মঞ্চে উপস্থিতগণ্যমান্য অতিথিবর্গ এবং আমার প্রিয় নবযুবক বন্ধুরা, আপনাদের সবাইকে ২১তম জাতীয়যুব মহোৎসব উপলক্ষে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। সময়ের অভাবে আমি আজ রোহতকে আসতে পারিনি।কিন্তু আমি যে ছবি দেখতে পাচ্ছি, খুব ভালো লাগছে যে আজ এই মহোৎসবও ২১ বছরের যুবকহয়ে উঠেছে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত আমার নবযুবক বন্ধুদের চেহারায় এতো শক্তিদেখতে পাচ্ছি, আমার খুব ভালো লাগছে।
আজ জাতীয় যুবদিবস স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী আমি আপনাদের সবার মাধ্যমে দেশের প্রত্যেকনবযুবকদের এই বিশেষ দিনের শুভেচ্ছা জানাই। অতি অল্প সময়ে কত বেশি লক্ষ্য পূরণ করাযায়, তার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি ছিলেন ক্ষণজীবীপুরুষ। আপামর যুবসম্প্রদায়ের জন্য তিনি অসীম প্রেরণার উৎসস্থল। তিনি বলতেন, এইসময়ে আমাদের দেশে লোহার মতো পেশী আর মজবুত স্নায়ুসম্পন্ন অনেক শরীর চাই। দৃঢ়ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন যুবকদের চাই।
স্বামীবিবেকানন্দ এমন যুবসম্প্রদায় গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, যাঁরা জাতি, ধর্ম ও বর্ণেরউর্ধ্বে প্রেম ও বিশ্বাসকে স্থান দেবে, যাঁরা অতীতের কথা না ভেবে ভবিষ্যতেরলক্ষ্যে কাজ করে তাঁরাই যুবক। আজ যুবকরা যে কাজ করে, সেটাই আগামীদিনের ভবিষ্যৎ।
বন্ধুগণ, আজ ভারত বিশ্বেরসর্বাধিক নবীন দেশ। ৮০ কোটিরও বেশি মানুষের বয়স ৩৫ বছরের নিচে। আজ আমাদের মধ্যেস্বামী বিবেকানন্দ নেই, অর্থাৎ আমি বলতে চাইছি তিনি সাক্ষাৎ রূপে নেই, কিন্তু তাঁরদর্শনে এত শক্তি রয়েছে, এত প্রেরণা রয়েছে যে দেশের যুব সম্প্রদায়কে সংগঠিত করেপ্রতিনিয়ত রাষ্ট্র গঠনের পথ প্রদর্শন করছে। আজ ভারত বিশ্বগুরু হয়ে ওঠার ক্ষমতারাখে।
আজ আমার যে নবযুবক বন্ধুরা রোহতকেরয়েছেন, তাঁদের জন্য হরিয়ানার মাটি অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক। এই ভূমি দেশকে বেদ ওউপনিষদ উপহার দিয়েছে, শ্রীমদ্ভগবত গীতা উপহার দিয়েছে, এই ভূমি বীরদের কর্মভূমি, জয়জওয়ান জয় কিষাণের ভূমি, সরস্বতীর পবিত্র ধারার ভূমি। নিজস্ব সংস্কৃতি ও মূল্যবোধেসুসজ্জিত হয়ে এগিয়ে যাওয়ার শিক্ষা দেশকে প্রদান করেছে এই ভূমি।
আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে এবার জাতীয় যুবমহোৎসবের মূলমন্ত্র হল ‘ইয়ুথ ফর ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ এই মহোৎসবের মাধ্যমেযুবসম্প্রদায়কে দৈনন্দিন জীবনে ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এইমহোৎসবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রত্যেক যুবক-যুবতীর প্রতি আমার বিনম্র আবেদন, আপনারাএখন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রত্যেকেই নিজের চারপাশের কমপক্ষে ১০টি পরিবারকে ডিজিটালমাধ্যমে লেনদেনের প্রশিক্ষণ দেবেন। দেশে ‘লেস ক্যাশ’ অর্থ ব্যবস্থা গড়ে তুলতেউল্লেখযোগ্য অবদান রাখুন। দেশকে কালো টাকা ও দুর্নীতিমুক্ত করার লড়াইয়ে আপনারানেতৃত্ব দিন।
