Rameswaram has been a beacon of spirituality for the entire nation: PM Modi
Dr. Kalam reflected the simplicity, depth and calmness of Rameswaram: PM
Transformation in the ports and logistics sectors can contribute immensely to India's growth: PM Modi
Dr. Kalam inspired the youth of India: PM Modi
Today's youth wants to scale heights of progress, and become job creators: PM

রামেশ্বরমসেই ভূমি যা হাজার হাজার বছর ধরে দেশের আধ্যাত্মিক জীবনে একটি লাইট হাউসের মতো পথদেখিয়েছে। বর্তমান শতাব্দীতে আরেকটি কারণে রামেশ্বরম পরিচিত। ভারতের প্রাক্তনরাষ্ট্রপতি আব্দুল কালম মহোদয়ের মতো একজন কর্মযোগী বৈজ্ঞানিক, প্রেরণাদায়ী শিক্ষকও প্রখর দার্শনিক দেশকে উপহার দিয়েছে এই মাটি।

রামেশ্বরমেরএই পবিত্র ভূমিকে স্পর্শ করা আমার পক্ষে অত্যন্ত শ্লাঘার বিষয়। দেশের দ্বাদশজ্যোতির্লিঙ্গের একটি রয়েছে এই রামেশ্বরমে। রামেশ্বরম শুধুমাত্র একটি ধর্মক্ষেত্রপুণ্যভূমি নয়, রামেশ্বরম একটি উচ্চ আধ্যাত্মিক জ্ঞানের চর্চাকেন্দ্র – জ্ঞানপুঞ্জ।১৮৯৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পর স্বামী বিবেকানন্দ এখানেএসেছিলেন।আর এই পবিত্র ভূমিই দেশকে তাঁর বিখ্যাত সন্তানদের অন্যতম ডঃ এ পি জেআব্দুল কালাম’কে উপহার দিয়েছে। ডঃ কালামের সকল কাজে ও ভাবনায় রামেশ্বরমের সহজত্ব,গভীরতা ও শান্ত চরিত্র পরিলক্ষিত হয়।

ডঃ এ পি জেআব্দুল কালামের পুণ্যতিথিতে রামেশ্বরমে এসে আমি খুবই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছি। গত বছরআমি এখানে একটি সংকল্প গ্রহণ করেছিলাম, আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, কালামসাহেবের স্মৃতিতে রামেশ্বরমে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিতযে আজ সেই সংকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

ডিফেন্সরিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে এইসুন্দর স্মৃতিসৌধটি গড়ে তুলেছে। এই স্মৃতিসৌধ দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেসবসময় প্রেরণা যোগাবে। গত বছর আমি শ্রদ্ধেয় ভেঙ্কাইয়া নাইডু’কে চেয়ারম্যান করেএকটি কমিটি তৈরি করেছিলাম। এই কমিটির তত্ত্বাবধানে তামিলনাডু সরকারের সাহায্যেডিআরডিও এই স্মৃতিসৌধটি গড়ে তুলেছে। আজ আমি এই স্মৃতিসৌধ ঘুরে দেখে অবাক হয়েছি। এতকম সময়ে শ্রদ্ধেয় ডঃ আব্দুল কালাম মহোদয়ের ব্যক্তিত্ব, তাঁর কর্মধারা,চিন্তাভাবনা, জীবন, আদর্শ ও সংকল্পকে এত ভালোভাবে তুলে ধরেছেন, নানা উদ্ভাবককল্পনার সমাবেশে বাস্তবায়িত করেছেন! এহেন স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সাফল্যের জন্য আমিভেঙ্কাইয়াজি এবং তাঁর গোটা টিমকে, রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্টদপ্তরকে এবং ডিআরডিও’কে হৃদয় থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই।

আপনারাও হয়তোঅবাক হয়েছেন। কারণ, আমাদের দেশে কোনও কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুসম্পন্ন হলেদেশবাসী অবাক হয়ে ভাবেন, সরকারও এমন কাজ করতে পারে? কিন্তু দিল্লিতে আজ এমন সরকারআপনারা গড়ে তুলেছেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারকে আপনারা যে দায়িত্ব দিয়েছেন; তাঁরাএসে কর্মসংস্কৃতি আমূল বদলে দিয়েছে। আর এখন দেশের সর্বত্র নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেপ্রতিটি কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সাফল্য পাচ্ছে।

একথা ভুললেচলবে না যে, শুধু সরকার, অর্থ, পরিকল্পনা, শক্তি সবকিছু থাকলেও সমস্ত কাজে সাফল্যআসে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই উৎকৃষ্ট গড়ে তোলার পেছনে একটি রহস্য আছে, যারজন্য আজ ১২৫ কোটি ভারতবাসী গর্ব করতে পারেন। আজ আমি সর্বসমক্ষে সেই রহস্য উন্মোচনকরতে চাই। সেই রহস্যটি হ’ল – কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগ, অর্থ, পরিকল্পনাঅনুযায়ী দেশের সকল প্রান্ত থেকে শ্রেষ্ঠ কারিগর, দক্ষ শ্রমিক, শিল্পী ওস্থাপত্যবিদ্যায় পারদর্শী মানুষরা এসেছিলেন। এই শ্রমিকরা প্রতিদিন সরকারি নিয়মঅনুসারে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজ করতেন। তারপর ঘন্টাখানেক বিশ্রাম নিয়ে,চা-জলখাবার খেয়ে তাঁরা আবার রাত ৮টা পর্যন্ত অতিরিক্ত কাজ করতেন। তাঁরা কেউ এইদৈনিক দু’ঘন্টা করে অতিরিক্ত শ্রমের টাকা নেননি। তাঁরা বলেছেন, এই অতিরিক্ত শ্রম ওস্বেদবিন্দু দিয়েই আমরা আমাদের প্রিয় আব্দুল কালাম মহোদয়কে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাব।

যে দরিদ্রশ্রমিক ভাই-বোনেরা এত ভক্তিভাব নিয়ে এই পবিত্র কার্য সম্পন্ন করেছেন, তাঁদেরকে আমিশত শত প্রণাম জানাই। এই শ্রমিক ও কারিগররা এই উৎকৃষ্টমানের কাজ করেছেন যে, এখানেউপস্থিত সকলকে আমি উঠে দাঁড়িয়ে করতালির মাধ্যমে তাঁদেরকে অভিনন্দন জানানোর অনুরোধজানাই।

যখন একজনশ্রমিক দেশভক্তিতে আপ্লুত হয়ে কোনও কাজ করেন, সেই কাজ কত মহৎ হয়ে উঠতে পারে, তারউৎকৃষ্ট প্রমাণ রামেশ্বরমে গড়ে ওঠা আব্দুল কালামের এই স্মৃতিসৌধ। আজ আমি অনুভবকরছি, এই মুহূর্তে মঞ্চে আমাদের পাশে যদি আম্মা থাকতেন, আমাদের গরিবশ্রমিক-কারিগরদের এই অবদান দেখে তিনিও অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাতেন, আশীর্বাদদিতেন। আজ আমরা আম্মার অনুপস্থিতি অনুভব করছি। কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আম্মারআত্মা যেখানেই থাকুক না কেন, তামিলনাডুর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বার্থে করা যে কোনওকাজে তাঁর আশীর্বাদ অব্যাহত থাকবে।

আমি আজরামেশ্বরমের এই পুণ্যভূমি থেকে দেশবাসীর জন্য একটি প্রার্থনা করতে চাই। ভারতেরপ্রত্যেক প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থী ও পর্যটকরা রামেশ্বরম দর্শনে আসেন। পর্যটকব্যবস্থাপকদের প্রতি আমার অনুরোধ, রামেশ্বরম ভ্রমণার্থীদের প্রতি আমার অনুরোধ, এখনথেকে যখনই রামেশ্বরম আসবেন, আপনাদের দর্শন তালিকাতে শ্রদ্ধেয় আব্দুল কালামের এইস্মৃতিসৌধটিকে যুক্ত করে নেবেন। এতে দেশের নবীন প্রজন্ম প্রেরণা পাবেন, আপনারাঅবশ্যই এসে এই প্রেরণাতীর্থটি দেখবেন।

আজকেরঅনুষ্ঠানকে এক প্রকার পঞ্চামৃত বলা যায়। রেল, সড়কপথ, রামেশ্বরমের মাটি, সমুদ্র আরশ্রদ্ধেয় আব্দুল কালামের স্মৃতিসৌধ। আজ আব্দুল কালামের পুণ্যতিথিতে আমাদের এইপঞ্চামৃত স্পর্শের সৌভাগ্য হয়েছে। আজ আমাদের মৎস্য শিকারীরা ছোট ছোট নৌকা নিয়েসমুদ্রে যান। অনেক সময় তাঁরা বুঝতে পারেন না যে, দেশের জলসীমার মধ্যেই রয়েছেন নাকিঅন্য দেশের জলসীমায় ঢুকে পড়েছেন! তাঁদের আরও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাঁদেরকথা ভেবে আমরা ‘নীল বিপ্লব প্রকল্প’ চালু করেছি। এর মাধ্যমে মৎস্যজীবী ভাই-বোনেরাঋণ পাবেন, অনুদান পাবেন, ভর্তুকি পাবেন। তাঁরা এখন গভীর সমুদ্রে যাবার উপযোগী বড়আকারের ভালো ট্রলার পেয়েছেন। সেজন্য আজ কয়েকজন নির্বাচিত ব্যক্তির হাতে চেক তুলেদেওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে।

রামেশ্বরমেরসঙ্গে প্রভু রামচন্দ্রের নাম জড়িয়ে আছে। আজ এই রামেশ্বরম থেকে প্রভু রামচন্দ্রেরজন্মভূমি অযোধ্যার একটি শ্রদ্ধা-সেতুবন্ধন হচ্ছে; ভারতীয় রেলের উদ্যোগে ‘রামেশ্বরমথেকে অযোধ্যা’-একটি ট্রেন চালু করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তেমনই, যাঁরা রামসেতুদেখতে কিংবা সমুদ্রপথে পাড়ি দিতে চাইবেন, তাঁদের জন্য ধনুষ্কোডি পর্যন্ত প্রশস্তসড়কপথ গড়ে তোলা হয়েছে। আমার সৌভাগ্য হয়েছে যে, সেই পথটি আজ দেশবাসীর সেবায় উৎসর্গকরতে পেরেছি। ১৮৯৭ সালে এই ভূমিতে স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর আমেরিকার আধ্যাত্মিকযাত্রায় বিশ্ববাসীর মন জয় করে ফিরে এসেছিলেন। কাছেই কন্যাকুমারীতে তাঁর স্মৃতিসৌধরয়েছে। সেই বিবেকানন্দ-কেন্দ্র, এখানকার জেলাশাসকের দপ্তর এবং কয়েকটি এনজিও মিলেরামেশ্বরম’কে সবুজ করে তোলার যে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছে, যা রামেশ্বরমেরভবিষ্যতের জন্য একটি অতুলনীয় কাজ। সেজন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠনকে বিশেশ করে,বিবেকানন্দ কেন্দ্রকে হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই।

ভারতেরতিনদিকে বিশাল সমুদ্র আর সাড়ে সাত হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রতটে অনেক বিনিয়োগএবং কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে। একথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার সাগরমালাপ্রকল্প চালু করেছে। এর লক্ষ্য, ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলে পণ্য পরিবহণে গতি বৃদ্ধিকরা, আমদানি-রপ্তানিকারকদের পণ্য পরিবহণের খরচ কমানো এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলেরসাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন।

আপনারা একথাজেনে খুশি হবেন যে, যেভাবে ডিআরডিও এই আব্দুল কালাম স্মৃতিসৌধ গড়ে তুলেছে, সেভাবেইআমাদের সৈন্য শক্তির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করে। পাশাপাশি,সাধারণ নাগরিকদের জন্যও এরকম ছোট ছোট অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। যেমন এইরামেশ্বরম থেকে অযোধ্যাগামী ট্রেনটির প্রতিটি শৌচাগারকে বায়ো-টয়লেটে রূপান্তরিতকরা হয়েছে। দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযান প্রকল্পকে মাথায় রেখে ডিআরডিও’রআধিকারিকরা এই কাজ করেছেন।

