আমরা স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থায় এক সার্বিক প্রয়াস গ্রহণ করেছি; এখন আমাদের নজর কেবল স্বাস্থ্যেই নয়, একই সঙ্গে আমরা সুস্থতার ওপরও সমান গুরুত্ব দিচ্ছি
দেড় লক্ষ স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে; এখনও পর্যন্ত ৮৫ হাজারের বেশি এধরণের কেন্দ্র থেকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকা ও বিভিন্ন ধরণের নমুনা পরীক্ষার সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে
ডিজিটাল স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থায় সমগ্র বিশ্বে কো-উইনের মত প্ল্যাটফর্মগুলি ভারতের খ্যাতি প্রতিষ্ঠা করেছে
আয়ূষ্মান ভারত ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশন পরিষেবা গ্রহণকারী এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা দাতাদের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগের সহজ মাধ্যম হয়ে উঠেছে; এরফলে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া ও নেওয়া উভয়ই সহজ হয়ে উঠবে
ওয়েবিনারে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত পেশাদার, আধাচিকিৎসা কর্মী, নার্স সহ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রযুক্তি ও গবেষণা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
আমাদের এবং সমগ্র বিশ্বের কল্যাণে কিভাবে আয়ূষ চিকিৎসা পদ্ধতির আরও ভাল সমাধানসূত্র খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি সকলের ওপর নির্ভরশীল

নমস্কার জী!
 
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সহকর্মীরা; সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত পেশাদার তথা আধা-চিকিৎসক, নার্সিং, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পরিচালনা, প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত প্রতিনিধি সহ ভদ্র মহোদয় ও মহোদয়াগণ।
 
প্রথমেই আমি বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকাকরণ অভিযান সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনার জন্য ১৩০ কোটি  দেশবাসীর পক্ষ থেকে আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাই। আপনারা এটা দেখিয়ে দিয়েছেন, ভারতের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা কতখানি কার্যকর এবং তা কতখানি অভিমুখ-কেন্দ্রিক! 
 
বন্ধুগণ,
 
এবারের বাজেটে গত ৭ বছরে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থায় সংস্কার ও আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসতে আমাদের প্রয়াসগুলি আরও সম্প্রসারিত হয়েছে এবং বাজেট বিশেষজ্ঞরা প্রথম দিন থেকেই এটা যথাযথ উপলব্ধিও করেছেন। শুধু তাই নয়, আমাদের বাজেট ও নীতি উভয় ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য  পরিষেবা ব্যবস্থার সম্প্রসারণ অব্যাহত রয়েছে এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে আমাদের প্রয়াস এগিয়ে চলেছে। আমরা স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থায় এক সর্বাঙ্গীণ প্রয়াস গ্রহণ করেছি। আজ আমাদের অগ্রাধিকার কেবল স্বাস্থ্যেই নয়, বরং আমরা রোগী কল্যাণেও গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা অসুস্থতার জন্য দায়ী সেই সমস্ত বিষয়গুলিও দূর করতে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আমরা রোগী কল্যাণ এবং অসুখ-বিসুখের চিকিৎসাকে সার্বিক করে তোলার উপর উৎসাহ দিচ্ছি। এই লক্ষ্যে আমরা যে সমস্ত প্রয়াস গ্রহণ করেছি, তা আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য। এই প্রয়াসের মধ্যে রয়েছে – স্বচ্ছ ভারত অভিযান, ফিট ইন্ডিয়া মিশন, পোষণ অভিযান, মিশন ইন্দ্রধনুষ, আয়ুষ্মান ভারত এবং জল জীবন মিশন। 
 
