"ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর পলাশবাড়ি ও সুয়ালকুচিরপলাশবাড়ি ও সুয়ালকুচির মধ্যে সংযোগকারী সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং শিবসাগরে রঙঘরের সৌন্দর্যায়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন "
"নামরূপে ৫০০ টিপিডি মেনথল প্ল্যান্টের উদ্বোধন "
"৫টি রেল প্রকল্প জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ "
"১০ হাজারেরও বেশি শিল্পীর বিহু নৃত্য প্রদর্শন "
"“এটি কল্পনীয়, এটাই আসাম” "
"“অবশেষে আসাম এ-ওয়ান রাজ্য হতে চলেছে” "
এই উৎসবগুলির মধ্য দিয়ে ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’ – এর চেতনা এবং ‘সবকা প্রয়াস’ – এর সঙ্গে ‘বিকাশিত ভারত’ – এর অঙ্গীকার প্রতিফলিত হচ্ছে”
"রঙালি বা বহাগ বিহুর উৎসব অসমবাসীর মন-প্রাণের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে"
"“বিকশিত ভারত আমাদের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন” "
"বর্তমানে আমরা চারটি বিষয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার চেষ্টা করছি- ব্যক্তিগত যোগাযোগ, ডিজিটাল যোগাযোগ, সামাজিক যোগাযোগ এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগ"
"“উত্তর-পূর্বে অবিশ্বাসের বাতাবরণ দূর হচ্ছে” "

রঙালি বিহু উপলক্ষে অসমবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা!

বন্ধুগণ,

আজ যারা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন বা টেলিভিশনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করছেন তাঁরা কখনই এই বর্ণময় অনুষ্ঠান ভুলতে পারবেন না। এই অনুষ্ঠান অভূতপূর্ব ও অবিস্মরণীয়। এটা অসম। সমগ্র ভারত আজ এখানকার আকাশে ধ্বনিত হওয়া ঢোল, পিপা ও গগণার আওয়াজ শুনছে। দেশের সঙ্গে সমগ্র বিশ্বও আজ অসমের হাজার হাজার শিল্পীর এই কঠোর পরিশ্রম প্রত্যক্ষ করছে। প্রথমত এই অনুষ্ঠান এত বৃহৎ এবং দ্বিতীয়ত এখানকার শিল্পীদের উৎসাহ দুর্দান্ত। আমি মনে করতে পারি যে আমি অসমের নির্বাচনের সময় যখন এখানে এসেছিলাম তখন বলেছিলাম যে সেই দিন বেশি দূরে নেই যখন মানুষ জানবেন এ মানে অসম। বর্তমানে অসম সর্ব অর্থে প্রথম সারির শহর হয়ে উঠছে। আমি অসমবাসী এবং সমগ্র দেশের জনগণকে বিহুর আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। 

বন্ধুগণ,

পাঞ্জাব সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকায় বৈশাখী উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। বাঙালী ভাই ও বোনেরা পালন করছেন পয়লা বৈশাখ। কেরালায় পালিত হচ্ছে বিশু উৎসব। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এখন নববর্ষ উদযাপিত হচ্ছে। এই উৎসব ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর প্রতিচ্ছবি। এই উৎসবগুলি আমাদের ‘সবকা প্রয়াস’ বা সকলের চেষ্টার মাধ্যমে উন্নত ভারত গঠনের স্বপ্ন পূরণ করতে উদ্বুদ্ধ করে।

বন্ধুগণ,

এই চিন্তা-ভাবনার সঙ্গেই উত্তর পূর্বাঞ্চলের ও অসমের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস হয়েছে এখানে। আজ অসম ও উত্তরপূর্ব ভারত উপহার হিসেবে এইম গুয়াহাটি সহ অন্য তিনটি মেডিকেল কলেজ পেয়েছে। উত্তরপূর্ব ভারতের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন প্রকল্পের সূচনাও হয়েছে আজ। যোগাযোগ ব্যবস্থার মান বাড়াতে আজ ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর আর একটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। মিথানল কারখানার স্থাপনের মাধ্যমে অসম এখন থেকে প্রতিবেশী দেশগুলিতে মিথানল রপ্তানী করতে পারবে। রংঘরের সৌন্দর্যায়ন ও পুনর্নিমার্ণের কাজ আজ শুরু হয়েছে। দ্রুত উন্নয়ন ও সংস্কৃতির এই উৎসবের জন্য আপনাদের অভিনন্দন। 

