A new India is being built, powered by the talented youth: PM Modi
Youth are at the forefront when it comes to making India a startup hub: PM Modi
This decade of the 21st century has brought great fortune for India, most of India's population is below 35 years of age: PM

লক্ষ্ণৌ শহরে সমবেত তরুণ-তরুণীদের আমার নমস্কার। আপনাদের সবাইকে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

আজকের এই দিন প্রত্যেক ভারতীয় যুবক-যুবতীর জন্যে বড় প্রেরণার দিন, নতুন সংকল্প গ্রহণের দিন। আজকের দিনে ভারত স্বামী বিবেকানন্দ রূপে এমন এক প্রাণশক্তি পেয়েছিল, যিনি আজও আমাদের দেশকে প্রাণপ্রাচুর্য্যে ভরপুর করে রেখেছেন। এক এমন প্রাণশক্তি, যা আমাদের নিরন্তর প্রেরণা যোগাচ্ছে, আমাদের ভবিষ্যতের পথ দেখাচ্ছে।

বন্ধুগণ, স্বামী বিবেকানন্দ ভারতের যুবসম্প্রদায়কে নিজেদের গৌরবময় অতীত আর বৈভবশালী ভবিষ্যতের মধ্যে একটি শক্তিশালী সেতুরূপে দেখতেন। স্বামী বিবেকানন্দ বলতেন যে, সমস্ত শক্তি তোমাদের মধ্যেই রয়েছে, সেই শক্তিকে প্রকট করো, বিশ্বাস করতে শুরু করো যে তুমি সবকিছু করতে পারো। নিজের উপর এই বিশ্বাস, অসম্ভব মনে হওয়া সবকিছুকে সম্ভব করে তোলার এই বার্তা আজও দেশের যুবসম্প্রদায়ের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, ভারতের আজকের নবীন প্রজন্ম এই বার্তা ভালভাবেই হৃদয়ঙ্গম করছেন, নিজেদের উপর আস্থা রেখে এগিয়ে চলেছেন।

আজকের ভারতে উদ্ভাবন, ইনকিউবেশন এবং স্টার্ট আপ-এর নতুন ধারার নেতৃত্ব কারা দিচ্ছেন? আপনারাই দিচ্ছেন, দেশের যুবসম্প্রদায় দিচ্ছে। আজ যখন ভারত স্টার্ট আপ বাস্তু ব্যবস্থার ক্ষেত্রে বিশ্বের সর্বাগ্রগণ্য তিনটি দেশের অন্যতম হয়ে উঠেছে, এর পেছনে কাদের শ্রম রয়েছে? আপনাদের, আপনাদের মতো দেশের অসংখ্য যুবক-যুবতীর শ্রম। আজ ভারত বিশ্বে ইউনিকর্নস উৎপাদনের ক্ষেত্রে এক বিলিয়ন ডলারের বেশি মূলধনসম্পন্ন তৃতীয় বৃহত্তম দেশ হয়ে উঠেছে। এর পেছনে কাদের শক্তি রয়েছে? আপনাদের, আপনাদের মতো দেশের অসংখ্য যুবক-যুবতীরপরিশ্রমরয়েছে।

বন্ধুগণ, ২০১৪ সালের আগে আমাদের দেশে বছরে গড়ে ৪ হাজার পেটেন্ট ছিল। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে বছরে ১৫ হাজারের বেশি পেটেন্ট হচ্ছে, অর্থাৎ প্রায় চারগুণ। এর পেছনে কাদের পরিশ্রম রয়েছে? আপনাদের, আপনাদের মতো দেশের অসংখ্য যুবক-যুবতীর পরিশ্রম রয়েছে।

