স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি উদযাপনের সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যৎ ভারতের বিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা ও পরিকল্পনা গড়ে তুলতে আজাদি কা মহোৎসব নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
শারীরিক, প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বর্তমান বিশ্বে কমে যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে আমাদের রপ্তানির প্রসার ঘটানোর নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
আমাদের অর্থনীতির আয়তন এবং তার সম্ভাবনাকে বিচার করে উৎপাদন ও পরিষেবা শিল্পকে ভিত্তি করে রপ্তানির প্রসার ঘটানোর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
আমাদের উৎপাদন ক্ষেত্রের আয়তন উৎসাহ-ভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থার মাধ্যমে বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করছে, একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতেও তা সহায়ক হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
পুরনো কর ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ভারত যে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তার মাধ্যমে আমাদের অঙ্গীকার প্রতিফলিত হচ্ছে, বিভিন্ন নীতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকছে এবং বিনিয়োগকারীদের স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হচ্ছে যে ভারত শুধু নতুন নতুন সম্ভাবনার দরজাই তাঁদের জন্য খুলে দিচ্ছে না, এ দেশের নির্ণায়ক সরকারের সমস্ত প্রতিশ্রুতি পালনের ইচ্ছা রয়েছে :
আমাদের উৎপাদন ক্ষেত্রের আয়তন উৎসাহ-ভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থার মাধ্যমে বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করছে, একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতেও তা সহায়ক হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
আমাদের অর্থনীতির আয়তন এবং তার সম্ভাবনাকে বিচার করে উৎপাদন ও পরিষেবা শিল্পকে ভিত্তি করে রপ্তানির প্রসার ঘটানোর প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
শারীরিক, প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বর্তমান বিশ্বে কমে যাচ্ছে, এই পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে আমাদের রপ্তানির প্রসার ঘটানোর নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

নমস্কার,
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আমার সকল সহযোগীবৃন্দ, সারা পৃথিবীতে সেবারত রাষ্ট্রদূতগণ, হাইকমিশনারগণ, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সমস্ত আধিকারিকগণ, ভিন্ন ভিন্ন এক্সপোর্ট কাউন্সিল এবং চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সকল নেতাগণ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ!