বন্ধুগণ,

ডক্টর কালামআমাদের দেশে সর্বাধিক প্রেরণা যাদের জুগিয়েছেন, তারা হলেন দেশের নবীন প্রজন্ম।আজকের নবীন প্রজন্মের মানুষেরা নিজের জোরে এগিয়ে যেতে চায়। তারা অন্যদের রোজগারেরব্যবস্থা করতে চায়। নবীন প্রজন্মের এই স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকার‘স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া, স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়ার’র মতো প্রকল্প চালু করেছে। নবীনপ্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নের স্বার্থে দেশের প্রতিটি জেলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালুকরা হচ্ছে। নিজস্ব উদ্যোগ গড়ে তুলতে নবীন প্রজন্মকে আর্থিক সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয়সরকার মুদ্রা যোজনা প্রকল্প চালু করে কোনও রকম গ্যারান্টি ছাড়াই ব্যাঙ্ক ঋণেরব্যবস্থা করেছে।

ইতিমধ্যেইমুদ্রা যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে নবীন প্রজন্মের ৮ কোটিরও বেশি মানুষকে কোনও রকমগ্যারান্টি ছাড়াই ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়া হয়েছে। যাতে তাঁরা নিজের জীবনের পথ বেছে নিতেপারেন, এগিয়ে যেতে পারেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, ঐ ৮ কোটির মধ্যে ১ কোটিরও বেশিমানুষ এই তামিলনাডুর সন্তান। এই পরিসংখ্যান বলে যে, কর্মসংস্থানের প্রতি, নিজস্বউদ্যোগে কারখানা বা ব্যবসা গড়ে তুলতে তামিলনাডুর নবীন প্রজন্মের মানুষদের উৎসাহ ওউদ্দীপনা কতটা!

কেন্দ্রীয়সরকার রাজ্যগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নেও জোর দিয়েছে। নতুন ভারত গড়ে না উঠলে নতুনতামিলনাডু-ও গড়ে ওঠা অসম্ভব। আর সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রাথমিকভাবে দেশেরসার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছে।

আমিতামিলনাডুর শ্রদ্ধেয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি তামিলনাডুবাসীর হিতসাধনে এইপ্রকল্পগুলিকে স্বাগত জানিয়েছেন, ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমিও এই সহযোগিতার জন্য তাঁকেধন্যবাদ জানাই।

স্মার্টসিটিমিশনের জন্য তামিলনাডুর ১০টি শহর নির্বাচিত হয়েছে। এগুলির মধ্যে – চ েন্নাই , কোয়াম্বটুর, মাদুরাই, থাঞ্জাভুর এরকম সবকটি বড় বড় শহর রয়েছে। এই শহরগুলিরজন্য কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই ৯০০ কোটিরও বেশি, প্রায় ১ হাজার কোটি টাকাইতিমধ্যেই বরাদ্দ করেছে।

অম্রুত মিশনেও তামিলনাডুর৩৩টি শহরকে বেছে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এক্ষেত্রে তামিলনাডুর জন্য ৪ হাজার৭০০ কোটি টাকারও বেশি দেওয়ার কথা মেনে নিয়েছে। এই টাকা দিয়ে এই ৩৩টি শহরে বিদ্যুৎ,পানীয় জল, নিকাশী ব্যবস্থা, পরিচ্ছন্নতা এবং উদ্যান সৃষ্টির জন্য কাজ করা হবে।

এই প্রকল্পের দ্বারারামেশ্বরম-ও উপকৃত হবে। এছাড়া, ৩৩টি শহরের মধ্যে মাদুরাই, তুতিকোরিন, তিরুনেলবেলিএবং নাগর কোইল রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করে চেন্নাইমেট্রোরেল প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের সম্প্রসারণ মঞ্জুর করেছে। বিভিন্ন স্বনির্ভরগোষ্ঠীগুলিকে উৎসাহ দিতে, গ্রামের যুবক-যুবতীদের দক্ষতা নির্মাণে সাহায্যেরপ্রতিকূল করে তুলতে তামিলনাডুর গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে গত তিন বছরে প্রায় ১৮ হাজারকোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার তামিলনাডু’কে দিয়েছে।

আমি রাজ্য সরকার ওতামিলনাডুবাসীকে কিছু অনুরোধ জানাতে চাই। স্বচ্ছ ভারত অভিযানে দেশের সকল শহরেপ্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কোন্‌ শহর সবার আগে নিজেকে উন্মুক্ত স্থানে প্রাকৃতিককাজকর্ম থেকে মুক্ত ঘোষণা করবে, তার প্রচেষ্টা চলছে। আশা করি, তামিলনাডুও অন্যকোনও রাজ্য থেকে পিছিয়ে থাকবে না।

তামিলনাডু রাজ্য সরকারের মতে,এই রাজ্যের বিভিন্ন শহরে ৮ লক্ষেরও বেশি গৃহহীন পরিবার রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নগরআবাস যোজনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। আমি রাজ্য সরকারকে অনুরোধজানাব, আপনারা প্রস্তাব পাঠান, প্রক্রিয়াকে দ্রুত করুন আর টাকা পেয়ে নির্মাণেরকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।

ডঃ আব্দুল কালাম আজীবন একউন্নত ভারতের স্বপ্ন সফল করার চেষ্টা করে গেছেন। তিনি সর্বদাই ১২৫ কোটি দেশবাসীকেএই লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রেরণা যোগাতেন। এই প্রেরণা নিয়ে আমরা আগামী ২০২২ সালে যখনদেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি পালন করবে, তখন একটি নতুন ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নেরপথে এগিয়ে চলেছি।

দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীরাদেশ স্বাধীন করার জন্য আত্মবলি দিয়েছেন ও অনেকে সারা জীবন কারান্তরালে কাটিয়েছেন,দ্বীপান্তরে সাজা খেটেছেন। তাঁরা যেমন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমরা ২০২২ সালেরমধ্যে তেমনই উন্নত দেশ গড়ে তুলতে চাই। এই সাফল্যের জন্য সকল প্রয়াস আমাদের ডঃকালামের প্রতি একটি উত্তম শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রতিপন্ন হবে।

আজ যখন আমি রামেশ্বরমেরমাটিতে দাঁড়িয়ে আছি …… রামেশ্বরমের মানুষ তো অনেক কিছু করার ক্ষমতা রাখেন।কিন্তু রামায়ণে আমরা পড়েছি যে, এখানকার ছোট ছোট কাঠবিড়ালীও কিভাবে রামসেতু গড়েতোলার কাজে নিবেদিত প্রাণ ছিল। আজ আমরা যদি সেই কাঠবিড়ালির দৃষ্টান্ত থেকে প্রেরণানিয়ে ১২৫ কোটি ভারতবাসী এক পা এগিয়ে যাই, তা হলে দেশ ১২৫ কোটি পা এগিয়ে যাবে।

ভারতের শেষ প্রান্ত এইরামেশ্বরম। এখান থেকে সমুদ্র শুরু; আর এখানে উপস্থিত জনসমুদ্র একথা স্পষ্ট করে যেআপনারা স্রদ্ধেয় আব্দুল কালাম’কে কতটা ভালোবাসেন। দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্যআপনারা কিভাবে নিজেদের যুক্ত করতে চান, আমি তা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। আমি এই বিশালজনসমুদ্রকে আরেকবার প্রণাম জানাই। প্রণম্য আব্দুল কালাম মহোদয়’কে শ্রদ্ধাঞ্জলিঅর্পণ করি। আর স্বর্গীয় আম্মাকেও শ্রদ্ধা জানাই।

আপনাদের সবাইকে অনেক অনেকধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PM Modi govt created 17.19 crore jobs in 10 years compared to UPA's 2.9 crore

Media Coverage

PM Modi govt created 17.19 crore jobs in 10 years compared to UPA's 2.9 crore
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Prime Minister greets on the occasion of Urs of Khwaja Moinuddin Chishti
January 02, 2025

The Prime Minister, Shri Narendra Modi today greeted on the occasion of Urs of Khwaja Moinuddin Chishti.

Responding to a post by Shri Kiren Rijiju on X, Shri Modi wrote:

“Greetings on the Urs of Khwaja Moinuddin Chishti. May this occasion bring happiness and peace into everyone’s lives.