ভাই ও বোনেরা,

আজ আর কিছুক্ষণের মধ্যেই সমগ্র দেশ প্রত্যক্ষ করবে এক বর্ণময় সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আমি যখন আপনাদের মাঝে আসি তখন অনুভব করি এই অনুষ্ঠানের স্বাদ ও গন্ধ। ‘সবকা প্রয়াস’ বা সকলের চেষ্টার এ এক বিশেষ উদাহরণ। অসম অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে নিজের সংস্কৃতিকে রক্ষা করে চলেছে। আমি আপনাদের সকলকে এই প্রচেষ্টার জন্য অভিনন্দন জানাই। আজকের এই সাংস্কৃতিক উৎসবে যাঁরা অংশ নিচ্ছেন তাঁদের প্রশংসার জন্য শব্দ কম পড়ছে। আমাদের উৎসব কেবলমাত্র সাংস্কৃতির উদযাপন নয়, এই উৎসবগুলির একে অপরের সঙ্গে মিলে আমাদের একসঙ্গে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করে। রঙালি বা বহাগ বিহুর চিন্তাভাবনাও আমাদের বারে বারে এ কথা মনে করায়। এই উৎসব অসমবাসীর মন-প্রাণের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। যে কোনো পার্থক্য দুর করতে সেতু হিসেবে কাজ করে এই উৎসব। তাই কারো পক্ষেই শুধুমাত্র শব্দ দিয়ে বিহু অনুভব করা সম্ভব নয়। এর অন্তর্নিহিত অনুভূতিকে বুঝতে হবে। মোগা, সিল্ক, মেখলা চাদর এবং রিহাতে সজ্জিত ভাই-বোনেরা আমাদের মনে বিশেষ আনন্দ দেয়। আজ এখানকার প্রত্যেক বাড়িতে যে বিশেষ পদ রান্না হয়েছে তা থেকেও এই উৎসবে অন্তর্নিহিত অর্থ খুঁজে পাওয়া যায়। 

 

বন্ধুগণ,

হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আমাদের একসূত্রে বেঁধে রেখেছে। আমার একসঙ্গে লড়াই করে দীর্ঘদিনের দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়েছি। আমরা একসঙ্গে আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ওপর অনেক আঘাত সহ্য করেছি। সরকার পরিবর্তন হয়েছে। শাসকরা এসেছেন আবার চলেও গেছেন। কিন্তু ভারত এই নামটি অমর অক্ষয় হয়ে রয়ে গেছে। ভারতবাসীর মনন মাতৃভূমির জন্য ও সংস্কৃতির জন্য অনুরণিত হয়। উন্নত ভারত গঠনের জন্য যা এক দৃঢ় ভিত্তিপ্রস্তর।

বন্ধুগণ,

আমার অসমের বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালের লেখা একটি বিশেষ গান মনে পড়ছে। সেই গানটি হল ‘বিশ্ব হৃদয় নবযৌবন’। এই গানটির অন্য এক বিশেষত্ব হল ভারতরত্ন ভূপেন হাজারিকাজি তাঁর তরুণ বয়েসে এটি গেয়েছিলেন। আজও সেই গান অসম তথা সমগ্র দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে। আমি এই গানটির কয়েকটি লাইন উদ্ধৃত করতে চাই। তবে উচ্চারণে কোনো ত্রুটি হলে আপনারা আমায় মার্জনা করবেন এই আশা রাখি। আমি আশা করি আপনারা রাগান্বিত হবেন না। অসমবাসীর হৃদয় অত্যন্ত বড়। 

বন্ধুগণ,

গানটি হল 

“বিশ্ব বিজয়ী নওজওয়ান শক্তিশালিনী ভারতর ওলাই আহা- ওলাই আহা! সন্তান তুমি বিপ্লবর, সমুখ সমর সমুখতে, মুক্তি জোগারু হুসিয়ার, মৃত্যু বিজয় করিবো লাগিবো, স্বাধীতার খুলি দুয়ার!”

