Agricultural institutions will provide new opportunities to students, help connect farming with research and advanced technology, says PM
PM calls for ‘Meri Jhansi-Mera Bundelkhand’ to make Atmanirbhar Abhiyan a success
500 Water related Projects worth over Rs 10,000 crores approved for Bundelkhand region; work on Projects worth Rs 3000 crores already commenced

আমাদের দেশের কৃষিমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমার, আমার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অন্যান্য সাথী, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথজি, অন্যান্য অতিথিগণ, সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা এবং দেশের প্রত্যেক প্রান্ত এই ভার্চ্যুয়াল সমারোহে যুক্ত হওয়া আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা।

 

রানি লক্ষ্মীবাঈ কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন শিক্ষা এবং প্রশাসনিক ভবনের জন্য আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। অনেক শুভকামনা জানাই। এখান থেকে পড়াশোনা করে, অনেক কিছু শিখে আমার যুবক বন্ধুরা দেশের কৃষিক্ষেত্রকে উন্নত করার ক্ষেত্রে কাজ করবেন।

 

ছাত্রছাত্রীদের প্রস্তুতি, তাদের উৎসাহ এবং এখন যে কথাবার্তা হচ্ছে, আর আপনাদের সঙ্গে এই যে কথা বলার সুযোগ পেলাম, যে উৎসাহ, উদ্দীপনা, বিশ্বাসের অনুভূতি পেলাম, তা থেকে আমার মনে দৃঢ় বিশ্বাস গড়ে উঠেছে যে এই নতুন ভবন নির্মাণের ফলে অনেক নতুন পরিষেবা পাওয়া যাবে। এই পরিষেবাগুলির মাধ্যমে ছাত্ররা আরও বেশি কাজ করার প্রেরণা পাবেন এবং অনেক বেশি উৎসাহিত হবেন।

বন্ধুগণ,

 

কখনও রানি লক্ষ্মীবাঈ বুন্দেলখণ্ডের মাটিতে গর্জন করে বলেছিলেন, “আমি আমার ঝাঁসি দেবো না।” আমাদের সকলের এই বাক্য ভালোভাবে মনে আছে – “আমি আমার ঝাঁসি দেবো না।” আজ সেই ঝাঁসি থেকেই একটি নতুন গর্জনের প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে। সেই বুন্দেলখণ্ডের মাটি থেকেই নতুন গর্জনের প্রয়োজন অনুভূত হচ্ছে। আমার ঝাঁসি, আমার বুন্দেলখণ্ড আত্মনির্ভর ভারত অভিযানকে সফল করে তুলতে সম্পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করবে, একটি নতুন অধ্যায় লিখবে।

 

এতে কৃষির অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। যখন আমরা কৃষিতে আত্মনির্ভরতার কথা বলি, তখন শুধুই শস্য উৎপাদনে সীমাবদ্ধ থাকে না, গ্রামের সম্পূর্ণ অর্থনীতির আত্মনির্ভরতার কথা বলি। এ দেশের ভিন্ন ভিন্ন অংশে কৃষিক্ষেত্রে উৎপন্ন ফসলের মূল্য সংযোজন করে দেশ এবং বিশ্বের বাজারে পৌঁছে দেওয়ার অভিযান। কৃষিতে আত্মনির্ভরতার লক্ষ্য কৃষকদের প্রতিটি পণ্যের সঙ্গে  শিল্পোদ্যোগ গড়ে তোলারও। যখন কৃষক এবং কৃষি-নির্ভর শিল্প একসঙ্গে এগিয়ে যাবে, তখনই বৃহৎ স্তরে গ্রামে এবং গ্রামের পাশাপাশি কর্মসংস্থান এবং স্বরোজগারের সুযোগ গড়ে উঠবে।

 

বন্ধুগণ,

 

সরকার এই সময়ে এই সঙ্কল্পের পাশাপাশি সাম্প্রতিক কৃষির সঙ্গে যুক্ত ঐতিহাসিক সংস্কার নিয়মিত করে যাচ্ছে। ভারতে কৃষকদের নানা রকম বিধি-নিষেধে জড়িয়ে রাখার আইন ব্যবস্থা ছিল। মান্ডি আইনের মতো প্রয়োজনীয় আইন এগুলির মধ্যে সবচাইতে বেশি সংস্কার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কৃষক বাকি শিল্পোদ্যোগগুলির মতো গোটা দেশের বাজারগুলি থেকে বাইরেও যেখানে তাঁরা ভালো দাম পাবেন, সেখানে তাঁদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।

শুধু তাই নয়, গ্রামের কাছাকাছি শিল্পোদ্যোগগুলির ক্লাস্টার গড়ে তোলার ব্যাপক পরিকল্পনা রচিত হয়েছে। এই শিল্পোদ্যোগগুলি যাতে উন্নত পরিকাঠামোর পরিষেবা পায়, সেজন্য ১ লক্ষ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করা হয়েছে। এই তহবিলের মাধ্যমে আমাদের কৃষি উৎপাদক সঙ্ঘ, আমাদের এফপিও-গুলি এখন গুদামীকরণের সঙ্গে যুক্ত আধুনিক পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পারবে এবং প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত শিল্পোদ্যোগও শুরু করতে পারবে। এর ফলে, কৃষিক্ষেত্রে পড়াশোনা করতে আসা যুবকদের এবং তাঁদের সমস্ত বন্ধু-বান্ধবরা এক্ষেত্রে অনেক নতুন নতুন সুযোগ পাবেন, নতুন স্টার্ট-আপ-এর জন্য পথ খুলবে।

 

বন্ধুগণ,

 

আজ বীজ থেকে শুরু করে বাজার পর্যন্ত কৃষিকে প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করার, আধুনিক গবেষণার সুফলগুলির সঙ্গে যুক্ত করার কাজ নিরন্তর এগিয়ে চলেছে। এতে অনেক বড় ভূমিকা গবেষণা সংস্থা ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রয়েছে। ছয় বছর আগের কথা যদি বলি, দেশে তখন একটিমাত্র কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। আজ তিন তিনটি কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দেশে কাজ করছে। তাছাড়া, তিনটি আরও জাতীয় সংস্থা আইএআরআই ঝাড়খণ্ড,  আইএআরআই আসাম এবং বিহারের মোতিহারিতে মহাত্মা গান্ধী ইনস্টিটিউট ফর ইন্টিগ্রেটেড ফার্মিং স্থাপন করা হয়েছে। এই গবেষণা সংস্থাগুলির ছাত্রছাত্রীরা নতুন সুযোগ তো পাবেনই, পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকদের কাছে প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়া এবং তাঁদের ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

 

এখন দেশে সোলার পাম্প, সোলার ট্রি, স্থানীয় প্রয়োজন অনুসারে প্রস্তুত করার বীজ, ক্ষুদ্র সেচ, ড্রিপ সেচ – অনেক ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ হচ্ছে। এই প্রচেষ্টাগুলিকে যত বেশি সম্ভব কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিশেষ করে, বুন্দেলখণ্ডের কৃষকদের এর সঙ্গে যুক্ত করার জন্য আপনাদের সকলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার কৃষি এবং এর সঙ্গে যুক্ত চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলার ক্ষেত্রে কিভাবে কাজে লাগছে, সম্প্রতি তার আরেকটি উদাহরণ আমরা দেখতে পেয়েছি।

আপনাদের হয়তো মনে আছে, এখানে বুন্দেলখণ্ডে গত মে মাসে পঙ্গপালের দল অনেক বড় হামলা করেছিল। আগে খবর এসেছিল যে এই পঙ্গপালের দল ধেয়ে আসছে। তখন কৃষকরা রাতের পর রাত ঘুমোতে পারেননি। সমস্ত পরিশ্রম কয়েক মিনিটে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার উপক্রম। কত কৃষকের ফসল, সব্জি নষ্ট হয়ে যাওয়া নিশ্চিত ছিল। আমাকে বলা হয়েছিল, বুন্দেলখণ্ডে প্রায় ৩০ বছর পর এতবড় পঙ্গপালের হামলা হচ্ছে না হলে এই এলাকায় পঙ্গপাল হামলার কোন খবর শোনা যায়নি।

 

বন্ধুগণ,

 

শুধু উত্তরপ্রদেশই নয়, দেশের ১০টিরও বেশি রাজ্যে এই পঙ্গপালের দলের হামলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এত দ্রুত তারা ছড়িয়ে পড়ছিল যে তাদেরকে সাধারণ কোন পদ্ধতি, পারম্পরিক কোন মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা মুশকিল হয়ে উঠেছিল। আর যেভাবে ভারত পঙ্গপালের দল থেকে মুক্তি পেয়েছে, এত বড় হামলাকে যেভাবে উন্নত বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সামলানো হয়েছে, করোনার মতো বিশ্বব্যাপী মহামারী এই সময়ে না থাকলে হয়তো ভারতের সংবাদমাধ্যমে সপ্তাহখানেক ধরে এই পঙ্গপাল মোকাবিলা নিয়ে ইতিবাচক আলোচনার ঝড় উঠত – এত বড় কাজ হয়েছে!

 

ধেয়ে আসা পঙ্গপালের আক্রমণ থেকে কৃষক ফসল বাঁচানোর জন্য যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করা হয়েছে। ঝাঁসি সহ অনেক শহরে কয়েক ডজন কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কৃষকদের কাছে আগে থেকে তথ্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পঙ্গপালগুলিকে মারতে এবং তাড়িয়ে দিতে যে বিশেষ স্প্রে মেশিন থাকে, তাও আমাদের কাছে যথেষ্ট সংখ্যায় ছিল না কারণ, সাধারণত এরকম পঙ্গপালের হামলা হয় না। সরকার দ্রুত এ ধরনের কয়েক ডজন আধুনিক মেশিন কিনে জেলায় জেলায় পৌঁছে দিয়েছে। ট্যাঙ্কার হোক কিংবা গাড়ি, রাসায়নিক হোক কিংবা ওষুধ – এই সমস্ত সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে যাতে কৃষকদের ন্যূনতম লোকসান হয়।

 

শুধু তাই নয়, উঁচু গাছগুলিকে বাঁচানোর জন্য বৃহৎ এলাকায় একসঙ্গে ওষুধ স্প্রে করার জন্য কয়েক ডজন ড্রোনকে কাজে লাগানো হয়েছে। এমনকি, অনেক জায়গায় হেলিকপ্টার দিয়ে ওষুধ স্প্রে করা হয়েছে। এসব প্রচেষ্টার পরই ভারত তার কৃষকদের অনেক বেশি লোকসান হওয়া থেকে বাঁচাতে পেরেছে।

বন্ধুগণ,

 

ড্রোন প্রযুক্তি থেকে শুরু করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি কিংবা বিভিন্ন আধুনিক কৃষি সরঞ্জাম এগুলিকে দেশের কৃষিতে বেশি ব্যবহারের জন্য আপনাদের মতো নবীন গবেষকদের, তরুণ বৈজ্ঞানিকদের নিরন্তর সমর্পিত ভাব নিয়ে ‘ওয়ান লাইফ ওয়ান মিশন’-এর মতো করে কাজ করতে হবে।

 

বিগত ছয় বছর ধরে এই নিরন্তর প্রচেষ্টা করা হচ্ছে যাতে গবেষণার সঙ্গে চাষের খেতের সরাসরি সম্পর্ক স্থাপন করা যায়। গ্রামস্তরে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কৃষকরাও যেন নিরন্তর বৈজ্ঞানিক উপদেশ পান। এখন ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে চাষের খেত পর্যন্ত বিশেষজ্ঞদের এই ইকো-সিস্টেমকে আরও কার্যকরী করে তোলার কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। এতে আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়েরও অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

 

কৃষির সঙ্গে যুক্ত শিক্ষাকে, তার ফলিত প্রয়োগকে স্কুলস্তরে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। গ্রামস্তরে মিডল স্কুল লেভেল পর্যন্ত কৃষিকে বিষয় হিসেবে চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে দুটো লাভ হবে। একটি হল, গ্রামের শিশুদের চাষ সম্পর্কে স্বাভাবিক ধারণা থাকলে তা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে আরও প্রসারিত হবে। দ্বিতীয় লাভ এটা হবে যে, চাষ এবং তার সঙ্গে যুক্ত প্রযুক্তি, ব্যবসা-বাণিজ্য এগুলি সম্পর্কে নিজেদের পরিবারকে বেশি তথ্য দিতে পারবে। এর ফলে দেশের কৃষি-ব্যবসা আরও প্রোৎসাহিত হবে। নতুন জাতীয় শিক্ষানীতিতে এর জন্যও অনেক প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

 

যতই সমস্যা থাকুক না কেন, নিরন্তর তার মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে বুন্দেলখণ্ড এগিয়ে রয়েছে। শুধু লক্ষ্মীবাঈ-এর সময় থেকে নয়, যে কোনও সঙ্কটকে সামনে থেকে মোকাবিলা করাই যেন দেশে বুন্দেলখণ্ডের প্রকৃত পরিচয় হয়ে উঠেছে।

 

করোনার বিরুদ্ধেও বুন্দেলখণ্ডের জনগণ বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন। সরকারও প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যাতে ন্যূনতম সংক্রমণ হয়। গরীবের উনুন যাতে জ্বলতে থাকে সেজন্য উত্তরপ্রদেশের কোটি কোটি গরীব এবং গ্রামীণ পরিবারগুলিকে দেশের অন্যান্য প্রান্তে যেভাবে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে সেভাবে আপনাদের এখানেও দেওয়া হচ্ছে। বুন্দেলখণ্ডের প্রায় ১০ লক্ষ গরীব বোনেদের এই সময়ে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে। লক্ষ লক্ষ বোনেদের জন ধন অ্যাকাউন্টে হাজার হাজার কোটি টাকা জমা করা হয়েছে। গরীব কল্যাণ রোজগার অভিযানের মাধ্যমে শুধু উত্তরপ্রদেশে ৫০০ কোটি টাকারও বেশি এখনও পর্যন্ত খরচ করা হয়েছে যার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বন্ধুদের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমাকে বলা হয়েছে যে এই অভিযানের মাধ্যমে বুন্দেলখণ্ডেও কয়েকশ’ পুকুর সাড়াই করা এবং নতুন পুকুর খনন করার কাজ করা হয়েছে।

 

বন্ধুগণ,

 

নির্বাচনের আগে যখন আমি ঝাঁসি এসেছিলাম, তখন বুন্দেলখণ্ডের বোনেদের বলেছিলাম যে বিগত পাঁচ বছর শৌচালয়ের জন্য ছিল আর, আগামী পাঁচ বছর হবে জলের জন্য। বোনেদের আশীর্বাদে প্রত্যেক বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার এই অভিযান দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে ছড়িয়ে থাকা বুন্দেলখণ্ডের সমস্ত জেলায় জলের উৎস নির্মাণ করতে আর পাইপলাইন বসানোর কাজ করতে নিরন্তর প্রচেষ্টা চলছে। এই এলাকায় ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ ব্যয়ে প্রায় ৫০০টি জল প্রকল্প মঞ্জুর করা হয়েছে। বিগত দু’মাসে এগুলির মধ্যে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গেছে। যখন এগুলি প্রস্তুত হয়ে যাবে, এগুলি থেকে বুন্দেলখণ্ডের লক্ষ লক্ষ পরিবার সরাসরি উপকৃত হবে। শুধু তাই নয়, বুন্দেলখণ্ডে ভূগর্ভস্থ জলস্তর ওপরে ওঠানোর জন্য ‘অটল ভূ-জল যোজনা’র কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। ঝাঁসি, মাহোবা, বান্দা, হামিরপুর, চিত্রকূট এবং ললিতপুরের পাশাপাশি, পশ্চিম ঊত্তরপ্রদেশের কয়েকশ’ গ্রামে জলস্তর উন্নয়নের জন্য ৭০০ কোটি টাকারও বেশি প্রকল্পের কাজ চলছে।

 

বন্ধুগণ,

 

বুন্দেলখণ্ডের একদিকে বেতোয়া নদী, আর অন্যদিকে কেন নদী প্রবাহিত হয়। উত্তর দিকে রয়েছে মা যমুনা। কিন্তু পরিস্থিতি এমন যে এই নদীগুলির জল থেকে সমগ্র এলাকা লাভবান হয় না। এই পরিস্থিতিকে বদলানোর জন্যও কেন্দ্রীয় সরকার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কেন ও বেতোয়া নদী সংযুক্তিকরণ প্রকল্পের এই অঞ্চলের ভাগ্য পরিবর্তন করার ক্ষমতা রয়েছে। এই লক্ষ্যে আমরা উভয় রাজ্য সরকারের সঙ্গে নিয়মিত সম্পর্ক রেখে চলছি, কাজ করে যাচ্ছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে একবার বুন্দেলখণ্ড যদি পর্যাপ্ত জল পায়, তাহলে এখানকার জীবন সম্পূর্ণরূপে বদলে যাবে।

 

বুন্দেলখণ্ড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে শুরু করে ডিফেন্স করিডর – হাজার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পটি এই এলাকায় কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে হাজার হাজার নতুন সুযোগ তৈরি করবে। সেইদিন দূরে নেই যখন বীরদের এই ভূমি – ঝাঁসি এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকা নিরাপত্তা ক্ষেত্রে দেশকে আত্মনির্ভর করে তোলার জন্য একটি বড় অঞ্চলরূপে বিকশিত হবে। অর্থাৎ, একভাবে বুন্দেলখণ্ডে ‘জয় জওয়ান জয় কিষাণ এবং জয় বিজ্ঞান’ মন্ত্র চারদিকে গুঞ্জরিত হবে। কেন্দ্রীয় সরকার এবং উত্তরপ্রদেশ সরকার বুন্দেলখণ্ডের প্রাচীন পরিচয়কে, এই মাটির গৌরবকে সমৃদ্ধ করার জন্য দায়বদ্ধ।

 

ভবিষ্যতের মঙ্গল কামনার সঙ্গে আরেকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নতুন ভবনের জন্য আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আপনারা সব সময় ‘দো গজ কী দূরী, মাস্ক হে জরুরি’ – এই মন্ত্র মনে রাখবেন। আপনারা নিরাপদ থাকলে দেশও নিরাপদ থাকবে।

 

আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই।

 

ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait

Media Coverage

Snacks, Laughter And More, PM Modi's Candid Moments With Indian Workers In Kuwait
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister meets with Crown Prince of Kuwait
December 22, 2024

​Prime Minister Shri Narendra Modi met today with His Highness Sheikh Sabah Al-Khaled Al-Hamad Al-Mubarak Al-Sabah, Crown Prince of the State of Kuwait. Prime Minister fondly recalled his recent meeting with His Highness the Crown Prince on the margins of the UNGA session in September 2024.

Prime Minister conveyed that India attaches utmost importance to its bilateral relations with Kuwait. The leaders acknowledged that bilateral relations were progressing well and welcomed their elevation to a Strategic Partnership. They emphasized on close coordination between both sides in the UN and other multilateral fora. Prime Minister expressed confidence that India-GCC relations will be further strengthened under the Presidency of Kuwait.

⁠Prime Minister invited His Highness the Crown Prince of Kuwait to visit India at a mutually convenient date.

His Highness the Crown Prince of Kuwait hosted a banquet in honour of Prime Minister.