Published By : Admin | February 12, 2023 | 15:00 IST
Share
দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের ২৪৬ কিলোমিটার দীর্ঘ দিল্লি-দৌসা-লালসট সেকশনটি আজ জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী
“দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয় হল বিশ্বের সর্বাপেক্ষা উন্নতমানের মহাসড়কগুলির অন্যতম। উন্নত ভারতের এক বিশেষ চিত্র ফুটে উঠতে চলেছে এর মাধ্যমে”
“গত ৯ বছর যাবৎ কেন্দ্রীয় সরকার পরিকাঠামো খাতে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছে”
“এ বছরের বাজেটে পরিকাঠামো উন্নয়ন খাতে সংস্থান রাখা হয়েছে ১০ লক্ষ কোটি টাকার যা কিনা ২০১৪-র তুলনায় পাঁচগুণ বেশি”
“রাজস্থানে বিগত কয়েক বছরে মহাসড়ক ক্ষেত্রে ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে”
“দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে এবং পূর্বাঞ্চল ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর রাজস্থান সহ দেশের অগ্রগতির দুটি মূল স্তম্ভ হতে চলেছে”
‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ রাজস্থান এবং দেশের উন্নয়নে আমাদের মন্ত্র
এই মন্ত্র অনুসরণ করে আমরা সক্ষম, সমর্থ ও সমৃদ্ধ ভারত গড়ে তুলছি
রাজস্থানের রাজ্যপাল শ্রী কলরাজজি, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী অশোক গেহলটজি, হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী শ্রী মনোহরলালজি, আমার মন্ত্রিসভার সহকর্মী নীতিন গড়করিজি, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতজি, বি কে সিং-জি, অন্যান্য মন্ত্রী, সাংসদ, অভ্যাগতবৃন্দ, ভদ্রমহিলা ও ভদ্রমহোদয়গণ,
দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম পর্যায়কে আজ জাতির উদ্দেশে উৎসর্গ করতে পেরে আমি গর্ববোধ করছি। এটি দেশের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ এবং সর্বাধুনিক এক্সপ্রেসওয়ে। ভারত যে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে এটা তার এক মহান চিত্রস্বরূপ। দৌসার জনগণ এবং সমগ্র দেশবাসীকে আমি অভিনন্দন জানাচ্ছি।
ভাই ও বোনেরা,
আধুনিক রাস্তা, আধুনিক রেল স্টেশন, রেলপথ, মেট্রো রেল, বিমানবন্দর যখন গড়ে ওঠে তখন দেশের অগ্রগতিতে তা গতিসঞ্চার করে। পৃথিবীতে এরকম অনেক সমীক্ষা হয়েছে যেখানে দেখা গেছে যে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ব্যয় বাস্তবিক ক্ষেত্রে বহুগুণ ফলপ্রসূ হয়েছে। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ আরও বৃহত্তর বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করে। গত ৯ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিরামহীনভাবে বৃহৎ বিনিয়োগের পথে হেঁটেছে। রাজস্থানেও বিগত কয়েক বছরে মহাসড়ক ক্ষেত্রে ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। এবারের বাজেটে আমরা পরিকাঠামো ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের সংস্থান রেখেছি। ২০১৪-র তুলনায় এটা প্রায় পাঁচগুণ। এই বৃহৎ বিনিয়োগের সুফল রাজস্থানে, এখানকার গ্রামগুলিতে, দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে পৌঁছবে।
বন্ধুগণ,
সরকার যখন মহাসড়ক, রেলপথ, বন্দর, বিমানবন্দর – এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে, যখন অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে, ডিজিটাল সংযোগ যখন প্রসার লাভ করে, দরিদ্রদের জন্য যখন কোটি কোটি বাড়ি তৈরি হয় অথবা যখন মেডিকেল কলেজ নির্মাণ করা হয়, তখন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিল্পক্ষেত্র ও ব্যবসায়ী মহল - সকলেই সমৃদ্ধ হন। সিমেন্ট, লোহার রড, বালি, পাথরের ব্যবসা থেকে শুরু করে পরিবহণ ক্ষেত্র - প্রত্যেকেই তা থেকে উপকৃত হন। এসব শিল্প থেকে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। একটা ব্যবসা যখন প্রসার লাভ করে তাতে লোকবল ক্রমে বৃদ্ধি পেতে থাকে। ফলে এর থেকে বোঝা যায় যে পরিকাঠামো ক্ষেত্রে অধিক বিনিয়োগের অর্থ অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি। দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের ক্ষেত্রে বহুবিধ মানুষ অনুরূপ সুবিধা লাভ করেছেন।