এবার যুব মহোৎসবের লোগো হিসেবে সাদরেবেছে নেওয়া হয়েছে ‘হমারী লাডো’। এই মহোৎসবের মাধ্যমে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’অভিযান সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলার প্রচেষ্টা অত্যন্ত প্রশংসার দাবি রাখে।কেন্দ্রীয় সরকার এই হরিয়ানা থেকেই ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ অভিযান শুরু করেছিল।পুরুষদের তুলনায় নারীর সংখ্যা যে রাজ্যে সবচেয়ে কম ছিল, এই অভিযানের মাধ্যমেইতিমধ্যেই সেই অনুপাতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সেজন্য আমি হরিয়ানাবাসীদের শুভেচ্ছাজানাই। এটা প্রমাণ করে যে, আমরা যদি স্থিরপ্রজ্ঞ হয়ে কাজ করি, তা হলে যে কোনওঅসম্ভবকে সম্ভব করা যায়।
হরিয়ানার ভবিষ্যৎ নির্মাণে এই রাজ্যেরযুবসম্প্রদায় একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এমনিতে হরিয়ানারখেলোয়াড়রা অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পদক জিতে দেশের সম্মান বৃদ্ধি করেন। এবারএ রাজ্যের মহিলারাও ক্রীড়া ক্ষেত্রে আমাদের গর্বিত করছে। এই শতাব্দীকে ভারতেরশতাব্দী করে গড়ে তুলতে হরিয়ানা নতুন পথ দেখাচ্ছে।
বন্ধুগণ, জাতীয় যুব মহোৎসব আপনদেরসবাইকে নিজ নিজ প্রতিভা প্রদর্শনের মঞ্চ প্রদান করেছে। ভিন্ন ভিন্ন সাংস্কৃতিকপরিবেশ থেকে উঠে আসা নবযুবক বন্ধুরা এখানে পরস্পরকে জানা ও বোঝার সুযোগ পাবেন। ‘একভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর এটাই বাস্তব পরিবেশ। কিছুক্ষণ আগেই এই যুব মহোৎসবে সকলরাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সাংস্কৃতিক দলগুলির শোভাযাত্রা আমরা দেখেছি। নানাভাষা, নানা মত, নানা পরিধান, নানা খাদ্যাভাস, নানা রীতিনীতি থাকা সত্ত্বেও আমাদেরআত্মা এক – তার নাম ভারতীয়তা। এই ভারতীয়তার জন্য আমরা গর্ববোধ করি।
গভীরভাবে পরস্পরকে অনুভব করলে আমরা দেখবআমাদের মূল্যবোধ, মানবিকতা ও দর্শন প্রায় এক। একথা মাথায় রেখেই আমরা ‘এক ভারত,শ্রেষ্ঠ ভারত’ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের নানা প্রান্তের রাজ্যগুলির মধ্যে এক বছরেরজন্য ‘পার্টনারশিপ’ করিয়েছি। এ বছর হরিয়ানা তেলঙ্গানার সঙ্গে পার্টনারশিপে রয়েছে।এই দুই রাজ্য পরস্পরের মধ্যে কোন্ কোন্ বিষয়ে সহযোগিতা করবে, তার জন্য নিজেরাইকর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আশা করি, আজ হরিয়ানায় আগত তেলঙ্গনার ছাত্রছাত্রীরা এইরাজ্যটিকে ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারবে। এই প্রকল্প আজ এক গণআন্দোলনের মতোসাফল্যের পথে এগিয়ে চলেছে। গোটা দেশের যুবসম্প্রদায় পরস্পরের সঙ্গে মিলিত হচ্ছেন।
আমার নবীন বন্ধুরা, এ বছর দেশ পণ্ডিতদীনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্ম শতবার্ষিকী পালন করছে। দেশের যুবসম্প্রদায়ের জন্যপণ্ডিতজির মন্ত্র ছিল ‘চরৈবেতি চরৈবেতি’ অর্থাৎ ‘এগিয়ে যাও এগিয়ে যাও, কোথাও থামবেনা, রাষ্ট্র নির্মাণের পথে এগিয়ে যাও’।
বর্তমান প্রযুক্তির পরিবেশে দেশেরযুবসম্প্রদায়কে ‘থ্রি সি’ মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। প্রথম ‘সি’ বলতে আমি বুঝি –কালেক্টিভিটি, দ্বিতীয় ‘সি’ – কানেক্টিভিটি এবং তৃতীয় ‘সি’ – ক্রিয়েটিভিটি।‘কালেক্টিভিটি’ অর্থাৎ আমরা ঐক্যবদ্ধ হলেই বড় শক্তি হয়ে উঠব। আজ প্রযুক্তি নির্ভরবিশ্বে ‘কানেক্টিভিটি’ অর্থাৎ যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ চাই । আমরাএই যোগাযোগের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রযুক্তির পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধকেও যুক্ত করব।আর তৃতীয় ‘সি’ আমি বলেছি ‘ক্রিয়েটিভিটি’ অর্থাৎ সৃষ্টিশীলতা। নতুন নতুন আবিষ্কারেরমাধ্যমে আজকের যুবসম্প্রদায় পুরনো সমস্যাগুলির যুগপোযোগী সমাধান করবে বলেপ্রত্যাশা রাখি।