বন্ধুগণ, ২৬ হাজার নতুন স্টার্ট আপ খোলা বিশ্বের যে কোনও দেশের কাছে স্বপ্নের মতো বলে মনে হতে পারে। এই স্বপ্ন আজ ভারতে সত্যি হয়েছে। এর পেছনে ভারতেরনবীনপ্রজন্মেরশক্তি রয়েছে? তাঁদেরইস্বপ্নরয়েছে। আর এর থেকেও বড় কথা হ’ল, ভারতের নবীন বন্ধুরা তাঁদের স্বপ্নকে দেশের প্রয়োজনের সঙ্গে জুড়েছেন, দেশের আশা-আকাঙ্খার সঙ্গে জুড়েছেন। দেশ গঠনের দায়িত্ব আমার, আমাদেরই জন্য, আর আমাদেরকেই তা করতে হবে; আজ দেশের নবীন প্রজন্ম এই ভাবনায় পরিপূর্ণ।

বন্ধুগণ, আজ দেশের নবীন প্রজন্ম নতুন নতুন অ্যাপ্স তৈরি করছেন, যাতে নিজেদের জীবন সহজ হয় আর দেশবাসীরও সুবিধা হয়। আজ দেশের যুবসম্প্রদায় হ্যাকাথনের মাধ্যমে, প্রযুক্তির সফল প্রয়োগের মাধ্যমে, দেশের হাজার সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন, সহজ ও সুলভ সমাধান খুঁজছেন। আজ দেশের যুব সম্প্রদায় পরিবর্তিত কাজের প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন নতুন শিল্পোদ্যোগ গড়ে তুলছেন। নিজেরা দিনরাত পরিশ্রম করছেন, ঝুঁকি নিচ্ছেন, সাহস করছেন, অন্যদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করছেন।

আজকের যুবসম্প্রদায় কোনও কাজে হাত দেওয়ার আগে এটা দেখছে না যে এই প্রকল্প কারা শুরু করেছে? তাঁরা নিজেরাই নেতৃত্ব দিতে এগিয়ে আসছেন। আমি যদি স্বচ্ছ ভারত অভিযানের উদাহরণ দিই, আমাদের দেশের যুবক-যুবতীরাই তো এই অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রত্যেকের বাড়ির চারপাশে, বাড়িতে বাড়িতে, পাড়ায় পাড়ায়, গ্রামে ও শহরে, সমুদ্রতটে বর্জ্য নিষ্কাশনের কাজ, প্লাস্টিক বর্জ্য নিষ্কাশনের কাজে তো আমাদের যুবক-যুবতীরাই এগিয়ে আসছেন।

বন্ধুগণ, আজ দেশের যুবসম্প্রদায়ের সামর্থ্যে নতুন ভারত নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে। এক এমন নতুন ভারত, যেখানে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’ও থাকবে আবার ‘ইজ অফ লিভিং’ –এর পথও সুগম হবে। এক এমন ভারত যে দেশে লালবাতি সংস্কৃতির কোনও স্থান নেই, যে দেশে সবাই সমান, যে দেশে প্রত্যেকে গুরুত্বপূর্ণ।

বন্ধুগণ, একবিংশ শতাব্দীর এই কালখণ্ড, একবিংশ শতাব্দীর এই দশক ভারতের জন্য অনেক সৌভাগ্য নিয়ে এসেছে। আমরা সৌভাগ্যবান যে আজ ভারতের নাগরিকদের অধিকাংশের বয়স ৩৫ বছরের কম। আমাদের এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে হবে। সেজন্যে বিগত দিনগুলিতে আমাদের সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে, অনেক নীতি প্রণয়ন করেছে। যুবশক্তিকে প্রকৃত অর্থে রাষ্ট্রশক্তিতে রূপান্তরিত করতে আজ দেশে একটি ব্যাপক প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হচ্ছে। দক্ষতা উন্নয়ন থেকে শুরু করে মুদ্রা ঋণ – নানাভাবে সরকার যুবসম্প্রদায়কে এগিয়ে যেতে সাহায্য করছে। স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া থেকে শুরু করে স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া, ফিট ইন্ডিয়া অভিযান কিংবা খেলো ইন্ডিয়া অভিযান যুবসম্প্রদায়কে কেন্দ্রে রেখেই এগিয়ে চলেছে।

