“Budget For Viksit Bharat ensures inclusive growth, benefiting every segment of society and paving the way for a developed India”
“The government has announced the Employment Linked Incentive scheme. This will create crores of new jobs”
“This Budget brings a new scale to education and skill development”
“We will create entrepreneurs in every city, every village and every home”
“In the last 10 years, the government has ensured that the poor and the middle class continue to get tax relief”
“Budget opens up new avenues for StartUps and innovation ecosystem”
“Budget focuses on farmers in a big way”
“Today's budget has brought new opportunities, new energy, new employment and self-employment opportunities. It has brought better growth and a bright future”
“Today's budget will act as a catalyst in making India the third largest economic power in the world and will lay a solid foundation for a developed India”

এবারের বাজেট প্রস্তাব যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আমি মনে করি, তা দেশকে উন্নয়নের এক নতুন মাত্রায় উন্নীত করতে পারবে। এর জন্য আমি সকল দেশবাসীকে জানাই আমার অভিনন্দন। একইসঙ্গে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমনজি এবং তাঁর টিমের সকল সদস্যের জন্যও রইল আমার বিশেষ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

বন্ধুগণ,

এই বাজেট সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেরই ক্ষমতায়নের পক্ষে যথেষ্ট বলে আমি মনে করি। দেশের গ্রামগুলিতে সমৃদ্ধি এবং সেইসঙ্গে দরিদ্র ও কৃষক সাধারণের অবস্থার উন্নয়নও ঘটাবে এবারের এই বাজেট প্রস্তাব। গত ১০ বছরে ২৫ কোটি মানুষকে আমরা দারিদ্র্যসীমার বাইরে নিয়ে আসতে পেরেছি। নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্ষমতায়ন প্রচেষ্টায় এবারের বাজেট বিশেষভাবে সহায়ক হবে বলেই আমার আশা। কারণ, তা শিক্ষা এবং দক্ষতা বিকাশের ওপরও বিশেষ জোর দিয়ে নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধা প্রসারের ওপর গুরুত্বদান করেছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণীকে তা নতুন করে শক্তিও যোগাবে। এমনকি, আদিবাসী সমাজের ক্ষমতায়নেও তা এক বলিষ্ঠ পরিকল্পনার সূত্র হয়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস। সেইসঙ্গে উপকৃত হবেন দলিত জনসাধারণ এবং অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষরা। অর্থনৈতিক কর্মপ্রচেষ্টায় মহিলাদেরও উৎসাহিত করা হবে এই বাজেট প্রস্তাবগুলির মাধ্যমে এবং তা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্পক্ষেত্রগুলির অগ্রগতির রাস্তা খুলে দেবে। নির্মাণ ও উৎপাদন এবং পরিকাঠামোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এই বাজেট দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে যেমন উৎসাহিত করবে, অন্যদিকে তেমনই তার ধারা নিরন্তর করে তোলার কাজেও তা সহায়ক হয়ে উঠবে।

বন্ধুগণ,

কর্মসংস্থান এবং স্বনিযুক্তির নজিরবিহীন সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমাদের সরকার এক বিশেষ দিকচিহ্ন নির্ধারণ করে দিয়েছে। আজকের এই বাজেট আমাদের সেই প্রতিশ্রুতি পালনের অঙ্গীকারকেও আরও উৎসাহিত করবে। পিএলআই কর্মসূচির সাফল্য দেশ তথা বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করছেন। বর্তমানে এই বাজেটে কর্মসংস্থান-ভিত্তিক সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণ কর্মসূচির কথা সরকার ঘোষণা করেছে যা সারা দেশে কোটি কোটি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ উন্মুক্ত করে দেবে। এই কর্মসূচির আওতায় এই প্রথম যে সমস্ত তরুণ ও যুবকরা কর্মে নিযুক্ত হবেন, তাঁদের প্রথম বেতনটি দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে। দক্ষতা বিকাশের জন্য সহায়তাই হোক কিংবা উচ্চতর শিক্ষালাভের জন্য অথবা ইন্টার্নশিপের জন্য কর্মসূচিই হোক, তাতে উপকৃত হবেন ১ কোটি তরুণ ও যুবক। এর ফলে, গ্রাম-ভারতের তরুণ ও যুবকরা দেশের শীর্ষ সংস্থাগুলিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ লাভ করবেন এবং সেইসঙ্গে আরও নতুন নতুন সুযোগের দ্বারও উন্মুক্ত হবে তাঁদের সামনে। দেশের প্রতিটি শহর, গ্রাম এবং পরিবারে শিল্পোদ্যোগ প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করতে আমরা আগ্রহী। এই লক্ষ্যে ‘মুদ্রা’ ঋণের আওতায় ঋণদানের মাত্রা ১০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ লক্ষ টাকা করা হবে। ফলে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিশেষত মহিলা, দলিত এবং অনগ্রসর শ্রেণী ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা তাঁদের স্বনিযুক্তি প্রচেষ্টায় বিশেষভাবে উৎসাহিত হবেন। 

বন্ধুগণ,

একইসঙ্গে ভারতকে আমরা বিশ্বের একটি উৎপাদন গন্তব্য রূপে গড়ে তুলতে পারব। দেশের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও অণু শিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গে সাধারণ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। শুধু তাই নয়, দরিদ্র সাধারণ মানুষের কর্মসংস্থানের যথেষ্ট সুযোগও সম্প্রসারিত হয় এই সংস্থাগুলিতে। এই লক্ষ্যে ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলিকে আরও শক্তিশালী করে তোলা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।

বন্ধুগণ,

স্টার্ট-আপ এবং উদ্ভাবনের উপযোগী পরিবেশ ও পরিস্থিতি গড়ে তুলতে নতুন নতুন সুযোগ সম্প্রসারণের কথাও বলা হয়েছে এ বছরের বাজেট প্রস্তাবে। ১ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনই হোক বা ‘অ্যাঞ্জেল কর’ অবলুপ্তির সিদ্ধান্তই হোক, সবকিছুই কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে আমি মনে করি।

বন্ধুগণ,

মূলধনী খাতে রেকর্ড সংখ্যক বিনিয়োগ দেশের অর্থনীতিকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে বলেই আমার বিশ্বাস। নতুন নতুন অর্থনৈতিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে সারা দেশজুড়ে। ফলে সম্প্রসারিত হবে নতুন নতুন কাজের সুযোগও।

বন্ধুগণ,

প্রতিরক্ষা সাজসরঞ্জাম রপ্তানির মাত্রাও দেশে এখন এক রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে স্বনির্ভর করে তুলতে এবারের বাজেট প্রস্তাবে বেশ কিছু ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বিশ্বের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নানাভাবে যুক্ত। যার ফলে পর্যটন ক্ষেত্রেও সৃষ্টি হয়েছে নতুন নতুন সম্ভাবনার। দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য পর্যটন সম্পর্কিত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারিত হয়েছে। তাই, পর্যটন কেন্দ্রকে আরও উন্নত করে তোলার ওপরও এবারের বাজেটে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।

বন্ধুগণ,

গত ১০ বছরে এনডিএ সরকার দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর কর লাঘবের জন্য নিরন্তরভাবে চেষ্টা চালিয়ে গেছে। এবারের বাজেটে আয়করের মাত্রা কমিয়ে আনা এবং স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বৃদ্ধির ওপরও বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, টিডিএস সম্পর্কিত নিয়মনীতিকেও আরও সরল করে তোলা হয়েছে যার ফলে করদাতারা আরও বেশি করে অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন।

বন্ধুগণ,

দেশের সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির জন্য পূর্ব ভারতের সুসংবদ্ধ উন্নয়ন একান্তই জরুরি। আমাদের এই অভিযান পূর্ব ভারতের উন্নয়ন থেকে নতুন উৎসাহ ও শক্তি অর্জন করবে বলেই আমার বিশ্বাস। কারণ, আমাদের অন্যতম চিন্তাদর্শ হল ‘পূর্বোদয়’। মহাসড়ক নির্মাণ, জল প্রকল্পগুলির বাস্তবায়ন এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোকে আমরা আরও সম্প্রসারিত করব পূর্ব ভারতে এবং এর মধ্য দিয়েই আমাদের উন্নয়নের গতি আরও ত্বরান্বিত হবে। 

বন্ধুগণ,

দেশের কৃষক সাধারণের স্বার্থ রক্ষার ওপরও এবারের বাজেটে যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্যশস্য মজুত প্রকল্পের আওতায় আমরা এখন গুচ্ছ সবজি উৎপাদনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আমাদের এই উদ্যোগের ফলে ক্ষুদ্র কৃষকরা যাতে উৎপাদিত ফল, শাক-সবজি এবং তাঁদের অন্যান্য পণ্যও বাজারজাত করে আরও ভালো মূল্য পেতে পারেন, তার সুযোগ সম্প্রসারিত হবে। শুধু তাই নয়, এর ফলে পরিবারের সকল মানুষের পুষ্টিবিধানের কাজেও তা সহায়ক হয়ে উঠবে। কৃষিক্ষেত্রে স্বনির্ভর হয়ে ওঠা বর্তমান ভারতের পক্ষে একান্ত জরুরি একটি বিষয়। তাই, ডাল ও তৈলবীজের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করতে সহায়তার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে এবারের বাজেট প্রস্তাবে।

বন্ধুগণ,

দারিদ্র্য নির্মূলকরণের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন প্রচেষ্টার ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে এবারের বাজেট। প্রস্তাব করা হয়েছে দরিদ্র সাধারণ মানুষের জন্য ৩ কোটি নতুন বাসস্থান নির্মাণের। জনজাতীয় উন্নত গ্রাম অভিযানের আওতায় ৫ কোটি আদিবাসী পরিবারে সম্প্রসারিত হবে প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধা। এছাড়াও, গ্রাম সড়ক যোজনার বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২৫ হাজার নতুন গ্রামকে সকল আবহাওয়ার উপযোগী সড়ক ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। যার ফলে উপকৃত হবে দেশের প্রতিটি রাজ্যের দূরদুরান্তের গ্রামগুলিও।

বন্ধুগণ,

আজকের এই বাজেট নতুন নতুন সুযোগ-সুবিধার দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের কর্মপ্রচেষ্টায় নতুনভাবে শক্তি যোগাবে যা থেকে সৃষ্টি হবে অসংখ্য কর্মসংস্থানের এবং সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হবে স্বনিযুক্তি প্রচেষ্টারও। এর ফলে একদিকে যেমন দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত হবে, অন্যদিকে দেশবাসীর জন্য গড়ে উঠবে এক উজ্জ্বলতর ভবিষ্যৎ। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক একটি শক্তি রূপে ভারতকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এবারের বাজেট এক অনুঘটকের ভূমিকা পালন করবে বলেই আমার বিশ্বাস। এক কথায় বলতে গেলে, এক উন্নত দেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তা হয়ে উঠবে এক নতুন ভিত্তিভূমি।

সকল দেশবাসীকে জানাই আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা!

প্রধানমন্ত্রীর মূল ভাষণটি ছিল হিন্দিতে

 

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।