আমি কাশীর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আমার সৌভাগ্য যে কাশীর মাটিতে এত বিপুল সংখ্যক পূজনীয় সাধুদের আশীর্বাদ পেয়েছি। আমি কাশীর প্রতিনিধি রূপে আপনাদের সবাইকে হৃদয় থেকে অনেক অনেক স্বাগত জানাই। সংস্কৃত এবং সংস্কৃতির সঙ্গম-স্থলে আপনাদের সকলের মাঝে আসা আমার জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়। বাবা বিশ্বনাথের সান্নিধ্যে, মা গঙ্গার আঁচলে সাধুবাণী শ্রবণের সুযোগ বারবার আসে না।
এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য আমাকে পূজনীয় জগদগুরুজী আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন। কিন্তু সেই চিঠিতে প্রত্যাশা ও অনুরোধের চেয়েও বেশি আমাকে নিয়ে এবং এই দেশকে নিয়ে এবং বর্তমান সময়কে নিয়ে চিন্তা প্রতিফলিত হয়েছে। সাধুদের আদেশে ঋষিদের বার্তা মহোৎসবে যুব ভারতের জন্য পুরাতন ভারতের গৌরবগাঁথার অবসরে সময় আর দূরত্ব বাধা হয়ে উঠতে পারে না।
সাধুসঙ্গ এবং জ্ঞান অর্জনের এই সুযোগ যখনই পাওয়া যায়, তা হাতছাড়া করা উচিৎ নয়। আপনারাও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এত বিপুল সংখ্যায় এখানে এসে জমায়েত হয়েছেন। অনেকে এসেছেন কর্ণাটক থেকে, অনেকে মহারাষ্ট্র থেকে আর এখানে বাবা ভোলের নগরীর প্রতিনিধিত্ব তো রয়েছেই।
আমি আপনাদের সবাইকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাই।
বন্ধুগণ, তুলসীদাসজী বলতেন, “সন্ত সমাগম হরি কথা তুলসী দুর্লভ দোও” – এই মাটির এটাই বৈশিষ্ট্য। এই প্রেক্ষিতে ‘বীরশৈব’র মতো সন্ত পরম্পরাকে নবীন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে যে জগদগুরু বিশ্বারাধ্য গুরুকুল, তার শতবর্ষ উদযাপন একটি গৌরবের মুহূর্ত। এই মুহূর্তের সাক্ষী হওয়া বীরশৈব পরম্পরার সঙ্গে যুক্ত আপনাদের মতো মহৎ ব্যক্তিদের সান্নিধ্যে আসা আমার জন্য অত্যন্ত সুখের বিষয়। এমনিতে বেশিরভাগ মানুষ ‘বীর’ শব্দটি বীরত্বের বিশেষ্য রূপে জানেন। কিন্তু ‘বীরশৈব’ পরম্পরা এমন একটি ঐতিহ্য, যেখানে ‘বীর’ শব্দকে আধ্যাত্মিক পরিভাষা দেওয়া হয়েছে।
“বিরোধ রহিতং শৈবং বীরশৈবং ভিদুর্বুধাঃ”
অর্থাৎ, যিনি বিরোধ এবং শত্রু মনোভাবাপন্নতা থেকে ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন, তিনিই ‘বীরশৈব’। এই নামের সঙ্গে মানবতার এত মহান বার্তা যুক্ত হয়েছে। সেজন্য সমাজকে শত্রুতার বিরোধিতা এবং বিকারগুলি থেকে বের করে আনতে ‘বীরশৈব’ পরম্পরা সর্বদাই সক্রিয় নেতৃত্ব প্রদান করে আসছে।
বন্ধুগণ, ভারতে রাষ্ট্র বলতে আমরা কখনও এমন বুঝিনি যে, কে কোথায় জয়লাভ করেছেন, আর কে কোথায় পরাজিত হয়েছেন। আমাদের দেশে রাষ্ট্র সত্ত্বার মাধ্যমে নয়, সংস্কৃতি ও সভ্যাচারের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে; এদেশে বসবাসকারী সকলের সামর্থ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে। এই প্রেক্ষিতে ভারতের সঠিক পরিচয়কে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব গুরু, সাধু, বিদ্বজন এবং আমাদের সকলের।
আমাদের এই মন্দির থেকে শুরু করে বাবা বিশ্বনাথ সহ দেশের ১২টি জ্যোতির্লিঙ্গ, চারধাম, ‘বীরশৈব’ সম্প্রদায়ের পাঁচটি মহাপীঠ, শক্তিপীঠগুলির যে দিব্য ব্যবস্থা – এগুলি শুধু আস্থা ও আধ্যাত্মের কেন্দ্রই নয়, ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর পথপ্রদর্শকও। এগুলি আমাদের সবাইকে, দেশের প্রত্যেক মানুষকে, দেশের বৈচিত্র্যকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করে।