বন্ধুগণ, আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব প্রদানে যুব সম্প্রদায়ের সক্রিয় অংশগ্রহণে জোর দিয়েছি। আপনারা হয়তো শুনেছেন যে সম্প্রতি ‘ডিআরডিও’-র গবেষণা সংশ্লিষ্ট পাঁচটি ‘নবীন বিজ্ঞানী গবেষনাগার’ উদ্বোধনের সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এই গবেষণাগারগুলিতে গবেষণা থেকে শুরু করে ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নেতৃত্বপ্রদানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৩৫ বছরের কম বয়সী বৈজ্ঞানিকদের। আপনারা হয়তো আগে কখনও এমন শোনেননি যে এত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব৩৫বছরেরকমবয়সীবৈজ্ঞানিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এটাই আমাদের ভাবনা, এটাই আমাদের কাজ করার পদ্ধতি। আমরা এই প্রত্যেক ক্ষেত্রে এই ধরণের ফলিত প্রয়োগ ও পরীক্ষানিরীক্ষার প্রয়োজন অনুভব করছি, এবং সেই অনুসারে লাগাতর কাজ করে চলেছি।

বন্ধুগণ, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে সমস্যাগুলিকেনতুনদৃষ্টিকোণথেকেসমাধানকরারএকটি অদ্ভুত ক্ষমতা থাকে। এই নবীন ভাবনাই আমাদের এই ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে শেখায়, যেগুলি সম্পর্কে কখনও ভাবতে পারাই অসম্ভব বলে মনে হয়। নবীন ভাবনা আমাদের বলে যে, সমস্যার মোকাবিলা করো, সেগুলির সমাধান করো। এখন আমাদের দেশও এই মনোভাব নিয়েই এগিয়ে চলেছে। আজ জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছে, কয়েকশো বছর পুরনো রাম জন্মভূমি বিবাদ সমাপ্ত হয়েছে, তিন তালাকের বিরুদ্ধে আইন পাশ করা হয়েছে, নাগরিকত্ব সংশোধন আইন আজ একটি বাস্তব সত্য। আগে দেশে সন্ত্রাসবাসী হামলার পর সরকার নিষ্ক্রিয় থাকতো। আর আমাদের সময়ে আপনারা সার্জিকাল স্ট্রাইক দেখেছেন, বিমান হানাও দেখেছেন।

বন্ধুগণ, আমাদের সরকার যুবসম্প্রদায়ের সঙ্গে রয়েছে, যুব সাহস এবং যুব স্বপ্নের সঙ্গে রয়েছে। আপনাদের সাফল্য শক্তিশালী ভারত, সক্ষম ভারত, সমৃদ্ধ ভারতের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করবে। আজ এই উপলক্ষ্যে আমি আপনাদের সামনে একটি অনুরোধ রাখতে চাইছি। আপনাদের উপর আমার ভরসা রয়েছে বলেই এই অনুরোধ করছি। বিবেকানন্দ জয়ন্তীতে আপনারা একটি দায়িত্ব গ্রহণ করুন।

আপনারা জানেন যে ২০২২সালে ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ হচ্ছে। স্বাধীনতা সংগ্রামীরা যে স্বাধীন ও সমৃদ্ধ ভারতের স্বপ্ন দেখে নিজেদের জীবন ও যৌবন দেশের জন্য আহুতি দিয়েছেন, আমি আপনাদের কাছে তাঁদের স্বপ্ন সাকার করার জন্যে আহ্বান জানিয়ে এই অনুরোধ রাখছি। আপনাদের মধ্যমে এই আন্দোলন আমি সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। আপনারা দেখুন যেন আমরা সবাই ২০২২ সাল পর্যন্ত যথাসম্ভব স্থানীয় পণ্য কিনি। আপনারা স্থানীয় উৎপাদিত পণ্য কিনবেন, প্রতিবেশীদেরও উৎসাহিত করবেন। এরকম করলে আপনি নিজের অজান্তেই দেশের কোনও নবীন বন্ধুকে সাহায্য করবেন। আপনারা নিজেদের লক্ষ্যে সফল হোন, এই কামনা করেই আমি আজকের বক্তব্য সম্পূর্ণ করছি।

আরেকবার জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষ্যে আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে ভারত মায়ের সুপুত্র স্বামী বিবেকানন্দের চরণে প্রণাম জানাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Explore More
৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪

জনপ্রিয় ভাষণ

৭৮ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নয়াদিল্লির লালকেল্লার প্রাকার থেকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১৫ই আগস্ট , ২০২৪
India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report

Media Coverage

India’s Biz Activity Surges To 3-month High In Nov: Report
NM on the go

Nm on the go

Always be the first to hear from the PM. Get the App Now!
...
Text of PM’s address at the Odisha Parba
November 24, 2024
Delighted to take part in the Odisha Parba in Delhi, the state plays a pivotal role in India's growth and is blessed with cultural heritage admired across the country and the world: PM
The culture of Odisha has greatly strengthened the spirit of 'Ek Bharat Shreshtha Bharat', in which the sons and daughters of the state have made huge contributions: PM
We can see many examples of the contribution of Oriya literature to the cultural prosperity of India: PM
Odisha's cultural richness, architecture and science have always been special, We have to constantly take innovative steps to take every identity of this place to the world: PM
We are working fast in every sector for the development of Odisha,it has immense possibilities of port based industrial development: PM
Odisha is India's mining and metal powerhouse making it’s position very strong in the steel, aluminium and energy sectors: PM
Our government is committed to promote ease of doing business in Odisha: PM
Today Odisha has its own vision and roadmap, now investment will be encouraged and new employment opportunities will be created: PM

जय जगन्नाथ!

जय जगन्नाथ!

केंद्रीय मंत्रिमंडल के मेरे सहयोगी श्रीमान धर्मेन्द्र प्रधान जी, अश्विनी वैष्णव जी, उड़िया समाज संस्था के अध्यक्ष श्री सिद्धार्थ प्रधान जी, उड़िया समाज के अन्य अधिकारी, ओडिशा के सभी कलाकार, अन्य महानुभाव, देवियों और सज्जनों।

ओडिशा र सबू भाईओ भउणी मानंकु मोर नमस्कार, एबंग जुहार। ओड़िया संस्कृति के महाकुंभ ‘ओड़िशा पर्व 2024’ कू आसी मँ गर्बित। आपण मानंकु भेटी मूं बहुत आनंदित।

मैं आप सबको और ओडिशा के सभी लोगों को ओडिशा पर्व की बहुत-बहुत बधाई देता हूँ। इस साल स्वभाव कवि गंगाधर मेहेर की पुण्यतिथि का शताब्दी वर्ष भी है। मैं इस अवसर पर उनका पुण्य स्मरण करता हूं, उन्हें श्रद्धांजलि देता हूँ। मैं भक्त दासिआ बाउरी जी, भक्त सालबेग जी, उड़िया भागवत की रचना करने वाले श्री जगन्नाथ दास जी को भी आदरपूर्वक नमन करता हूं।

ओडिशा निजर सांस्कृतिक विविधता द्वारा भारतकु जीबन्त रखिबारे बहुत बड़ भूमिका प्रतिपादन करिछि।

साथियों,

ओडिशा हमेशा से संतों और विद्वानों की धरती रही है। सरल महाभारत, उड़िया भागवत...हमारे धर्मग्रन्थों को जिस तरह यहाँ के विद्वानों ने लोकभाषा में घर-घर पहुंचाया, जिस तरह ऋषियों के विचारों से जन-जन को जोड़ा....उसने भारत की सांस्कृतिक समृद्धि में बहुत बड़ी भूमिका निभाई है। उड़िया भाषा में महाप्रभु जगन्नाथ जी से जुड़ा कितना बड़ा साहित्य है। मुझे भी उनकी एक गाथा हमेशा याद रहती है। महाप्रभु अपने श्री मंदिर से बाहर आए थे और उन्होंने स्वयं युद्ध का नेतृत्व किया था। तब युद्धभूमि की ओर जाते समय महाप्रभु श्री जगन्नाथ ने अपनी भक्त ‘माणिका गौउडुणी’ के हाथों से दही खाई थी। ये गाथा हमें बहुत कुछ सिखाती है। ये हमें सिखाती है कि हम नेक नीयत से काम करें, तो उस काम का नेतृत्व खुद ईश्वर करते हैं। हमेशा, हर समय, हर हालात में ये सोचने की जरूरत नहीं है कि हम अकेले हैं, हम हमेशा ‘प्लस वन’ होते हैं, प्रभु हमारे साथ होते हैं, ईश्वर हमेशा हमारे साथ होते हैं।

साथियों,

ओडिशा के संत कवि भीम भोई ने कहा था- मो जीवन पछे नर्के पडिथाउ जगत उद्धार हेउ। भाव ये कि मुझे चाहे जितने ही दुख क्यों ना उठाने पड़ें...लेकिन जगत का उद्धार हो। यही ओडिशा की संस्कृति भी है। ओडिशा सबु जुगरे समग्र राष्ट्र एबं पूरा मानब समाज र सेबा करिछी। यहाँ पुरी धाम ने ‘एक भारत श्रेष्ठ भारत’ की भावना को मजबूत बनाया। ओडिशा की वीर संतानों ने आज़ादी की लड़ाई में भी बढ़-चढ़कर देश को दिशा दिखाई थी। पाइका क्रांति के शहीदों का ऋण, हम कभी नहीं चुका सकते। ये मेरी सरकार का सौभाग्य है कि उसे पाइका क्रांति पर स्मारक डाक टिकट और सिक्का जारी करने का अवसर मिला था।

साथियों,

उत्कल केशरी हरे कृष्ण मेहताब जी के योगदान को भी इस समय पूरा देश याद कर रहा है। हम व्यापक स्तर पर उनकी 125वीं जयंती मना रहे हैं। अतीत से लेकर आज तक, ओडिशा ने देश को कितना सक्षम नेतृत्व दिया है, ये भी हमारे सामने है। आज ओडिशा की बेटी...आदिवासी समुदाय की द्रौपदी मुर्मू जी भारत की राष्ट्रपति हैं। ये हम सभी के लिए बहुत ही गर्व की बात है। उनकी प्रेरणा से आज भारत में आदिवासी कल्याण की हजारों करोड़ रुपए की योजनाएं शुरू हुई हैं, और ये योजनाएं सिर्फ ओडिशा के ही नहीं बल्कि पूरे भारत के आदिवासी समाज का हित कर रही हैं।

साथियों,

ओडिशा, माता सुभद्रा के रूप में नारीशक्ति और उसके सामर्थ्य की धरती है। ओडिशा तभी आगे बढ़ेगा, जब ओडिशा की महिलाएं आगे बढ़ेंगी। इसीलिए, कुछ ही दिन पहले मैंने ओडिशा की अपनी माताओं-बहनों के लिए सुभद्रा योजना का शुभारंभ किया था। इसका बहुत बड़ा लाभ ओडिशा की महिलाओं को मिलेगा। उत्कलर एही महान सुपुत्र मानंकर बिसयरे देश जाणू, एबं सेमानंक जीबन रु प्रेरणा नेउ, एथी निमन्ते एपरी आयौजनर बहुत अधिक गुरुत्व रहिछि ।

साथियों,

इसी उत्कल ने भारत के समुद्री सामर्थ्य को नया विस्तार दिया था। कल ही ओडिशा में बाली जात्रा का समापन हुआ है। इस बार भी 15 नवंबर को कार्तिक पूर्णिमा के दिन से कटक में महानदी के तट पर इसका भव्य आयोजन हो रहा था। बाली जात्रा प्रतीक है कि भारत का, ओडिशा का सामुद्रिक सामर्थ्य क्या था। सैकड़ों वर्ष पहले जब आज जैसी टेक्नोलॉजी नहीं थी, तब भी यहां के नाविकों ने समुद्र को पार करने का साहस दिखाया। हमारे यहां के व्यापारी जहाजों से इंडोनेशिया के बाली, सुमात्रा, जावा जैसे स्थानो की यात्राएं करते थे। इन यात्राओं के माध्यम से व्यापार भी हुआ और संस्कृति भी एक जगह से दूसरी जगह पहुंची। आजी विकसित भारतर संकल्पर सिद्धि निमन्ते ओडिशार सामुद्रिक शक्तिर महत्वपूर्ण भूमिका अछि।

साथियों,

ओडिशा को नई ऊंचाई तक ले जाने के लिए 10 साल से चल रहे अनवरत प्रयास....आज ओडिशा के लिए नए भविष्य की उम्मीद बन रहे हैं। 2024 में ओडिशावासियों के अभूतपूर्व आशीर्वाद ने इस उम्मीद को नया हौसला दिया है। हमने बड़े सपने देखे हैं, बड़े लक्ष्य तय किए हैं। 2036 में ओडिशा, राज्य-स्थापना का शताब्दी वर्ष मनाएगा। हमारा प्रयास है कि ओडिशा की गिनती देश के सशक्त, समृद्ध और तेजी से आगे बढ़ने वाले राज्यों में हो।

साथियों,

एक समय था, जब भारत के पूर्वी हिस्से को...ओडिशा जैसे राज्यों को पिछड़ा कहा जाता था। लेकिन मैं भारत के पूर्वी हिस्से को देश के विकास का ग्रोथ इंजन मानता हूं। इसलिए हमने पूर्वी भारत के विकास को अपनी प्राथमिकता बनाया है। आज पूरे पूर्वी भारत में कनेक्टिविटी के काम हों, स्वास्थ्य के काम हों, शिक्षा के काम हों, सभी में तेजी लाई गई है। 10 साल पहले ओडिशा को केंद्र सरकार जितना बजट देती थी, आज ओडिशा को तीन गुना ज्यादा बजट मिल रहा है। इस साल ओडिशा के विकास के लिए पिछले साल की तुलना में 30 प्रतिशत ज्यादा बजट दिया गया है। हम ओडिशा के विकास के लिए हर सेक्टर में तेजी से काम कर रहे हैं।

साथियों,

ओडिशा में पोर्ट आधारित औद्योगिक विकास की अपार संभावनाएं हैं। इसलिए धामरा, गोपालपुर, अस्तारंगा, पलुर, और सुवर्णरेखा पोर्ट्स का विकास करके यहां व्यापार को बढ़ावा दिया जाएगा। ओडिशा भारत का mining और metal powerhouse भी है। इससे स्टील, एल्युमिनियम और एनर्जी सेक्टर में ओडिशा की स्थिति काफी मजबूत हो जाती है। इन सेक्टरों पर फोकस करके ओडिशा में समृद्धि के नए दरवाजे खोले जा सकते हैं।

साथियों,

ओडिशा की धरती पर काजू, जूट, कपास, हल्दी और तिलहन की पैदावार बहुतायत में होती है। हमारा प्रयास है कि इन उत्पादों की पहुंच बड़े बाजारों तक हो और उसका फायदा हमारे किसान भाई-बहनों को मिले। ओडिशा की सी-फूड प्रोसेसिंग इंडस्ट्री में भी विस्तार की काफी संभावनाएं हैं। हमारा प्रयास है कि ओडिशा सी-फूड एक ऐसा ब्रांड बने, जिसकी मांग ग्लोबल मार्केट में हो।

साथियों,

हमारा प्रयास है कि ओडिशा निवेश करने वालों की पसंदीदा जगहों में से एक हो। हमारी सरकार ओडिशा में इज ऑफ डूइंग बिजनेस को बढ़ावा देने के लिए प्रतिबद्ध है। उत्कर्ष उत्कल के माध्यम से निवेश को बढ़ाया जा रहा है। ओडिशा में नई सरकार बनते ही, पहले 100 दिनों के भीतर-भीतर, 45 हजार करोड़ रुपए के निवेश को मंजूरी मिली है। आज ओडिशा के पास अपना विज़न भी है, और रोडमैप भी है। अब यहाँ निवेश को भी बढ़ावा मिलेगा, और रोजगार के नए अवसर भी पैदा होंगे। मैं इन प्रयासों के लिए मुख्यमंत्री श्रीमान मोहन चरण मांझी जी और उनकी टीम को बहुत-बहुत बधाई देता हूं।