 

বন্ধুগণ,

আপনারা অসমবাসীরা ভালোভাবেই এর অর্থ বুঝতে পারছেন। কিন্তু সমগ্র দেশের যাঁরা এই অনুষ্ঠান দেখছেন তাঁদের এই গানের অর্থ বোঝা বিশেষ জরুরি। এই গানটিতে ভারতের যুবক-যুবতীদের জন্য এক আহ্বান রয়েছে। বিশ্ব বিজয়ী ভারতের যুবক-যুবতীরা আপনারা শুনুন ভারত মাতৃকার এই আহ্বান। এই গানে দেশের যুবক-যুবতীদের পরিবর্তনের অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই গানটি মৃত্যুকে জয় করে স্বাধীনতার দরজায় পৌঁছনোর প্রেরণা যোগায়।

বন্ধুগণ,

এই গানটি এমন সময় লেখা হয়েছিল যখন স্বাধীনতা ছিল ভারতের জন্য এক অন্যতম বড় স্বপ্ন। আজ ভারত স্বাধীন কিন্তু আমাদের জন্য এখন সবচেয়ে বড় স্বপ্ন হল উন্নত ভারত গড়ে তোলা। আমরা দেশের জন্য বেঁচে থাকার সুযোগ পেয়েছি। আমি অসমের এবং দেশের যুবক-যুবতীদের তাদের সমস্ত যোগ্যতা নিয়ে বিশ্বের সামনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। দ্রুত গতিতে উন্নয়নের কাজে এগিয়ে চলুন এবং উন্নত ভারতের দরজা উন্মুক্ত করুন। 

বন্ধুগণ,

আমাকে অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন আমি কিভাবে এতটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উন্নত ভারত গঠনের এই লক্ষ্য স্থির করেছি। উত্তরটি খুব সহজ। আমার অন্তঃস্থল থেকে আসা শব্দ আমায় উদ্বুদ্ধ করে। আমাকে বলে, সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। আমার আপনাদের ওপর বিশ্বাস রয়েছে। বিশ্বাস আছে দেশের যুবক-যুবতীদের ওপর। বিশ্বাস আছে ১৪০ কোটি ভারতবাসীর ওপর। আপনাদের সামনের থাকা যে কোন প্রতিবন্ধকতা যতো দ্রুত সম্ভব দুর করে দেওয়ায় আমাদের সরকারের লক্ষ্য। আমরা সর্বোতভাবে আপনাদের উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছি। আজ যেসব প্রকল্পের উদ্বোধন বা শিলান্যাস হয়েছে এগুলি তারই পরিচায়ক। 

ভাই ও বোনেরা,

বহু দশক ধরে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি সমস্যা। যোগাযোগ ব্যবস্থা অর্থাৎ কিভাবে একজন মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাবেন। অসম এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীরা এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান অত্যন্ত ভালোভাবে জানেন। বিগত ৯ বছরে আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পর্কে যে পুরনো চিন্তা-ভাবনা ছিল তা বদলে দিয়েছি। বর্তমানে আমরা চারটি বিষয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার চেষ্টা করছি- ব্যক্তিগত যোগাযোগ, ডিজিটাল যোগাযোগ, সামাজিক যোগাযোগ এবং সাংস্কৃতিক যোগাযোগ। 

 

