Our tribal communities have faced several challenges. But, they are blessed with the strength to overcome any obstacle: PM
Tribal communities should get their rights. No one has right to snatch their lands: PM
With Vanbandhu Kalyan Yojana, we want to ensure that the tribal communities are not deprived of their priorities: PM Modi
If there is someone who saved the forests it is our tribal community: PM Modi

দেশের ইতিহাসে প্রথমবার দেশের নানাপ্রান্ত থেকেআগত উপজাতীয় বোনেদের সঙ্গে নিয়ে রাজধানী দিল্লিতে দীপাবলী পালন করা হবে। প্রায়চারদিন ধরে দিল্লি অনুভব করবে যে ভারত কত বিশাল, কত বৈচিত্র্যময়, আর অরণ্যবাসীভাই-বোনেদের কত সামর্থ্য ও শক্তি রয়েছে। দূর-দূরান্তের অরণ্যে বসবাস করেও তাঁরাদেশের স্বার্থে কত কাজ করেন দিল্লি তা প্রথমবার প্রত্যক্ষ করবে।

ভারত বৈচিত্র্যময় দেশ। আমাদের দেশে কথিত আছে,‘প্রত্যেক ২০-টি’ গ্রামের পর কথ্যভাষা বদলে যায়। এখানে আমরা একটি প্রতীকি ঝলকদেখলাম । এটা নেহাতই একটা ঝলকমাত্র । দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা সকল আদিবাসীকলাকুশলীদের উপস্থাপনা দেখতে হলে সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পেরিয়ে যাবে, তারপরওহয়তো সবারটা দেখা হবে না! শহুরে মানুষদের জীবনে ছোটখাট সমস্যা এলে, তাঁদের ইচ্ছারবিরুদ্ধে কিছু হলে, কল্পনার অনুকূল পরিণাম না পেলে নানারকম রোগের শিকার হন,হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, অনেকে তো এমনকি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। অথচ আমার এইআদিবাসী ভাই-বোনেদের দেখুন, তাঁদের অঞ্চলে অভাব-অনটন লেগেই আছে, জীবন প্রতিমুহূর্তই সংগ্রামপূর্ণ । জীবনের অধিকাংশ সময়ই কাটে সংগ্রামে । তারপরও তাঁরা কেমন সুন্দর বাঁচার উপায় বেছেনিয়েছেন – প্রতি মুহূর্তে খুশি, নাচ-গান, গোষ্ঠীবদ্ধ জীবন, একে অন্যের পায়ে পামিলিয়ে চলা তাঁদের সহজাত জীবনশৈলীর অংশবিশেষ। তাঁরা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধেপ্রতিস্পর্ধী হয়ে ওঠার সামর্থ্য রাখেন।

আমার পরম সৌভাগ্য যে যৌবনের কিছু মূল্যবান বছরআমি আদিবাসীদের মাঝে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। তাঁরা যখন কথা বলেন, ঘন্টার পর ঘন্টা কথাবলার পরও কোনরকম অভিযোগের কথা শোনান না। সঙ্কটের মধ্যে বাঁচা, অভাবের মধ্য থেকেকেমন করে আনন্দ খুঁজে পেতে হয় তা শিখতে হলে এই আদিবাসী ভাই-বোনদের থেকে বড় গুরু আরকেউ হতে পারে না।

স্বাভাবিকভাবেই এঁরা কলা ও সঙ্গীতের পুজো করেন।নিজেদের কথ্যভাষা, নানা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, বেশভূষায় সময় সময় অনুকূল রঙ লাগালেওনিজস্বতা না হারানোর এই বৈশিষ্ট্য অবশিষ্ট ভারতবাসী তাঁদের থেকে শিখতে পারেন। এইসামর্থ্য আমাদের জনশক্তির পরিচায়ক। সেজন্যই ভারতের মতো দেশে এই বৈচিত্র্যগুলিকেসঞ্জীবিত রাখা, এগুলিকে কদর করা, এগুলির সংহত সমন্বয়ে ভারতের ‘বৈচিত্র্যের মধ্যেঐক্য’কে ফুলের তোড়ার মতো অনুভব করলেই দেশের শক্তি ও সামর্থ্যকে অনুভব করা যায়। এইঅনুভব দেশের শক্তিবৃদ্ধি করে।

অরণ্য সম্পর্কে আমরা খুব কম জানি। অরণ্যের সাধারণউপাদানগুলির ব্যবহার আদিবাসী ভাই-বোনেরা এত সুচারুভাবে করেন যে অবাক হতে হয়। যেমনবাঁশ দিয়ে এত সুন্দর বৈচিত্র্যময় জিনিস এঁরা বানাতে পারেন যে ফাইভ স্টারহোটেলগুলিতে এগুলির ভীষণ চাহিদা। অতিথিরা অবাক হয়ে ভাবেন, এগুলি কেমন মেশিনে তৈরিহয়েছে? এমনই নিপুণ এঁদের হস্তশিল্প! এখন এগুলিকে যত বড় মাত্রায় বাজারজাত করা যাবে,যত ভালো ব্র্যান্ডিং হবে ততই এগুলি আর্থিক দৃষ্টিতে নতুন নতুন সুযোগ গড়ে তুলবে! এইলক্ষ্যে এখনও অনেক কিছু করা বাকি রয়েছে।