এই সময় স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের সময়। এই সময় স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে নিজেদের স্বাধীনতা উদযাপনের তো বটেই ভবিষ্যতের ভারতের জন্য একটি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন স্পষ্ট ভাবনা আর রোডম্যাপ রচনার সুযোগও এনে দিয়েছে। এতে আমাদের রপ্তানির উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলি আর তার মধ্যে আপনাদের মতো সমস্ত বন্ধুদের অংশগ্রহণ, উদ্যোগ, অবদান অনেক বড়। আজ যে আন্তর্জাতিক মানের অনুষ্ঠান হচ্ছে, আমি মনে করি আমরা সবাই আর এখানে যাঁরা আমার সামনে রয়েছেন, তাঁরা এই বিষয়গুলি সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই পরিচিত। আজ ফিজিক্যাল, প্রযুক্তিগত এবং ফিনান্সিয়াল কানেক্টিভিটির কারণে বিশ্ব প্রতিদিন আরও ছোট হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের রপ্তানি সম্প্রসারণের জন্য সারা পৃথিবীতে নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। আর আমি মনে করি যে, আপনারা সবাই আমার থেকে এক্ষেত্রে অনেক বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও পারদর্শী। আমি আপনাদের সবাইকে আজ এই উদ্যোগের জন্য আর এভাবে উভয় পক্ষের মধ্যে বার্তালাপের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অভিনন্দন জানাই। আপনারা সবাই রপ্তানি নিয়ে আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্যসাধনের জন্য যে উদ্দীপনা, ইতিবাচকতা এবং দায়িত্ববোধ দেখিয়েছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
বন্ধুগণ,
অতীতে যখন অর্থনীতিতে আমাদের অংশীদারিত্ব সবচাইতে বেশি ছিল, তখন আমাদের দেশের সেই সোনালী সময়ের সবচাইতে বড় অনুঘটক ছিল শক্তিশালী বাণিজ্য এবং রপ্তানি। বিশ্বের প্রায় সমস্ত মহাদেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক ছিল, আর সেই বাণিজ্য পথগুলি আজও রয়েছে। আজ যখন আমরা আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে আমাদের সেই পুরনো অংশীদারিত্ব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি, তখনও আমাদের রপ্তানির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোভিড-উত্তর সময়ে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যখন আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খল নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক রয়েছে, তখন আমাদের নতুন পরিসর থেকে সুযোগ নেওয়ার জন্য সম্পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। আপনারা সবাই জানেন যে এই সময় আমাদের রপ্তানি দেশের জিডিপি-র প্রায় ২০ শতাংশ। আমাদের অর্থনীতির আকার, আমাদের সম্ভাবনা, আমাদের শিল্প উৎপাদন এবং পরিষেবা শিল্পের ভিত্তিকে ভালো করে দেখলে বোঝা যায় যে এতে অনেক বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে আজ যখন দেশ আত্মনির্ভর ভারত মিশন নিয়ে এগিয়ে চলেছে তখন এর একটা লক্ষ্য রপ্তানিতে আন্তর্জাতিক সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতের অংশীদারিত্বকে অনেকগুণ বৃদ্ধি করাও। আর সেজন্য আজ আমাদের এটা সুনিশ্চিত করতে হবে যে আন্তর্জাতিক চাহিদা অনুসারে যাতে আমাদের অ্যাক্সেস থাকে, যাতে আমাদের ব্যবসা নিজেকে অনেক বড় করে তুলতে পারে, অনেক বেশি সম্প্রসারিত হতে পারে। আমাদের শিল্প জগতকেও শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তির দিকে যেতে হবে, উদ্ভাবনে জোর দিতে হবে আর গবেষণা ও উন্নয়নে অংশীদারিত্ব বাড়াতেই হবে। আন্তর্জাতিক মূল্য শৃঙ্খলে আমাদের অংশীদারিত্ব এ পথে এগোলেই বৃদ্ধি পাবে। প্রতিযোগিতা এবং উৎকর্ষকে উৎসাহিত করে আমাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানের চ্যাম্পিয়ন তৈরি করতে হবে।
বন্ধুগণ,
রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য চারটি ক্ষেত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, দেশে শিল্পসামগ্রী উৎপাদন কয়েকগুণ বাড়াতে হবে আর তা উৎকর্ষগতভাবে প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে। যেভাবে বন্ধুরা বললেন যে আজ বিশ্বে একটা এমন শ্রেণী গড়ে উঠেছে যাঁরা মূল্য থেকে বেশি করে উৎকর্ষকে গুরুত্ব দেন। সেজন্য আমাদের উৎকর্ষের দিকটিকে গুরুত্ব দিতেই হবে। দ্বিতীয়ত, যানবাহন ব্যবস্থায় পণ্য পরিবহনের সমস্যাগুলি দূর করতে হবে। এর মধ্যে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি এতে যত বেসরকারি অংশীদার রয়েছে সবাইকে নিজেদের ভূমিকা পালন করতে হবে। তৃতীয়ত, রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। যদি কোনও রাজ্য সরকার এতে যুক্ত না থাকে, বিভিন্ন রাজ্যে যে ধরনের বিশেষজ্ঞ কাউন্সিল রয়েছে তারা যদি ইনভল্ভ না থাকে, কিন্তু সেই রাজ্যের কোনও ব্যবসায়ী যদি নিজের মতো করে রপ্তানি করতে চান, তাহলে তিনি আইসোলেটেড হয়ে পড়বেন। এক্ষেত্রে আমাদের যে পরিণাম চাই সেটা আমরা পাব না। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে মিলেমিশে চেষ্টা করতে হবে। আর চতুর্থ ফ্যাক্টরটি যা আজকের এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত, তা হল, ভারতীয় পণ্যের জন্য আন্তর্জাতিক বাজার। এই চারটি ফ্যাক্টর একসঙ্গে হলে তবেই ভারতের লোকাল পণ্য গ্লোবাল হয়ে উঠবে। তখনই ‘মেক ইন ইন্ডিয়া ফর দ্য ওয়ার্ল্ড’-এর লক্ষ্যকে আমরা আরও ভালোভাবে অর্জন করতে পারব।
বন্ধুগণ,
আজ দেশে যে সরকার রয়েছে, রাজ্যগুলিতে যে সরকার রয়েছে, তাঁরা বাণিজ্য বিশ্বের প্রয়োজনীয়তা বুঝে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। আত্মনির্ভর ভারত এই অভিযানের মাধ্যমে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। এর ফলে অর্থনৈতিক গতিবিধিকে সুচারুরূপে পরিচালনা করা সহজ হয়েছে। ৩ লক্ষ কোটি টাকার ইমার্জেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিমের মাধ্যমে অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং অন্যান্য প্রভাবিত ক্ষেত্রগুলি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। রিকভারি এবং গ্রোথকে উৎসাহিত করার জন্য সম্প্রতি ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।

বন্ধুগণ,
প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেন্টিভ স্কিম থেকে আমাদের শিল্প উৎপাদনের ক্ষেত্রে শুধু পরিমাণ বৃদ্ধিই নয়, আন্তর্জাতিক মানের উৎকর্ষ ও দক্ষতার স্তর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে। এর ফলে, আত্মনির্ভর ভারতের ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’র নতুন ইকো-সিস্টেম বিকশিত করতে অনেক সুবিধা হবে, আরও উন্নত হবে। দেশ শিল্প উৎপাদন এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন নতুন গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন পাবে। মোবাইল ফোন বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আমরা এর প্রভাব অনুভবও করতে পারছি। সাত বছর আগে আমরা প্রায় ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মোবাইল ফোন আমদানি করতাম এখন তা হ্রাস পেয়ে ২ বিলিয়ন ডলার হয়ে গেছে। বুঝুন, ৮ বিলিয়ন থেকে ২ বিলিয়ন। আর সাত বছর আগে ভারত ০.৩ বিলিয়ন ডলারের মোবাইল ফোন রপ্তানি করত। এখন তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি হয়ে গেছে।
বন্ধুগণ,
শিল্প উৎপাদন এবং রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত আরেকটি সমস্যা সমাধানের দিকেও সরকার জোর দিচ্ছে। দেশে পণ্য পরিবহনের সময় এবং মূল্য কম করতে হবে এটা কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় সরকারেরই অগ্রাধিকার রয়েছে এবং থাকাও উচিৎ। সেজন্য যে কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে পরিকাঠামো নির্মাণ -প্রতিটি স্তরে আমাদের আরও দ্রুতগতিতে কাজ করে যেতে হবে। আজ আমরা মাল্টি-মডেল কানেক্টিভিটির দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছি।
বন্ধুগণ,
এখন আমরা শুনলাম বাংলাদেশ তাদের অভিজ্ঞতা থেকে জানিয়েছে যে এখন রেলপথে পণ্য যাওয়া শুরু করেছে। হঠাৎ করেই এই রেলপথে পণ্য পরিবহণ অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্ধুগণ, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে নিরন্তর চেষ্টা করা হচ্ছে, দেশে অতিমারীর প্রভাবকে ন্যূনতম করে দেওয়ার নানা উপায় খোঁজা হচ্ছে। আমরা সম্পূর্ণভাবে ভাইরাস সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই। দেশে আজ টিকাকরণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। দেশবাসী এবং শিল্প জগতের সমস্ত প্রয়োজন ও সমস্যা দূর করার জন্য প্রতিটি সম্ভাব্য পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিগত সময়ে করা প্রচেষ্টাগুলির ফলও আজ আপনারাই অনুভব করতে পারছেন। আমাদের শিল্প জগৎ নিজেদের ব্যবসাকে এই সময়ের মধ্যে অনেক উদ্ভাবনকে আপন করে নিয়েছে। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জকে নিজেদের মতো করে গড়ে তুলেছে। শিল্প জগৎও দেশকে মেডিকেল ইমার্জেন্সি সামলে বেরিয়ে আসা এবং উন্নয়নকে পুনরুদ্ধার করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। এটাই কারণ যে আজ ড্রাগস এবং ফার্মাসিউটিক্যালস-এর পাশাপাশি কৃষিক্ষেত্রেও আমাদের বিশেষজ্ঞরা নতুন স্তরে পৌঁছেছেন। আজ আমাদের অর্থনীতিতে শুধু পুনরুদ্ধারই নয়, বরং হাই গ্রোথকে নিয়েও ইতিবাচক লক্ষণ দেখাচ্ছে। বিশ্বের অনেক বড় অর্থনীতিতে দ্রুতগতিতে রিকভার করার সঙ্কেত আসছে। সেজন্য রপ্তানি থেকে শুরু করে বড় বড় লক্ষ্য নির্ধারণ করা এবং সেগুলি হাসিল করার জন্য আমি মনে করি এটাই সবচাইতে ভালো সময়। সেজন্য সরকার প্রত্যেক স্তরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে রাজি। সম্প্রতি সরকার রপ্তানি নিয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে আমাদের রপ্তানিকারকদের ইনস্যুরেন্স কভার রূপে প্রায় ৮৮ কোটি টাকা পাবে। এরকম এক্সপোর্ট ইনসেন্টিভসকে রেশনালাইজ করার ফলে এক্সপোর্ট নিয়ে একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ক্লায়েন্ট। একে গড়ে তোলার ফলেও আমাদের রপ্তানি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।
বন্ধুগণ,
