। আমাদের দেশে এই শক্তি রয়েছে। আমাদের গ্রামে গ্রামে এই ক্ষমতা রয়েছে। শুধু সামান্য ছাই সরানোর প্রয়োজন রয়েছে। তাহলে একদম প্রজ্জ্বলিত হয়ে ওঠে। আপনাদের সামনেই এর উজ্জ্বল উদাহরণ রয়েছে বন্ধুগণ। এই উন্নয়ন যজ্ঞ এখানকার জনজাতি ভাই-বোনেদের নতুন আত্মবিশ্বাস দিয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

 

আমরা নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে প্রত্যেক নাগরিকের আত্মসম্মান বজায় থাকে এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। ভারতের সংবিধান আমাদের কাছে এই প্রত্যাশাই করে। এটা তখনই সম্ভব যখন আমরা কর্তব্যকে নিজেদের উৎস বলে মেনে নেব। আমাদের কর্তব্যকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেব। ভারতের সংবিধানে কর্তব্যগুলিকে সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘকাল ধরে এই বিষয়টিকে ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে সরকারি কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি এমনকি বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি প্রত্যেক ব্যক্তি, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের জন্য এই কর্তব্য পালন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সংবিধানে প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য লিখিত রয়েছে। আর একটু আগেই আমাদের লোকসভার অধ্যক্ষ মাননীয় ওম বিড়লাজি কর্তব্য নিয়ে বিস্তারিতভাবে আমাদের সামনে বলেছেন।

 

বন্ধুগণ,

 

আমাদের সংবিধানের অনেকগুলি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কিন্তু একটি অত্যন্ত বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল কর্তব্যগুলি দেওয়া গুরুত্ব। মহাত্মা গান্ধী নিজেও এ সম্পর্কে অত্যন্ত আগ্রহী ছিলেন। তিনি অধিকার এবং কর্তব্যগুলির মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অনুভব করেন। তিনি অনুভব করেন যে আমরা যদি নিষ্ঠার সঙ্গে আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করি, তাহলেই আমাদের অধিকারগুলি সুরক্ষিত থাকবে।

 

এখন আমাদের চেষ্টা থাকা উচিৎ, সংবিধানের প্রতি সাধারণ মানুষের সচেতনতা যেন আরও বৃদ্ধি পায়। সেজন্যই সংবিধান জানা এবং বোঝা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কেওয়াইসি এটা বহুল প্রচারিত শব্দ, সবাই জানে। কিন্তু আমরা জানি কেওয়াইসি-র মানে হল 'নো ইওর কাস্টোমার'। এই শব্দটি ডিজিটাল নিরাপত্তার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা। তেমনই আমরা যদি কেওয়াইসি-র নতুন রূপ দিই – ‘নো ইওর কনস্টিটিউশন', তাহলে এটি আমাদের সাংবিধানিক সুরক্ষা কবচকে শক্তিশালী করে তুলতে পারে। সেজন্য সংবিধানের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিরন্তর অভিযান চালিয়ে যাওয়াকে আমি দেশের আগামী প্রজন্মের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বলে মনে করি। স্কুলে, কলেজে আমাদের ছেলেমেয়েদের এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরিচয় করাতে হবে।

 

আমি আপনাদের সকলকে এমন সব উদ্যোগ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করব যা উদ্ভাবনী পদ্ধতির মাধ্যমে আমাদের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ভারতের সংবিধানের বিভিন্ন দিকগুলিকে আরও জনপ্রিয় করে তুলবে।

 

বন্ধুগণ,

 

আমাদের দেশের বড় সমস্যা হল সাংবিধানিক এবং আইনের ভাষা অনেকেই বুঝতে পারেন না। যে ভাষায় আইন লেখা হয়েছে, কঠিন শব্দ, লম্বা লম্বা লাইন, বড় বড় অনুচ্ছেদ, ক্লজ, সাব-ক্লজ, অজান্তেই অনেক কঠিন জাল তৈরি করে। আমাদের আইনের ভাষা এতটাই সহজ হওয়া উচিৎ যাতে সাধারণ মানুষও সেগুলি বুঝতে পারেন। আমরা ভারতের জনগণ নিজেদেরকেই সংবিধান উপহার দিয়েছি। সেজন্য এর মাধ্যমে নেওয়া প্রতিটি সিদ্ধান্ত, প্রতিটি আইনের সঙ্গে সাধারণ মানুষ যেন সরাসরি অনুভব করেন, এটা সুনিশ্চিত করতে হবে।

 

এক্ষেত্রে আপনাদের মতো দায়িত্বশীল আধিকারিকরা অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারেন। এভাবে সময়ের সঙ্গে যে আইনগুলি তাদের গুরুত্ব হারিয়েছে, সেগুলিকে বাতিল করার প্রক্রিয়াও সহজ হওয়া উচিৎ। একটু আগেই আমাদের শ্রদ্ধেয় হরিবংশজি এ বিষয়ে আমাদের সামনে অনেক সুন্দর সুন্দর উদাহরণ তুলে ধরেছেন। এ ধরনের আইনগুলি আমাদের জীবনকে সহজ করে তোলার পরিবর্তে অনেক বাধা উৎপন্ন করে। আমরা ক্ষমতায় এসে বিগত বছরগুলিতে এমন কয়েকশ' আইন বাতিল করেছি। কিন্তু আমরা কি এমন কোন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারি না, যাতে পুরনো আইনগুলিতেই সংবিধানের মতোই সংশোধন করার প্রক্রিয়া প্রতিনিয়ত চলতে থাকে?

 

বর্তমানে কিছু আইনে 'সানসেট ক্লজ' ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এখন নির্ধারিত বরাদ্দ আইন এবং অন্যান্য কিছু আইনেও এর পরিধি বাড়ানোর জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে। আমি পরামর্শ দিচ্ছি, বিধিবদ্ধ আইন সংহিতাগুলি থেকে পুরনো অব্যবহৃত আইনগুলি অপসারণের পদ্ধতিগত প্রয়োজনীয়তা এড়াতে এই ধরনের ব্যবস্থাও রাজ্য আইনসভায় বিবেচনা করা যেতে পারে। এই ধরনের ব্যবস্থা আইনি বিভ্রান্তিকে ব্যাপকভাবে হ্রাস করবে এবং সাধারণ নাগরিকদের সহজেই সুবিচার পেতে সাহায্য করবে।

 

বন্ধুগণ,

 

আরেকটি বিষয়ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আর তাহল নির্বাচন। 'এক দেশ এক নির্বাচন' নিছকই একটি আলোচনার বিষয় নয়, এটি আধুনিক ভারতের একটি প্রয়োজন। কয়েক মাস পরপরই ভারতের কোথাও না কোথাও বড় নির্বাচন হতে থাকে। এর ফলে উন্নয়নের কর্মধারা অনেক ক্ষেত্রেই প্রভাবিত হয়। কিরকম প্রভাবিত হয় তা আপনারা খুব ভালোভাবেই জানেন। সেজন্যই 'এক দেশ এক নির্বাচন' বিষয়টি নিয়ে গভীর অধ্যয়ন এবং মন্থনের প্রয়োজন রয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের প্রিসাইডিং অফিসাররা পথ দেখাতে পারেন, গাইড করতে পারেন, নেতৃত্ব দিতে পারেন। এর পাশাপাশি, লোকসভা, বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য স্বতন্ত্র ভোটার তালিকা না হয়ে যেন একটাই ভোটার তালিকা হয়, এই বিষয়টি নির্ধারিত করার পথ সবার আগে প্রস্তুত করতে হবে। আজ প্রতিটি নির্বাচনের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ভোটার তালিকা তৈরি করতে আমরা কেন খরচ করব? কেন সময় নষ্ট করব? প্রত্যেক ক্ষেত্রেই যেহেতু ভোটারদের ১৮ বছর বয়স হওয়া অত্যন্ত জরুরি, কাজেই এই পার্থক্য কেন থাকবে? আগে যখন বিভিন্ন পর্যায়ে বয়সের পার্থক্য ছিল, তখন পরিস্থিতি অন্যরকম ছিল। এখন আর আলাদা আলাদা ভোটার তালিকার কোনই প্রয়োজন নেই।

 

বন্ধুগণ,

 

ডিজিটাইজেশন নিয়ে আমাদের সংসদে এবং অনেক বিধানসভাতে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু এখন সর্বত্র সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশনের সময় এসে গেছে। আপনারা যদি প্রিসাইডিং অফিসার রূপে এক্ষেত্রে আরও উদ্যোগ নেন, তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমাদের বিধায়কগণ ও সাংসদগণ দ্রুতগতিতে এই প্রযুক্তিকে আত্মস্থ করে নেবেন। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপনের আগে আপনারা কি এই সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশনকে লক্ষ্য হিসেবে স্থির করতে পারেন না? এই সম্মেলন থেকেও এ ধরনের কোনও লক্ষ্য নির্ধারিত হতে পারে।

 

বন্ধুগণ,

 

আজ দেশের সমস্ত আইনসভার ডেটা শেয়ার করার লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে যাতে দেশে একটি কেন্দ্রীয় ডেটাবেস থাকে। সমস্ত আইনসভার কর্মকাণ্ডের একটি রিয়েল টাইম ধারাবিবরণী যাতে সাধারণ নাগরিকরাও পেতে পারেন, সেই ব্যবস্থা দেশের সমস্ত আইনসভার করা উচিৎ। সেজন্য 'ন্যাশনাল ই-বিধান অ্যাপ্লিকেশন' রূপে একটি আধুনিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম আগেই প্রস্তুত করা হয়েছে। আপনাদের প্রতি আমার অনুরোধ, এই প্রকল্পটিকে যত দ্রুত সম্ভব আপন করে নিন। এখন আমাদের প্রত্যেক আইনসভার কার্যপ্রণালীতে যত বেশি সম্ভব প্রযুক্তির ব্যবহার এবং পেপারলেস কর্মধারার দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

 

বন্ধুগণ,

 

দেশকে সংবিধান সমর্পণ করার সময় সংবিধান সভা এই বিষয়ে একমত ছিল যে আগামীদিনে ভারতে অনেক নতুন বিষয় এই পরম্পরার সঙ্গে যুক্ত হবে, প্রতিষ্ঠিত হবে। সংবিধান সভা চাইত যে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এই সামর্থ্য দেখাক আর নতুন পরম্পরা এর সঙ্গে যুক্ত করতে থাকুক। আমাদের নিজস্ব সংবিধানের শিল্পীদের, স্থপতিদের এই ভাবনার কথা মনে রাখতে হবে। প্রিসাইডিং অফিসার হওয়ার সুবাদে আপনারা সবাই নতুন কী করতে পারেন, কোন নতুন নীতি যুক্ত করতে পারেন যাতে এই লক্ষ্যে প্রত্যেকেই কিছু না কিছু অবদান রাখতে পারেন, যাতে দেশের গণতন্ত্র একটি নতুন শক্তি অর্জন করে।

 

বিধানসভার অধিবেশনে আলোচনার সময় গণ-অংশীদারিত্ব কিভাবে বাড়ানো যায়, আজকের নবীন প্রজন্মকে কিভাবে বেশি করে যুক্ত করা যায়, এ বিষয়েও ভাবনা-চিন্তা করা যেতে পারে। এখনও লোকসভা ও বিধানসভাগুলির পেছনের গ্যালারিতে অনেকেই এসে বসেন, অধিবেশনের কর্মকাণ্ড দেখেন, কিন্তু এই প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে আরও বেশি গণ-অংশীদারিত্বের দিকে ঠেলে দেওয়া যেতে পারে। যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে, যদি সেই বিষয়ে আগ্রহী ব্যক্তি এবং বিশেষজ্ঞদের সেদিন আমন্ত্রণ জানানো হয়, তাহলে পুরো বিষয়টার প্রতি অনেক বেশি সুবিচার করা যাবে, সকলেই  লাভবান হবেন। মনে করুন কোনও বিষয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের ডাকা যেতে পারে। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য বিষয় থাকলে তার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরও ডাকা যেতে পারে। মহিলাদের স্বার্থ সম্পর্কিত কোনও বিষয় থাকলে এই বিষয়ে যাঁরা বিশেষজ্ঞ ও আগ্রহী, তাঁদেরকে আমন্ত্রণ জানানো যেতে পারে।

 

এভাবে কলেজগুলিতে আয়োজিত মক পার্লামেন্টকে উৎসাহ জুগিয়ে আমরা এগুলিকে বড় মাত্রায় প্রচারিত করতে পারি এবং আমরা নিজেরাও তার সঙ্গে যুক্ত হতে পারি। কল্পনা করুন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদে যদি মক পার্লামেন্ট হয়, আর আপনারা নিজেরাও সেটি সঞ্চালনে সাহায্য করেন, তা থেকে ছাত্রছাত্রীরা কতটা প্রেরণা পাবে। আপনাদের অভিজ্ঞতা থেকে কত কিছু শিখতে পারবে! এগুলি আমার উপদেশ মাত্র। আপনারা অনেক অভিজ্ঞ। আমার বিশ্বাস, আপনাদের এই অভিজ্ঞতা এ ধরনের অনেক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমাদের আইনসভা এবং আমাদের ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে।

 

আরেকবার এই কর্মসূচিতে আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আমি লোকসভার মাননীয় অধ্যক্ষ মহোদয়কে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি এমনি তাঁকে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলাম, কিন্তু অধ্যক্ষ সাহেব কেভডিয়াতে এই বিশাল কর্মসূচির আয়োজন করেছেন। গুজরাটের জনগণের আতিথেয়তা খুব ভালোই হয়। এমনি আমাদের দেশের প্রত্যেক প্রান্তের মানুষের এই আতিথেয়তা অত্যন্ত সুবিদিত। এতে কারোর কোনও ত্রুটি থাকার কথা নয়। এটা আমার বিশ্বাস। কিন্তু এই অঞ্চল ঘুরে দেখার পর এবং এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের পর আপনাদের মনে হয়তো অনেক নতুন চিন্তার উদ্রেক হয়েছে। সেই বিষয়গুলি এখানেও আলোচনা করতে পারেন। আর তা সফলভাবে করতে পারলে, এটি এই আয়োজনের উদ্দেশ্যকে আরও বেশি সদর্থক করে তুলবে। আর এখানে যা দেখেছেন ও যা অনুভব করেছেন তা নিজের নিজের আইনসভায়, নিজের নিজের এলাকার মানুষের সঙ্গে ভাগ করে নিলে গোটা দেশ উপকৃত হবে। একটি দেশ রূপে আমাদের যে গৌরবপূর্ণ স্থান তৈরি হয়েছে, এতে আমাদের সকলের অবদান রয়েছে। আপনারা হয়তো জানেন যে এখানে সর্দার সাহেবের এই বিশাল মূর্তি তৈরীর পেছনেও রয়েছেন ভারতের প্রত্যেক গ্রামের কৃষকরা। তাঁরা তাঁদের ফসলের ক্ষেতে যে সমস্ত সরঞ্জাম ব্যবহার করতেন, সেই পুরনো সরঞ্জামগুলি একত্রিত করে ভারতের ৬ লক্ষ গ্রাম থেকে যত লোহা এসেছে সেগুলি গলিয়ে এই মূর্তি তৈরি করার কাজে লেগেছে। অর্থাৎ, এই মূর্তির সঙ্গে ভারতের প্রত্যেক গ্রাম, প্রত্যেক কৃষকের অবদান জড়িয়ে রয়েছে। বন্ধুগণ, মা নর্মদা এবং সর্দার সাহেবের সান্নিধ্যে এই দু'দিন থেকে আপনারা যে প্রেরণা সংগ্রহ করেছেন তা আপনাদের যেন সারা জীবন প্রেরণা জোগায় – এই কামনা রেখে আপনাদের সবাইকে আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই!!

অনেক অনেক ধন্যবাদ!!

অনেক শুভকামনা।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।