এখানে গোটা দেশ থেকে আদিবাসী ভাই-বোনেরা এসেছেন।তাঁরা সঙ্গে করে নিজেদের হস্তশিল্পের নমুনা এনেছেন। দেশের নানা প্রান্তের আদিবাসীভাই-বোনেরা কী কী জিনিস বানাতে পারেন এবং আমাদের বাড়ি-ঘর-দোকানে, সাজসজ্জায় এগুলিকিভাবে কাজে লাগতে পারে তা আপনারা প্রগতি ময়দানের উৎসব প্রাঙ্গণে অনুভব করেছেন।আমরা যত বেশি এঁদের উৎপাদিত পণ্য কিনবো, আমাদের অরণ্যবাসী ভাই-বোনেরা তত বেশিআর্থিকভাবে লাভবান হবেন। দিল্লিবাসী শুধুই তাঁদের নৃত্য-গীত উপভোগ করলে চল্বে না,তাঁদের আর্থিক সামর্থ্যের শক্তিকেও বুঝতে হবে এবং তাঁদের শক্তিবৃদ্ধির জন্যআন্তরিক চেষ্টা চালাতে হবে।

কিছুদিন আগে আমার সিকিম যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল।সেখানে আমার এক যুবক আর এক যুবতীর সঙ্গে পরিচয় হয়। পোশাক-আশাক দেখে বুঝতে পারি –তাঁরা কোনও বড় শহর থেকে এসেছেন। আমি তাঁদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে বলেন, তাঁরাদু’জনে আলাদা আলাদা রাজ্যের মানুষ, ভিন্ন আইআইএম থেকে পড়াশোনা করেছেন।

আমি জিজ্ঞাসা করি, সিকিম ঘুরতে এসেছেন?

তাঁরা বলেন, আজ্ঞে না, আমরা তো এখানে দেড় বছর ধরেরয়েছি। পড়াশোনা শেষ করে সিকিমে এসে পাহাড়ি গরিব কৃষক ভাইদের উৎপাদিত ফসলেরপ্যাকেজিং, ব্র্যান্ডিং করে বিদেশে রপ্তানির কাজ করি। আপনারা কল্পনা করতে পারেন?আইআইএম থেকে পাশ করে ওঁরা সিকিমে গিয়ে কেমন সম্ভাবনাময় ‘স্টার্ট আপ’-এর সূচনাকরেছেন, বিশ্ব বাজারে সিকিমের শস্য, ফলমূল, আনাজপাতি পৌঁছে দিচ্ছেন!

কেউ ওখানে গিয়ে সরেজমিনে না দেখলে এত সামর্থ্য ওসম্ভাবনার কথা কেমন করে জানবেন? আজ বিশ্বের সর্বত্র মানুষ ধীরে ধীরে ‘হলিস্টিকহেল্‌থকেয়ার’-এর দিকে ঝুঁকছেন। পারস্পরিক চিকিৎসাপদ্ধতিগুলির প্রতি মানুষের আকর্ষণবাড়ছে। অরণ্যবাসী ভাই-বোনদের তেমন একটা ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না। বেড়াতে গিয়েজ্বর হয়েছে? তাঁরা আপনাকেও দ্রুত একটি ভেষজ ওষুধ দিয়ে বলবেন, খেয়ে নিন,ঘন্টাখানেকের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। এই পরম্পরাগত সামর্থ্যকে আমাদের চিনতে হবে,এগুলিকে আধুনিক স্বরূপে চিকিৎসা-বিজ্ঞানের বোধগম্য করে পরিবেশন করতে হবে। বিশ্বেরসামনে তুলে ধরতে হবে। এক্ষেত্রে আদিবাসী ভাই-বোনেরা আমাদের সহায় হবেন।

একটি আগেই এখানে গুজরাটের ডাঙ্গ জেলার আদিবাসীশিল্পীরা তাঁদের কৃতি পরিবেশন করলেন। অনেক বছর আগে আমি ঐ জেলায় কাজ করেছি। তখনআমার রাজনীতির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না। তারপর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সেখানে গিয়েআমি অবাক হই। সেখানে ‘নাগলি’ নামে এক ধরনের শস্য উৎপন্ন হয়। সেই শস্য আয়রন সমৃদ্ধ।আমাদের দেশে গরিব মানুষ অপুষ্টিতে ভোগেন। বিশেষ করে, মহিলারা এই সমস্যায় বেশিভোগেন। ‘নাগলি’র রুটি খেলে দ্রুত অপুষ্টি দূর হয়। ৩০-৩৫ বছর আগে যখন আমি গিয়েছিলামতখন এই ‘নাগলি’র রুটি হত কালো রঙের। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর গিয়ে দেখি সাদা রঙেরনাগলি রুটি পরিবেশিত হচ্ছে। আমি আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি আদিবাসীদেরমধ্যেই কেউ গবেষণা করে সাদা নাগলি উৎপাদনে সাফল্য পেয়েছে । এতে নাগলির জনপ্রিয়তাও বেড়েছে।