সেজন্য পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েতুলুন। মিলেমিশে দায়িত্ব পালন করুন। আর নতুন চিন্তা নিয়ে এগিয়ে যান। মনে রাখবেন,বিশ্বে সমস্ত নতুন চিন্তাভাবনাকে শুরুতে খারিজ করা হয়েছিল। প্রচলিত ব্যবস্থা, নতুনচিন্তাভাবনার বিরোধিতা করেই থাকে। কিন্তু দেশের যুবশক্তি এই বিরোধিতার সামনে মাথানত করবে না।
বন্ধুগণ, আজ থেকে ৫০ বছরেরও আগে পণ্ডিতদীনদয়াল উপাধ্যায় একাত্ম মানবতাবাদ নিয়ে বলতে গিয়ে যুবসম্প্রদায়কে দেশকে কুসংস্কারমুক্ত করে রাষ্ট্র নির্মাণের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, “আমাদের অনেক গোঁড়ামিকেনির্মূল করতে হবে, অনেক সংস্কার আনতে হবে, যা আমাদের মানবতার বিকাশ এবং রাষ্ট্রীয়ঐক্যের অনুকূল তাকেই শুধু আমরা পোষণ করব, আর যা বাধা দেয় তাকে নির্মূল করব। ঈশ্বরযেমন শরীর দিয়েছেন, আমাদের কোনও আত্মগ্লানি নিয়ে চলার প্রয়োজন নেই। কিন্তু শরীরেরকোথাও ফোঁড়া হলে তাকে অপারেশন করা প্রয়োজন। সুস্থ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাটার প্রয়োজন হয়না। আজ যদি সমাজ অস্পৃশ্যতা এবং ভেদাভেদ সম্বল করে থাকে, একজন মানুষ অপরজনকে মানুষবলে না ভাবলে জাতীয় ঐক্য কখনও সম্ভব হতে পারে না। সেজন্য এই অস্পৃশ্যতা ওভেদাভেদকে আমরা নির্মূল করব”।
পণ্ডিতজির এই আহ্বান আজও অত্যন্তপ্রাসঙ্গিক। সম্প্রতি সরকার কালো টাকা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিয়েছে।দেশের যুবসম্প্রদায় যেভাবে এই পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছেন, তা প্রমাণ করে যেসমাজের সকল অন্যায়কে নির্মূল করার জন্য আপনারা কত উদগ্রীব।
আপনাদের এই ভাবনার শক্তিকে সম্বল করেই আমিজোর গলায় বলি, আমার দেশে পরিবর্তন আসছে। দেশের নানা প্রান্তে লক্ষ লক্ষ যুবকনিজেদের মতো করে কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। নতুন নতুন চিন্তাভাবনা, নতুননতুন দর্শন প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। আমি তাঁদের এই আন্তরিক প্রয়াস ও উচ্চ ভাবনাকেশ্রদ্ধা জানাই। কিছুদিন আগে আমি এক কন্যার উদাহরণ দিয়ে বলেছিলাম, সে বিয়েতেঅতিথিদের প্রত্যেককে ফিরতি উপহার হিসেবে আমগাছের চারা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।পরিবেশ রক্ষার জন্য এই ভাবনা একটি দৃষ্টান্তস্বরূপ।
তেমনই এক জায়গায় ডাস্টবিনকে বিজ্ঞাপনেরসঙ্গে যুক্ত করে স্থানীয় যুবকরা পরিচ্ছন্নতার নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ফলে,তাঁদের এলাকায় এখন সকল ডাস্টবিন হয়ে উঠেছে অ্যাডবিন। সেগুলির পরিচ্ছন্নতার দায়িত্বনিয়েছে বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলি।
তেমনই বিগত কয়েক মাস আগে ১০ দিন ধরেরিলে ফরম্যাটে ৬ হাজার কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে ‘গোল্ডেন কোয়াড্রিলোটারেল চ্যালেঞ্জ’সম্পূর্ণ করেছেন। তাঁদের মূলমন্ত্র ছিল ‘ফলো দ্য রুলস্ অ্যান্ড ইন্ডিয়া উইল রুল’।
