Rameswaram has been a beacon of spirituality for the entire nation: PM Modi
Dr. Kalam reflected the simplicity, depth and calmness of Rameswaram: PM
Transformation in the ports and logistics sectors can contribute immensely to India's growth: PM Modi
Dr. Kalam inspired the youth of India: PM Modi
Today's youth wants to scale heights of progress, and become job creators: PM

রামেশ্বরমসেই ভূমি যা হাজার হাজার বছর ধরে দেশের আধ্যাত্মিক জীবনে একটি লাইট হাউসের মতো পথদেখিয়েছে। বর্তমান শতাব্দীতে আরেকটি কারণে রামেশ্বরম পরিচিত। ভারতের প্রাক্তনরাষ্ট্রপতি আব্দুল কালম মহোদয়ের মতো একজন কর্মযোগী বৈজ্ঞানিক, প্রেরণাদায়ী শিক্ষকও প্রখর দার্শনিক দেশকে উপহার দিয়েছে এই মাটি।

রামেশ্বরমেরএই পবিত্র ভূমিকে স্পর্শ করা আমার পক্ষে অত্যন্ত শ্লাঘার বিষয়। দেশের দ্বাদশজ্যোতির্লিঙ্গের একটি রয়েছে এই রামেশ্বরমে। রামেশ্বরম শুধুমাত্র একটি ধর্মক্ষেত্রপুণ্যভূমি নয়, রামেশ্বরম একটি উচ্চ আধ্যাত্মিক জ্ঞানের চর্চাকেন্দ্র – জ্ঞানপুঞ্জ।১৮৯৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পর স্বামী বিবেকানন্দ এখানেএসেছিলেন।আর এই পবিত্র ভূমিই দেশকে তাঁর বিখ্যাত সন্তানদের অন্যতম ডঃ এ পি জেআব্দুল কালাম’কে উপহার দিয়েছে। ডঃ কালামের সকল কাজে ও ভাবনায় রামেশ্বরমের সহজত্ব,গভীরতা ও শান্ত চরিত্র পরিলক্ষিত হয়।

ডঃ এ পি জেআব্দুল কালামের পুণ্যতিথিতে রামেশ্বরমে এসে আমি খুবই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছি। গত বছরআমি এখানে একটি সংকল্প গ্রহণ করেছিলাম, আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, কালামসাহেবের স্মৃতিতে রামেশ্বরমে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হবে। আমি অত্যন্ত আনন্দিতযে আজ সেই সংকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।

ডিফেন্সরিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে এইসুন্দর স্মৃতিসৌধটি গড়ে তুলেছে। এই স্মৃতিসৌধ দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেসবসময় প্রেরণা যোগাবে। গত বছর আমি শ্রদ্ধেয় ভেঙ্কাইয়া নাইডু’কে চেয়ারম্যান করেএকটি কমিটি তৈরি করেছিলাম। এই কমিটির তত্ত্বাবধানে তামিলনাডু সরকারের সাহায্যেডিআরডিও এই স্মৃতিসৌধটি গড়ে তুলেছে। আজ আমি এই স্মৃতিসৌধ ঘুরে দেখে অবাক হয়েছি। এতকম সময়ে শ্রদ্ধেয় ডঃ আব্দুল কালাম মহোদয়ের ব্যক্তিত্ব, তাঁর কর্মধারা,চিন্তাভাবনা, জীবন, আদর্শ ও সংকল্পকে এত ভালোভাবে তুলে ধরেছেন, নানা উদ্ভাবককল্পনার সমাবেশে বাস্তবায়িত করেছেন! এহেন স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সাফল্যের জন্য আমিভেঙ্কাইয়াজি এবং তাঁর গোটা টিমকে, রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্টদপ্তরকে এবং ডিআরডিও’কে হৃদয় থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাই।

আপনারাও হয়তোঅবাক হয়েছেন। কারণ, আমাদের দেশে কোনও কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সুসম্পন্ন হলেদেশবাসী অবাক হয়ে ভাবেন, সরকারও এমন কাজ করতে পারে? কিন্তু দিল্লিতে আজ এমন সরকারআপনারা গড়ে তুলেছেন, বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারকে আপনারা যে দায়িত্ব দিয়েছেন; তাঁরাএসে কর্মসংস্কৃতি আমূল বদলে দিয়েছে। আর এখন দেশের সর্বত্র নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেপ্রতিটি কাজ সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সাফল্য পাচ্ছে।

একথা ভুললেচলবে না যে, শুধু সরকার, অর্থ, পরিকল্পনা, শক্তি সবকিছু থাকলেও সমস্ত কাজে সাফল্যআসে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই উৎকৃষ্ট গড়ে তোলার পেছনে একটি রহস্য আছে, যারজন্য আজ ১২৫ কোটি ভারতবাসী গর্ব করতে পারেন। আজ আমি সর্বসমক্ষে সেই রহস্য উন্মোচনকরতে চাই। সেই রহস্যটি হ’ল – কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগ, অর্থ, পরিকল্পনাঅনুযায়ী দেশের সকল প্রান্ত থেকে শ্রেষ্ঠ কারিগর, দক্ষ শ্রমিক, শিল্পী ওস্থাপত্যবিদ্যায় পারদর্শী মানুষরা এসেছিলেন। এই শ্রমিকরা প্রতিদিন সরকারি নিয়মঅনুসারে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কাজ করতেন। তারপর ঘন্টাখানেক বিশ্রাম নিয়ে,চা-জলখাবার খেয়ে তাঁরা আবার রাত ৮টা পর্যন্ত অতিরিক্ত কাজ করতেন। তাঁরা কেউ এইদৈনিক দু’ঘন্টা করে অতিরিক্ত শ্রমের টাকা নেননি। তাঁরা বলেছেন, এই অতিরিক্ত শ্রম ওস্বেদবিন্দু দিয়েই আমরা আমাদের প্রিয় আব্দুল কালাম মহোদয়কে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাব।