অর্থাৎ, বড় বড় বিজ্ঞানীরা যেমন জেনেটিক্সইঞ্জিনিয়ারিং জানেন, আমাদের আদিবাসী ভাইয়েরাও তেমনই পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমেজেনেটিক পরিবর্তন আনতে পারেন। আমি তাঁদের সামর্থ্য বোঝানোর জন্য একথা বলছি। এইসামর্থ্যকে আমাদের চিনতে হবে। আমাদের দেশে আদিবাসীদের জনসংখ্যা এত বেশি, কিন্তুকেন্দ্রীয় সরকারের জনজাতিদের জন্য কোন আলাদা মন্ত্রণালয় ছিল না। আজ আমি এত বড় উপজাতীয়উৎসবে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শ্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীজিকে প্রণাম জানাই। তিনিই প্রথম স্বাধীনতার ৫০ বছর পর প্রধানমন্ত্রীহয়ে দেশে উপজাতিভুক্ত মানুষদের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গড়ে তুলেছিলেন। আমাদেরজুয়েলজি তাঁর মন্ত্রিসভার প্রথম আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী হয়েছিলেন। তখন থেকে শুরুকরে উপজাতীয় অঞ্চলগুলির উন্নয়ন নানা উপজাতীয় সমাজের শক্তিকে বুঝে তাঁদেরসামর্থ্যকে অর্থনৈতিক শক্তিতে রূপান্তরিত করার নানা প্রকল্প চালু হয়েছে। অনেক অর্থব্যয় হয়েছে। কিন্তু তেমন সুফল কেন দেখতে পাইনি? এর মূল কারণ হল অনভিজ্ঞতা। দিল্লিকিংবা কোন রাজ্যের রাজধানীর শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় বসে প্রকল্প রচনা করলে চলবেনা। উপজাতি সমাজের মানুষ কী চান সেটা তাঁদের মধ্যে গিয়ে কাজ করলে তবেই বোঝা যাবে। তাঁদেরচাহিদা বুঝে প্রকল্প গড়ে তুললে তার বাস্তবায়নও অনেক বেশি কার্যকরী হবে।

এসব কথা মাথায় রেখেই আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষথেকে ‘বনবন্ধু কল্যাণ যোজনা’ শুরু করেছি। এখন সরকারের ২৮টিরও বেশি বিভাগ উপজাতীয় সম্প্রদায়েরমধ্যে কাজ করছে। এই বিভাগগুলির কাজের সমন্বয়সাধনের জন্য উপজাতীয় সমাজেরপ্রয়োজনীয়তাগুলিকে অগ্রাধিকার দিতে এই যোজনা কাজ করছে। বিভিন্ন উপজাতীয়সম্প্রদায়ের মানুষ এই প্রকল্পগুলির অংশীদার হচ্ছেন। অর্থের সঠিক উপযোগ হচ্ছে। এবারআমরা উন্নয়ন চোখে দেখতে পাচ্ছি।

আমাদের দেশে বড় বড় পরিবেশবিদরা একত্রিত হয়ে অরণ্যরক্ষা কিভাবে করা যায় তা নিয়ে শলাপরামর্শ করেন। আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, আমাদেরদেশে যত অরণ্য রয়েছে সেগুলির সবচাইতে বড় সংরক্ষক হলেন এই নানা জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষেরা।তাঁরা যে কোন মূল্যেই অরণ্যের সর্বনাশ হতে দেন না। প্রতিটি আরণ্যক উপাদান তাঁদেরসংস্কারের অংশ হয়ে উঠেছে। অরণ্য রক্ষার ক্ষেত্রে আমাদেরকে একথা মাথায় রেখে এগিয়েযেতে হবে।