বিশ্বের ভিন্ন ভিন্ন দেশে ব্যবসা করা আমাদের রপ্তানিকারকরা খুব ভালোভাবেই জানেন যে স্থৈর্য্যের কত বড় প্রভাব হয়। ভারত রেট্রোস্পেক্টিভ ট্যাক্সেশন থেকে মুক্তির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আমাদের দায়বদ্ধতার পরিচায়ক। অটল নীতির দৃঢ়তাকে তুলে ধরে। এটা সমস্ত বিনিয়োগকারীদের কাছে স্পষ্ট বার্তা দেয় যে এগিয়ে যেতে থাকা ভারত শুধুই সম্ভাবনাগুলির দরজা খুলে দিচ্ছে না, পাশাপাশি ভারতের নির্ণায়ক সরকার তার প্রতিশ্রুতিগুলি পালনেরও ইচ্ছাশক্তি রাখে।
বন্ধুগণ,
রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত আমাদের যত লক্ষ্য রয়েছে, আমাদের যত সংস্কার রয়েছে সেগুলিতে দেশের প্রতিটি রাজ্যের খুব বড় অংশীদারিত্ব রয়েছে। বিনিয়োগ থেকে শুরু করে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ এবং লাস্ট মাইল ইনফ্রাস্ট্রাকচার – প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রত্যেক রাজ্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রপ্তানি হোক কিংবা বিনিয়োগ, এগুলিকে বৃদ্ধির জন্য রেগুলেটরি বার্ডেন ন্যূনতম করতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করছে। রাজ্যগুলিতে এক্সপোর্ট হাব গড়ে তুলতে একটি স্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতাকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক জেলায় কোনও একটি পণ্যকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য রাজ্যগুলিকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
বন্ধুগণ,
বিনিয়োগ থেকে শুরু করে আমাদের উচ্চাকাঙ্ক্ষাপূর্ণ লক্ষ্যসাধনকে একটি সার্বিক এবং বিস্তারিত অ্যাকশন প্ল্যানের মাধ্যমেই অর্জন করা যেতে পারে। আমাদের বর্তমান রপ্তানিকেও আরও দ্রুত করতে হবে আর নতুন পণ্যের জন্য বাজারের গন্তব্য প্রস্তুত করার জন্য কাজ করতে হবে। আর আমি আপনাদের কিছু পরামর্শও দিতে চাইব। আমাদের যে মিশনগুলি রয়েছে তাঁরাও এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে আজ যে দেশে তাঁরা রয়েছেন, সেগুলি যদি খুব ছোট দেশ হয়, তাহলে আমি সেগুলি নিয়ে কথা বলছি না। কিন্তু বড় দেশগুলিতে মনে করুন তিনটি জায়গায় ভারতের পণ্য যাচ্ছে, তিনটি গন্তব্য। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে কি আমরা সেই দেশগুলিতে পাঁচটি নতুন গন্তব্য যুক্ত করতে পারি? যে জায়গাগুলিতে ভারত থেকে কোনও না কোনও পণ্য আসে, চাহিদা রয়েছে, আমি মনে করি এটা আপনারা করতে পারবেন। আমাদের মিশনগুলি কি স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই লক্ষ্য রাখতে পারেন যে আমাদের দেশ থেকে যে ন্যূনতম পণ্যগুলি এখন এই দেশগুলিতে যাচ্ছে, তার বাইরে নতুন ৭৫টি পণ্যকে আমরা অন্যান্য দেশে রপ্তানি করতে পারি? এই ৭৫টি পণ্যকে আমরা যে দেশে মিশন রূপে কাজ করছি সেখানে নিয়ে যাব। তেমনই সেসব দেশে যে ভারতীয় ডায়াস্পোরা আমরা দেখেছি, বিগত সাত বছরে অনেক সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। এক প্রকার তাঁরা আপনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন। আমরা যদি এই প্রবাসী ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের কয়েকটি গোষ্ঠী তৈরি করি, আর স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে তাঁরা যে রাজ্য থেকে গেছেন সেই রাজ্যগুলির সঙ্গে একটি বিষয়ের রপ্তানি বিষয়ক ভার্চুয়াল সামিট করতে পারি? যেমন মনে করুন, বিহার সরকার একটি