বন্ধুগণ,
 
আমরা যখন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সার্বিক ও সর্বাঙ্গীণ প্রয়াসের কথা বলি, আমরা তখন তিনটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিই। প্রথমত, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত পরিকাঠামোর সম্প্রসারণ এবং সুদক্ষ মানবসম্পদের যোগান। দ্বিতীয়ত, আয়ুষের মতো চিরাচরিত ভারতীয় চিকিৎসা পদ্ধতিতে গবেষণাধর্মী কাজের প্রসার এবং আয়ুষ চিকিৎসা ব্যবস্থাকে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে ওতপ্রতোভাবে যুক্ত করা। তৃতীয়ত, দেশের প্রত্যেক ব্যক্তি এবং দেশের প্রতিটি প্রান্তে আধুনিক তথা ভবিষ্যতমুখী প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নত ও সুলভে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। এই লক্ষ্যে আমরা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের জন্য বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ লক্ষ্যণীয়ভাবে বৃদ্ধি করেছি।
 
বন্ধুগণ,
 
আমরা ভারতে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এমন এক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে চাই, যা কেবল বড় শহরগুলিতে সীমাবদ্ধ নয়। আপনারা এটা লক্ষ্য করেছেন যে, আমি বিশেষ করে, করোনার সময় সারা বিশ্বের সামনে বারবার এ কথাই বলে এসেছি। আমি ‘এক বিশ্ব, এক স্বাস্থ্য’ – এর কথাও বলেছি। আর এই একই মানসিকতা নিয়ে আমরা ভারতে ‘এক ভারত, এক স্বাস্থ্য’ ব্যবস্থার বিকাশ ঘটাবো। এই মিশনের মাধ্যমে প্রত্যন্ত ও দূরবর্তী এলাকাগুলিতেও অভিন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবার সুবিধা গড়ে উঠবে। আমাদের এটা সুনিশ্চিত করতে হবে যে, জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবার সুবিধা ব্লক, জেলা এবং গ্রামস্তর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। এজন্য স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর রক্ষণা-বেক্ষণ ও সময় মতো তার মানোন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। এই লক্ষ্যে বেসরকারি ও অন্যান্য ক্ষেত্রকেও আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। 
 
বন্ধুগণ,
 
কার্যকর নীতি প্রণয়নের পাশাপাশি, তার যথাযথ রূপায়ণও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাই, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি-বিশেষ যাঁরা এই নীতি রূপায়ণের সঙ্গে যুক্ত তাঁদের প্রতি আরও বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া প্রয়োজন। এবারের বাজেটে আমরা ২ লক্ষ অঙ্গনওয়াড়ির মানোন্নয়নের প্রস্তাব করেছি, যাতে এগুলি ‘সক্ষম অঙ্গনওয়াড়ি’ হয়ে উঠতে পারে। পোষণ অভিযানের দ্বিতীয় পর্যায়েও একই নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে। 
 
বন্ধুগণ,
 
প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে কেন্দ্র দেড় লক্ষ স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্র গড়ে তুলছে। এখনও পর্যন্ত ৮৫ হাজারেরও বেশি এ ধরনের কেন্দ্র থেকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকা ও নমুনা পরীক্ষার সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। এবারের বাজেটে মানসিক স্বাস্থ্যের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থাকে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে লাগাতার প্রয়াস গ্রহণ জরুরি। সেই সঙ্গে, মানুষকে সচেতন করে তোলাও আবশ্যক। আপনারাও এই প্রয়াসে সামিল হয়ে তা আরও সম্প্রসারণে উদ্যোগী হবেন বলে আমি মনে করি।
 