অরণ্যবাসীরা যুগ যুগ ধরে অরণ্যকে বাঁচিয়ে রেখেগ্রাসাচ্ছাদনের জন্য ছোট ছোট জমিতে চাষবাস করেন। তাঁদের কাছে সে সব জমির কোন দলিলবা পরচা নেই। শত শত বছর ধরে পরম্পরাগতভাবে তাঁরা পূর্বজদের কাছে এই জমি পেয়েছেন।কিন্তু এখন স্বাধীন দেশেও সংবিধান, আইন-কানুন ইত্যাদির জটিলতা আদিবাসী ভাই-বোনেদেরবিব্রত করে। সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির সহযোগিতা নিয়ে এখন আদিবাসীদের জমিরপরচা দেওয়ার অভিযান শুরু করেছে। আদিবাসীদের অধিকার সুনিশ্চিত করাকেই আমরাঅগ্রাধিকার দিয়েছি । কেউ যেন আদিবাসীদের জমি ছিনিয়ে নিতে না পারে। এজন্য সরকার কঠোরপদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তেমনই, তাঁদের জীবনে অরণ্যই তাঁদের ঈশ্বর, তাঁদেরউপাসনা। এগুলি থেকে তাঁদের আলাদা করা যাবে না। আমাদের দেশের প্রায় সকল প্রাকৃতিকসম্পদ – কয়লা, লৌহ আকরিক এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ আরণ্যক অঞ্চলগুলিতেই পাওয়াযায়। আর যেখানে অরণ্য রয়েছে সেখানে আরণ্যক মানুষজন থাকেন। এখন কয়লা কিংবা লৌহআকরিক উত্তোলন না করলে তো চলবে না। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে প্রাকৃতিক সম্পদেরমূল্য সংযোজন করতেই হবে। কিন্তু তা যেন উপজাতীয় সম্প্রদায়গুলিকে শোষণের পথ খুলে নাদেয় । বিগত বাজেটে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয়সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, যে অরণ্য থেকে প্রাকৃতিক সম্পদউত্তোলন হবে তাতে ঐ অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য একটি আলাদা কর দিতে হবে। ঐ কর সংগ্রহেরজন্য প্রত্যেক সংশ্লিষ্ট জেলায় একটি আলাদা ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা হবে। ঐ জেলারজেলাশাসককে ঐ ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব দেওয়া হবে। ঐ ফাউন্ডেশন উপার্জিত অর্থ ঐ এলাকার উপজাতিসম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য খরচ করতে হবে। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, পথ-ঘাট, ধর্মশালা– সবই তাঁদের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে গড়ে তুলতে হবে।

কিছুদিন আগে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ রমনসিং-এর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তিনি বলছিলেন, মোদীজি, এই সরকারি সিদ্ধান্ত আমাদের মতোউপজাতি অধ্যুষিত রাজ্যের পক্ষে খুবই লাভজনক হয়েছে। আমাদের রাজ্যে উপজাতি অধ্যুষিতসাতটি জেলা থেকে খনিজ সম্পদ উত্তোলন-বাবদ যে কর সংগ্রহ করা হচ্ছে তার মোট পরিমাণআমাদের বর্তমান বাজেটের থেকে কয়েকগুণ বেশি। ফলে, এই সাতটি জেলার উন্নয়নের জন্যরাজ্যকে আর আলাদা করে খরচ করতে হবে না। আগে এই জেলাগুলি থেকে কয়লা এবং লৌহ আকরিকদেশের অন্যান্য অঞ্চলের কারখানাগুলিতে চলে যেত। কিন্তু এলাকার উপজাতীয় সম্প্রদায়েরমানুষেরা বঞ্চিত থেকে যেতেন। এখন তাঁরা সরাসরি লাভবান হচ্ছেন।

আমরা একটি বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছি, অরণ্যবাঁচাতে হলে, আমাদের উপজাতীয় সম্প্রদায়গুলির জমিকে বাঁচাতে হলে, তাঁদের রোজগারেরবিষয়টিও সুরক্ষিত রাখতে হবে। সেজন্য আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেআন্ডারগ্রাউন্ড মাইনিং-এর কাজ বাড়াতে চাই যাতে ওপরের জঙ্গল যেমনটি রয়েছে তেমনইথেকে যায়। নিচে মাটির অনেক গভীরে গিয়ে খনিজ সম্পদ উত্তোলন করা হবে। কেন্দ্রীয়সরকার সারা দেশে খনিজ সম্পদ উত্তোলনের ক্ষেত্রে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগেরক্ষেত্রে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

দ্বিতীয়ত, আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে কোলগ্যাসিফিকেশন করা, অর্থাৎ, ভূগর্ভেই কয়লাকে গ্যাসে রূপান্তরিত করে গ্যাস উত্তোলনকরা যাতে পরিবেশ যথাসম্ভব অক্ষত থাকে। আমাদের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা যেন কোনভাবেইক্ষতিগ্রস্ত না হন।

আদিবাসী উন্নয়নে এ ধরনের বহুবিধ প্রয়াস ছাড়াওসরকার একটি রারবান (গ্রামীণ-শহুরে) মিশনের কাজ শুরু করেছে। এর মাধ্যমে আদিবাসীঅধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে যে বিভিন্ন উপজাতীয় সম্প্রদায়ের মানুষেরা থাকেন, তাঁদের জন্যনতুন নতুন বিকাশ কেন্দ্র গড়ে তোলা। ঐ বিকাশ কেন্দ্রগুলি হবে বহুবিধ আর্থিক লেন-দেনেরকেন্দ্র। আজও উপজাতীয় সম্প্রদায়ের মানুষদেরকে নানা বাজারে যেতে হয়। মাল কেনা-বেচারক্ষেত্রে অরণ্য অঞ্চলে বিনিময় প্রথা রয়েছে। কিন্তু আমরা চাই প্রত্যেক ৫০-১০০টিআদিবাসী গ্রামের মাঝে এক একটি নতুন বিকাশ কেন্দ্র গড়ে উঠুক। এই বিকাশ কেন্দ্রগুলিচারপাশের ৫০-১০০টি গ্রামে উৎপাদিত সকল ফসল ও হস্তশিল্পে বিকি-কিনির কেন্দ্র হয়েউঠুক। সেখানে সকল প্রকার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে যাতে শহরের শিক্ষক কিংবাচিকিৎসক সেখানে খুশি মনে যেতে পারেন। শহরের ছেলে-মেয়েরাও সেখানে গিয়ে চাকরি করেআনন্দ পাবেন। গোটা দেশে এরকম শতাধিক রারবান সেন্টার গড়ে তুলে সেগুলিকে আমরা বিকাশকেন্দ্র হিসেবে উন্নীত করতে চাই। যেখানকার জীবনের আত্মা হবে উপজাতীয় জীবনের আত্মা।কিন্তু শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা সেখানে পাওয়া যাবে। কেন্দ্রীয় সরকার সারা দেশে এরকমবিকাশ কেন্দ্রের জাল বিছানোর কাজ করছে।