যে দরিদ্রশ্রমিক ভাই-বোনেরা এত ভক্তিভাব নিয়ে এই পবিত্র কার্য সম্পন্ন করেছেন, তাঁদেরকে আমিশত শত প্রণাম জানাই। এই শ্রমিক ও কারিগররা এই উৎকৃষ্টমানের কাজ করেছেন যে, এখানেউপস্থিত সকলকে আমি উঠে দাঁড়িয়ে করতালির মাধ্যমে তাঁদেরকে অভিনন্দন জানানোর অনুরোধজানাই।

যখন একজনশ্রমিক দেশভক্তিতে আপ্লুত হয়ে কোনও কাজ করেন, সেই কাজ কত মহৎ হয়ে উঠতে পারে, তারউৎকৃষ্ট প্রমাণ রামেশ্বরমে গড়ে ওঠা আব্দুল কালামের এই স্মৃতিসৌধ। আজ আমি অনুভবকরছি, এই মুহূর্তে মঞ্চে আমাদের পাশে যদি আম্মা থাকতেন, আমাদের গরিবশ্রমিক-কারিগরদের এই অবদান দেখে তিনিও অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাতেন, আশীর্বাদদিতেন। আজ আমরা আম্মার অনুপস্থিতি অনুভব করছি। কিন্তু আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আম্মারআত্মা যেখানেই থাকুক না কেন, তামিলনাডুর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বার্থে করা যে কোনওকাজে তাঁর আশীর্বাদ অব্যাহত থাকবে।

আমি আজরামেশ্বরমের এই পুণ্যভূমি থেকে দেশবাসীর জন্য একটি প্রার্থনা করতে চাই। ভারতেরপ্রত্যেক প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থী ও পর্যটকরা রামেশ্বরম দর্শনে আসেন। পর্যটকব্যবস্থাপকদের প্রতি আমার অনুরোধ, রামেশ্বরম ভ্রমণার্থীদের প্রতি আমার অনুরোধ, এখনথেকে যখনই রামেশ্বরম আসবেন, আপনাদের দর্শন তালিকাতে শ্রদ্ধেয় আব্দুল কালামের এইস্মৃতিসৌধটিকে যুক্ত করে নেবেন। এতে দেশের নবীন প্রজন্ম প্রেরণা পাবেন, আপনারাঅবশ্যই এসে এই প্রেরণাতীর্থটি দেখবেন।

আজকেরঅনুষ্ঠানকে এক প্রকার পঞ্চামৃত বলা যায়। রেল, সড়কপথ, রামেশ্বরমের মাটি, সমুদ্র আরশ্রদ্ধেয় আব্দুল কালামের স্মৃতিসৌধ। আজ আব্দুল কালামের পুণ্যতিথিতে আমাদের এইপঞ্চামৃত স্পর্শের সৌভাগ্য হয়েছে। আজ আমাদের মৎস্য শিকারীরা ছোট ছোট নৌকা নিয়েসমুদ্রে যান। অনেক সময় তাঁরা বুঝতে পারেন না যে, দেশের জলসীমার মধ্যেই রয়েছেন নাকিঅন্য দেশের জলসীমায় ঢুকে পড়েছেন! তাঁদের আরও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাঁদেরকথা ভেবে আমরা ‘নীল বিপ্লব প্রকল্প’ চালু করেছি। এর মাধ্যমে মৎস্যজীবী ভাই-বোনেরাঋণ পাবেন, অনুদান পাবেন, ভর্তুকি পাবেন। তাঁরা এখন গভীর সমুদ্রে যাবার উপযোগী বড়আকারের ভালো ট্রলার পেয়েছেন। সেজন্য আজ কয়েকজন নির্বাচিত ব্যক্তির হাতে চেক তুলেদেওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে।

রামেশ্বরমেরসঙ্গে প্রভু রামচন্দ্রের নাম জড়িয়ে আছে। আজ এই রামেশ্বরম থেকে প্রভু রামচন্দ্রেরজন্মভূমি অযোধ্যার একটি শ্রদ্ধা-সেতুবন্ধন হচ্ছে; ভারতীয় রেলের উদ্যোগে ‘রামেশ্বরমথেকে অযোধ্যা’-একটি ট্রেন চালু করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তেমনই, যাঁরা রামসেতুদেখতে কিংবা সমুদ্রপথে পাড়ি দিতে চাইবেন, তাঁদের জন্য ধনুষ্কোডি পর্যন্ত প্রশস্তসড়কপথ গড়ে তোলা হয়েছে। আমার সৌভাগ্য হয়েছে যে, সেই পথটি আজ দেশবাসীর সেবায় উৎসর্গকরতে পেরেছি। ১৮৯৭ সালে এই ভূমিতে স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর আমেরিকার আধ্যাত্মিকযাত্রায় বিশ্ববাসীর মন জয় করে ফিরে এসেছিলেন। কাছেই কন্যাকুমারীতে তাঁর স্মৃতিসৌধরয়েছে। সেই বিবেকানন্দ-কেন্দ্র, এখানকার জেলাশাসকের দপ্তর এবং কয়েকটি এনজিও মিলেরামেশ্বরম’কে সবুজ করে তোলার যে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছে, যা রামেশ্বরমেরভবিষ্যতের জন্য একটি অতুলনীয় কাজ। সেজন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠনকে বিশেশ করে,বিবেকানন্দ কেন্দ্রকে হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই।

ভারতেরতিনদিকে বিশাল সমুদ্র আর সাড়ে সাত হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্রতটে অনেক বিনিয়োগএবং কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে। একথা মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় সরকার সাগরমালাপ্রকল্প চালু করেছে। এর লক্ষ্য, ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলে পণ্য পরিবহণে গতি বৃদ্ধিকরা, আমদানি-রপ্তানিকারকদের পণ্য পরিবহণের খরচ কমানো এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলেরসাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানের উন্নয়ন।