বন্ধুগণ,
আধুনিক পরিকাঠামো নির্মাণের আরও একটা দিক রয়েছে। পরিকাঠামো যখন প্রস্তুত হয় কৃষক থেকে শুরু করে কলেজ, অফিসযাত্রী, ট্রাক, টেম্পো ড্রাইভার, ব্যবসায়ীগণ অনেক বৃহত্তর সুবিধা লাভ করেন যার ফলে আর্থিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পেতে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, দিল্লি-দৌসা-লালসট এক্সপ্রেসওয়ের ফলে জয়পুর থেকে দিল্লি যেতে আগে যেখানে ৫-৬ ঘন্টা সময় লাগত, এখন তার অর্ধেক সময়ে সেখানে পৌঁছে যাওয়া যাবে। আপনারা নিশ্চয়ই অনুমান করতে পারেন যে এর ফলে কতখানি সময় সাশ্রয় হল। এই এলাকার যেসব বন্ধুরা দিল্লিতে কাজ করেন অথবা যাঁরা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বা যাঁদেরকে অন্য কোনও কাজে যেতে হয়, অনায়াসেই তাঁরা এখন তাঁদের বাড়িতে সন্ধ্যার মধ্যে পৌঁছে যেতে পারবেন। ট্রাক, টেম্পো ড্রাইভাররা, যাঁরা দিল্লি থেকে পণ্য পরিবহণের কাজ করেন, রাস্তায় তাঁদের সারাদিন কাটাতে হবে না। ক্ষুদ্র চাষী ও গবাদি পশুপালক অনায়াসেই তাঁদের শাকসব্জি এবং দুধ অনেক কম খরচে দিল্লিতে পাঠাতে পারবেন। দীর্ঘ বিলম্বিত যাত্রাপথে দ্রব্যসামগ্রী নিয়ে যেতে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি এখন অনেক কমে যাবে।
ভাই ও বোনেরা,
এই এক্সপ্রেসওয়েকে ঘিরে গ্রামীণ হাট গড়ে তোলা হচ্ছে। ফলে, স্থানীয় কৃষক, তন্তুবায় এবং হস্তশিল্পীরা তাঁদের পণ্যসামগ্রী অনায়াসেই এখানে বিক্রি করতে পারবেন। রাজস্থান ছাড়াও হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জেলা দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের ফলে প্রভূত উপকৃত হবে। হরিয়ানার মেওয়াট জেলা এবং রাজস্থানের দৌসা জেলায় উপার্জনের নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে। এই আধুনিক সংযোগ ব্যবস্থার ফলে সরিসকা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র, কেওলাদেও, রনথম্বোর জাতীয় পার্ক, জয়পুর এবং আজমেঢ় প্রভৃতি স্থানে যেতে পর্যটকদের অনেক সুবিধা হবে। রাজস্থান ইতিমধ্যেই দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল। এখন এর আকর্ষণ আরও বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
বন্ধুগণ,
এসব ছাড়াও আরও তিনটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল আজ। এর একটি প্রকল্প এই এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে জয়পুরের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ গড়ে তুলবে। এর ফলে, জয়পুর থেকে দিল্লি যেতে তিন ঘন্টার যাত্রা আড়াই ঘন্টায় নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। দ্বিতীয় প্রকল্প আলোয়ারের কাছে আম্বালা-কোটপুতলি করিডরের সঙ্গে এই এক্সপ্রেসওয়েকে সরাসরি যুক্ত করবে। এর ফলে, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু ও কাশ্মীর থেকে যানবাহন পাঞ্জাব, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রে অনায়াসেই যেতে পারবে। আরও একটি প্রকল্প হল লালসোট-কারাউলি সড়কের উন্নয়ন। এই সড়ক এই অঞ্চলকে কেবলমাত্র এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গেই যুক্ত করবে না, এই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক স্বাচ্ছন্দ্য এনে দেবে।
বন্ধুগণ,