साथियों,

ओडिशा के सामर्थ्य का सही दिशा में उपयोग करके उसे विकास की नई ऊंचाइयों पर पहुंचाया जा सकता है। मैं मानता हूं, ओडिशा को उसकी strategic location का बहुत बड़ा फायदा मिल सकता है। यहां से घरेलू और अंतर्राष्ट्रीय बाजार तक पहुंचना आसान है। पूर्व और दक्षिण-पूर्व एशिया के लिए ओडिशा व्यापार का एक महत्वपूर्ण हब है। Global value chains में ओडिशा की अहमियत आने वाले समय में और बढ़ेगी। हमारी सरकार राज्य से export बढ़ाने के लक्ष्य पर भी काम कर रही है।

साथियों,

ओडिशा में urbanization को बढ़ावा देने की अपार संभावनाएं हैं। हमारी सरकार इस दिशा में ठोस कदम उठा रही है। हम ज्यादा संख्या में dynamic और well-connected cities के निर्माण के लिए प्रतिबद्ध हैं। हम ओडिशा के टियर टू शहरों में भी नई संभावनाएं बनाने का भरपूर हम प्रयास कर रहे हैं। खासतौर पर पश्चिम ओडिशा के इलाकों में जो जिले हैं, वहाँ नए इंफ्रास्ट्रक्चर से नए अवसर पैदा होंगे।

साथियों,

हायर एजुकेशन के क्षेत्र में ओडिशा देशभर के छात्रों के लिए एक नई उम्मीद की तरह है। यहां कई राष्ट्रीय और अंतर्राष्ट्रीय इंस्टीट्यूट हैं, जो राज्य को एजुकेशन सेक्टर में लीड लेने के लिए प्रेरित करते हैं। इन कोशिशों से राज्य में स्टार्टअप्स इकोसिस्टम को भी बढ़ावा मिल रहा है।

साथियों,

ओडिशा अपनी सांस्कृतिक समृद्धि के कारण हमेशा से ख़ास रहा है। ओडिशा की विधाएँ हर किसी को सम्मोहित करती है, हर किसी को प्रेरित करती हैं। यहाँ का ओड़िशी नृत्य हो...ओडिशा की पेंटिंग्स हों...यहाँ जितनी जीवंतता पट्टचित्रों में देखने को मिलती है...उतनी ही बेमिसाल हमारे आदिवासी कला की प्रतीक सौरा चित्रकारी भी होती है। संबलपुरी, बोमकाई और कोटपाद बुनकरों की कारीगरी भी हमें ओडिशा में देखने को मिलती है। हम इस कला और कारीगरी का जितना प्रसार करेंगे, उतना ही इस कला को संरक्षित करने वाले उड़िया लोगों को सम्मान मिलेगा।

साथियों,

हमारे ओडिशा के पास वास्तु और विज्ञान की भी इतनी बड़ी धरोहर है। कोणार्क का सूर्य मंदिर… इसकी विशालता, इसका विज्ञान...लिंगराज और मुक्तेश्वर जैसे पुरातन मंदिरों का वास्तु.....ये हर किसी को आश्चर्यचकित करता है। आज लोग जब इन्हें देखते हैं...तो सोचने पर मजबूर हो जाते हैं कि सैकड़ों साल पहले भी ओडिशा के लोग विज्ञान में इतने आगे थे।

साथियों,

ओडिशा, पर्यटन की दृष्टि से अपार संभावनाओं की धरती है। हमें इन संभावनाओं को धरातल पर उतारने के लिए कई आयामों में काम करना है। आप देख रहे हैं, आज ओडिशा के साथ-साथ देश में भी ऐसी सरकार है जो ओडिशा की धरोहरों का, उसकी पहचान का सम्मान करती है। आपने देखा होगा, पिछले साल हमारे यहाँ G-20 का सम्मेलन हुआ था। हमने G-20 के दौरान इतने सारे देशों के राष्ट्राध्यक्षों और राजनयिकों के सामने...सूर्यमंदिर की ही भव्य तस्वीर को प्रस्तुत किया था। मुझे खुशी है कि महाप्रभु जगन्नाथ मंदिर परिसर के सभी चार द्वार खुल चुके हैं। मंदिर का रत्न भंडार भी खोल दिया गया है।