আজ দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত আমার উপজাতীয় ভাইও বোনেরা, দিল্লিতে আপনারা এসে নিজেদের নাচ ও গানের মাধ্যমে, নানা শিল্পকলা ওহস্তশিল্পের প্রদর্শনের মাধ্যমে দিল্লিবাসীদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।ব্যবসায়ীদের হৃদয়েও আপনারা উৎসাহ সঞ্চার করেছেন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এই মিলন মেলাএকটি নতুন আর্থিক উন্নয়নের দরজা খুলে দেবে। এবারের দীপাবলী আপনাদের জীবনে নতুনআলোর সন্ধান দেবে। উন্নয়নের আলো। আমি আপনাদের সকলকে দীপাবলীর শুভেচ্ছা জানাই। এইপবিত্র উৎসব উপলক্ষে এখানে যাঁরা আমাকে আশীর্বাদ জানাতে বিপুল সংখ্যায় উপস্থিতহয়েছেন তাঁদেরকে সকলকে মাথা নত করে প্রণাম জানিয়ে আমার কথা এখানেই শেষ করছি।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII

Media Coverage

PLI, Make in India schemes attracting foreign investors to India: CII
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM Modi's address at the Parliament of Guyana
November 21, 2024

Hon’ble Speaker, मंज़ूर नादिर जी,
Hon’ble Prime Minister,मार्क एंथनी फिलिप्स जी,
Hon’ble, वाइस प्रेसिडेंट भरत जगदेव जी,
Hon’ble Leader of the Opposition,
Hon’ble Ministers,
Members of the Parliament,
Hon’ble The चांसलर ऑफ द ज्यूडिशियरी,
अन्य महानुभाव,
देवियों और सज्जनों,

गयाना की इस ऐतिहासिक पार्लियामेंट में, आप सभी ने मुझे अपने बीच आने के लिए निमंत्रित किया, मैं आपका बहुत-बहुत आभारी हूं। कल ही गयाना ने मुझे अपना सर्वोच्च सम्मान दिया है। मैं इस सम्मान के लिए भी आप सभी का, गयाना के हर नागरिक का हृदय से आभार व्यक्त करता हूं। गयाना का हर नागरिक मेरे लिए ‘स्टार बाई’ है। यहां के सभी नागरिकों को धन्यवाद! ये सम्मान मैं भारत के प्रत्येक नागरिक को समर्पित करता हूं।

साथियों,

भारत और गयाना का नाता बहुत गहरा है। ये रिश्ता, मिट्टी का है, पसीने का है,परिश्रम का है करीब 180 साल पहले, किसी भारतीय का पहली बार गयाना की धरती पर कदम पड़ा था। उसके बाद दुख में,सुख में,कोई भी परिस्थिति हो, भारत और गयाना का रिश्ता, आत्मीयता से भरा रहा है। India Arrival Monument इसी आत्मीय जुड़ाव का प्रतीक है। अब से कुछ देर बाद, मैं वहां जाने वाला हूं,

साथियों,

आज मैं भारत के प्रधानमंत्री के रूप में आपके बीच हूं, लेकिन 24 साल पहले एक जिज्ञासु के रूप में मुझे इस खूबसूरत देश में आने का अवसर मिला था। आमतौर पर लोग ऐसे देशों में जाना पसंद करते हैं, जहां तामझाम हो, चकाचौंध हो। लेकिन मुझे गयाना की विरासत को, यहां के इतिहास को जानना था,समझना था, आज भी गयाना में कई लोग मिल जाएंगे, जिन्हें मुझसे हुई मुलाकातें याद होंगीं, मेरी तब की यात्रा से बहुत सी यादें जुड़ी हुई हैं, यहां क्रिकेट का पैशन, यहां का गीत-संगीत, और जो बात मैं कभी नहीं भूल सकता, वो है चटनी, चटनी भारत की हो या फिर गयाना की, वाकई कमाल की होती है,