আমাদের দেশের প্রত্যেক প্রান্তেরযুবসম্প্রদায়ের মধ্যে এরকম নতুন ভাবনাচিন্তা ও নতুন উদ্ভাবনশক্তি রয়েছে। কেউ পাহাড়থেকে বেরিয়ে আসা, ছোট ছোট ঝর্ণা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে পাহাড়ের কোলের গ্রামটিকেআলোকিত করছেন, কেউবা বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদন করছেন, অন্যরা প্রযুক্তির মাধ্যমেপ্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করছেন কিংবা খরা পীড়িত অঞ্চলে জলসংরক্ষণে নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করছেন। দেশের যুবক-যুবতীদের জন্য আমি স্বামীবিবেকানন্দের বাণী উচ্চারণ করতে চাই, ‘ওঠো, জাগো, আর যতক্ষণ না লক্ষ্যে পৌঁছাওচলতে থাকো’।
‘ওঠো’ বলতে তিনি বুঝিয়েছেন, শরীরকেচৈতন্যময় করো, সক্রিয় থাকো। কখনও আমরা দেখেছি, উঠে গেলেও আমরা জেগে থাকি না।সেজন্য পরিস্থিতিকে সঠিকভাবে বুঝতে পারি না। তাই, ওঠার পাশাপাশি জেগে থাকা, সতর্কথাকার প্রয়োজন রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না লক্ষ্য প্রাপ্তি হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত নাথামার এই বাণী আমাদের সকলকে প্রেরণা যোগায়।
বন্ধুগণ, আমার সামনে আজ আপনারা দেশের বৌদ্ধিকশক্তিরূপে বিরাজমান। আপনাদের এই শক্তিকে সৃষ্টিশীলভাবে প্রয়োগের প্রয়োজন রয়েছে। গুজবএবং ভ্রান্তি থেকে যুবসম্প্রদায়কে রক্ষা করার প্রয়োজন রয়েছে। নেশা ও অপরাধ থেকেদূরে থাকার প্রয়োজন রয়েছে। ভাবনাচিন্তা মন্থনের মাধ্যমে নতুন নতুন পথ খুঁজে বেরকরা এবং লক্ষ্যে পৌঁছনোর প্রয়োজন রয়েছে। আপনাদের সামনে রয়েছে সম্ভাবনার খোলা আকাশ।
সততা এবং নিরপেক্ষতা আপনাদেরপ্রতিস্পর্ধাকে শক্তি যোগাবে। নৈতিক মূল্যবোধ আপনাদের আচার-আচরণকে অগ্নিশুদ্ধকরবে। লক্ষ্যপ্রাপ্তি কঠিন, লক্ষ্যচ্যূতি অত্যন্ত সহজ। সুখী ও সম্পন্ন জীবনেরআকাঙ্খা থাকা ভুল নয়, কিন্তু পাশাপাশি সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধকে বুঝে নেওয়ারওপ্রয়োজন রয়েছে। আপনাদের সামনে আমি ৬টি সমস্যার কথা তুলে ধরতে চাই, যেগুলি আপনাদেরজয় করতে হবে।
১) সমাজের প্রতি অজ্ঞতা
২) সমাজের প্রতি সংবেদনহীনতা
৩) সমাজের প্রতি বহু ব্যবহৃত ভাবনাচিন্তা
৪) জাতপাতের উর্ধ্বে উঠে ভাবনাচিন্তারঅক্ষমতা
৫) মা, বোন ও কন্যাদের প্রতিদুর্ব্যবহার
৬) পরিবেশের প্রতি দায়িত্বজ্ঞানহীনতা
এই ৬টি সমস্যাকে পরাজিত করার কথা ভেবেআপনাদের এগিয়ে যেতে হবে। তা হলে আপনাদের জয় সুনিশ্চিত।
আপনারা সকলেই প্রযুক্তি-বান্ধব পরিবেশেবড় হচ্ছেন। এই প্রযুক্তি কিভাবে সাধারণ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে,তা আপনাদের ভাবতে হবে। কোটি কোটি যুবকের সম্মিলিত আওয়াজ দেশের দরিদ্র মানুষের পাশেদাঁড়ানোর শক্তি হয়ে উঠুক।
আমার বন্ধুরা, আপনারা সকলে নতুন দিগন্তস্পর্শ করুন। উন্নয়নের নতুন দৃষ্টিভঙ্গী গড়ে তুলুন এই শুভেচ্ছা জানিয়ে আপনাদেরজাতীয় যুব দিবস এবং আপনারা যে মহোৎসবে অংশগ্রহণ করছেন, সেজন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছাজানাই। স্বামী বিবেকানন্দের পূণ্যস্মৃতিতে আমরা নতুন শক্তিতে উজ্জীবিত হয়ে সমাজ,রাষ্ট্র, পরিবার, গ্রাম ও গরিব কৃষকের ভালোর জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করার সংকল্পনিন, দেখবেন এতে জীবনে যে আনন্দ পাবেন, তা অতুলনীয়। সেই আনন্দ আপনাকে শক্তিরূপধারণ করতে সাহায্য করবে। আপনাদের অনেক শুভেচ্ছা জানাই। দেশের নানা প্রান্ত থেকে এসেযাঁরা এখানে সমবেত হয়েছেন, এই গীতার ভূমি থেকে আপনারা কর্মের বার্তা গ্রহণ করুন।নিষ্কাম কর্মযোগের সন্দেশ। আপনাদের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই।