Quote"কঠিন এই সময়ে কোনো পরিবারই যাতে ক্ষুধার্থ না থাকে তা দেখা আমাদের কর্তব্য : প্রধানমন্ত্রী "
Quote"প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় ৮০ কোটি সুফলভোগীকে আরও দু-মাস বিনামূল্যে রেশন, কেন্দ্র এই কর্মসূচিতে ২৬ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করেছে : প্রধানমন্ত্রী "
Quote"সমস্ত কেন্দ্রীয় নীতি ও উদ্যোগের মূল কেন্দ্রে রয়েছে গ্রামগুলি : প্রধানমন্ত্রী "
Quote"কেন্দ্রীয় সরকার পঞ্চায়েতগুলির জন্য ২.২৫ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে, এরফলে পঞ্চায়েতগুলির কাজকর্মে আরও স্বচ্ছতা আসবে : প্রধানমন্ত্রী "

আজকের অনুষ্ঠানে আমার সঙ্গে উপস্থিত পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমরজি, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, হরিয়ানা, অরুণাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের সকল মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীগণ, হরিয়ানার উপ-মুখ্যমন্ত্রী মহোদয়, বিভিন্ন রাজ্যের পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রীগণ, গ্রামীণ বিকাশ মন্ত্রীগণ, সারা দেশের গ্রাম পঞ্চায়েতে বসে এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হওয়া সকল জনপ্রতিনিধিগণ, আর একটু আগে নরেন্দ্র সিংজি যেমনটি বললেন, প্রায় ৫ কোটি মানুষ এই অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। এত বড় সংখ্যায় গ্রামে গ্রামে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করাই দেশে গ্রাম বিকাশের লক্ষ্যে যে পদক্ষেপগুলি নেওয়া হয়েছে সেগুলিকে আরও শক্তি জোগায়। এই সকল ৫ কোটি ভাই-বোনেদের আমার সাদর নমস্কার।
ভাই ও বোনেরা,
পঞ্চায়েতি রাজ দিবসের এই দিনটি গ্রামীণ ভারতের নব-নির্মাণের সঙ্কল্পকে পুনরুচ্চারণের এক গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ এনে দেয়। এই দিনে আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির অবদান আর তাদের অসাধারণ কাজগুলিকে দেখা, বোঝা এবং সেগুলির প্রশংসা করারও দিন।

|

একটু আগেই আমি গ্রাম উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় কাজ করার জন্য পঞ্চায়েতগুলিকে সম্মানিত করার এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করার সুযোগ পেয়েছি। আমি আপনাদের সবাইকে পঞ্চায়েতি রাজ দিবস উপলক্ষে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই। সম্প্রতি অনেক রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে আর অনেক রাজ্যে এই নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে। সেজন্য আজ আমাদের সঙ্গে অনেক নতুন বন্ধুরাও রয়েছেন। আমি সমস্ত নতুন জনপ্রতিনিধিদেরও অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।
বন্ধুগণ,
আজ গ্রাম এবং গরীবকে তাঁদের বাড়ির আইনসম্মত দলিল প্রদানকারী অনেক বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প, ‘স্বামীত্ব যোজনা’ গোটা দেশে চালু করা হয়েছে। গত বছর যে জায়গাগুলিতে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল, সেখানকার অনেক বন্ধুদের প্রপার্টি কার্ডও দেওয়া হয়েছে। সেজন্য এ কাজের সঙ্গে যুক্ত আর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা যাঁরা করছেন, সেই সকল বন্ধুদেরও আমি অনেক অনেক অভিনন্দন এবং শুভকামনা জানাই। এই ‘স্বামীত্ব যোজনা’ গ্রাম এবং গরীবের আত্মবিশ্বাসকে, পারস্পরিক বিশ্বাসকে আর উন্নয়নকে নতুন গতি প্রদান করবে। সেজন্য আমি সকল দেশবাসীকে অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।
বন্ধুগণ,
এক বছর আগে যখন আমরা পঞ্চায়েতি রাজ দিবস উপলক্ষে মিলিত হয়েছিলাম তখন গোটা দেশ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছিল। তখন আমি আপনাদেরকে অনুরোধ জানিয়েছিলাম যে আপনারা নিজেদের গ্রামগুলিতে করোনা পৌঁছনোর আগেই প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নিজেদের ভূমিকা পালন করুন। আপনারা সবাই অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করোনাকে দেশের গ্রামগুলিতে পৌঁছতে দেননি। শুধু তাই নয়, গ্রামে গ্রামে জনগণের মনে সচেতনতা সৃষ্টি করার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত বড় ভূমিকা পালন করেছেন। এ বছরও আমাদের সামনে যে চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেই চ্যালেঞ্জ আগের থেকেও একটু বেশি। আর আমাদের দেশের গ্রামগুলিতে এই সংক্রমণ কোনও পরিস্থিতিতেই পৌঁছতে দিলে চলবে না। একে আটকাতেই হবে।

|

গত বছর আপনারা নিজেদের পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের গ্রামে গ্রামে করোনা প্রতিরোধে যেমন নেতৃত্ব দিয়েছেন, সে কাজ এবারও অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে এবং নিয়মানুবর্তিতার সঙ্গে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে সঙ্গে নিয়ে করলে সাফল্য অবশ্যই আসবে। কারণ, আপনারা গতবার সফল হয়েছিলেন। এখন এক বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সঙ্কট সম্পর্কে অধিকাংশ তথ্য রয়েছে। সঙ্কট থেকে রক্ষার সমস্ত পথ নিয়েও তথ্য রয়েছে। আর সেজন্য আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আমার দেশের, আমার গ্রামগুলির সমস্ত মানুষ, গ্রামের নেতৃত্ব প্রদানকারী প্রত্যেকে গ্রামগুলিতে আপনারা করোনা প্রতিরোধে অবশ্যই সফল হবেন, আর অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে প্রতিরোধক ব্যবস্থাও নেবেন। যেসব গাইডলাইন্স নানা সময়ে জারি হয়, সেগুলি যেন প্রত্যেক গ্রামে ভালোভাবে পালন করা হয় - এটা আমাদের প্রত্যেককেই সুনিশ্চিত করতে হবে।
এবার তো আমাদের কাছে টিকার সুরক্ষা কবচ রয়েছে। সেজন্য আমাদের সমস্ত সাবধানতাও পালন করতে হবে, আবার এটাও সুনিশ্চিত করতে হবে যে গ্রামের প্রত্যেক ব্যক্তি যেন টিকার দুটি ডোজই নেন। ভারত সরকার এখন ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে প্রত্যেক ব্যক্তিকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। ভারতের প্রত্যেক রাজ্যে এই টিকাকরণ চালু রয়েছে। আগামী ১ মে থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদেরও টিকাকরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আপনাদের মতো প্রত্যেক বন্ধুর সহযোগিতাতেই এই টিকাকরণ অভিযান সফল হবে।

|

বন্ধুগণ,
এই কঠিন সময়ে কোনও পরিবার যেন খালি পেটে না ঘুমোয়, দরিদ্র থেকে দরিদ্রত মানুষেরও যেন উনুন জ্বলতে থাকে এটা দেখাও আমাদের দায়িত্ব। গতকালই কেন্দ্রীয় সরকার ‘প্রধানমন্ত্রী গরীব কল্যাণ যোজনা’র মাধ্যমে বিনামূল্যে রেশন প্রদানের প্রকল্পের মেয়াদ আবার বাড়িয়েছে। মে এবং জুন মাসেও দেশের প্রত্যেক গরীব বিনামূল্যে রেশন পাবেন। এর মাধ্যমে ৮০ কোটিরও বেশি দেশবাসী উপকৃত হবেন। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকারের ২৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হবে।
বন্ধুগণ,
এই রেশন গরীবের জন্য, দেশের জন্য। অন্নের প্রতিটি দানা যেন সেই পরিবারগুলি পর্যন্ত পৌঁছয়, দ্রুতগতিতে পৌঁছয়, ঠিক সময়ে পৌঁছয়, যাঁদের এর প্রয়োজন আছে, এটা সুনিশ্চিত করা আমাদের সকলের কাজ, আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে প্রত্যেক রাজ্য সরকার এবং প্রতিটি পঞ্চায়েতে নির্বাচিত আমাদের বন্ধুরা যথাযথভাবে এই দায়িত্ব পালন করবেন।
বন্ধুগণ,
গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির জনপ্রতিনিধি রূপে আপনাদের ভূমিকা গণতন্ত্রকে মজবুত করা আর গ্রামের আশা ও আকাঙ্ক্ষাগুলিকে পূরণ করা। আমাদের গ্রামগুলি ভারতের উন্নয়ন এবং আত্মনির্ভরতার প্রধান কেন্দ্র। পূজনীয় মহাত্মা গান্ধীজি বলতেন, “আত্মনির্ভরতা বলতে আমি বুঝি এমন সব গ্রাম যেগুলি নিজেদের মৌলিক প্রয়োজনসাধনের জন্য আত্মনির্ভর হবে। কিন্তু আত্মনির্ভরতার মানে এটা নয় যে আমরা নিজেদের সীমার মধ্যে আটকে পড়ব।” পূজনীয় বাপু’র ভাবনা কত স্পষ্ট! অর্থাৎ আমরা নতুন নতুন সুযোগগুলিকে, নতুন নতুন সম্ভাবনাগুলিকে খুঁজে নিজের নিজের গ্রামকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাব।
বন্ধুগণ,
গত বছর যে ছয়টি রাজ্যে ‘স্বামীত্ব যোজনা’ শুরু হয়েছে, সেখানে এক বছরের মধ্যে এর প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। ‘স্বামীত্ব যোজনা’য় অত্যাধুনিক ড্রোনের মাধ্যমে গোটা গ্রামের সম্পত্তি সার্ভে করা হয়েছে। যাঁর যতটা জমি রয়েছে তাকে তাঁর প্রপার্টি কার্ড বা সম্পত্তিপত্র প্রদান করা হচ্ছে। কিছুক্ষণ আগেই ৫ হাজার গ্রামে ৪ লক্ষেরও বেশি সম্পত্তির মালিককে ‘ই-প্রপার্টি কার্ড’ দেওয়া হয়েছে। ‘স্বামীত্ব যোজনা’র ফলে আজ গ্রামগুলিতে একটি নতুন আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে। একটা নিরাপত্তার ভাব জেগে উঠেছে।
গ্রামগুলিতে বাড়ির নকশা, গ্রামবাসীদের প্রত্যেকের সম্পত্তির দলিল যখন হাতে আসে তখন অনেক ধরনের আশঙ্কার অবসান হয়। এর মাধ্যমে গ্রামে জমি-সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ অনেক কমেছে। অনেক জায়গায় পরিবারের মধ্যে ঝগড়া মিটেছে। গরীব-দলিতদের মানুষদের শোষণের সম্ভাবনাও সমাপ্ত হয়েছে। দুর্নীতির একটি বড় রাস্তা বন্ধ হয়েছে। কোর্ট-কাছারিতে অনেক মামলারও নিষ্পত্তি হয়েছে। যাঁরা জমির কাগজ পেয়েছেন, তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে সহজেই ঋণও নিতে পারছেন।
বন্ধুগণ,
‘স্বামীত্ব যোজনা’র আরেকটি বিশেষ দিক রয়েছে। এই যোজনায় ড্রোন সার্ভের পর প্রত্যেক গ্রামের একটা সম্পূর্ণ মানচিত্র, জমির সম্পূর্ণ হিসাবনিকাশও তৈরি হয়েছে। এর ফলে, পঞ্চায়েতগুলিতে গ্রামের উন্নয়ন সম্পর্কিত কাজে একটি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ভাবনা নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যেতে এই মানচিত্র অনেক কাজে লাগবে। আর আমি সকল গ্রাম প্রধানদের অনুরোধ করব, এই সুযোগকে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজে লাগান যাতে সুপরিকল্পিতভাবে আপনাদের গ্রামগুলির উন্নয়ন হয়।
এক প্রকার গরীব মানুষের নিরাপত্তা, গ্রামের অর্থনীতি আর গ্রামগুলির পরিকল্পনামাফিক উন্নয়নে সমস্ত কিছুকে সুনিশ্চিত করে ‘স্বনিধি যোজনা’। দেশের সমস্ত রাজ্যগুলির প্রতি আমার অনুরোধ, এই ‘স্বনিধি যোজনা’র জন্য সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে মউ স্বাক্ষরের কাজ দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করুন। অনেক রাজ্যে এর জন্য জমি আইনে পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্যগুলির প্রতি আমার পরামর্শ যে গ্রামের প্রত্যেক বাড়ির জন্য দলিল তৈরি হওয়ার পর যদি কোনও ব্যক্তি ব্যাঙ্ক ঋণ চান, তাহলে তাঁরা যেন ব্যাঙ্কে গিয়ে কোনও সমস্যায় না পড়েন, সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে। আমি ব্যাঙ্কগুলিকে অনুরোধ জানাই, তারা যেন ‘প্রপার্টি কার্ড’-এর একটি ফরম্যাট তৈরি করেন যাকে ব্যাঙ্কে ঋণের জন্য প্রামাণ্য নথি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। আপনারা সবাই আপনাদের মতো প্রত্যেক পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদেরও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা এবং গ্রামগুলিতে সঠিক তথ্য প্রদানের কাজ করতে হবে।
বন্ধুগণ,
আমার দেশের প্রগতি এবং সংস্কৃতির নেতৃত্ব সর্বদাই আমাদের গ্রামগুলিই প্রদান করেছে। সেজন্য আজ আমরাও দেশের প্রতিটি নীতি প্রণয়ন এবং প্রত্যেক প্রচেষ্টার কেন্দ্রে গ্রামগুলিকে রেখেই এগিয়ে চলেছি। আমরা চেষ্টা করছি যাতে আধুনিক ভারতের গ্রামগুলি সমর্থ হয়, আত্মনির্ভর হয়। সেজন্য পঞ্চায়েতগুলির ভূমিকা বাড়ানো হচ্ছে, পঞ্চায়েতগুলিকে নতুন নতুন অধিকার প্রদান করা হচ্ছে, পঞ্চায়েতগুলিকে ডিজিটালাইজ করে তোলার জন্য প্রত্যেক গ্রামকে অপ্টিক্যাল ফাইবার নেটের মাধ্যমে যুক্ত করার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
আজ প্রত্যেক বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল প্রদানের জন্য যে ‘জল জীবন মিশন’-এর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে তার তদারকি এবং সম্পাদনের দায়িত্বও পঞ্চায়েতগুলিকে দেওয়া হয়েছে। এটা এমন একটা বড় কাজ যা আপনাদের দায়িত্ব এবং অংশীদারিত্বকে অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আজ গ্রামে কর্মসংস্থান থেকে শুরু করে দরিদ্রদের পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়া পর্যন্ত যে ব্যাপক অভিযান কেন্দ্রীয় সরকার শুরু করেছে, সেগুলির কাজ গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির মাধ্যমে এগিয়ে চলেছে।
গ্রামের উন্নয়নের জন্য অগ্রাধিকার ঠিক করতে হলে, সেগুলি সংশ্লিষ্ট কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও পঞ্চায়েতগুলির ভূমিকা বাড়ানো হয়েছে। আপনারা নিজেদের গ্রামের উন্নয়নের কথা ভাবুন, গ্রামবাসীর ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী উন্নয়নে গতি আনুন। এটাই দেশবাসী আপনাদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করে। আপনাদের এই দায়িত্ব সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, পঞ্চায়েতগুলিকে গ্রামের উন্নয়নের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খরচ করার ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। ছোট ছোট প্রয়োজনসাধনের জন্য আপনাদের সরকারি দপ্তরগুলিতে যাতে কম যেতে হয়, সেই চিন্তা করা হচ্ছে। আজ যেমন যে নগদ পুরস্কার এখানে দেওয়া হয়েছে, সেই টাকাও সরাসরি পঞ্চায়েতগুলির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়েছে।
বন্ধুগণ,
ভারত সরকার ২ লক্ষ ২৫ হাজার কোটিরও বেশি টাকা গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির হাতে তুলে দিয়েছে। এত বড় অঙ্কের টাকা এর আগে কখনও পঞ্চায়েতগুলিকে দেওয়া হয়নি। এত টাকা গ্রামগুলির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ যাকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিৎ, পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নতকরণের জন্য আপনারা খরচ করবেন। কিন্তু যখন গ্রামগুলির উন্নয়নের জন্য এত টাকা দেওয়া হবে, গ্রামে গ্রামে এত কাজ হবে, তখন আমাদের গ্রামবাসীরা আপনাদের কাছ থেকে প্রতিটি কাজে দক্ষতা প্রত্যাশা করবেন। এই প্রত্যাশা আপনাদের ওপর রয়েছে। এই প্রত্যাশা পূরণের দায়িত্বও আপনাদেরই।
সেজন্য পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রক ‘ই-গ্রাম স্বরাজ’-এর মাধ্যমে অনলাইনে অর্থ প্রদানের ব্যবস্থা করেছে। যত আর্থিক লেনদেন হবে তা পাবলিক ফিনান্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা পিএফএমএস-এর মাধ্যমে হবে। এভাবে খরচে স্বচ্ছতা আর দায়িত্ব নির্ধারণের জন্য অনলাইন অডিটের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে বিপুল সংখ্যক পঞ্চায়েত ইতিমধ্যেই এই ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। আমি দেশের সমস্ত পঞ্চায়েত প্রধানদের অনুরোধ করব, আপনার পঞ্চায়েত যদি ইতিমধ্যেই এই ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত না হয়ে থাকে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব আপনারা এর সঙ্গে যুক্ত হন।
বন্ধুগণ,
এ বছর আমরা স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষে প্রবেশ করতে চলেছি। আমাদের সামনে অনেক অনেক চ্যালেঞ্জ অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু তবুও উন্নয়নের চাকাকে আমাদের দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতেই হবে। আপনারাও নিজেদের গ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং নির্ধারিত সময়ে সেগুলি বাস্তবায়িত করুন। যেমন আপনারা গ্রামসভায় পরিচ্ছন্নতা নিয়ে, জল সংরক্ষণ নিয়ে, পুষ্টি নিয়ে, টিকাকরণ নিয়ে, শিক্ষা নিয়ে এক একটি স্বতন্ত্র অভিযান চালু করতে পারেন। আপনারা গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে জল সংরক্ষণ সংক্রান্ত লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন। আপনারা গ্রামে ভূগর্ভস্থ জলের উচ্চতা কিভাবে ওপরে তুলবেন, সে বিষয়ে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন। আপনাদের খেতগুলিকে কিভাবে রাসায়নিক সারমুক্ত করতে পারেন, কম জলে বেশি ফসল উৎপাদন করতে পারেন, প্রতি বিন্দুতে অধিক ফসল ফলাতে পারেন তা সুনিশ্চিত করতে আপনাদেরই কাজ করে যেতে হবে।
গ্রামের সকল শিশু এবং বিশেষ করে কন্যাসন্তানরা যেন বিদ্যালয়ে যায়! কেউ যেন মাঝপথে পড়া না ছাড়ে! আপনাদের সবাইকে মিলেমিশে এই দায়িত্ব পালন করতে হবে। অনলাইন পড়াশোনা থেকে শুরু করে নিজের স্তরে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি কিভাবে গরীব শিশুদের সাহায্য করতে পারে, এটা সুনিশ্চিত করতে আপনারা অবশ্যই নিজেদের অবদান রাখবেন। ‘মিশন অন্ত্যোদয় সর্বেক্ষণ’-এর মাধ্যমে গ্রামের সমস্ত প্রয়োজন, যত ত্রুটি সামনে আসে - প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েত সেগুলি দূর করার জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েতগুলির মন্ত্র হওয়া উচিৎ ‘ওষুধও কড়াকড়িও’। আর আমার দৃঢ় বিশ্বাস, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবার আগে জয়যুক্ত হওয়া, আমার প্রিয় ভারতের প্রতিটি গ্রাম আবার বিজয়ী হবে। আমার ভারতের নেতৃত্ব বিজয়ী হবে, আমার ভারতের গ্রামের দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর নাগরিক, গ্রামের সমস্ত নাগরিক মিলেমিশে বিজয়ী হবেন আর আপনাদের এই সাফল্যের মাধ্যমে দেশ এবং বিশ্বকে আপনারাই পথ দেখাবেন। আপনাদের প্রতি আমার এই ভরসা, বিশ্বাস তৈরি হয়েছে গত এক বছরের অভিজ্ঞতার ফলে। আর আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে যে আপনারা এই প্রত্যাশা অবশ্যই পূরণ করবেন, আর অত্যন্ত ভালবাসাপূর্ণ আবহে এই দায়িত্ব সম্পন্ন করবেন। এটাই আপনাদের বৈশিষ্ট্য। কেউ যেন ক্ষুধার্ত না থাকেন, কারোর যেন ক্ষতি না হয়, এই ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাবেন।
আরেকবার আপনাদের এই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দ্রুত বিজয় প্রাপ্তির শুভেচ্ছা জানিয়ে আপনাদের গ্রামগুলিকে করোনামুক্ত গ্রাম রাখার ক্ষেত্রে আপনারা যেন সফল হন এই বিশ্বাস রেখে আরেকবার আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই, অনেক অনেক শুভকামনা জানাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ!

  • didi December 25, 2024

    '
  • krishangopal sharma Bjp December 20, 2024

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
  • krishangopal sharma Bjp December 20, 2024

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
  • krishangopal sharma Bjp December 20, 2024

    नमो नमो 🙏 जय भाजपा 🙏🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷🌷
  • Devendra Kunwar October 17, 2024

    BJP
  • Ram Raghuvanshi February 26, 2024

    Jai shree Ram
  • Jayanta Kumar Bhadra February 17, 2024

    Jay Maa
  • Jayanta Kumar Bhadra February 17, 2024

    Hare Om
  • Jayanta Kumar Bhadra February 17, 2024

    Hare Krishna
  • Jayanta Kumar Bhadra February 17, 2024

    Om Shanti
Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

Media Coverage

"Huge opportunity": Japan delegation meets PM Modi, expressing their eagerness to invest in India
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Today, India is not just a Nation of Dreams but also a Nation That Delivers: PM Modi in TV9 Summit
March 28, 2025
QuoteToday, the world's eyes are on India: PM
QuoteIndia's youth is rapidly becoming skilled and driving innovation forward: PM
Quote"India First" has become the mantra of India's foreign policy: PM
QuoteToday, India is not just participating in the world order but also contributing to shaping and securing the future: PM
QuoteIndia has given Priority to humanity over monopoly: PM
QuoteToday, India is not just a Nation of Dreams but also a Nation That Delivers: PM

श्रीमान रामेश्वर गारु जी, रामू जी, बरुन दास जी, TV9 की पूरी टीम, मैं आपके नेटवर्क के सभी दर्शकों का, यहां उपस्थित सभी महानुभावों का अभिनंदन करता हूं, इस समिट के लिए बधाई देता हूं।

TV9 नेटवर्क का विशाल रीजनल ऑडियंस है। और अब तो TV9 का एक ग्लोबल ऑडियंस भी तैयार हो रहा है। इस समिट में अनेक देशों से इंडियन डायस्पोरा के लोग विशेष तौर पर लाइव जुड़े हुए हैं। कई देशों के लोगों को मैं यहां से देख भी रहा हूं, वे लोग वहां से वेव कर रहे हैं, हो सकता है, मैं सभी को शुभकामनाएं देता हूं। मैं यहां नीचे स्क्रीन पर हिंदुस्तान के अनेक शहरों में बैठे हुए सब दर्शकों को भी उतने ही उत्साह, उमंग से देख रहा हूं, मेरी तरफ से उनका भी स्वागत है।