साथियों,

बहुत कम ऐसा होता है, जब आप किसी दूसरे देश में जाएं,और वहां का इतिहास आपको अपने देश के इतिहास जैसा लगे,पिछले दो-ढाई सौ साल में भारत और गयाना ने एक जैसी गुलामी देखी, एक जैसा संघर्ष देखा, दोनों ही देशों में गुलामी से मुक्ति की एक जैसी ही छटपटाहट भी थी, आजादी की लड़ाई में यहां भी,औऱ वहां भी, कितने ही लोगों ने अपना जीवन समर्पित कर दिया, यहां गांधी जी के करीबी सी एफ एंड्रूज हों, ईस्ट इंडियन एसोसिएशन के अध्यक्ष जंग बहादुर सिंह हों, सभी ने गुलामी से मुक्ति की ये लड़ाई मिलकर लड़ी,आजादी पाई। औऱ आज हम दोनों ही देश,दुनिया में डेमोक्रेसी को मज़बूत कर रहे हैं। इसलिए आज गयाना की संसद में, मैं आप सभी का,140 करोड़ भारतवासियों की तरफ से अभिनंदन करता हूं, मैं गयाना संसद के हर प्रतिनिधि को बधाई देता हूं। गयाना में डेमोक्रेसी को मजबूत करने के लिए आपका हर प्रयास, दुनिया के विकास को मजबूत कर रहा है।

साथियों,

डेमोक्रेसी को मजबूत बनाने के प्रयासों के बीच, हमें आज वैश्विक परिस्थितियों पर भी लगातार नजर ऱखनी है। जब भारत और गयाना आजाद हुए थे, तो दुनिया के सामने अलग तरह की चुनौतियां थीं। आज 21वीं सदी की दुनिया के सामने, अलग तरह की चुनौतियां हैं।
दूसरे विश्व युद्ध के बाद बनी व्यवस्थाएं और संस्थाएं,ध्वस्त हो रही हैं, कोरोना के बाद जहां एक नए वर्ल्ड ऑर्डर की तरफ बढ़ना था, दुनिया दूसरी ही चीजों में उलझ गई, इन परिस्थितियों में,आज विश्व के सामने, आगे बढ़ने का सबसे मजबूत मंत्र है-"Democracy First- Humanity First” "Democracy First की भावना हमें सिखाती है कि सबको साथ लेकर चलो,सबको साथ लेकर सबके विकास में सहभागी बनो। Humanity First” की भावना हमारे निर्णयों की दिशा तय करती है, जब हम Humanity First को अपने निर्णयों का आधार बनाते हैं, तो नतीजे भी मानवता का हित करने वाले होते हैं।

साथियों,

हमारी डेमोक्रेटिक वैल्यूज इतनी मजबूत हैं कि विकास के रास्ते पर चलते हुए हर उतार-चढ़ाव में हमारा संबल बनती हैं। एक इंक्लूसिव सोसायटी के निर्माण में डेमोक्रेसी से बड़ा कोई माध्यम नहीं। नागरिकों का कोई भी मत-पंथ हो, उसका कोई भी बैकग्राउंड हो, डेमोक्रेसी हर नागरिक को उसके अधिकारों की रक्षा की,उसके उज्जवल भविष्य की गारंटी देती है। और हम दोनों देशों ने मिलकर दिखाया है कि डेमोक्रेसी सिर्फ एक कानून नहीं है,सिर्फ एक व्यवस्था नहीं है, हमने दिखाया है कि डेमोक्रेसी हमारे DNA में है, हमारे विजन में है, हमारे आचार-व्यवहार में है।

साथियों,

हमारी ह्यूमन सेंट्रिक अप्रोच,हमें सिखाती है कि हर देश,हर देश के नागरिक उतने ही अहम हैं, इसलिए, जब विश्व को एकजुट करने की बात आई, तब भारत ने अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान One Earth, One Family, One Future का मंत्र दिया। जब कोरोना का संकट आया, पूरी मानवता के सामने चुनौती आई, तब भारत ने One Earth, One Health का संदेश दिया। जब क्लाइमेट से जुड़े challenges में हर देश के प्रयासों को जोड़ना था, तब भारत ने वन वर्ल्ड, वन सन, वन ग्रिड का विजन रखा, जब दुनिया को प्राकृतिक आपदाओं से बचाने के लिए सामूहिक प्रयास जरूरी हुए, तब भारत ने CDRI यानि कोएलिशन फॉर डिज़ास्टर रज़ीलिएंट इंफ्रास्ट्रक्चर का initiative लिया। जब दुनिया में pro-planet people का एक बड़ा नेटवर्क तैयार करना था, तब भारत ने मिशन LiFE जैसा एक global movement शुरु किया,