ভার্চ্যুয়াল সামিট আয়োজন করল। তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারও থাকবে। বিহার থেকে যত পণ্য রপ্তানি হয়, সেই রপ্তানিকারকরাও এতে থাকবেন। আর সেই দেশগুলিতে বসবাসকারী প্রবাসী বিহারবাসীরা বা বিহারবাসীদের বংশোদ্ভূতরা এই ভার্চ্যুয়াল সামিটে যুক্ত হলেন। তাঁরা সকলে মিলে আলোচনা করে ঠিক করলেন যে বিহারের আর কোন কোন পণ্য ওই বিশেষ দেশে যেতে পারে! আমি মনে করি, প্রবাসী ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের আবেগের সম্পর্ক রয়েছে। তাঁরা এক্ষেত্রে মার্কেটিং-এর জন্য ব্র্যান্ডিং-এ অনেক বড় সাহায্য করতে পারেন। আর এভাবেই আমাদের পণ্যগুলি দ্রুতগতিতে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তেমনই রাজ্য সরকারগুলিও এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে আমাদের রাজ্যের পাঁচটি কিংবা ১০টি এরকম অগ্রাধিকারসম্পন্ন পণ্যকে রপ্তানির জন্য বেছে নেব আর বিশ্বের ন্যূনতম ৭৫টি দেশে আমার রাজ্যের কিছু না কিছু পণ্য রপ্তানি করব। এ ধরনের লক্ষ্য রাজ্যগুলি ঠিক করতে পারে। অর্থাৎ আমরা স্বাধীনতার ৭৫ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমাদের পণ্য পৌঁছে দিতে নতুন নতুন পদ্ধতি বেছে নিয়ে সম্পূর্ণরূপে প্রোঅ্যাক্টিভলি চেষ্টা করে যেতে পারি। আমাদের কিছু পণ্য তো এরকম হবে যেগুলি সম্পর্কে বিশ্ববাসী জানেই না। এখন যেমন ভারত এত সস্তায় এলইডি বাল্ব উৎপাদন করছে যে বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শক্তি সংরক্ষণের অনুকূল এই এলইডি বাল্ব আমরা রপ্তানি করতে পারি। অনেক সুলভে সরবরাহ করতে পারি। আমরা এভাবে বিশ্ব উষ্ণায়ন রুখতে মানবতার সপক্ষে একটি বড় পদক্ষেপ নেব। আর ভারত পৃথিবীতে অনেক বড় বাজারও পেয়ে যাবে - এরকম অনেক বিষয় রয়েছে! আমি এরকম উদাহরণই দিয়েছি। আমরা অনেক কিছু করতে পারি। এখন আমাদের প্রায় অর্ধেক রপ্তানি মাত্র চারটি বড় বড় গন্তব্যে যায়। তেমনই আমাদের প্রায় ৬০ শতাংশ রপ্তানি, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, জেমস অ্যান্ড জুয়েলারি, পেট্রোলিয়াম এবং রাসায়নিক পণ্য আর ঔষধির সঙ্গে যুক্ত। আমি মনে করি যে এত বড় বিশাল দেশ, এত বৈচিত্র্যময় দেশ, এত বেশি অতুলনীয় পণ্যের দেশ, এসব কিভাবে বিশ্ববাসীর হাতে পৌঁছে দেওয়া যায় তা নিয়ে আপনাদের ভাবনাচিন্তা করতে হবে। আমাদের যত ত্রুটি রয়েছে সেগুলি দূর করতে হবে। আর মিলেমিশে পথ খুঁজতে হবে। সবাই একসঙ্গে মিলেই আমাদের এই পরিস্থিতিকে পাল্টাতে হবে। আমাদের নতুন গন্তব্যও খুঁজে বের করতে হবে। খনি, কয়লা, প্রতিরক্ষা, রেলওয়ের মতো ক্ষেত্রগুলিকে খুললে আমাদের আন্ত্রেপ্রেনারদের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্যও নতুন সুযোগ উঠে আসছে। আমরা কি এই নতুন ক্ষেত্রগুলির জন্য ভবিষ্যৎমুখী রণকৌশল তৈরি করতে পারি?

বন্ধুগণ,