বন্ধুগণ,

আজ এখানে যে অভূতপূর্ব অনুষ্ঠান হচ্ছে তা আমাদের সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থার কথায় মনে করায়। বিগত কয়েক বছরে দেশে এই লক্ষ্যে অভূতপূর্ব কাজ হয়েছে। কে ভারতে পেরেছিল যে দিল্লিতে অসমের অন্যতম যোদ্ধা লাচিত বরফুকনের ৪০০-তম জন্ম বার্ষিকী এত বৃহদাকারে আয়োজন করা হবে? শত শত মানুষ অসম থেকে দিল্লি গিয়েছিলেন। আমার তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতার সুযোগ হয়েছিল। 

বন্ধুগণ,

বীর লাচিত বরফুকন হোক বা রানি গাইদিনলিউ বা কাশী-তামিল সঙ্গমম কিংবা সৌরাষ্ট্র-তামিল সঙ্গমম কিংবা কেদারনাথ বা কামাক্ষ্যা অথবা দোসা কিংবা দই চিঁড়া সব কিছুই আজ একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। সংস্কৃতির বিভিন্ন রূপ, রস একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। হিমন্তজি সম্প্রতি গুজরাটের মাধবপুর মেলায় যোগ দিয়েছিলেন। কৃষ্ণ-কৃষ্ণ- রুক্মিণীর মেলবন্ধন উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে পশ্চিম ভারতকে একসূত্রে বেঁধে দেয়। মোগা সিল্ক, জোহা চাল, কাজি নেমু, গামোসা সব কিছুরই আজ জিআই ট্যাগ রয়েছে। অসমের শিল্পকে দেশের অন্য অঞ্চলের ভাই-বোনেদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এ এক বিশেষ প্রচেষ্টা। 

ভাই ও বোনেরা,

আজ দেশের বিভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে পর্যটনও জড়িয়ে রয়েছে। কোনো পর্যটক যখন কোনো স্থানে বেড়াতে যান তখন তিনি যে শুধুমাত্র অর্থ ব্যয় করেন তা নয়, সেই অঞ্চলের সংস্কৃতিকেও তাঁর স্মৃতির সঙ্গী করেন। বিগত ৯ বছর ধরে আমরা উত্তর পূর্বাঞ্চলের রেল, সড়ক ও আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি। বর্তমানে উত্তর পূর্ব ভারতের অধিকাংশ গ্রাম সব আবহাওয়ার উপযোগী সড়কের মাধ্যমে যুক্ত। অনেক নতুন বিমান বন্দর গড়ে তোলা হয়েছে। প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে অনেক বাণিজ্যিক উড়ান। বিগত ৯ বছরে মণিপুর ও ত্রিপুরায় পৌঁছেছে ব্রডগেজ ট্রেন পরিষেবা। বর্তমানে আগের থেকে ১০ গুণ দ্রুততার সঙ্গে উত্তরপূর্ব ভারতে রেল লাইন ডাবলিং করার কাজ চলছে। আজ উত্তর পূর্বাঞ্চলের জন্য ৫টি রেল প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছে। ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে এগুলি নির্মাণ করা হয়েছে। অসমের বৃহৎ অংশে প্রথমবারের মতো রেল পৌঁছাচ্ছে। ত্রিপুরা, মণিপুর, মিজোরামের পাশাপাশি অসম ও নাগাল্যান্ডের যোগাযোগ ব্যবস্থারও উন্নতি হচ্ছে। এখন আস্থা ও পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত বহু স্থানে সহজে ভ্রমণ করা যাচ্ছে। 

ভাই ও বোনেরা,

আমার এখনও মনে আছে ২০১৮ সালে বগিবীর সেতু উদ্বোধনের জন্য আমি এখানে এসেছিলাম। আমরা কেবলমাত্র বহুদিন ধরে পড়ে থাকা প্রকল্পগুলি বাস্তবায়িতই করছি তা নয়, দ্রুত গতিতে অনেক নতুন প্রকল্পও রূপায়ণ করছি। বিগত ৯ বছরে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর যে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে তার পূর্ণ সুবিধা লাভ করছে অসম। নব-নির্মিত সেতুটি শুয়ালকুচির সিল্ক শিল্পকে বিশেষভাবে উজ্জীবিত করবে।