साथियों,

"Democracy First- Humanity First” की इसी भावना पर चलते हुए, आज भारत विश्वबंधु के रूप में विश्व के प्रति अपना कर्तव्य निभा रहा है। दुनिया के किसी भी देश में कोई भी संकट हो, हमारा ईमानदार प्रयास होता है कि हम फर्स्ट रिस्पॉन्डर बनकर वहां पहुंचे। आपने कोरोना का वो दौर देखा है, जब हर देश अपने-अपने बचाव में ही जुटा था। तब भारत ने दुनिया के डेढ़ सौ से अधिक देशों के साथ दवाएं और वैक्सीन्स शेयर कीं। मुझे संतोष है कि भारत, उस मुश्किल दौर में गयाना की जनता को भी मदद पहुंचा सका। दुनिया में जहां-जहां युद्ध की स्थिति आई,भारत राहत और बचाव के लिए आगे आया। श्रीलंका हो, मालदीव हो, जिन भी देशों में संकट आया, भारत ने आगे बढ़कर बिना स्वार्थ के मदद की, नेपाल से लेकर तुर्की और सीरिया तक, जहां-जहां भूकंप आए, भारत सबसे पहले पहुंचा है। यही तो हमारे संस्कार हैं, हम कभी भी स्वार्थ के साथ आगे नहीं बढ़े, हम कभी भी विस्तारवाद की भावना से आगे नहीं बढ़े। हम Resources पर कब्जे की, Resources को हड़पने की भावना से हमेशा दूर रहे हैं। मैं मानता हूं,स्पेस हो,Sea हो, ये यूनीवर्सल कन्फ्लिक्ट के नहीं बल्कि यूनिवर्सल को-ऑपरेशन के विषय होने चाहिए। दुनिया के लिए भी ये समय,Conflict का नहीं है, ये समय, Conflict पैदा करने वाली Conditions को पहचानने और उनको दूर करने का है। आज टेरेरिज्म, ड्रग्स, सायबर क्राइम, ऐसी कितनी ही चुनौतियां हैं, जिनसे मुकाबला करके ही हम अपनी आने वाली पीढ़ियों का भविष्य संवार पाएंगे। और ये तभी संभव है, जब हम Democracy First- Humanity First को सेंटर स्टेज देंगे।

साथियों,

भारत ने हमेशा principles के आधार पर, trust और transparency के आधार पर ही अपनी बात की है। एक भी देश, एक भी रीजन पीछे रह गया, तो हमारे global goals कभी हासिल नहीं हो पाएंगे। तभी भारत कहता है – Every Nation Matters ! इसलिए भारत, आयलैंड नेशन्स को Small Island Nations नहीं बल्कि Large ओशिन कंट्रीज़ मानता है। इसी भाव के तहत हमने इंडियन ओशन से जुड़े आयलैंड देशों के लिए सागर Platform बनाया। हमने पैसिफिक ओशन के देशों को जोड़ने के लिए भी विशेष फोरम बनाया है। इसी नेक नीयत से भारत ने जी-20 की प्रेसिडेंसी के दौरान अफ्रीकन यूनियन को जी-20 में शामिल कराकर अपना कर्तव्य निभाया।

साथियों,

आज भारत, हर तरह से वैश्विक विकास के पक्ष में खड़ा है,शांति के पक्ष में खड़ा है, इसी भावना के साथ आज भारत, ग्लोबल साउथ की भी आवाज बना है। भारत का मत है कि ग्लोबल साउथ ने अतीत में बहुत कुछ भुगता है। हमने अतीत में अपने स्वभाव औऱ संस्कारों के मुताबिक प्रकृति को सुरक्षित रखते हुए प्रगति की। लेकिन कई देशों ने Environment को नुकसान पहुंचाते हुए अपना विकास किया। आज क्लाइमेट चेंज की सबसे बड़ी कीमत, ग्लोबल साउथ के देशों को चुकानी पड़ रही है। इस असंतुलन से दुनिया को निकालना बहुत आवश्यक है।

साथियों,

भारत हो, गयाना हो, हमारी भी विकास की आकांक्षाएं हैं, हमारे सामने अपने लोगों के लिए बेहतर जीवन देने के सपने हैं। इसके लिए ग्लोबल साउथ की एकजुट आवाज़ बहुत ज़रूरी है। ये समय ग्लोबल साउथ के देशों की Awakening का समय है। ये समय हमें एक Opportunity दे रहा है कि हम एक साथ मिलकर एक नया ग्लोबल ऑर्डर बनाएं। और मैं इसमें गयाना की,आप सभी जनप्रतिनिधियों की भी बड़ी भूमिका देख रहा हूं।

साथियों,

यहां अनेक women members मौजूद हैं। दुनिया के फ्यूचर को, फ्यूचर ग्रोथ को, प्रभावित करने वाला एक बहुत बड़ा फैक्टर दुनिया की आधी आबादी है। बीती सदियों में महिलाओं को Global growth में कंट्रीब्यूट करने का पूरा मौका नहीं मिल पाया। इसके कई कारण रहे हैं। ये किसी एक देश की नहीं,सिर्फ ग्लोबल साउथ की नहीं,बल्कि ये पूरी दुनिया की कहानी है।
लेकिन 21st सेंचुरी में, global prosperity सुनिश्चित करने में महिलाओं की बहुत बड़ी भूमिका होने वाली है। इसलिए, अपनी G-20 प्रेसीडेंसी के दौरान, भारत ने Women Led Development को एक बड़ा एजेंडा बनाया था।