আজ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আমাদের রাষ্ট্রদূতগণ, বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিনিধিত্বকারী আধিকারিকগণকে আমি আরেকটি অনুরোধ করব। আপনারা যে দেশেই ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন, সেই দেশের প্রয়োজনগুলিকে আপনারা খুব ভালোভাবেই বোঝেন। সে দেশে কোন জিনিসের বেশি চাহিদা, ভারতের কোন ক্ষেত্র থেকে সেই চাহিদা পূরণ সম্ভব, তা আপনারাই ভালোভাবে বলতে পারবেন। আর বিগত সাত বছরে আমরা একটি নতুন প্রয়োগ করেছি যে, যেসব দেশের মিশনের ব্যক্তিরা ভারতে আসেন -  তাঁদেরকে আমরা বিভিন্ন রাজ্যে পাঠাই। রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁদেরকে ২-৩টি বার্তালাপ করাই যাতে সে রাজ্যগুলি থেকে তাঁরা নিজেদের দেশে কিছু জিনিস নিয়ে যেতে পারেন। এই কাজ যথারীতি চলছে। এক্ষেত্রে ভারতের রপ্তানিকারকদের জন্য, এখানের কমার্স-ইন্ডাস্ট্রির জন্য আপনারা সকলে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী সেতুর ভূমিকা পালন করছেন। আমি চাই যে ভিন্ন ভিন্ন দেশে যে ইন্ডিয়া হাউজ রয়েছে তাঁরাও ভারতের শিল্প উৎপাদন ক্ষমতারও প্রতিনিধি হয়ে উঠুন। নানা সময়ে আপনারা ভারতকে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে অ্যালার্ট করতে থাকুন। গাইড করতে থাকলে এর দ্বারা সার্বিক রপ্তানি বৃদ্ধি সুনিশ্চিত হবে। আমি বাণিজ্য মন্ত্রককে বলব যে তাঁরাও এ ধরনের ব্যবস্থা গড়ে তুলুন, যাতে আমাদের রপ্তানি এবং আমাদের মিশনের মধ্যে নিরন্তর সম্পর্ক বজায় থাকে, আর আমি এটা স্বীকার করি যে আজ এই ভার্চ্যুয়াল ব্যবস্থার ফলে এই বিষয়গুলি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ও সহজভাবে আমরা করতে পারব। আগে ট্র্যাভেল করা, মিটিং করা – এসব কিছু করা খুব কঠিন ছিল। কিন্তু করোনার পর বাই অ্যান্ড লার্জ এটা সারা পৃথিবীতে একটা ব্যবস্থা রূপে স্বীকৃত হচ্ছে। আমি মনে করি এই ভার্চ্যুয়াল হ্যাবিটকে এতটা বাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ যাতে আমাদের এ ধরনের অল পার্টি, সংশ্লিষ্ট সকলের উদ্যোগ অনেক বেশি নির্ণায়ক হয়ে ওঠে।
বন্ধুগণ,
আমাদের রপ্তানিকারকদের থেকে আমাদের অর্থনীতি যাতে বেশি লাভবান হয় তা সুনিশ্চিত করতে আমাদের দেশের মধ্যেই সিমলেস এবং উচ্চমানের সরবরাহ শৃঙ্খল গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য আমাদের একটি নতুন সম্পর্ক, নতুন অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। আমি সমস্ত রপ্তানিকারকদের অনুরোধ জানাই যে তাঁরা আমাদের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগগুলি, আমাদের কৃষক, আমাদের মৎস্যজীবীদের সঙ্গে অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করেন। আমাদের স্টার্ট-আপকে প্রোমোট করেন। আমাদের রেকর্ড পরিমাণ রপ্তানিকারক হবেন যাঁরা আজ স্টার্ট-আপের বিশ্বে আমাদের নবীন প্রজন্মের সামনে একটি বড় বিশ্ব তুলে ধরতে পারেন, যে বিশ্বকে নবীন প্রজন্ম চেনে না, তাঁর সঙ্গে পরিচিত হতে হবে। সম্ভব হলে একদিন আমরা বাণিজ্য মন্ত্রকের উদ্যোগে এ ধরনের কাজ করতে পারি। আমাদের স্টার্ট-আপগুলি এবং আমাদের রপ্তানিকারকরা আমাদের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রক একটি জয়েন্ট ওয়ার্কশপ করতে পারে। এতে আমরা পরস্পরের শক্তি সম্পর্কে অবহিত হব। বিশ্বের বাজার সম্পর্কেও পরিচিত হব। এমনও হতে পারে যে আমরা এই কর্মশালা থেকে অনেক নতুন পথ খুঁজে পেলাম। আমাদের উচিৎ তাঁদেরকে সমর্থন করা। যতটা সম্ভব উৎকর্ষ এবং দক্ষতা আমরা আমাদের ওষুধ উৎপাদন এবং টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বে পরাক্রম দেখিয়েছি, প্রযুক্তির উন্নত ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা আমাদের উৎকর্ষ কিভাবে বাড়াতে পারি তার