साथियों,

हमें ओडिशा की हर पहचान को दुनिया को बताने के लिए भी और भी इनोवेटिव कदम उठाने हैं। जैसे....हम बाली जात्रा को और पॉपुलर बनाने के लिए बाली जात्रा दिवस घोषित कर सकते हैं, उसका अंतरराष्ट्रीय मंच पर प्रचार कर सकते हैं। हम ओडिशी नृत्य जैसी कलाओं के लिए ओडिशी दिवस मनाने की शुरुआत कर सकते हैं। विभिन्न आदिवासी धरोहरों को सेलिब्रेट करने के लिए भी नई परम्पराएँ शुरू की जा सकती हैं। इसके लिए स्कूल और कॉलेजों में विशेष आयोजन किए जा सकते हैं। इससे लोगों में जागरूकता आएगी, यहाँ पर्यटन और लघु उद्योगों से जुड़े अवसर बढ़ेंगे। कुछ ही दिनों बाद प्रवासी भारतीय सम्मेलन भी, विश्व भर के लोग इस बार ओडिशा में, भुवनेश्वर में आने वाले हैं। प्रवासी भारतीय दिवस पहली बार ओडिशा में हो रहा है। ये सम्मेलन भी ओडिशा के लिए बहुत बड़ा अवसर बनने वाला है।

साथियों,

कई जगह देखा गया है बदलते समय के साथ, लोग अपनी मातृभाषा और संस्कृति को भी भूल जाते हैं। लेकिन मैंने देखा है...उड़िया समाज, चाहे जहां भी रहे, अपनी संस्कृति, अपनी भाषा...अपने पर्व-त्योहारों को लेकर हमेशा से बहुत उत्साहित रहा है। मातृभाषा और संस्कृति की शक्ति कैसे हमें अपनी जमीन से जोड़े रखती है...ये मैंने कुछ दिन पहले ही दक्षिण अमेरिका के देश गयाना में भी देखा। करीब दो सौ साल पहले भारत से सैकड़ों मजदूर गए...लेकिन वो अपने साथ रामचरित मानस ले गए...राम का नाम ले गए...इससे आज भी उनका नाता भारत भूमि से जुड़ा हुआ है। अपनी विरासत को इसी तरह सहेज कर रखते हुए जब विकास होता है...तो उसका लाभ हर किसी तक पहुंचता है। इसी तरह हम ओडिशा को भी नई ऊचाई पर पहुंचा सकते हैं।

साथियों,

आज के आधुनिक युग में हमें आधुनिक बदलावों को आत्मसात भी करना है, और अपनी जड़ों को भी मजबूत बनाना है। ओडिशा पर्व जैसे आयोजन इसका एक माध्यम बन सकते हैं। मैं चाहूँगा, आने वाले वर्षों में इस आयोजन का और ज्यादा विस्तार हो, ये पर्व केवल दिल्ली तक सीमित न रहे। ज्यादा से ज्यादा लोग इससे जुड़ें, स्कूल कॉलेजों का participation भी बढ़े, हमें इसके लिए प्रयास करने चाहिए। दिल्ली में बाकी राज्यों के लोग भी यहाँ आयें, ओडिशा को और करीबी से जानें, ये भी जरूरी है। मुझे भरोसा है, आने वाले समय में इस पर्व के रंग ओडिशा और देश के कोने-कोने तक पहुंचेंगे, ये जनभागीदारी का एक बहुत बड़ा प्रभावी मंच बनेगा। इसी भावना के साथ, मैं एक बार फिर आप सभी को बधाई देता हूं।

आप सबका बहुत-बहुत धन्यवाद।

जय जगन्नाथ!