साथियों,

आज विश्व की दृष्टि भारत पर है, हमारे देश पर है। दुनिया में आप किसी भी देश में जाएं, वहां के लोग भारत को लेकर एक नई जिज्ञासा से भरे हुए हैं। आखिर ऐसा क्या हुआ कि जो देश 70 साल में ग्यारहवें नंबर की इकोनॉमी बना, वो महज 7-8 साल में पांचवे नंबर की इकोनॉमी बन गया? अभी IMF के नए आंकड़े सामने आए हैं। वो आंकड़े कहते हैं कि भारत, दुनिया की एकमात्र मेजर इकोनॉमी है, जिसने 10 वर्षों में अपने GDP को डबल किया है। बीते दशक में भारत ने दो लाख करोड़ डॉलर, अपनी इकोनॉमी में जोड़े हैं। GDP का डबल होना सिर्फ आंकड़ों का बदलना मात्र नहीं है। इसका impact देखिए, 25 करोड़ लोग गरीबी से बाहर निकले हैं, और ये 25 करोड़ लोग एक नियो मिडिल क्लास का हिस्सा बने हैं। ये नियो मिडिल क्लास, एक प्रकार से नई ज़िंदगी शुरु कर रहा है। ये नए सपनों के साथ आगे बढ़ रहा है, हमारी इकोनॉमी में कंट्रीब्यूट कर रहा है, और उसको वाइब्रेंट बना रहा है। आज दुनिया की सबसे बड़ी युवा आबादी हमारे भारत में है। ये युवा, तेज़ी से स्किल्ड हो रहा है, इनोवेशन को गति दे रहा है। और इन सबके बीच, भारत की फॉरेन पॉलिसी का मंत्र बन गया है- India First, एक जमाने में भारत की पॉलिसी थी, सबसे समान रूप से दूरी बनाकर चलो, Equi-Distance की पॉलिसी, आज के भारत की पॉलिसी है, सबके समान रूप से करीब होकर चलो, Equi-Closeness की पॉलिसी। दुनिया के देश भारत की ओपिनियन को, भारत के इनोवेशन को, भारत के एफर्ट्स को, जैसा महत्व आज दे रहे हैं, वैसा पहले कभी नहीं हुआ। आज दुनिया की नजर भारत पर है, आज दुनिया जानना चाहती है, What India Thinks Today.

|

साथियों,

भारत आज, वर्ल्ड ऑर्डर में सिर्फ पार्टिसिपेट ही नहीं कर रहा, बल्कि फ्यूचर को शेप और सेक्योर करने में योगदान दे रहा है। दुनिया ने ये कोरोना काल में अच्छे से अनुभव किया है। दुनिया को लगता था कि हर भारतीय तक वैक्सीन पहुंचने में ही, कई-कई साल लग जाएंगे। लेकिन भारत ने हर आशंका को गलत साबित किया। हमने अपनी वैक्सीन बनाई, हमने अपने नागरिकों का तेज़ी से वैक्सीनेशन कराया, और दुनिया के 150 से अधिक देशों तक दवाएं और वैक्सीन्स भी पहुंचाईं। आज दुनिया, और जब दुनिया संकट में थी, तब भारत की ये भावना दुनिया के कोने-कोने तक पहुंची कि हमारे संस्कार क्या हैं, हमारा तौर-तरीका क्या है।

साथियों,

अतीत में दुनिया ने देखा है कि दूसरे विश्व युद्ध के बाद जब भी कोई वैश्विक संगठन बना, उसमें कुछ देशों की ही मोनोपोली रही। भारत ने मोनोपोली नहीं बल्कि मानवता को सर्वोपरि रखा। भारत ने, 21वीं सदी के ग्लोबल इंस्टीट्यूशन्स के गठन का रास्ता बनाया, और हमने ये ध्यान रखा कि सबकी भागीदारी हो, सबका योगदान हो। जैसे प्राकृतिक आपदाओं की चुनौती है। देश कोई भी हो, इन आपदाओं से इंफ्रास्ट्रक्चर को भारी नुकसान होता है। आज ही म्यांमार में जो भूकंप आया है, आप टीवी पर देखें तो बहुत बड़ी-बड़ी इमारतें ध्वस्त हो रही हैं, ब्रिज टूट रहे हैं। और इसलिए भारत ने Coalition for Disaster Resilient Infrastructure - CDRI नाम से एक वैश्विक नया संगठन बनाने की पहल की। ये सिर्फ एक संगठन नहीं, बल्कि दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं के लिए तैयार करने का संकल्प है। भारत का प्रयास है, प्राकृतिक आपदा से, पुल, सड़कें, बिल्डिंग्स, पावर ग्रिड, ऐसा हर इंफ्रास्ट्रक्चर सुरक्षित रहे, सुरक्षित निर्माण हो।

साथियों,

भविष्य की चुनौतियों से निपटने के लिए हर देश का मिलकर काम करना बहुत जरूरी है। ऐसी ही एक चुनौती है, हमारे एनर्जी रिसोर्सेस की। इसलिए पूरी दुनिया की चिंता करते हुए भारत ने International Solar Alliance (ISA) का समाधान दिया है। ताकि छोटे से छोटा देश भी सस्टेनबल एनर्जी का लाभ उठा सके। इससे क्लाइमेट पर तो पॉजिटिव असर होगा ही, ये ग्लोबल साउथ के देशों की एनर्जी नीड्स को भी सिक्योर करेगा। और आप सबको ये जानकर गर्व होगा कि भारत के इस प्रयास के साथ, आज दुनिया के सौ से अधिक देश जुड़ चुके हैं।