বন্ধুগণ,
 
উন্নত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিছক সুবিধা নয়।  এর সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য পরিষেবার চাহিদাও বাড়ে। পক্ষান্তরে, আরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। স্বাস্থ্য পরিষেবার চাহিদা ক্রমবর্ধমান। এই লক্ষ্যে আমরা স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সুদক্ষ পেশাদার গড়ে তোলার উপর জোর দিচ্ছি। আর এই কারণেই বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছরের বাজেটে চিকিৎসা-শিক্ষা এবং মানবসম্পদের উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ লক্ষ্যণীয় হারে বৃদ্ধি করা হয়েছে। চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কারের লক্ষ্যে আমাদের অঙ্গীকারের বিষয়ে আপনারা সকলেই অবগত। আমরা নতুন মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলার উপর গুরুত্বও দিচ্ছি। এখন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা কিভাবে এই সংস্কারমূলক প্রয়াস চালিয়ে যেতে পারি, কিভাবে গুণগত মানের চিকিৎসা শিক্ষায় মানোন্নয়ন করতে পারি এবং কিভাবে সমগ্র চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরও সুলভ ও সর্বাঙ্গীণ করে তুলতে পারি – এরকমই কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ আপনাদের নিতে হবে এবং তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবায়িত করতে হবে। 
বন্ধুগণ,
 
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আমাদের লক্ষ্যগুলি গবেষণা, ওষুধ এবং জৈব প্রযুক্তি সম্পর্কিত চিকিৎসা সরঞ্জামে আত্মনির্ভরতা অর্জন ছাড়া সম্ভব নয়। করোনার সময় আমরা স্বনির্ভরতা অর্জনের বিষয়টি উপলব্ধি করেছি। তাই, জেনেরিক ওষুধপত্র, টিকা, বায়োসিমিলারের মতো ক্ষেত্রে অগ্রগতির সম্ভাবনাকে সদ্ব্যবহার করতে হবে। আমরা চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধপত্রের কাঁচামালের জন্য উৎপাদন সংযুক্ত উৎসাহভাতা কর্মসূচি শুরু করেছি। 
 
বন্ধুগণ,
 
সমগ্র বিশ্ব করোনা টিকাকরণের সময় কোউইনের মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমাদের ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রয়োগের পারদর্শিতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশন স্বাস্থ্য পরিষেবা দাতা এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রহীতাদের মধ্যে এক অভিন্ন ও সহজ পারস্পরিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলছে। এর ফলে, চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া ও চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়া উভয়ই আরও সহজ হয়ে উঠবে। এমনকি, সমগ্র বিশ্ব ভারতের গুণগতমানের স্বাস্থ্য পরিষেবার সুযোগ সুলভে গ্রহণ করতে পারবে। এর ফলে, চিকিৎসা পর্যটন ও উপার্জন উভয়ই বৃদ্ধি পাবে। এ বছরের বাজেটে আমরা আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল মিশন নামে এক ওপেন প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার কথা বলেছি। এই লক্ষ্যে আমাদের আরও গুরুত্ব দিয়ে আলাপ-আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। 
 
বন্ধুগণ, 
 
করোনার সময় প্রত্যন্ত ও দূরবর্তী এলাকাগুলিতে টেলি-মেডিসিন ও টেলি-পরামর্শের সুবিধা প্রায় আড়াই কোটি রোগী নিয়েছেন। এ ধরনের প্রযুক্তি শহর ও গ্রামীণ ভারতের মধ্যে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বৈষম্যগুলি দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর হয়ে উঠতে পারে। আমরা এখন দেশের প্রতিটি গ্রামে ফাইবার নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিচ্ছি। খুব শীঘ্রই ফাইভ-জি প্রযুক্তির সূচনা হবে। তাই, ফাইভ-জি প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রত্যন্ত ও দূরবর্তী এলাকাগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে আমাদের বেসরকারি ক্ষেত্র আরও সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে। গ্রামগুলিতে একাধিক ডিসপেন্সারি ও আয়ুষ কেন্দ্র রয়েছে। এই কেন্দ্রগুলিকে আমরা কিভাবে শহরের বড় বেসরকারি ও সার্বজনীন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত করতে পারি, কিভাবে আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ও টেলিপরামর্শ আরও বাড়াতে পারি – এই লক্ষ্যে আমাদের আরও সক্রিয়ভাবে উদ্যোগী হতে হবে। আমরা এ বিষয়ে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ জানতে চাই। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত আমাদের বেসরকারি সংস্থাগুলি স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানে ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়াতে এগিয়ে আসতে পারে।
বন্ধুগণ,
 
আজ সমগ্র বিশ্বই আয়ুষ চিকিৎসা পদ্ধতিকে গ্রহণ করে নিয়েছে। এটা আমাদের কাছে গর্বের বিষয় যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বের একমাত্র পরম্পরাগত চিকিৎসা কেন্দ্র ভারতে গড়ে তুলছে। এখন দেশবাসী এবং সমগ্র বিশ্বের কল্যাণে আয়ুষের মাধ্যমে আরও ভালো স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি আমাদের উপর নির্ভরশীল। করোনার এই সময় স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং ফার্মা ক্ষেত্রে ভারতের সম্ভাবনা সম্পর্কে সমগ্র বিশ্বকে পরিচিত করার সুযোগ এনে দিয়েছে। তাই, এই ওয়েবিনার থেকে যদি জরুরি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা যায়, তা’হলে তা নিঃসন্দেহে মহৎ সেবা হয়ে উঠবে। আমি আপনাদের আরও একটি কথা বলতে চাই, বিশেষ করে বেসরকারি ক্ষেত্রের আমার বন্ধুদেরকে। আজ আমাদের ছেলেমেয়েরা বিশ্বের ছোট দেশগুলিতে পড়াশুনোর জন্য, বিশেষ করে চিকিৎসা শিক্ষার জন্য পাড়ি দিচ্ছে। এই দেশগুলিতে ভাষাগত সমস্যা সত্ত্বেও আমাদের ছেলেমেয়েরা পড়াশুনো করতে যাচ্ছে। এর ফলে, কোটি কোটি টাকা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। তাই, আমাদের বেসরকারি ক্ষেত্র কি বিদেশে চলে যাওয়া ঠেকাতে আরও উদ্যোগী হতে পারে না? আমাদের রাজ্য সরকারগুলিই কি আরও ভালো নীতি গ্রহণ করতে পারে না, যাতে চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য আরও বেশি জমি বরাদ্দ করা যায় এবং আরও বেশি সংখ্যক চিকিৎসক ও আধা-চিকিৎসক গড়ে তোলা যায়। আমাদের এটাও বিবেচনায় রাখতে হবে যে, আমরা বিশ্বের চাহিদাও পূরণ করতে পারি। আমাদের চিকিৎসকরা গত চার-পাঁচ দশকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতকে গর্বিত করেছেন। একজন ভারতীয় চিকিৎসক কর্মসূত্রে যেখানেই গেছেন, তিনি সেই দেশের মানুষের হৃদয় জয় করেছেন। আর এই কারণেই সারা বিশ্বের মানুষ ভারতীয় চিকিৎসকদের দক্ষতা ও পারদর্শিতার প্রশংসা করেন। প্রকৃতপক্ষে, এটাই আমাদের ব্র্যান্ড হয়ে উঠতে চলেছে। এখন আমাদের সারা বিশ্বে ব্র্যান্ড হিসাবে ভারতকে প্রতিষ্ঠিত করার প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত করতে হবে। একইভাবে, আমাদের স্বাস্থ্য বিমা কর্মসূচি বিশ্বে সর্ববৃহৎ। অবশ্য, আমি একে স্বাস্থ্য বিমা কর্মসূচি বলি না, আমি বলি, আয়ুষ্মান ভারত। এই স্বাস্থ্য বিমা কর্মসূচি সরকারের। তাই, কোনও দরিদ্র ব্যক্তি যদি চিকিৎসার জন্য আপনাদের হাসপাতালে আসেন, তা হলে চিকিৎসা খাতে সেই খরচ ভারত সরকার মিটিয়ে দেয়। এখন সাধারণ মানুষ আর অর্থাভাবে চিকিৎসার জন্য বড় হাসপাতালে যেতে দ্বিধাবোধ করেন না। বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আমার বন্ধুরা কি দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণীর শহরগুলিতে পরিকাঠামোর মানোন্নয়নে এগিয়ে আসবেন না? আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসা রোগীদের জন্য আপনারা বিশেষ সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে পারেন। এতে আপনাদের আর্থিক ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। আপনারা চিকিৎসা খাতে যে ব্যয় করবেন, তা নিশ্চিতভাবেই ফেরৎ পাবেন। দেশে এমন অনেক কর্মসূচি এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব রয়েছে, যা স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত করে তুলতে পারে। আপনারা এটা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, আমাদের আয়ুর্বেদ সর্বস্তরে সুখ্যাতি অর্জন করেছে। করোনার সময় আমাদের ভেষজ সামগ্রী রপ্তানি লক্ষ্যণীয় হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে, আয়ুষের প্রতি সাধারণ মানুষের আকর্ষণ কয়েকগুণ বেড়েছে। আমি চাই, আপনারা খোলা মনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য এগিয়ে আসুন, যা ভারতকে সারা বিশ্বে অগ্রণী ভূমিকা পালনে প্রস্তুত করে তুলতে পারে। আমরা বাজেট পেশ করার সময় একমাস এগিয়ে নিয়ে এসেছি। আর এটা করা হয়েছে, যাতে পয়লা এপ্রিল থেকেই নতুন বাজেট পুরোদমে কার্যকর করা যায়। শুধু তাই নয়, বাজেট কার্যকর করার আগে যেন যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণে একমাস সুযোগ পাওয়া যায়। তাই, অল্প সময়ের মধ্যে যাতে ভালো পরিণাম মেলে, সেই দৃষ্টিভঙ্গী থেকেই বাজেট পেশের সময় এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। আমি আপনাদের সকলকে এই আলাপ-আলোচনা আরও প্রাণবন্ত করে তোলার অনুরোধ জানাই। অবশ্য, আমি সরকারের পক্ষ থেকে দীর্ঘ ভাষণ দেওয়ার পরিপন্থী। আসলে, আমি আপনাদের কথা, আপনাদের পরিকল্পনার কথা শুনতে চাই। কখনও কখনও কিছু বিষয় রূপায়ণ প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ে যায়। আর এর ফলে, একাধিক ফাইল মাসের পর মাস এক জায়গা থেকে অন্যত্র ঘুরতে থাকে। আপনাদের এই আলোচনা প্রকল্পের রূপায়ণ থেকে ফাইল চালাচালির দীর্ঘ প্রক্রিয়াগত ঘাটতিগুলি দূর করতে সাহায্য করবে। আপনাদের পরামর্শ ও পরিকল্পনা প্রকল্পের রূপায়ণ আরও সহজ-সরল করতে সাহায্য করবে। এমনকি, আমাদের আধিকারিক ও সরকারি প্রক্রিয়া আপনাদের এই আলাপ-আলোচনা থেকে সঠিক দিশা-নির্দেশও পেতে পারে। আজ যখন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বর্তমান সঙ্কট সারা বিশ্বে সত্যিই গুরুতর আকার ধারণ করেছে, তখন আমাদের এ বিষয়ে আরও গভীর মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। 
 
আমি আপনাদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাই!
 
ধন্যবাদ!
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
‘Make in India’ is working, says DP World Chairman

Media Coverage

‘Make in India’ is working, says DP World Chairman
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
PM Modi condoles loss of lives due to stampede at New Delhi Railway Station
February 16, 2025

The Prime Minister, Shri Narendra Modi has condoled the loss of lives due to stampede at New Delhi Railway Station. Shri Modi also wished a speedy recovery for the injured.

In a X post, the Prime Minister said;

“Distressed by the stampede at New Delhi Railway Station. My thoughts are with all those who have lost their loved ones. I pray that the injured have a speedy recovery. The authorities are assisting all those who have been affected by this stampede.”