আপনারা একথাজেনে খুশি হবেন যে, যেভাবে ডিআরডিও এই আব্দুল কালাম স্মৃতিসৌধ গড়ে তুলেছে, সেভাবেইআমাদের সৈন্য শক্তির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করে। পাশাপাশি,সাধারণ নাগরিকদের জন্যও এরকম ছোট ছোট অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। যেমন এইরামেশ্বরম থেকে অযোধ্যাগামী ট্রেনটির প্রতিটি শৌচাগারকে বায়ো-টয়লেটে রূপান্তরিতকরা হয়েছে। দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা অভিযান প্রকল্পকে মাথায় রেখে ডিআরডিও’রআধিকারিকরা এই কাজ করেছেন।

বন্ধুগণ,

ডক্টর কালামআমাদের দেশে সর্বাধিক প্রেরণা যাদের জুগিয়েছেন, তারা হলেন দেশের নবীন প্রজন্ম।আজকের নবীন প্রজন্মের মানুষেরা নিজের জোরে এগিয়ে যেতে চায়। তারা অন্যদের রোজগারেরব্যবস্থা করতে চায়। নবীন প্রজন্মের এই স্বপ্ন পূরণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় সরকার‘স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া, স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়ার’র মতো প্রকল্প চালু করেছে। নবীনপ্রজন্মের দক্ষতা উন্নয়নের স্বার্থে দেশের প্রতিটি জেলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালুকরা হচ্ছে। নিজস্ব উদ্যোগ গড়ে তুলতে নবীন প্রজন্মকে আর্থিক সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয়সরকার মুদ্রা যোজনা প্রকল্প চালু করে কোনও রকম গ্যারান্টি ছাড়াই ব্যাঙ্ক ঋণেরব্যবস্থা করেছে।

ইতিমধ্যেইমুদ্রা যোজনা প্রকল্পের মাধ্যমে নবীন প্রজন্মের ৮ কোটিরও বেশি মানুষকে কোনও রকমগ্যারান্টি ছাড়াই ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়া হয়েছে। যাতে তাঁরা নিজের জীবনের পথ বেছে নিতেপারেন, এগিয়ে যেতে পারেন। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, ঐ ৮ কোটির মধ্যে ১ কোটিরও বেশিমানুষ এই তামিলনাডুর সন্তান। এই পরিসংখ্যান বলে যে, কর্মসংস্থানের প্রতি, নিজস্বউদ্যোগে কারখানা বা ব্যবসা গড়ে তুলতে তামিলনাডুর নবীন প্রজন্মের মানুষদের উৎসাহ ওউদ্দীপনা কতটা!

কেন্দ্রীয়সরকার রাজ্যগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নেও জোর দিয়েছে। নতুন ভারত গড়ে না উঠলে নতুনতামিলনাডু-ও গড়ে ওঠা অসম্ভব। আর সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রাথমিকভাবে দেশেরসার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছে।

আমিতামিলনাডুর শ্রদ্ধেয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি তামিলনাডুবাসীর হিতসাধনে এইপ্রকল্পগুলিকে স্বাগত জানিয়েছেন, ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমিও এই সহযোগিতার জন্য তাঁকেধন্যবাদ জানাই।

স্মার্টসিটিমিশনের জন্য তামিলনাডুর ১০টি শহর নির্বাচিত হয়েছে। এগুলির মধ্যে – চ েন্নাই , কোয়াম্বটুর, মাদুরাই, থাঞ্জাভুর এরকম সবকটি বড় বড় শহর রয়েছে। এই শহরগুলিরজন্য কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই ৯০০ কোটিরও বেশি, প্রায় ১ হাজার কোটি টাকাইতিমধ্যেই বরাদ্দ করেছে।

অম্রুত মিশনেও তামিলনাডুর৩৩টি শহরকে বেছে নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এক্ষেত্রে তামিলনাডুর জন্য ৪ হাজার৭০০ কোটি টাকারও বেশি দেওয়ার কথা মেনে নিয়েছে। এই টাকা দিয়ে এই ৩৩টি শহরে বিদ্যুৎ,পানীয় জল, নিকাশী ব্যবস্থা, পরিচ্ছন্নতা এবং উদ্যান সৃষ্টির জন্য কাজ করা হবে।

এই প্রকল্পের দ্বারারামেশ্বরম-ও উপকৃত হবে। এছাড়া, ৩৩টি শহরের মধ্যে মাদুরাই, তুতিকোরিন, তিরুনেলবেলিএবং নাগর কোইল রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করে চেন্নাইমেট্রোরেল প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের সম্প্রসারণ মঞ্জুর করেছে। বিভিন্ন স্বনির্ভরগোষ্ঠীগুলিকে উৎসাহ দিতে, গ্রামের যুবক-যুবতীদের দক্ষতা নির্মাণে সাহায্যেরপ্রতিকূল করে তুলতে তামিলনাডুর গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে গত তিন বছরে প্রায় ১৮ হাজারকোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার তামিলনাডু’কে দিয়েছে।

আমি রাজ্য সরকার ওতামিলনাডুবাসীকে কিছু অনুরোধ জানাতে চাই। স্বচ্ছ ভারত অভিযানে দেশের সকল শহরেপ্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। কোন্‌ শহর সবার আগে নিজেকে উন্মুক্ত স্থানে প্রাকৃতিককাজকর্ম থেকে মুক্ত ঘোষণা করবে, তার প্রচেষ্টা চলছে। আশা করি, তামিলনাডুও অন্যকোনও রাজ্য থেকে পিছিয়ে থাকবে না।

তামিলনাডু রাজ্য সরকারের মতে,এই রাজ্যের বিভিন্ন শহরে ৮ লক্ষেরও বেশি গৃহহীন পরিবার রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নগরআবাস যোজনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। আমি রাজ্য সরকারকে অনুরোধজানাব, আপনারা প্রস্তাব পাঠান, প্রক্রিয়াকে দ্রুত করুন আর টাকা পেয়ে নির্মাণেরকাজে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।

ডঃ আব্দুল কালাম আজীবন একউন্নত ভারতের স্বপ্ন সফল করার চেষ্টা করে গেছেন। তিনি সর্বদাই ১২৫ কোটি দেশবাসীকেএই লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রেরণা যোগাতেন। এই প্রেরণা নিয়ে আমরা আগামী ২০২২ সালে যখনদেশ স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি পালন করবে, তখন একটি নতুন ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়নেরপথে এগিয়ে চলেছি।

দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীরাদেশ স্বাধীন করার জন্য আত্মবলি দিয়েছেন ও অনেকে সারা জীবন কারান্তরালে কাটিয়েছেন,দ্বীপান্তরে সাজা খেটেছেন। তাঁরা যেমন দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমরা ২০২২ সালেরমধ্যে তেমনই উন্নত দেশ গড়ে তুলতে চাই। এই সাফল্যের জন্য সকল প্রয়াস আমাদের ডঃকালামের প্রতি একটি উত্তম শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রতিপন্ন হবে।

আজ যখন আমি রামেশ্বরমেরমাটিতে দাঁড়িয়ে আছি …… রামেশ্বরমের মানুষ তো অনেক কিছু করার ক্ষমতা রাখেন।কিন্তু রামায়ণে আমরা পড়েছি যে, এখানকার ছোট ছোট কাঠবিড়ালীও কিভাবে রামসেতু গড়েতোলার কাজে নিবেদিত প্রাণ ছিল। আজ আমরা যদি সেই কাঠবিড়ালির দৃষ্টান্ত থেকে প্রেরণানিয়ে ১২৫ কোটি ভারতবাসী এক পা এগিয়ে যাই, তা হলে দেশ ১২৫ কোটি পা এগিয়ে যাবে।

ভারতের শেষ প্রান্ত এইরামেশ্বরম। এখান থেকে সমুদ্র শুরু; আর এখানে উপস্থিত জনসমুদ্র একথা স্পষ্ট করে যেআপনারা স্রদ্ধেয় আব্দুল কালাম’কে কতটা ভালোবাসেন। দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্যআপনারা কিভাবে নিজেদের যুক্ত করতে চান, আমি তা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। আমি এই বিশালজনসমুদ্রকে আরেকবার প্রণাম জানাই। প্রণম্য আব্দুল কালাম মহোদয়’কে শ্রদ্ধাঞ্জলিঅর্পণ করি। আর স্বর্গীয় আম্মাকেও শ্রদ্ধা জানাই।

আপনাদের সবাইকে অনেক অনেকধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase

Media Coverage

Modi blends diplomacy with India’s cultural showcase
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text Of Prime Minister Narendra Modi addresses BJP Karyakartas at Party Headquarters
November 23, 2024
Today, Maharashtra has witnessed the triumph of development, good governance, and genuine social justice: PM Modi to BJP Karyakartas
The people of Maharashtra have given the BJP many more seats than the Congress and its allies combined, says PM Modi at BJP HQ
Maharashtra has broken all records. It is the biggest win for any party or pre-poll alliance in the last 50 years, says PM Modi
‘Ek Hain Toh Safe Hain’ has become the 'maha-mantra' of the country, says PM Modi while addressing the BJP Karyakartas at party HQ
Maharashtra has become sixth state in the country that has given mandate to BJP for third consecutive time: PM Modi

जो लोग महाराष्ट्र से परिचित होंगे, उन्हें पता होगा, तो वहां पर जब जय भवानी कहते हैं तो जय शिवाजी का बुलंद नारा लगता है।

जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...जय भवानी...

आज हम यहां पर एक और ऐतिहासिक महाविजय का उत्सव मनाने के लिए इकट्ठा हुए हैं। आज महाराष्ट्र में विकासवाद की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सुशासन की जीत हुई है। महाराष्ट्र में सच्चे सामाजिक न्याय की विजय हुई है। और साथियों, आज महाराष्ट्र में झूठ, छल, फरेब बुरी तरह हारा है, विभाजनकारी ताकतें हारी हैं। आज नेगेटिव पॉलिटिक्स की हार हुई है। आज परिवारवाद की हार हुई है। आज महाराष्ट्र ने विकसित भारत के संकल्प को और मज़बूत किया है। मैं देशभर के भाजपा के, NDA के सभी कार्यकर्ताओं को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, उन सबका अभिनंदन करता हूं। मैं श्री एकनाथ शिंदे जी, मेरे परम मित्र देवेंद्र फडणवीस जी, भाई अजित पवार जी, उन सबकी की भी भूरि-भूरि प्रशंसा करता हूं।

साथियों,

आज देश के अनेक राज्यों में उपचुनाव के भी नतीजे आए हैं। नड्डा जी ने विस्तार से बताया है, इसलिए मैं विस्तार में नहीं जा रहा हूं। लोकसभा की भी हमारी एक सीट और बढ़ गई है। यूपी, उत्तराखंड और राजस्थान ने भाजपा को जमकर समर्थन दिया है। असम के लोगों ने भाजपा पर फिर एक बार भरोसा जताया है। मध्य प्रदेश में भी हमें सफलता मिली है। बिहार में भी एनडीए का समर्थन बढ़ा है। ये दिखाता है कि देश अब सिर्फ और सिर्फ विकास चाहता है। मैं महाराष्ट्र के मतदाताओं का, हमारे युवाओं का, विशेषकर माताओं-बहनों का, किसान भाई-बहनों का, देश की जनता का आदरपूर्वक नमन करता हूं।

साथियों,

मैं झारखंड की जनता को भी नमन करता हूं। झारखंड के तेज विकास के लिए हम अब और ज्यादा मेहनत से काम करेंगे। और इसमें भाजपा का एक-एक कार्यकर्ता अपना हर प्रयास करेगा।

साथियों,

छत्रपति शिवाजी महाराजांच्या // महाराष्ट्राने // आज दाखवून दिले// तुष्टीकरणाचा सामना // कसा करायच। छत्रपति शिवाजी महाराज, शाहुजी महाराज, महात्मा फुले-सावित्रीबाई फुले, बाबासाहेब आंबेडकर, वीर सावरकर, बाला साहेब ठाकरे, ऐसे महान व्यक्तित्वों की धरती ने इस बार पुराने सारे रिकॉर्ड तोड़ दिए। और साथियों, बीते 50 साल में किसी भी पार्टी या किसी प्री-पोल अलायंस के लिए ये सबसे बड़ी जीत है। और एक महत्वपूर्ण बात मैं बताता हूं। ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा के नेतृत्व में किसी गठबंधन को लगातार महाराष्ट्र ने आशीर्वाद दिए हैं, विजयी बनाया है। और ये लगातार तीसरी बार है, जब भाजपा महाराष्ट्र में सबसे बड़ी पार्टी बनकर उभरी है।

साथियों,

ये निश्चित रूप से ऐतिहासिक है। ये भाजपा के गवर्नंस मॉडल पर मुहर है। अकेले भाजपा को ही, कांग्रेस और उसके सभी सहयोगियों से कहीं अधिक सीटें महाराष्ट्र के लोगों ने दी हैं। ये दिखाता है कि जब सुशासन की बात आती है, तो देश सिर्फ और सिर्फ भाजपा पर और NDA पर ही भरोसा करता है। साथियों, एक और बात है जो आपको और खुश कर देगी। महाराष्ट्र देश का छठा राज्य है, जिसने भाजपा को लगातार 3 बार जनादेश दिया है। इससे पहले गोवा, गुजरात, छत्तीसगढ़, हरियाणा, और मध्य प्रदेश में हम लगातार तीन बार जीत चुके हैं। बिहार में भी NDA को 3 बार से ज्यादा बार लगातार जनादेश मिला है। और 60 साल के बाद आपने मुझे तीसरी बार मौका दिया, ये तो है ही। ये जनता का हमारे सुशासन के मॉडल पर विश्वास है औऱ इस विश्वास को बनाए रखने में हम कोई कोर कसर बाकी नहीं रखेंगे।

साथियों,

मैं आज महाराष्ट्र की जनता-जनार्दन का विशेष अभिनंदन करना चाहता हूं। लगातार तीसरी बार स्थिरता को चुनना ये महाराष्ट्र के लोगों की सूझबूझ को दिखाता है। हां, बीच में जैसा अभी नड्डा जी ने विस्तार से कहा था, कुछ लोगों ने धोखा करके अस्थिरता पैदा करने की कोशिश की, लेकिन महाराष्ट्र ने उनको नकार दिया है। और उस पाप की सजा मौका मिलते ही दे दी है। महाराष्ट्र इस देश के लिए एक तरह से बहुत महत्वपूर्ण ग्रोथ इंजन है, इसलिए महाराष्ट्र के लोगों ने जो जनादेश दिया है, वो विकसित भारत के लिए बहुत बड़ा आधार बनेगा, वो विकसित भारत के संकल्प की सिद्धि का आधार बनेगा।



साथियों,

हरियाणा के बाद महाराष्ट्र के चुनाव का भी सबसे बड़ा संदेश है- एकजुटता। एक हैं, तो सेफ हैं- ये आज देश का महामंत्र बन चुका है। कांग्रेस और उसके ecosystem ने सोचा था कि संविधान के नाम पर झूठ बोलकर, आरक्षण के नाम पर झूठ बोलकर, SC/ST/OBC को छोटे-छोटे समूहों में बांट देंगे। वो सोच रहे थे बिखर जाएंगे। कांग्रेस और उसके साथियों की इस साजिश को महाराष्ट्र ने सिरे से खारिज कर दिया है। महाराष्ट्र ने डंके की चोट पर कहा है- एक हैं, तो सेफ हैं। एक हैं तो सेफ हैं के भाव ने जाति, धर्म, भाषा और क्षेत्र के नाम पर लड़ाने वालों को सबक सिखाया है, सजा की है। आदिवासी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, ओबीसी भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, मेरे दलित भाई-बहनों ने भी भाजपा-NDA को वोट दिया, समाज के हर वर्ग ने भाजपा-NDA को वोट दिया। ये कांग्रेस और इंडी-गठबंधन के उस पूरे इकोसिस्टम की सोच पर करारा प्रहार है, जो समाज को बांटने का एजेंडा चला रहे थे।

साथियों,

महाराष्ट्र ने NDA को इसलिए भी प्रचंड जनादेश दिया है, क्योंकि हम विकास और विरासत, दोनों को साथ लेकर चलते हैं। महाराष्ट्र की धरती पर इतनी विभूतियां जन्मी हैं। बीजेपी और मेरे लिए छत्रपति शिवाजी महाराज आराध्य पुरुष हैं। धर्मवीर छत्रपति संभाजी महाराज हमारी प्रेरणा हैं। हमने हमेशा बाबा साहब आंबेडकर, महात्मा फुले-सावित्री बाई फुले, इनके सामाजिक न्याय के विचार को माना है। यही हमारे आचार में है, यही हमारे व्यवहार में है।

साथियों,

लोगों ने मराठी भाषा के प्रति भी हमारा प्रेम देखा है। कांग्रेस को वर्षों तक मराठी भाषा की सेवा का मौका मिला, लेकिन इन लोगों ने इसके लिए कुछ नहीं किया। हमारी सरकार ने मराठी को Classical Language का दर्जा दिया। मातृ भाषा का सम्मान, संस्कृतियों का सम्मान और इतिहास का सम्मान हमारे संस्कार में है, हमारे स्वभाव में है। और मैं तो हमेशा कहता हूं, मातृभाषा का सम्मान मतलब अपनी मां का सम्मान। और इसीलिए मैंने विकसित भारत के निर्माण के लिए लालकिले की प्राचीर से पंच प्राणों की बात की। हमने इसमें विरासत पर गर्व को भी शामिल किया। जब भारत विकास भी और विरासत भी का संकल्प लेता है, तो पूरी दुनिया इसे देखती है। आज विश्व हमारी संस्कृति का सम्मान करता है, क्योंकि हम इसका सम्मान करते हैं। अब अगले पांच साल में महाराष्ट्र विकास भी विरासत भी के इसी मंत्र के साथ तेज गति से आगे बढ़ेगा।

साथियों,

इंडी वाले देश के बदले मिजाज को नहीं समझ पा रहे हैं। ये लोग सच्चाई को स्वीकार करना ही नहीं चाहते। ये लोग आज भी भारत के सामान्य वोटर के विवेक को कम करके आंकते हैं। देश का वोटर, देश का मतदाता अस्थिरता नहीं चाहता। देश का वोटर, नेशन फर्स्ट की भावना के साथ है। जो कुर्सी फर्स्ट का सपना देखते हैं, उन्हें देश का वोटर पसंद नहीं करता।

साथियों,

देश के हर राज्य का वोटर, दूसरे राज्यों की सरकारों का भी आकलन करता है। वो देखता है कि जो एक राज्य में बड़े-बड़े Promise करते हैं, उनकी Performance दूसरे राज्य में कैसी है। महाराष्ट्र की जनता ने भी देखा कि कर्नाटक, तेलंगाना और हिमाचल में कांग्रेस सरकारें कैसे जनता से विश्वासघात कर रही हैं। ये आपको पंजाब में भी देखने को मिलेगा। जो वादे महाराष्ट्र में किए गए, उनका हाल दूसरे राज्यों में क्या है? इसलिए कांग्रेस के पाखंड को जनता ने खारिज कर दिया है। कांग्रेस ने जनता को गुमराह करने के लिए दूसरे राज्यों के अपने मुख्यमंत्री तक मैदान में उतारे। तब भी इनकी चाल सफल नहीं हो पाई। इनके ना तो झूठे वादे चले और ना ही खतरनाक एजेंडा चला।

साथियों,

आज महाराष्ट्र के जनादेश का एक और संदेश है, पूरे देश में सिर्फ और सिर्फ एक ही संविधान चलेगा। वो संविधान है, बाबासाहेब आंबेडकर का संविधान, भारत का संविधान। जो भी सामने या पर्दे के पीछे, देश में दो संविधान की बात करेगा, उसको देश पूरी तरह से नकार देगा। कांग्रेस और उसके साथियों ने जम्मू-कश्मीर में फिर से आर्टिकल-370 की दीवार बनाने का प्रयास किया। वो संविधान का भी अपमान है। महाराष्ट्र ने उनको साफ-साफ बता दिया कि ये नहीं चलेगा। अब दुनिया की कोई भी ताकत, और मैं कांग्रेस वालों को कहता हूं, कान खोलकर सुन लो, उनके साथियों को भी कहता हूं, अब दुनिया की कोई भी ताकत 370 को वापस नहीं ला सकती।



साथियों,

महाराष्ट्र के इस चुनाव ने इंडी वालों का, ये अघाड़ी वालों का दोमुंहा चेहरा भी देश के सामने खोलकर रख दिया है। हम सब जानते हैं, बाला साहेब ठाकरे का इस देश के लिए, समाज के लिए बहुत बड़ा योगदान रहा है। कांग्रेस ने सत्ता के लालच में उनकी पार्टी के एक धड़े को साथ में तो ले लिया, तस्वीरें भी निकाल दी, लेकिन कांग्रेस, कांग्रेस का कोई नेता बाला साहेब ठाकरे की नीतियों की कभी प्रशंसा नहीं कर सकती। इसलिए मैंने अघाड़ी में कांग्रेस के साथी दलों को चुनौती दी थी, कि वो कांग्रेस से बाला साहेब की नीतियों की तारीफ में कुछ शब्द बुलवाकर दिखाएं। आज तक वो ये नहीं कर पाए हैं। मैंने दूसरी चुनौती वीर सावरकर जी को लेकर दी थी। कांग्रेस के नेतृत्व ने लगातार पूरे देश में वीर सावरकर का अपमान किया है, उन्हें गालियां दीं हैं। महाराष्ट्र में वोट पाने के लिए इन लोगों ने टेंपरेरी वीर सावरकर जी को जरा टेंपरेरी गाली देना उन्होंने बंद किया है। लेकिन वीर सावरकर के तप-त्याग के लिए इनके मुंह से एक बार भी सत्य नहीं निकला। यही इनका दोमुंहापन है। ये दिखाता है कि उनकी बातों में कोई दम नहीं है, उनका मकसद सिर्फ और सिर्फ वीर सावरकर को बदनाम करना है।

साथियों,

भारत की राजनीति में अब कांग्रेस पार्टी, परजीवी बनकर रह गई है। कांग्रेस पार्टी के लिए अब अपने दम पर सरकार बनाना लगातार मुश्किल हो रहा है। हाल ही के चुनावों में जैसे आंध्र प्रदेश, अरुणाचल प्रदेश, सिक्किम, हरियाणा और आज महाराष्ट्र में उनका सूपड़ा साफ हो गया। कांग्रेस की घिसी-पिटी, विभाजनकारी राजनीति फेल हो रही है, लेकिन फिर भी कांग्रेस का अहंकार देखिए, उसका अहंकार सातवें आसमान पर है। सच्चाई ये है कि कांग्रेस अब एक परजीवी पार्टी बन चुकी है। कांग्रेस सिर्फ अपनी ही नहीं, बल्कि अपने साथियों की नाव को भी डुबो देती है। आज महाराष्ट्र में भी हमने यही देखा है। महाराष्ट्र में कांग्रेस और उसके गठबंधन ने महाराष्ट्र की हर 5 में से 4 सीट हार गई। अघाड़ी के हर घटक का स्ट्राइक रेट 20 परसेंट से नीचे है। ये दिखाता है कि कांग्रेस खुद भी डूबती है और दूसरों को भी डुबोती है। महाराष्ट्र में सबसे ज्यादा सीटों पर कांग्रेस चुनाव लड़ी, उतनी ही बड़ी हार इनके सहयोगियों को भी मिली। वो तो अच्छा है, यूपी जैसे राज्यों में कांग्रेस के सहयोगियों ने उससे जान छुड़ा ली, वर्ना वहां भी कांग्रेस के सहयोगियों को लेने के देने पड़ जाते।

साथियों,

सत्ता-भूख में कांग्रेस के परिवार ने, संविधान की पंथ-निरपेक्षता की भावना को चूर-चूर कर दिया है। हमारे संविधान निर्माताओं ने उस समय 47 में, विभाजन के बीच भी, हिंदू संस्कार और परंपरा को जीते हुए पंथनिरपेक्षता की राह को चुना था। तब देश के महापुरुषों ने संविधान सभा में जो डिबेट्स की थी, उसमें भी इसके बारे में बहुत विस्तार से चर्चा हुई थी। लेकिन कांग्रेस के इस परिवार ने झूठे सेक्यूलरिज्म के नाम पर उस महान परंपरा को तबाह करके रख दिया। कांग्रेस ने तुष्टिकरण का जो बीज बोया, वो संविधान निर्माताओं के साथ बहुत बड़ा विश्वासघात है। और ये विश्वासघात मैं बहुत जिम्मेवारी के साथ बोल रहा हूं। संविधान के साथ इस परिवार का विश्वासघात है। दशकों तक कांग्रेस ने देश में यही खेल खेला। कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए कानून बनाए, सुप्रीम कोर्ट के आदेश तक की परवाह नहीं की। इसका एक उदाहरण वक्फ बोर्ड है। दिल्ली के लोग तो चौंक जाएंगे, हालात ये थी कि 2014 में इन लोगों ने सरकार से जाते-जाते, दिल्ली के आसपास की अनेक संपत्तियां वक्फ बोर्ड को सौंप दी थीं। बाबा साहेब आंबेडकर जी ने जो संविधान हमें दिया है न, जिस संविधान की रक्षा के लिए हम प्रतिबद्ध हैं। संविधान में वक्फ कानून का कोई स्थान ही नहीं है। लेकिन फिर भी कांग्रेस ने तुष्टिकरण के लिए वक्फ बोर्ड जैसी व्यवस्था पैदा कर दी। ये इसलिए किया गया ताकि कांग्रेस के परिवार का वोटबैंक बढ़ सके। सच्ची पंथ-निरपेक्षता को कांग्रेस ने एक तरह से मृत्युदंड देने की कोशिश की है।

साथियों,

कांग्रेस के शाही परिवार की सत्ता-भूख इतनी विकृति हो गई है, कि उन्होंने सामाजिक न्याय की भावना को भी चूर-चूर कर दिया है। एक समय था जब के कांग्रेस नेता, इंदिरा जी समेत, खुद जात-पात के खिलाफ बोलते थे। पब्लिकली लोगों को समझाते थे। एडवरटाइजमेंट छापते थे। लेकिन आज यही कांग्रेस और कांग्रेस का ये परिवार खुद की सत्ता-भूख को शांत करने के लिए जातिवाद का जहर फैला रहा है। इन लोगों ने सामाजिक न्याय का गला काट दिया है।

साथियों,

एक परिवार की सत्ता-भूख इतने चरम पर है, कि उन्होंने खुद की पार्टी को ही खा लिया है। देश के अलग-अलग भागों में कई पुराने जमाने के कांग्रेस कार्यकर्ता है, पुरानी पीढ़ी के लोग हैं, जो अपने ज़माने की कांग्रेस को ढूंढ रहे हैं। लेकिन आज की कांग्रेस के विचार से, व्यवहार से, आदत से उनको ये साफ पता चल रहा है, कि ये वो कांग्रेस नहीं है। इसलिए कांग्रेस में, आंतरिक रूप से असंतोष बहुत ज्यादा बढ़ रहा है। उनकी आरती उतारने वाले भले आज इन खबरों को दबाकर रखे, लेकिन भीतर आग बहुत बड़ी है, असंतोष की ज्वाला भड़क चुकी है। सिर्फ एक परिवार के ही लोगों को कांग्रेस चलाने का हक है। सिर्फ वही परिवार काबिल है दूसरे नाकाबिल हैं। परिवार की इस सोच ने, इस जिद ने कांग्रेस में एक ऐसा माहौल बना दिया कि किसी भी समर्पित कांग्रेस कार्यकर्ता के लिए वहां काम करना मुश्किल हो गया है। आप सोचिए, कांग्रेस पार्टी की प्राथमिकता आज सिर्फ और सिर्फ परिवार है। देश की जनता उनकी प्राथमिकता नहीं है। और जिस पार्टी की प्राथमिकता जनता ना हो, वो लोकतंत्र के लिए बहुत ही नुकसानदायी होती है।