দিল্লি-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ে এবং পূর্বাঞ্চল ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর রাজস্থান সহ দেশের অগ্রগতির দুটি মূল স্তম্ভ হতে চলেছে। অদূর ভবিষ্যতে রাজস্থান সহ এই সমগ্র এলাকার চালচিত্রকে এই প্রকল্প বদলে দেবে। এই দুই প্রকল্প দিল্লি-মুম্বাই শিল্প করিডরকে অনেক বেশি শক্তিশালী করে তুলবে। এসব সড়ক এবং পণ্য করিডর হরিয়ানা ও রাজস্থান সহ পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিকে বন্দরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করবে। লজিস্টিক্স, পরিবহণ এবং মজুতভাণ্ডার সংক্রান্ত বিবিধ শিল্পের জন্য নতুন সম্ভাবনার ক্ষেত্র এর ফলে তৈরি হবে।
বন্ধুগণ,
পিএম গতি শক্তি জাতীয় মাস্টার প্ল্যান-এর মাধ্যমে এই এক্সপ্রেসওয়ে সমৃদ্ধ হওয়ায় আমি খুশি। গতি শক্তি মাস্টার প্ল্যানের অধীন এই এক্সপ্রেসওয়েতে একটি করিডরকে চিহ্নিত করা হয়েছে ৫জি নেটওয়ার্কের জন্য অপটিক্যাল ফাইবার স্থাপনের। খানিকটা এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে ইলেক্ট্রিক ওয়্যারিং এবং গ্যাস পাইপলাইনের জন্য। অতিরিক্ত এলাকা সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং মজুতের জন্য। এইসব প্রয়াস ভবিষ্যতে কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় করবে এবং দেশের সময় বাঁচাবে।
বন্ধুগণ,
‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ রাজস্থান এবং দেশের উন্নয়নে আমাদের মন্ত্র। এই মন্ত্র অনুসরণ করে আমরা সক্ষম, সমর্থ ও সমৃদ্ধ ভারত গড়ে তুলছি। এখন আর আমি আমার ভাষণ দীর্ঘায়িত করব না। ১৫ মিনিট পর কাছাকাছি এলাকায় একটি সরকারি অনুষ্ঠানে আমার ভাষণ দেওয়ার কথা। রাজস্থান থেকে বহু মানুষ সেখানে অপেক্ষায় আছেন। ফলে, অন্য আরও বিভিন্ন বিষয় সেখানকার মানুষের কাছে আমি বলব। ফলে আরও একবার এই আধুনিক এক্সপ্রেসওয়ের জন্য আপনাদের সকলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024
Share
Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी, Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी, Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी, Hon’ble Leader of the Opposition, Hon’ble Ministers, Members of the Parliament, Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी, अन्य महानुभाव, देवियों और सज्जनों,
गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।
साथियों,
भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,
साथियों,
आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,
साथियों,
बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।
साथियों,
डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं। दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।
साथियों,
हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।
साथियों,
हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,
साथियों,
"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।
साथियों,
भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।
साथियों,
आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।
साथियों,
भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।
साथियों,
यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है। लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।
साथियों,
भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।
साथियों,
गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।
साथियों,
गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।
साथियों,
डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।
साथियों,
आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।
साथियों,
गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।