साथियों,

बीते कुछ समय से दुनिया, ग्लोबल ट्रेड में असंतुलन और लॉजिस्टिक्स से जुड़ी challenges का सामना कर रही है। इन चुनौतियों से निपटने के लिए भी भारत ने दुनिया के साथ मिलकर नए प्रयास शुरु किए हैं। India–Middle East–Europe Economic Corridor (IMEC), ऐसा ही एक महत्वाकांक्षी प्रोजेक्ट है। ये प्रोजेक्ट, कॉमर्स और कनेक्टिविटी के माध्यम से एशिया, यूरोप और मिडिल ईस्ट को जोड़ेगा। इससे आर्थिक संभावनाएं तो बढ़ेंगी ही, दुनिया को अल्टरनेटिव ट्रेड रूट्स भी मिलेंगे। इससे ग्लोबल सप्लाई चेन भी और मजबूत होगी।

|

साथियों,

ग्लोबल सिस्टम्स को, अधिक पार्टिसिपेटिव, अधिक डेमोक्रेटिक बनाने के लिए भी भारत ने अनेक कदम उठाए हैं। और यहीं, यहीं पर ही भारत मंडपम में जी-20 समिट हुई थी। उसमें अफ्रीकन यूनियन को जी-20 का परमानेंट मेंबर बनाया गया है। ये बहुत बड़ा ऐतिहासिक कदम था। इसकी मांग लंबे समय से हो रही थी, जो भारत की प्रेसीडेंसी में पूरी हुई। आज ग्लोबल डिसीजन मेकिंग इंस्टीट्यूशन्स में भारत, ग्लोबल साउथ के देशों की आवाज़ बन रहा है। International Yoga Day, WHO का ग्लोबल सेंटर फॉर ट्रेडिशनल मेडिसिन, आर्टिफिशियल इंटेलीजेंस के लिए ग्लोबल फ्रेमवर्क, ऐसे कितने ही क्षेत्रों में भारत के प्रयासों ने नए वर्ल्ड ऑर्डर में अपनी मजबूत उपस्थिति दर्ज कराई है, और ये तो अभी शुरूआत है, ग्लोबल प्लेटफॉर्म पर भारत का सामर्थ्य नई ऊंचाई की तरफ बढ़ रहा है।

साथियों,

21वीं सदी के 25 साल बीत चुके हैं। इन 25 सालों में 11 साल हमारी सरकार ने देश की सेवा की है। और जब हम What India Thinks Today उससे जुड़ा सवाल उठाते हैं, तो हमें ये भी देखना होगा कि Past में क्या सवाल थे, क्या जवाब थे। इससे TV9 के विशाल दर्शक समूह को भी अंदाजा होगा कि कैसे हम, निर्भरता से आत्मनिर्भरता तक, Aspirations से Achievement तक, Desperation से Development तक पहुंचे हैं। आप याद करिए, एक दशक पहले, गांव में जब टॉयलेट का सवाल आता था, तो माताओं-बहनों के पास रात ढलने के बाद और भोर होने से पहले का ही जवाब होता था। आज उसी सवाल का जवाब स्वच्छ भारत मिशन से मिलता है। 2013 में जब कोई इलाज की बात करता था, तो महंगे इलाज की चर्चा होती थी। आज उसी सवाल का समाधान आयुष्मान भारत में नजर आता है। 2013 में किसी गरीब की रसोई की बात होती थी, तो धुएं की तस्वीर सामने आती थी। आज उसी समस्या का समाधान उज्ज्वला योजना में दिखता है। 2013 में महिलाओं से बैंक खाते के बारे में पूछा जाता था, तो वो चुप्पी साध लेती थीं। आज जनधन योजना के कारण, 30 करोड़ से ज्यादा बहनों का अपना बैंक अकाउंट है। 2013 में पीने के पानी के लिए कुएं और तालाबों तक जाने की मजबूरी थी। आज उसी मजबूरी का हल हर घर नल से जल योजना में मिल रहा है। यानि सिर्फ दशक नहीं बदला, बल्कि लोगों की ज़िंदगी बदली है। और दुनिया भी इस बात को नोट कर रही है, भारत के डेवलपमेंट मॉडल को स्वीकार रही है। आज भारत सिर्फ Nation of Dreams नहीं, बल्कि Nation That Delivers भी है।

साथियों,

जब कोई देश, अपने नागरिकों की सुविधा और समय को महत्व देता है, तब उस देश का समय भी बदलता है। यही आज हम भारत में अनुभव कर रहे हैं। मैं आपको एक उदाहरण देता हूं। पहले पासपोर्ट बनवाना कितना बड़ा काम था, ये आप जानते हैं। लंबी वेटिंग, बहुत सारे कॉम्प्लेक्स डॉक्यूमेंटेशन का प्रोसेस, अक्सर राज्यों की राजधानी में ही पासपोर्ट केंद्र होते थे, छोटे शहरों के लोगों को पासपोर्ट बनवाना होता था, तो वो एक-दो दिन कहीं ठहरने का इंतजाम करके चलते थे, अब वो हालात पूरी तरह बदल गया है, एक आंकड़े पर आप ध्यान दीजिए, पहले देश में सिर्फ 77 पासपोर्ट सेवा केंद्र थे, आज इनकी संख्या 550 से ज्यादा हो गई है। पहले पासपोर्ट बनवाने में, और मैं 2013 के पहले की बात कर रहा हूं, मैं पिछले शताब्दी की बात नहीं कर रहा हूं, पासपोर्ट बनवाने में जो वेटिंग टाइम 50 दिन तक होता था, वो अब 5-6 दिन तक सिमट गया है।