साथियों,

कांग्रेस का परिवार, सत्ता के बिना जी ही नहीं सकता। चुनाव जीतने के लिए ये लोग कुछ भी कर सकते हैं। दक्षिण में जाकर उत्तर को गाली देना, उत्तर में जाकर दक्षिण को गाली देना, विदेश में जाकर देश को गाली देना। और अहंकार इतना कि ना किसी का मान, ना किसी की मर्यादा और खुलेआम झूठ बोलते रहना, हर दिन एक नया झूठ बोलते रहना, यही कांग्रेस और उसके परिवार की सच्चाई बन गई है। आज कांग्रेस का अर्बन नक्सलवाद, भारत के सामने एक नई चुनौती बनकर खड़ा हो गया है। इन अर्बन नक्सलियों का रिमोट कंट्रोल, देश के बाहर है। और इसलिए सभी को इस अर्बन नक्सलवाद से बहुत सावधान रहना है। आज देश के युवाओं को, हर प्रोफेशनल को कांग्रेस की हकीकत को समझना बहुत ज़रूरी है।

साथियों,

जब मैं पिछली बार भाजपा मुख्यालय आया था, तो मैंने हरियाणा से मिले आशीर्वाद पर आपसे बात की थी। तब हमें गुरूग्राम जैसे शहरी क्षेत्र के लोगों ने भी अपना आशीर्वाद दिया था। अब आज मुंबई ने, पुणे ने, नागपुर ने, महाराष्ट्र के ऐसे बड़े शहरों ने अपनी स्पष्ट राय रखी है। शहरी क्षेत्रों के गरीब हों, शहरी क्षेत्रों के मिडिल क्लास हो, हर किसी ने भाजपा का समर्थन किया है और एक स्पष्ट संदेश दिया है। यह संदेश है आधुनिक भारत का, विश्वस्तरीय शहरों का, हमारे महानगरों ने विकास को चुना है, आधुनिक Infrastructure को चुना है। और सबसे बड़ी बात, उन्होंने विकास में रोडे अटकाने वाली राजनीति को नकार दिया है। आज बीजेपी हमारे शहरों में ग्लोबल स्टैंडर्ड के इंफ्रास्ट्रक्चर बनाने के लिए लगातार काम कर रही है। चाहे मेट्रो नेटवर्क का विस्तार हो, आधुनिक इलेक्ट्रिक बसे हों, कोस्टल रोड और समृद्धि महामार्ग जैसे शानदार प्रोजेक्ट्स हों, एयरपोर्ट्स का आधुनिकीकरण हो, शहरों को स्वच्छ बनाने की मुहिम हो, इन सभी पर बीजेपी का बहुत ज्यादा जोर है। आज का शहरी भारत ईज़ ऑफ़ लिविंग चाहता है। और इन सब के लिये उसका भरोसा बीजेपी पर है, एनडीए पर है।

साथियों,

आज बीजेपी देश के युवाओं को नए-नए सेक्टर्स में अवसर देने का प्रयास कर रही है। हमारी नई पीढ़ी इनोवेशन और स्टार्टअप के लिए माहौल चाहती है। बीजेपी इसे ध्यान में रखकर नीतियां बना रही है, निर्णय ले रही है। हमारा मानना है कि भारत के शहर विकास के इंजन हैं। शहरी विकास से गांवों को भी ताकत मिलती है। आधुनिक शहर नए अवसर पैदा करते हैं। हमारा लक्ष्य है कि हमारे शहर दुनिया के सर्वश्रेष्ठ शहरों की श्रेणी में आएं और बीजेपी, एनडीए सरकारें, इसी लक्ष्य के साथ काम कर रही हैं।


साथियों,

मैंने लाल किले से कहा था कि मैं एक लाख ऐसे युवाओं को राजनीति में लाना चाहता हूं, जिनके परिवार का राजनीति से कोई संबंध नहीं। आज NDA के अनेक ऐसे उम्मीदवारों को मतदाताओं ने समर्थन दिया है। मैं इसे बहुत शुभ संकेत मानता हूं। चुनाव आएंगे- जाएंगे, लोकतंत्र में जय-पराजय भी चलती रहेगी। लेकिन भाजपा का, NDA का ध्येय सिर्फ चुनाव जीतने तक सीमित नहीं है, हमारा ध्येय सिर्फ सरकारें बनाने तक सीमित नहीं है। हम देश बनाने के लिए निकले हैं। हम भारत को विकसित बनाने के लिए निकले हैं। भारत का हर नागरिक, NDA का हर कार्यकर्ता, भाजपा का हर कार्यकर्ता दिन-रात इसमें जुटा है। हमारी जीत का उत्साह, हमारे इस संकल्प को और मजबूत करता है। हमारे जो प्रतिनिधि चुनकर आए हैं, वो इसी संकल्प के लिए प्रतिबद्ध हैं। हमें देश के हर परिवार का जीवन आसान बनाना है। हमें सेवक बनकर, और ये मेरे जीवन का मंत्र है। देश के हर नागरिक की सेवा करनी है। हमें उन सपनों को पूरा करना है, जो देश की आजादी के मतवालों ने, भारत के लिए देखे थे। हमें मिलकर विकसित भारत का सपना साकार करना है। सिर्फ 10 साल में हमने भारत को दुनिया की दसवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी से दुनिया की पांचवीं सबसे बड़ी इकॉनॉमी बना दिया है। किसी को भी लगता, अरे मोदी जी 10 से पांच पर पहुंच गया, अब तो बैठो आराम से। आराम से बैठने के लिए मैं पैदा नहीं हुआ। वो दिन दूर नहीं जब भारत दुनिया की तीसरी सबसे बड़ी अर्थव्यवस्था बनकर रहेगा। हम मिलकर आगे बढ़ेंगे, एकजुट होकर आगे बढ़ेंगे तो हर लक्ष्य पाकर रहेंगे। इसी भाव के साथ, एक हैं तो...एक हैं तो...एक हैं तो...। मैं एक बार फिर आप सभी को बहुत-बहुत बधाई देता हूं, देशवासियों को बधाई देता हूं, महाराष्ट्र के लोगों को विशेष बधाई देता हूं।

मेरे साथ बोलिए,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय,

भारत माता की जय!

वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम, वंदे मातरम ।

बहुत-बहुत धन्यवाद।