বন্ধুগণ,

আমাদের ডবল ইঞ্জিন সরকার বিগত ৯ বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগের জন্য কাজ করে চলেছে। কোটি কোটি মানুষের জীবনযাত্রা সহজ হয়েছে। স্বচ্ছ ভারত মিশনের আওতায় লক্ষ লক্ষ গ্রাম উন্মুক্ত স্থানে শৌচমুক্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নির্মিত হয়েছে কোটি কোটি বাড়ি। সৌভাগ্য যোজনা থেকে আলোকিত হয়েছে বহু গৃহ। উজ্জ্বলা যোজনা কোটি কোটি মা ও বোনেদের ধোঁয়া মুক্ত করেছে। জল জীবন মিশনের আওতায় কোটি কোটি বাড়িতে পৌঁছেছে নল বাহিত পানীয় জল। ডিজিটাল ইন্ডিয়া এবং সহজলভ্য টাকা দেশের কোটো কোটি মানুষের মোবাইল ফোন সংযোগ নিশ্চিত করেছে। এগুলি ভারতের শক্তি যা আমাদের উন্নত ভারত গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করবে। 

ভাই ও বোনেরা,

উন্নয়নের জন্য দৃঢ় বিশ্বাস থাকা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে সরকারের চেষ্টায় উত্তর পূর্ব ভারতের সর্বত্র শান্তি বিরাজমান। বহু যুবক হিংসার পথ ছেড়ে উন্নয়নের পথে সামিল হয়েছেন। অবিশ্বাসের বাতাবরণ দূর হয়েছে। স্বাধীনতার অমৃতকালে উন্নত ভারত গঠনের জন্য আমাদের এই দিকগুলিকে আরও মজবুত করতে হবে। আমাদের ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস, সবকা প্রয়াস’ এর মাধ্যমে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। এই আশার সঙ্গে আমি আরও একবার এই পবিত্র উৎসব উপলক্ষে অসম তথা সমগ্র দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই। আপনাদের সকলকে জানাই শুভ নববর্ষ! হাজার হাজার মানুষের সমবেত বিহু নৃত্য অসমকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। আমি উদগ্রীব হয়ে পরবর্তী অনুষ্ঠানের অপেক্ষা করছি। আমি এই নৃত্যানুষ্ঠান উপভোগ করবো এবং টেলিভিশনের মাধ্যম উপভোগ করবেন আমার অন্য দেশবাসীরা। 

 

আমার সঙ্গে বলুন ভারত মাতা কি জয়। আরও জোরে বলুন, আরো দূরে পৌঁছে দিন আওয়াজ। ভারত মাতা কি জয়! ভারত মাতা কি জয়! ভারত মাতা কি জয়!

বন্দে মাতরম! বন্দে মাতরম! বন্দে মাতরম!

বন্দে মাতরম! বন্দে মাতরম! বন্দে মাতরম!

বন্দে মাতরম! বন্দে মাতরম! বন্দে মাতরম!

বন্দে মাতরম!

অনেক ধন্যবাদ!

প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে 

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi visits the Indian Arrival Monument
November 21, 2024

Prime Minister visited the Indian Arrival monument at Monument Gardens in Georgetown today. He was accompanied by PM of Guyana Brig (Retd) Mark Phillips. An ensemble of Tassa Drums welcomed Prime Minister as he paid floral tribute at the Arrival Monument. Paying homage at the monument, Prime Minister recalled the struggle and sacrifices of Indian diaspora and their pivotal contribution to preserving and promoting Indian culture and tradition in Guyana. He planted a Bel Patra sapling at the monument.

The monument is a replica of the first ship which arrived in Guyana in 1838 bringing indentured migrants from India. It was gifted by India to the people of Guyana in 1991.