साथियों,

ऐसा ही ट्रांसफॉर्मेशन हमने बैंकिंग इंफ्रास्ट्रक्चर में भी देखा है। हमारे देश में 50-60 साल पहले बैंकों का नेशनलाइजेशन किया गया, ये कहकर कि इससे लोगों को बैंकिंग सुविधा सुलभ होगी। इस दावे की सच्चाई हम जानते हैं। हालत ये थी कि लाखों गांवों में बैंकिंग की कोई सुविधा ही नहीं थी। हमने इस स्थिति को भी बदला है। ऑनलाइन बैंकिंग तो हर घर में पहुंचाई है, आज देश के हर 5 किलोमीटर के दायरे में कोई न कोई बैंकिंग टच प्वाइंट जरूर है। और हमने सिर्फ बैंकिंग इंफ्रास्ट्रक्चर का ही दायरा नहीं बढ़ाया, बल्कि बैंकिंग सिस्टम को भी मजबूत किया। आज बैंकों का NPA बहुत कम हो गया है। आज बैंकों का प्रॉफिट, एक लाख 40 हज़ार करोड़ रुपए के नए रिकॉर्ड को पार कर चुका है। और इतना ही नहीं, जिन लोगों ने जनता को लूटा है, उनको भी अब लूटा हुआ धन लौटाना पड़ रहा है। जिस ED को दिन-रात गालियां दी जा रही है, ED ने 22 हज़ार करोड़ रुपए से अधिक वसूले हैं। ये पैसा, कानूनी तरीके से उन पीड़ितों तक वापिस पहुंचाया जा रहा है, जिनसे ये पैसा लूटा गया था।

साथियों,

Efficiency से गवर्नमेंट Effective होती है। कम समय में ज्यादा काम हो, कम रिसोर्सेज़ में अधिक काम हो, फिजूलखर्ची ना हो, रेड टेप के बजाय रेड कार्पेट पर बल हो, जब कोई सरकार ये करती है, तो समझिए कि वो देश के संसाधनों को रिस्पेक्ट दे रही है। और पिछले 11 साल से ये हमारी सरकार की बड़ी प्राथमिकता रहा है। मैं कुछ उदाहरणों के साथ अपनी बात बताऊंगा।

|

साथियों,

अतीत में हमने देखा है कि सरकारें कैसे ज्यादा से ज्यादा लोगों को मिनिस्ट्रीज में accommodate करने की कोशिश करती थीं। लेकिन हमारी सरकार ने अपने पहले कार्यकाल में ही कई मंत्रालयों का विलय कर दिया। आप सोचिए, Urban Development अलग मंत्रालय था और Housing and Urban Poverty Alleviation अलग मंत्रालय था, हमने दोनों को मर्ज करके Housing and Urban Affairs मंत्रालय बना दिया। इसी तरह, मिनिस्ट्री ऑफ ओवरसीज़ अफेयर्स अलग था, विदेश मंत्रालय अलग था, हमने इन दोनों को भी एक साथ जोड़ दिया, पहले जल संसाधन, नदी विकास मंत्रालय अलग था, और पेयजल मंत्रालय अलग था, हमने इन्हें भी जोड़कर जलशक्ति मंत्रालय बना दिया। हमने राजनीतिक मजबूरी के बजाय, देश की priorities और देश के resources को आगे रखा।

साथियों,

हमारी सरकार ने रूल्स और रेगुलेशन्स को भी कम किया, उन्हें आसान बनाया। करीब 1500 ऐसे कानून थे, जो समय के साथ अपना महत्व खो चुके थे। उनको हमारी सरकार ने खत्म किया। करीब 40 हज़ार, compliances को हटाया गया। ऐसे कदमों से दो फायदे हुए, एक तो जनता को harassment से मुक्ति मिली, और दूसरा, सरकारी मशीनरी की एनर्जी भी बची। एक और Example GST का है। 30 से ज्यादा टैक्सेज़ को मिलाकर एक टैक्स बना दिया गया है। इसको process के, documentation के हिसाब से देखें तो कितनी बड़ी बचत हुई है।

साथियों,

सरकारी खरीद में पहले कितनी फिजूलखर्ची होती थी, कितना करप्शन होता था, ये मीडिया के आप लोग आए दिन रिपोर्ट करते थे। हमने, GeM यानि गवर्नमेंट ई-मार्केटप्लेस प्लेटफॉर्म बनाया। अब सरकारी डिपार्टमेंट, इस प्लेटफॉर्म पर अपनी जरूरतें बताते हैं, इसी पर वेंडर बोली लगाते हैं और फिर ऑर्डर दिया जाता है। इसके कारण, भ्रष्टाचार की गुंजाइश कम हुई है, और सरकार को एक लाख करोड़ रुपए से अधिक की बचत भी हुई है। डायरेक्ट बेनिफिट ट्रांसफर- DBT की जो व्यवस्था भारत ने बनाई है, उसकी तो दुनिया में चर्चा है। DBT की वजह से टैक्स पेयर्स के 3 लाख करोड़ रुपए से ज्यादा, गलत हाथों में जाने से बचे हैं। 10 करोड़ से ज्यादा फर्ज़ी लाभार्थी, जिनका जन्म भी नहीं हुआ था, जो सरकारी योजनाओं का फायदा ले रहे थे, ऐसे फर्जी नामों को भी हमने कागजों से हटाया है।

साथियों,

 

हमारी सरकार टैक्स की पाई-पाई का ईमानदारी से उपयोग करती है, और टैक्सपेयर का भी सम्मान करती है, सरकार ने टैक्स सिस्टम को टैक्सपेयर फ्रेंडली बनाया है। आज ITR फाइलिंग का प्रोसेस पहले से कहीं ज्यादा सरल और तेज़ है। पहले सीए की मदद के बिना, ITR फाइल करना मुश्किल होता था। आज आप कुछ ही समय के भीतर खुद ही ऑनलाइन ITR फाइल कर पा रहे हैं। और रिटर्न फाइल करने के कुछ ही दिनों में रिफंड आपके अकाउंट में भी आ जाता है। फेसलेस असेसमेंट स्कीम भी टैक्सपेयर्स को परेशानियों से बचा रही है। गवर्नेंस में efficiency से जुड़े ऐसे अनेक रिफॉर्म्स ने दुनिया को एक नया गवर्नेंस मॉडल दिया है।

साथियों,

पिछले 10-11 साल में भारत हर सेक्टर में बदला है, हर क्षेत्र में आगे बढ़ा है। और एक बड़ा बदलाव सोच का आया है। आज़ादी के बाद के अनेक दशकों तक, भारत में ऐसी सोच को बढ़ावा दिया गया, जिसमें सिर्फ विदेशी को ही बेहतर माना गया। दुकान में भी कुछ खरीदने जाओ, तो दुकानदार के पहले बोल यही होते थे – भाई साहब लीजिए ना, ये तो इंपोर्टेड है ! आज स्थिति बदल गई है। आज लोग सामने से पूछते हैं- भाई, मेड इन इंडिया है या नहीं है?