साथियों,

भारत में हमने हर सेक्टर में, हर स्तर पर, लीडरशिप की भूमिका देने का एक बड़ा अभियान चलाया है। भारत में हर सेक्टर में आज महिलाएं आगे आ रही हैं। पूरी दुनिया में जितने पायलट्स हैं, उनमें से सिर्फ 5 परसेंट महिलाएं हैं। जबकि भारत में जितने पायलट्स हैं, उनमें से 15 परसेंट महिलाएं हैं। भारत में बड़ी संख्या में फाइटर पायलट्स महिलाएं हैं। दुनिया के विकसित देशों में भी साइंस, टेक्नॉलॉजी, इंजीनियरिंग, मैथ्स यानि STEM graduates में 30-35 परसेंट ही women हैं। भारत में ये संख्या फोर्टी परसेंट से भी ऊपर पहुंच चुकी है। आज भारत के बड़े-बड़े स्पेस मिशन की कमान महिला वैज्ञानिक संभाल रही हैं। आपको ये जानकर भी खुशी होगी कि भारत ने अपनी पार्लियामेंट में महिलाओं को रिजर्वेशन देने का भी कानून पास किया है। आज भारत में डेमोक्रेटिक गवर्नेंस के अलग-अलग लेवल्स पर महिलाओं का प्रतिनिधित्व है। हमारे यहां लोकल लेवल पर पंचायती राज है, लोकल बॉड़ीज़ हैं। हमारे पंचायती राज सिस्टम में 14 लाख से ज्यादा यानि One point four five मिलियन Elected Representatives, महिलाएं हैं। आप कल्पना कर सकते हैं, गयाना की कुल आबादी से भी करीब-करीब दोगुनी आबादी में हमारे यहां महिलाएं लोकल गवर्नेंट को री-प्रजेंट कर रही हैं।

साथियों,

गयाना Latin America के विशाल महाद्वीप का Gateway है। आप भारत और इस विशाल महाद्वीप के बीच अवसरों और संभावनाओं का एक ब्रिज बन सकते हैं। हम एक साथ मिलकर, भारत और Caricom की Partnership को और बेहतर बना सकते हैं। कल ही गयाना में India-Caricom Summit का आयोजन हुआ है। हमने अपनी साझेदारी के हर पहलू को और मजबूत करने का फैसला लिया है।

साथियों,

गयाना के विकास के लिए भी भारत हर संभव सहयोग दे रहा है। यहां के इंफ्रास्ट्रक्चर में निवेश हो, यहां की कैपेसिटी बिल्डिंग में निवेश हो भारत और गयाना मिलकर काम कर रहे हैं। भारत द्वारा दी गई ferry हो, एयरक्राफ्ट हों, ये आज गयाना के बहुत काम आ रहे हैं। रीन्युएबल एनर्जी के सेक्टर में, सोलर पावर के क्षेत्र में भी भारत बड़ी मदद कर रहा है। आपने t-20 क्रिकेट वर्ल्ड कप का शानदार आयोजन किया है। भारत को खुशी है कि स्टेडियम के निर्माण में हम भी सहयोग दे पाए।

साथियों,

डवलपमेंट से जुड़ी हमारी ये पार्टनरशिप अब नए दौर में प्रवेश कर रही है। भारत की Energy डिमांड तेज़ी से बढ़ रही हैं, और भारत अपने Sources को Diversify भी कर रहा है। इसमें गयाना को हम एक महत्वपूर्ण Energy Source के रूप में देख रहे हैं। हमारे Businesses, गयाना में और अधिक Invest करें, इसके लिए भी हम निरंतर प्रयास कर रहे हैं।

साथियों,

आप सभी ये भी जानते हैं, भारत के पास एक बहुत बड़ी Youth Capital है। भारत में Quality Education और Skill Development Ecosystem है। भारत को, गयाना के ज्यादा से ज्यादा Students को Host करने में खुशी होगी। मैं आज गयाना की संसद के माध्यम से,गयाना के युवाओं को, भारतीय इनोवेटर्स और वैज्ञानिकों के साथ मिलकर काम करने के लिए भी आमंत्रित करता हूँ। Collaborate Globally And Act Locally, हम अपने युवाओं को इसके लिए Inspire कर सकते हैं। हम Creative Collaboration के जरिए Global Challenges के Solutions ढूंढ सकते हैं।

साथियों,

गयाना के महान सपूत श्री छेदी जगन ने कहा था, हमें अतीत से सबक लेते हुए अपना वर्तमान सुधारना होगा और भविष्य की मजबूत नींव तैयार करनी होगी। हम दोनों देशों का साझा अतीत, हमारे सबक,हमारा वर्तमान, हमें जरूर उज्जवल भविष्य की तरफ ले जाएंगे। इन्हीं शब्दों के साथ मैं अपनी बात समाप्त करता हूं, मैं आप सभी को भारत आने के लिए भी निमंत्रित करूंगा, मुझे गयाना के ज्यादा से ज्यादा जनप्रतिनिधियों का भारत में स्वागत करते हुए खुशी होगी। मैं एक बार फिर गयाना की संसद का, आप सभी जनप्रतिनिधियों का, बहुत-बहुत आभार, बहुत बहुत धन्यवाद।