বন্ধুগণ, সংযোগবশত গুরুকুলের এই শতাব্দী সমারোহ নতুন দশকের গোড়াতেই উদযাপিত হচ্ছে। এই দশক একবিংশ শতাব্দীর জ্ঞান-বিজ্ঞানে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকাকে আবার প্রতিষ্ঠিত করতে চলেছে। এক্ষেত্রে ভারতের প্রাচীন জ্ঞান ও দর্শনের সাগর ‘শ্রীসিদ্ধান্ত শিখামণি’কে একবিংশ শতাব্দীর রূপ প্রদানের জন্য আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাই।
ভক্তি থেকের মুক্তির পথপ্রদর্শনকারী এই দর্শনকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। একটি অ্যাপের মাধ্যমে এই পবিত্র জ্ঞানগ্রন্থের ডিজিটাইজেশন নবীন প্রজন্মকে যুক্ত করার ক্ষেত্রে সহজ মাধ্যম হয়ে উঠবে, তাঁদের জীবনকে প্রেরণা যোগাবে। আমি চাই যে, আগামী দিনে এই অ্যাপের মাধ্যমে এই গ্রন্থ সম্পর্কে প্রতি বছর ক্যুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হোক এবং প্রত্যেক রাজ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া তিন জনকে পুরস্কৃত করা হোক। এই পুরো ব্যবস্থাটাই অনলাইনে হতে পারে।
দেশ ও বিশ্বের কোণায় কোণায় শ্রী জগদগুরু রেণুকাচার্যজীর পবিত্র উপদেশ পৌঁছে দিতে শ্রী সিদ্ধান্ত শিরোমণি গ্রন্থকে ১৯টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। আজ এখানে এরও শুভ প্রকাশ ঘটলো। সাধুদের এই জ্ঞানকে প্রত্যেক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া মানবতার পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ সেবা। সেজন্য আমরা প্রত্যেকে যে যতটা করতে পারি, ততটা কাজ করা উচিৎ।
বন্ধুগণ, ‘বীরশৈব’ ও ‘লিঙ্গায়েত’ সম্প্রদায়ের সাধুরা এবং তাঁদের সহযোগীরা শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কর্ণাটক সহ দেশের অনেক প্রান্তে মঠগুলিতে অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর করার মাধ্যমে মানব গরিমাকে যে নতুন মাত্রা প্রদান করা হচ্ছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। জঙ্গমবাড়ি মঠ দার্শনিক এবং মানসিক রূপে বঞ্চিত বন্ধুদের জন্য প্রেরণা এবং উপার্জনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আপনাদের এই প্রচেষ্টা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। শুধু তাই নয়, সংস্কৃত এবং অন্যান্য ভারতীয় ভাষাকে জ্ঞানের মাধ্যম করে আপনারা অদ্ভুত প্রযুক্তির সমাবেশ ঘটাচ্ছেন। আমাদের সরকারও এই চেষ্টাই চালাচ্ছে যে, সংস্কৃত সহ সমস্ত ভারতীয় ভাষার চর্চা বৃদ্ধি পাক, আমাদের নবীন প্রজন্ম এর দ্বারা লাভবান হোক।
এখানে আমি শ্রী কাশী জগদগুরু, শ্রী চন্দ্রশেখর শিবাচার্য মহাস্বামীজীরও বিশেষ প্রশংসা করতে চাই, যিনি ‘ভারতীয় দর্শনকোষ’ রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ‘শ্রীসিদ্ধান্ত শিরোমণি’ নিয়ে তো তিনি পিএইচডি-ও করেছিলেন। তাঁর লেখা কয়েকশো গ্রন্থ যুব প্রজন্মকে পথ দেখাচ্ছে, তাঁদের রাষ্ট্র নির্মাণের দর্শনে ঋদ্ধ করছে।
বন্ধুগণ, শুধু সরকার দেশ গঠন করে না, প্রত্যেক নাগরিকের সভ্যাচার দিয়ে দেশ গড়ে ওঠে। নাগরিকদের কর্তব্য ভাবনাই তাঁদের সভ্যাচারকে শ্রেষ্ঠ করে তোলে। একজন নাগরিক রূপে আমাদের আচরণই ভারতের ভবিষ্যৎ নির্ণয় করবে, নতুন ভারতের লক্ষ্য স্থির করবে। আমাদের সনাতন পরম্পরায় ‘ধর্ম’ শব্দটাই কর্তব্যের একটি পর্যায়। আর ‘বীরশৈব’ সাধুরা তো শতাব্দীর পর শতাব্দীকাল ধরে ধর্ম শিক্ষাকে তাঁদের কর্তব্যের অংশ করে নিয়েছেন। জঙ্গমবাড়ি মঠ সর্বদাই এই মূল্যবোধ গড়ে তোলার কাজ করে যাচ্ছে। কত যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি দান এবং অর্থ সহায়তা এই মঠ করে – তার কোনও ইয়ত্তা নেই। এ ধরণের মঠগুলি এবং সাধুদের প্রদর্শিত পথে এগিয়ে আমাদের জীবনের সংকল্পগুলি বাস্তবায়ন এবং রাষ্ট্রনির্মাণে পূর্ণ সহযোগিতা করে যেতে হবে। ভগবান বস্বেশ্বর যে করুণা ভাব নিয়ে অন্যদের সেবা করার কথা বলতেন, আমাদের সেই করুণা ভাব নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের দেশের সংকল্পগুলির সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করতে হবে।
বিগত পাঁচ বছরে যেমন ভারতে পরিচ্ছন্নতার প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সাধু, সন্ন্যাসী, মঠ, গুরুকুল, বিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয়গুলি ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে। কাশী তথা দেশের সকল প্রান্তের যুবসম্প্রদায় যেভাবে স্বচ্ছ ভারত অভিযানকে দেশের কোণায় কোণায় পৌঁছে দিয়েছে, আমাদেরও তেমনই অন্যান্য সংকল্পগুলিকেও বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এমনই একটি বড় সংকল্প হ’ল – ভারতে উৎপাদিত পণ্য, আমাদের তাঁতি ও হস্তশিল্পীদের উৎপাদিত পণ্যকে সম্মান প্রদর্শন। আমি লালকেল্লার প্রাকার থেকে দেশবাসীকে অনুরোধ করেছিলাম, সবাই যেন স্থানীয় উৎপাদিত পণ্যই ক্রয় করেন। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিৎ এটা দেখা, যাতে আমরা সবাই এবং আমাদের ঘনিষ্ঠ মানুষেরা ভারতে উৎপাদিত পণ্য ব্যবহার করেন। আজ ভারতে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে। আমাদের সেই মানসিকতা বদলাতে হবে, যাতে শুধু আমদানিকৃত পণ্যকেই শ্রেষ্ঠ মানা হ’ত।
এভাবে দেশে ‘জল জীবন মিশন’ নিয়ে আপনাদের সকলের ভূমিকা, আপামর ভারতবাসীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। আমাদের বাড়ি থেকে শুরু করে চাষের ক্ষেত ও অন্যত্র জল সংরক্ষণ এবং পুনর্ব্যবহারের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ভারতকে খরামুক্ত এবং জলযুক্ত করতে প্রত্যেক ভারতীয়র অবদান ফলপ্রসূ হবে।
বন্ধুগণ, দেশে এতগুলি বড় অভিযান শুধু সরকারের মাধ্যমে চালানো সম্ভব নয়। সাফল্যের জন্য প্রয়োজন গণঅংশীদারিত্ব। বিগত ৫-৬ বছরে গঙ্গাজলে যে অভূতপূর্ব উৎকর্ষ দেখা যাচ্ছে, তার পেছনে গণঅংশীদারিত্বের গুরুত্ব অপরিসীম। মা গঙ্গার প্রতি আস্থা এবং কর্তব্যবোধ আজ অভূতপূর্ব স্তরে পৌঁছেছে। আজ গঙ্গানদীর দু’পারে যত গ্রাম, আধা-শহর এবং শহর রয়েছে, সেগুলি জনগণের মনে গঙ্গানদীর প্রতি দায়িত্ববোধ অভূতপূর্ব স্তরে পৌঁছে গেছে। এই দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ মা গঙ্গাকে পরিচ্ছন্ন করে তুলতে নমামি গঙ্গে অভিযানে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। নমামি গঙ্গে অভিযানের মাধ্যমে ৭ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প সম্পূর্ণ হয়েছে। আরও ২১ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচসাপেক্ষ প্রকল্প এগিয়ে চলেছে। এই প্রকল্পগুলি দ্রুত বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনাদের সকলের সহযোগিতা এবং যথাসম্ভব গণঅংশীদারিত্বের মাধ্যমেই এই প্রচেষ্টা সফল হবে। আপনারা নিজেরাই দেখেছেন যে, গত বছর প্রয়াগে কুম্ভমেলার সময় গঙ্গাজলের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রত্যেক সাধু-সন্ন্যাসী ও শ্রদ্ধালুরা সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন এবং আশীর্বাদ দিয়েছেন। দেশ-বিদেশের সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে যে উচ্চ প্রশংসা, তা এই গণঅংশীদারিত্বেরই সুফল।
বন্ধুগণ,
‘বীরশৈব’ সাধুরা তাঁদের উপদেশে মানবতার যে মূল্যবোধে আমাদের সকলকে ঋদ্ধ করেছে, তা আমাদের সরকারকেও নিরন্তর প্রেরণা যোগায়। এই প্রেরণা থেকেই আজ দেশে এমন সব সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হচ্ছে, এমন সব পুরনো সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হচ্ছে, যেগুলি আগে কেউ কল্পনাও করেননি। দশকের পর দশক ধরে রামমন্দির নির্মাণের মামলা আদালতে ঝুলেছিল, এখন অযোধ্যায় সুদৃশ্য রামমন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত হয়েছে। কিছুদিন আগেই সরকার রামমন্দির নির্মাণের জন্য একটি সায়ত্ত্বশাসিত ট্রাস্ট ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র’ গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। এই ট্রাস্ট অযোধ্যায় ভগবান শ্রীরামের জন্মস্থলে সুদৃশ্য এবং পবিত্র শ্রীরাম মন্দির নির্মাণের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে আর এ বিষয়ে সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবে। কর্ণাটক সহ অনেক জায়গার সাধুরা এই ট্রাস্টের সদস্য। এই কাজ পূজনীয় সাধুদের আশীর্বাদে শুরু হয়েছে এবং তাঁদের আশির্বাদেই সম্পূর্ণ হবে।
বন্ধুগণ, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে আরেকটি বড় সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে। অযোধ্যা আইনের মাধ্যমে যে ৭০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, তার পুরটাই নবগঠিত শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্রকে হস্তান্তর করা হবে। এত বড় জমি হাতে পেলে এই মন্দিরের সৌন্দর্য এবং পবিত্রতা বৃদ্ধির কাজ সহজ হবে।
একবার ভাবুন, একদিকে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ আর অন্যদিকে এখানে বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ ধাম সংস্কার ভারতের ইতিহাসে এই কালখন্ডকে ঐতিহাসিক করে তুলছে।
বন্ধুগণ, আপনাদের প্রত্যেকের আশীর্বাদে, সমস্ত সাধুদের আশীর্বাদেই আজ দেশে এবং কাশীতে অনেক নতুন কাজ হচ্ছে। এখন এখানে এই কর্মসূচির পর আমি বারাণসীতে আরও দুটি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবো, যেখানে কয়েক হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করা হবে। এই সকল কর্মসূচি কাশীকে শক্তিশালী করে তুলবে, নতুন ভারতকে শক্তিশালী করবে।
আসুন, গুরুকুলের শতাব্দীবর্ষের এই অন্তিম দিনে আমরা সংকল্প গ্রহণ করি, নতুন ভারত নির্মাণে নিজেদের যথাসম্ভব অবদান রাখবো। রাষ্ট্রহিতে একটি উন্নত এবং কর্তব্য প্রেরিত নাগরিক হিসাবে গোটা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আমাকে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের আরেকবার কৃতজ্ঞতা জানাই।