साथियों,

आज हम भारत की मैन्युफैक्चरिंग एक्सीलेंस का एक नया रूप देख रहे हैं। अभी 3-4 दिन पहले ही एक न्यूज आई है कि भारत ने अपनी पहली MRI मशीन बना ली है। अब सोचिए, इतने दशकों तक हमारे यहां स्वदेशी MRI मशीन ही नहीं थी। अब मेड इन इंडिया MRI मशीन होगी तो जांच की कीमत भी बहुत कम हो जाएगी।

|

साथियों,

आत्मनिर्भर भारत और मेक इन इंडिया अभियान ने, देश के मैन्युफैक्चरिंग सेक्टर को एक नई ऊर्जा दी है। पहले दुनिया भारत को ग्लोबल मार्केट कहती थी, आज वही दुनिया, भारत को एक बड़े Manufacturing Hub के रूप में देख रही है। ये सक्सेस कितनी बड़ी है, इसके उदाहरण आपको हर सेक्टर में मिलेंगे। जैसे हमारी मोबाइल फोन इंडस्ट्री है। 2014-15 में हमारा एक्सपोर्ट, वन बिलियन डॉलर तक भी नहीं था। लेकिन एक दशक में, हम ट्वेंटी बिलियन डॉलर के फिगर से भी आगे निकल चुके हैं। आज भारत ग्लोबल टेलिकॉम और नेटवर्किंग इंडस्ट्री का एक पावर सेंटर बनता जा रहा है। Automotive Sector की Success से भी आप अच्छी तरह परिचित हैं। इससे जुड़े Components के एक्सपोर्ट में भी भारत एक नई पहचान बना रहा है। पहले हम बहुत बड़ी मात्रा में मोटर-साइकल पार्ट्स इंपोर्ट करते थे। लेकिन आज भारत में बने पार्ट्स UAE और जर्मनी जैसे अनेक देशों तक पहुंच रहे हैं। सोलर एनर्जी सेक्टर ने भी सफलता के नए आयाम गढ़े हैं। हमारे सोलर सेल्स, सोलर मॉड्यूल का इंपोर्ट कम हो रहा है और एक्सपोर्ट्स 23 गुना तक बढ़ गए हैं। बीते एक दशक में हमारा डिफेंस एक्सपोर्ट भी 21 गुना बढ़ा है। ये सारी अचीवमेंट्स, देश की मैन्युफैक्चरिंग इकोनॉमी की ताकत को दिखाती है। ये दिखाती है कि भारत में कैसे हर सेक्टर में नई जॉब्स भी क्रिएट हो रही हैं।

साथियों,

TV9 की इस समिट में, विस्तार से चर्चा होगी, अनेक विषयों पर मंथन होगा। आज हम जो भी सोचेंगे, जिस भी विजन पर आगे बढ़ेंगे, वो हमारे आने वाले कल को, देश के भविष्य को डिजाइन करेगा। पिछली शताब्दी के इसी दशक में, भारत ने एक नई ऊर्जा के साथ आजादी के लिए नई यात्रा शुरू की थी। और हमने 1947 में आजादी हासिल करके भी दिखाई। अब इस दशक में हम विकसित भारत के लक्ष्य के लिए चल रहे हैं। और हमें 2047 तक विकसित भारत का सपना जरूर पूरा करना है। और जैसा मैंने लाल किले से कहा है, इसमें सबका प्रयास आवश्यक है। इस समिट का आयोजन कर, TV9 ने भी अपनी तरफ से एक positive initiative लिया है। एक बार फिर आप सभी को इस समिट की सफलता के लिए मेरी ढेर सारी शुभकामनाएं हैं।

मैं TV9 को विशेष रूप से बधाई दूंगा, क्योंकि पहले भी मीडिया हाउस समिट करते रहे हैं, लेकिन ज्यादातर एक छोटे से फाइव स्टार होटल के कमरे में, वो समिट होती थी और बोलने वाले भी वही, सुनने वाले भी वही, कमरा भी वही। TV9 ने इस परंपरा को तोड़ा और ये जो मॉडल प्लेस किया है, 2 साल के भीतर-भीतर देख लेना, सभी मीडिया हाउस को यही करना पड़ेगा। यानी TV9 Thinks Today वो बाकियों के लिए रास्ता खोल देगा। मैं इस प्रयास के लिए बहुत-बहुत अभिनंदन करता हूं, आपकी पूरी टीम को, और सबसे बड़ी खुशी की बात है कि आपने इस इवेंट को एक मीडिया हाउस की भलाई के लिए नहीं, देश की भलाई के लिए आपने उसकी रचना की। 50,000 से ज्यादा नौजवानों के साथ एक मिशन मोड में बातचीत करना, उनको जोड़ना, उनको मिशन के साथ जोड़ना और उसमें से जो बच्चे सिलेक्ट होकर के आए, उनकी आगे की ट्रेनिंग की चिंता करना, ये अपने आप में बहुत अद्भुत काम है। मैं आपको बहुत बधाई देता हूं। जिन नौजवानों से मुझे यहां फोटो निकलवाने का मौका मिला है, मुझे भी खुशी हुई कि देश के होनहार लोगों के साथ, मैं अपनी फोटो निकलवा पाया। मैं इसे अपना सौभाग्य मानता हूं दोस्तों कि आपके साथ मेरी फोटो आज निकली है। और मुझे पक्का विश्वास है कि सारी युवा पीढ़ी, जो मुझे दिख रही है, 2047 में जब देश विकसित भारत बनेगा, सबसे ज्यादा बेनिफिशियरी आप लोग हैं, क्योंकि आप उम्र के उस पड़ाव पर होंगे, जब भारत विकसित होगा, आपके लिए मौज ही मौज है। आपको बहुत-बहुत शुभकामनाएं।

धन्यवाद।