আরেকটি উদাহরণ হল আমাদের মধু উৎপাদন ক্ষেত্র। আমি একটা ছোট্ট উদাহরণ এজন্য দিচ্ছি -  ছোট ছোট জিনিসের মধ্যেও কত বড় শক্তি রয়েছে সেটা বোঝাতে। সেজন্য আমি আপনাদের সামনে মধুর উদাহরণ তুলে ধরছি। মধুর উৎকর্ষ সুনিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক বাজারে তার পরিচিতি গড়ে তোলার জন্য অনিবার্য পদক্ষেপ নিতে হত। আমরা মধুকে টেস্টিং-এর জন্য প্রযুক্তি-নির্ভর একটি নতুন টেস্ট চালু করেছি। এমন ফল পাওয়া গেছে যে, গত বছর আমরা প্রায় ৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মধু রপ্তানি করেছি। আমরা কি এভাবে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, ফল এবং মৎস্যচাষের ক্ষেত্রেও নতুন নতুন উদ্ভাবন করতে পারি? আজ বিশ্বে হলিস্টিক হেলথ কেয়ারের আবহ গড়ে উঠেছে। ‘ব্যাক টু বেসিক্স’-এর আবহ গড়ে উঠেছে। আমাদের যোগ-এর ফলে ভারতের দিকে এই বিষয়ে লক্ষ্য রাখার একটা কারণ দেখা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আমাদের জৈব চাষজাত পণ্য যত রয়েছে সেগুলির বিশ্বে একটি বড় বাজার তৈরি করার সম্ভাবনা রয়েছে। আমাদেরও দেশে জৈব বিষয় নিয়ে কিভাবে এগিয়ে যাব তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করার সময় এসেছে।
বন্ধুগণ,
এই সময় ‘ব্র্যান্ড ইন্ডিয়া’র জন্য নতুন লক্ষ্য নিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করতে হবে। এই সময় আমাদের জন্য উৎকর্ষ এবং বিশ্বাসযোগ্যতার নতুন পরিচয় গড়ে তুলতে হবে। আমাদের এমন চেষ্টা করতে হবে যাতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভারতের উচ্চ মূল্য সংযোজিত পণ্য রপ্তানি করা যায়। সেজন্য আমাদের মূল্য সংযোজনের দিকে জোর দিতে হবে। আমাদের প্রতিটি নিরন্তর মূল্য সংযোজনের মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে যাতে সেই পণ্য সম্পর্কে একটি স্বাভাবিক চাহিদা তৈরি হয়। এটা আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে। আমি শিল্প জগতকে, সমস্ত রপ্তানিকারকদেরও আশ্বস্ত করছি যে, সরকার আপনাদের সমস্ত রকমের সমর্থন দেবে। আসুন, আমরা আত্মনির্ভর ভারতের, বৈভবশালী ভারতের সঙ্কল্পকে সবাই মিলে একসঙ্গে বাস্তবায়িত করি। আপনাদের সবাইকে আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা। এক সপ্তাহ পর সারা পৃথিবীতে আমাদের মিশন আর ভারতেও আমাদের ১৫ আগস্ট পালন করব। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবের নিয়মমাফিক সূত্রপাতও হয়ে যাবে। আমি চাই যে আমাদের জন্য প্রেরণার কারণ হয়ে ওঠা উচিৎ। বিশ্বে প্রভাব সৃষ্টিকারী সম্ভাবনাময় পণ্যগুলিকে বিশ্ববাসীর হাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে আপনাদের এই উদ্যোগ খুব বড় প্রেরণার উৎস। আর ২০২৭-এ, দেশ যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর পূর্তি পালন করবে তখন এই ২৫ বছর আমাদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান সময়। আমাদের একটি মুহূর্তও নষ্ট করলে চলবে না। এখন থেকেই একটা রোডম্যাপ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস আজকের কথাবার্তা থেকে আমরা সবাই এই সঙ্কল্প পরিপূর্ণ করব, অতিক্রমও করব। এই বিশ্বাস নিয়েই আমি আপনাদের সবাইকে আরও আরও শুভকামনা জানাই। ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।